মিলনতত্ত্ব

মিলনতত্ত্ব This platform empowers people with accurate knowledge about intimacy & wellbeing.

Official page of the Bangladeshi community group “মিলনতত্ত্ব (Sex Education & Solution Centre)” dedicated to promoting sex education, awareness & healthy relationships.

মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না- সহবাসের পর স্পার্ম বা শুক্রাণু নারীর জরায়ুর ভেতর পাঁচ দিন পর্যন্ত থাকতে পার...
28/11/2025

মাসিকের কত দিন পর সহবাস করলে গর্ভবতী হয় না-

সহবাসের পর স্পার্ম বা শুক্রাণু নারীর জরায়ুর ভেতর পাঁচ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। স্পার্ম জরায়ুতে সাধারণত তিন দিনের বেশি টেকে না। ওই তিন দিনের যেকোনো এক দিন যদি ডিম্বাশয় ডিম্বাণু উৎপন্ন করে, সেই ডিম্বাণু ডিম্বনালির ভেতর দিয়ে জরায়ুতে পৌঁছে শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়। তখন এই নারী গর্ভবতী হয়। এখন প্রশ্ন হলো, কখন ডিম্বাশয় ডিম্বাণু উৎপাদন করে।

সাধারণত দুবার পিরিয়ডের মাঝামাঝি সময়ে ডিম্বাণু পূর্ণাঙ্গ হয়। সাধারণভাবে পিরিয়ড শুরুর ১৪তম দিনে বা এর আশপাশের সময়ে ডিম্বাশয় ডিম্বাণু উৎপাদন করে। পূর্ণাঙ্গ ডিম্বাণু জরায়ুতে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যকর থাকে। তাই সেই সময়টা গর্ভধারণের জন্য সবচেয়ে উর্বর। সাধারণভাবে ধরা হয়, পিরিয়ডের শুরুর দিন থেকে ধরলে ৯ থেকে ১৯তম দিনের মাঝে, অর্থাৎ এই ১০ দিনের যেকোনো দিন জরায়ুতে শুক্রাণু থাকলে নিষিক্ত হতে পারে। তবে কি এই ১০ দিন বাদে অন্য সময় যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা নিরাপদ?

উত্তর হলো, না, নিরাপদ নয়। তবে অন্য দিনগুলোতে কোনো সুরক্ষাব্যবস্থা ছাড়া সহবাস করলে গর্ভবতী হয়ে পড়ার সম্ভাবনা কম। তবে পুরোপুরি নিরাপদ, এটা বলা যাবে না। কেননা, ডিম্বাশয় যে ৯ থেকে ১৯তম দিনের মাঝেই ডিম্বাণু উৎপাদন করবে, এমন কোনো কথা নেই। এটা নানা কারণে এগোতে বা পেছাতে পারে। ধরুন আপনি পিরিয়ডের শেষ দিকে সহবাস করেছেন, আর সেই মাসে ডিম্বাশয় আগে আগেই ডিম্বাণু উৎপাদন করেছে।

আর শুক্রাণু তো পাঁচ দিন পর্যন্ত থাকেই। সে ক্ষেত্রে নিষিক্ত হওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকেই যায়। টেনশন বা দুশ্চিন্তা, ডায়েট, ভারী শরীরচর্চা এগুলো ডিম্বাশয়কে ডিম্বাণু উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রভাবিত করতে পারে। তাই অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভাবস্থা এড়াতে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই।

তথ্যসহায়তা: ডা. ফাহমিদা সুলতানা (এমবিবিএস, বিসিএস, হেলথ, যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) ও ডা. নুসরাত জাহান (এমবিবিএস, বিসিএস, হেলথ)

শী‌তের রা‌তে ফরয গোসল... ইসলাম এক‌টি সহজ দীন। এর‌চে‌য়ে সহজ জীবনব্যবস্থা আর নেই। যে‌কো‌নো বিধা‌নের ক্ষে‌ত্রে সহজ থে‌কে...
26/11/2025

শী‌তের রা‌তে ফরয গোসল...

ইসলাম এক‌টি সহজ দীন। এর‌চে‌য়ে সহজ জীবনব্যবস্থা আর নেই। যে‌কো‌নো বিধা‌নের ক্ষে‌ত্রে সহজ থে‌কে সহজ প্র‌ক্রিয়া গ্রহণ ক‌রে‌ছে ইসলাম। অপারগতায় অবশ্যই বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে এখা‌নে। মানু‌ষের স্বভাব সামর্থ্য ও ফিতরতের সা‌থে সম‌ন্বিত করেই শরীয়ত প্রব‌র্তিত হ‌য়ে‌ছে।

‌যৌনচা‌হিদা মানু‌ষের স্বভাবজাত‌ বিষয়। এ চা‌হিদা পূর‌ণে যে‌কো‌নো হালাল প্রক্রিয়া ইসলাম সমর্থন ক‌রে। স্ত্রীর হা‌য়েয ও নেফা‌সের সময় বাদ দি‌য়ে যখন-তখন এ প্র‌য়োজন পূর‌ণের অনুম‌তি র‌য়ে‌ছে। শীতগ্রীষ্মবর্ষা যে‌কো‌নো ঋতু‌তে এটা পূরণ কর‌া যেতে পা‌রে। প্র‌য়োজন পড়‌লে মা‌ঘের শী‌তেও এটা সার‌তে পা‌রেন।

কথা হ‌লো, ফরয নামায সাম‌নে রে‌খে সহবাস করা যা‌বে কি না? হাঁ, যা‌বে। প্র‌য়োজন দেখা দি‌লে সে প্র‌য়োজন অবশ্যই পু‌রা কর‌তে পারবেন। হাঁ, য‌দি কারও প্রবল ধারনা হয়, এখন সহবাস মা‌নে ফরজ নামায ছু‌টে যাওয়া, অলসতা ভে‌ঙে তার প‌ক্ষে গোসল করা আর হ‌বে না, তা হ‌লে তখন এ কা‌জে লিপ্ত হ‌ওয়া ঠিক হবে না। বরং তা নামা‌যের প‌রে হ‌তে পা‌রে।

স্বপ্ন‌দোষ ও সহবা‌সের পর বড় কাজ হ‌লো গোসল করা, অতঃপর নামায পড়া। শী‌তের রা‌তে সব‌চে ক‌ঠিন বিষয় হ‌লো এই গোসল। কারও য‌দি গোসল ফরজ হ‌য়ে যায়, চাই সহবা‌সের কার‌ণে, বা স্বপ্ন‌দো‌ষের কার‌ণে, অথবা অন্য‌কো‌নো কার‌ণে; তা হ‌লে তার গোসল করার উপায় কি? অথবা এর বিকল্প কি?

‌হাঁ, গোসল করা একদম সহজ, শুধু সামান্য সাহ‌সের প্র‌য়োজন। একবাল‌তি পা‌নির সা‌থে একমগ সাহস মেলা‌লেই গোসল সে‌রে যায়,‌ চাই যত শীতই হোক না কেন! কা‌জেই অলসতা ও ভীরুতা ছাড়ুন, সাহসী ও স‌ক্রিয় হোন। শয়তা‌নের ওয়াসওয়াসা ও গাফলত প‌রিহার করুন। ম‌নে রাখ‌বেন, শয়তা‌নের আসর ও কুমন্ত্রণা তাড়া‌তে পা‌নি এক মোক্ষম ওষুধ। এর আ‌গে প্রথম কাজ হ‌লো- দোয়া প‌ড়ে শোয়া থে‌কে উ‌ঠে পড়া। শু‌য়ে শু‌য়ে গোস‌লের কথা মো‌টেও ভাব‌বেন না। তা হ‌লে আর উঠ‌তে পার‌বেন না। উ‌ঠে অযু ই‌স্তিঞ্জা ক‌রে নিন। এরপর গোস‌লের পদ‌ক্ষেপ নিন। দেখ‌বেন ব্যাপারটা সহজ হ‌য়ে গে‌ছে।

‌গোসল করার সাহস থাকার প‌রেও বাস্তব কো‌নো ওজর থাক‌তে পা‌রে। সে‌ক্ষে‌ত্রে শী‌তের সা‌থে অযথা ফাইট করার প্র‌য়োজন নেই। বরং শরীয়‌তের দেওয়া রুখসত গ্রহণ কর‌ুন। য‌দি ‌গোসল করার কার‌ণে স‌ত্যিই কো‌নো শারী‌রিক সমস্যা সৃ‌ষ্টির আশঙ্কা থা‌কে, যেমন-
আপনার বাতব্যথা বে‌ড়ে যে‌তে পা‌রে,
আপনার কো‌নো অঙ্গ অবশ হ‌য়ে যে‌তে পা‌রে,
আপনার বু‌কে ঠান্ডা লে‌গে যে‌তে পা‌রে,
আপনার জ্বর বা স‌র্দি দেখা দি‌তে পা‌রে,
আপনার কো‌নো রোগ বেড়ে যে‌তে পা‌রে,
আপ‌নার পূর্ব-অসুস্থতা সার‌তে দে‌রি হ‌তে পা‌রে,
আপনার এলা‌র্জিক সমস্য‌া বৃ‌দ্ধি পে‌তে পা‌রে;
আপনার শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানী বে‌ড়ে যে‌তে পা‌রে;
আপনার জীব‌নের ঝুঁ‌কি তৈ‌রি হ‌তে পা‌রে;
অথবা অন্য কো‌নো সমস্যা সৃ‌ষ্টি হওয়ার আশঙ্কা ক‌রেন; তা হ‌লে আপ‌নার জন্য গোস‌লের প‌রিব‌র্তে তায়াম্মুম করা একদম জা‌য়িয। আপ‌নি নি‌র্দ্বিধায় ফরয গোস‌লের বদ‌লে ফরয তায়াম্মুম করুন এবং নামায আদায় করুন।
হাঁ, তায়াম্মুম করার পূ‌র্বে গরম পা‌নি দি‌য়ে ট্রাই করতে পা‌রেন। য‌দি গরম পা‌নির সু‌যোগ‌ থাকে তা হ‌লে গরম পা‌নি দি‌য়ে গোসল ক‌রে নিন। নতুবা তায়াম্মুম করুন।

কিন্তু এমন কো‌নো সমস্যার আশঙ্কা না থাক‌লে শুধুমাত্র শী‌তের ক‌ষ্টের কারণে তায়াম্মুম করার বিধান শরীয়‌তে নেই। সুতরাং গোসল ফরয হওয়ার পর নি‌জের ম‌নের সা‌থে বোঝাপড়া করুন। নবী‌জির (সা.) ভাষায়-
استفت قلبك.
"নি‌জের মন‌কে জিজ্ঞাস করুন।"
হাঁ, আপনার বেলায় আপনার মন মুফতী সা‌হেব!
য‌দি আপনার মন আপনা‌কে বাস্তব ওজ‌রের কার‌ণে তায়াম্মুম কর‌তে ব‌লে, এতে ম‌নে কো‌নো খটকা না জা‌গে, তা হ‌লে আপ‌নি তায়াম্মুম করুন। অন্যথা আপ‌নি গোসল করুন এবং নামায পড়ুন।

‌গোসল‌কে ক‌ঠিন ম‌নে করার অন্যতম কারণ এর অ‌য়োজন ও বাহুল্য‌বিলাস। যেমন- সাবান লাগ‌া‌নো, সেস্পু মাখা, কাপড়‌চোপড় ধোয়া, অ‌নেক্ষণ ধ‌রে শরীর ঘষামাঝা কর‌া ইত্যা‌দি। কিন্তু শী‌তের রা‌তে গোসল সংক্ষেপ কর‌লে তেমন ক‌ঠিন হ‌বে না; এবং নামাযও কাযা হ‌বে না।

‌গোস‌ল করার সহজ উপায়:
প্রথ‌মে বাথরু‌মে গি‌য়ে লজ্জাস্থান ও নাপাকস্থান গু‌লো ধু‌য়ে ফেলুন। কাপ‌ড়ে নাপাক লে‌গে থাক‌লে শুধুমাত্র নাপা‌কের স্থান‌টি ধ‌ু‌য়ে নিন। তারপর ওই কাপড় প‌রে, অথবা একটা গামছা প‌রে গোসল করে নিন। ব্যস। নাপাক কাপড়সহ কখ‌নো গোসল কর‌বেন না।
ম‌হিলারা বড় কাপড় ও অ‌তি‌রিক্ত কাপড়গু‌লো আলাদা ক‌রে রাখুন। চুল খোপা ক‌রে বেঁ‌ধে রাখুন। গোসল সহীহ হওয়ার জন্য ঝুলন্ত চু‌লে পা‌নি পৌঁছা‌নো জরু‌রি নয়। কেবল চু‌লের গোড়ায় পা‌নি পৌঁছানোই য‌থেষ্ট।
নবী‌জির গোসল কতই না সহজ সং‌ক্ষেপ হ‌তো যে, এক সা' তথা সোয়া তিন‌কে‌জি পা‌রি দ্বারা তি‌নি গোসল সে‌রে নি‌তেন।

এটাও য‌দি কারও কা‌ছে ক‌ঠিন ম‌নে হয়- তার জন্য আরও সহজ উপায় আ‌ছে। ‌সেটা ম‌নে হয় সবাই বু‌ঝে ফে‌লে‌ছেন। হাঁ, নামায কাযা করার চাই‌তে বিবস্ত্র হ‌য়ে গোসল করা অ‌নেক ভা‌লো। কা‌জেই রা‌তের গোসল ক‌ঠিন ক‌রে নামায কাযা করা প‌রিত্যাগ করুন। স্ত্রী সহবাস‌কে কখ‌নোই নামায ত্যা‌গের কারণ বানা‌বেন না। ন‌চেৎ সেটা বরকতশূন্য হ‌য়ে পড়‌তে পা‌রে। আল্লাহ‌কে ভয় করুন। নামায কা‌য়েম করুন।

মুহাম্মাদ সাইফুদ্দীন গাযী
দারুল হিকমাহ
৫/২/২২

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা

শী‌তের কাপড়সহ সহবাস কর‌ার কার‌ণে সে কাপড়-কম্বল নাপাক হ‌য়ে যা‌য় না এবং তা ধোয়া জরু‌রি নয়, যতক্ষণ না তা‌তে কো‌নো নাপাক লাগে। কাপড় বা কম্ব‌লের যে অং‌শে নাপাক লাগ‌বে, শুধুমাত্র সেই অংশ ধু‌লেই চলবে, পুরা কাপড় ও কম্বল ধোয়ার প্রয়োজন নেই।

মুহাম্মাদ সাইফুদ্দীন গাযী
Hanafi Fiqh

তাদের ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখ ৩০ নভেম্বর। আমি কমেন্টবক্সে ভাইটির বিকাশ নাম্বার দিয়ে দিচ্ছি। তার নগদ একাউন্ট একটিভ না। প...
23/11/2025

তাদের ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখ ৩০ নভেম্বর। আমি কমেন্টবক্সে ভাইটির বিকাশ নাম্বার দিয়ে দিচ্ছি। তার নগদ একাউন্ট একটিভ না। পাশাপাশি তার কোনো ব্যাংক একাউন্ট নেই। সুতরাং যারা টাকা পাঠাবেন তারা দয়া করে বিকাশে পাঠানোর চেষ্টা করবেন।

➤তার বিকাশ নাম্বার শুধুমাত্র মিলনতত্ত্ব গ্রুপে দেওয়া হবে৷

প্যানেলে সবার সাথে আলোচনা করে আমরা সরাসরি এই দায়িত্ত্ব নেওয়া থেকে বিরত রইলাম। তবে যারা টাকা পাঠাবেন, আপনারা এই পোস্টের কমেন্টবক্সে আপনার টাকা পাঠানোর স্কিনশট কমেন্ট করতে পারেন।

✅ Notice- আমাদের গ্ৰুপের কার্যক্রম, পলিসি আগের মতোই থাকবে। দয়া করে গত ২ দিন ধরে যারা হেল্প /সাহায্য চেয়ে পোস্ট করেছেন+ মেসেজে জানিয়েছেন, আপনারা আমাদের ক্ষমা করবেন। কারণ আমাদের গ্ৰুপ হেল্থ , মেডিক্যাল রিলেটেড।

নির্ভরযোগ্য সাহায্যকারী প্রতিষ্ঠান/ অর্গানাইজেশন বাংলাদেশে এবং অনলাইনেও অনেক আছে যেমন - WAB , প্রজেক্ট ১০ টাকা , আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন এরকম। আপনারা তাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

❄️যারা এই পোস্ট সম্পর্কে অবগত নন, আপনারা মিলনতত্ত্ব গ্রুপে করা আমাদের আগের পোস্ট গুলো চেক করবেন৷

23/11/2025

গতকালকে শেখেরচর বাবুরহাট বাজারে ভূমিকম্পের সময় স্ত্রী তার জীবন বাচাঁনোর জন্য দৌড়ে দূরে না পালিয়ে নিজ স্বামী'কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কারণ মেয়েটা জানে তার স্বামী কোনো অবস্থাতেই তাকে ফেলে রেখে যাবেনা।

একজন পুরুষ যখন সত্যিকারের ভালোবাসে, তার ভালোবাসা প্রমাণ করার জন্য তাকে শব্দ খরচ করতে হয় না। তার উপস্থিতিই নিরাপত্তা হয়ে দাঁড়ায়। ঝড় আসুক, আকস্মিক ভূমিকম্প হোক, অথবা জীবনের অদৃশ্য কোনো ভয়- নারী জানে, এই মানুষটা পাশে থাকলে সেই ভয় তার কাছে পৌঁছাতে পারবে না। কারণ পুরুষের ভালোবাসা কখনো শুধু অনুভূতির প্রকাশ নয়; এটা হলো এক ধরনের আত্মবিশ্বাস, যেখানে নারী স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারে।

নারী যখন বুঝতে পারে, তার মানুষটি তাকে রক্ষা করার মতো সাহস রাখে, তখন সেই আস্থার বাঁধন অন্য সব বাঁধনকে ছাপিয়ে যায়। জীবনের যেকোনো বিপদে সে প্রথমেই তার স্বামীর হাত খুঁজে নেয়। কারণ সেই হাত সে জানে- ছাড়ে না, ফেলে যায় না, ভয় পেলে দূরে সরে যায় না। ভালোবাসার গভীরতা অনেক সময় এই নীরব দৃঢ়তার ভেতরেই থাকে।

পুরুষের ভালোবাসা অনেকটা শান্ত নদীর মতো। বাইরে থেকে দেখলে স্থির, কিন্তু ভেতরে প্রবাহ সবসময় শক্তিশালী। সে হয়তো নিজের কথা কম বলে, নিজের ব্যথা গোপন রাখে, নিজের কষ্ট কাউকে বোঝায় না- কিন্তু প্রিয় মানুষটাকে ভালো রাখতে যে লড়াইটা সে করে, সেটা নিঃশব্দ হলেও বাস্তব। মানুষের সামনে সে যতটা সাধারণ, তার আপন মানুষটির সামনে সে ততটাই দায়িত্ববান।

ভালোবাসা মানে শুধু রোমান্টিক শব্দ নয়- এটা প্রতিদিনের ছোট ছোট কাজের ভেতর লুকিয়ে থাকে। ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাড়ি ফেরা, তবুও সঙ্গীর জন্য হাসিমুখে দাঁড়ানো। নিজের সমস্যা পাশে রেখে তার সমস্যা আগে সমাধান করা। হাসির আড়ালে নিজের চাপ চাপা রাখা। এসবই সেই নীরব প্রতিশ্রুতি- তোমাকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব আমার।

যে নারী একবার এই ভালোবাসার স্পর্শ পায়, সে জানে প্রতিটি বিপদের মুহূর্তে সে দৌড়ে বাইরে নয়, বরং এই মানুষটির বুকে আশ্রয় খুঁজবে। কারণ সত্যিকারের ভালোবাসা একজন পুরুষের বুকে শুরু হয়, আর একজন নারীর নিরাপত্তায় পূর্ণতা পায়।

©মিলনতত্ত্ব

আমার কাছে পৃথিবীতে সবথেকে পবিত্র কাজগুলোর মধ্যে একটি কাজ হলো সহবাস /মিলন । দুনিয়ায় শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সকলের জন্ম হয়েছ...
10/11/2025

আমার কাছে পৃথিবীতে সবথেকে পবিত্র কাজগুলোর মধ্যে একটি কাজ হলো সহবাস /মিলন । দুনিয়ায় শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সকলের জন্ম হয়েছে মিলনের মাধ্যমেই। নতুন একটি জীবনের অস্তিত্ত্ব হয়। এই কাজকে বৈধতা দেওয়ার জন্য বিয়ে। সঠিক সম্পর্কের ভেতরে ভালোবাসা, সম্মান ও দায়বদ্ধতাই একে পবিত্র করে তোলে।

ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর বৈধ সম্পর্ক এবং যৌনমিলন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র কাজ। এটি শুধুমাত্র শারীরিক চাহিদা মেটানোর উপায় নয়, বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি নেয়ামত এবং ইবাদতের অংশ। বৈধ পথে যৌনমিলন (স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে) আল্লাহর আদেশ পালন করার একটি মাধ্যম।

বিয়ের পর যে আত্মিক + শারীরিক সম্পর্ক হয়- এইটা যেমন পবিত্র , তেমনি অবৈধ সম্পর্ক ,বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক ততটাই অপবিত্র!

মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে আমাদের দেশের সবাই এটাকে খারাপ কাজ হিসেবে দেখে। আমরা আপনাদের সাহায্যে অনেক চেষ্টার পর একটি সুস্থ কমিউনিটি তৈরী করতে পেরেছি।

আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ রইলো, মিলনতত্ত্ব গ্রুপে আপনাদের সমস্যাগুলো শালীনতার সহিত + শালীন ভাষায় প্রকাশ করবেন। অনেক বেশি খোলামেলাভাবে বলার প্রয়োজন নেই। যারা পরামর্শ দিবেন আপনারাও শালীনতার সহিত পরামর্শ দিবেন৷

©মিলনতত্ত্ব

শহর থেকে একটু বাইরে আপনি যদি সনোলজিষ্ট(আল্ট্রাসাউন্ড) হিসাবে কাজ করতে যান আপনাকে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে...
04/11/2025

শহর থেকে একটু বাইরে আপনি যদি সনোলজিষ্ট(আল্ট্রাসাউন্ড) হিসাবে কাজ করতে যান আপনাকে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। প্রথম প্রথম খুব খারাপ লাগত।কিন্তু এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। কত আজগুবি কথা যে আপনাকে শুনতে হবে তার কোনো লাইসেন্স নাই।সেই আজগুবি কথার দিকে না গিয়ে একটা অদ্ভুত কিন্তু মজার ঘটনা শেয়ার করি–

দুই বান্ধবী আসছে আমার চেম্বারে।দুজনেরই বয়স ২০ বা ২১ বছরের মধ্যে।ধরা যাক, একজনের নাম "X"
আরেক জনের নাম "Y"!
X হচ্ছে আমার রোগী। Y তাকে নিয়ে এসেছে। দুজনেই আানম্যারিড।

কমপ্লেইন হল–তলপেটে ব্যথা..জ্বর জ্বর লাগে..রুচি নাই..শরীর দুর্বল..! মাথাও চক্কর দেয় মাঝে মাঝে।

পিরিয়ডের হিস্ট্রি নিলাম। সে ঠিকমত বলতেই পারলো না।

যেহেতু অবিবাহিতা সেহেতু সরাসরি কিছু জিজ্ঞেস করাও অশোভন।একটা আল্ট্রাসাউন্ড আর একটা প্রসাব পরীক্ষা দিলাম।
আল্ট্রাসাউন্ডে দেখি ৩ মাসের প্রেগন্যান্ট। অবাক হইনি।কারণ এটা আমাদের জন্য নতুন কিছু না। সব সনোলজিষ্টই এমন ঘটনা অহরহ ফেস করেন।
মেয়েটি যতটুকু নাটক করা দরকার সব করল । কিভাবে কি হলো সে জানেই না ।

এতেও অবাক হইনি । অনেকের বাতাসেই পেটে বাচ্চা আসে এ ঘটনাও আমরা জানি । এসব ক্ষেত্রে আমি একদম নিশ্চুপ থাকি।আমার ডায়াগনোসিস বলে আমি চুপ । যত বড় পূর্ণদৈর্ঘ‍্য বাংলা ছায়াছবিই হোক আমি চুপ তো চুপ ।

যাহোক, একটা আানম্যারিড মেয়ে প্রেগন্যান্ট এটা কিন্তু মূল বিষয় না ।

মূল বিষয়ে আসি এবার -
বাচ্চা যেভাবেই আসুক(বাতাসে,স্বপ্নে,আগুনে, অথবা পানিতে ভেসে ভেসে) যেহেতু মেয়েটি আনম্যারিড সেহেতু সে বাচ্চা রাখবে না ।
আমি যেহেতু টারমিনেশন করি না এবং এ রিলেটেড অ্যাডভাইসও দেই না সেজন্য আমি পেশেন্টকে ছেড়ে দিছি ।
কিন্তু পেশেন্ট এম আর (বাচ্চা নষ্ট করার পদ্ধতি )এখানেই করবে । রীতিমত হাতে পায়ে ধরাধরি । কান্নাকাটি । ম্যাডাম কি হবে আমার ? আমাকে বাচাঁন ।

পরে পেশেন্টকে বুঝিয়ে কাউন্টারে পাঠাইছি ।
কাউন্টার আর আমার চেম্বার পাশাপাশি। উপরে খোলা। মাঝখানে থাইগ্লাস দিয়ে পার্টিশন করা। কথা বার্তা সব শোনা যায়।
যেহেতু কৃমিনাল অ্যাবরশন,হসপিটাল কর্তৃপক্ষও মুখিয়ে থাকে। টাকার পরিমাণ নিয়ে দর কষাকষি হচ্ছিলো।
টাকার পরিমাণ শুনে রোগীর বান্ধবী উত্তেজিত হয়ে উচ্চস্বরে বলে উঠল–"এখানে এত বেশি চান কেন ? আমি গতমাসে করাইছি ৩০০০ টাকা দিয়ে !

কি বুঝলেন ? না বুঝলে জাতীয় ওষুধ নাপা খান!

-ডা.ফাহমিদা মাহবুবা

আব্বারা, একটু চোখ বন্ধ করে আম্মাদের জড়িয়ে ধরে অন্তর দিয়ে অনুভব করার চেষ্টা করবেন, আপনার প্রাণপ্রিয় বাচ্চারা সেখান থেকেই ...
02/11/2025

আব্বারা, একটু চোখ বন্ধ করে আম্মাদের জড়িয়ে ধরে অন্তর দিয়ে অনুভব করার চেষ্টা করবেন, আপনার প্রাণপ্রিয় বাচ্চারা সেখান থেকেই দুনিয়ার বুকে এসেছে। আম্মা কিন্তু অনেক অনেক বেশি ভালবাসার দাবীদার আব্বা। ভালবাসায় পরিপূর্ণ করে দিন সংসার। কল্যাণ হোক আমাদের প্রাণপ্রিয় বাচ্চাদের।

সংসারগুলো হয়েছে এখন অশান্তির জাহান্নাম। বাচ্চা মানুষ হবে কিভাবে!! প্রায় প্রতিটি বাচ্চা বড় হচ্ছে মানসিক ট্রমা নিয়ে।

আবার বলছি এই দেশ কেয়ামত পর্যন্ত বসবাসযোগ্য হবে না। আপনি ২০/২২ কোটি মানুষকে কখনোই পথে আনতে পারবেন না। এই সীমিত ভূমির মাঝে এই সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। অমানু**ষ ছাড়া মানুষ আর খুঁজে পাবেন না। দুষিত রাজনীতি, দুষিত আমলাতন্ত্র, দুষিত সরকারিতন্ত্র এদেশ থেকে কখনোই দূর হবে না।

কাজেই নিজের ঘরের দিকে মনোযোগ দিন। বাচ্চাদের সুসন্তান বানান। ভাল মানুষ বানান। তাদের সত্যবাদী বানান। এতে লাভ হবে আপনার। এরপর দেশ ও দশের।

তার আগে নিজের সংসারে শান্তি আনুন। আব্বাদের প্রতি অনুরোধ শুধু চামড়াকে গন্ডারের চামড়া বানাবেন। ওপারে যতোই চিৎকার, চেঁচামেচি, রাগ আর ভাঙ্গাভাঙ্গি হোক, হয় শুধু হাসবেন, নাহয় বাচ্চাদের সাথে খেলবেন। নাহয় আমার মত ঠেসে জড়িয়ে ধরবেন। খেল খতম।

আম্মাদের প্রতি অনুরোধ আব্বাদের প্রতি যথাযথ মর্যাদা দেয়ার চেষ্টা করবেন। প্লিজ অবজ্ঞা করবেন না।

স্ত্রীর প্রতি হিরোইজম এবং চে**ঙ্গি*স খান আর হা**লা.কু খান হয়ে সংসারে শান্তি কখনোই আনতে পারবেন না। কোনো ধর্ম আর কর্মেই সেটা অনুমোদিত নয়।

(পরকীয়া আর অমানুষ বাদে)

© Mahbub Kabir Milon

প/র্ন এবং এসকর্ট  বিজনেস নিয়ে কথা বলার আগে আপনাদেরকে কয়েকটা  তথ্য দিই । প্রাচীন গ্রিসে এই বিজনেসের সাথে যেসব নারীরা যুক্...
01/11/2025

প/র্ন এবং এসকর্ট বিজনেস নিয়ে কথা বলার আগে আপনাদেরকে কয়েকটা তথ্য দিই । প্রাচীন গ্রিসে এই বিজনেসের সাথে যেসব নারীরা যুক্ত ছিলেন তাদেরকে ৩ টা ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হতো । সেগুলো হচ্ছে ডিক্টারাইডস , এলুট্রাইডস এবং হেটাইরি ।

প্রথম গ্রুপটা ছিল ব্রোথেলের বাসিন্দা । অল্প দাম । খদ্দের আসবে , কাজ করবে চলে যাবে । এদের শিক্ষা দীক্ষা ছিল না । তবে ব্রোথেলে আসার পর সেক্স টেকনিক গুলো শেখানো হতো ভালোভাবে । ঠিক আমাদের দেশের বর্তমান সময়ের ব্রোথেলগুলোর মতো ।

২য় গ্রুপটা মানে এলুট্রাইডস ছিল সমাজের কালচারে অংশ নেয়া মেয়েরা । অর্থাৎ নাচ , গান , কবিতা , নাটক , যাত্রা এসবের সাথে যুক্ত ছিল । এদেরকে কাছে পেতেও গ্রীসের মানুষজন অর্থ খরচ করতো । এক রাতের জন্য পেতে গেলে ৫০ স্বর্ণ মুদ্রা খরচ করতে হতো সেই সময়ে । কোথাও কি মিল খুজে পাচ্ছেন ? জ্বি আপনি চোখের সামনে বর্তমানে যারা ভেসে উঠেছে তারাই এই গ্রুপটা ।

আর সবচেয়ে ভালো আর উন্নতমানের ছিল হেটাইরি গ্রুপটা । এরা ছিল উচ্চ শিক্ষিত , মার্জিত , রুচিশিল , স্বাধীন । গ্রীসের ধনীরা এদের সংগ পেতে প্রচুর অর্থ খরচ করতেন । এমনকি নিজের বৈধ স্ত্রীকে সাথে নিয়েও তাদেরকে ভোগ করতেন । বলুন তো দেখি এই গ্রুপটা এখন কাদের সাথে মিলে যাচ্ছে ? যে কোন নিয়োগের সময় যে পার্সোনাল এসিস্ট্যান্ট , সেক্রেটারি চাওয়া তাদের একটা বড় অংশ কিন্তু এমন কাজ করে থাকে যেটা কম বেশি সবাই জানে ।

বলা ভালো সেই সময়েই তারা প্রচুর অর্থ ইনকাম করতেন এবং সরকারী কোষাগারে রাজস্ব জমা দিতেন । সরকার নিজ উদ্যগে তাদের রেভিনিউ পাওয়ার আশায় , ব্যবসাটাকে সহজ করে দিতেন । যদিও সেই সময়ে গ্রীসের অনেক ব্রোথেলই প্রাইভেটাইজেশন হয়ে গেছিল ।

তো প্রাচীনকাল থেকে চলে আসা এই বিজনেসটার বর্তমান বাজার মূল্য কতো জানেন ?
প্রায় ৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার , যার মধ্যে ১২ বিলিয়ন ডলার আসে শুধু আমেরিকা থেকেই । আর আমেরিকার সাথে পাল্লা দিয়ে লড়ছে জাপান , কানাডা সহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলো ।

আমেরিকাতে ১৩-১৭ বছর বয়সি ৭৩ ভাগ ছেলে মেয়ে প/র্ণ দেখে থাকে । এদের মধ্যে ২৮ ভাগ ছেলে মেয়ে এক্সিডেন্টালি প/র্ণে এক্সপোজড হয় । ১৯ ভাগ ছেলে মেয়ে ইনটেনশনালি এই জিনিসটা নিয়ে সার্চ করে ।

বৃটিশদের মধ্যে ১১-১৬ বছর বয়সী প্রায় ৪৪ ভাগ ছেলে মেয়ে পর্ণ দেখে থাকে । এবং অনেকে এটাও মনে করে তাদের সেক্স এডচুকেশইনে পর্ণের ভূমিকা আছে ।

এই যখন বিজনেসের অবস্থা , তখইন আপনি চাইলেই এক ধ্যাক্কায় সেটা বন্ধ করতে পারবেন না । দিন কয়েক আগে একটা বাংলাদেশি কাপল এক্সপোজ হয়েছে । আপনার কি ধারনা বাংলাদেশ এতোটুকুতেই আটকে আছে ?

ভুল ধারণা ।
ব্রোথেলে যাওয়ার যুগ বহু আগেই শেষ হয়েছে । এখন দরকার টাকা । হাতে নটের তাড়া নিয়ে দাড়ান । যা চান , যেমন চান ,যেভাবে চান সব পাবেন ।

এখন থেকে বছর ছয়েক আগেই মিডিয়াতে দেখেছিলাম পার্কে ক্যামেরা সামনে ধরা খাওয়া স্কুল কলেজের মেয়েরা সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে ভাড়ায় প্রেম করতে যায় । এরা কোন অশিক্ষিত কম জানা বুঝা মেয়ে নয় । শিক্ষিত , স্মার্ট এবং কথিত ভালো পরিবারের ।

বাইসেক্সসুয়াল ম্যান ।
মাল্টিন্যাশানালে জব করে । নিজের স্ত্রীকে দিয়ে বিজনেস করায় । স্ত্রীও খুশি মনে কাজ করছে ।
প্রচুর টাকা কামায় । পুলিশের হাতে ধরা খাওয়ার পর আবার সেই টাকার খেলা দেখিয়ে বেরিয়েও আসে ।

এই বিজনেস আসলে হিজাব , ধার্মিক ,আস্তিক ,নাস্তিক দেখে হয় না । আর দশটা বিজনেসের মতো এটাও জাস্ট একটা বিজনেস । খাটি বাংলায় কথাটা ভালো শোনায় না । স্মার্ট ইংলিশে বলে এসকর্ট ।

আমি তাই সব সময় বলি , হাতে যতক্ষন টাকা আছে , পাশে থাকার মানুষের ( খেয়াল করে ) অভাব নাই :-)

Arafat Abdullah

ফোরপ্লে / সহবাস করার সময় পুরুষ লিঙ্গে অথবা  স্ত্রীলিঙ্গে মুখ দেওয়া যাবে কি না?উত্তর➤এক. স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের দেহ থেকে...
29/10/2025

ফোরপ্লে / সহবাস করার সময় পুরুষ লিঙ্গে অথবা স্ত্রীলিঙ্গে মুখ দেওয়া যাবে কি না?

উত্তর➤

এক. স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের দেহ থেকে সব উপায়ে সুখ নেয়ার অনুমতি ইসলামে আছে। কেননা, আল্লাহ তাআলা বলেন,

نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّىٰ شِئْتُمْ

তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেতস্বরূপ; অতএব তোমরা যেভাবেই ইচ্ছা তোমাদের ক্ষেতে গমণ কর। (সূরা বাকারা, ২২৩)

তবে এ ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখা বাঞ্ছনীয়। যথাক্রমে-

১- যে উপায়ে সুখ নেয়া হারাম হওয়ার ব্যাপারে স্পষ্ট দলিল আছে, তা পরিহার করতে হবে। যেমন, মলদ্বারে সহবাস এবং ঋতুবতী ও প্রসব পরবর্তী সময়ে নির্গত রক্তস্রাব অবস্থায় সহবাস।

২- স্বামী-স্ত্রী পরস্পর থেকে সুখ ভোগ করার সময় ইসলামী শিষ্টাচার ও নীতি-নৈতিকতার প্রতি লক্ষ রাখতে হবে।

দুই. এবার আসা যাক, স্ত্রীর যৌনাঙ্গে মুখ দেওয়া প্রসঙ্গে। এ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধতার ব্যাপারে কোরআন হাদিসে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় না বিধায় বিষয়টিকে অকাট্য হারাম বলার সুযোগ নেই। তবে এর মাঝে ইসলামী শিষ্টাচার-বহির্ভূত কিছু দিক রয়েছে। যেমন,

১. লজ্জাস্থান থেকে নির্গত নাপাক (বীর্য, মযি ইত্যাদি) জিহ্বা, মুখ ইত্যাদিতে লাগবে। আর জরুরত ছাড়া নাপাক স্পর্শ করাকে ফকিহগণ বৈধ মনে করেন না।

২. মানুষের শরীরের সবচেয়ে সম্মানিত অঙ্গ হলো চেহারা। আর লজ্জাস্থান হলো নাপাকির জায়গা। সুতরাং সম্মানিত জায়গাকে নাপাকির জায়গায় স্পর্শ করানো অবশ্যই নিন্দনীয়।

৩. মুখ দ্বারা আল্লাহর কালাম তিলাওয়াত করা হয়, যিকির করা হয়। এই মুখে নাপাক লাগানো এবং নাপাকির স্থান চুমো দেয়া বা Suck করা বড় গর্হিত কাজ।

৪. মুখের অনেক জীবাণু লজ্জাস্থানে রোগ সংক্রামণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া লজ্জাস্থানের জীবাণু মুখে এবং মুখের ভায়া হয়ে ভেতরে রোগ সংক্রামণ করার আশংকা থাকে। দুর্ঘটনাবশত ধারালো দাঁতও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এসব কারণে ফকিহগণ এটাকে মাকরুহ বলেছেন। তবে সহবাসের পূর্বে নাপাক না লাগার শর্তে কিছু ফকিহ লজ্জাস্থানে চুমু দেয়ার (লেহন নয়) অবকাশ দিলেও এটাকে পরিহার করাকে উত্তম বলেছেন। যেমন, প্রসিদ্ধ হানাফি ফকিহ বুরহানুদ্দীন মাহমুদ ইবন তাজুদ্দীন রহিমাহুল্লাহ বলেন,

إذا أدخل الرجل ذكره في فم امرأته يكره لأنه موضع قراءۃ القرآن فلا یلیق به إدخال الذکر به

যদি পুরুষ নিজের লজ্জাস্থান স্ত্রীর মুখে প্রবেশ করায় তাহলে তা মাকরুহ হবে। কেননা, মুখ কোরআন তেলাওয়াতের স্থান। সুতরাং এখানে লজ্জাস্থান প্রবেশ করানো অনুচিত। (আল্মুহীতুল বুরহানী ৮/১৩৪)

দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁরা উত্তরে লিখেছেন,

تقبیل أحد الزوجین ف*ج الآخر میں ان آداب کی رعایت ناممکن ہے، پھر زبان جس سے اللہ کا ذکر کیا جاتا ہے اس سے شرمگاہ کو بوسہ لینا وغیرہ کسی بھی طرح مناسب معلوم نہیں ہوتا، نیز یہ جانوروں کا طریقہ ہے؛ اس لیے بہرصورت ایک مسلمان کو اس سے پرہیز کرنا چاہیے، باقی اگر کسی نے غلبہ شہوت میں ایسی حرکت کرلی اور شرمگاہ پر نجاست نہیں لگی ہوئی تھی تو ناجائز یا حرام نہیں کہا جائے گا۔

স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের লজ্জাস্থানে চুমো দেয়ার মাঝে এসব (ইসলামী) শিষ্টাচারের প্রতি লক্ষ রাখা অসম্ভব। তাছাড়া যবান যা দ্বারা আল্লাহর জিকির করা হয় তা দ্বারা লজ্জাস্থানে চুমো ইত্যাদি দেয়া কোনোভাবেই সঙ্গত মনে হয় না। এটা পশুদের স্বভাবও বটে। তাই একজন মুসলমানের উচিত সর্বাবস্থায় এ থেকে বিরত থাকা। তবে কেউ যদি অত্যাধিক উত্তেজনার কারণে এ কাজ করে ফেলে এবং লজ্জাস্থানে নাপাকি না থাকে তাহলে নাজায়েয কিংবা হারাম বলা যাবে না।

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী
সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর
খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর

এটা দুর্ঘটনা নয়! এটা দায়িত্বে অবহেলাজনিত হত্যা!এই দেশটা বহু আগেই মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে, কারো সময়ের কোন দাম নাই৷ কা...
26/10/2025

এটা দুর্ঘটনা নয়! এটা দায়িত্বে অবহেলাজনিত হত্যা!

এই দেশটা বহু আগেই মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে, কারো সময়ের কোন দাম নাই৷ কারো কাছে কৈফিয়ত দেওয়ার কেউ নাই!!

এই দেশে আপনি বাসা থেকে বের হবার সময় অবশ্যই পরিবারের সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বের হবেন, কারণ আপনি বেচেঁ ফিরবেন নাকি লাশ হয়ে ফিরবেন, তার কোনো গ্যারান্টি এইখানে নাই! কোনোদিন ছিলোও না!

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লাশ নিতে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত ব্যক্তির স্ত্রী।

26/10/2025

প্রশ্ন : শ্বশুর মারা যাবার পর স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করাতে কোন বিধিনিষেধ আছে কি? কিছু লোক আমার স্ত্রীকে বলেছে যে, চল্লিশ দিন পর্যন্ত এ থেকে বিরত থাকতে হবে। আমার নির্ভরযোগ্য তথ্য জানা দরকার।

উত্তর :
সর্বোচ্চ তিনদিন পর্যন্ত বিরত থাকতে পারে। শোক পালন হিসেবে। কিন্তু এটাও জরুরী নয়। কিন্তু এর চেয়ে বেশি দিন স্বামী ছাড়া অন্য কোন আত্মীয়ের জন্য শোক পালন করার অনুমতি নেই।

তাই পিতা মারা গেলে চল্লিশ দিন পর্যন্ত স্ত্রী সহবাস করা যাবে না মর্মে যে কথাটি শুনেছেন তা সম্পূর্ণই গলদ ও ভুল। শরীয়তে এর কোন ভিত্তি নেই।

عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَتْ: لَمَّا أَتَى أُمَّ حَبِيبَةَ نَعِيُّ أَبِي سُفْيَانَ، دَعَتْ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ بِصُفْرَةٍ، فَمَسَحَتْ بِهِ ذِرَاعَيْهَا، وَعَارِضَيْهَا، وَقَالَتْ: كُنْتُ عَنْ هَذَا غَنِيَّةً، سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، أَنْ تُحِدَّ فَوْقَ ثَلَاثٍ، إِلَّا عَلَى زَوْجٍ، فَإِنَّهَا تُحِدُّ عَلَيْهِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا»

যায়নাব (রদ্বিয়াল্লাহু আনহা) বলেছেন, যখন নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী উম্মু হাবীবা (রদ্বিয়াল্লাহু আনহা) এর পিতা আবূ সুফিয়ান ইন্তেকাল করেন তখন আমি তাঁর কাছে গেলাম। আমি দেখতে পেলাম যে, উম্মু হাবীবা (রদ্বিয়াল্লাহু আনহা) হলদে বর্ণের মিশ্রিত সুগন্ধি আনালেন অথবা অন্য কোন প্রসাধনী চেয়ে পাঠালেন। এরপর তা থেকে একটি বালিকাকে নিজ হাতে লাগিয়ে দিলেন। এরপর তিনি তার দুই কপালে হাত মুছে নিলেন। এরপর তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমার সুগন্ধি ব্যবহারের কোন প্রয়োজন ছিলনা। তবে আমি রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বরে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছি যে, যে মহিলা আল্লাহ ও পরকালে ঈমান রাখে, সে মহিলার জন্য তার কোন আত্নীয়ের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশী শোক পালন করা হালাল নয়। তবে বিধবা স্ত্রী তার স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশদিন শোক পালন করবে। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৪৮৬]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا دَعَا الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ إِلَى فِرَاشِهِ فَأَبَتْ فَبَاتَ غَضْبَانَ عَلَيْهَا لَعَنَتْهَا المَلاَئِكَةُ حَتَّى تُصْبِحَ»

আবূ হুরাইরাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন লোক যদি নিজ স্ত্রীকে নিজ বিছানায় আসতে ডাকে আর সে অস্বীকার করে এবং সে ব্যক্তি স্ত্রীর উপর দুঃখ নিয়ে রাত্রি যাপন করে, তাহলে ফেরেশতাগণ এমন স্ত্রীর উপর সকাল পর্যন্ত লা‘নত দিতে থাকে। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩২৩৭]

والله اعلم بالصواب
উত্তর লিখনে
মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী হাফিজাহুল্লাহ
উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার, ঢাকা

সহবাসের সময় বা ফোরপ্লে করলে, যখন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই খুব উত্তেজিত থাকে, তখন স্ত্রীর মুখ থেকে কিছু শব্দ বের হয়, যেগুলো ক...
25/10/2025

সহবাসের সময় বা ফোরপ্লে করলে, যখন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই খুব উত্তেজিত থাকে, তখন স্ত্রীর মুখ থেকে কিছু শব্দ বের হয়, যেগুলো কে বলা হয়, মোন, মোয়ান, মৌন বা Moan. পুরুষের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়। এই শব্দগুলো সহবাসের পরিবেশ কে আরো মোহনীয় করে ফেলে। সংক্ষেপে হানিমুনের ফিল নেওয়া।

কিন্তু যদি কেউ এমন জায়গায় মিলন করে, যেখানে শব্দ বাইরে চলে যাওয়ার ভয় থাকে, যেমন টিনের ঘর বা ছোট রুমে, তাহলে লজ্জা বা ভয়ে অনেকে মুখ চেপে রাখে, শব্দ হতে দেয় না। এতে সহবাসের আনন্দটা পুরোপুরি পাওয়া যায় না। তাই চেষ্টা করা উচিত এমন জায়গায় মিলন করা, যেখানে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই স্বাভাবিকভাবে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে, ভয় বা সংকোচ ছাড়া।

যারা শুধু নাকের পানি ফেলার তালে থাকে, এদেরকে পানিপরা দিয়ে হলেও এসব বিষয় বুঝানো উচিত।

©মিলনতত্ত্ব

Address

Dhaka
1000

Website

https://www.facebook.com/DesireShop.MilonTotto/

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মিলনতত্ত্ব posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category