Bismillah homeo health care

Bismillah homeo health care হো‌মিওপ‌্যা‌থিক চি‌কিৎসা সেবা। ম‌হ?

25/01/2025
02/01/2025

সিপিয়া

স্বামী সহবাস ভালো লাগেনা
বাচ্চাদেরও লাগেনা ভালো
আপন মানুষ সব পর হয়েছে
মুখটা সদা বিষাদ কালো।

কিছুই ভালো লাগেনা তার
ঘরে বসে থাকে একা
থেকে থেকে শুধু কাঁদে
কারুর সাথে করে না দেখা।

সান্তনাতে রোগবৃদ্ধি
আর বৃদ্ধি দুধে
সহবাসে দারুন বৃদ্ধি
সব মিলায় যেন বুদবুদে।

জরায়ু যেন বেরিয়ে যাচ্ছে
সদাই তার এই ভয়
এই ভয়েতে মরে সে যে
পায়ের উপর পা তুলে রয়।

কাজকর্মে মন বসে না
সঙ্গীসাথী ভালো লাগে না,
ঝড় বৃষ্টি ভয় করে, ভালোও লাগে,
আনন্দ ফুর্তি মনে জাগে না।

দেখতে সে নয় মোটেই ভালো
ক্যালকের মতন নয়তো ফর্সা
মহিলাদের সে নিতম্ব নয়
দায়িত্ব নিতে করে না ভরসা।

গান-বাজনা ভালবাসে না
দুধ খেলেই হয় বৃদ্ধি,
এমন সব ব্যাপার-স্যাপার
যেন হারিয়েছে সব বুদ্ধিশুদ্ধি।

প্রস্রাবে যে বেজায় গন্ধ
পেটে খালি ভাব,
মিষ্টি ও টক ভালবাসে
বিচিত্র তার হাবভাব!

সাদা স্রাব লেগেই আছে
মাসিক অনিয়মিত,
শরীরের পার্টস সব ঢিলে ভাবে
সদাই যেন বিমর্ষ আর দুঃখিত।

বমির ভাব তার লেগেই থাকে
সকাল কিংবা সন্ধ্যা,
বাচ্চা কাচ্চা হতে চায় না
অপবাদ পায়- বন্ধ্যা।

পায়খানা যে শক্ত হয়
মাসিকের আগে বাড়ে,
অজ্ঞান হওয়ার টেন্ডেন্সি তার
যেথায় সেথায় পড়ে।

চুল তার উঠতেই থাকে
হাতের তালুতে বড্ড ঘাম,
মুখে জিভে গন্ধ হয়
এসব লক্ষনে আছে দাম।

মাথার যন্ত্রণা লেগেই থাকে
বিশেষ করে বাম দিকে,
মাসিক তার নানা রকম
কম, বেশি, লাল, ফিকে।

কাজকর্ম ভাল লাগে না
মন বসে না কাজে,
কিন্তু কাজ করলে ভালো থাকে
ইচ্ছা করে না কোন সাজে।

প্রতিবাদ সহ্য হয় না
তেলে বেগুনে জ্বলে,
গলা ও মলদ্বার যেন আটকে থাকে
ছোট্ট একটা বলে।

উপরের চোখের পাতা ঝুলে পড়ে
উঠতে তা আর চায় না,
কষ্টিকামে যেমন আছে
করে না সে কোন বায়না।

শীত তার বড্ড বেশি
শীতে হু হু কাঁপে,
মেনোপজে সব বৃদ্ধি
মাঝে মাঝে হাঁফে।

চর্মরোগ লেগেই থাকে
বিশেষ করে দাদ
মুখে কালো ছোপ পড়ে
রইলো না কিছু বাদ।

01/10/2024

ডায়াবেটিস
টাইপ ১ ডায়াবেটিস কি এবং করণীয়

টাইপ ১ ডায়াবেটিস বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। একারণে টাইপ ১ ডায়াবেটিসকে পূর্বে ‘জুভেনাইল ডায়াবেটিস’ বা কৈশোরকালীন ডায়াবেটিস বলা হতো। তবে যেকোনো বয়সেই কোনো ব্যক্তির এই রোগ হতে পারে।

ডায়াবেটিস অর্থ আমরা সচরাচর যেটিকে বুঝি তা মূলত টাইপ ২ ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মোট রোগীর মাত্র ৫-১০ শতাংশ টাইপ ১ ডায়াবেটিসে ভোগেন।

আমাদের শরীরে ‘ইনসুলিন’ নামে একটি প্রকার হরমোন তৈরি হয়। ইনসুলিন রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে এ হরমোন যথেষ্ট পরিমাণে তৈরি হয় না। ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায়।

এখনো পর্যন্ত টাইপ ১ ডায়াবেটিস প্রতিরোধের কোনো উপায় আবিষ্কৃত হয়নি। তবে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও নিয়মিত ডাক্তারের চেকআপের মাধ্যমে সহজেই রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

উল্লেখ্য, বয়স অথবা অতিরিক্ত ওজনের সাথে টাইপ ১ ডায়াবেটিসের কোনো সম্পর্ক নেই। এগুলোর সাথে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সংযোগ রয়েছে। তাই অনেক ক্ষত্রে শুধুমাত্র সুস্থ জীবনধারা মেনে চলার মাধ্যমে টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব হলেও, টাইপ ১ ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থ জীবনধারার পাশাপাশি ইনসুলিনও নিতে হয়।

টাইপ ১ ডায়াবেটিসের উপসর্গ
টাইপ ১ ডায়াবেটিসের উপসর্গগুলো তুলনামূলকভাবে দ্রুত দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এসব লক্ষণ খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশ পায়। লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে—

অতিরিক্ত তৃষ্ণা
স্বাভাবিকের তুলনায় ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, বিশেষত রাতের বেলায়
অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করা
চেষ্টা ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া
বারবার ছত্রাকের সংক্রমণ (Thrush) দেখা দেওয়া
দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া
কাটা-ছেঁড়া বা অন্যান্য ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া
নিঃশ্বাসের সময়ে ফলের মতো গন্ধ হওয়া
টাইপ ১ ডায়াবেটিসের পরীক্ষা-নিরীক্ষা
ডায়াবেটিস শনাক্ত করার দুই ধরনের পরীক্ষা আছে—রক্ত পরীক্ষা ও প্রস্রাব পরীক্ষা। এগুলোর মাধ্যমে প্রস্রাবে বা রক্তে কতটুকু সুগার আছে তা দেখা হয়। ডায়াবেটিস শনাক্ত করার জন্য ডাক্তার আপনাকে এ দুটি পরীক্ষার যেকোনো একটি বা দুটি পরীক্ষাই করানোর পরামর্শ দিতে পারেন।

পরীক্ষায় ডায়াবেটিস ধরা পড়লে টাইপ ১ ডায়াবেটিসের অবস্থা মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে ডাক্তার আপনাকে পরবর্তীতে আরও কিছু পরীক্ষা দিতে পারেন। যেমন—

অটোঅ্যান্টিবডি পরীক্ষা: অটোঅ্যান্টিবডি হলো আমাদের শরীরে তৈরি হওয়া এমন এক ধরনের অ্যান্টিবডি যা দেহের নিজস্ব কোষগুলোকেই আক্রমণ করে। সাধারণত টাইপ ১ ডায়াবেটিস হলে রক্তে এ ধরনের বিশেষ অটোঅ্যান্টিবডি পাওয়া যায়।
কিটোন বডি পরীক্ষা: এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রস্রাবে কিটোন বডি নামক রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি পরীক্ষা করা হয়। শরীরে মজুত চর্বি বা ফ্যাট ভেঙ্গে কিটোন বডি তৈরি হয়। প্রস্রাবে কিটোন বডির উপস্থিতি টাইপ ১ ডায়াবেটিস নির্দেশ করে।
টাইপ ১ ডায়াবেটিস শনাক্ত হলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এজন্য নিয়মিত রক্তে সুগারের মাত্রা পরিমাপ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী ইনসুলিন নিতে হবে। ডাক্তারের কাছ থেকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নিন।

টাইপ ১ ডায়াবেটিস রোগীদের যা জানা জরুরি
ডায়াবেটিস নরমাল কত পয়েন্ট
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর রক্তে সুগারের স্বাভাবিক মাত্রা কত পয়েন্টে থাকা উচিত তা ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে। আপনার ব্লাড সুগার লেভেল অন্যদের থেকে ভিন্ন হলেও চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এক্ষেত্রে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী সুগারের লেভেল নিয়ন্ত্রিত থাকাই যথেষ্ট।

গ্লুকোমিটারের সাহায্যে রক্তের সুগার পরিমাপ করলে সাধারণত নিচের পয়েন্টগুলোকে আদর্শ ধরা হয়। ‘পয়েন্ট’ বলতে মিলিমোল/লিটার (mmol/l) এককটি বোঝানো হয়েছে।

খাওয়ার আগে ৪ থেকে ৭ পয়েন্ট
খাওয়ার ২ ঘন্টা পরে ৮ থেকে ৯ পয়েন্ট
ঘুমানোর আগে ৬ থেকে ১০ পয়েন্ট
রক্তের সুগারের মাত্রা তথা ডায়াবেটিসের মাত্রা যদি রোগীর জন্য আদর্শ পয়েন্টের চেয়ে বেড়ে যায় তখন সেই অবস্থাকে হাইপারগ্লাইসেমিয়া বলা হয়। অন্যদিকে এই মাত্রা যদি রোগীর জন্য নির্ধারিত আদর্শ পয়েন্টের চেয়ে কমে যায় তখন তাকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলা হয়।

আপনার রক্তের সুগারের পরিমাণ বিভিন্ন কারণে প্রভাবিত হতে পারে। যেমন—

মানসিক চাপ
অসুস্থতা বা কোনো ইনফেকশন
একেবারেই শারীরিক পরিশ্রম না করা অথবা অতিরিক্ত ব্যায়াম করা
বিভিন্ন ধরনের ব্যথা
মাসিক বা পিরিয়ড
মদ পান করা
রক্তের সুগার কখন মাপবেন
প্রতিদিন নিচের সময়গুলোতে রক্তের সুগারের লেভেল মাপা উচিত—

সকালের নাস্তার আগে
খাওয়ার ২-৩ ঘন্টা পরে
ব্যায়াম করার পূর্বে, মাঝখানে বিরতি চলাকালে ও ব্যায়ামের পরে
ঘুমাতে যাওয়ার আগে
এভাবে নিয়মিত ব্লাড সুগার পরিমাপ করলে সুগারের লেভেল কীভাবে খাবার ও ব্যায়ামের প্রভাবে ওঠানামা করে তা বোঝা যাবে। এর ফলে ব্লাড সুগার একটি স্থিতিশীল মাত্রায় রেখে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।

তবে ডায়াবেটিস যদি একেবারেই অনিয়ন্ত্রিত থাকে অথবা রোগী অন্য কোনো অসুখে (যেমন: জ্বর, নিউমোনিয়া বা ডায়রিয়া) আক্রান্ত হয়, তাহলে আরও ঘন ঘন ব্লাড সুগার পরিমাপ করতে হবে। বিশেষত হাইপোগ্লাইসেমিয়ার কোনো উপসর্গ দেখা গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রক্তের সুগার পরিমাপ করে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

রক্তের সুগার পরিমাপ করার পদ্ধতি
একটি গ্লুকোমিটার বা ডায়াবেটিস টেস্টিং কিটের সাহায্যে বাড়িতেই রক্তের সুগার কত পয়েন্ট তা নির্ণয় করা যায়। এক্ষেত্রে একটি সূক্ষ্ম সুঁইয়ের মত যন্ত্রের সাহায্যে আঙুলের ডগায় খোঁচা দেয়া হয়। রক্ত বেরিয়ে আসলে টেস্টিং স্ট্রিপে এক ফোঁটা রক্ত নিয়ে তা মিটারে ঢুকিয়ে সুগার পরীক্ষা করা হয়।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য নিয়মিত রক্তের সুগার পরিমাপ করা অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত সুগারের লেভেল পর্যবেক্ষণে রাখলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। ডায়াবেটিসের বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা এড়াতে রক্তের সুগার মাপার যন্ত্রটি সবসময় হাতের কাছে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

বাসায় বসে ডায়াবেটিস মাপতে যা যা প্রয়োজন—

১. গ্লুকোমিটার
২. জীবাণুমুক্ত ছোট সুঁই বা ল্যানসেট
৩. সুঁই বসানোর প্লাস্টিকের কলম
৪. টেস্ট স্ট্রিপ
ফার্মেসিতে গ্লুকোমিটার কেনার সময়ে এগুলো একসাথে কিনে নেওয়া যায়।

ঘরোয়া উপায়ে রক্তের সুগার মাপার ৭টি ধাপ এখানে তুলে ধরা হলো—

১. প্রথমে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। সাবানের পরিবর্তে অ্যালকোহল প্যাড বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েও হাত জীবাণুমুক্ত করে নেওয়া যায়। তবে সেক্ষেত্রে আঙ্গুল পুরোপুরি শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

২. গ্লুকোমিটারের নির্ধারিত স্থানে একটি টেস্ট স্ট্রিপ প্রবেশ করাতে হবে। গ্লুকোমিটারের মডেলভেদে স্ট্রিপও ভিন্ন হয়, তাই নির্দিষ্ট মডেল অনুযায়ী সঠিক স্ট্রিপ বেছে নিতে হবে। এছাড়া স্ট্রিপ নকল বা মেয়াদোত্তীর্ন কি না সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে।

৩. প্লাস্টিকের কলমের ভেতরে একটি ল্যানসেট সংযুক্ত করে ল্যানসেটের ঢাকনা সরিয়ে ফেলতে হবে। উল্লেখ্য, প্রতিবার ডায়াবেটিস মাপার সময়ে নতুন সুঁই ব্যবহার করতে হবে। কলমটি সহজে ও সঠিকভাবে ব্যবহারের উপায় জানতে গ্লুকোমিটারের মোড়কে বা প্যাকেটের ভেতরে থাকা লিফলেটের নির্দেশনা অনুসরণ করুন।

৪. এবার কলমটি আঙুলের একপাশে ধরে সুঁই দিয়ে আঙ্গুলের অগ্রভাগে ছিদ্র করতে হবে। কলমটি আঙুলের একপাশে ধরলে ব্যথা কম লাগবে। প্রতিবার রক্তের সুগার মাপার সময়ে ভিন্ন ভিন্ন আঙ্গুল ব্যবহার করতে হবে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে বেরিয়ে আসা এক ফোঁটা রক্তই গ্লুকোমিটারে ডায়াবেটিস পরিমাপের জন্য যথেষ্ট।

৫. এখন গ্লুকোমিটারে লাগানো টেস্ট স্ট্রিপে রক্তের ফোঁটা বসাতে হবে। আঙুলটি এমনভাবে ধরতে হবে যেন রক্তের ফোঁটা টেস্ট স্ট্রিপের নির্ধারিত অংশকে পূর্ণ করে। রক্তের পরিমাণ খুব কম হলে ভুল রিডিং আসতে পারে অথবা গ্লুকোমিটারের পর্দায় ERROR দেখাতে পারে।

৬. কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই গ্লুকোমিটারের পর্দায় রক্তের সুগারে তথা ডায়াবেটিসের পয়েন্ট দেখা যাবে। হিসাবটি সাধারণত mmol/l (মিলিমোল/লিটার) এককে দেখানো হয়। তবে কিছু গ্লুকোমিটারের হিসাবটি mg/dL (মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার) এককে দেখানো হতে পারে।

mg/dL এককে আসা ফলাফলকে ১৮ দিয়ে ভাগ করলে mmol/l এককে ফলাফল বেরিয়ে আসবে। একটি নির্দিষ্ট ডায়েরি বা খাতায় তারিখ ও সময় দিয়ে ফলাফল নোট করে রাখা ভালো।

৭. অবশেষে ব্যবহৃত সুঁই ও স্ট্রিপ ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দিতে হবে।

নিয়মিত গ্লুকোমিটারের যত্ন নিন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী পরিষ্কার করে রাখুন।

01/10/2024
27/09/2024
শিশুদের মুখে (ঘা) আলসারের ঘরোয়া প্রতিকারবর্তমান সময়ে শিশুদের জাঙ্ক ফুড বা অধিক মসলাদার খাবারের প্রতি ঝোঁক বেড়েছে। যার ফল...
27/09/2024

শিশুদের মুখে (ঘা) আলসারের ঘরোয়া প্রতিকার

বর্তমান সময়ে শিশুদের জাঙ্ক ফুড বা অধিক মসলাদার খাবারের প্রতি ঝোঁক বেড়েছে। যার ফলে কম বয়সেই বাচ্চাদের মুখে আলসার বা ঘা হচ্ছে। এ ছাড়াও আরও অনেক কারণেই শিশুদের মুখে আলসার বা ঘা হতে পারে। মুখের আলসার বা ক্ষতচিহ্নগুলো ঠোঁটে এবং মুখের ভেতরের মাড়িতে সাদা দাগের মাধ্যমে চিহ্নিত হয়, যার চারপাশের এলাকা লালচে ও প্রদাহযুক্ত হয়।

এই আলসার বা ঘা স্পর্শ করলে কিংবা পার্শ্ববর্তী ত্বকে টান পড়লে ব্যথা লাগে। ফলে বাচ্চার কথা বলা, চিবানো অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। বলে রাখা ভালো, শিশুর মুখের আলসার সংক্রামক নয় এবং ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই বাড়িতে চিকিৎসা করা সম্ভব।

জাঙ্ক ফুড বা বাইরের খাবার ছাড়াও এমন অনেক কারণ আছে, যা বাচ্চাদের মুখে ঘা হওয়ার জন্য দায়ী। অনেক সময় কোনো নির্দিষ্ট ওষুধের নিয়মিত ব্যবহারের ফলে এ ঘা হতে পারে। বাচ্চাদের মুখে আলসার বা ঘা কেন হয় এবং কীভাবে তা প্রতিরোধ করা যায় জেনে নিন।

বেশ কয়েকটি কারণে শিশুদের মুখে আলসার বা ঘা হতে পারে, যেমন: চাপ, আঘাত, ভিটামিন, খনিজ পদার্থের অভাব, শরীরের তাপ, এমনকি খাদ্য এলার্জি থেকে।

মধু

আপনার সন্তান যদি এক বছরের বেশি বয়স্ক হয়, তবে মুখের দূষিত ক্ষতের চিকিৎসা করার সর্বোত্তম উপায় হলো মধু ব্যবহার করা। মধু খাওয়ার পরিবর্তে ক্ষতের ওপর এটি বেশ কয়েকবার প্রয়োগ করতে হবে। মধুতে প্রচুর জীবাণুবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ক্ষত তাড়াতাড়ি নিরাময় করতে সহায়তা করে। তা ছাড়া মধুর মিষ্টি স্বাদের জন্য আপনার সন্তান মধু লাগানো পছন্দ করবে। যাহোক, মনে রাখবেন, এক বছরের চেয়ে কম বয়সের শিশুদের মধু দেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।

হলুদ

ঘরোয়া প্রতিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো হলুদ ব্যবহার করা। এটিতে প্রদাহবিরোধী, অ্যান্টিসেপটিক এবং ব্যাকটেরিয়াবিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা দ্রুত সব ধরনের ক্ষত ও কাটা নিরাময় করতে সহায়তা করে। হলুদের প্রয়োগ সহজ করার জন্য শিশুকে দেওয়ার আগে এটি মধুর সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারেন।


নারকেল

মুখের আলসার চিকিৎসায় নারকেল বেশ উপকারী। পানি, দুধ ও তেল মুখের দূষিত ক্ষতের প্রতিকার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি হয় আপনার শিশুকে নারকেলের পানি পান করাতে পারেন, বা তাকে নারকেল দুধ দিয়ে কুলকুচি করাতে পারেন, যাতে প্রভাবিত অংশটি প্রশমিত হয়। অন্যথায়, আপনি শুধু ক্ষতের জায়গাটায় নারকেল তেল প্রয়োগ করতে পারেন।

দই

শিশুদের মুখের আলসারের চিকিৎসার জন্য দই খুব উপকারী। আপনার বাচ্চার মুখে দই কিছু সময় ধরে প্রভাবিত এলাকার চারপাশে লাগান। দইটি টক হলে আলসার দ্রুত নিরাময় হবে। কেননা, দইয়ে ল্যাকটিক অ্যাসিড আছে, যা ক্ষত এলাকায় ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি দমন করে।

ঘি

দুধের আরেকটি উপজাত দ্রব্য ঘি আপনার সন্তানের মুখের আলসার নিরাময়ে বিস্ময়করভাবে কাজ করে। আপনাকে দিনে অন্তত তিনবার প্রভাবিত এলাকায় ঘি প্রয়োগ করতে হবে। এটি ক্ষত দ্রুত নিরাময় করতে সাহায্য করে এবং ক্ষতের কারণে হওয়া ব্যথা হ্রাস করে শিশুকে অনেক আরাম দেবে।

অ্যালোভেরা

আরেকটি বিখ্যাত ঘরোয়া প্রতিকার হলো অ্যালোভেরা। বাচ্চাদের মুখের আলসার নিরাময় করার জন্য এটি দারুণ উপায়। অ্যালোভেরা ব্যথা থেকে মুক্তি দিয়ে ব্যাকটেরিয়াবিরোধী ও নিরাময় করার গুণগুলো মাড়ির স্বাস্থ্যে অবদান রাখে।

যষ্টিমধু

২ কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু ভেজাতে পারেন এবং মুখের আলসার নিরাময় করতে আপনার সন্তানকে প্রতিদিন কয়েকবার এই পানি দিয়ে কুলকুচি করাতে পারেন। যদি শিকড়টি আপনার কাছে গুঁড়া আকারে থাকে, তবে সর্বোত্তম বিকল্পটি হলো অল্প হলুদ বা মধুতে এটি মেশাতে হবে এবং তারপর প্রভাবিত এলাকায় এটি প্রয়োগ করতে হবে। যষ্টিমধু আলসারের চারপাশে ব্যথা হ্রাস করতে এবং ফোলা কমাতে সাহায্য করে। মুখের আলসার খুব খারাপ অবস্থায় থাকাকালীন প্রয়োগ করলেও আপনি তাৎক্ষণিক ফল দেখতে পাবেন।

আইসক্রিম

অনেক আলসার নিজে নিজেই চলে যায়, তাই ঠান্ডা আইটেমগুলো ব্যথা কমাতে এবং শিশুকে কিছু আরাম দিতে কাজে লাগতে পারে। যদিও এটি শিশুর মুখের আলসারের চিকিৎসা নয়, তবে আইসক্রিম আপনার সন্তান যে ব্যথা অনুভব করে, তা দূর করতে কাজে আসে। ঠান্ডা জিনিস প্রভাবিত এলাকাটিকে প্রশমিত করতে পারে।

04/09/2024

ইয়ারফোনের ব্যবহার ডেকে আনতে পারে ৫ বিপদ

লাইফস্টাইল ডেস্ক : প্রযুক্তির উন্নতিতে উন্নয়নের তালে তাল মেলাচ্ছে মানবজীবন৷ কিন্তু এই উন্নতির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ক্ষতিও। তেমনই একটি ছোট্ট উদাহরণ হল ‘ইয়ারফোন’, যা ফোনের বা ল্যাপটপের সঙ্গে ব্যবহার করেন অনেকে৷ অনেকের মতেই ইয়ারফোনের বেশি ব্যবহারে নিচের ক্ষতিগুলি হতে পা‌রে
আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে পাঠকদের জন্য রইলো ইয়ারফোনের বেশি ব্যবহারে যে ৫টি ক্ষতি হচ্ছে আমাদের-

১) কানে বায়ু চলাচলে ক্ষতি-

ফোনে সরাসরি কান না রেখে অনেকেই ইয়ারফোন ব্যবহার করে থাকেন৷ এর দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারে কিন্তু কানে বায়ু চলাচলে সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং এর ফলে সংক্রমণ হতে পারে যা আপনার কানের ক্ষতি করবে৷

২) শ্রবণশক্তি হ্রাস-

ইয়ারফোনে ৯০ ডেসিবলের উপর শব্দ শুনলে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷ শ্রবণশক্তি চিরতরের মতো হারিয়েও যেতে পারে বলে অনেকেরই আশঙ্কা করেন। ১০০ ডেসিবলের ওপর মাত্র ১৫ মিনিট ইয়ারফোন ব্যবহার করলে শ্রবণশক্তি নষ্ট হতে পারে।

৩) শ্রবণশক্তির জড়তা-

কিছু সমীক্ষায় জানা যায়, যারা ইয়ারফোন ব্যবহার করেন তারা উচ্চ শব্দে মিউজিক শোনেন। এতে কানে জড়তা চলে আসে।

৪) মস্তিষ্কে সমস্যা-
বর্তমানে ইয়ারফোন কিছু তড়িত-চুম্বকীয় তরঙ্গ তৈরি করে, যার থেকে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করা হয়৷

ভাত রান্নায় এই ভুল মৃত্যু ডেকে আনছে আমাদের

৫) ইনফেকশন-

ইয়ারফোন ব্যক্তিগত থাকাই উচিত৷ কিন্তু অনেকেই তা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে শেয়ার করে থাকে। এতে কানে ইনফেকশনের সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকটাই৷ তাই এই বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে প্রত্যেককে৷

উল্লেখ্য কম ভলিউমে ইয়ারফোন ব্যবহার করা উচিত তাও দীর্ঘক্ষণ নয়৷ এবং রাস্তায় চলতে গিয়ে এসব ব্যবহার না করাই ভালো৷ আপনার সুরক্ষা আপনারই হাতে৷

04/09/2024

মাথার কাছে মোবাইল রেখে ঘুমালে যা হয়

মাথার কাছে মোবাইল রেখে ঘুমানোর অভ্যাস আছে? যদি থাকে আপনার এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসার প্রস্তুতি নেওয়া উচিৎ। মোবাইল চালু থাকলে এই যন্ত্রটি থেকে যে রেডিয়েশন নিঃসৃত হয় তা সহজেই শরীরের কোষের ক্ষতি করতে পারে এমনকি পুড়িয়ে দিতে পারে। এই অভ্যাসের কারণে মস্তিষ্কে নানা রোগও দেখা দিতে পারে। কমে যেতে পারে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা।

ইউনিটি এইড হাসপাতালের ডা. আকলিমা আক্তার বলেন, মোবাইল থেকে নিঃসৃত হয় এক ধরনের রেডিয়েশন। যাকে বলা হয় Redio frequency(RF) radiation. এই রেডিয়েশন মানুষের শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি বাড়িয়ে দিতে পারে। এর ফলে শরীরের কোষ পুড়ে যায়। ব্রেনের উত্তেজনা বাড়ে, ফলে গভীর ঘুম হয় না।

যারা মাইগ্রেনের রোগী, তাদের ঘন ঘন মাথা ব্যথা দেখা দেয়। দীর্ঘদিন মাথার কাছে মোবাইল রেখে ঘুমালে হতে পারে ব্রেন টিউমার। এর ফলে হতে পারে ব্রেন ক্যান্সার। এই রোগে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। মোবাইলের রেডিয়েশন চোখের দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দেয়। ব্লাড প্রেসার বাড়িয়ে দেয়। এমনকি শরীরে কোলেস্টরেলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। মোবাইলের রেডিয়েশন হার্টের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে। প্রজনন ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে, বিশেষ করে পুরুষেরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন।’

‘রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশন শিশু-কিশোরদের মানসিক এবং শারীরিক বৃদ্ধি ধীর করে দেয়। শিশুরা মোবাইল ব্যবহারে আসক্ত হলে দৃষ্টি হারাতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। হতাশা এবং রাগ বাড়িয়ে দেয়।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উচিত মোবাইল বন্ধ করে ঘুমাতে যাওয়া। তা যদি একেবারে সম্ভবই না হয় তাহলে কমপক্ষে শরীর থেকে ৩ ফিট দূরে মোবাইলটি রাখতে হবে।’

বালিশের নিচে মোবাইল রাখলে আগুন ধরে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। এমনকি মোবাইল গরম হয়ে গেলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে

04/09/2024

বৈষম‌্য দূর করার জোর দা‌বি জানা‌চ্ছি।

বাংলা‌দেশ শিশু একা‌ডে‌মি না‌মে সরকা‌রি একটা প্রতিষ্ঠান আ‌ছে সেখা‌নে শিশু‌দের নাচ, গান, আবৃ‌ত্তি, বাদ‌্যযন্ত্র বাজা‌নো সহ আ‌রো বেশ কিছু বিষয় শিক্ষার ব‌্যবস্থা আ‌ছে
কিন্তু হাম`নাত, গজল, কেরাত, কোরআন শিক্ষাসহ ইসলামীক কোন সাংস্কৃ‌তি শিক্ষার ব‌্যবস্থা নেই।
অথচ এ‌টি রা‌ষ্টের মুস‌লিম‌দের টাকায় চ‌লে!

03/08/2024

Address

Dhaka

Telephone

+8801627669237

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bismillah homeo health care posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram