26/11/2024
কখন, কেন সম্পূর্ণ হাটু প্রতিস্থাপন /Total Knee Replacement করা হয় এবং এর উপকারিতা
---
কখন এবং কেন Total Knee Replacement করা হয়?
টোটাল নি রিপ্লেসমেন্ট (Total Knee Replacement) মূলত হাঁটুর কার্টিলেজ সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হলে এবং এটি দৈনন্দিন কাজ যেমন হাঁটাহাঁটি, সিঁড়ি বেয়ে ওঠা বা ঘুমানোর সময় ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ালে করা হয়। এটি প্রধানত নিচের কারণে প্রয়োজন হতে পারে:
অস্টিওআর্থ্রাইটিস: এটি সবচেয়ে সাধারণ কারণ। অস্টিওআর্থ্রাইটিসের কারণে হাঁটুর কার্টিলেজ ক্ষয় হয়ে যায়, ফলে হাঁটা বা নড়াচড়ায় ব্যথা হয়।
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস: এই রোগে হাঁটুর জয়েন্টে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, যা জয়েন্টের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
পোস্ট-ট্রমাটিক আর্থ্রাইটিস: আগের কোনো আঘাতের পর হাঁটুর জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে এটি আর্থ্রাইটিসে পরিণত হতে পারে।
---
কি কারণে Total Knee Replacement করা উচিত?
নিচের উপসর্গ বা সমস্যাগুলো থাকলে টোটাল নি রিপ্লেসমেন্ট করার কথা ভাবা যেতে পারে:
1. হাঁটুর ব্যথা এতটাই গুরুতর হলে যে এটি দৈনন্দিন কাজকে বাধাগ্রস্ত করে।
2. হাঁটুর জয়েন্ট বিকৃতি (যেমন: হাঁটু ভিতরের দিকে বা বাইরের দিকে বেঁকে যাওয়া)।
3. হাঁটু শক্ত হয়ে গেলে এবং নড়াচড়ায় সমস্যা সৃষ্টি করলে।
4. অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি যেমন ওষুধ, ইনজেকশন বা ফিজিওথেরাপি কাজ না করলে।
5. হাঁটুর এমন অবস্থা হলে যে ব্যথা দিন দিন বাড়ছে এবং জীবনের মান খারাপ করছে।
Total Knee Replacement করলে কি লাভ হবে?
টোটাল নি রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি করলে রোগী নিম্নলিখিত উপকার পেতে পারেন:
হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি।
চলাফেরা এবং দৈনন্দিন কাজ সহজতর হওয়া।
হাঁটার সময় ভারসাম্য বজায় রাখা সহজ হবে।
রোগীর জীবনের মান উন্নত হবে এবং দৈনন্দিন কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাস ফিরে আসবে।
সার্জারির পর রোগীরা সাধারণত কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন। তবে পুরোপুরি উপকার পেতে নিয়মিত রিহ্যাবিলিটেশন এবং ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Total Knee Replacement / সম্পূর্ণ হাটু প্রতিস্থাপন /টোটাল নি রিপ্লেসমেন্ট হলো একটি কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি, যা হাঁটুর দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। যদি আপনার বা আপনার পরিচিত কারও এই সার্জারির প্রয়োজন হয়, তাহলে যোগাযোগ করতে পারেন।
ধন্যবাদ।
ডা. ও জেড এম দস্তগীর
সিনিয়র কনসালটেন্ট
অর্থোপেডিক, ট্রমা ও স্পাইন সার্জন
চেম্বার : রুম নং ৫১৩, ৫ম তলা, ভবন নং ১, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ধানমণ্ডি ২,ঢাকা।