Raqi Mufti Dilawar Hussain

Raqi Mufti Dilawar Hussain এপয়েটমেন্ট নিতে কমপক্ষে ৭ দিন আগে যোগাযোগ করুন হোয়াটসঅ্যাপে 01715212298

10/02/2025

কে জাদু করেছে বুঝার উপায়..

18/11/2024
04/11/2024

রুকইয়াহ কেইস হিস্ট্রি ও রিভিউ:
পেশেন্ট একজন মহিলা। সমস্যা শুরু হয় জুলাই মাসের প্রথম দিকে। পুরাতন এক পেশেন্টের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন তিনি। পেশেন্ট সমস্যা হলো- হঠাৎ একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখে বুকের ভেতর কেমন লাগছে, হতাশা লাগছে, কান্না করতে ইচ্ছে হতো, কান্না চেপে রাখতে না পেরে কান্নাও করেছে অনেক, ঠিকমতো ঘুম হয়না, বুকের মধ্যে যন্ত্রণা হয়, মনে হতো যেন কিছু বাসা বেঁধে আছে, বুক ভার ভার লাগতো, কেমন যেন জ্বলতো। বর্তমানে পেশেন্ট ৩ মাসের প্রেগন্যান্ট।

রুকইয়াহ'র পেশেন্টের যে যে ইফেক্ট হয়:
প্রথমে ১৫-২০ মিনিটের মতো পুরো শরীর চুলকানি হয়। তারপর রোগীর প্রচন্ড অস্থির লাগছিল, অনেক গরম লাগছিল, গরমে পুরো শরীর ঘেমে যায়, বারবার এসি চালু করার কথা বলছিল, অথচ এসি চালু ছিল! শরীরে শিরশির করছিল, কেমন জানি হাসি পাচ্ছিল, কতক্ষন পর শরীর খুব ঠান্ডা লাগছিলো। সবশেষে মোটামুটি স্বাভাবিক হয়ে যায়।

রুকইয়াহ শেষে পেশেন্ট বলেন- উনার কাছে খুবই ভালো লাগছে, শরীর হালকা লাগছে, বুকের ভেতর ভারী বা জ্বালা ভাব নেই, খুবই প্রশান্তি লাগছে।

তারপর সেলফ রুকইয়াহ সাজেশন দিয়ে বিদায় দিই। সমস্যা না হলে বাচ্চা হওয়ার পর যোগাযোগ করতে বলি। সাথে এটাও বলেই দেই যে, সমস্যা হলে যোগাযোগ করবেন এবং সমস্যা না হলেও বাচ্চা হওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে একবার আপডেট জানাবেন।

03/11/2024

কেইস হিস্ট্রি ও রিভিউ:

পেশেন্ট একজন মহিলা। মেডিকেল হিসাব রক্ষক হিসেবে জব করেন। বিয়ে হয়েছে তিন বছর। তিন বার কনসিভ হয়। প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিলে (রমজানে) কনসিভ হয় এবং কুরবানীর সময় নষ্ট হয়ে যায়। ৭ সপ্তাহের দিকে হার্টবিট চলে যায়। যখন কনসিভ হয় তখন পায়ের পাতা জ্বালাপোড়া করে এবং কোমর ব্যথা করে। যখন নষ্ট হয়ে যায়, হার্টবিট চলে যায় তখন ওই সময়টাতে প্রচন্ড কোমর ব্যথা হয়, গেমে অস্তির হয়ে যায়, পাঁচ-সাত মিনিট থাকে এরকম, তারপর সবকিছু নরমাল হয়ে যায়। কোনো ব্লিডিং হয়না, এরপর ওষুধ খেয়ে ক্লেয়ার করতে হয়।

মেডিকেল কোনো সমস্যা নেই, ডাক্তাররাও এর কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছে না এবং এর সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারছে না। ডাক্তাররা আইভিএফ করে বাচ্চা নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু তিনি আমার বললেন যে, নরমাল কনসিভ হয়ে এরকম হচ্ছে, তো আইভিএফ করলেও যে এরকম হতে পারে।

গতকাল ২ নভেম্বর এসেছিলেন ডায়াগনসিস রুকইয়াহ করার জন্য।
রুকইয়াহ ইফেক্ট-
প্রচন্ড গরম লাগছিল, গরমে ঘাম বের হচ্ছিল, মাথা ঘুরানো, ডান হাত অনবরত কাঁপছিল, বাম কাঁধে ব্যথা, পায়ে চাবানি কামরানি মত প্রচন্ড অস্বস্তি লাগা, মুখের বাম চোয়ালে প্রচন্ড ব্যথা। বাম হাত বাঁকা হয়ে যাচ্ছিল।

রুকইয়াহ শেষে সাথে সাথে এই সব ইফেক্ট চলে যায় ধীরে ধীরে। কারণ হচ্ছে রুকইয়াহ'র সাময়িক। সমস্যা থাকলে ইফেক্ট হবে, এবং রুকইয়াহ অফ করে দিলে কোনো ইফেক্ট বা সমস্যা থাকে না।

সুতরাং ডায়াগনসিসে স্পষ্ট হলো পেশেন্টের মূলত বাচ্চা না হওয়ার জাদুর সমস্যা রয়েছে।

03/10/2024

জ্বীন কি কয়

পূজা চলাকালীন সময়ে সতর্কতা!ভয়ংকর অক্টোবরপূজা চলাকালীন সময়ে দেখা যায় যে অনেকের সমস্যা বেড়ে যায়। শুধু যে পূজার সময়-...
28/09/2024

পূজা চলাকালীন সময়ে সতর্কতা!
ভয়ংকর অক্টোবর

পূজা চলাকালীন সময়ে দেখা যায় যে অনেকের সমস্যা বেড়ে যায়। শুধু যে পূজার সময়-ই সমস্যা বেড়ে যায় এরকম নয়, এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় রোগীদের সমস্যা বেড়ে যায়। যেমন অমাবস্যা, পূর্ণিমা, শনিবার ও মঙ্গলবার ইত্যাদি। ১৮ সেপ্টেম্বরে ২০২৪ বছরের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ ছিল, এসময় এক বোনের অবস্থা দেখুন—
আসসালামু আলাইকুম
কালকে চন্দ্রগ্রহণ ছিলো
দুপুরে হঠাৎ খুব অস্থিরতা বেড়ে যায় শ্বাসকষ্ট শুরু হয় আর খুব চিতকার দিয়ে কান্না আসে আর দৌড়ে বাহিরে চলে যেতে ইচ্ছা করছে
আজকে সন্ধ্যার পর শরীর একেবারে অসার হয়ে আসে একেবারে বিছানায় নিস্তেজ হয়ে যাই আর চিক্কার দিয়ে কান্না আসছে আর দৌড়ে বাহিরে চলে যেতে ইচ্ছা করছে। পরপর 2দিন এরকম হলো।

সামনে আসছে হিন্দুদের দূর্গা পূজা। আশ্বিন মাসে ১০ দিন ধরে চলে এই পূজা উৎসব। ২ অক্টোবর ২০২৪ থেকে মহালয়া দিয়ে শুরু হবে দূর্গা পূজা। শেষ হবে ১৩ অক্টোবর। একই মাসে ১৬ তারিখ আছে লক্ষ্মী পূজা এবং ৩১ অক্টোবর হিন্দুদের অন্যতম কালীপূজা। এ যেন ভয়ংকর অক্টোবর। মুফাসসিরগণ বলেন, হিন্দু ধর্মীয় দেবতা ও মূর্তির রূপ, গঠন ও বিবরণ অনুযায়ী বুঝা যায় এরা জিন ছিলো।

গতবছর দুর্গাপূজায় অনেক ভাই-বোনদের সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল। অনেক বোন অসুস্থতায় দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল, সহ্য করতে না পেরে তারা কাতরাচ্ছিলেন, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল ভয়ংকর শত্রুর মতো, সন্তানকে নিয়ে অনেক মা ছিলেন পেরেশান। পেজ-হোয়াটসঅ্যাপে একেরপর এক ম্যাসেজ আসছিল। ওই তিক্ততার রেশ এখনো বয়ে চলছেন কত ভাই-বোন।

জাদুকরদের বিশ্বাস যে, নির্দিষ্ট দিনে বা বিশেষ বিশেষ সময়, মূহুর্তে ও দিনক্ষণের গুরুত্ব রয়েছে। যাদুকররা সাধারণত পূজা, দিন, সময়, তারকা, অমাবস্যা,পূর্নিমা ও বিভিন্ন বিষয় কেন্দ্র করে যাদু করে থাকে। এর মধ্যে কিছু তাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

জাদু করতে হলে জ্বীনের সাহায্য নিতে হয়। কেউ সরাসরি ইবলিসের ইবাদাত করে، কেউ তার সহকর্মী, ইফরীত, মারিদ এবং সর্দার তথা গডফাদার টাইপের জ্বীনদের ইবাদাত বা পূজা করে, কেউ ইবলিসের ইবাদাত করলেও তার সহকর্মী ও অন্যান্য জ্বীনদের পূজা করার মাধ্যমেও সাহায্য নেয় জাদু করার জন্য। তাদের পূজা করে বা তাদের জন্য ভোগ ও বলি দিয়ে জাদুকরেরা জাদু করে।

ছোট বা কম শক্তিশালী জ্বীনরাও বড় শয়তানদের পূজা করে এবং তাদের কাছে সাহায্য কামনা করে। রুকইয়াহ'র অভিজ্ঞতায় দেখেছি প্রায় জ্বীনই অন্য শয়তান এবং ইবলিসের কাছে সাহায্য চায়। একবার জ্বীনের এক পেশেন্টকে রুকইয়াহ করার সময় দুপুরের দিকে জ্বীন পূর্ব দিকে সিজদা দিচ্ছিল এবং আসরের পরে পশ্চিম দিকে ফিরে সিজদা দিচ্ছিল।

এর মানে হচ্ছে হাদিসে আছে যে, সকালে সূর্যোদয়ের সময় পূর্ব দিকে শয়তান সূর্যের উপস্থিত হয় আর সন্ধ্যার পর পশ্চিম দিকে, যেন শয়তান পূজারীদের ইবাদত গ্রহণ করতে পারে। আর সাহায্য গ্রহণের জন্যই দুপুরের পূর্বে মূহূর্তে পূর্ব দিকে আর আসরের পর পশ্চিম দিকে সিজদা দিচ্ছিল। এখন চিন্তা করুন জ্বীন জাদু কতটা ভয়ংকর।

জাদুকররা মনে করে তাদের দেবতা নির্দিষ্ট দিনে আগমন করে, প্রার্থনা কবুল করে, চাহিদা পূরণ করে, কল্যাণ দান করে এবং খুশি হয়। ইত্যাদি। মনে করে যে, "পূজার দিনে তার দেবতাকে খুশি করা গেলে আগামী বছর এই সময় পর্যন্ত কল্যাণ ও শুভ বহাল থাকবে।"

দূর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা ও কালীপূজা হিন্দুদের পাশাপাশি জাদুকরদের নিকটেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য জাদুকররা হিন্দুদের পূজার সময়ে জ্বীন শয়তানদের অনেক বেশি পূজা করে এবং প্রচুর পরিমাণে জাদু নবায়ন করে। ফলে জ্বীন শয়তানরা অনেক বেশি সমস্যা করে। আর আর যত নিকৃষ্ট পাপকাজ এবং যত বেশি পূজা করা যায় জাদু ততই শক্তিশালী হয় এবং জটিলতা ও তততই বৃদ্ধি পায়।

এজন্যই দেখা যায়, হিন্দুদের পূজার সময়টায় রোগীদের সমস্যা অনেক বেশি বেড়ে যায়। পূর্বে যারা রোগী ছিলো, সুস্থ হয়েছে তারা আবারও অসুস্থ হয়ে যায়। তাই এ সময় গুলোতে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন জরুরি।

জাদু নবায়ন থেকে বাঁচতে ও পূজার সময় একজন মুমিনের করণীয় সম্পর্কে নিম্নে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলো:

১/ অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত নিয়মিত আদায় করুন। সম্ভব হলে প্রতিদিন বা মাঝেমধ্যে দুই রাকাত নফল আদায় করুন।

২/ হেফাজতের দৈনন্দিন মাসনুন আমল গুরুত্বের সাথে করবেন। অতিরিক্ত আয়াত ও দোয়াগুলো পড়তে পারলে আরো ভালো হবে।

৩/ মাগরিবের আগেই নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে নিন। যেন আজানের পর টয়লেটে যেতে না হয়।

৪/ মাগরিবের আগে প্রস্তুতি নিয়ে এসময় দোয়া করতে পারেন। এসময় দোয়া কবুল হয়।

৫/ আজানের সাথে সাথেই বা পূর্বে বিসমিল্লাহ দরজা জানালা বন্ধ করে দিন। কারণ এ সময় শয়তানরা বের হয়। প্রয়োজনে ২০-২৫ মিনিট পর খুলে দিতে পারবেন।

৬/ এ সময় বাচ্চাদের বাইরে বের হতে দিবেন না। কিছুদিন আগে একটা বাচ্চা রোগী নিয়ে তার পরিবার। মাগরিবের সময় একা বের হয়েছিল। হঠাৎ দেখে একটা মেয়ে, একটু দেখে নাই। এরপর থেকে ধীরে ধীরে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে গেছে।

৭/ হেফাজতের মাসনুন আমল গুলো নিজেরা করার পর বাচ্চাদের গায়েও ফুঁ দিয়ে দিবেন প্রতিদিন।

৮/ অন্য সময়ের তুলনায় রুকইয়াহ বাড়িয়ে দিন। রাতে ঘুমানোর সময় কানের কাছে রুকইয়াহ ছেড়ে/প্লে করে রাখুন।

৯/ সমস্যা বাড়ছে বা জাদু নবায়ন হয়েছে অনুভব করলে টানা ৩/৭/১৪ দিন অবস্থাভেদে জাদু নষ্টের গোসল করবেন। সাথে জাদুর রুকইয়াহ করবেন বা এর অডিও শুনবেন।

১০/ কখনও সমস্যা বেশি মনে হলে তখন-ই রুকইয়াহ করুন। সময় না থাকলে অন্তত সূরা ফালাক ও সূরা ইউনুস এর ৮১ নং আয়াতটি কয়েকবার তিলাওয়াত করুন।

১১/ এসময় স্বপ্নে প্রসাদ বা বিভিন্ন জিনিস খেতে দেখলে নিম্নোক্ত কাজগুলো করবেন–

ক) কিছু কালোজিরা নিবেন এতে "সুরা ইয়াসিন- ৯ এবং সুরা সাবা, ৪৭-৪৮ নাম্বার আয়াত" সাতবার করে পাঠ করে ফুঁ দিবেন এবং ঘুমানো আগে এক চিমটি কালোজিরা খেয়ে নিবেন।

খ) অলিভ অয়েলে ফুঁ দিয়ে লিপজলের মতো ঠোঁটে ব্যবহার করবেন ঘুমের সময়।

গ) আর সুরা ইয়াসিন এর ৯ নাম্বার আয়াতটা কয়েকবার পাঠ করবেন।

১২/ পূজা মণ্ডপের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আল্লাহ তায়ালার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবেন।

১৩/ পূজা মণ্ডপে গমন বা তাদের ঈশ্বরের জন্য বানানো খাবার গ্রহণ করবেন না। এটা হারাম।

শেষ পরামর্শ হচ্ছে–
এই সময় সমস্যা বৃদ্ধি পেলে বা জাদু নবায়ন হয়ে মনে করলে, স্বপ্নে প্রসাদ খেতে দেখলে, সিঁদুর, গরু বা মূর্তি দেখলে অথবা জিন জাদুর অন্যান্য লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত রুকইয়াহ শুরু করুন এবং সম্ভব হলে রাকির কাছে সরাসরি রুকইয়াহ করুন।

মুফতী দিলাওয়ার হুসাইন
সিনিয়র কনসালটেন্ট রাকি
সুন্নাহ কিউর
এপয়েন্টমেন্ট বুক করতে বা যেকোনো তথ্যের জন্য আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করুন। হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার— 01715-212298

বদনজর, জাদু ও জ্বীন আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহ—প্রতিটা অসুস্থতা বা রোগের কিছু না কিছু আলামত থাকে। জ্বীনের আছর, জাদু, বদনজ...
15/09/2024

বদনজর, জাদু ও জ্বীন আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহ—

প্রতিটা অসুস্থতা বা রোগের কিছু না কিছু আলামত থাকে। জ্বীনের আছর, জাদু, বদনজর, হাসাদ ও ওয়াসওয়াসা; এগুলোরও বিভিন্ন আলামত রয়েছে। এসব আলামত থেকে ব্যক্তির সমস্যাগুলো শনাক্ত করা যায়।

(সব লক্ষণ সবার সাথে সমানভাবে মিলতে হবে বিষয়টা তেমন নয়।এই লক্ষণগুলো ব্যক্তি ভেদে কম বেশি বা ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। অভিজ্ঞ রাকী এক দুটি লক্ষণ দ্বারাও পুরো সমস্যা সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন )

⭕ বদনজর আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহ—
১। শরীরে জ্বর থাকা, কিন্তু থার্মোমিটারে না উঠা।
২। কোনো কারণ ছাড়াই কান্না আসা..
৩। প্রায়সময় কাজে মন না বসা, নামায যিকর ক্লাসে মন না বসা।
৪। প্রায়শই শরীর দুর্বল থাকা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব লাগা।
৫। চেহারা ধুসর/হলুদ হয়ে যাওয়া।
৬। বুক ধড়পড় করা, দমবন্ধ অস্বস্তি লাগা।
৭। অহেতুক মেজাজ বিগড়ে থাকা।
৮। আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের সাথে দেখা হলেই ভালো না লাগা।
৯। অতিরিক্ত চুল পড়া। শ্যাম্পুতে কাজ না করা।
১০। পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া।
১১। বিভিন্ন সব অসুখ লেগে থাকা, দীর্ঘদিন চিকিৎসাতেও ভালো হয় না। (সর্দিকাশি, মাথাব্যথা ইত্যাদি)
১২। হাত-পায়ে মাঝেমধ্যেই ব্যাথা করা, পুরো শরীরে ব্যাথা দৌড়ে বেড়ানো।
১৩। ব্যবসায় ঝামেলা লেগে থাকা।
১৪। যে কাজে অভিজ্ঞ সেটা করতে গেলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া।
১৫। স্বপ্নে উঁচু থেকে পড়ে যেতে দেখা, মৃত মানুষ দেখা। অথবা স্বপ্নে কাউকে মরে যেতে দেখা।

⭕ হাসাদগ্রস্থ হওয়ার লক্ষণসমূহ—
১/ তুলনামুলক বেশি গরম লাগা।
২/ বমি বমি ভাব
৩/ ওয়াসওয়াসা
৪/ দুঃস্বপ্ন দেখা।
৫/ বিভিন্ন বাঁধা
৬/ লালা মিশ্রিত কফ/শ্লেষ্মা
৭/ স্থিরহীন ব্যথা।
৮/ দীর্ঘশ্বাস ফেলা
৯/ শরীরে ফুসকুড়ি হওয়া।
১০/ দুশ্চিন্তা।
১১/ আনুগত্যের অভাব
১২/ জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা
১৩/ রক্তের বিভিন্ন সমস্যা হওয়া

⭕ জাদু আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহ--
১। চোখের অবস্থা অস্বাভাবিক বা অসুন্দর লাগা।
২। কোন কারণ ছাড়াই শরীর গরম থাকা।
৩। ব্যাকপেইন। বিশেষত মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যথা করা।
৪। (মহিলাদের ক্ষেত্রে) অনিয়মিত মাসিক (পুরুষদের ক্ষেত্রে) প্রস্রাবে ইনফেকশন এর সমস্যা।
৫। প্রায়সময় পেট ব্যথা থাকা।
৬। দীর্ঘদিন চিকিৎসা করেও কোন রোগ ভালো না হওয়া।
৭। তীব্র মাথা ব্যথা, ঔষধ খেয়েও তেমন লাভ হয়না।
৮। হঠাৎ করে কারো প্রতি তীব্র ঘৃণা বা তীব্র ভালোলাগা অনুভব হওয়া।
৯। পরিবার, বাসা, সমাজের প্রতি তীব্র বিতৃষ্ণা থাকা।
১০। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত খুব অস্বস্তিতে ভুগা অথবা মেজাজ খারাপ থাকা।
১১। কোন কারণ ছাড়াই বাড়ি থেকে দৌড় দিয়ে বের হয়ে যেতে ইচ্ছা হওয়া।
১২। শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া।
১৩। ঠিকমত ঘুমাতে না পারা। ঘুমালেও ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা।
১৪। স্বপ্নে কোনো গাড়ি বা প্রাণিকে আক্রমণ করতে বা ধাওয়া করতে দেখা (যেমনঃ কুকুর, বিড়াল, গরু, মহিষ, বাঘ, সিংহ, সাপ)।
১৫। স্বপ্নে কোন ফাঁকা বাড়ি, মরুভূমি বা গোরস্থানে হাঁটাচলা করতে দেখা।
১৬। স্বপ্নে বিভিন্ন যায়গায় পানি দেখা (যেমন সাগর, নদী, পুকুর, ইত্যাদি)।
১৭। স্বপ্নে ঘনঘন কোথাও আগুন জ্বলতে বা কিছু পোড়াতে দেখা।
১৮। স্বপ্নে নিজেকে উড়তে দেখা বা কোন পাখি অথবা বড়বড় গাছ দেখা।

⭕ জ্বিনের আসরের লক্ষণসমূহঃ
(ক) জাগ্রত অবস্থায়ঃ
°°°°°°°°°°°°^^^°°°°°°°°°°°°°
০১) ইবাদত বিমূখতা। দিনদিন আল্লাহবিমূখ হওয়া। ইবাদত-বন্দেগীতে অনীহা।
০২) কুরআন তেলাওয়াত ও আযানে অস্বস্তি।
নিজে কুরআন তেলাওয়াত করতে গেলে বিভিন্নভাবে বাধাপ্রাপ্ত হওয়া।
০৩) জাগ্রত অবস্থায় স্বপ্নের মত অনেক কিছু দেখতে পাওয়া। অদৃশ্য কারো আওয়াজ শুনতে পাওয়া।
০৪) ভিন্নধর্ম ও ধর্মীয় কার্যকলাপের প্রতি আকর্ষণ (হঠাৎ)।
০৫) মহিলাদের অনিয়মিত ঋতুস্রাব, অস্বাভাবিক (কম বা বেশী) ঋতুস্রাব।
০৬) কিছুতেই কোনো কাজে মন না বসা। মনোযোগ বিক্ষিপ্ত।
০৭) সামান্যতেই রেগে যাওয়া, কান্নাকাটি করা। দুর্ব্যবহার করা, গালিগালাজ করা।
০৮) অনিয়ন্ত্রিত ও অস্বাভাবিক আচরণ।স্বভাব ও রুচিতে হঠাৎ ব্যাপক পরিবর্তন।
০৯) প্রচন্ড অলসতা, অবসন্নতা, দুশ্চিন্তা, হতাশা, অস্থিরতা, আতঙ্কভাব। শরীর ভারী ভারী লাগা।
১০) শরীরের কোনো অঙ্গে প্রচন্ড ব্যথা, প্যারালাইজড, কিন্তু চিকিৎসায় কাজ হচ্ছে না।
১১) সন্তান বুকের দুধ খেতে না চাওয়া। মা সন্তানকে দুধ খাওয়াতে না চাওয়া।
১২) টয়লেটে দীর্ঘ সময় ব্যয় করা। একা একা কারো সাথে কথা বলা।
১৩) হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়া, কোনো কারণ ছাড়াই।
১৪) হঠাৎ অজ্ঞান/বেহুশ হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট হওয়া।
১৫) বারবার বমি করতে থাকা। প্রচন্ড বমিবমি ভাব।
১৬) দীর্ঘস্থায়ী মাথা যন্ত্রণা/ব্যথা, ঔষধে কাজ না করা।
১৭) প্রচুর Hallucination হওয়া, Schizophrenia (সিজোফ্রেনিয়া)-তে আক্রান্ত হওয়া।
১৮) স্বামী+স্ত্রী উভয়ে সুস্থ হওয়া সত্বেও গর্ভধারণ না হওয়া।
১৯) মৃগীরোগ হওয়া।
২০) ঘাড়ে, কাঁধে, কোমরে ও পায়ের মাংশ পেশীতে ব্যাথা। শরীরে ব্যাথা দৌড়ে বেড়ানো।ইত্যাদি।

(খ) ঘুমন্ত অবস্থায়ঃ
°°°°°°°°°°°°^^^°°°°°°°°°°°°
০১) ভয়ানক স্বপ্ন দেখা, স্বপ্ন দেখে চমকে ওঠা।
০২) উদ্বিগ্নতা, নিদ্রাহীনতা। ঠিকঠাক ঘুম না হওয়া।
০৩) স্বপ্নে কোনো গোরস্থান, পরিত্যক্ত বা নির্জন কোনো জায়গা বারবার দেখা। নিজেকে সেখানে দেখা।
০৪) স্বপ্নে কুকুর, বিড়াল, বাঘ, সিংহ, সাপ ইত্যাদি কোনো হিংস্র প্রাণীকে আক্রমণ করতে বা ধাওয়া করতে দেখা।
০৫) ঘুমের মধ্যে কথাবার্তা বলা, চিৎকার করা, হসি-কান্না, গোঙানো।
০৬) ঘুমের মধ্যে কেউ চেপে ধরেছে এরকম অনুভূতি। নড়াচড়া করতে না পারা।
০৭) বিশেষ আকৃতির মানুষ দেখা। যেমনঃ বিশাল লম্বা, খুবই কালো, অনেক খাটো ইত্যাদি।
০৮) ঘুমের মধ্যে হাটাহাটি করা, দৌড়ানো।
০৯) স্বপ্নে নিঁজেকে উচু কোনো জায়গা থেকে পড়ে যেতে দেখা।
১০) যথেষ্ট বয়স হওয়া সত্বেও ছেলে/মেয়েদের বিছানায় প্রস্রাব করা (স্বপ্ন দেখে)। ইত্যাদি।

⭕ আশিক জ্বীন আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণসমূহ—
০১. প্রায় সময় মাথায় অশ্লীল চিন্তা ভাবনা আসা।
০২. একা থাকতে ভালো লাগা, আত্মীয়-স্বজন ও কারো সাথে দেখাসাক্ষাৎ ভালো না লাগা
০৩. অতিরিক্ত আয়না দেখা। বিশেষ করে রাতে এবং নিজেকে খুব সুন্দর লাগা।
০৪. ঘুমের মধ্যে কেউ চেপে ধরে মনে হওয়া
০৫. ফিজিক্যাল রিলেশন টাইপের স্বপ্ন দেখা।
০৬. ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরে লাল বা নখের আচরের দাগ দেখতে পাওয়া।
০৭. ছোট ছোট বাচ্চাদের কে স্বপ্ন দেখা।
০৮. স্বপ্নে নিজের/অন্যের বাচ্চা হতে দেখা
স্বপ্নে বাচ্চা নিয়ে খেলা করতে দেখা।
০৯. ঘুম থেকে উঠার পর লজ্জাস্থানে ব্যথা অনুভব করা।
১০. অতিরিক্ত প্রস্রাব ইনফেকশন হওয়া।
১১. বিপরীত লিঙ্গের প্রতি বিরক্তি লাগা কিংবা খুব বেশি আকর্ষণ ফিল করা।
১২. সুইসাইড বা আত্মহত্যা করার ইচ্ছা করা বা কল্পনা আসা।
১৩. ঘুম থেকে ওঠার পর পুরো শরীর ব্যথা লাগা বা ভারী লাগা।
১৪. কোনো কারণ ছাড়া বিবাহ করতে একদম-ই মন না চাওয়া।
১৫. বিবাহের কথা শুনলেই ভিতর থেকে কান্না আসা।
১৬. সবকিছু ঠিকঠাক হওয়া সত্ত্বেও বারবার বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া।
১৭. অনিয়মিত পিরিয়ড, পিরিয়ডের অতিরিক্ত ব্যথা।
১৮. স্বপ্নে পছন্দের মানুষ বা মাহরামকে কাছে আসতে দেখা।
১৯. অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হওয়া, হস্তমৈথুনে আসক্ত হয়ে যাওয়া।
২০. একা একা কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে হওয়া বা ভালো লাগা।
২১. সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাওয়া, ব্রণ উঠা, অতিরিক্ত চুল পড়া। যাতে তার বিয়ে না হয়, পুরুষের দৃষ্টিতে অসুন্দর লাগে। কেননা আশিক জ্বীন তাকে একা পেতে চায়।

⭕ বিবাহ আটকে রাখার যাদুর লক্ষণসমূহ--
=======================
০১. বুকে তীব্র টান বা সংকীর্ণতা অনুভব করা, বিশেষ করে বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত।
০২. মাঝেমাঝে বা প্রায়শই মাথাব্যথা করা।
০৩. প্রস্তাব দাতাকে দেখতে কুৎসিত ও অপছন্দ লাগা।
০৪. অতিরিক্ত চিন্তা, মানসিক অশান্তি।
০৫. ঘুমের মধ্যে অস্থিরতা, স্বস্তি না পাওয়া।
০৬. মাঝেমাঝে বা প্রায় পেট ব্যথা করা।
০৭. পিঠের নিচে কোমরে বা মেরুদন্ডে ব্যথা হওয়া।
০৮. পেটের বিভিন্ন রোগ হওয়া, এটি হয় যদি যাদুটি খাওয়ানো বা পান করানোর মাধ্যমে হয়।
০৯. সাইনাসের সমস্যা হওয়া, এটি হয় যদি যাদুটি সিহর মাশমুম হয়।
১০. পা ও কোমরে বিভিন্ন সমস্যা হওয়া, এটি হয় যদি জাদুটি কোনো কিছু ছিটানোর মাধ্যমে করা হয়।
১১. সন্ধ্যা থেকে কষ্ট অনুভব করা এবং একাকিত্বতা ভালো লাগা।
১২. কোনো বা কিছু করতে গেলে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া।
১৩. অতিরিক্ত চুল পড়া, শ্যাম্পুতেও চুল পড়া বন্ধ না হওয়া।
১৪.দুর্বলতা এবং ওজন হ্রাস পাওয়া।
১৫. ডায়রিয়া বা দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য
১৬. অনিয়মিত ঋতুস্রাব, চিকিৎসা করে ব্যর্থ হওয়া।
১৭. প্রায়ই স্বপ্নে খেতে দেখা।
১৮. আশিক জ্বীনের কারণেও বিয়ে হতে দেরী হয় এবং বিয়ে হলে ভেঙ্গে যায় অনেক সময়, এর কয়েকটি লক্ষণ হচ্ছে - সবসময় মাথায় অশ্লীল চিন্তা ঘুরপাক করা, ফিজিক্যাল রিলেশন টাইপের স্বপ্ন দেখা।

⭕ বিবাহ বিচ্ছেদের যাদুর লক্ষণসমূহঃ
০১) সামান্য বিষয় নিয়েই উভয়ের মধ্যে ব্যপক মতানৈক্য ও ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হওয়া। যদিও অন্যদের সাথে এরকম হয় না।
০২) একজনের নিকট অপরজনের সকল কাজ-কর্মই অপছন্দ হওয়া।
০৩) হঠাৎ ভালবাসা থেকে শত্রুতায় পরিবর্তিত হওয়া।
০৪) পরস্পর ক্ষমা না চাওয়া ও ক্ষমা না করা।
০৫) উভয়ের মাঝে প্রচন্ড সন্দেহের সৃষ্টি হওয়া।
০৬) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজনের চেহারা অপরজনের চোখে বদলে যাওয়া।
০৭) একে অপরের ব্যবহৃত জিনিস ও বসার জায়গা অপছন্দ করা।
০৮) একে অপরের উপস্থিতি সহ্য করতে না পারা। সবসময় ভাল থাকে কিন্তু সঙ্গীর নিকট আসলেই গোলমাল শুরু। ইত্যাদি।
৯) ঘরের মধ্যে আসলেই অস্থিরতা অনুভব করা। ঘর থেকে বের হলেই ভালো লাগা।

⭕অসুস্থ বানানো বা হত্যা করার যাদুর লক্ষণসমূহঃ
০১) প্রচন্ড অসুস্থতা অথচ এগুলোর বেশিরভাগই মেডিকেল টেস্টে ধরা না পড়া।
০২) প্রচন্ড অরুচি, দিনদিন প্রচন্ড স্বাস্থ্যহানি ঘটা।
০৩) ঘনঘন খিঁচুনি হওয়া বা শরীর ঝাকুনি দেওয়া।
০৪) মাঝে মাঝে শরীর ঝাকুনি বা খিচুনী দিয়ে সেন্সলেস হয়ে যাওয়া।
০৫) শরীরে সবসময় ক্লান্তি ও প্রচুর অলসতা অনুভব করা।
০৬) প্রচুর দূর্বল লাগা, সবসময় শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করা, কোনো কাজ করতে ইচ্ছে না করা।
০৭) পঞ্চইন্দ্রীয়ের কোনো একটি দুর্বল বা অকেজো হয়ে যাওয়া।
০৮) শরীরের কোনো অঙ্গে প্রায়শই বা সর্বদা ব্যথা থাকা।
০৯) পুরো শরীর অশাড় বা নিশ্চল হয়ে যাওয়া।
১০) কোনো অঙ্গ একেবারে অচল হয়ে যাওয়া।
১১) প্যারালাইসিস হয়ে যাওয়া, চিকিৎসা করেও ভালো না হওয়া।
১৩) হঠাৎ নানা রকম রোগব্যাধি তৈরি হ‌ওয়া।

⭕ গর্ভের সন্তান নষ্ট করার যাদুর লক্ষণসমূহঃ
🔸মানসিক অশান্তিতে থাকা, বিশেষত বিকেল থেকে মধ্যরাত
🔸একদমই কনসিভ না করা।
🔸কনসিভ করলেও বারবার মিসক্যারেজ হয়ে যাওয়া।
🔸মেরুদন্ডের নিচের দিকে কোমরের দিকে ব্যথা হওয়া ।
🔸ঘুমের মধ্যে অস্থিরতা, ঠিকমত ঘুম না হওয়া।
🔸বেশিবেশি মতিভ্রম হওয়া।
🔸 শর্ট টাইম মেমোরি লস বা প্রচুর পরিমাণে ভুলে যাওয়া।
🔸অনিয়মিত পিরিয়ড, পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত ব্যথা।
🔸বুকের মধ্যে শক্ত বা ভারি অনুভূত হওয়া।
🔸 কখনও তলপেটে ব্যথা লাগা, শক্ত লাগা।
🔸 দিনদিন মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া।
🔸ভয়ংকর ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা।
🔸 স্বপ্নে বিভিন্ন খাবার খেতে দেখা।
🔸 অতিরিক্ত মাথা ব্যথা। ওষুধেও ভালো না হওয়া।
🔸 আসরের পর বা নির্দিষ্ট সময়ে প্রচন্ড ঘুম আসা বা অসুস্থবোধ করা।
🔸 কনসিভ করার সময়ে প্রায়ই ঝগড়াঝাঁটি হওয়া, বা ঘনিষ্ঠ হওয়ার ইচ্ছা করলে সামান্য কারণেই ঝগড়া বেধে যাওয়া।
🔸

এছাড়াও জাদু, জ্বীন ও আশিক জ্বীনের লক্ষণও থাকতে পারে। তাই সেগুলোও দেখে নিতে পারেন। স্বামীর সাথে মিলিত হলেই ব্লিডিং হওয়াও বন্ধাত্ব্য ও বিচ্ছেদের জাদুর লক্ষণ। যদিও এটা মূলত সহবাসে অক্ষমতার জাদুর লক্ষণ। কিন্তু এই জাদুটি সাধারণত বন্ধাত্ব্য বা বিচ্ছেদের জাদুর উদ্দেশ্যেই করা হয়ে থাকে।

জ্বীন জাদুর কারণে ওভারিয়ান সিস্ট, জরায়ু পলিপ, জরায়ু এবং ওভারিতে টিউমার ও ক্যান্সার হতে পারে। তাই অপারেশন করার আগেই সতর্ক হন। হরমোন সমস্যা, থায়রয়েড সহ বিভিন্ন ভয়ংকর রোগও হতে পারে। আপনার যদি এই সমস্যা গুলোর পাশাপাশি বাচ্চা না হওয়ার সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে রুকইয়াহ করে দেখুন প্যারানরমাল সমস্যা আছে কিনা।

⭕ ওয়াসওয়াসা-এর লক্ষণসমূহঃ
০১) অযু-গোসোল ও নামায (সালাত)-এর বিশুদ্ধতা নিয়ে বারবার সন্দেহ সৃষ্টি হওয়া। ঠিকভাবে সবকিছু হয়েছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ হওয়া।
০২) অযু-গোসোলের সময় এক অঙ্গ বারবার ধুইতে থাকা। ঠিকভাবে ধোয়া হল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ হওয়া।
০৩) নামায (সালাত)-এর রাকাত-সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হওয়া। বিভিন্ন আরকান সম্পর্কে দ্বিধা-দন্দ্বে পড়া।
০৪) বারবার অযু ভেঙ্গে যাওয়ার সন্দেহ হওয়া। বিশেষকরে নামাযের মধ্যে।
০৫) সর্বদা মাথায় অশ্লীল চিন্তা-ভাবনা আসা। পাপকাজের প্রতি আগ্রহবোধ করা।
০৬) আল্লাহ, রাসূল (সাঃ) ও ইসলামের ব্যাপারে মনের মধ্যে বারবার অবমাননাকর চিন্তা আসা।
০৭) শ্রদ্ধাভাজন কারো সামনে থাকলে মনের ভেতর থেকে বেয়াদবি করার জন্য উস্কানি অনুভূত হওয়া।
০৮) টয়লেটে বা গোসোলখানায় বিনা কারণে অতিরিক্ত সময় ব্যায় করা।
০৯) পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পরনের কাপড় নিয়ে সন্দেহ হওয়া।
১০) উদাসীনতা। কোনো কিছুই ভালো না লাগা। কাজ-কর্ম ও ইবাদত-বন্দেগীতে অমনোযোগী।
১১) বিনা কারণে সর্বদা চিন্তিত থাকা। বিভিন্ন অহেতুক চিন্তা মাথায় ঘুরাঘুরি করা। ইত্যাদি।

▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬

✅লক্ষ্যনীয়ঃ
(০১) যাদুর লক্ষণগুলীর ক্ষেত্রে পাশাপাশি জ্বিনের আসরের লক্ষণও মিলিয়ে দেখা আবশ্যক।

(০২) উল্লেখিত লক্ষণসমূহ হতে ২/১ টা লক্ষণ এমনিতেই মিলে যেতে পারে।
তবে কিছু সমস্যা যা দীর্ঘদিন যাবত আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে। কিংবা মেডিকেল বা ডাক্তার দেখিয়ে কোনো সমাধান পাচ্ছেন না। সেসব সমস্যার জন্য কুরআনিক চিকিৎসা রুকাইয়াহ ও কাউন্সিলিং প্রয়োজন।

সরাসরি রুকইয়াহ ও হিজামা করতে এবং যেকোনো পরামর্শ পেতে পেইজের ইনবক্স বা হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে মেসেজ করুন -- +8801715212298

🌠সেন্টারের ঠিকানা🌿
▬▬▬▬▬▬▬▬▬
বনশ্রী, এম ব্লক, ৭ নং রোড, রামপুরা ,ঢাকা ( দক্ষিণ বনশ্রী পাওয়ার হাউজের পিছনে। যোগাযোগঃ- 01715212298

যাতায়াত ব্যবস্থাঃ-
১/- যেকোনো স্থান থেকে প্রথমে রামপুরা ব্রিজ। এখান থেকে রিক্সাওয়ালাকে বললেই হবে যে দক্ষিণ বনশ্রী পাওয়ার হাউজের পিছনে উপরোক্ত ঠিকানায় যাবো। কিংবা রামপুরা ব্রিজ থেকে যেকোনো বাসে মেরাদিয়া হাট বা বাগানবাড়ি বাস স্ট্যান্ড এসে নামবেন। মেরাদিয়া হাট থেকে রিকসায় বা হেঁটে এবং বাগানবাড়ি বাস স্ট্যান্ড হেঁটে আসতে পারবেন।

09/09/2024

বর্তমানে আরো একটা কমন সমস্যা হচ্ছে - গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়া, মিসক্যারেজ হয়ে যাওয়া।

চারদিন আগে একজন পেশেন্ট আসছিলেন, বিয়ে হয়েছে ৬ বছর হয়েছে। কিন্তু বাচ্চা হচ্ছে না। মেডিকেল চিকিৎসা করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।

অবশেষে শিডিউল নিয়ে এসেছিলেন রুকইয়াহ ডায়াগনোসিস করার জন্য। রুকইয়াহ'তে স্পষ্ট ই বোঝা যায় যে, তার বাচ্চা না হওয়া বা বন্ধ্যাত্বের জাদুর সমস্যা আছে।

রুকইয়াহ করার সময় পেশেন্টের অনেক ইফেক্ট হয়। যেমন-
প্রচুর কান্না আসা, মাথা ব্যথা ও ধরে যাওয়া, ঘাড়, পিঠ ও কোমর ব্যথা করা, অস্থির লাগা, মাথা ঘুরানো, হাত ও শরীর কাঁপতে থাকা, শরীর গরম লাগা ও বুক ধড়ফড় করা।

আপনার যদি বারবার মিসক্যারেজ হয়, মেডিকেল কোনো সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও কনসিভ না হওয়া, কিংবা মেডিক্যাল সমস্যা থাকলেও চিকিৎসা করেও ভালো না হওয়া এবং কনসিভ না করা- এরকম সমস্যা থাকে তাহলে একবার ডায়াগনসিস রুকইয়াহ করে দেখা উচিত।

08/09/2024

জ্বীন কে অধিক পরিমাণে শাস্তি দিতে সূরা যিলযাল, হুমাযাহ, ফীল ও সূরা লাহাব বেশি বেশি পড়ুন।

29/08/2024

জ্বীন কষ্ট সহ্য করতে না পেরে হিজামা থেরাপিস্টের নামে মা'ম'লা দিতে চায়। জ্বীন বলে, তোর নামে মা'ম'লা দিমু 😀😀

13/08/2024

উক্বাদ বা গিঁট কি? উক্বাদ নষ্টের জন্য কিভাবে রুকইয়াহ করবেন।

উক্বাদ হচ্ছে জ্বীন শয়তান ও জাদুকরের নিকৃষ্ট ফুঁৎকার। যা রোগীর শরীরে নির্দিষ্ট স্থানকে আক্রান্ত করে এবং তা কঠিন প্রস্তর পদার্থে পরিণত হয়। এর ফলে রোগীর শরীরে ব্যথা এবং বেদনাদায়ক জৈবিক, শারীরিক ও মানসিক উপসর্গ দেখা দেয়। ফলে প্রাকৃতিক কোনো চিকিৎসা তার কাজে আসেনা।

গিঁট রোগীর সুস্থতা কে জটিল করে তোলে। এর জন্য অনেকের সমস্যা থাকা সত্ত্বেও রুকইয়াহ'র সময় কোনো ইফেক্ট হয় না। জ্বীন কে সুরক্ষিত করে। যতক্ষণ গিঁট থাকে ততক্ষণ জ্বীন যেতে চায় না। গিটের কারণে জ্বীন শরীরে শক্তিশালী হয়ে অবস্থান করে, জ্বীনের কষ্ট কম হয় এবং সে যেতে চায় না।

একজন রোগীর সুস্থতার প্রথম এবং প্রধান করণীয় হচ্ছে গিঁট নষ্ট করা। আর গিঁট নষ্ট করা কোনো সহজ বিষয় না। দূর্বল গিঁট গুলো সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। কখনও শুধু রুকইয়াহ তিলাওয়াতের দ্বারাই নষ্ট হয়ে যায়। তবে শক্তিশালী গিঁট গুলোর একেকটা নষ্ট করতে অনেক সময় আধা ঘন্টারও বেশী সময় লাগে। বরং কখনো আরো বেশি সময় লাগে।

গিঁট নষ্ট করার জন্য রুকইয়াহ
আপনার শরীরের যেখানে ব্যথা, গরম লাগা, জ্বালাপোড়া, চুলকানি, পিঁপড়ার হাঁটা ইত্যাদি অনুভব করেন, সেসব স্থানে হাত রেখে নিম্নোক্ত আয়াত গুলো পড়ে রুকইয়াহ করুন। প্রতিদিন আধা ঘন্টা বা যতটুকু সম্ভব আরো বেশি সময় ধরে সকাল বিকাল দুই তিন বার রুকইয়াহ করবেন। পাঠ করার মাঝেমধ্যে আক্রান্ত স্থানে ফুঁ দিবেন বা হাতে থুতু মিশ্রিত ফুঁ দিয়ে উক্ত জায়গায় মালিশ করে দিবেন।

সম্ভব হলে নিজে এভাবে রুকইয়াহ করার পাশাপাশি পরিবারের কাউকে দিয়ে রুকইয়াহ করাবেন। কলম বা শক্ত কাঠি দিয়ে চাপ বা প্রেশার দিয়ে রুকইয়াহ করতে বলবেন। কলম বা কিছুর মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করে রুকইয়াহ করা গিঁট নষ্টের জন্য খুবই জরুরী এবং কার্যকারী।

গিঁট নষ্টের সংক্ষিপ্ত রুকইয়াহ আয়াত

সূরা বাকারা ১৬৬ নং আয়াত
إِذْ تَبَرَّأَ الَّذِينَ اتُّبِعُوا مِنَ الَّذِينَ اتَّبَعُوا وَرَأَوُا الْعَذَابَ "وَتَقَطَّعَتْ بِهِمُ الْأَسْبَابُ" (166)

সূরা দাহর ৬ নং আয়াত
عَيْنًا يَشْرَبُ بِهَا عِبَادُ اللَّهِ "يُفَجِّرُونَهَا تَفْجِيرًا" (6)

সূরা মু'মিন ৭১ নং আয়াত
إِذِ الْأَغْلَالُ فِي أَعْنَاقِهِمْ وَالسَّلَاسِلُ "يُسْحَبُونَ" (71)

সূরা ত্বা-হা ২৫-২৮ নং আয়াত
قَالَ رَبِّ ٱشۡرَحۡ لِي صَدۡرِي (25) وَيَسِّرۡ لِيٓ أَمۡرِي (26) "وَٱحۡلُلۡ عُقۡدَةٗ" مِّن لِّسَانِي (27) يَفۡقَهُواْ قَوۡلِي (28)

সূরা ফালাক
قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلۡفَلَقِ (1) مِن شَرِّ مَا خَلَقَ (2) وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ (3) "وَمِن شَرِّ ٱلنَّفَّٰثَٰتِ فِي ٱلۡعُقَدِ" (4) وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ (5)

বিঃদ্রঃ- " " এই চিহ্নিত অংশ গুলো বেশি বেশি বা রিপিট করে পড়বেন।

লেখাঃ মুফতী দিলাওয়ার হুসাইন
সিনিয়র কনসালটেন্ট রাকি এবং সিইও
সুন্নাহ কিউর
১৩/০৮/২৪ ইং

Address

Dhaka

Telephone

+8801715212298

Website

http://www.sunnahcurebd.com/

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Raqi Mufti Dilawar Hussain posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Raqi Mufti Dilawar Hussain:

Share