13/07/2025
এদেশের প্রতিটি মা-বাবারই বিচার হওয়া উচিৎ। কেন তারা সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিবে? কেন তারা সন্তানকে তাদের ভবিষ্যৎ ভালোমন্দ বোঝানোর জন্যে এতো শাসন করবে, কেন এতো জোড় খাটাবে, কেন তারা সবকিছুতে এতো বেশী আদেশ নিষেধ আরোপ করবে? তাই বর্তমান ডিজিটাল জ্ঞানী বুদ্ধিমান সন্তানেরা তাদের মা-বাবার প্রতি এখন ত্যক্ত বিরক্ত অতিষ্ট। উন্নত বিশ্বে মা-বাবা তো সন্তানের কোনো দায়ভার গ্রহন করে না। এখন সন্তানদের ছেড়ে দেয়া উচিৎ ছন্নছাড়া যা খুশি তাই করবে। মায়া মমতা ভালোবাসা নির্ভরতা পারিবারিক প্রথা আরো ভেঙ্গে ফেলা প্রয়োজন। সন্তানের লেখা পড়া, বেড়ে উঠা, প্রতিষ্ঠা, বিয়ে সংসার সবই নিজ দায়িত্বে করবে, এর দায়ভার মা-বাবা গ্রহন করবে না। এই নব উন্নত বিশ্বে ছেলেমেয়েরা খুবই শান্তিতে থাকবে।
তাছাড়া অবাধ্য অহংকারী অকৃতজ্ঞ মানুষ যে কারো সাথেই বেইমানী করতে পারে। হতে পারে তা জনসমূখ্যে প্রকাশ্যে অথবা ঘরে বাড়িতে সেকলের আড়ালে। কিছুদিন আগেই এক স্ত্রীর কিডনী গ্রহন করে স্বামীর পরকীয়ার সময়, কেউ স্ত্রীকে নয় বরং সেই পুরূষটিকেই দোষারোপ করেছিল। অথচ অকৃতজ্ঞ সন্তানের বেয়াদবীর জন্যে সন্তান লালন পালনে মা-বাবার ভুল ধরা হচ্ছে, অতিরিক্ত আদর প্রশ্রয় ইত্যাদি ইত্যাদি। সকল সুখ সুবিধা ভোগ করে আবার মা-বাবাকেই দোষারোপ করার স্পর্ধা দেখায়। সন্তানের সকল অপকর্ম অন্যায় ও ভুলের জন্যে তো সেই অকৃতজ্ঞ সন্তানটিকেই সকল দায় বহন করতে হবে।
ইদানিংকালে আমার চেম্বারেও এধরনের কেইস বেশী পাওয়া যাচ্ছে। মা-বাবার প্রতি অঢেল অভিযোগ অশ্রদ্ধা অবিশ্বাস ছেলেমেয়েদের দু:খজনকভাবে ভয়ংকর বিপথে ঠেলে দিচ্ছে।