Nutritionist Zohora Setara

Nutritionist Zohora Setara Balanced Nutrition for Better Living

Helping you make healthier choices through expert guidance, practical tips, and evidence-based nutrition.

28/09/2025

উচ্চ রক্তচাপ পর্ব-০২

অনেক সময় দেখা যায় প্রেসার মাপার জন্য কেউ দৌড়ে এসে সিরিয়াল দিচ্ছেন, কেউ সিড়ি দিয়ে নেমে আসছে্ন, কেউ শুয়ে শুয়ে প্রেসার মাপাচ্ছেন তো কেউ আবার যুক্তি-তর্ক করতে করতে প্রেসার মাপছেন। এতে করে কারো প্রেসার স্বাভাবিক আসে তো কারো প্রেসারে আবার বেশ-কম দেখা যায়। তখন নিজেরাই হাই-প্রেসার বা লো -প্রেসার হিসেবে চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী নির্দেশনা মানতে থাকেন। আর এতেই বাধে বিপত্তি! দেখা যায় যিনি সত্যিকার অর্থে উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন তিনি হয়তো অগোচরেই থেকে যাচ্ছেন। অন্যদিকে, যিনি ছিলেন স্বাভাবিক প্রেসারের, শুধুমাত্র ভুল ভাবে মাপার কারণে তিনি হয়ে গেলেন হাই-প্রেসারের রুগী!

আগের পর্বেই বলা হয়েছে উচ্চরক্তচাপ আপনাকে তার উপস্থিতির জানান দিবেই! হয়তো আপনিই লক্ষণ গুলো গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

লক্ষণঃ
১। অতিরিক্ত মাথাব্যথা
২। কোন কারণ ছাড়াই মাথায় চাপ ধরে থাকা
৩। চোখ ঝাপসা হয়ে আসা
৪। বুক ধরফর করা
৫। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
৬। বুকে চাপ বা ব্যথা
৭। নাক থেকে রক্ত পড়া

এসকল লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ব্লাড-প্রেসার মেপে দেখা উচিৎ। এখন কথা হলো আপনি প্রেসার কখন আর কিভাবে মাপবেন? দৌড়ে দৌড়ে? উত্তেজিত অবস্থায়? উহু...। এ দু'টি ক্ষেত্রেই নিঃসন্দেহে আপনার প্রেসার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি আসবে ।

প্রেসার মাপার নিয়ম-

১। মেশিনঃ
সঠিকভাবে প্রেসার মাপার জন্য সবসময় এনালগ মেশিন ব্যবহার করুন। ডিজিটাল মেশিন ব্যবহার করবেন না। একই এনালগ মেশিনে পর পর ৩ দিন একই সময়ে একই অভিজ্ঞ ব্যক্তির কাছে ব্লাড প্রেসার মাপুন। যদি প্রতিবারই প্রেসার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি আসে তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন (বিশেষ করে Medicine specialist)।

২।প্রস্তুতিঃ
প্রেসার মাপার অন্তত ৩০ মিনিট আগে চা, কফি, ধূমপান বা ব্যায়াম করা যাবে না।মাপার আগে ৫ মিনিট শান্ত হয়ে বসতে হবে এবং এনালগ ব্লাড প্রেশার মেশিন ব্যবহার করলে হাতের কাফ সঠিকভাবে বসাতে হবে (কনুইয়ের ১–২ সেমি উপরে)।

৩।শরীরের ভঙ্গিঃ

প্রেসার মাপার ক্ষেত্রে শরীরের ভঙ্গীর দিকেই বিশেষ নজর দিতে হবে।

ক) সোজা হয়ে চেয়ারে বসতে হবে।

ক) পা দুটি মেঝেতে থাকবে, একটার উপর আরেকটা না তুলে।

গ) হাত টেবিলে রাখতে হবে, যেন কাফ হৃদপিণ্ডের সমান উচ্চতায় থাকে।

নিয়মিত প্রেসার মাপা ও রেকর্ড রাখা খুব জরুরি, কারণ এটি ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীকে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের অবস্থা বুঝতে সাহায্য করে।





27/09/2025

উচ্চ রক্তচাপ পর্ব - ০১

আমরা অনেক সময়ই বলে থাকি উচ্চ রক্তচাপ হলো "নীরব ঘাতক" বা "Silent Killer". কিন্তু, কখনো কি ভেবে দেখেছি কেন একে নীরব ঘাতক বলা হয়? উচ্চ রক্তচাপ কি তার উপস্থিতির জানান দেয় না?

চলুন, একে নীরব ঘাতক বলার কিছু কারণ জেনে নেই।

১। অস্পষ্ট লক্ষণ
বেশিরভাগ মানুষের হাই ব্লাড প্রেসার থাকলেও শুরুতে কোনো স্পষ্ট উপসর্গ থাকে না। মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা বা ক্লান্তি মাঝে মাঝে হতে পারে, কিন্তু এগুলো অন্য অসুখের সঙ্গে মিশে যায়। তাই মানুষ বুঝতেই পারে না যে তার উচ্চ রক্তচাপ আছে।

২। ধীরে ধীরে ক্ষতি করে
দীর্ঘদিন নিয়ন্ত্রণে না থাকলে এটি শরীরের ভেতরে রক্তনালী, হৃদপিণ্ড, কিডনি ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে থাকে।

৩। হঠাৎ মারাত্মক জটিলতা ঘটায়
হাই ব্লাড প্রেসার স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিউর, কিডনি ফেইলিউর ইত্যাদির ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। যেহেতু আগাম সতর্ক সংকেত প্রায় থাকে না, তাই হঠাৎ গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়।

৪। অনেকেই টের পায় দেরিতে
অনেক মানুষ কেবল তখনই জানতে পারে যে তাদের হাই ব্লাড প্রেসার আছে, যখন তারা বড় কোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগে।

মনে রাখবেন, উচ্চরক্তচাপ তার উপস্থিতির জানান দিবেই। আপনিই হয়তো গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে আরও বিস্তারিত জানবো আমরা পরবর্তী পর্বগুলোতে...





#স্বাস্থ্যসচেতনতা

25/09/2025

প্রতিদিনের ব্যস্ততায় শরীর আর মনের যতটা ক্লান্তি জমে, তার সহজ সমাধান লুকিয়ে আছে কয়েক কদম হাঁটার মধ্যেই। জিমের সময় বা যন্ত্রপাতি না থাকলেও স্বাস্থ্যকর জীবনের পথ খুলে দিতে পারে এই একটুখানি হাঁটা।

হাটা শুধু সহজ ব্যায়াম নয়, এটি আমাদের শরীর ও মনের জন্য বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত একটি ওষুধের মতো কাজ করে।

হাঁটার বৈজ্ঞানিক উপকারিতা-

১। হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমায় – নিয়মিত brisk walking (দ্রুত হাঁটা) রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটলে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি প্রায় ২০–৩০% কমে।
(Harvard Health Publishing, 2017)

২। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক – হাঁটার ফলে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ে, ফলে রক্তে শর্করা কমে। বিশেষ করে খাবারের পর ১০–১৫ মিনিট হাঁটা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
(Diabetes Care, 2013)

৩। ওজন কমাতে সহায়ক – প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটা প্রায় ১৫০ ক্যালরি বার্ন করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
(Mayo Clinic, 2021)

৪। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো করে – হাঁটার সময় এন্ডোরফিন নামক "হ্যাপি হরমোন" নিঃসৃত হয়, যা স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমায়।
(American Psychological Association, 2019)

৫। হাড় ও পেশি মজবুত করে – হাঁটা একটি weight-bearing exercise, যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
(National Institute of Arthritis and Musculoskeletal and Skin Diseases, 2020)

৬। ঘুমের মান উন্নত করে – নিয়মিত সকালের হাঁটা ঘুমের মান ভালো করে এবং অনিদ্রা কমাতে সাহায্য করে।
(Sleep Health Journal, 2019)

৭। দীর্ঘায়ুতে সহায়ক – গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত হাঁটেন এমন মানুষদের মৃত্যুঝুঁকি তুলনায় ২০–৩০% কম।
(British Journal of Sports Medicine, 2018)

অতএব, স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ব্যয়বহুল কিছু নয়, দরকার কেবল কয়েক কদম হাঁটার অভ্যাস। প্রতিদিন হাঁটা শুরু করুন—আজকের ছোট পদক্ষেপই হতে পারে আগামী দিনের বড় সুরক্ষা।





হজমে সমস্যা?পাকস্থলির ৩ ভাগের ১ খালি রেখে খাবার খান। সহজ ভাবে বললে দাঁড়ায়- পাকস্থলির ৩ ভাগের ১ ভাগ খাবার দ্বারা পুর্ণ কর...
25/09/2025

হজমে সমস্যা?

পাকস্থলির ৩ ভাগের ১ খালি রেখে খাবার খান। সহজ ভাবে বললে দাঁড়ায়- পাকস্থলির ৩ ভাগের ১ ভাগ খাবার দ্বারা পুর্ণ করুন, ১ ভাগ তরল বা পানি দ্বারা আর ১ ভাগ জায়গা রাখুন শ্বাস-প্রশ্বাস ও হজমকার্যের জন্য।

অতিরিক্ত খাবার খেলে তা পাকস্থলীকে অনেক বড় করে ফেলে এবং পেটের দেয়ালে থাকা মেকানোরিসেপ্টর (stretch receptors) সক্রিয় হয়ে অতিরিক্ত চাপ, ব্যথা, অস্বস্তির জানান দেয়। এছাড়া, হজম প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায় এবং খাবার বেশি সময় ধরে পাকস্থলিতে এসিডের সংস্পর্শে থেকে অস্বস্তি তৈরি করে। এই বেশি সময় ধরে অন্ত্রে থাকায় সেখানে ব্যাকটেরিয়াল ফার্মেন্টেশন হয়ে গ্যাস ও ফোলাভাব হয়।

পরিমিত আহার নিয়ে এ কথা আজকে নতুন না। আজ থেকে প্রায় ১৪০০ বছর আগে আমাদের নবী (ﷺ) বলেছেন- পেটের এক তৃতীয়াংশ ভাগ আহারের জন্য, এক তৃতীয়াংশ ভাগ পানির জন্য আর এক তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য।

এছাড়া খনার বচনেও অতিভোজন নিয়ে বেশ কয়েকটি উক্তি পাওয়া যায়-

১। উনা ভাতে দুনা বল, অতি ভাতে রসাতল।
অর্থঃ অল্প পরিমাণে ভাত খেলে শক্তি পাওয়া যায়, কিন্তু অতিরিক্ত ভাত খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।

২।অধিক খেতে করে আশ, এর নাম বুদ্ধি নাশ।
অর্থঃ মাত্রারিক্ত খেলে বুদ্ধিনাশ ঘটে।

৩। আঁতে তিতা দাঁতে নুন, উদর ভরো তিন কোন।
অর্থঃ পাকস্থলির চার ভাগের এক ভাগ খালি রেখে খেতে হয়।

"Gut health is the key to overall health"- Kris Carr




#হজমসমস্যা
#খাদ্যাভ্যাস

23/09/2025

আপনার সামনেই হয়তো আপনার পরিবারের কোন সদস্য হঠাৎ করে মাথা ঘুরে পরে গেলেন। মাথায় অস্বস্তি বা চাপ অনুভব করছে বললেন। এরকম পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিলে অনেক সময় ব্যক্তি বড় ধরনের ক্ষতি সম্মুখীন হতে পারেন।

কিন্তু কথা হলো এভাবে মাথা ঘুরে পরে যাওয়ার তো অনেক কারণ থাকতে পারে। তাহলে কিভাবে বুঝবো কি জন্য পরে গেলেন? তাকে বসিয়ে বাংলা সিনেমার মতো ঝাকিয়ে ঝাকিয়ে "উত্তর দিন" "উত্তর দিন" বলতে থাকবো? মোটেও না !

প্রশ্ন করবো তবে সেই সাথে যিনি পরে গেলেন তার লক্ষণ গুলোও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যেমন-

Low sugar বা Hypoglycemia:
ব্যক্তির শরীর কাপবে, ঘাম হবে,দুর্বল বোধ করবেন, মাথা ঘুরাবে, চোখে ঝাপসা দেখবেন, কথা বলতে পারবেন না বা খুবই ধীরে বলবেন।

এরকম হলে তাকে নিরাপদ দুরুত্বে সরিয়ে এনে আগে চিনি/চকোলেট/ মধু/ পাকা ফল /ফলের রস কিংবা মিষ্টি কোন খাবার খেতে দিতে হবে যেন রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। খাওয়ার ১৫-২০ মিনিট পর রক্তের সুগার পরিমাপ করে দেখতে হবে স্বাভাবিক অবস্থায় এসেছে কিনা।

Low BP:
এক্ষেত্রে লক্ষণ অনেকটা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার মতোই। ঘাড় ব্যথা, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা অনুভব, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসা।

করণীয়- ব্যক্তির সাথে কথা বলতে থাকতে হবে এবং জেনে নিতে হবে
১। তিনি সকালে ( বা যে সময়ের ঘটনা সে সময়ে) কিছু খেয়েছেন কিনা।
২। প্রেশারের সমস্যা আছে কিনা।
যদি জানা থাকে যে তার নিম্ন রক্তচাপ বা Low Bp তাহলে সাথে সাথে কিছুটা লবণ খাইয়ে দিতে হবে। এছাড়া, ডিম, খেজুর, ডার্ক চকোলেট, স্যুপ, বাদাম খাওয়া যেতে পারে। ( তবে , Low BP নিশ্চিত না হয়ে লবণ খাওয়ানো যাবে না। প্রয়োজনে প্রেশার মেপে দেখতে হবে।)

উপরোক্ত ২ ক্ষেত্রেই ব্যক্তির সাথে কথা বলে অনেকটা জানা যাবে তার সুগার (ডায়াবেটিস) বা প্রেশার ( উচ্চ রক্ত চাপ/নিম্ন রক্তচাপ) এর সমস্যা আছে কিনা।

এছাড়াও আরও একটি কারণে মাথা ঘুরে পরে যেতে পারেন। সেটি হলো- "স্ট্রোক" । এই স্ট্রোক উচ্চরক্তচাপ নামক নীরব ঘাতকের কারণে হয়ে থাকে। (এব্যাপারে বিস্তারিত অন্য কোন পোস্টে জানবো।)

আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার সামনের ব্যক্তিটি স্ট্রোক করেছেন?
-
১। যিনি পরে গেলেন, তাকে দুই হাত সোজাসুজি মাথার উপরে উঠাতে বলবেন। যদি দেখেন তিনি হাত দু'টি সহজে বা ঠিকমতো উঠাতে পারছেন না তাহলে ধারণা করা যায় তিনি স্ট্রোক করেছেন।

২। তার সাথে কথা বলতে থাকুন এবং খেয়াল করুন তার কথা জড়িয়ে যাচ্ছে কিনা, কথাবার্তা অসংলগ্ন/ খাপছাড়া কিনা। কেউ কেউ আবার বাচ্চাদের মতো একই লাইন বারবার বলতে থাকেন। এটাও লক্ষ করার মতো বিষয় !

৩। তার দুই হাত দিয়ে আপনার দুই হাত হ্যান্ডশেক করার মতো করে ধরতে বলুন এবং সমান ভাবে চাপ দিতে বলুন। যদি তিনি চাপ প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হন তবে বুঝতে হবে তিনি স্ট্রোক করেছেন।

৪। তাকে ধরে হাটানোর চেষ্টা করতে হবে। যদি তার হাটা অসামঞ্জস্যপুর্ণ হয় তবে বুঝতে হবে তিনি স্ট্রোক করেছেন।

এছাড়া- মুখের এক পাশ অবশ হয়ে যাওয়া, দেহের যেকোন এক পাশ অবশ হয়ে যাওয়া স্ট্রোকের অন্যতম লক্ষণ। এসব লক্ষণ প্রকাশ পেলে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। স্ট্রোক করার ৩ ঘন্টার মাঝেই যদি রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া যায় তাহলে বড় কোন সমস্যা ছাড়াই এবং অল্প কিছুদিনের মাঝেই সুস্থ করে তোলা সম্ভব। দেরি হলে প্রাণনাশের আশংকা থাকে।

তাই, লক্ষণ গুলো সম্পর্কে নিজে জানুন, সচেতন থাকুন এবং আবশ্যক পরিস্থিতিতে দ্রুপ পদক্ষেপ নিন। আপনার নেওয়া একটি সঠিক সিদ্ধান্ত একজনের জীবন বাচানোর কারণ হতে পারে।





বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় গ্রীষ্মকালীন পানীয়গুলির মধ্যে অন্যতম হলো- আখের রস। এটি খুব সহজলভ্য এবং উপকারী একটি পানীয়। ...
21/09/2025

বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় গ্রীষ্মকালীন পানীয়গুলির মধ্যে অন্যতম হলো- আখের রস। এটি খুব সহজলভ্য এবং উপকারী একটি পানীয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, আখের রসের বিশ্বব্যাপী বাজার মূল্য 2021 সালে প্রায় 1,145 কোটি টাকা ছিল, যা 2028 সালে প্রায় 1,937 কোটি টাকা হবে বলে অনুমান করা হয়েছে।

কিন্তু, কেন এর এত জনপ্রিয়তা? হাজার হাজার কোমল পানীয়ের ভিড়ে আখের রসের এত চাহিদা কেন?

আখ (Saccharum officinarum) বা আখের রসে যেসকল পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় তার মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ক্রোমিয়াম, কোবল্ট, তামা, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও জিঙ্ক। এ ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন (সামান্য), আয়রন ও ভিটামিন এ, সি, বি১, বি২, বি৩, বি৫ ও বি৬।

শীর্ষ স্বাস্থ্য উপকারিতা–

ক্যান্সার প্রতিরোধ
আখের রসে উচ্চমাত্রার ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ ও ক্যালসিয়াম থাকার কারণে এটিকে ক্ষারীয় বলে মনে করা হয়। ক্যান্সারের মতো রোগ একটি ক্ষারীয় পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে না এবং গবেষণায় জানা গেছে—ক্যান্সার, বিশেষ করে প্রস্টেট এবং স্তন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষেত্রে এটি খুবই কার্যকর।

মূত্রবর্ধক গুণ
আখের রস শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ এবং টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। ফলস্বরূপ, কিডনিতে পাথর বা মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি কিডনির স্বাভাবিক কার্যকারিতায়ও অবদান রাখে। কেউ যদি মূত্রনালীর অভ্যন্তরে জ্বালাপোড়া অনুভব করেন, তাহলে আখের রস খেয়ে কিছুটা স্বস্তি লাভ করতে পারেন।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
আখ আমাদের শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস থাকলেও পরিমিত পরিমাণে আখের রস পান করা নিরাপদ। কেননা, আখে ফাইবার থাকে যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। এছাড়া রয়েছে প্রাকৃতিক মিষ্টি যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এতে ফ্যাটের পরিমাণ খুব কম।

লিভার ভাল রাখে
আখের রস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা লিভারের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে এবং হারানো প্রোটিন পুনরুদ্ধার করে বিলিরুবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। জন্ডিস হলে ব্যক্তিকে আখের রস দেওয়া উচিত। এটি লিভার সুস্থ রাখে এবং লিভারকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা
আখের রস অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েডের একটি চমৎকার উৎস। আখের রস পান করলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীর অন্যান্য রোগের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে।

ওজন কমায়
আখের মধ্যে থাকা ফাইবার ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরের বিপজ্জনক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হার্ট ভালো রাখে।

উজ্জ্বল ত্বক
গ্রীষ্মকালে কড়া রোদ এবং ঘামের কারণে ত্বক উজ্জ্বলতা হারায়। আখের রস ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। আখের রসে রয়েছে আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড (AHAs), যা ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে,দাগ দূর করে এবং শরীরের বিষাক্ত বা টক্সিক উপাদান পরিষ্কার করে।

শক্তহাড়
আখের রসে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন এবং পটাশিয়াম রয়েছে- এই সমস্ত উপাদান হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আখ চিবিয়ে খেলে দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

বার্ধক্যকে ধীর করে
ত্বককে যদি তরুণ, উজ্জ্বল এবং উজ্জ্বল দেখতে চান তবে খাবারে আখের রস রাখুন। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড, ফেনোলিক অ্যাসিড এবং গ্লাইকোলিক অ্যাসিড আপনার ত্বককে নরম ও চকচকে রাখতে সাহায্য করবে।

হজম শক্তির বৃদ্ধি
প্রচুর পটাশিয়াম থাকায় আখের রস পাকস্থলীর পিএইচ মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। পরিপাক রসের নিঃসরণ বৃদ্ধির পাশাপাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য হ্রাস করে। এর ফাইবারগুলো পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করে।

গর্ভাবস্থায় আখের রস
আখের রসে উপস্থিত ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জন্মগত স্নায়বিক ব্যাধিগুলোর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যেমন- স্পাইনা বিফিডা, মেরুদণ্ডের গঠনে জন্মগত ত্রুটি৷

পানিশুন্যতা রোধ
গরমে ঘামের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। গ্রীষ্মে নিয়মিত আখের রস পান করলে এই পানিশূন্যতা দূর হয়। আখে থাকা ম্যাংগানিজ, আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইট সরবরাহ করে থাকে।

ডায়াবেটিকস রোগি কি আখের রস খেতে পারবেন?
আখের রসের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI) কম হলেও গ্লাইসেমিক লোড (GL) বেশি। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের এটি পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিৎ (১০০-১৫০ মিলি এর বেশি নয়) । সরাসরি রস করে না খেয়ে আখ চিবিয়ে খাওয়াটা তাদের জন্য বেশি উপযোগি। এতে করে একবারে অনেক বেশি খাওয়া হবে না আবার হুট করে রক্তে সুগারও বাড়বে না। তবে হাইপোগ্লাইসেমিক হয়ে গেলে ব্লাড সুগার পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে আখের রস উপকারি ভুমিকা পালন করে।





07/09/2025

Ever been late for class during your internship? This video shows my hilarious struggle of rushing, running, and still ending up late! Relatable, funny, and a reminder of those chaotic internship moments.

Dietitian Naima Rubi আপু ❤️


Dietetics Department, SIBL Foundation Hospital & Diagnostic Center
SIBL Foundation Hospital & Diagnostic Center

শ্বাসকষ্ট (Dyspnea) অর্থাৎ শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি কোন গুরুতর স্বাস্থ্য ...
01/09/2025

শ্বাসকষ্ট (Dyspnea) অর্থাৎ শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা যা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি কোন গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণও হতে পারে।

শ্বাসকষ্টের সাধারণ কারণ

• অ্যাস্থমা: এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যাতে শ্বাসনালী সরু হয়ে যায় এবং শ্বাসকষ্ট হয়।
• COPD (Chronic Obstructive Pulmonary Disease): এটি ফুসফুসের একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ যাতে শ্বাসনালী এবং ফুসফুসের বাতাসের থলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
• প্লুরাল এফিউশন: ফুসফুসের চারপাশে তরল জমে যাওয়া।
• নিউমোনিয়া: ফুসফুসের সংক্রমণ।
• হৃদরোগ: হৃদযন্ত্রের সমস্যাও শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
• অ্যালার্জি: ধুলো, পরাগ, খাবার ইত্যাদির প্রতি অ্যালার্জি শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
• অ্যান্সাইটি এবং প্যানিক অ্যাটাক: মানসিক চাপের কারণেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

শ্বাসকষ্টের লক্ষণ

শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বুকে চাপ অনুভব করা, হাঁপানি, কাশি, বুকে ব্যথা, ঘড়ঘড় শব্দ করে শ্বাস টানা, দ্রুত শ্বাস, ঘাম, চোখ ঘোলা হয়ে যাওয়া।

শ্বাসকষ্টের ব্যবস্থাপনা

শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা এর কারণের উপর নির্ভর করে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কি কারণে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে তা নিরুপন করে এবং লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসক এর ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ করবেন। যেমন, কারণটি যদি হয়-

• অ্যাস্থমা: ইনহেলার বা ওষুধ নিতে হতে পারে এবং অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলতে হবে।
• COPD: ওষুধ, অক্সিজেন থেরাপি, পালমোনারি রিহ্যাবিলিটেশন এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।
• প্লুরাল এফিউশন: তরল নিষ্কাশন করতে হয়, ওষুধ নিতে হয়।
• নিউমোনিয়া: অ্যান্টিবায়োটিক, অক্সিজেন থেরাপি প্রয়োজন হয়ে থাকে।
• হৃদরোগ: হৃদরোগের চিকিৎসা করাতে হয়।
• অ্যালার্জি: অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলা, অ্যান্টিহিস্টামিন নিতে হয়।
• অ্যান্সাইটি এবং প্যানিক অ্যাটাক: কাউন্সেলিং প্রয়োজন হয় এবং কখনো কখনো ওষুধ নিতে হয়।

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন ?

১। যদি শ্বাসকষ্ট হঠাৎ করে শুরু হয় এবং তীব্র হয়।
২। যদি শ্বাসকষ্টের সাথে বুকে ব্যথা, চেতনা হারানো বা শ্বাসকষ্টের কারণে দৈনন্দিন কাজ করতে সমস্যা হয়।
৩। যদি শ্বাসকষ্ট দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং অন্যান্য চিকিৎসা করেও ভালো না হয়।

শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে করণীয়-

১। সাইট্রাস ফ্রুট শ্বাসকষ্টের জন্য খুব ভালো। তবে এ ধরনের ফল সকালে খালি পেটে না খেয়ে নাস্তার পর খাওয়াই ভালো।

২। কুষুম গরম পানি সারাদিন ধরে পান করলে দেহ হাইড্রেটেড থাকবে এবং এটি মিউকাস গুলো পাতলা হতে সাহায্য করবে।

৩। খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে একবারে বেশি না খেয়ে কিছুক্ষণ পর পর অল্প করে খাবার খাওয়া ভালো। এতেকরে ডায়াফ্রাম প্রসারণের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা পাবে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস সহজ হবে।

৪। রাতে বেশি ভারি খাবার খাওয়া উচিৎ না এবং বেশি দেরিতে খাওয়া ও উচিৎ না। কমপক্ষে ঘুমানোর ৩ ঘন্টা আগে খাওয়া ভালো। তাহলে সেটা এসিড রিফ্লেক্স প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৫। গ্যাস তৈরি করতে পারে এমন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

৬। স্কিম মিল্ক, হারবাল টি (আদা, লেমন গ্রাস, মিন্ট) বেশ ভালো রেগুলার দুধ চা থেকে।

৭। ফুসফুসের কার্যকারিতার জন্য পটাশিয়াম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই পটাশিয়াম আছে এমন খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।

৮। যেসব খাবার খাবে না- সাদা চালের ভাত, তেলে ভাজা খাবার, কেক, পেস্ট্রি, মিষ্টি, আইস্ক্রিম, চকোলেট, ময়দার তৈরি খাবার। মাঝে মাঝে কখনো খাওয়া হয়ে গেলে এর পর কুসুম গরম পানি পান করুন।

৯। ব্যায়াম ফুস্ফুসের মাসল রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে তবে এ সময় শবাসন এবং মকরাসন করা যাবে না। সোজা হয়ে বসে ব্রিদিং করতে পারে, উস্ট্রাসন, কোবরা, তাডাসন,এনুলোম-ভিলোম প্রণায়াম, কপালভাতি, গাওমুখাসান এ সকল ইয়োগা করতে পারেন।

১০। সঠিক রুটিন মেনে চলতে হবে এবং দুশ্চিন্তা কমাতে হবে।

১১। বুকে কফ জমে গেলে পেটে এবং গলায় হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া, সরিষার তেলে ১-২ টি কোয়া রসুন থেতলে দিয়ে তেলটি গরম করে বুকে মালিশ করলেও আরাম পাওয়া যেতে পারে।

১২। ধূমপান বন্ধ করতে হবে।

১৩। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে।

১৪। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।

১৫। অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলতে হবে, সরাসরি ফ্যান বা এসির নিচে থাকা উচিৎ না। তীব্র রোদও এড়িয়ে চলা উচিৎ।

শ্বাসকষ্ট পুরোপুরি ভালো হয় কিনা তা নির্ভর করে এর কারণের ওপর। কিছু কারণ থেকে সৃষ্ট শ্বাসকষ্ট নিরাময়যোগ্য হলেও, হাঁপানি বা অ্যাজমার মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ক্ষেত্রে এটি সম্পূর্ণভাবে নিরাময় হয় না। এক্ষেত্রে নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মাধ্যমে একে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

শ্বাসকষ্টের লক্ষণ দেখা দিলে এড়িয়ে না গিয়ে দ্রুতই চিকিৎসকের শ্বরণাপন্ন হোন। কারণ, অবহেলা থেকে দেখা দিতে পারে দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা।





#শ্বাসকষ্ট

খুব ক্রেভিং হচ্ছে? ঝাল ঝাল করে পাস্তা-পিজ্জা  কিংবা চকোলেটি পেস্ট্রির ডালা?একটু ফ্রেঞ্চফ্রাই হলেও বোধহয় মন্দ হয় না!কিন্ত...
26/08/2025

খুব ক্রেভিং হচ্ছে?
ঝাল ঝাল করে পাস্তা-পিজ্জা
কিংবা চকোলেটি পেস্ট্রির ডালা?
একটু ফ্রেঞ্চফ্রাই হলেও বোধহয় মন্দ হয় না!
কিন্তু জানেন কি?
এগুলোই উপসর্গ, আপনার দেহের গল্প
এবার ঘাটতি নিরসনের পালা....

আমাদের মস্তিষ্ক আমাদেরকে সব সময়ই সংকেত দিতে থাকে, জানাতে থাকে। হোক তা অনাগত বিপদের কথা কিংবা কোন পুষ্টির ঘাটতি। এই সংকেত গুলো এড়িয়ে যাবেন না....।

মনে রাখবেন- A stitch in time saves nine.

(Picture Collected)





রাতের নিস্তব্ধতায় আচমকা জাগরণঃ হঠাৎ ঝাঁকুনি কেন?রাত প্রায় দেড়টা... হঠাৎ করে ধরফরিয়ে উঠে বসলো মিলি। সারা শরীর ঘামে ভিজ...
20/08/2025

রাতের নিস্তব্ধতায় আচমকা জাগরণঃ হঠাৎ ঝাঁকুনি কেন?

রাত প্রায় দেড়টা... হঠাৎ করে ধরফরিয়ে উঠে বসলো মিলি। সারা শরীর ঘামে ভিজে চপচপে। দূর থেকে ভেসে আসছে ঘড়ির কাটার টিক টিক শব্দ, সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে লাগলো ভয়ের মাত্রা। আবারও একই স্বপ্ন...!

আজ ক’দিন ধরেই মিলি স্বপ্নে দেখছে ও কোন এক উচু পাহাড় থেকে পরে যাচ্ছে এবং সাথে সাথে কাপুনি দিয়ে ঘুম ভেঙ্গে যাচ্ছে। যেনো কোন বৈদ্যুতিক শক্ লাগলো শরীরে!

কী মনে হচ্ছে? কালো যাদু করা হয়েছে? কিংবা কোন জ্বীন-ভূতের আছর? চলুন জেনে নেই বিজ্ঞান কী বলে...।

আমাদের মস্তিষ্ক প্রধানত ২টি অংশে বিভক্ত। একটি ভাগ আমাদের জেগে থাকা ও অন্যান্য স্বাভাবিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে যা Reticular Activating System (RAS) নামে পরিচিত। মস্তিষ্কের সেরিব্রাল কর্টেক্সের একদম নীচে অবস্থান করে এবং এটি সঠিকভাবে কাজ করলে আমরা সচেতনতা অনুভব করি বা এলার্ট থাকি। মস্তিষ্কের অপর ভাগটি হলো Ventrolateral Preoptic Nucleus (VLPO)। এই অংশটি মস্তিষ্কের অপটিক নার্ভের একদম কাছে অবস্থান করে যার মূল কাজ আমাদের Sleep Cycle কে নিয়ন্ত্রণ করা। রাতে ঘুমাতে গেলে এই ২ অংশের মাঝে সংঘর্ষ বেধে যায়। VLPO চেষ্টা করে RAS কে নিয়ন্ত্রণ করে ব্যক্তিকে ঘুমাতে সাহায্য করতে, অন্যদিকে, RAS চেষ্টায় থাকে তাকে জাগিয়ে রাখতে। এমতাবস্থায়, মস্তিষ্ক কনফিউজড হয়ে মাংসপেশীতে বিভিন্ন রকম সিগন্যাল পাঠাতে থাকে। অর্থাৎ, misfire করে। ফলে ব্যক্তি ঘুমের মাঝে হঠাৎ করে কাপুঁনি অনুভব করে। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে- “হিপনিক জার্ক”।

হিপনিক জার্ক হলো মাংসপেশীর অনৈচ্ছিক টান যা ব্যক্তি আধো ঘুম আধো জাগরণ অবস্থায় তথা Hypnogenic State এ অনুভব করে।

লক্ষণঃ

১। দেহের অংশবিশেষ যেমন- হাত, পা কিংবা পুরো দেহে মৃদু কম্পন অনুভব।
২। হার্টবিট বেড়ে যাওয়া।
৩।ঘাম হওয়া।
৪।হ্যালুসিনেশন হওয়া। যেমন- হঠাৎ করে তীব্র আলোর ঝলকানি দেখা, কোন উচুঁ স্থান হতে পরে যেতে দেখা, কাউকে নিজের নাম ধরে ডাকতে শোনা, একাকী ঘরে কারো উপস্থিতি অনুভব করা, ডোরবেল বা ফোনের রিং শোনা ইত্যাদি হতে পারে।

এবার জানা যাক কারা আক্রান্ত হতে পারে-

হিপনিক জার্ক কোন জটিল রোগ নয়, বরং একটি স্বাভাবিক ঘটনা। গবেষণায় দেখা গেছে প্রায় ৭০% লোক জীবনে একবার হলেও এই ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন। তবে এর কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর রয়েছে।

রিস্ক ফ্যাক্টর:

১. অপর্যাপ্ত ঘুম- একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দৈনিক রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিৎ। অপর্যাপ্ত ঘুম মস্তিষ্কের সিগন্যালিং এ ব্যাঘাত ঘটায়।

২. দুশ্চিন্তা- দুশ্চিন্তার কারণে নামক স্ট্রেস হরমোনের নি:সরণ বেরে যায় যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় এবং হিপনিক জার্ক এর সম্ভাবনা বেরে যায়।

৩. মাত্রাতিরিক্ত ব্যায়াম- ব্যায়াম দেহকে সতেজ ও কর্মক্ষম রাখে, কিন্তু বিকালে বা ঘুমানোর আগমুহূর্তে অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে তা দীর্ঘক্ষণ দেহকে সজাগ রাখে। ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

৪. চা/ কফি- চা-কফিতে উপস্থিত ‘ক্যাফেইন’ মস্তিষ্ককে উদ্দীপত, উত্তেজিত করে তোলে। তাই অধিক মাত্রায় গ্রহণ করা উচিত নয়।

কারণ, লক্ষণ তো জানা হলো; কিন্তু এর চিকিৎসা কী? হিপনিক জার্ক কোন ব্যাধি নয় তাই এখানে রোগ নিরাময়ের কোন বিষয় নেই। তবে, জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনলে এর মাত্রা কমানো যায়।

প্রতিকারঃ

১. পর্যাপ্ত ঘুম এবং sleep cycle মেনে চলা।

২. দুশ্চিন্তা হ্রাস করা।

৩. নিয়মিত ইয়োগা, মেডিটেশন, কিংবা ব্যায়াম করা।

৪. Screen Time কমানো। ঘুমানোর অন্তত ১ ঘন্টা আগ থেকে টিভি, ফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদি ব্যবহার বন্ধ করা।

৫. ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করা।

৬. দৈনিক ৪০০ মি.গ্রা. এর বেশি চা বা কফি পান না করা।

৭. সুষম আহার গ্রহণ করা। বিশেষ করে, খাদ্য তালিকায় Ca, Mg, Zn পাওয়া যাবে এমন খাবার অন্তর্ভুক্ত করা।

হিপনিক জার্ক একটি সাধারণ সমস্যা, তবে যদি এটি অতিরিক্ত ঘটে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ভয় না পেয়ে, এই সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ান, নিয়মতান্ত্রিক জীবন-যাপন করুন, সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।





#ঘুমেরসময়ঝাকুনি
#ঘুমেররহস্য

মেন্টর ও ব্যাচমেটদের সাথে  কাটানো একটি বিশেষ দিন, কিছু বিশেষ মুহুর্ত...।   SIBL Foundation Hospital & Diagnostic Center
08/08/2025

মেন্টর ও ব্যাচমেটদের সাথে কাটানো একটি বিশেষ দিন, কিছু বিশেষ মুহুর্ত...।





SIBL Foundation Hospital & Diagnostic Center

উক্তিতে, কটুক্তিতেকিংবা নি:স্বার্থ যুক্তিতেআমায় মনে রেখেছে যারাসুখের চাদরে সর্বদা- মুড়ে থাক তারা.....
03/08/2025

উক্তিতে, কটুক্তিতে
কিংবা নি:স্বার্থ যুক্তিতে
আমায় মনে রেখেছে যারা
সুখের চাদরে সর্বদা-
মুড়ে থাক তারা.....


Address

Fulbaria

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nutritionist Zohora Setara posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Nutritionist Zohora Setara:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category