IPharma

IPharma Bangladesh´s largest online Medicine ordering portal.

হেলথকেয়ার বাংলাদেশে আনছে ক্যান্সারের ওষুধ "সাইরামজা"ফুসফুস, পাকস্থলি ও লিভারের কয়েক ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ও...
24/12/2021

হেলথকেয়ার বাংলাদেশে আনছে ক্যান্সারের ওষুধ "সাইরামজা"

ফুসফুস, পাকস্থলি ও লিভারের কয়েক ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ "সাইরামজা" বাংলাদেশের বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।

শুক্রবার ঢাকা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলন এ ঘোষণা দেন হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের নির্বাহী পরিচালক বি কে রায়।

সাইরামজা তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি ‘এলি লিলি’। এ কোম্পানির ভারতীয় শাখার সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বাজারে ওষুধটি আমদানি করবে হেলথ কেয়ার। তবে বাংলাদেশে এর দাম কত হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি।

বি কে রায় বলেন, ওষুধটির দাম নির্ধারণের জন্য তারা বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে প্রস্তাব জমা দিয়েছেন।

“রোগীদের এক মাসে সাইরামজার যে ডোজ লাগে, ভারতে সেজন্য চার থেকে পাঁচ লাখ রুপি খরচ হয়। আমরা চেষ্টা করছি দামটা বাংলাদেশে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কমিয়ে আনার।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক এম এ হাই বলেন, “মানুষ যত আধুনিক হচ্ছে ক্যান্সার তত বাড়ছে। আমাদের মত দেশে আরও বাড়ছে। ধূমপান, তামাক (জর্দা) চাবানোর মত বদ অভ্যাস অনেক রকম ক্যান্সার বাড়াচ্ছে।

“এছাড়া আমাদের খাদ্যাভ্যাস, খাদ্য ও পরিবেশ দূষণকে এর জন্য দায়ী করা যায়। ক্যান্সার রোগীদের কষ্ট লাঘবে সাইরামজা ভূমিকা রাখতে পারে।”

ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যান্সারের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২০ সালে বাংলাদেশে এক লাখ ৫৬ হাজার ৭৭৫ জন মানুষের মধ্যে ক্যান্সার ধরা পড়ে। আর ওই বছর ক্যান্সারে মারা গেছেন এক লাখ ৮ হাজার ৯৯০ জন।

সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে বক্তব্য দেন এলি লিলি ভারতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লুকা ভিসিনি।

তিনি বলেন, “বহু মানুষের ক্যান্সার চিকিৎসায় সাইরামজা ব্যবহারে যথাযথ ফল মিলেছে। বাংলাদেশে মেটাস্ট্যাটিক, নন-স্মল সেল লাং ক্যান্সারের প্রথম পর্যায়ের চিকিৎসায় এবং পাকস্থলীর ক্যান্সারের দ্বিতীয় পর্যায়ের চিকিৎসায় সাইরামজা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।”

ওষুধটি কীভাবে কাজ করে তার বর্ণনা দিয়ে হেলথকেয়ার বাংলাদেশের মেডিকেল সার্ভিসেস বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান বলেন, এটি মূলত ক্যান্সার কোষগুলোর পুষ্টির যোগান বন্ধ করে সেগুলোকে মেরে ফেলে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ‘যৎসামান্য’।

নির্বাহী পরিচালক বি কে রায় বলেন, ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অন্যান্য কেমোথেরাপির মত সাইরামজার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ‘অত বেশি নয়’। তবে কারও কারও ডায়রিয়া, রক্তচাপ বৃদ্ধি, রক্ত চলাচল নালী আটকে যাওয়া, মাথা ঘোরাসহ আরো কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক দপ্তর এফডিএ ‘সাইরামজা’ অনুমোদন দেয়। এরপর থেকে ওষুধটি পাকস্থলীর, ফুসফুস, যকৃত ও বৃহদান্ত্রের ক্যান্সার ছাড়াও দেহের অন্যান্য অংশের ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে।

Source: bdnews24.com

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসেপটার নতুন ওষুধ "Orsema" ইনজেকশনবিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নতুন সুখবর এনেছে ইনসে...
12/12/2021

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসেপটার নতুন ওষুধ "Orsema" ইনজেকশন

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নতুন সুখবর এনেছে ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে 'ওরসেমা ইনজেকশন' নামের নতুন ওষুধ বাজারজাত করতে যাচ্ছে।

এ উপলক্ষে রোববার ডায়াবেটিস দিবসে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার সাথে রাজধানীর বারডেমে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস-এর এই ঔষধটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

ইনসেপটা জানিয়েছে, প্রথমবারের মত দেশে তৈরি ইঞ্জেকট্যাবল সেমাগ্লুটাইড এই ওষুধ সপ্তাহে একবার গ্রহণযোগ্য, যা প্রতিদিন ট্যাবলেট খাওয়ার ঝামেলা কমিয়ে দেবে এবং ডায়াবেটিস চিকিৎসায় সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। এটি প্রি-ফিল্ড সিরিঞ্জ হিসেবে 'ওরসেমা' নামে ০.২৫ মি.গ্রা. এবং ০.৫০ মি.গ্রা. এই দুই মাত্রায় বাজারে পাওয়া যাবে। ওষুধটির দামও সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রয়েছে। ০.২৫ মি.গ্রা. ৩৫০ টাকা এবং ০.৫০ মি.গ্রা. ৬০০ টাকা মাত্র।

ইনসেপটা বলছে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদিন ওষুধ গ্রহণের চিন্তা আর নয়। এই ওষুধটি সপ্তাহে শুধুমাত্র একবার গ্রহণ করলেই হবে।

সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও রোববার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়েছে। এইবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সার্বজনীন ডায়াবেটিস চিকিৎসা নিশ্চিতকরণ।

Source: samakal.com

ওমিক্রন প্রতিরোধী ভ্যাকসিন তৈরি করছে ফাইজারফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বোরলা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, শুক্রবার থেকে ওমিক্রন ধরন...
30/11/2021

ওমিক্রন প্রতিরোধী ভ্যাকসিন তৈরি করছে ফাইজার

ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বোরলা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, শুক্রবার থেকে ওমিক্রন ধরনের বিরুদ্ধে বর্তমান ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর তা পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে

করোনাভাইরাসের নতুন ধরন "ওমিক্রন" প্রতিরোধী ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ শুরুর কথা জানিয়েছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক ফাইজারের সিইও অ্যালবার্ট বোরলা জানিয়েছেন।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বোরলা বলেন, "শুক্রবার থেকে ওমিক্রন ধরনের বিরুদ্ধে বর্তমান ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর তা পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে।"

বোরলা বলেন, "আমার মনে হয় না ফলাফলে ভ্যাকসিন অকার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হবে। হয়ত, বিদ্যমান ডোজগুলো কম কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হবে। যার অর্থ আমাদের একটি নতুন ভ্যাকসিন তৈরি করতে হবে।"

তিনি আরও বলেন, "শুক্রবার আমরা প্রথম ডিএনএ টেমপ্লেট তৈরি করেছি, যা একটি নতুন ভ্যাকসিনের বিকাশ প্রক্রিয়ার প্রথম সম্ভাব্য পরিবর্তন।"

এদিকে, আরেক ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসন সোমবার বলেছে, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর একটি নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

অনুসরণ করছে এবং প্রয়োজন অনুসারে এটি অগ্রগতি করবে।

এর আগে শুক্রবার মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক মডার্না ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরির ঘোষণা দিয়েছিল।

বর্তমান ভ্যাকসিনটি ডেল্টার বিরুদ্ধে "খুবই কার্যকর" মন্তব্য করে বোরলা বলেন, "২০২২ সালের মধ্যে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ৪০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম হবে।"

এদিকে, সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনটি "অত্যন্ত বিপজ্জনক"।

বোরলা জানান, তিনি ফাইজারের নতুন "অ্যান্টিভাইরাল পিল" ওমিক্রনসহ করোনাভাইরাসের যেকোনো ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকরী হবে বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী।

নতুন সংক্রমিত ও উচ্চঝুঁকির রোগীদের উপসর্গ শুরু হওয়ার তিন দিনের মধ্যে ফাইজারের "অ্যান্টিভাইরাল পিল" দেওয়া হলে, তা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা মৃত্যু প্রায় ৯০% কমাতে সক্ষম।



Source: dhakatribune.com

ওমিক্রনের বিরুদ্ধে বর্তমান টিকা কার্যকর নয়দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিরুদ্ধে বর্তমান টিকা আ...
30/11/2021

ওমিক্রনের বিরুদ্ধে বর্তমান টিকা কার্যকর নয়

দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিরুদ্ধে বর্তমান টিকা আগের মতো কার্যকর নয়। এই নতুন ধরনের ভ্যারিয়েন্ট আর্থিক বাজারেও নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে মডার্নার সিইও স্টিফেন ব্যান্সেলের বরাত দিয়ে এ কথা বলা হয়েছে।

মডার্নার সিইও স্টিফেন ব্যান্সেল বলেছেন তথ্য-উপাত্তের জন্য অপেক্ষা করতে বেশি সময় লাগে। অনেক বিজ্ঞানীর সাথে কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছে, নতুন ধরন আমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে না। টিকার কার্যকারিতা কমে গেলে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়বে এবং মহামারি আরও দীর্ঘায়িত হবে। ব্যান্সেল বলেন, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে একটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। একটি নতুন ধরণের করোনভাইরাস, ওমিক্রন, বিশ্বের জন্য একটি নতুন হুমকি তৈরি করেছে। এ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে করোনভাইরাসটির এই রূপটি কমপক্ষে ৩২টি মিউটেশন ঘটিয়েছে। এর বৈজ্ঞানিক নাম বি.১.১.৫২৯।

এটি মানবদেহে খুব দ্রুত এবং সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলস্বরূপ, টিকা কম কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই কারণেই বিজ্ঞানীরা ওমিক্রন নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার প্রথম খবর পেয়েছিল। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। ফলে অনেক দেশ সীমান্ত বন্ধসহ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে।

-19
Source: dailyinqilab.com

26/09/2021
কোন টিকা নিলে কতটি দেশে যেতে পারবেন?করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গোটা বিশ্ব। এর ছাপ পড়েছে সর্বত্র। জীবিকা, পর্যটনসহ নানা কারণে ...
08/09/2021

কোন টিকা নিলে কতটি দেশে যেতে পারবেন?

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গোটা বিশ্ব। এর ছাপ পড়েছে সর্বত্র। জীবিকা, পর্যটনসহ নানা কারণে লোকজনকে দেশে দেশে পাড়ি জমাতেই হয়। কোনো কোনো দেশে সংক্রমণ কমে যাওয়া ভ্রমণের ওপর কড়াকড়ি শিথিল করেছে। তবে ভ্যাকসিন বা টিকা গ্রহণ অপরিহার্য একটি বিষয়। অনেক দেশই ভ্যাকসিন পাসপোর্টও চালু করেছে। ভ্যাকসিন না নেয়া থাকলে অন্য দেশে প্রবেশ এখন বেশ কঠিন ব্যাপার।
তবে করোনার যেকোনো ভ্যাকসিন নেয়া থাকলেই আপনি অবাধে বিশ্বের যেকোনও দেশে ভ্রমণে যেতে পারেন, বিষয়টি এমন নয়। আবার ‘নির্দিষ্ট কিছু টিকার’ গ্রহীতা পর্যটকদের স্বাগত জানাচ্ছে অনেক দেশ।
সম্প্রতি অনুমোদনপ্রাপ্ত ভ্যাকসিনগুলোর মধ্যে কোন কোন ভ্যাকসিন নেয়া থাকলে ভ্রমণে আগ্রহী ব্যক্তিরা কতটি দেশে যেতে পারবেন তার একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ভ্রমণবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট।
এতে দেখা গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকারই গ্রহণযোগ্যতা বেশি পাওয়া গেছে। বিশ্বের ১১৯টি দেশ এখন পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনের স্বীকৃতি দিয়েছে এবং বিশ্বে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বাধিক ব্যবহৃত।
আন্তঃসীমান্ত ভ্রমণে কোভিড-১৯ টিকার অনুমোদন দিয়েছে কতটি দেশ তার একটি শর্টলিস্ট দেখে নিন
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিয়েছে ১১৯টি দেশ
ফাইজার-বায়োএনটেকের অনুমোদন মিলেছে ৮৯টি দেশে
স্পুটনিক-৫ অনুমোদন দিয়েছে ৬৯টি দেশ
সিনোফার্মের ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে ৫৯টি দেশে
মডার্নার টিকার অনুমোদন দিয়েছে ৫০টি দেশ
সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড ৪৫ দেশে অনুমোদন পেয়েছে
সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে ৩৭ দেশ
জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার অনুমোদন মিলেছে ৩৩ দেশে
ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন অনুমোদন দিয়েছে ৬ দেশ
ক্যানসিনোবায়োর টিকার অনুমোদন মিলেছে ৪ দেশে।
এতে দেখা গেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকারই গ্রহণযোগ্যতা বেশি পাওয়া গেছে। বিশ্বের ১১৯টি দেশ এখন পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনের স্বীকৃতি দিয়েছে এবং বিশ্বে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বাধিক ব্যবহৃত।
আন্তঃসীমান্ত ভ্রমণে কোভিড-১৯ টিকার অনুমোদন দিয়েছে কতটি দেশ তার একটি শর্টলিস্ট দেখে নিন
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দিয়েছে ১১৯টি দেশ
ফাইজার-বায়োএনটেকের অনুমোদন মিলেছে ৮৯টি দেশে
স্পুটনিক-৫ অনুমোদন দিয়েছে ৬৯টি দেশ
সিনোফার্মের ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে ৫৯টি দেশে
মডার্নার টিকার অনুমোদন দিয়েছে ৫০টি দেশ
সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড ৪৫ দেশে অনুমোদন পেয়েছে
সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছে ৩৭ দেশ
জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার অনুমোদন মিলেছে ৩৩ দেশে
ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন অনুমোদন দিয়েছে ৬ দেশ
ক্যানসিনোবায়োর টিকার অনুমোদন মিলেছে ৪ দেশে।

Source: নয়া দিগন্ত অনলাইন

দেশের টিকা "বঙ্গভ্যাক্স" ট্রায়ালেই ঘুরপাক খাচ্ছেকরোনা মহামারিকে থামিয়ে দিতে বিশ্বজুড়ে চলছে টিকার প্রয়োগ। তবে টিকা উদ্ভাব...
08/09/2021

দেশের টিকা "বঙ্গভ্যাক্স" ট্রায়ালেই ঘুরপাক খাচ্ছে

করোনা মহামারিকে থামিয়ে দিতে বিশ্বজুড়ে চলছে টিকার প্রয়োগ। তবে টিকা উদ্ভাবনে উন্নত দেশগুলো এগিয়ে গেলেও পিছিয়ে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলো। বাংলাদেশ আমদানি করে দেশব্যাপী টিকার প্রয়োগ শুরু করলেও নিজস্ব উত্পাদনেও অনেকটা সাফল্যের কাছাকাছি।

গত বছরের ২ জুলাই ওষুধ প্রস্তুতকারী গ্লোব ফার্মার সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক ‘বঙ্গভ্যাক্স’ টিকা তৈরির কাজ শুরুর কথা জানায়। এরই মধ্যে সেই টিকা খরগোশ ও ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে ‘কার্যকর ও সম্পূর্ণ নিরাপদ’ প্রমাণিত হয়েছে। এ মাসে শুরু হয়েছে বানরের ওপর পরীক্ষা, শেষ হবে আগামী মাসে। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, বিশ্বে ডেল্টাসহ ১১টি ভেরিয়েন্টের সিকোয়েন্স অ্যানালাইজ করে দেখা গেছে প্রতিটি ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রেই বঙ্গভ্যাক্স কার্যকর।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত বছরের ১৫ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেক কর্তৃক আবিষ্কৃত এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে কভিড-১৯ টিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। গত ডিসেম্বরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষজ্ঞদল বঙ্গভ্যাক্সের গবেষণাগার পরিদর্শন করে সব তথ্য-উপাত্ত ও প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নথিপত্র পর্যালোচনা করে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অগ্রগতিতে সহযোগিতা করে। পরবর্তী সময়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ওই গবেষণাগার ও উত্পাদনকেন্দ্র পরিদর্শন সাপেক্ষে গত ২৮ ডিসেম্বর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য ‘বঙ্গভ্যাক্স’ উত্পাদনের অনুমতি দেয়।

এরপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি চেয়ে গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলে (বিএমআরসি) আবেদন জমা দেয় গ্লোব বায়োটেক। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ মাস পর গত ২২ জুন বিএমআরসি একটি চিঠি দিয়ে গ্লোব বায়োটেককে জানায়, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগে বানর বা শিম্পাঞ্জির শরীরে প্রয়োগ করে তার এ টিকা পরীক্ষা করতে হবে। তারপরই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নৈতিক অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

গ্লোব বায়োটেক কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘আমরা সরকারের সহযোগিতা পেয়েছি। যেমন—ঔষধ প্রশাসনের অনুমতি পেয়েছি। আমরা শুধু বিএমআরসির সহযোগিতা পাইনি। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নৈতিক অনুমোদন না দিয়ে বানরের শরীরে ট্রায়ালের জন্য শর্ত জুড়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে এই ভ্যাকসিনটি যাতে উত্পাদন করতে বা অনুমোদন পেতে আরো অনেক সময় অতিবাহিত হয়। যদি বানরের শরীরে প্রয়োগের প্রয়োজন হতো তবে বিএমআরসি আরো পাঁচ মাস আগে গ্লোব বায়োটেককে এসব শর্ত উল্লেখ করতে পারত।’

গ্লোব বায়োটেক আরো জানায়, “আমেরিকা তাদের এমআরএনএ ভ্যাকসিন দিয়ে করোনার সংক্রমণ এবং মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। আমরা যদি সময়মতো ‘বঙ্গভ্যাক্স’ মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে আশানুরূপ ফলাফলের ভিত্তিতে টিকা কার্যক্রম শুরু করতে পারতাম, তাহলে হয়তো আমাদের দেশেও করোনার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হতো।”

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরির জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, “আমাদের গবেষণাগারে কর্মরত বিজ্ঞানীদের অন্যান্য ওষুধের পাশাপাশি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায়, আমরা মহামারি প্রতিরোধে কভিড-১৯ শনাক্তকরণ কিট, টিকা এবং ওষুধ আবিষ্কার-সংক্রান্ত গবেষণা শুরু করি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ২ জুলাই কভিড-১৯-এর টিকা উদ্ভাবনের ঘোষণা দিই। গ্লোব বায়োটেক কর্তৃক আবিষ্কৃত এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কভিড-১৯ ভ্যাকসিন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমরা আমাদের উদ্ভাবিত টিকাটির বঙ্গভ্যাক্স নামকরণ করেছি। এই নামের ‘বঙ্গ’ একই সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের নামকে প্রতিনিধিত্ব করে। ড. কাকন নাগ এবং ড. নাজনীন সুলতানার নেতৃত্বে তরুণ বিজ্ঞানীদের একটি চৌকস দল এ টিকা আবিষ্কার করেছে।”

এই জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক বলেন, ‘বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভেরিয়েন্টসহ ১১টি ভেরিয়েন্ট বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় সক্রিয় ছিল। আমরা এই ১১টি ভেরিয়েন্টের সিকোয়েন্স অ্যানালাইজ করে আমাদের ভ্যাকসিনের যে সিকোয়েন্স মিলিয়ে দেখেছি প্রতিটি ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রেই বঙ্গভ্যাক্স কার্যকর। আমরা খুব আত্মবিশ্বাসী, এ টিকা যদি বাজারে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে সারা বিশ্বে ডেল্টা ধরনসহ করোনার যে মহামারি চলছে সেটা থেকে বঙ্গভ্যাক্স পরিত্রাণ দিতে পারে।’

ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের টিকাটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর একটি ডোজেই এনিম্যাল ট্রায়ালে কার্যকর অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। আমরা আশা করছি, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেও অনুরূপ ফলাফল পাওয়া যাবে। এটি প্লাস ফোর ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক মাস এবং মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ছয় মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। এটি সিন্থেটিক্যালি তৈরি হওয়ায় তা ভাইরাসমুক্ত এবং শতভাগ হালাল। অন্য এমআরএনএ ভ্যাকসিনের তুলনায় এ ভ্যাকসিনটি সুলভ হবে, তাই স্বল্প ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য সহজেই ক্রয়যোগ্য হবে। আমরা যদি দ্রুততম সময়ে ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশবাসীর সেবায় উত্সর্গ করতে পারি, তাহলে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বদরবারে আরো সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।’

গ্লোব বায়োটেকের কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরির জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক বলেন, ‘আমরা প্রথমে টিকাটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আইসিডিডিআরবির সঙ্গে কাজ করি এবং তাদের তত্কালীন নির্বাহী পরিচালক ড. জন ডেভিড ক্লেমেন্সসহ জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানীদের আমাদের টিকার তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনের মাধ্যমে অবহিত করি এবং তাঁরা আমাদের অত্যাধুনিক গবেষণাকেন্দ্র ও টিকা কার্যক্রম দেখে অত্যন্ত প্রশংসা করেন। কিন্তু তাঁদের ফেজ-১ ও ফেজ-২ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায়, পরবর্তী সময়ে আমরা ক্লিনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন লিমিটেডের মাধ্যমে টিকাটির ফেজ-১ ও ফেজ-২ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রটোকল ইথিক্যাল ক্লিয়ারেন্সের জন্য বাংলাদেশ চিকিত্সা গবেষণা পরিষদে (বিএমআরসি) গত ১৭ জানুয়ারি জমা দিই। ইথিক্যাল কমিটি প্রটোকল পর্যালোচনা করে শতাধিক বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দিয়ে বিএমআরসি একটি চিঠি গত ৯ ফেব্রুয়ারি দেয়। আমরা সব প্রশ্নের যথাযথ উত্তরসহ সংশোধিত প্রটোকল ও প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিএমআরসিতে জমা দিই। গত ১৮ মে আমাদের বঙ্গভ্যাক্সের গবেষণাপত্রটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ মেডিক্যাল জার্নাল ভ্যাকসিনে প্রকাশিত হয়। তখন আমরা এই খবরটি স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট সব সংস্থায় চিঠি দিয়ে জানাই। তখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আমরা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ব্যাপারে সহযোগিতা চাই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে চিঠি দেয় ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এদিকে দীর্ঘ পাঁচ মাস পর গত ২২ জুন বিএমআরসি থেকে আমাদের কাছে চিঠি আসে যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগে বানর অথবা শিম্পাঞ্জিতে টিকাটির ট্রায়াল সম্পন্ন করতে হবে। তখন আমরা খুবই কষ্ট পাই। এ বিষয়টি দীর্ঘ পাঁচ মাস পর না জানিয়ে আমরা যখন ১৭ জানুয়ারিতে বিএমআরসির কাছে আবেদন করেছিলাম, তখন জানাতে পারত।’

জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘বানরের ওপর টিকার পরীক্ষার জন্য বিদেশে চেষ্টা করেছি। ভারত বলছে জিটুজি পদ্ধতিতে আবেদন করার জন্য। তাই সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি দিয়েছি এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। কিন্তু কোনো আশানুরূপ রেজাল্ট পাইনি। আর উন্নত বিশ্বের দেশগুলো বলছে, এমআরএনএ টিকা বানরের ওপর পরীক্ষার দরকার নেই। কিন্তু বিএমআরসি বলছে, করা লাগবে। তাই বাধ্য হয়ে আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুসরণ করে বন বিভাগের অনুমোদন নিয়ে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক থেকে বানর সংগ্রহ করেছি। প্রয়োজনীয় অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রূপগঞ্জে আমাদের এনিম্যাল সেন্টারে আমরা এখন বানরের ওপর ট্রায়াল শুরু করেছি। ট্রায়ালটি ১ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে আগামী মাসের শেষ দিকে শেষ হবে।’

ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরো বলেন, ‘টিকাটি সারা বিশ্বে অধিক কার্যকরী হবে বলে আশা করছি। আমরা আমাদের টিকার টার্গেটের সম্পূর্ণ কোডিং সিক্যুয়েন্স এনসিবিআই ডাটাবেইসে জমা দিয়েছি, যা এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের অত্যাধুনিক এনিম্যাল সেন্টারে টিকার পূর্ণাঙ্গ প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন করেছি, যার ফল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বায়ো-আর্কাইভে প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের নিবন্ধটি এরই মধ্যে আট হাজার ৫০০ জন বিজ্ঞানী পর্যালোচনা করে খুবই কার্যকরী ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আমাদের এ নিবন্ধটি এরই মধ্যে বিশ্বের সর্ববৃহৎ পাবলিশার্স এলসেভিইয়ারের ভ্যাকসিন জার্নালেও প্রকাশিত হয়েছে।’

বঙ্গভ্যাক্স ভ্যাকসিনের প্রধান গবেষক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বঙ্গভ্যাক্স ইঁদুরের ওপর ট্রায়াল করে দেখা গেছে ভালো কাজ করে। এই পর্যায়ে এটি মানুষের ওপর ট্রায়াল করার জন্য বিএমআরসিতে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তারা চাচ্ছে যে ইঁদুরের ওপর ট্রায়াল করে সরাসরি হিউম্যান ট্রায়াল (মানুষের শরীরে পরীক্ষা) না করে মাঝে বানরের ওপর ট্রায়াল করার জন্য। পাশাপাশি তারা আরো কিছু অবজারভেশন দিয়েছে। বানর বা শিম্পাঞ্জির শরীরে পরীক্ষা চালাতে হলে তৃতীয় পক্ষের গবেষণাগার (থার্ড পার্টি রিসার্চ ল্যাব) প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে এই ধরনের কোনো গবেষণাগার নেই। এ বিষয়ে ভারত ও চীনের দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, এ ধরনের পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে হবে সরকারের মাধ্যমে। আমরা অনেক চেষ্টা করেও কোনো আশানুরূপ রেজাল্ট পাইনি। সমস্যাটি হচ্ছে, এখন দেশে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে। সব ধরনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বানরের ওপর ট্রায়ালটি দেশেই হবে।’

এই প্রধান গবেষক আরো বলেন, ‘এটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর সঙ্গে শুধু বাংলাদেশের সুনাম নয়, বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ ও বিশ্বের মানুষের স্বার্থ জড়িত। ভ্যাকসিনটি যদি চলে আসে, নিশ্চয় এটি দেশের বাইরে যাবে। সব কিছু বিবেচনায় রেখেই চিন্তা করা হচ্ছে।’

জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গ্লোব বায়োটেক ২০১৫ সালে দুরারোগ্য রোগ যেমন—ক্যান্সার, অটিজম, রক্তস্বল্পতা, আর্থ্রাইটিসসহ আরো অনেক বিরল রোগ নিরাময়ের জন্য বায়োলজিকস, নোভেল ড্রাগ এবং বায়োসিমিলার উত্পাদনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অত্যাধুনিক গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করে। যার নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন। এখন কভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরিতে আমাদের পুরো কাঠামোটি কাজে লাগাতে পারছি। সেই সঙ্গে ভ্যাকসিনের জন্য নতুন কিছু ম্যাটেরিয়ালস, কাঁচামাল, কেমিক্যালসহ বিভিন্ন উপকরণ আনতে হয়েছে। তাই যেহেতু আগের বিনিয়োগগুলো কাজে লাগছে, তাই সব মিলিয়ে বিনিয়োগের বিষয়টি বলতে গেলে ৭০০ কোটি টাকার মতো। আমাদের যে কারিগরি সক্ষমতা আছে, সেখানে প্রতি মাসে এক কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উত্পাদন করতে পারব। বঙ্গভ্যাক্স উত্পাদনের কারখানা রাজধানীর তেজগাঁওয়ে। কারখানায় বিজ্ঞানীয় ৭০ জন জনবল রয়েছে।’

বিএমআরসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, ‘বঙ্গভ্যাক্স একটি দেশীয় টিকা। দেশীয় কোনো সফলতা এলে তা আমাদের জন্যও গর্বের বিষয়। কিন্তু আমরা তো অনৈতিক বা নিয়মবহির্ভূত কোনো পন্থায় তাদের মানবদেহে ট্রায়ালের অনুমোদন দিতে পারি না। আমরা অনুমোদন দিলাম, এরপর বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটল, এর দায় কে নেবে? তাই আমরা চাচ্ছি মানবদেহে ট্রায়ালের আগে যেন অন্য কোনো প্রাণীর দেহে ট্রায়াল হয়। সেখানে যদি প্রমাণিত হয় এটা ঝুঁকিমুক্ত, তাহলে আমরা মানবদেহে ট্রায়ালের অনুমতি দিতে একমুহূর্তও দেরি করব না।’

Source: kalerkantho.com

30/06/2021
30/06/2021

Address

44/A/1/2, Shapra Mosque, Azimpur
Dhaka
1205

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when IPharma posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram