28/09/2025
উচ্চ রক্তচাপ পর্ব-০২
অনেক সময় দেখা যায় প্রেসার মাপার জন্য কেউ দৌড়ে এসে সিরিয়াল দিচ্ছেন, কেউ সিড়ি দিয়ে নেমে আসছে্ন, কেউ শুয়ে শুয়ে প্রেসার মাপাচ্ছেন তো কেউ আবার যুক্তি-তর্ক করতে করতে প্রেসার মাপছেন। এতে করে কারো প্রেসার স্বাভাবিক আসে তো কারো প্রেসারে আবার বেশ-কম দেখা যায়। তখন নিজেরাই হাই-প্রেসার বা লো -প্রেসার হিসেবে চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী নির্দেশনা মানতে থাকেন। আর এতেই বাধে বিপত্তি! দেখা যায় যিনি সত্যিকার অর্থে উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন তিনি হয়তো অগোচরেই থেকে যাচ্ছেন। অন্যদিকে, যিনি ছিলেন স্বাভাবিক প্রেসারের, শুধুমাত্র ভুল ভাবে মাপার কারণে তিনি হয়ে গেলেন হাই-প্রেসারের রুগী!
আগের পর্বেই বলা হয়েছে উচ্চরক্তচাপ আপনাকে তার উপস্থিতির জানান দিবেই! হয়তো আপনিই লক্ষণ গুলো গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
লক্ষণঃ
১। অতিরিক্ত মাথাব্যথা
২। কোন কারণ ছাড়াই মাথায় চাপ ধরে থাকা
৩। চোখ ঝাপসা হয়ে আসা
৪। বুক ধরফর করা
৫। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
৬। বুকে চাপ বা ব্যথা
৭। নাক থেকে রক্ত পড়া
এসকল লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ব্লাড-প্রেসার মেপে দেখা উচিৎ। এখন কথা হলো আপনি প্রেসার কখন আর কিভাবে মাপবেন? দৌড়ে দৌড়ে? উত্তেজিত অবস্থায়? উহু...। এ দু'টি ক্ষেত্রেই নিঃসন্দেহে আপনার প্রেসার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি আসবে ।
প্রেসার মাপার নিয়ম-
১। মেশিনঃ
সঠিকভাবে প্রেসার মাপার জন্য সবসময় এনালগ মেশিন ব্যবহার করুন। ডিজিটাল মেশিন ব্যবহার করবেন না। একই এনালগ মেশিনে পর পর ৩ দিন একই সময়ে একই অভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছে ব্লাড প্রেসার মাপুন। যদি প্রতিবারই প্রেসার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি আসে তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন (বিশেষ করে Medicine specialist)।
২।প্রস্তুতিঃ
প্রেসার মাপার অন্তত ৩০ মিনিট আগে চা, কফি, ধূমপান বা ব্যায়াম করা যাবে না।মাপার আগে ৫ মিনিট শান্ত হয়ে বসতে হবে এবং এনালগ ব্লাড প্রেশার মেশিন ব্যবহার করলে হাতের কাফ সঠিকভাবে বসাতে হবে (কনুইয়ের ১–২ সেমি উপরে)।
৩।শরীরের ভঙ্গিঃ
প্রেসার মাপার ক্ষেত্রে শরীরের ভঙ্গীর দিকেই বিশেষ নজর দিতে হবে।
ক) সোজা হয়ে চেয়ারে বসতে হবে।
ক) পা দুটি মেঝেতে থাকবে, একটার উপর আরেকটা না তুলে।
গ) হাত টেবিলে রাখতে হবে, যেন কাফ হৃদপিণ্ডের সমান উচ্চতায় থাকে।
নিয়মিত প্রেসার মাপা ও রেকর্ড রাখা খুব জরুরি, কারণ এটি ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীকে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের অবস্থা বুঝতে সাহায্য করে।