Prokoron.Com

Prokoron.Com A Brand That You Need !

আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অনেক দূর্বল। সেজন্যই শক্ত করে আজ অব্দি কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি এই দেশ।  আশা করি পররাষ্ট্রনীতি শক্ত ...
23/08/2024

আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অনেক দূর্বল। সেজন্যই শক্ত করে আজ অব্দি কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি এই দেশ। আশা করি পররাষ্ট্রনীতি শক্ত এবং মজবুত করে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই ব্যাপার তুলে ধরতে হবে কঠিন ভাবে।
বড় লিখা অনেকেই পড়তে চায়না। যারা পড়বে তারা বুঝবে। 🙂
👇
প্রথমে জানি বাঁধ কি এবং কেন দেয়া হয়?
বাঁধ হচ্ছে একটি দরজা সম্বলিত দেয়াল।
নদীতে বাঁধ বলতে এটাই বুঝবো একটা প্রবাহমান নদীতে তালাবন্ধ দরজা সহ দেয়াল তুলে দেয়া হয়েছে।
যখন দরজা খোলা হবে না , জল অন্যদিকে আসবে না। যখন খোলা হবে হুড়মুড়িয়ে ছুটে আসবে।
কেন বাঁধ দেয়া হয় ?
যাতে কেউ জল প্রিসার্ভ বা সংরক্ষণ করতে পারে। এই সংরক্ষিত জল দিয়ে তারা পরে সেচ প্রকল্প করতে পারে। কারণ শুষ্ক মৌসুমে অনেক দূরের এলাকা গুলো যদি জল না পায় তখন এই সরক্ষিত জল ব্যবহার করা যেতে পারে।

এবার আসি তিস্তা বাঁধ নিয়ে….

তিস্তা নদীটা ভারত এবং বাংলাদেশ উভয় দেশেই প্রবাহমান। একটা অভিন্ন নদী । বাচারা নদী আপনাদের মত রীদনীতি বোঝে না ।
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে ঢুকেছে এই নদী। ভারতের সিকিম থেকে উৎপন্ন হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ছুঁয়ে বাংলাদেশে পড়েছে তিস্তা।
সেই নদীর ওপর বাঁধ দিয়েছে ভারত। বাঁধের নাম তিস্তা বাঁধ বা তিস্তা ড্যাম বা ব্যারাজ।পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার গজলডোবায় তিস্তা নদীর ওপর তৈরি হয়েছে ২৮৫ ফুট উঁচু এই বাঁধ।
বাঁধস্থলে বর্ষা মৌসুমে পানি থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকে কম। চর পড়ে যায়। এই বাঁধে পানি আটকে রেখে সেই পানি শুষ্ক মৌসুমে কৃষিকাজে ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
তখন বাংলাদেশের ১২ টা বেজে যায়। কারণ সব পানি তো তারা রেখেই দিয়েছে। বাংলাদেশে খরা এর সৃষ্টি হয় , সেচ এর জন্য জমিগুলোতে পানি পাওয়া যায় না। উত্তরবঙ্গের অনেক অনেক কষ্ট হয়।
আবার বর্ষাকালে ঠিক উল্টা , যেহেতু বর্ষাকালে সরক্ষন এর বেশী তারা রাখতে চায় না, তারা অতিরিক্ত জলধারায় বন্যা হবার ভয়ে দরজা খুলে দেয় , বন্যা তখন উল্টা বাংলাদেশের জন্য অবধারিত হয়।
নদীকে স্বাভাবিক ভাবে প্রবাহিত হতে দিলে হয়ত দুই দেশ ই কম পেতো কিংবা দুই দেশ ই বেশি পেতো কিন্তু তাও
সেটাকে natural বা প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম বলা যেত। And that would have been Fair .

কিন্তু এভাবে বাঁধ দিয়ে সব জল নিজের করে নেয়াটা আন্তর্জাতিক প্রতিবেশী চুক্তি কে লঙ্ঘন করা।

অনেকটা এমন ……আপনার থেকে শক্তিশালী কোনো সহচর , যেদিন তার ক্ষিধে আপনার সারাদিনের একমাত্র খাবারটি ছিনিয়ে নিবে আবার যেদিন সে অন্য কোথাও খেয়ে এসেছে , সেদিন সে তার সব খাবার আপনার পেট ভরা থাকলেও ঠেসে ঠেসে ঢুকাবে। এটা অন্যায়।
ভারত এই অন্যায় করছে কেন ???

সম্ভবত এটার উত্তরে ভারত বলবে আমাদের ইচ্ছা , আমরা আমাদের স্থানে বাঁধ বানিয়েছি , আমরা আমাদের দেশের কথা ভাববো , তোমাদের কি ??

এই টা অন্যায় কথা , অমানবিক কথা , স্বার্থপরের মত ভাবনা।
এই যে ভালো সহচর হবার দৃষ্টান্ত না রাখা সেটা কে প্রতিহিত করতে হলে , বিশ্বদরবারে নিজেদের পররাষ্ট্রনীতি শক্ত করতে হবে।
সব দেশ নিজেদের স্বার্থ দেখবে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যখন অন্যরাষ্ট্র অন্যায় করে তাকে বিরোধ টাও স্মার্টলি করতে হয় , বিশ্বের দরবারে নেটওয়ার্কিং বাড়াতে হয় , বড় বড় অভিভাবকদের কাছে বিচার ঠিকভাবে জানতে হয়।

কিন্তু রাজনৈতিক নেতারা নিজেদের স্বার্থ দেখতে দেখতে সেগুলো ভুলেই যায় বা ইচ্ছে করে ভুলে থাকে।

বুয়েটের ড. আইনুন নিশাত স্যার বলেছেন আইনুন নিশাত বলছেন, “আল্টিমেটলিতো ভারত থেকে কতটা পানি আসবে সেটার সিদ্ধান্ত হতে হবে। এখন পর্যন্ত ভারত গায়ের জোরে আমাকে শূন্য দিচ্ছে। এটাতো আলোচনার বিষয়বস্তু হতে পারে না। কাজেই বণ্টনের ব্যবস্থাপনা ছাড়া কোনো ব্যবস্থাপনার মহাপরিকল্পনা আমার কাছে অবাস্তব মনে হয়।”
মজার কথা হচ্ছে , শুষ্ক মৌসুমে ৫০০০ কিউসেক চেয়েছিলো , তারা দিচ্ছে ১২০০ কিউসেক এর মত। আর বর্ষাকালে যখন তখন গেট খুলে দিচ্ছে , গেট খুলার সময় টাও নির্ধারণ করছে না। এটা একটা আন্তর্জাতিক অপরাধ এর মত।

ভারত এটা করছে কারণ , আমরা তাদের কে করতে দিয়েছি আমাদের কূটনীতিক দুর্বলতার কারণে।

আমরা যেদিন মুখস্ত বিদ্যা কমিয়ে, এবং কাগজে কলমে স্মার্ট কম হয়ে যখন ব্যবহারিক স্মার্ট কিংবা স্ট্রিট স্মার্ট এবং কিছুটা আত্মরক্ষাকারী বুদ্ধি দিয়ে নিজেদের অবস্থান শক্ত করবো , সেদিন অন্যায় করতে পারবে না।
উল্টাপাল্টা জায়গায় সামগ্রিক পরিবেশ এবং সামগ্রিক পৃথিবীর কথা না চিন্তা করে বাঁধ বসানো টাই অন্যায়। গেইট খোলা না খোলা তো পরের কথা।

এবার যেমন ভারতের ত্রিপুরা আর বাংলাদেশে প্রবাহিত অভিন্ন নদী গোমতী নদীর বাঁধ ডম্বুর গেট খোলাতে , ফেণী , নোয়াখালী আর কুমিল্লাতে বন্যা। খুব খারাপ হলো ।

মনেপ্রানে চাই,
বাংলাদেশের পররাস্ট্র কূটনীতি অনেক মেধাবী হবে, অনেক ক্ষুরধার হবে ভবিষ্যতে , চুক্তিটা আমাদের পক্ষে আনার জন্য ।

এবার ফেসবুকে আঙুলের জোরে কম্পিউটারের কীবোর্ড বা মোবাইল স্ক্রিন ভাঙা কিছু গায়েবি বিজ্ঞদের সেই মন্তব্য -
“হিন্দুরা তোরা চিল্লাস না কেন”

এক্সকিউজ মি স্যার অর ম্যাম ,
হিন্দুরা বাংলাদেশের কোন জায়গায় গিয়ে চিল্লাইসে ভারত ভালো ভারত ভালো ?

ভাই নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য আর্তি জানাইসে , এর সাথে ভারত মিশাইতেসেন কেন ?? বাংলাদেশের হিন্দুরা তো বাংলাদেশেই থাকতে চাচ্ছে , তাদের বাংলাদেশে থাকার সাথে ভারতের সম্পর্ক কি ???
কিছু হইলেই ভারত = বাংলাদেশের হিন্দু ভাবা বাদ দেন।

লেখাপড়া কম জানলে , বই কিনেন গুগল করেন , পড়তে বসেন। তারপর রাস্তায় বের হন , গ্রামে গঞ্জে যান -মানুষের সাথে কথা বলেন , আসল চিত্র কি বোঝার জন্য।

নিজের অজ্ঞতা আরো প্রকাশ করার জন্য মানুষের কথা কান দিয়ে শুনে তারপর "কান নিয়েছে চিলে " পোস্টাইলে কি আর করতে পারি !!
——————
জ্ঞান টা বাড়ান।
——————
©️ ধীমান
২১শে আগস্ট, ২০২৪

ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতে হলে, নিরাপদে থাকতে হলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি পড়ুন। এখানে ডেঙ্গু জ্বর এর প্রতিরোধ ও সতর্কতা নিয়ে আ...
31/07/2023

ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতে হলে, নিরাপদে থাকতে হলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি পড়ুন। এখানে ডেঙ্গু জ্বর এর প্রতিরোধ ও সতর্কতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

বিস্তারিত দেখুন নিচেঃ

ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতে হলে, নিরাপদে থাকতে হলে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি পড়ুন। এখানে ডেঙ্গু জ্বর এর প্রতিরোধ ও সতর্কত.....

আমাদের ত্বকের ওপরের অংশে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে। ইংরেজিতে সেগুলোকে 'পোরস' বলে।সাধারণভাবে এগুলো চোখে পড়ে না। তবে যাদের ত্বক অ...
28/05/2023

আমাদের ত্বকের ওপরের অংশে ছোট ছোট ছিদ্র থাকে। ইংরেজিতে সেগুলোকে 'পোরস' বলে।

সাধারণভাবে এগুলো চোখে পড়ে না। তবে যাদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত এবং প্রচুর সিবাম উৎপন্ন হয়, তাদের পোরস বাইরে থেকে দেখা যায়।

তাছাড়া খাওয়াদাওয়া যদি ঠিকঠাক না হয়, তা হলে সমস্যা বাড়ে। ত্বক আরও বেশি করে সিবাম তৈরি করতে আরম্ভ করে, পোর ক্রমেই বড় হয়।

বাড়তি সিবাম আর ধুলাময়লা জমে তৈরি হয় ব্ল্যাকহেডস। বাড়ে ব্রণ, ফুসকুড়ির মতো সমস্যাও। এভাবে বেশি দিন চললে ত্বক আলগা হতে আরম্ভ করে। বয়সের ছাপ তাড়াতাড়ি পড়ে।

চলুন, জেনে নিন এই সমস্যার সমাধান কীভাবে মিলবে।

অ্যালোভেরা জেল

দিনে দুই বেলা তাজা অ্যালোভেরার পেস্ট দিয়ে মুখে ম্যাসাজ করুন। লাগিয়ে রেখে দিন মিনিট দশেক। তাতে ত্বক আর্দ্র থাকার পাশাপাশি পোরসের আকারও ছোট থাকবে। দশ মিনিট পর আপনি যখন মাস্ক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন, তখন সরে যাবে সব ময়লার পরত।

অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার

সম পরিমাণ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার আর ফিল্টার করা পানির মিশ্রণ তুলায় করে লাগিয়ে নিন মুখে। তারপর স্বাভাবিকভাবে শুকাতে দিন। নিয়মিত টোনার হিসেবে এটি ব্যবহার করলে ত্বকের পোরস ক্রমেই ছোট হতে আরম্ভ করবে।

ডিমের সাদা অংশের মাস্ক

ডিমের সাদা অংশ, ওটমিলের গুঁড়া, আর সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন। তারপর তা মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন মিনিট দশেক। শুকিয়ে গেলে মাস্ক তুলে নিন চক্রাকারে হাত ঘুরিয়ে। তার পর লাগান ময়েশ্চারাইজার। ক্রমেই ত্বকের টানটান ভাব ফিরে আসবে।

বেসন, হলুদ আর দইয়ের প্যাক

সবটা মিশিয়ে প্যাক হিসেবে লাগান। শুকিয়ে গেলে তুলে ফেলুন। কিছুদিনের মধ্যে পোরস ছোট হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতাও ফিরে আসবে।

কলার খোসা

কলা খেয়ে খোসাটা ফেলে দেবেন না। তা ভালো করে ধুয়ে নিয়ে মুখে ঘষুন আলতো হাতে। তারপর পানির ঝাপ্টা দিয়ে ধুয়ে নিন এবং ক্রিম লাগান। এক দিন পরপর এই পদ্ধতি ট্রাই করলে ত্বকের সমস্যা কমবে, ব্রণ হবে না, ছোট হবে পোরস।

দাঁতের স্বাস্থ্য সম্ভব সচেতন হলেই দাঁতের প্লাক দূর করা.........বিশ্বে দাঁতে ব্যাথা বা মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া রোগীর সংখ্যা...
26/11/2022

দাঁতের স্বাস্থ্য
সম্ভব সচেতন হলেই দাঁতের প্লাক দূর করা.........
বিশ্বে দাঁতে ব্যাথা বা মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া রোগীর সংখ্যা কত বলা মুশকিল। এতগুলো মানুষের দাঁত ও মাড়ির রোগ তৈরির পেছনে প্রায় এককভাবে দায়ী ডেন্টাল প্লাক। অথচ একটু সচেতন ও স্বচ্ছ ধারণা থাকলেই প্লাককে দূর করা সম্ভব। প্লাক দূর করতে হলে প্রথমে জানতে হবে এটি কী?
প্লাক একটি সাদা আঠালো স্তর যা দাঁতের পৃষ্ঠ এবং দাঁত ও মাড়ির মধ্যবর্তী স্থানে তৈরি হয়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে ২৪ ঘণ্টায় একবারও দাঁত পরিষ্কার না করলে দাঁতের উপর নখ দিয়ে আচড় দিলে যে সাদা বর্ণের ক্রিমের মতো পদার্থ দেখা যায় সেটাই প্লাক।
পরিপূর্ণ প্লাক তৈরি প্রক্রিয়া :
প্রথমে আমাদের নিঃসৃত লালার বিশেষ একটি উপাদান দাঁতের পৃষ্ঠে জমে। অনেকটা স্বচ্ছ এই স্তরটি ব্যাকটেরিয়াদের খুব পছন্দ বলে দ্রুত এর মধ্যে বাসা বাঁধতে শুরু করে। যেহেতু স্তরটি আঠালো তাই সহজেই গৃহীত খাদ্যকণা এর মধ্যে ঢুকে যায়। এই সব মিলিয়ে প্লাক পূর্ণতা পায়।
লালা থেকে পুনরায় আগত অজৈব পদার্থ দিয়ে ডেন্টাল প্লাক শক্ত পাথরে পরিণত হয়। যাকে টার্টার বা ক্যালকুলাস বলা হয়।
প্লাক কীভাবে ক্ষতি করে :
প্লাকের মধ্যকার অগণিত ব্যাকটেরিয়া গৃহীত মিষ্টিজাতীয় খাদ্যকে গাঁজন প্রক্রিয়ায় এসিড তৈরি করে। এই এসিড দাঁতের শক্তিশালী আবরণকে ক্ষয় করে ডেন্টাল ক্যারিজ তৈরি করে।
অপরদিকে মাড়ি ও দাঁতের মাঝে জমাকৃত প্লাকের মধ্যকার ব্যাকটেরিয়া ও তাদের তৈরি বিষাক্ত পদার্থ মাড়িতে প্রদাহ ও সংক্রমণের সৃষ্টি করে।
ফলাফল :
ডেন্টাল ক্যারিজ থেকে সংক্রমণ ভেতরকার মজ্জায় পৌঁছে যায়, ফলে দাঁত ব্যথা শুরু হয়। পরবর্তীকালে দাঁতের গোড়ায় যেয়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেয়। তখন দাঁতের গোড়া ফুলে যায়। জীবাণুর আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে অথবা রোগীর নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে এখান থেকে ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কাও থাকে।
একইভাবে মাড়ি সংক্রমণ থেকে জীবাণু দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থল থেকে ভেতরে ঢুকতে থাকে। ফলে দাঁতের ধারক কলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, দাঁত নড়ে যেতে পারে।
প্লাক রোধে সচেতনতা:
প্লাকের ভয়াবহতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে আর মনে রাখতে হবে, এটি একটি আঠালো স্তর যা সঠিকভাবে ব্রাশের মাধ্যমে দূর হবে।
প্রতিটি দাঁতের ৫টি পৃষ্ঠ থাকে। একটি বাইরের দিকে, আরেকটি জিহ্বার দিকে, চর্বণে ব্যবহৃত পৃষ্ঠ ও বাকি দুটি দুই পাশের দাঁতের সংযোগস্থলের পৃষ্ঠ। স্বভাবগত কারণেই আমরা শুধু বাইরের পৃষ্ঠ পরিষ্কার করি। ডেন্টাল ফ্লসের ব্যবহার কতজন জানি তা সম্মানিত পাঠকগণই বলতে পারবেন।
আজকাল, ডিজিটাল দেশের যুগে ইন্টারনেটে দাঁত ব্রাশের সঠিক নিয়ম জানা যায়। প্রয়োজনে ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ নিয়ে প্লাক রোধের প্রক্রিয়া জানা যেতে পারে। যেখান থেকেই সম্ভব সঠিক নিয়মে দাঁত পরিষ্কার পদ্ধতি জানতে হবে আপনার নিজের স্বার্থেই। কারণ দাঁত সংখ্যায় বেশি হলেও আপনার অতি মূল্যবান অঙ্গ যা কেবল হারালেই উপলব্ধি করা যায়।
সামর্থ্য থাকলে বছরে দুই বার না হলে অন্তত একবার ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শে স্কেলিং করিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেয়ার চেষ্টা করুন। সুস্থ সবল মজবুত দাঁত নিয়ে জীবন কাটান।

ত্বকের ক্যানসার............ত্বকের ক্যানসারে ত্বকের কোষগুলি কীভাবে বদলায়, গবেষকরা সেটা অনুসন্ধান করে দেখেছেন। উদ্দেশ্য হল...
25/11/2022

ত্বকের ক্যানসার............
ত্বকের ক্যানসারে ত্বকের কোষগুলি কীভাবে বদলায়, গবেষকরা সেটা অনুসন্ধান করে দেখেছেন। উদ্দেশ্য হলো, এমন একটা ক্রিম আবিষ্কার করা, যা এই প্রক্রিয়াকে রুখতে কিংবা বিলম্বিত করতে পারবে।
যেন একজন প্রাপ্তবয়স্ক হঠাৎ আবার শিশুতে পরিণত হয়ে দ্বিতীয়বার বাড়তে শুরু করেছে– কিন্তু অসুস্থ হয়ে। ত্বকের একটি সাধারণ কোষ এভাবেই টিউমারে পরিবর্তিত হয়। যেন তার কম্পিউটার প্রোগ্রামটা উল্টে দেওয়া হয়েছে। ব্রাসেলস ফ্রি ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই তথ্যটি আবিষ্কার করেছেন।
তারা তথাকথিত ‘বাসাল সেল ক্যানসার'-এর টিউমারগুলি নিয়ে গবেষণা করেন। এই জাতের ক্যানসার প্রধানত ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দেখা যায়, যে কারণে এককালে এটাকে ‘শ্বেত' ত্বকের ক্যানসার বলা হতো।
বিজ্ঞানীরা এযাবত জানতেন, ত্বকের স্টেম সেলগুলোর মিউটেশন হয়েই ত্বকের ক্যানসারের সেল তৈরি হয়। ত্বকের স্টেম সেলগুলি সাধারণত ত্বক যাতে কাটাছেঁড়ার পর নিয়মিত সারে, তার ব্যবস্থা করে। কিন্তু তারা যখন মিউটেট করে, অর্থাৎ তাদের ডিএনএ বদলে যায়, তখন তারা যথেচ্ছ বংশবৃদ্ধি শুরু করতে পারে।
ক্যানসার গবেষক সেড্রিক ব্লঁপ্যাঁ কিন্তু দেখাতে সমর্থ হয়েছেন যে, শুধু স্টেম সেলগুলিই নয়, ত্বকের সাধারণ, সুস্থ কোষগুলোও এই উল্টো প্রোগ্রামিং-এর ফলে ক্যানসারের সেলে পরিণত হতে পারে।
হাইডেলবের্গে জার্মান ক্যানসার গবেষণা কেন্দ্রের মার্টিন স্পিক মনে করেন, ত্বকের সাধারণ কোষ এবং স্টেম সেল, দুটো থেকেই ক্যানসারের উৎপত্তি হতে পারে। যার ফলে সংশ্লিষ্ট টিউমারগুলিও বিভিন্ন আকার ও প্রকৃতি পায়। আসল কথা হলো, ত্বকের সাধারণ কোষগুলির প্রোগ্রাম পাল্টে দিলে তারা ধীরে ধীরে এমব্রিয়োনাল স্টেম সেলের আকৃতি ধারণ করে।
এই এমব্রিয়োনাল স্টেম সেলগুলিকে বস্তুত শুধু ভ্রূণের মধ্যেই পাওয়া যায়। স্টেম সেলগুলো প্রয়োজনে মানুষের শরীরের যে কোনো অঙ্গ গঠন করতে পারে। তাদের কাজই হলো, কোষের ক্ষয়ক্ষতি মেরামত করা। তবে জন্মের পর মানুষের শরীরে যে ধরনের স্টেম সেল পাওয়া যায়, সেগুলোর বিকাশ সম্পূর্ণ হয়েছে। তারা বিশেষ বিশেষ ধরনের কোষে নিজেদের পরিবর্তন করতে পারে, কিন্তু সব কোষে নয়। কাজেই এই ‘প্রাপ্তবয়স্ক' স্টেম সেলগুলি অতো সহজে ক্যানসার সেলে পরিবর্তিত হতে পারে না, যেমন ভ্রূণের স্টেম সেলগুলি পারে।
কিন্তু ত্বকের কোষগুলো যদি তাদের প্রোগ্রাম বদলে এক ধরনের এমব্রায়োনিক স্টেম সেলে পরিবর্তিত হয়, তাহলে বোঝা যাবে, ত্বকের ক্যানসার কেটে বাদ দেওয়া সত্ত্বেও বার বার ফিরে আসে কেন। কেননা ক্যানসারের উৎপত্তির ওই স্টেম সেলগুলি ক্যানসারগ্রস্ত কোষসমষ্টিও ঠিক একইভাবে মেরামত করে - যা তাদের স্বভাব। তার ফলে ক্যানসার আবার ফিরতে ও বাড়তে পারে।
ব্রাসেলস'এর বিজ্ঞানীরা যেটা করেছেন, সেটা হলো এই যে, তারা দেখিয়েছেন, আদত যে কোষগুলো থেকে ক্যানসারের শুরু, সেগুলো নিজেদের ক্যানসার সেলে বদলাতে পারে, একমাত্র যখন তারা বেটা-ক্যাটেনিন নামের একটি জৈব-রাসায়নিক সঙ্কেত পায়। এই বিশেষ ধরনের প্রোটিনগুলি কোষের ভিতরে সেই বার্তা পৌঁছে দেয়।
ওই সঙ্কেত যাওয়ার পথটি আটকে দিতে পারলে, উল্টো প্রোগ্রামিং করা, স্টেম সেলের অনুরূপ ত্বকের কোষগুলি থেকে টিউমারের সৃষ্টি হতে পারে না। কাজেই বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যতে এমন একটি ত্বকের ক্রিম উদ্ভাবন করার আশা করছেন, যা কোষের অভ্যন্তরে ক্যানসার তৈরির ওই বার্তা পৌঁছানো বন্ধ করতে পারবে। সানবেদিং'এর সময় যে সান ক্রিম মাখা হয়, তাতে ওই পদার্থটি মিশিয়ে দিলেই চলবে।
পশ্চিমে সূর্যস্নান করতে গিয়ে সানবার্নের বিপদ ছাড়াও, শেষমেষ ত্বকের ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কাজেই এটা এক ঢিলে দুই পাখির মতো কাজ করবে। ক্রিমটা যেখানে লাগানো হবে, বড়জোর সেখানে কিছুটা লোম উঠে যেতে পারে - সৌন্দর্যের দৃষ্টিকোণ থেকে যেটা বিশেষ অকাম্য নাও হতে পারে।
২০১২ সাল থেকেই এই ধরনের একটি বড়ি বাজারে এসেছে, যা ত্বকের ক্যানসারের শ্বেতাঙ্গ রোগীদের দেওয়া হয়। এই ট্যাবলেটও ক্যানসার তৈরির সঙ্কেত প্রেরণের অপর একটি পথ রোধ করে। কিন্তু এই ট্যাবলেট সারা শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে। পদার্থটি ক্রিম হিসেবে পাওয়া গেলে, তা স্থানীয়ভাবে প্রয়োগ করা যাবে বলে আশা করছেন গবেষকরা।

ঘুম জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া। সারাদিন কর্মব্যস্ত থাকার পর ক্লান্তি দূর করতে প্রতিদিন আমরা শরীর এলিয়ে দে...
24/11/2022

ঘুম জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া। সারাদিন কর্মব্যস্ত থাকার পর ক্লান্তি দূর করতে প্রতিদিন আমরা শরীর এলিয়ে দেই বিছানায়।ঘুম ভাঙলে আমরা ফিরে পাই হারানো কর্ম উদ্দীপনা। তাই ঘুমের গুরুত্ব কতটুকু তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সেটা হতে হবে নির্মল ঘুম। এজন্য প্রয়োজন কিছু প্রস্তুতি। আসুন জেনে নিই কী তা।
১. ঘুমাতে যাওয়ার জন্য ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। এতে আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সহজ হবে।
২. শয়নকক্ষের তাপমাত্রা নাতিশীতোষ্ণ রাখুন, বেশি গরমও না আবার বেশি ঠাণ্ডাও না।
৩. বাইরের নির্মল বাতাস শয়নকক্ষে প্রবেশের সুবিধা রাখুন। তা না হলে কেবল ভেতরের ফ্যান বা এসির বাতাসে দীর্ঘক্ষণ থেকে দম বন্ধ হয়ে আসতে পারে। সে জন্য জানালার কাচ খুলে দেওয়া যেতে পারে। এতে কার্বন ডাই-অক্সাইডও বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।
৪. রাতে একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়ার চেষ্টা করুন।স্বভাবত কমবেশি ৮ ঘণ্টা ঘুমালেই হয়। তবে অতিরিক্ত ঘুমের অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত।
৫. শব্দমুক্ত এবং তীব্র আলোহীন পরিবেশ আপনাকে নিয়ে যাবে গভীর শান্ত ঘুমের রাজ্যে।

কিছুদিন ধরে কটনবাড খুব প্রিয় হয়ে উঠেছে আপনার। কোন ড্রয়ারে, কোথায় রাখা আছে, ভালোই জানা হয়ে গেছে। কারণ, কান চুলকায়। ...
23/11/2022

কিছুদিন ধরে কটনবাড খুব প্রিয় হয়ে উঠেছে আপনার। কোন ড্রয়ারে, কোথায় রাখা আছে, ভালোই জানা হয়ে গেছে। কারণ, কান চুলকায়। এমনটি হয় অনেকেরই। অসুখটির নাম অটোমাইকোসিস।
কেন হয়
* রোগটা সেসব দেশেই বেশি হয়, যেখানকার আবহাওয়া উষ্ণ ও আর্দ্র। যেমন—বাংলাদেশ।
* রোগটা তাঁদেরই ভেতর বেশি হয়, যাঁরা কোনো কারণবশত দীর্ঘ সময় ধরে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করছেন।
*যাঁরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অথবা যাঁদের রয়েছে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব।
কারা দায়ী
চুলকানি হয় ছত্রাকজাতীয় জীবাণু থেকে। এরা হচ্ছে উদ্ভিদ। দেহের অন্যত্র এটি থেকে দাদসহ নানা রোগ হয়। এদের মধ্যে অ্যাসপারজিলাস নাইজার দায়ী ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ এবং ক্যানডিডা অ্যালবিকানস দায়ী ১০ থেকে ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে। এ ছাড়া ডারমাটোফাইট ও একটিনোমাইসেসের মাধ্যমেও কখনো কখনো রোগটি হতে পারে।
উপসর্গ
* কান বন্ধ হয়ে আছে—এমন উপলব্ধি;
* কানে অস্বস্তি;
* কান থেকে ধূসর, সবুজ, হলুদ বা সাদা রঙের নিঃসরণ বেরিয়ে আসতে পারে;
* জমা হতে পারে ভেজা খবরের কাগজের মতো ময়লা।
চিকিৎসা
কানের ময়লা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
ছত্রাকবিনাশী ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। যেমন—
নাইস্টাটিন ক্রিম, ক্লোট্রিমাজল, ইকোনাজল ও জেনশিয়ান ভায়োলেট।
ওষুধগুলোর সঙ্গে সম্ভাব্য ক্ষেত্রে হাইড্রোকর্টিসন যুক্ত থাকলে তা ড্রাগের প্রতি টিস্যুর অতিসংবেদনশীলতা রোধ করে এবং কানে জ্বালা করার ভয় কমায়। ক্রিম বা ফোঁটা আকারে এগুলো ব্যবহার করা যায়। দুই সপ্তাহ ধরে ব্যবহার করলে রোগটি ফিরে আসার আশঙ্কা কমে যায়।
অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ওষুধ।
এ ছাড়া কানে যদি ব্যথা শুরু হয়, তা হলে ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের চিকিৎসাও করণীয় হয়ে পড়ে।
খুব সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলা না করলে কানের পর্দায় অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। অটোমাইকোসিস রোগটি বহিঃকর্ণের। কিন্তু কানপাকা রোগীদের অর্থাৎ, মধ্যকর্ণের প্রদাহের কারণে যাদের কানের পর্দায় ছিদ্র থাকে, তাদের কানেও মিশ্র সংক্রমণ হতে পারে।
প্রতিরোধ
* চাই সাধারণ স্বাস্থ্যকুশলতা উন্নয়নের প্রয়াস এবং ভিটামিন ও পুষ্টির মান বাড়ানো;
* মাঝেমধ্যে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দেখে নেওয়া;
* ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা;
* নিরুৎসাহিত করা চাই কান চুলকানোয় দেশলাইয়ের কাঠি, মোড়ানো রুমাল, মুরগির পালক, চাবি ও কটনবাডের ব্যবহার।

অনেকের মুখে প্রায়ই ঘা দেখা দেয়। তারা হয়তো ভাবেন এ আর এমনকি! আবার ভালোও হয়ে যাচ্ছে। চার-পাঁচ দিন কষ্টের পর ভালো হলে র...
22/11/2022

অনেকের মুখে প্রায়ই ঘা দেখা দেয়। তারা হয়তো ভাবেন এ আর এমনকি! আবার ভালোও হয়ে যাচ্ছে। চার-পাঁচ দিন কষ্টের পর ভালো হলে রোগটিকে আমলে আনার দরকার কি? সমস্যা হচ্ছে মুখের ঘা যেমন ভিটামিন-শূন্যতার কারণে দেখা দিতে পারে; তেমনি মুখ ও ঠোঁটে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণেও হতে পারে। তবে শরীরে পুষ্টির অভাবে তথা ভিটামিন-শূন্যতার কারণে অনেক সময় ভাইরাসসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সন্ধানী জীবাণুর সংক্রমণ ঘটে। এজন্য মুখের ভাইরাস রোগে কিছুটা হলেও বিশেষ করে ভিটামিন প্রয়োগে ফল পাওয়া যায়। মুখে সাধারণত হারপিস ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে, যা হারপিস সিমপ্লেক্স ও হারপিস জোস্টার নামে পরিচিত। হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস প্রধানত লালা এবং শরীরের অন্যান্য নিঃসৃত রসের মাধ্যমে মুখে সংক্রমিত হয়ে থাকে। এটি দুই ধরনের- টাইপ-১ ও টাইপ-২।
হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস দিয়ে প্রাথমিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে মাড়ি ও ঠোঁটে ইনফেকশন দেখা দিতে পারে, যা জিনজাইভো স্টোমাটাইটিস নামে পরিচিত। অনেক সময় শিশুদের ক্ষেত্রে মাড়িতে এ অবস্থার সৃষ্টি হলে, মনে হতে পারে তাদের দাঁত উঠছে। ডেন্টাল সার্জনদের মধ্যে যারা হ্যান্ডগ্লোভস ছাড়া রোগী দেখে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে হাতের আঙুলে হুইটলো হতে পারে, যা হারপেটিক হুইটলো নামে পরিচিত। হুইটলো হলে আঙুলে ব্যথা হতে পারে। সেকেন্ডারি হারপিস বা কোল্ড সোর আঘাতের কারণে হতে পারে। সূর্যের আলোতে বারবার এবং বেশিক্ষণ থাকলে এবং মানসিক চাপযুক্ত অবস্থায় থাকলে।
হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের প্রাথমিক সংক্রমণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে রোগী আর কোন কষ্ট অনুভব করে না। রোগটি এভাবে আপনাআপনি ভালো হয়ে যায়, যা হারপিস ল্যাবিয়ালিস নামে পরিচিত। বারবার হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ঠোঁটে ফুসকুড়ি হতে পারে এবং প্রদাহ দেখা দিতে পারে, যা চিলাইটিস নামে পরিচিত। সাধারণ মানুষের কাছে এ অবস্থাটি জ্বরঠোসা নামে পরিচিত। তবে সিফিলিসের কারণেও ঠোঁটে ঘা দেখা দিতে পারে। প্রজনন অঙ্গের বাইরে সবচেয়ে বেশি সিফিলিসের লক্ষণ দেখা যায় পুরুষদের ওপরের ঠোঁটে এবং মহিলাদের নিচের ঠোঁটে। এ সময় ঠোঁটে ক্ষত দেখা যেতে পারে।
ঠোঁটের প্রদাহকে আবার অ্যাংগুলার স্টোমাটাইটিসও বলা হয়। আয়রনের অভাবে শরীরে যে রক্তশূন্যতা হয় সে ক্ষেত্রেও অ্যাংগুলার স্টোমাটাইটিস হতে পারে। ক্যানডিডা অ্যালবিকানস (ফাঙ্গাস রোগ) দ্বারা সংক্রমণের ক্ষেত্রেও ঠোঁটে প্রদাহ দেখা দিতে পারে। যারা প্রাপ্তবয়সে হারপেটিক সংক্রমণে আক্রান্ত হয় তাদের মধ্যে মারাÍক এবং দীর্ঘমেয়াদি আকারে হারপিস রোগ শরীরে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে এবং সেখান থেকে এনকেফাইলাইটিসের মতো মস্তিষ্কেও প্রদাহ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
হারপিস ভ্যারিলিসা জোস্টার ভাইরাসের প্রাথমিক সংক্রমণের কারণে চিকেন পক্স বা জলবসন্ত হয়ে থাকে। সাধারণত ১০ বছরের কমবয়সী শিশুর জলবসন্ত হয়ে থাকে। হারপিস ভ্যারিসিলা জোস্টার ভাইরাস হাঁচির মাধ্যমে বাতাসে বিস্তার লাভ করে থাকে। মুখমণ্ডলের ট্রাইজেমিনাল নার্ভ বায়ুতে হারপিস ভ্যারিসিলা জোস্টার ভাইরাস সংক্রমণে মুখে ব্যথা হতে পারে। এজন্য মুখের অভ্যন্তরে ঘা দেখা দিতে পারে।
রোগ নির্ণয়
রোগের লক্ষণগুলো ছাড়াও রক্তের ভাইরাস এন্টিবডি মার্কার পরীক্ষার মাধ্যমে হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস টাইপ-১ এবং টাইপ-২ সহজেই নির্ণয় করা যায়। রক্ত পরীক্ষাটি একজন অভিজ্ঞ ভাইরোলজিস্টের তত্ত্বাবধানে করাতে হবে। পরীক্ষাটি কিছুটা হলেও ব্যয়সাপেক্ষ।
হারপিস রোগের চিকিৎসা
অ্যাসাইক্লোভির গোত্রভুক্ত ট্যাবলেট ভাইরাক্স (৭ থেকে ১৪ দিন) সংক্রমণের মাত্রা এবং ধরন অনুযায়ী খাওয়া যেতে পারে। তবে যারা দীর্ঘমেয়াদী হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসে আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে ওষুধ অনেক সময় উপকারে নাও আসতে পারে। কিন্তু রোগ যেন দ্রুত সংক্রমিত হতে না পারে সেজন্য আপনাকে ওষুধ সেবন করতেই হবে। রোগীকে এ সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হয়। সর্বোপরি মুখের অভ্যন্তর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এজন্য ক্লোরোহেক্সিডিন মাউথওয়াশ ০.২% ব্যবহার করতে হবে দুই সপ্তাহের জন্য। গর্ভাবস্থায় ভাইরাক্স ট্যাবলেট সেবন করা যাবে না। তাছাড়া দুগ্ধদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যাদের কিডনি সমস্যা আছে অথবা রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি থাকে তাদের কোন অবস্থাতেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করা ঠিক নয়। তবে কিডনির সামান্য সমস্যা থাকলেও অ্যাসাইক্লোভির গোত্রভুক্ত ওষুধের পরিবর্তে অ্যালাসাইক্লোভির গোত্রভুক্ত ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে পারেন। ঠোঁটে ঘা বা ক্ষত থাকলে অ্যাসাইক্লোভির ক্রিম ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে সব রোগীর ক্ষেত্রে এমনটি আশা করা ঠিক নয়। মুখের অভ্যন্তরে বারবার ভাইরাস সংক্রমণ আলসাররূপে দেখা যায়। অতএব জ্বরঠোসাই হোক আর ঠোঁটে ঘা-ই হোক সব ধরনের রোগের সংক্রমণের চিকিৎসায় আপনাকে সচেতন হতে হবে।

Copyright: The Dhaka Times

স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে ছোলা বা বুটের বেশ সুনাম। এটা মুখরোচকও বটে। শক্তি দেয়। পেটেও থাকে বেশিক্ষণ। সাধারণত দুই প্রকারের...
21/11/2022

স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে ছোলা বা বুটের বেশ সুনাম। এটা মুখরোচকও বটে। শক্তি দেয়। পেটেও থাকে বেশিক্ষণ। সাধারণত দুই প্রকারের ছোলা পাওয়া যায়: দেশী ছোলা ও কাবুলী ছোলা। দেশী ছোলা আকারে ছোট, একটু কালচে রংয়ের এবং অপেক্ষাকৃত শক্ত। কাবুলী ছোলা একটু বড় আকারের, উজ্জ্বলতর রং এবং দেশী ছোলার চেয়ে নরম। দেশী ছোলা এই উপমহাদেশে পাওয়া যায়। কাবুলী ছোলা জন্মায় আফগানিস্তান, দক্ষিণ ইউরোপ- এসব স্থানে।
ছোলা অত্যন্ত পুষ্টিকর। এটি আমিষের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। ছোলায় আমিষের পরিমাণ মাংস বা মাছের আমিষের পরিমাণের প্রায় সমান। তাই খাদ্য তালিকায় ছোলা থাকলে মাছ মাংস আর চাই কী! আমাদের দেশের মত গরীব দেশে ছোলাকে মাছ বা মাংসের বিকল্প হিসাবেও ভাবা যেতে পারে। ছোলার ডাল, তরকারিতে ছোলা, সেদ্ধ ছোলা ভাজি, ছোলার বেসন- নানান উপায়ে ছোলা খাওয়া যায়।
প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় আছে: প্রায় ১৭ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন, ৬৪ গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং ৫ গ্রাম ফ্যাট বা তেল। ছোলার শর্করা বা কার্বোহাইডেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। খাওয়ার পর খুব তাড়াতাড়িই হজম হয়ে গ্লুকোজ হয়ে রক্তে চলে যায় না। বেশ সময় নেয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ছোলার শর্করা ভাল। ছোলার ফ্যাট বা তেলের বেশির ভাগই পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়।
প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ছাড়া ছোলায় আরও আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণ। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় ক্যালসিয়াম
আছে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১০ মিলিগ্রাম, ও ভিটামিন এ ১৯০ মাইক্রোগ্রাম। এ ছাড়াও আছে ভিটামিন ব্লি-১, বি-২, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম। এ সবই শরীরের জন্য কাজে লাগে। ছোলায় খাদ্য-আঁশও আছে বেশ। এ আঁশ কোষ্ঠ কাঠিন্যে উপকারী। খাবারের আঁশ হজম হয় না। এভাবেই খাদ্যনালী অতিক্রম করতে থাকে। তাই পায়খানার পরিমাণ বাড়ে এবং পায়খানা নরম থাকে। এতে কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর হয়। পায়খানা করা সহজ হয়। নিয়মিত পায়খানা হয়ে যায় বলে ক্ষতিকর জীবাণু খাদ্যনালীতে থাকতে পারে না। ফলে খাদ্যনালীর ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা কমে। রক্তের চর্বি কমাতেও সহায়ক খাদ্যের আঁশ। আরও নানান শারীরিক উপকার আছে খাদ্য-আঁশে। দেরীতে হজম হয়, এরূপ একটি খাবার হচ্ছে ছোলা। শরীরে শক্তির যোগান দিতে থাকে দীর্ঘক্ষণ ধরে। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলা থেকে পাওয়া যায় ৩৬০ ক্যালরিরও অধিক শক্তি।

অতি পরিচিত লাউয়ের জন্ম কিন্তু আফ্রিকায়। আমাদের দেশে লাউকে আঞ্চলিক ভাষায় কদু বলা হয়। কচি লাউয়ের রং হালকা সবুজ, ভেতরে...
20/11/2022

অতি পরিচিত লাউয়ের জন্ম কিন্তু আফ্রিকায়। আমাদের দেশে লাউকে আঞ্চলিক ভাষায় কদু বলা হয়। কচি লাউয়ের রং হালকা সবুজ, ভেতরে সাদা রঙের শাঁস। এটি সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। শুধু লাউ নয়, লাউয়ের বাকল, লতা, এমনকি পাতাও খাওয়া যায়।
প্রতি ১০০ গ্রাম লাউয়ে রয়েছে জলীয় অংশ ৯৬.১০ গ্রাম, আঁশ ০.৬ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ১২ কিলোক্যালরি, প্রোটিন ০.২ গ্রাম, চর্বি ০.১ গ্রাম, শর্করা ২.৫ গ্রাম। খনিজ উপাদানের মধ্যে ক্যালসিয়াম ২০.০ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৭ মিলিগ্রাম ছাড়াও সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, ফসফরাস ও সেলেনিয়াম রয়েছে। এ ছাড়া ভিটামিন এ, বি-কমপ্লেক্স সি ছাড়াও এতে ফলিক এসিড, ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড আছে।
লাউয়ে প্রচুর পানি থাকে, যা দেহের পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে।
লাউ খেলে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক থাকে। প্রসাবের সংক্রমণজনিত সমস্যা দূর হয়। কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। উচ্চ রক্তচাপবিশিষ্ট রোগীদের জন্য এটি আদর্শ সবজি। কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস, পেট ফাঁপা প্রতিরোধে এটা সহায়ক।
লাউ দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা দূর করে পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লাউয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস, যা দেহের ঘামজনিত লবণের ঘাটতি দূর করে। দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে। আবার ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও লাউ যথেষ্ট উপকারী।

কিসমিস ভাল লাগে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। ‍মিষ্টান্ন পছন্দ করেন এমন ভোজনরসিকদের কাছে কিসমিস অমৃত। কিসমিস খুব উপকারী...
19/11/2022

কিসমিস ভাল লাগে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। ‍মিষ্টান্ন পছন্দ করেন এমন ভোজনরসিকদের কাছে কিসমিস অমৃত। কিসমিস খুব উপকারী একটি খাবার। এর খাদ্যগুণ বলে শেষ করা যাবে না। কিসমিস বেশ ভালো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরের কোষগুলোকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে।
কিসমিসে ভালো থাকে ত্বক। এটি নিয়মিত খেলে আপনার তারুণ্য ধরে রাখতে পারবেন। মিষ্টিজাতীয় খাবার হলেও কিসমিস দাঁত ও মুখের কোনো ক্ষতি করে না। বরং ওরাল হেলথের জন্য কিসমিস বিশেষ উপকারী। এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ওরাল ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করতে সাহায্য করে। কিসমিসের শর্করা মূলত ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ জাতীয়। এর ফলে দাঁতে কোনো ক্যাভিটি তৈরি হয় না। তাই সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারে ফ্রুট সালাদে কিসমিস রাখতে পারেন। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে ও ত্বক উজ্জ্বল রাখতে গাজর ও নানা রকম ফল নিয়মিত খেতে বলা হয়। কারণ এগুলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ। সঠিক পরিমাণে এগুলো পেতে হলে দিনে অন্তত ৩টি ফল খেতে হবে। এটি সব সময় সম্ভব না হলে একমুঠো কিসমিস হতে পারে এর দারুণ বিকল্প। একমুঠো কিসমিস বাদামের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে হাই এনার্জি, প্রোটিন এবং ফাইবার পাবেন। আবার অ্যানিমিয়া কমাতে এবং ওজন বাড়াতে কিসমিস সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে রয়েছে—এনার্জি ৩০৪ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ৭৪.৬ গ্রাম, ডায়েটরি ফাইবার ১.১ গ্রাম, ফ্যাট ০.৩ গ্রাম, প্রোটিন ১.৮ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮৭ মিলিগ্রাম, আয়রন ৭.৭ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৭৮ মিলিগ্রাম ও সোডিয়াম ২০.৪ মিলিগ্রাম।
সেমাই-পায়েসে তো থাকবেই। এবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় চলে আসুক হাতের মুঠোয় বেশ কয়েকটি কিসমিস। থাকুক সুস্থতা। থাকুক তারুণ্য।

প্রত্যেক গর্ভবতী মা-ই নয় মাসের সুস্থ-স্বাভাবিক গর্ভাবস্থা প্রত্যাশা করেন। সুস্থ গর্ভাবস্থা মানে সুস্থ মা ও সুস্থ শিশু। ...
18/11/2022

প্রত্যেক গর্ভবতী মা-ই নয় মাসের সুস্থ-স্বাভাবিক গর্ভাবস্থা প্রত্যাশা করেন। সুস্থ গর্ভাবস্থা মানে সুস্থ মা ও সুস্থ শিশু। এ জন্য গর্ভাবস্থায় কিছু নিয়ম মেনে চলা অবশ্যই প্রয়োজন।
মা ও শিশুর সুস্থতার জন্য গর্ভবতী মায়ের ‘প্রসবপূর্ব যত্ন’ করাতে হবে নিয়মিত। এ জন্য আদর্শ হচ্ছে, গর্ভাবস্থায় মোট ১৪ বার যেতে হবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স বা অন্য কোনো অভিজ্ঞ স্বাস্থ্যকর্মীর কাছে। প্রথম সাত মাসে প্রতি মাসে একবার করে মোট সাতবার (প্রতি চার সপ্তাহে একবার), অষ্টম মাসে প্রতি দুই সপ্তাহে একবার করে মোট দুবার এবং পরে সন্তান প্রসব হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে একবার করে মোট পাঁচবার (সর্বমোট এই ১৪ বার যাওয়াটা আদর্শ)। কিন্তু এটা অনেক সময়ই সম্ভব হয়ে ওঠে না। যদি তা সম্ভব না হয়, তা হলে কমপক্ষে তিনবার যেতেই হবে। প্রথম ২০ সপ্তাহের মধ্যে একবার, ৩২ সপ্তাহের সময় একবার এবং ৩৬ সপ্তাহের সময় একবার।
চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীকে শেষ মাসিকের ইতিহাস জানাতে হবে। শেষ মাসিকের তারিখ থেকেই তাঁরা সন্তান হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করেন। পূর্ববর্তী গর্ভাবস্থা বা প্রসবকালীন ইতিহাসও বলতে হবে। সে হিসেবে স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব হবে, না কোনো অপারেশনের প্রয়োজন পড়বে; হাসপাতালে হবে, না বাড়িতে হবে, তার সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী। ধনুষ্টংকারের টিকা নেওয়া আছে কি না, সে খবরও দিতে হবে। টিকা না নিয়ে থাকলে নিতে হবে।
শরীরের উচ্চতা ও ওজন ঠিক আছে কি না, রক্তশূন্যতা আছে কি না, উচ্চ রক্তচাপ আছে কি না-সবই দেখা হয় ‘প্রসবপূর্ব যত্ন’তে। হাতে, পায়ে বা শরীরের অন্যান্য স্থানে পানি এসেছে কি না (প্রি-এক্লাম্পশিয়া), তা-ও পরীক্ষা করে দেখা হয় গর্ভাবস্থায়।
রক্তের গ্রুপ জেনে রাখা জরুরি। সিফিলিস, ডায়াবেটিস আছে কি না, তা আগেভাগেই পরীক্ষা করিয়ে নিলে সময়মতো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়। গর্ভের ভ্রূণ ঠিকমতো বাড়ছে কি না, ভ্রূণের কোনো শারীরিক ত্রুটি আছে কি না, জরায়ুর ভেতর পানির পরিমাণ ঠিক আছে কি না, জরায়ুর ভেতর ফুলের অবস্থান কোথায়, এর অবস্থাই বা কেমন ইত্যাদি দেখার জন্য আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে হয়।
খাবারে থাকতে হবে একটু বাড়তি ক্যালরি। গর্ভের সন্তানের জন্য বাড়তি খাবার। কোষ্ঠকাঠিন্য যেন না হয়, সে জন্য খাবারে থাকতে হবে পর্যাপ্ত আঁশ। খাবারের আঁশ ডায়াবেটিসও প্রতিরোধ করবে। খাবারে থাকতে হবে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ লবণ। শাকসবজি, ফল-মূলে পাওয়া যাবে এগুলো। মাছ খাওয়া ভালো। মাছে আছে ওমেগা ৩ মেদাম্ল, যা শিশুর বিকাশে সহায়ক। যথেষ্ট পানিও পান করতে হবে প্রতিদিন।
একেবারে শুয়ে-বসে থাকাও নয়, আবার দিনভর হাড়ভাঙা খাটুনিও নয়। কাজের ফাঁকে চাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম।
দৈনন্দিন গৃহস্থালির কাজ চালিয়ে যেতে হবে স্বাভাবিকভাবেই। প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় হাঁটতে হবে। সপ্তাহে পাঁচ দিন কমপক্ষে।
দিনে রাতে সাত-আট ঘণ্টা। দুপুরে খাওয়ার পর হালকা ঘুম।
সুতির ঢিলেঢালা পোশাকে ত্বক ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত সরবরাহ থাকবে স্বাভাবিক। হাই হিল জুতো স্বাস্থ্যকর নয়। ফ্ল্যাট চটি ভালো। মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বক্রতা বজায় থাকবে। পিঠে, কোমরে ও পায়ের পেশিতে ব্যথা করবে না।
গর্ভাবস্থায় ধূমপান করলে গর্ভের সন্তান কম ওজনের হয়। পরোক্ষ ধূমপানেও একই ক্ষতি হয়। সুতরাং প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধূমপান এড়িয়ে চলতে হবে।
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় গর্ভের সন্তানের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হতে পারে। তাই রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা যাবে না।
বিশেষ করে, গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস দিনের শুরুতে বমি বমি ভাব হয় বা বমি হয়। এ সমস্যা হলে অল্প অল্প করে ঘন ঘন খাবার খেতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই বিস্কুট, টোস্ট-জাতীয় শুকনো কিছু খাবার খেলেও উপকার পাওয়া যায়। তৈলাক্ত খাবার কম খেলেও উপকার পাওয়া যাবে। বমি খুব বেশি হলে বা সমস্যাটা তিন মাসের বেশি স্থায়ী হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
গর্ভকালীন এসিডিটির জন্যও এ সমস্যাটা হতে পারে। এসিডিটি বা বুক জ্বালা হলেও অল্প অল্প করে ঘন ঘন খাবার খেতে হবে। তৈলাক্ত খাবার, ভাজা-পোড়া খাবার ও বেশি মসলাযুক্ত খাবার কম খেতে হবে। একসঙ্গে বেশি খাবার না খেলেও উপকার পাওয়া যায়। খাওয়ার সময় পানি কম পান করতে হবে। দুই খাবারের মধ্যবর্তী সময়ে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। খাওয়ার পরপরই উপুড় হওয়া বা বিছানায় শোয়া উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শমতো অ্যান্টাসিড-জাতীয় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে।
গর্ভকালীন কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য যেন না হয়, সে জন্য প্রচুর পানি পান করতে হবে। দৈনিক অন্তত আট গ্লাস। আঁশ আছে এ রকম খাবার, যেমন শাকসবজি, ফলমূল, বিচি-জাতীয় খাবার, ডাল, গমের আটা ইত্যাদি খেতে হবে বেশি বেশি।

Address

Badda

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Prokoron.Com posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Prokoron.Com:

Share