15/09/2024
বদনজর, জাদু ও জ্বীন আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহ—
প্রতিটা অসুস্থতা বা রোগের কিছু না কিছু আলামত থাকে। জ্বীনের আছর, জাদু, বদনজর, হাসাদ ও ওয়াসওয়াসা; এগুলোরও বিভিন্ন আলামত রয়েছে। এসব আলামত থেকে ব্যক্তির সমস্যাগুলো শনাক্ত করা যায়।
(সব লক্ষণ সবার সাথে সমানভাবে মিলতে হবে বিষয়টা তেমন নয়।এই লক্ষণগুলো ব্যক্তি ভেদে কম বেশি বা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। অভিজ্ঞ রাকী এক দুটি লক্ষণ দ্বারাও পুরো সমস্যা সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন )
⭕ বদনজর আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহ—
১। শরীরে জ্বর থাকা, কিন্তু থার্মোমিটারে না উঠা।
২। কোনো কারণ ছাড়াই কান্না আসা..
৩। প্রায়সময় কাজে মন না বসা, নামায যিকর ক্লাসে মন না বসা।
৪। প্রায়শই শরীর দুর্বল থাকা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব লাগা।
৫। চেহারা ধুসর/হলুদ হয়ে যাওয়া।
৬। বুক ধড়পড় করা, দমবন্ধ অস্বস্তি লাগা।
৭। অহেতুক মেজাজ বিগড়ে থাকা।
৮। আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের সাথে দেখা হলেই ভালো না লাগা।
৯। অতিরিক্ত চুল পড়া। শ্যাম্পুতে কাজ না করা।
১০। পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া।
১১। বিভিন্ন সব অসুখ লেগে থাকা, দীর্ঘদিন চিকিৎসাতেও ভালো হয় না। (সর্দিকাশি, মাথাব্যথা ইত্যাদি)
১২। হাত-পায়ে মাঝেমধ্যেই ব্যাথা করা, পুরো শরীরে ব্যাথা দৌড়ে বেড়ানো।
১৩। ব্যবসায় ঝামেলা লেগে থাকা।
১৪। যে কাজে অভিজ্ঞ সেটা করতে গেলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া।
১৫। স্বপ্নে উঁচু থেকে পড়ে যেতে দেখা, মৃত মানুষ দেখা। অথবা স্বপ্নে কাউকে মরে যেতে দেখা।
⭕ হাসাদগ্রস্থ হওয়ার লক্ষণসমূহ—
১/ তুলনামুলক বেশি গরম লাগা।
২/ বমি বমি ভাব
৩/ ওয়াসওয়াসা
৪/ দুঃস্বপ্ন দেখা।
৫/ বিভিন্ন বাঁধা
৬/ লালা মিশ্রিত কফ/শ্লেষ্মা
৭/ স্থিরহীন ব্যথা।
৮/ দীর্ঘশ্বাস ফেলা
৯/ শরীরে ফুসকুড়ি হওয়া।
১০/ দুশ্চিন্তা।
১১/ আনুগত্যের অভাব
১২/ জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা
১৩/ রক্তের বিভিন্ন সমস্যা হওয়া
⭕ জাদু আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহ--
১। চোখের অবস্থা অস্বাভাবিক বা অসুন্দর লাগা।
২। কোন কারণ ছাড়াই শরীর গরম থাকা।
৩। ব্যাকপেইন। বিশেষত মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যথা করা।
৪। (মহিলাদের ক্ষেত্রে) অনিয়মিত মাসিক (পুরুষদের ক্ষেত্রে) প্রস্রাবে ইনফেকশন এর সমস্যা।
৫। প্রায়সময় পেট ব্যথা থাকা।
৬। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করেও কোন রোগ ভালো না হওয়া।
৭। তীব্র মাথা ব্যথা, ঔষধ খেয়েও তেমন লাভ হয়না।
৮। হঠাৎ করে কারো প্রতি তীব্র ঘৃণা বা তীব্র ভালোলাগা অনুভব হওয়া।
৯। পরিবার, বাসা, সমাজের প্রতি তীব্র বিতৃষ্ণা থাকা।
১০। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত খুব অস্বস্তিতে ভুগা অথবা মেজাজ খারাপ থাকা।
১১। কোন কারণ ছাড়াই বাড়ি থেকে দৌড় দিয়ে বের হয়ে যেতে ইচ্ছা হওয়া।
১২। শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া।
১৩। ঠিকমত ঘুমাতে না পারা। ঘুমালেও ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা।
১৪। স্বপ্নে কোনো গাড়ি বা প্রাণিকে আক্রমণ করতে বা ধাওয়া করতে দেখা (যেমনঃ কুকুর, বিড়াল, গরু, মহিষ, বাঘ, সিংহ, সাপ)।
১৫। স্বপ্নে কোন ফাঁকা বাড়ি, মরুভূমি বা গোরস্থানে হাঁটাচলা করতে দেখা।
১৬। স্বপ্নে বিভিন্ন যায়গায় পানি দেখা (যেমন সাগর, নদী, পুকুর, ইত্যাদি)।
১৭। স্বপ্নে ঘনঘন কোথাও আগুন জ্বলতে বা কিছু পোড়াতে দেখা।
১৮। স্বপ্নে নিজেকে উড়তে দেখা বা কোন পাখি অথবা বড়বড় গাছ দেখা।
⭕ জ্বিনের আসরের লক্ষণসমূহঃ
(ক) জাগ্রত অবস্থায়ঃ
°°°°°°°°°°°°^^^°°°°°°°°°°°°°
০১) ইবাদত বিমূখতা। দিনদিন আল্লাহবিমূখ হওয়া। ইবাদত-বন্দেগীতে অনীহা।
০২) কুরআন তেলাওয়াত ও আযানে অস্বস্তি।
নিজে কুরআন তেলাওয়াত করতে গেলে বিভিন্নভাবে বাধাপ্রাপ্ত হওয়া।
০৩) জাগ্রত অবস্থায় স্বপ্নের মত অনেক কিছু দেখতে পাওয়া। অদৃশ্য কারো আওয়াজ শুনতে পাওয়া।
০৪) ভিন্নধর্ম ও ধর্মীয় কার্যকলাপের প্রতি আকর্ষণ (হঠাৎ)।
০৫) মহিলাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব, অস্বাভাবিক (কম বা বেশী) ঋতুস্রাব।
০৬) কিছুতেই কোনো কাজে মন না বসা। মনোযোগ বিক্ষিপ্ত।
০৭) সামান্যতেই রেগে যাওয়া, কান্নাকাটি করা। দুর্ব্যবহার করা, গালিগালাজ করা।
০৮) অনিয়ন্ত্রিত ও অস্বাভাবিক আচরণ।স্বভাব ও রুচিতে হঠাৎ ব্যাপক পরিবর্তন।
০৯) প্রচন্ড অলসতা, অবসন্নতা, দুশ্চিন্তা, হতাশা, অস্থিরতা, আতঙ্কভাব। শরীর ভারী ভারী লাগা।
১০) শরীরের কোনো অঙ্গে প্রচন্ড ব্যথা, প্যারালাইজড, কিন্তু চিকিৎসায় কাজ হচ্ছে না।
১১) সন্তান বুকের দুধ খেতে না চাওয়া। মা সন্তানকে দুধ খাওয়াতে না চাওয়া।
১২) টয়লেটে দীর্ঘ সময় ব্যয় করা। একা একা কারো সাথে কথা বলা।
১৩) হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়া, কোনো কারণ ছাড়াই।
১৪) হঠাৎ অজ্ঞান/বেহুশ হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট হওয়া।
১৫) বারবার বমি করতে থাকা। প্রচন্ড বমিবমি ভাব।
১৬) দীর্ঘস্থায়ী মাথা যন্ত্রণা/ব্যথা, ঔষধে কাজ না করা।
১৭) প্রচুর Hallucination হওয়া, Schizophrenia (সিজোফ্রেনিয়া)-তে আক্রান্ত হওয়া।
১৮) স্বামী+স্ত্রী উভয়ে সুস্থ হওয়া সত্বেও গর্ভধারণ না হওয়া।
১৯) মৃগীরোগ হওয়া।
২০) ঘাড়ে, কাঁধে, কোমরে ও পায়ের মাংশ পেশীতে ব্যাথা। শরীরে ব্যাথা দৌড়ে বেড়ানো।ইত্যাদি।
(খ) ঘুমন্ত অবস্থায়ঃ
°°°°°°°°°°°°^^^°°°°°°°°°°°°
০১) ভয়ানক স্বপ্ন দেখা, স্বপ্ন দেখে চমকে ওঠা।
০২) উদ্বিগ্নতা, নিদ্রাহীনতা। ঠিকঠাক ঘুম না হওয়া।
০৩) স্বপ্নে কোনো গোরস্থান, পরিত্যক্ত বা নির্জন কোনো জায়গা বারবার দেখা। নিজেকে সেখানে দেখা।
০৪) স্বপ্নে কুকুর, বিড়াল, বাঘ, সিংহ, সাপ ইত্যাদি কোনো হিংস্র প্রাণীকে আক্রমণ করতে বা ধাওয়া করতে দেখা।
০৫) ঘুমের মধ্যে কথাবার্তা বলা, চিৎকার করা, হসি-কান্না, গোঙানো।
০৬) ঘুমের মধ্যে কেউ চেপে ধরেছে এরকম অনুভূতি। নড়াচড়া করতে না পারা।
০৭) বিশেষ আকৃতির মানুষ দেখা। যেমনঃ বিশাল লম্বা, খুবই কালো, অনেক খাটো ইত্যাদি।
০৮) ঘুমের মধ্যে হাটাহাটি করা, দৌড়ানো।
০৯) স্বপ্নে নিঁজেকে উচু কোনো জায়গা থেকে পড়ে যেতে দেখা।
১০) যথেষ্ট বয়স হওয়া সত্বেও ছেলে/মেয়েদের বিছানায় প্রস্রাব করা (স্বপ্ন দেখে)। ইত্যাদি।
⭕ আশিক জ্বীন আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহ—
০১. প্রায় সময় মাথায় অশ্লীল চিন্তা ভাবনা আসা।
০২. একা থাকতে ভালো লাগা, আত্মীয়-স্বজন ও কারো সাথে দেখাসাক্ষাৎ ভালো না লাগা
০৩. অতিরিক্ত আয়না দেখা। বিশেষ করে রাতে এবং নিজেকে খুব সুন্দর লাগা।
০৪. ঘুমের মধ্যে কেউ চেপে ধরে মনে হওয়া
০৫. ফিজিক্যাল রিলেশন টাইপের স্বপ্ন দেখা।
০৬. ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরে লাল বা নখের আচরের দাগ দেখতে পাওয়া।
০৭. ছোট ছোট বাচ্চাদের কে স্বপ্ন দেখা।
০৮. স্বপ্নে নিজের/অন্যের বাচ্চা হতে দেখা
স্বপ্নে বাচ্চা নিয়ে খেলা করতে দেখা।
০৯. ঘুম থেকে উঠার পর লজ্জাস্থানে ব্যথা অনুভব করা।
১০. অতিরিক্ত প্রস্রাব ইনফেকশন হওয়া।
১১. বিপরীত লিঙ্গের প্রতি বিরক্তি লাগা কিংবা খুব বেশি আকর্ষণ ফিল করা।
১২. সুইসাইড বা আত্মহত্যা করার ইচ্ছা করা বা কল্পনা আসা।
১৩. ঘুম থেকে ওঠার পর পুরো শরীর ব্যথা লাগা বা ভারী লাগা।
১৪. কোনো কারণ ছাড়া বিবাহ করতে একদম-ই মন না চাওয়া।
১৫. বিবাহের কথা শুনলেই ভিতর থেকে কান্না আসা।
১৬. সবকিছু ঠিকঠাক হওয়া সত্ত্বেও বারবার বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া।
১৭. অনিয়মিত পিরিয়ড, পিরিয়ডের অতিরিক্ত ব্যথা।
১৮. স্বপ্নে পছন্দের মানুষ বা মাহরামকে কাছে আসতে দেখা।
১৯. অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হওয়া, হস্তমৈথুনে আসক্ত হয়ে যাওয়া।
২০. একা একা কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হওয়া বা ভালো লাগা।
২১. সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাওয়া, ব্রণ উঠা, অতিরিক্ত চুল পড়া। যাতে তার বিয়ে না হয়, পুরুষের দৃষ্টিতে অসুন্দর লাগে। কেননা আশিক জ্বীন তাকে একা পেতে চায়।
⭕ বিবাহ আটকে রাখার যাদুর লক্ষণসমূহ--
=======================
০১. বুকে তীব্র টান বা সংকীর্ণতা অনুভব করা, বিশেষ করে বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত।
০২. মাঝেমাঝে বা প্রায়শই মাথাব্যথা করা।
০৩. প্রস্তাব দাতাকে দেখতে কুৎসিত ও অপছন্দ লাগা।
০৪. অতিরিক্ত চিন্তা, মানসিক অশান্তি।
০৫. ঘুমের মধ্যে অস্থিরতা, স্বস্তি না পাওয়া।
০৬. মাঝেমাঝে বা প্রায় পেট ব্যথা করা।
০৭. পিঠের নিচে কোমরে বা মেরুদন্ডে ব্যথা হওয়া।
০৮. পেটের বিভিন্ন রোগ হওয়া, এটি হয় যদি যাদুটি খাওয়ানো বা পান করানোর মাধ্যমে হয়।
০৯. সাইনাসের সমস্যা হওয়া, এটি হয় যদি যাদুটি সিহর মাশমুম হয়।
১০. পা ও কোমরে বিভিন্ন সমস্যা হওয়া, এটি হয় যদি জাদুটি কোনো কিছু ছিটানোর মাধ্যমে করা হয়।
১১. সন্ধ্যা থেকে কষ্ট অনুভব করা এবং একাকিত্বতা ভালো লাগা।
১২. কোনো বা কিছু করতে গেলে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া।
১৩. অতিরিক্ত চুল পড়া, শ্যাম্পুতেও চুল পড়া বন্ধ না হওয়া।
১৪.দুর্বলতা এবং ওজন হ্রাস পাওয়া।
১৫. ডায়রিয়া বা দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য
১৬. অনিয়মিত ঋতুস্রাব, চিকিৎসা করে ব্যর্থ হওয়া।
১৭. প্রায়ই স্বপ্নে খেতে দেখা।
১৮. আশিক জ্বীনের কারণেও বিয়ে হতে দেরী হয় এবং বিয়ে হলে ভেঙ্গে যায় অনেক সময়, এর কয়েকটি লক্ষণ হচ্ছে - সবসময় মাথায় অশ্লীল চিন্তা ঘুরপাক করা, ফিজিক্যাল রিলেশন টাইপের স্বপ্ন দেখা।
⭕ বিবাহ বিচ্ছেদের যাদুর লক্ষণসমূহঃ
০১) সামান্য বিষয় নিয়েই উভয়ের মধ্যে ব্যপক মতানৈক্য ও ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হওয়া। যদিও অন্যদের সাথে এরকম হয় না।
০২) একজনের নিকট অপরজনের সকল কাজ-কর্মই অপছন্দ হওয়া।
০৩) হঠাৎ ভালবাসা থেকে শত্রুতায় পরিবর্তিত হওয়া।
০৪) পরস্পর ক্ষমা না চাওয়া ও ক্ষমা না করা।
০৫) উভয়ের মাঝে প্রচন্ড সন্দেহের সৃষ্টি হওয়া।
০৬) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজনের চেহারা অপরজনের চোখে বদলে যাওয়া।
০৭) একে অপরের ব্যবহৃত জিনিস ও বসার জায়গা অপছন্দ করা।
০৮) একে অপরের উপস্থিতি সহ্য করতে না পারা। সবসময় ভাল থাকে কিন্তু সঙ্গীর নিকট আসলেই গোলমাল শুরু। ইত্যাদি।
৯) ঘরের মধ্যে আসলেই অস্থিরতা অনুভব করা। ঘর থেকে বের হলেই ভালো লাগা।
⭕অসুস্থ বানানো বা হত্যা করার যাদুর লক্ষণসমূহঃ
০১) প্রচন্ড অসুস্থতা অথচ এগুলোর বেশিরভাগই মেডিকেল টেস্টে ধরা না পড়া।
০২) প্রচন্ড অরুচি, দিনদিন প্রচন্ড স্বাস্থ্যহানি ঘটা।
০৩) ঘনঘন খিঁচুনি হওয়া বা শরীর ঝাকুনি দেওয়া।
০৪) মাঝে মাঝে শরীর ঝাকুনি বা খিচুনী দিয়ে সেন্সলেস হয়ে যাওয়া।
০৫) শরীরে সবসময় ক্লান্তি ও প্রচুর অলসতা অনুভব করা।
০৬) প্রচুর দূর্বল লাগা, সবসময় শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করা, কোনো কাজ করতে ইচ্ছে না করা।
০৭) পঞ্চইন্দ্রীয়ের কোনো একটি দুর্বল বা অকেজো হয়ে যাওয়া।
০৮) শরীরের কোনো অঙ্গে প্রায়শই বা সর্বদা ব্যথা থাকা।
০৯) পুরো শরীর অশাড় বা নিশ্চল হয়ে যাওয়া।
১০) কোনো অঙ্গ একেবারে অচল হয়ে যাওয়া।
১১) প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়া, চিকিৎসা করেও ভালো না হওয়া।
১৩) হঠাৎ নানা রকম রোগব্যাধি তৈরি হওয়া।
⭕ গর্ভের সন্তান নষ্ট করার যাদুর লক্ষণসমূহঃ
🔸মানসিক অশান্তিতে থাকা, বিশেষত বিকেল থেকে মধ্যরাত
🔸একদমই কনসিভ না করা।
🔸কনসিভ করলেও বারবার মিসক্যারেজ হয়ে যাওয়া।
🔸মেরুদন্ডের নিচের দিকে কোমরের দিকে ব্যথা হওয়া ।
🔸ঘুমের মধ্যে অস্থিরতা, ঠিকমত ঘুম না হওয়া।
🔸বেশিবেশি মতিভ্রম হওয়া।
🔸 শর্ট টাইম মেমোরি লস বা প্রচুর পরিমাণে ভুলে যাওয়া।
🔸অনিয়মিত পিরিয়ড, পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্যথা।
🔸বুকের মধ্যে শক্ত বা ভারি অনুভূত হওয়া।
🔸 কখনও তলপেটে ব্যথা লাগা, শক্ত লাগা।
🔸 দিনদিন মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া।
🔸ভয়ংকর ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা।
🔸 স্বপ্নে বিভিন্ন খাবার খেতে দেখা।
🔸 অতিরিক্ত মাথা ব্যথা। ওষুধেও ভালো না হওয়া।
🔸 আসরের পর বা নির্দিষ্ট সময়ে প্রচন্ড ঘুম আসা বা অসুস্থবোধ করা।
🔸 কনসিভ করার সময়ে প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি হওয়া, বা ঘনিষ্ঠ হওয়ার ইচ্ছা করলে সামান্য কারণেই ঝগড়া বেধে যাওয়া।
🔸
এছাড়াও জাদু, জ্বীন ও আশিক জ্বীনের লক্ষণও থাকতে পারে। তাই সেগুলোও দেখে নিতে পারেন। স্বামীর সাথে মিলিত হলেই ব্লিডিং হওয়াও বন্ধাত্ব্য ও বিচ্ছেদের জাদুর লক্ষণ। যদিও এটা মূলত সহবাসে অক্ষমতার জাদুর লক্ষণ। কিন্তু এই জাদুটি সাধারণত বন্ধাত্ব্য বা বিচ্ছেদের জাদুর উদ্দেশ্যেই করা হয়ে থাকে।
জ্বীন জাদুর কারণে ওভারিয়ান সিস্ট, জরায়ু পলিপ, জরায়ু এবং ওভারিতে টিউমার ও ক্যান্সার হতে পারে। তাই অপারেশন করার আগেই সতর্ক হন। হরমোন সমস্যা, থায়রয়েড সহ বিভিন্ন ভয়ংকর রোগও হতে পারে। আপনার যদি এই সমস্যা গুলোর পাশাপাশি বাচ্চা না হওয়ার সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে রুকইয়াহ করে দেখুন প্যারানরমাল সমস্যা আছে কিনা।
⭕ ওয়াসওয়াসা-এর লক্ষণসমূহঃ
০১) অযু-গোসোল ও নামায (সালাত)-এর বিশুদ্ধতা নিয়ে বারবার সন্দেহ সৃষ্টি হওয়া। ঠিকভাবে সবকিছু হয়েছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ হওয়া।
০২) অযু-গোসোলের সময় এক অঙ্গ বারবার ধুইতে থাকা। ঠিকভাবে ধোয়া হল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ হওয়া।
০৩) নামায (সালাত)-এর রাকাত-সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হওয়া। বিভিন্ন আরকান সম্পর্কে দ্বিধা-দন্দ্বে পড়া।
০৪) বারবার অযু ভেঙ্গে যাওয়ার সন্দেহ হওয়া। বিশেষকরে নামাযের মধ্যে।
০৫) সর্বদা মাথায় অশ্লীল চিন্তা-ভাবনা আসা। পাপকাজের প্রতি আগ্রহবোধ করা।
০৬) আল্লাহ, রাসূল (সাঃ) ও ইসলামের ব্যাপারে মনের মধ্যে বারবার অবমাননাকর চিন্তা আসা।
০৭) শ্রদ্ধাভাজন কারো সামনে থাকলে মনের ভেতর থেকে বেয়াদবি করার জন্য উস্কানি অনুভূত হওয়া।
০৮) টয়লেটে বা গোসোলখানায় বিনা কারণে অতিরিক্ত সময় ব্যায় করা।
০৯) পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পরনের কাপড় নিয়ে সন্দেহ হওয়া।
১০) উদাসীনতা। কোনো কিছুই ভালো না লাগা। কাজ-কর্ম ও ইবাদত-বন্দেগীতে অমনোযোগী।
১১) বিনা কারণে সর্বদা চিন্তিত থাকা। বিভিন্ন অহেতুক চিন্তা মাথায় ঘুরাঘুরি করা। ইত্যাদি।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
✅লক্ষ্যনীয়ঃ
(০১) যাদুর লক্ষণগুলীর ক্ষেত্রে পাশাপাশি জ্বিনের আসরের লক্ষণও মিলিয়ে দেখা আবশ্যক।
(০২) উল্লেখিত লক্ষণসমূহ হতে ২/১ টা লক্ষণ এমনিতেই মিলে যেতে পারে।
তবে কিছু সমস্যা যা দীর্ঘদিন যাবত আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে। কিংবা মেডিকেল বা ডাক্তার দেখিয়ে কোনো সমাধান পাচ্ছেন না। সেসব সমস্যার জন্য কুরআনিক চিকিৎসা রুকাইয়াহ ও কাউন্সিলিং প্রয়োজন।
সরাসরি রুকইয়াহ ও হিজামা করতে এবং যেকোনো পরামর্শ পেতে পেইজের ইনবক্স বা হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে মেসেজ করুন -- +8801715212298
🌠সেন্টারের ঠিকানা🌿
▬▬▬▬▬▬▬▬▬
বনশ্রী, এম ব্লক, ৭ নং রোড, রামপুরা ,ঢাকা ( দক্ষিণ বনশ্রী পাওয়ার হাউজের পিছনে। যোগাযোগঃ- 01715212298
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ-
১/- যেকোনো স্থান থেকে প্রথমে রামপুরা ব্রিজ। এখান থেকে রিক্সাওয়ালাকে বললেই হবে যে দক্ষিণ বনশ্রী পাওয়ার হাউজের পিছনে উপরোক্ত ঠিকানায় যাবো। কিংবা রামপুরা ব্রিজ থেকে যেকোনো বাসে মেরাদিয়া হাট বা বাগানবাড়ি বাস স্ট্যান্ড এসে নামবেন। মেরাদিয়া হাট থেকে রিকসায় বা হেঁটে এবং বাগানবাড়ি বাস স্ট্যান্ড হেঁটে আসতে পারবেন।