Rezaul Karim, M.D.

Rezaul Karim, M.D. Talk To Brain

সত্যি নয়, গল্প ৩:বাবার উপর রাগ করেই ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়ল কিশোর ছেলেটি। এতটাই রেগে ছিল যে ভুলে বাবার জুতো পড়েই বেরিয়ে এসেছে...
05/02/2024

সত্যি নয়, গল্প ৩:

বাবার উপর রাগ করেই ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়ল কিশোর ছেলেটি। এতটাই রেগে ছিল যে ভুলে বাবার জুতো পড়েই বেরিয়ে এসেছে। এতোদিন ধরে বলার পরো বাবা তাকে মোটরসাইকেল কিনে দিচ্ছে না, তাহলে ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ার বানাবার সখ কেন বাবার?

হঠাৎ টের পেল পায়ে খুব ব্যথা লাগছে। জুতোটা খুলে দেখল তলা খয়ে নিচটা পুরো নষ্ট হয়ে গেছে, কয়েকটা পেরেক উঠে আছে। খোচা খেয়ে পা দিয়ে রক্ত ঝরতে শুরু করেছে। স্টেশনে এসেছে কিশোর, টিকেট কেটে বন্ধুর বাসায় চলে যাবে। বাবার মানি ব্যাগটা সঙ্গে নিয়ে এসেছে না বলেই। প্রচন্ড কঞ্জুস লোকটা কাউকে এটাতে হাত দিতে দেয় না। টাকার ব্যাগটা খুলতেই কয়েকটি কাগজের টুকরো আর দুশো টাকা পেয়ে হতাশ বালক। ২০০ টাকায় কি হবে?

কাগজ গুলো ফেলে দেয়ার আগে খুলে দেখল। প্রথমটা ব্যাংকের লোনের কাগজ, উপরে লেখা " বাবুর জন্মদিনে নতুন ল্যাপটপের জন্য চল্লিশ হাজার"। কিন্তু আমার তো পুরোনো একটা ল্যাপটপ আছে। দ্বিতীয়টা একজন চিকিৎসক এর তিন মাস আগে লেখা পরামর্শ পত্র। তাতে ঔষধের পাশাপাশি লেখা "পায়ের ক্ষত সারানোর জন্য অবশ্যই ভালো নরম জুতো ব্যাবহার করবেন"।

মা যখনই বাবাকে জুতো কেনার কথা বলত বাবার উত্তর ছিল "আরে এটা এখনও বেশ কিছুদিন চলবে, খালি খালি টাকা নষ্ট করে লাভ কি?"

তাড়াতাড়ি শেষ কাগজটা খুলল ছেলেটি। কাছের একটি মোটরসাইকেল দোকানের অদলবদল অফারের লিফলেট "পুরানো স্কুটার বদলে নতুন বাইক নিন"।

বাবার আবেগের ও ভালোবাসার স্কুটার, গত ৩০ বছরের বাবার পথের সাথী স্কুটার, যাকে নিয়ে বাবার কত গল্প, কত স্মৃতি। ছেলেটির বুঝতে বাকি রইল না কি ঘটতে যাচ্ছে। বাড়ির দিকে ছুটল সে। এখন জুতোর পেরেকটা আর ব্যাথা দিতে পারছে না।

বাসায় নেই চাপা স্বভাবের লোকটা, স্কুটার নিয়ে বেড়িয়েছে। বালক ছুটল সেই মোটরসাইকেল শোরুমটায়, দেখল স্কুটার বদলে ছেলের পছন্দের নতুন মটরসাইকেল কেনার জন্য বাবা লাইনে দাঁড়িয়ে। তার চোখ পুরনো স্কুটারের সাথে এখনো কথা বলছে যেন।

ছেলেটা ছুটে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরল। চোখের জল লুকিয়ে বলল "বাবা আমার নতুন মটর সাইকেল চাইনা, তোমার এই স্কুটারটাই ভালো। আমার নতুন ল্যাপটপও চাই না, তুমি তোমার নতুন জুতো আগে কিনে নাও বাবা।"

"মা" হল এমন একটা সঞ্চয়ী ব্যাঙ্ক, যেখানে আমরা আমাদের সব রাগ, অভিমান, কষ্ট জমা রাখতে পারি। কিন্তু "বাবা" হল এমন একটা ক্রেডিট কার্ড, যেটাকে নি:শেষ করে দিয়ে আমরা পৃথিবীর সমস্ত সুখ কিনতে পারি, যে কার্ডের ঋনের বিল কখনো শোধ করা হয় না, শোধ করা যায়ও না।

সংগৃহিত ও আংশিক পরিবর্তিত

পুনঃ প্রচার ২: ছোটবেলার শিক্ষকের সাথে দেখা। প্রাক্তন ছাত্র এখন সরকারি কর্মকর্তা, তার অফিসে একটি কাজে এসেছেন এই শিক্ষক। ব...
03/02/2024

পুনঃ প্রচার ২:

ছোটবেলার শিক্ষকের সাথে দেখা। প্রাক্তন ছাত্র এখন সরকারি কর্মকর্তা, তার অফিসে একটি কাজে এসেছেন এই শিক্ষক। বয়সের ভারে চোখে ঠিক মত দেখেন না, মনেও থাকে না সবকিছু। ছাত্র দাঁড়িয়ে সালাম দিয়ে নিজের পরিচয় দিল। আশ্চর্য এই বয়সেও ছাত্রকে চিনতে পারলেন।

যুবকটি বলতে শুরু করল। ম‌নে আছে মাষ্টারমশাই, একদিন আমাদের ক্লাসের এক ছাত্র নতুন ঘড়ি নি‌য়ে ক্লা‌সে এসেছিল। তার ঘা‌ড়ি‌টি এতটাই সুন্দর ছিল যে আমি লোভ সামলা‌তে পা‌রি‌নি। আমি তার ব্যাগ থে‌কে ঘ‌ড়িট‌ি চুরি করি। কিছুক্ষণ পর আমার সেই বন্ধু তার ঘড়ি না পেয়ে আপনার কাছে অভিযোগ করে। তার অ‌ভি‌যোগ শু‌নে আপনি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলে‌ছি‌লেন, ‘আজ ক্লাস চলাকালীন সম‌য়ে এই ছাত্রের ঘড়িটি চুরি হয়েছে। যে নিয়েছো দয়া করে টিফিনের সময় আমার টেবিলের উপর রেখে এসো।

আপনার অনুরোধ শু‌নেও আমি ঘা‌ড়ি‌টি ফেরত দেইনি। টিফিনের পর আপনি ক্লাসে এসে দরজা বন্ধ করে সবাইকে বেঞ্চ ছে‌ড়ে উঠে ক্লাসরু‌মের মাঝের ফাকা জায়গায় সারি বদ্ধ ভাবে গোল হয়ে দাড়াতে বললেন এবং সবাই‌কে চোখ বন্ধ কর‌তে নি‌র্দেশ দি‌লেন। এরপর ঘড়ি না পাওয়া পর্যন্ত আপনি এক এক করে আমাদের সবার পকেট খুঁজ‌তে লাগ‌লেন। আমরা সবাই আপনার নির্দেশ মতো দাঁ‌ড়ি‌য়ে রইলাম। একটা সময় যখন আমার পকেটে হাত দি‌য়ে ঘ‌ড়ি‌টি খুঁ‌জে পে‌লেন তখন ভ‌য়ে আমার সমস্ত শরীর কাঁপ‌ছিল। কিন্তুু ঘা‌ড়ি‌টি আমার প‌কে‌টে পাবার পরও আপনি কিছু ব‌লেন‌নি এবং ঘড়ি পেয়েও অন্যান্য বাকি ছাত্রদের পকেট হাতরে দেখছিলেন বুঝতে পারছিলাম। সবার পকেট দেখা শেষে আপ‌নি সবাই‌কে বললেন ঘ‌ড়ি পাওয়া গে‌ছে। এবার তোমরা সবাই চোখ খুল‌তে পা‌রো।

সেই ছাত্রটি আপনার কা‌ছে জান‌তে চে‌য়ে‌ছিল ঘ‌ড়ি‌টি কার প‌কে‌টে পাওয়া গি‌য়ে‌ছিল? ‌আপনি তা‌কে ব‌লে‌ছি‌লেন, ঘ‌ড়ি‌টি কার প‌কে‌টে পাওয়া গে‌ছে সে‌টি গুরুত্বপূর্ণ নয়, পাওয়া গে‌ছে সে‌টি গুরুত্বপূর্ণ।

সেই দি‌নের ঘটনা নি‌য়ে পরবর্তী‌তে আপনি আমার সা‌থে ঘরিটির বিষয়ে কো‌নো কথা ব‌লেন‌নি। এমন‌কি সে কাজের জন‌্য আপনি আমাকে তিরস্কারও করেননি। নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য আপ‌নি আপনার কামরায় আমাকে ডেকেও পাঠাননি। আমি মাঝে মধ্যেই আপনাকে দেখে চমকে উঠতাম, তার চেয়ে বেশি অবাক হতাম।

সেই ঘটনা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে লজ্জাজনক দিন। আপ‌নি অত‌্যন্ত বু‌দ্ধিমত্তার সা‌থে ও কৌশলে চু‌রি হওয়া ঘ‌ড়ি‌টি উদ্ধার কর‌লেন অথচ আমাকে সকলের কাছে অপমানিত হওয়া থেকে বাচিয়েছিলেন। কিন্তু আপনার চোখে আমি অপরাধীই ছিলাম ও আছি।

ঘটনার পর আমি অ‌নেক‌দিন অনু‌শোচনায় ভুগেছি। বি‌বে‌কের কাছে বার বার দং‌শিত হ‌য়ে‌ছি। তারপর আমি সিদ্ধান্ত নেই কোন অ‌নৈ‌তিক কাজ আর কখ‌নো করব না। আপনার কাছ থে‌কে সে দিন আমি স্পষ্টভাবে বার্তা পেয়েছিলাম প্রকৃতপ‌ক্ষে কি ধর‌ণের মানুষ হওয়া উ‌চিত, অপমান ছাড়াও মানু‌ষকে কিভাবে সং‌শোধন করা যায়। আপনার উদারতা এবং মহানুভবতা আজ আমা‌কে এই নৈতিক অবক্ষয়ের সমাজে সৎ পথে চলার প্রেরনা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

সা‌বেক ছা‌ত্রের কথাগু‌লো শু‌নে বৃদ্ধ শিক্ষক বল‌লেন, হ‌্যাঁ সেই ঘটনা আমার ম‌নে আছে। তোমাকেও আমার ছাত্র হিসেবে চিনতে পেরেছি। শধু মনে নেই চু‌রি হওয়া ঘ‌ড়ি কি আমি তোমার পকেটেই পেয়েছিলাম কিনা। কারন ঘরিটি খোজার সময় তোমাদের মত আমার চোখও বন্ধ রেখেছিলাম, যেন আমার প্রিয় কোন ছাত্র আমার নিকটও অপমানিত না হয়।

আয়ানের মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না, যাবে না। উচচ্ছ্বলতায় ভরা সবার প্রিয় আয়ানের এভাবে চলে যাওয়া মোটেও স্বাভাবিক নয়। এর পেছনে ...
23/01/2024

আয়ানের মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না, যাবে না।

উচচ্ছ্বলতায় ভরা সবার প্রিয় আয়ানের এভাবে চলে যাওয়া মোটেও স্বাভাবিক নয়। এর পেছনে কারো গাফিলতি থাকলে তার অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি। মুসলমানীর সময় এই অস্বাভাবিক মৃত্যু কি এটাই প্রথম, নাকি এদেশেই প্রথম? আর কোথাও কি এভাবে আদরের সন্তানেরা মা বাবাকে ছেড়ে অজানায় পারি জমায়?

গবেষনা বলছে, অমুসলিম দেশ আমেরিকাতে গড়ে প্রতিবছর অল্পবয়স্ক ১০০ জন ছেলে শিশু এই ছোট অপারেশন জনিত জটিলতায় মারা যায়।

মুসলিম দেশ ইরানও পিছিয়ে নেই এক্ষেত্রে (গবেষনার ছবি সংযুক্ত)

আমরাতো এই দেশগুলোর চেয়ে স্বাস্থ্যখাতে অনেক পিছিয়ে।

হাসপাতালের লাইসেন্স না থাকলে, হাসপাতাল অদক্ষ হলে হাসপাতালকে লাইসেন্স প্রদানকারীকে, চিকিৎসক এর চিকিৎসা সনদ না থাকলে, চিকিৎসক এর অদক্ষতা থাকলে তাকে লাইসেন্স প্রদানকারীকে, অথবা অন্য কারো গাফিলতি থাকলে অবশ্যই তার শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। কিন্তু শিশু আয়ানের অপারেশন যদি প্রোটোকল মেনে হয়ে থাকে, এর জন্য চিকিৎসা সেবা দেয়াদের দোষারোপ করলে আখেরে রোগীরাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

আরেকটি বিষয় খুবই দৃষ্টি কটু দাবি মনে হয়েছে, মৃত আয়ানের চিকিৎসার বিল নিয়ে যেসব কথা হচ্ছে। আয়ানকে বাচানোর জন্য ছয়দিন চেষ্টা করা হাসপাতাল ও এর কর্মীদের পারিশ্রমিক নিয়ে প্রশ্ন করা সমীচীন নয় বলেই মনে হয়। এটা যদি তাদের পূর্বনির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি হয় তা নিয়ে আপত্তি থাকতে পারে, কিন্তু বিল করা নিয়ে আপত্তিকরা খুবি বিবেকবিরোধী। এক্ষেত্রে হাসপাতাল পরবর্তীতে কোন মরনাপন্ন জটিল রোগীকে বাচানোর শেষ চেষ্টা হতে সরে আসার আশংকা থাকে।

এদেশে রাস্তায় কোন গাড়ি দুর্ঘটনায় পরলে গাড়িটা আটকে রাখা হয় বছরের পর বছর, অথচ গাড়ির ত্রুটি থাকলে গাড়ীকে চলার অনুমতি প্রদানকারী, গাড়ির অদক্ষ চালক বা তাকে লাইসেন্স প্রদানকারীরা স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ায়। আমাদের বিবেক প্রশ্ন করে না গাড়ির কি দোষ?

চিকিৎসকের সঠিক সেবা পেতে কী করবেন - কী করবেন না?পরামর্শ ১ঃ আপনি কি নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসক এর পরামর্শ চাচ্ছেন না সন্তোষজন...
22/08/2022

চিকিৎসকের সঠিক সেবা পেতে কী করবেন - কী করবেন না?

পরামর্শ ১ঃ

আপনি কি নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসক এর পরামর্শ চাচ্ছেন না সন্তোষজনক চিকিৎসা চাচ্ছেন তা আগে ঠিক করে নিন। নির্দিষ্ট চিকিৎসক হলে তার সাথে যোগাযোগ করুন। তা না হলে, ছোটখাটো জ্বর, কাশি, মাথাব্যথা বা কয়েক দিনের রোগের জন্য এমবিবিএস চিকিৎসকদের দেখান, তারাই যথেষ্ট। অযথা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের রোগীর চাপ বাড়াবেন না। প্রয়োজনে এমবিবিএস চিকিৎসকরাই আপনাকে সঠিক চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠাবেন। নইলে এমনও হতে পারে আপনি অযথা বেশি সময় ও অর্থের অপচয় করছেন। চিকিৎসার যে কোন বিষয়ে পরামর্শ চিকিৎসক ব্যাতিত অন্য কারো কাছ হতে নিলে আপনি নিশ্চিত ভাবে কোন না কোন আর্থিক ক্ষতি বা ভূল চিকিৎসার স্বীকার হবেন।

পরামর্শ ২ঃ

পছন্দের বিশেষজ্ঞ সম্পর্কে আগেই খোঁজ নিয়ে যাবেন। উনি খুব ব্যস্ত কিনা সেটাও জেনে যাবেন। তিনি আপনাকে বেশি সময় দিতে পারবেন না এটাই স্বাভাবিক। বিষয়টি মেনে নিয়ে তার চিকিৎসায় আস্থা রাখুন। সময় পেলাম না বলে মন খারাপ করবেন না, আপনার দরকার সুস্থতা। আর বেশি সময় চাইলে কম ব্যাস্ত চিকিৎসক এর কাছে যান। তিনি আপনাকে সব কিছু সময় নিয়ে বুঝিয়ে বলবেন। মনে রাখবেন চিকিৎসক এর চেম্বারে বেশি রোগী মানেই সে ভালো চিকিৎসক তা নাও হতে পারে। বেশি রোগি হবার অনেক অসত উপায়ও কিছু হাসপাতাল বা চিকিৎসক অবলম্বন করতে পারে।

পরামর্শ ৩ঃ

আপনার রোগীর সিরিয়াল এগোবার জন্য বচসা করবেন না। মনে রাখবেন বিনয়ী ব্যক্তি সর্বত্র আদরণীয়। রোগীর বেশি কষ্টে থাকলে চিকিৎসক এর সাহায্যকারীকে অনুরোধ করতে পারেন বা চিকিৎসক বরাবর একটি ছোট চিঠি পাঠিয়ে দিন "স্যার, আমার রোগীটির অবস্থা মুমূর্ষু, আপনার সহৃদয় সহযোগিতা কামনা করছি"। অন্য কোন সমস্যায় না থাকলে এবং আপনার রোগী অন্য সকল রোগীর চেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকলে তিনি অবশ্যই ডেকে নেবেন। অনুরোধ গ্রহণ না করলে বুঝবেন তিনি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ রোগীর সেবা দিচ্ছেন। অতএব ধৈর্য ধরুন। আর সবসময় মনে রাখবেন আপনি যেমন আপনার রোগীর কষ্টের কথা চিন্তা করে আগে দেখাতে চাচ্ছেন, তেমনি অপেক্ষমান অন্য সকল রোগীই কোন না কোন পারিবারিক বা অন্য সমস্যা নিয়েই অপেক্ষা করছেন।

পরামর্শ ৪ঃ

সুন্দর করে নিজের কথাগুলো গুছিয়ে দুই মিনিটে বলার চেষ্টা করুন। এতে থাকবে আপনার কি কি কষ্ট, সবচেয়ে বেশি কোনটি, কতদিন ধরে? সব এক বাক্যে বলার চেষ্টা করুন। আপনার আগের কোনো পুরাতন রোগ আছে কিনা যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, যক্ষা বা হাপানি ইত্যাদির শুধু নাম ও কি ঔষধ খান তা বলুন। মনে রাখবেন চিকিৎসক কিছু জানতে চাইলে সংক্ষেপে তা বলতে পারলে আপনার চিকিৎসা ভালো হবে। যদি মনে করেন চিকিৎসক এর কাছে গিয়ে ছোট হতে বড়, গুরুত্বপূর্ণ এর সাথে সামান্য সমস্যা, মাথায় ব্যাথার কথা বলতে গিয়ে মাঝে মাঝে শরীরে চুলকানী হয়, বা মাঝে মাঝে পায়খানা কঠিন হয় জাতীয় কথা বলেন, তখন চিকিৎসকের কাছে আপনার প্রধান সমস্যা কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং প্রকৃত চিকিৎসা বিঘ্নিত হতে পারে।

পরামর্শ ৫ঃ

প্রয়োজনীয় কথা বলুন। কোনো পুরাতন ঘটনা বা কবে কোন চিকিৎসক দেখিয়েছেন, কোন দেশ সফর করেছেন, এসব টেনে আনবেন না। অপ্রয়োজনীয় কথা বললে প্রকৃত কথা বলার সময় নাও পেতে পারেন। চিকিৎসক জানতে চাইলে কোন তথ্য গোপন করবেন না, তথ্য গোপন করা আপনার জন্য বিপদের কারন হতে পারে।

পরামর্শ ৬ঃ

অতি চঞ্চল প্রকৃতির শিশু, ভারসাম্যহীন বয়স্ক ব্যক্তি, মদ্যপ, অপ্রকৃতস্থ, বেশি কথা বলা বা ভদ্রতা জ্ঞানের অভাব আছে এরকম মানুষদের রোগীর সাথে নিলে চিকিৎসা সহ পৃথিবীর যে কোনো সেবার মান পড়ে যায়। রোগীর সংগী নির্বাচনে সতর্ক থাকুন।

পরামর্শ ৭ঃ

খুব জরুরি না হলে চিকিৎসক এর কক্ষে রোগীর সাথে একজন নিকটজন প্রবেশ করুন। অপ্রয়োজনীয় লোক এবং অতিরিক্ত লোকের সাথে চিকিৎসক এর কথা বলতে হলে স্বাভাবিক ভাবে রোগীর প্রতি মনোযোগ বিনষ্ট হয়। ফলে চিকিৎসার মান কমে যায়। চিকিৎসক জিজ্ঞেস না করলে আগ বাড়িয়ে কোন কথা বলবেন না, বিশেষ করে রোগী কথা বলতে পারলে রোগির স্বজনরা কথা বলবেন না। এতে চিকিৎসা সেবা বাধাগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা থাকে।

পরামর্শ ৮ঃ

নারী রোগী অবশ্যই স্বামী বা নারী সঙ্গী নিয়ে যাবেন। তা নাহলে চিকিৎসক আপনাকে দেখতে বাধ্য নন। এটা মেডিকেল এথিক্সের অংশ। শিশু রোগীর সাথে মায়ের যাওয়াটাই শ্রেয়।

পরামর্শ ৯ঃ

চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসকের বদনাম করবেন না। আপনার দূরসম্পর্কের আত্মীয় যে একজন ডাক্তার , এসব তথ্য চিকিৎসকদের চরম অপছন্দ। আপনার পরিবারের কেউ চিকিৎসক হলে অবশ্যই পরিচয় দিতে পারেন। তবে গিয়েই কাউকে ফোনে ধরিয়ে দেয়া বা বলা নিন কথা বলুন একটি চরম অভদ্রতা। আগে তার অনুমতি নিন। জানুন, কথা বলতে তার কোনো আপত্তি আছে কিনা? চিকিৎসক এর ব্যাক্তিগত বা পারিবারিক বিষয়ে কথা না তোলাই ভালো। এতে চিকিৎসক এর সময়ের অপচয় হয়, কোন কোন ক্ষেত্রে বিরক্তির কারন হতে পারে।

পরামর্শ ১০ঃ

সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ বা ক্ষমতাবান বোঝানোর জন্য কোন পরিচয় প্রদান করা হতে বিরত থাকুন, এতে চিকিৎসকরা বিরক্ত হন, অনেকক্ষেত্রে রোগীকে আদর্শ চিকিৎসা দিতে গিয়ে দ্বিধান্বিত হন। রোগী প্রকৃত চিকিৎসা হতে বঞ্চিত হবার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

পরামর্শ ১১ঃ

যতবার চিকিৎসক এর কাছে যাবেন, দেখুক আর নাই দেখুক, সকল পুরাতন কাগজপত্রগুলো নিয়ে যাবেন। ফলোআপের সময়েও সঙ্গে নেবেন। এক্স-রে/এমআরআই/সিটিস্ক্যানের ফিল্মও নিয়ে যাবেন। সবচেয়ে নতুন প্রেসক্রিপশন ও পরীক্ষার কাগজ ওপরে রেখে তারিখ অনুসারে সাজিয়ে ফাইল করে আনুন, দ্রুত ভালো সেবা পাবেন।

পরামর্শ ১২ঃ

আপনার কি হয়েছে, সম্ভাব্য কারণ, পরিণতি কি, সারতে কেমন সময় লাগতে পারে, ব্যয় কেমন হতে পারে, এসব জানতে চাওয়া আপনার অধিকার। তবে সব মিলিয়ে দু-তিন মিনিট সময় নিন। অধিক সময় নেয়াটা পেছনের মুমূর্ষু রোগীদের জন্য কষ্টের কারণ হতে পারে।

পরামর্শ ১৩ঃ

যেভাবে ব্যবস্থাপত্র বা প্রেসক্রিপশন করা, সে নিয়মে ওষুধ সেবন করুন। নিয়ম নিষেধগুলো কঠোরভাবে মেনে চলুন। কারণ চিকিৎসক যা জানেন, সব আপনি জানেন না। ফার্মেসীর ব্যবসায়ী বা অন্য কারো কথা শুনে কিছু বদলাবেন না। যে কোনো সন্দেহ বা ওষুধসংক্রান্ত সমস্যায় চিকিৎসককেই জানান, অন্য কাউকে নয়।

পরামর্শ ১৪ঃ

চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র / প্রেসক্রিপশনে দাগানো, নষ্ট করা বা হারানো বিরক্তির কারণ হতে পারে। এগুলো যত্ন করে রাখুন, দুই যুগ পরেও এটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

পরামর্শ ১৫ঃ

পৃথিবীর কোন সেবাই বিনামূল্যে নয়। পরামর্শ ফি/ ভিজিট দেবার মানসিকতা নিয়েই চেম্বারে যান। এটা চিকিৎসকের অধিকার। তার অধিকার না দিয়ে নিজের সুস্থতার চিন্তা করাটা অন্যায় ও শিশুসুলভ। উদাহারন হিসেবে, চিকিৎসক আপনার দোকানে গেলে যদি তাকে বিনামূল্যে বাজার দিতে রাজি থাকেন তবেই তার কাছ হতে বিনামূল্যে সেবা আশা করুন।

পরামর্শ ১৬ঃ

পরামর্শ ফি (ভিজিট) নিয়ে দরকষাকষি করবেন না। আপনার আর্থিক সমস্যা থাকলে সরাসরি চিকিৎসককে বলুন। আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হলে চিকিৎসক এর নির্ধারিত ফি প্রদান করাই ভদ্রতা। গরীব বা অসহায় রোগীদের জন্য বেশির ভাগ চিকিৎসক অত্যন্ত সুবিবেচক। তবে কোন চিকিৎসক ফি কমাতে না চাইলেও তার সিদ্ধান্তকে সম্মান করুন, কারণ চিকিৎসা ফি তার অধিকার। তিনিই ঠিক করবেন, কার জন্য তার অধিকার ছাড়বেন, কাকে ছাড়বেন না? ভিজিট দেয়াকে নিজের জন্য সম্মানহানিকর ভাববেন না বরং এটা আপনার সম্মান বাড়ায়।

পরামর্শ ১৭ঃ

একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবার পর, তার ব্যাবস্থাপত্র অন্য চিকিৎসককে দিয়ে ঠিক আছে কিনা জানতে চাওয়া দুজন চিকিৎসকের জন্যই বিব্রতকর এবং এতে দুজনই বিরক্ত হন। পৃথিবীর সব ব্যক্তি তার নিজস্ব মতামত দেবেন। যদি আস্থাই না থাকে, তবে তার পরামর্শ নেবেন কেন? আর আস্থা থাকলে সেটাকে নষ্ট করবেন কেন?

পরামর্শ ১৮ঃ

কোনো চিকিৎসকই জেনেশুনে ভুল চিকিৎসা দেন না। এমনকি শত্রু এলেও উল্টো চিকিৎসা দেন না। সুস্থতার বিষয়টির মালিকও তিনি নন। তিনি কোনো জাদুকর বা ভগবান নন। উনি তার অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দিয়ে রোগ নির্ণয় ও তদনুসারে ব্যবস্থাপত্র প্রদান করেন। অতএব আস্থা রাখুন, ধৈর্য রাখুন। ঘন ঘন ডাক্তার বদলাবেন না।

পরামর্শ ১৯ঃ

চিকিৎসা নেয়া সমাপ্ত হলে একটি চমৎকার সমাপনী বাক্য বা একটি হাসি দিন। থ্যাঙ্কস মেসেজ দিন। হতে পারে; আপনি ছিলেন ওই দিনের মনে দাগ কেটে যাওয়া সেরা রোগী। আপনাদের ছোট ছোট এপ্রিসিয়েশন তাকে আরও চমৎকার করে তুলবে। শুধু ব্যবস্থাপত্র বা চিকিৎসা নেয়ার আশা করবেন না। চিকিৎসকের দোয়াও নিন। মনে রাখবেন, আপনার সুস্থতার বিষয়টি অবশ্যই তার দোয়ার সঙ্গেও সম্পর্কিত।

পরামর্শ ২০ঃ
চিকিৎসা নেয়ার পূর্বে নামের শেষে অবশ্যই এমবিবিএস বা বিডিএস (ডেন্টাল) দেখে চিকিৎসা নিন।

ডাঃ মোঃ রেজাউল করিম রেজা
এমবিবিএস, এমডি, বিসিএস

।।।কিয়দাংশ মেডিভয়েস হতে পরিমার্জিত।।।

ঘুমের সমস্যা/অনিদ্রা/নিদ্রাহীনতা বা ইনসমনিয়াঃপরিচ্ছন্ন ঘুমের জন্য করনীয় ও বর্জনীয়- ১. প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ঘ...
31/10/2021

ঘুমের সমস্যা/অনিদ্রা/নিদ্রাহীনতা বা ইনসমনিয়াঃ

পরিচ্ছন্ন ঘুমের জন্য করনীয় ও বর্জনীয়-

১. প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন।

২. শোবার ২০ মিনিটের মধ্যে ঘুম না আসলে শুয়ে না থেকে বিছানা ছেড়ে উঠে যান, বিছানায় ফেরার আগে বই পড়া, অল্প আলোতে গান শোনা বা অন্য কোন প্রশান্তি দায়ক কাজ করুন।

৩. একটি ভালো বিশ্রামের পরিবেশ তৈরি করুন (আরামদায়ক বিছানা, অন্ধকারাচ্ছন্ন ও নিরিবিলি শব্দহীন শোবার ঘর)।

৪. ঘুমাতে যাওয়ার আগে শীতকালে উষ্ণ বা গরমকালে শীতল পানিতে গোসল করে নেয়া যেতে পারে।

৫. শোবার সময়ের একটি নিয়মিত ছক তৈরি করুন (যেমন ঘুমের ২০-৩০ মিনিট আগে নরম সুরের গান শোনা, মজাদার বই পড়া, ইয়োগা বা মেডিটেশন করা)।

৬. আপনার বিছানা ঘুম ও সহবাস ছাড়া অন্য কোন কাজে (পড়া, খাওয়া, টেলিভিশন দেখা বা অন্যান্য কাজে) ব্যাবহার করবেন না।

৭. দুপুর ৩ টার পর দিবানিদ্রা পরিহার করুন।

৮. দুপুরে খাবার পর হতে কফি বা চা পান পরিহার করুন।

৯. রাতের ঘুমের স্বাভাবিক সময়ের আগে ঘুমাতে না যাওয়া উত্তম।

১০. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ২ হতে ৩ ঘন্টা আগে হতে ধুমপান, মদ্যপান, ভারী খাবার গ্রহন অথবা ভারী ব্যায়াম হতে বিরত থাকুন।

১১. যখন ঘুমানোর চেষ্টা করছেন তখন কোন দৈনন্দিন সমস্যা বা এর সমাধান, দিনের কার্যকলাপ, আগামী দিনের পরিকল্পনা নিয়ে চিন্তা করবেন না।

১২. শোবার ঘরে টেলিভিশন, কম্পিউটার বা মোবাইল রাখা বা ব্যাবহার করা হতে বিরত থাকুন।

07/07/2021
15/04/2021

Cervical Radiculopathy বা ঘাড়ের স্নায়ুর উপর চাপের জন্য ব্যাথাঃ ব্যায়াম ১ (চিকিৎসক এর পরামর্শ ব্যাতীত করা ক্ষতির কারন হতে পারে)।

15/04/2021

Cervical Radiculopathy বা ঘাড়ের স্নায়ুর উপর চাপের জন্য ব্যাথাঃ ব্যায়াম ২ (চিকিৎসক এর পরামর্শ ব্যাতীত করা ক্ষতির কারন হতে পারে)।

15/04/2021

Cervical Radiculopathy বা ঘাড়ের স্নায়ুর উপর চাপের জন্য ব্যাথাঃ ব্যায়াম ৩ (চিকিৎসক এর পরামর্শ ব্যাতীত করা ক্ষতির কারন হতে পারে)।

15/04/2021

ফ্রোজেন শোল্ডার বা হিমায়িত কাধের ব্যাথাঃ ব্যায়াম ১ (চিকিৎসক এর পরামর্শ ব্যাতীত করা ক্ষতির কারন হতে পারে)।

15/04/2021

ফ্রোজেন শোল্ডার বা হিমায়িত কাধের ব্যাথাঃ ব্যায়াম ২ (চিকিৎসক এর পরামর্শ ব্যাতীত করা ক্ষতির কারন হতে পারে)।

15/04/2021

ফ্রোজেন শোল্ডার বা হিমায়িত কাধের ব্যাথাঃ ব্যায়াম ৩ (চিকিৎসক এর পরামর্শ ব্যাতীত করা ক্ষতির কারন হতে পারে)।

Address

ময়মনসিংহ/
Dhaka

Opening Hours

Monday 16:30 - 19:30
Tuesday 16:30 - 19:30
Wednesday 16:30 - 19:30
Thursday 16:30 - 19:30
Friday 16:30 - 19:30
Saturday 16:30 - 19:30
Sunday 16:30 - 19:30

Telephone

+8801977487611

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rezaul Karim, M.D. posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Rezaul Karim, M.D.:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram