14/12/2023
ধ্বজভঙ্গ এবং দ্রুত বীর্যপাতে হোমিওপ্যাথি-
বর্তমানে আমাদের দেশে যৌন দুর্বলতা খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরুষদের যৌন মিলনের সঠিক জ্ঞান এর অভাবেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দ্রুত বীর্যপাত এবং ধ্বজভঙ্গ রোগ তৈরি হয়। এক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে পুরুষরাই বেশি দুর্বল। পুরুষের সম্পূর্ণরূপে যৌন উত্তেজনা না হওয়াকেই ধ্বজভঙ্গ বা ইম্পোটেন্সি বলে। আর এই ধ্বজভঙ্গের অনেকগুলো কারণ রয়েছে। সফল যৌন মিলনে নারীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শৃঙ্গারের অভাবে বা স্ত্রীর সক্রিয়তার অভাবে স্ত্রীর চরম পুলক নাও হতে পারে। তবে একে পুরুষের দ্রুত বীর্যপাত বলে না। সফল যৌন মিলনের জন্য প্রয়োজন স্ত্রীর সাথে সফল শৃঙ্গার। শৃঙ্গার এর অভাবে নারীর প্রস্তুতিই হয় না। নারীর যৌন অঙ্গের প্রতিটি স্তর মিলনের জন্য পূর্ণরূপে উপযোগী হয় না। নারীর যৌনাঙ্গ উত্তেজনার রসক্ষরণে পূর্ণরূপে সিক্ত হয় না ও পিচ্ছিল হয় না ।
পুরুষ সদা প্রস্তুত। অল্পক্ষণের মধ্যেই তাহার বীর্যপাত হতে পারে। কিন্তু নারীর চরম পুলকের জন্য পুরুষাঙ্গ প্রবেশের পূর্বে স্ত্রীর আঙ্গিক উত্তেজনা প্রয়োজন। পুরুষের উত্তেজনা সৃষ্টি হয় মনে। কিন্তু নারীর উত্তেজনার সৃষ্টি হয় দেহস্পর্শে। তাই দেহে প্রচুর উত্তেজনা চরম পুলকের প্রস্তুতির জন্য অবশ্যই প্রয়োজন। যদি এই শৃঙ্গার সফলভাবে হয় তবে স্বামীর ২/৩ মিনিট রতিকাল স্ত্রীর চরমপুলকের জন্য যথেষ্ট। তাই শৃঙ্গার এক তরফা হলে চলবে না। যদি স্ত্রী নিজে শৃঙ্গারের সময় অংশ গ্রহণ করে তবে খুবই সহজ হয়।
এ ছাড়া, শৃঙ্গারের পরে স্ত্রী উপরে, স্বামী নিচে এই অবস্থায় যদি স্ত্রী সক্রিয়ভাবে তাহার অঙ্গ চালনা করে তবে এক হতে দুই মিনিটের মধ্যেই তাহার চরম পুলক হতে পারে। অথবা সামনা-সামনি বসা অবস্থায়ও যদি সক্রিয় অংশ নেয় তবে সহজে চরম পুলক হয়।
স্ত্রীর ভগাঙ্কুরের সহনশীলতার বিষয়ে স্বামীকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শেষ পর্যায় ব্যতীত, বিরতি দেওয়ার পর্যায়ে কখনও সে যেন জোরে জোরে এবং সম্পূর্ণ অঙ্গ চালনা না করে। এই বিষযয়ে নারীর চরম পুলক কিভাবে হয় তা নিচে আলোচনা করছি…..
নারীর চরম পুলক কিভাবে হয় ?
যোনি পথের নিচের প্রান্তও সংবেদনশীল, কিন্তু ভগাঙ্কুর হতে অপেক্ষাকৃত কম। যদি যৌন অঙ্গ দ্বারা যোনিপথ মৃদু মৃদু ঘর্ষণ হয় তবে ভঙ্গাঙ্কুর ক্রমেই চরম পুলক লাভের জন্য তৈরি হয়। এভাবে যদি দীর্ঘক্ষণ মৃদুমৃদু ঘর্ষণ অব্যাহত থাকে বা কিছুক্ষণ মৃদু ঘর্ষণের পর ,কয়েকবার বিরতি দেওয়া হয় তবে শেষ দিকে মাত্র কিছুক্ষণ সজোরে ঘর্ষণ করলে সহজে চরম পুলক হয়ে থাকে। অথবা যোনিপথে প্রথম থেকে সজোরে ঘর্ষণ হতে থাকে এবং একই ভাবে চলতে থাকে তাহলেও সহজে ভঙ্গাঙ্কুরে চরম পুলক হয়ে থাকে। কিন্তু যদি সঙ্গমের প্রথম দিকে বা মাঝখানে কখনও যোনিপথে সজোরে ঘর্ষণ করে পরে মাত্রা কমিয়ে দেওয়া হয় তবে ভগাঙ্কুরের চরম পুলকের পথে যে অগ্রগতি হয়েছিল তা পিছিয়ে যাবে। পূর্বের সমান অগ্রগতির জন্য পূর্বের চেয়ে আরও সজোরে ঘর্ষণ দরকার হবে। এভাবে যদি কয়েকবার সজোরে ঘর্ষণ হয়ে পুনরায় স্থগিত থাকে তবে ভঙ্গাঙ্কুরের এমন একটি অবস্থার সৃষ্টি হবে যাকে অতিক্রম করে চরম পুলক হওয়া কষ্টকর হবে। একে স্নায়ুর রেজিষ্টেন্স অবস্থা বলা হয়। এটা হলো স্পর্শসুখের বিরুদ্ধে স্নায়ুর সহনশীলতা। আঙ্গুল দিয়ে ভঙ্গাঙ্কুরে উত্তেজনা দেওয়ার সময়ও একই ব্যাপার ঘটে থাকে। পুরুষাঙ্গ সম্পর্কেও একই কথা প্রযোজ্য। যদি প্রথম থেকে মৃদু মৃদু ঘর্ষণ হয় এবং কিছুক্ষণ পর পর বিরতি হয় তবে কার্পাস ক্যাভারনোসামে ক্রমেই অধিক রক্ত সঞ্চয় হইতে থাকে। পুরুষের উপরোক্ত রেজিষ্টেন্স অবস্থা স্ত্রীলোকের চরম পুলকের জন্য সহায়ক। কিন্তু স্ত্রীলোকের বেলায় রেজিষ্টেন্স, চরম পুলকের জন্য কাম্য নয়। মৃদু ঘর্ষণের বিরতিতে নারীর মধ্যে যে সামান্য রেজিষ্টেন্স তৈরি হয় তাতে অসুবিধা নেই বরং সজোরে ঘর্ষণের পর বিরতিতে যে শক্ত রেজিষ্টেন্স তৈরি হয় তা চরম পুলকে বাধা সৃষ্টি করে।
আংশিক পুরুষত্বহীনতা ও ধ্বজভঙ্গ-
উত্তেজনা হওয়ার পর স্থায়ী না থাকার নাম আংশিক পুরুষত্বহীনতা। অঙ্গ মোটেই দৃঢ় না হওয়ার নাম পুরুষত্বহীনতা বা ধ্বজভঙ্গ।
অল্প সময়ের ব্যবধানে বার বার স্ত্রী সঙ্গম হলে কিছুক্ষণের জন্য আংশিক পুরুষত্বহীনতা হতে পারে। এমনকি প্রথম দিকে সফলভাবে অঙ্গচালনার পরে মাঝ পথেও এমন হতে পারে। সর্বাঙ্গীণ ও স্নায়ুর অত্যধিক ক্লান্তিতেও এটা হতে পারে।
অবচেতন মনে হীনমন্যতার সৃষ্টি হওয়া-
সাধারণত অধিক মিলনের সময় বারবার দ্রুত বীর্যপাত হলে নিজের মনে একটা ধারণা বদ্ধমূল হয়ে যায় যে. প্রকৃতপক্ষে তার যৌন ক্ষমতা দুর্বল, অথচ তার বারবার দ্রুত বীর্যপাতের প্রকৃত কারণ ছিল দুর্নামের ভয়, গর্ভ হওয়ার ভয় ইত্যাদি। প্রথম ছিল ভয়, ভয় হতে দ্রুত বীর্যপাত, দ্রুত বীর্যপাত হতে সক্ষম হতে না পারার ভীতি, এই যৌন ভীতি হতে আরও দ্রুত বীর্যপাত। তাই তার নিজের উপর অবিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়। এটা যদি বহুদিন যাবত চলতে থাকে এবং এই ভয় মনটাকে অনেকখানি গ্রাস করে তবে ঐ অবস্থায় আংশিক পুরুষত্বহীনতা দেখা দিতে পারে। ক্ষুদ্র পুরুষাঙ্গ ও স্ত্রীর বিরাট দেহের চিন্তায়ও এমন হতে পারে।
আবার অবৈধ মিলন, স্বপ্নদোষ, হস্তমৈথুন, ঘোলাটে বা সাদা প্রস্রাব, মলত্যাগ ও প্রস্রাবের সাথে প্রোস্টেট ফ্লুইড নিঃসরণ ইত্যাদি কারণে মনে দীর্ঘদিন যাবত যদি যৌন আতঙ্ক চলতে থাকে এবং তা মনকে আংশিক গ্রাস করে ফেলে তবে তাতেও আংশিক পুরুষত্বহীনতা দেখা দিতে পারে।
উপরোক্ত কারণগুলো ছাড়াও বাল্য ও যৌবনকালে মনের উপর কোনও নিষেধ প্রভাব যথা- সঙ্গম করা একটি বিশ্রী ও ঘৃণিত কাজ ইত্যাদ যদি সম্পূর্ণ মনকে গ্রাস করে থাকে তবে পূর্ণ পুরুষত্বহীনতা বা ধ্বজভঙ্গ দেখা দিবে।
রোগের কারণ নির্ণয়-
যদি হঠাৎ ধ্বজভঙ্গ বা পুরুষত্বহীনতা দেখা দেয় তবে বুঝতে হবে যে, তা সাময়িক দেহ ও মনের ক্লান্তিজনিত। যদি ধীরে ধীরে দেখা দিয়ে থাকে তবে জানতে হবে যে বিগত দিনে তার যৌন অভ্যাস কি রকম ছিল। যদি অত্যধিক রতিক্রিয়ার ইতিহাস পাওয়া যায় তবে সেটাও সাময়িক মানসিক ক্লান্তি জনিত। যদি পূর্বে অত্যধিক স্বপ্নদোষ, হস্তমৈথুন ইত্যাদির ইতিহাস থাকে এবং কখনও স্ত্রীর সহিত সফল রতিক্রিয়া করতে না পেরে থাকে অথবা বিবাহের পূর্বে বা পরে অবৈধ মিলনের অভ্যাস থাকে এবং দীর্ঘদিন ধরে দ্রুত বীর্যপাত হয়ে থাকে তবে উভয় ক্ষেত্রেই যৌনহীনমন্যতা হতে আংশিক পুরুষত্বহীনতার সৃষ্টি হয়েছে বুঝতে হবে। অথবা রোগীর মধ্যে অত্যধিক মানসিক দুশ্চিন্তার কারণ পাওয়া যেতে পারে। বহুদিনের পুরাতন গনোরিয়া রোগ থাকতে পারে।
জৈবিক কারণ-
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, কিছুসংখ্যক জৈবিক বা শারীরিক কারণে দ্রুত বীর্যপাত ঘটতে পারে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে-
হরমোনের অস্বাভাবিক মাত্রা।
মস্তিষ্কের রাসায়নিক উপাদান বা নিউরোট্রান্সমিটারের অস্বাভাবিক মাত্রা।
বীর্যস্খলনে অস্বাভাবিক ক্রিয়া।
থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা।
প্রোস্টেট অথবা মূত্রনালীর প্রদাহ ও সংক্রামণ।
ব্যবস্থাপনা-
মন থেকে যাবতীয় যৌন ভীতি বা চিন্তা ভাবনা দূর করতে হবে।
বীর্য কি, এর কাজ কি, কিভাবে তৈরি হয় এবং এর সাথে শরীরের প্রকৃত সম্পর্ক কি ইত্যাদি রোগীকে ভালভাবে বুঝাতে হবে। যৌন বিষয়ে যাবতীয় তথ্য ভালভাবে জানতে হবে, এ বিষয়ে নিজে পড়াশুনা করিয়া জেনে নিলে সব থেকে ভালো হয়। এতে চিন্তাগুলো দ্রুত দূরীভূত হয়ে যৌনহীনমন্যতা দূর হবে।
যদি পূর্বে যৌন ক্ষমতা স্বাভাবিক থাকে তবে তা সাময়িক দৈহিক ও মানসিক ক্লান্তিজনিত বলে কিছুদিনের জন্য যৌনক্রিয়া বন্ধ রেখে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে। ঐ সময় দুধ, মাংস, ঘি ও মাখন পরিমিত খেতে হবে। তবে যদি ইতিমধ্যে তাকে যৌন চিন্তায় পেয়ে থাকে তবে মনের আতঙ্ক দূর না করা পর্যন্ত বিশ্রাম ও উত্তম খাদ্যে ফল হবে না। আগে মনোবল বৃদ্ধি করতে হবে।
যদি অল্প কিছু দিনের জন্য হয়ে থাকে তবে মানসিক কারণ কিভাবে হীনমন্যতার সৃষ্টি করে তা তাকে বিশদভাবে বুঝাতে হবে। তবেই ক্রমে ক্রমে হীনমন্যতার প্রভাব কেটে গিয়ে স্বাভাবিক যৌনতা ফিরে আসবে।
গনোরিয়া ও সিফিলিস জনিত অথবা অন্য কোন ইনফেকশন হলে উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে হইবে।
পঞ্চাশের বেশি বয়স্কদের মধ্যে সাধারণত মানসিক দুশ্চিন্তা প্রধান কারণ হয়ে থাকে। তাদেরকে মানসিক কারণগুলি বুঝিয়ে দিতে হবে। কেননা সকলের ক্ষেত্রেই যে পঞ্চাশের পরে যৌন ক্ষমতা কমে যাবে এমনটা নয়। যেহেতু পুরুষের যৌনশক্তি মনের উপর নির্ভর করে তাই মনে যাদের চিরবসন্ত তাদের কোন ঔষধই দরকার হয় না।
সাইকোথেরাপি-
এটা হলো কাউন্সেলিং বা আপনার যৌনসমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের সাথে বিস্তারিত কথা বলা ও পরামর্শ গ্রহণ করা। এ ধরনের কথা বলায় আপনার দুশ্চিন্তা কমবে এবং সমস্যার উন্নতি ঘটবে। অনেক দম্পতির ক্ষেত্রে শুধু সাইকোথেরাপির মাধ্যমে ভালো ফল পাওয়া গেছে।
হোমিওপ্যাথি লক্ষন ভিত্তিক চিকিৎসা ব্যাবস্থা, তাই সব রোগীর লক্ষন এক রকম থাকে না, লক্ষন অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে, তা হলে উপকার হবে, নিন্মে কিছু লক্ষন ও ঔষধের নাম দেওয়া হলো, আপনি লক্ষন মিলিয়ে সেবন করবেন, তবে ঔষধের মানও ভালো হতে হবে। ভালো মানের ঔষধ সেবন করলে আল্লাহর রহমতে নিশ্চিত সুফল পাবেন।
চিকিৎসা-
Acid Phos- স্ত্রী সহবাস জনিত মাথা ঘোরা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, লিঙ্গ শিথিল, অতি শিঘ্রই বীর্যপাত।
Aesculus Hip- প্রত্যেকবার পায়খানা ও প্রস্রাবের পর প্রস্টেট গ্রন্থি থেকে রস নিঃসরণ, ঘুমের মধ্যে বীর্যপাত। জননেন্দ্রিয়ের নানাবিধ কষ্ট।
Agaricus mus- যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধি, সেইসাথে লিঙ্গের শিথিলতা। সঙ্গমে সামান্য বীর্যপাত। রতিক্রিয়ার পর অধিক দুর্বলতা ও ঘুমের মধ্যে ঘাম। যৌনাঙ্গে চুলকানি। অণ্ডকোষের মধ্যে একটি টান অনুভুতি।
Agnus castus- যৌনশক্তি হ্রাস। লিঙ্গ ক্ষুদ্র ও শিথিল, এমন ঢিলা যে যৌন আনন্দের উত্তেজনা প্রয়োগেও লিঙ্গোত্থান হয় না। যৌন ইচ্ছা ছাড়াই সামান্য লিঙ্গোত্থান। অণ্ডকোষ ঠাণ্ডা, স্ফীত, শক্ত এবং ব্যথাযুক্ত। গনোরিয়ার সাথে ধ্বজভঙ্গ (বিশেষ করে যাদের ঘন ঘন গনোরিয়া হয়)। যৌন ইচ্ছা ছাড়াই লিঙ্গোত্থান। মলত্যাগের সময় যখন কোঁত দেয় তখন প্রস্টেট গ্রন্থির রস নির্গমন, প্রস্রাবত্যাগের সময়ও যদি চাপ দেয় তখন অনুরূপ রসক্ষরণ হয়। রেতঃরজ্জুতে একটি টান টান ভাব থাকে। যৌনাঙ্গে চুলকানি। মূত্রনালি হতে হরিদ্রা বর্ণের স্রাব। যৌন ইচ্ছা প্রচাপিতসহ গনোরিয়া।
Alos- ঘুম হতে জাগ্রত হওয়ার পর, আহারের পর ও সন্ধ্যায় যৌন ইচ্ছা বর্ধিত। সকালে ও প্রস্রাব ত্যাগের পর লিঙ্গোত্থান। দিবানিদ্রাকালে অনৈচ্ছিক বীর্যপাত, সকালের দিকে যৌন উত্তেজনা, অস্থির নিদ্রা। লিঙ্গ সংকুচিত হয়ে যায় এবং অণ্ডকোষ শীতল।
Alumen- রাতে আহারের সময় লিঙ্গোদ্রেক। ঘন ঘন বীর্যপাত। পেটের মধ্য লাইন থেকে ব্যথা তীর বেগে ধাবিত হয়ে সুতার মতো হয়ে পুংলিঙ্গের নিম্নদিকে যায়। পুংলিঙ্গের বামপাশে কাটার মতো ব্যথা।
Alumina- যৌন আকাঙ্খার বৃদ্ধি অথবা প্রচাপিত। ঘন ঘন রেতঃপাত ও নৈশকালীন লিঙ্গোত্থান। লিঙ্গাগ্র চামড়া থেকে ছাল উঠা। রেতঃরজ্জুতে সংকোচক ব্যথা তার সাথে অণ্ডকোষে সংকোচন। একটি অণ্ডকোষে কাঠিন্য ও ব্যথার অনুভূতি। কষ্টকর মলত্যাগের সময় প্রস্টেট গ্রন্থি থেকে রস নিঃসরণ। সঙ্গমের সময় এবং লিঙ্গোত্থান চলাকালে পেরিনিয়ামে ব্যথা। রতিক্রিয়ার পর কষ্টের বৃদ্ধি। সঙ্গমের সময় ও লিঙ্গোত্থান সময়ে পেরিনিয়ামে ঘাম।
Ambra grisea- বাহিরের কোন কারণ ছাড়াই যৌনাঙ্গে ইন্দ্রিয় পরিতৃপ্তিকর উত্তেজনা ও চুলকানি। সকালে লিঙ্গোত্থান, তার সাথে যৌনাঙ্গ অসাড়। দুই উরুর মধ্যবর্তী স্থানে কাঁচা ক্ষত। ভীষণ লিঙ্গোদ্রেক সকালে কিন্তু কামোন্মত্ততা সূচক কোন অনুভুতি নেই, সেইসাথে অঙ্গে অবশতা।
Ammonium carb- অত্যধিক যৌন ইচ্ছা, কামবিষয়ক চিন্তা ছাড়া অযথা লিঙ্গোত্থান অথবা যৌন ইচ্ছার অভাব অথবা বিপরীত লিঙ্গের প্রতি বিমুখতা। বারবার কৃত্রিম উপায়ে রেতঃপাত এবং অণ্ডকোষের মধ্যে সংকোচন, হেঁচড়ানো ও ভারি অনুভুতি। কষ্টকর মলত্যাগের সময় প্রস্টেট গ্রন্থি থেকে রস নিঃসরণ।
Anacardium ori- স্মরনশক্তিহীনতা, দিনে উত্তেজনা ছাড়াই লিঙ্গোত্থান। কৃত্রিম উপায়ে রেতঃপাত। অণ্ডকোষে সুখকর চুলকানি। যৌন ইচ্ছার বৃদ্ধি অথবা উত্তেজনাহীনতা। সঙ্গমের সময় সুখানুভূতির অভাব। প্রস্রাব ও মলত্যাগের পর প্রস্টেট গ্রন্থি থেকে রস নিঃসরণ। কঠিন মলত্যাগের সময় বীর্য নিঃসরণ।
Anagallis arvensis- লিঙ্গোত্থানের পূর্বে ও সময়ে মুত্রনালিতে জ্বালা, সঙ্গমের সময় উপশম। ডান অণ্ডকোষ ও রেতঃরজ্জুতে টেনেধরা ব্যথা। রেতঃরজ্জুতে ছিন্নকর ব্যথা। সিম্ফাইসিস পিউবিসে শিহরণ।
Avana Sat- হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ বা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস জনিত শারীরিক দুর্বলতার জন্য উপকারী।
Corbonium Sulph- অজান্তে বা অনিচ্ছা সত্ত্বে বীর্যপাত, স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা হয় না।
Caladium Seg- সহবাস চলাকালে হঠাৎ লিঙ্গ শিথিল বা সহবাসে ভয়। বহুদিন যাবত স্বপ্নদোষ হতে হতে লিঙ্গ শিথিল। স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা অত্যন্ত প্রবল কিন্তু ক্ষমতাহীন। সহবাসকালে লিঙ্গ শক্ত হয় না, যদিও হয় অল্পতেই বীযপাত হয়ে যায়।
Conium- স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছাও নাই, ক্ষমতাও নাই। সহবাসকালে, সোহাগ আলিঙ্গনের সময় লিঙ্গ শিথিল।
Lycopodium- হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ কিংবা অত্যধিক স্ত্রী সহবাস জনিত কারনে ধ্বজভঙ্গ, স্ত্রী সোহাগ আলিঙ্গন করিলেও লিঙ্গ শক্ত হয় না।
Medorrhinum- গনোরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ধজভঙ্গ পীড়ায় প্রথমে এ ঔষধ পরে লক্ষন অনুযায়ী অন্য ঔষধ সেবন করিবে।
Moschus- বহুমুত্র রোগী, দেহের গড়ন চিকন-চাকন, দুর্বল, ক্ষমতাহীন, অল্পতেই বীর্যপাত।
Nuphar Lut- কাম উত্তেজনার কথায় কিংবা উত্তেজনায় অসাড়ে বীর্যপাত।
Phosphorus- সুন্দর লম্বা ছিপছিপে গড়ন, চালাক, সমান্য কারণে মন খারাপ। হাঁটতে সামান্য নুয়ে চলে। এই ধাতুর রোগী হস্তমৈথুন, স্বপ্নদোষ বা অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস বা অসাড়ে শুক্রক্ষরন ইত্যাদি কারণে ধ্বজভঙ্গ।
Selenium- শুক্র তারুল্য, প্রস্রাব পায়খানার সাথে বীর্য যায়। মাথার ও গোপনাঙ্গের চুল পড়তে থাকে।
Salix-Nig- স্ত্রী সহবাসের ইচ্ছা প্রবল কিন্তু ক্ষমতাহীন।
Titanium- সঙ্গমে অতি শীঘ্রই বীর্যপাত ও বীর্যপাতলা।
Turnera- শুক্র বর্ধক ঔষধ।
বায়োকেমিক ঔষধ-
Natrum Mur- স্ত্রীলোক দেখিলে, কথা বলিলে, এমনকি মনে মনে ভাবিলেও অসাড়ে বীর্যপাত হয়ে যায়।
Kali Phos- অতিরিক্ত বীর্যক্ষয় জনিত অনিদ্রা, কাজকর্মে অনিচ্ছা, জননেন্দ্রিয় দুর্বলতা।
Silicea- স্বপ্নদোষ, হস্তমৈথুন, অতিরিক্ত স্ত্রী সহবাস ইত্যাদির কুফল এর জন্য।
এসব রোগের জন্য সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে হোমিওপ্যাথি। হোমিওপ্যাথি লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা। হোমিওপ্যাথিক ঔষধ অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া সেবন নিষিদ্ধ। অতএব দ্রুত অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের পরার্মশ ও চিকিৎসা নিলে রোগ আরোগ্য হবে ইনশাআল্লাহ্।
---ডাঃ রাসেল আক্তার।