Nutritionist Asma Hossain Mou

Nutritionist Asma Hossain Mou Dietitian & Nutritionist

ঈদুল আজহা বা কোরবানি ঈদে গরু বা খাসি বা মহিষ  অথবা যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি দিয়ে থাকে। আর তাই গোশতও  খাওয়া হয় অন্...
05/06/2025

ঈদুল আজহা বা কোরবানি ঈদে গরু বা খাসি বা মহিষ অথবা যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি দিয়ে থাকে। আর তাই গোশতও খাওয়া হয় অন্যসময়ের তুলনায় অনেক বেশি। অন্যান্য খাবারের সঙ্গেও পরিবেশন করা হয় গরু বা খাসির গোশতের নানা পদ। তবে এ সময়ের খাবার-দাবারের প্রতি সচেতন হওয়া উচিত। কিছু বিষয় খেয়াল রেখে খেলেই শরীরের জন্য ভালো হয়। বিশেষ করে যাদের লিভারের রোগ, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, দীর্ঘদিনের কিডনি রোগ বা গ্যাস্ট্রিক-আলসার সমস্যা আছে, তাদের অবশ্যই বুঝে খেতে হবে।

🔶 গোশত কাঁটার সময় দৃশ্যমান সাদা বা হলদে যে চর্বি থাকে তা বাদ দিতে হবে।

🔶হালকা সেদ্ধ করে পানি ফেলে দিয়ে রান্না করতে হবে।

🔶মগজ,কলিজা,হারের মজ্জাতে প্রচুর পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকে তাই এগুলো যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।

🔶তাছাড়া রান্না আরও মজাদার করার জন্য অতিরিক্ত বাটার,ঘি,ডালডা, মসলা,সস ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় যা ব্যবহার না করাই ভালো।এতে এসিডিটির সমস্যা বাড়তে পারে।

🔶কষা বা ভুনা গোশত কম খেয়ে কাবাব বা গ্রিল তৈরী করা যেতে পারে কারণ ঝলসানোর জন্য গোশতের চর্বির পরিমাণ কমে যায়।

🔶যেহেতু গোশত বেশি খাওয়া হয়ে যায় বলে অনেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাই গোশতের পদের পাশাপাশি সবজি বা বেশি করে সালাদ রাখা যেতে পারে।

🔶 চিনি,মিষ্টি জাতীয় খাবারও যথাসম্ভব খাদ্যতালিকা থেকে দূরে রাখতে হবে।

🔶প্রতিবেলা গোশত না রেখে কোন একবেলা সবজি,মাছ রাখা যেতে পারে।তবে যত তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসে আসা যায় তত ভালো।

🔶খাবার পর যদি সফট ড্রিংকস খাওয়ার বদঅভ্যাস থেকে থাকে তা বাদ দিয়ে বোরহানী,দই,লাচ্ছি, লাবাং,মাঠা ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

আছমা হোসেন মৌ
সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান, VLCC BANGLADESH
নিউট্রিশনিস্ট এবং হেড অফ কন্টেন্ট রাইটিং ডিপার্টমেন্ট
20 Minute Medical

04/06/2025
04/06/2025

📢 BNWA 20 minutes nitrilive
🎉 ঈদের খাবার উপভোগ করুন, তবে নিরাপত্তার দিকটা ভুলে যাবেন না!

🥩 কোরবানির ঈদ মানেই সুস্বাদু মাংসের নানা পদ, কিন্তু আপনি কি জানেন অতিরিক্ত বা ভুলভাবে খাওয়া-দাওয়া আমাদের শরীরের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে?

🤔 কোরবানির মাংস কাদের জন্য কতটা উপযোগী?
🍽️ ঈদের খাবারে পুষ্টির ভারসাম্য কীভাবে বজায় রাখবেন?
🩺 যাদের ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা বা গ্যাস্ট্রিক আছে—তাদের জন্য কোন কোন সাবধানতা জরুরি?

🔴 এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর নিয়ে Bangladesh nutrition and wellness academy আসছে লাইভ আলোচনা

🎙️ লাইভ টপিক:
👉 “ঈদের খাবার উপভোগ করুন, তবে নিরাপত্তার দিকটা আগে ভাবুন”

👩‍⚕️ অতিথি বিশেষজ্ঞ:
Asma Hossain Mou
সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান, VLCC Bangladesh

🎤 উপস্থাপনায়:
Jannat Ara Akhi
Administrative Coordinator & Nutritionist, BNWA

📅 তারিখ: ৩ জুন ২০২৫
🕘 সময়: রাত ৯টা
📍 লোকেশন: BNWA অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ
📞 যোগাযোগ: 01511261142
🌐 ওয়েবসাইট: www.bnwabd.com

🎯 কে এই লাইভ দেখবেন?

➡️যারা পুষ্টি সচেতন

➡️যাদের ডায়াবেটিস/হাই প্রেশার/কিডনি সমস্যা আছে

➡️যারা ঈদের খাবার স্বাস্থ্যকরভাবে উপভোগ করতে চান

➡️স্বাস্থ্যকর্মী, ডায়েটিশিয়ান, নিউট্রিশন শিক্ষার্থী

➡️গৃহিণী ও খাদ্য প্রস্তুতকারীরা

💡 এই লাইভ দেখে যা শিখতে পারবেন:

✔️ কোরবানির মাংস নিরাপদভাবে খাওয়ার নিয়ম
✔️ ঈদের খাদ্য তালিকায় পুষ্টির ভারসাম্য
✔️ অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য আলাদা ডায়েট পরামর্শ
✔️ খাবার সংরক্ষণ ও পরিবেশনের সঠিক পদ্ধতি
✔️ ঈদের আনন্দে স্বাস্থ্য যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়—সে বিষয়ে সচেতনতা

📌 BNWA—শুধু শিক্ষা নয়, পুষ্টির পথে পথপ্রদর্শক
এই লাইভটি শেয়ার করুন আপনার পরিবার ও বন্ধুদের সাথে—সুস্থ থাকুন, সচেতন থাকুন!

08/05/2025

আজকের বিষয় :অ্যাজমা রোগীর খাবার কেমন হবে?

বিডিহেলথ২৪ ফেসবুক পেজের উদ্যোগে, ঢাকার অন্যতম ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গ্রীন মাইন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা সৌজন্যে বৃহস্পতিবার রাত ৯.০০টায় অনুষ্ঠিত হবে বিডিহেলথ২৪ ফেসবুক পেজের উদ্যােগে অভিজ্ঞ পুষ্টিবিদের পরামর্শ বিষয়ক নিয়মিত ফেসবুক লাইভ।
আজকের বিষয় :অ্যাজমা রোগীর খাবার কেমন হবে?

আলোচক:
Asma Hossain Mou
Senior Dietitian
VLCC BANGLADESH, Gulshan Branch

সঞ্চালক :
Mahinoor Ferdows
Nutritionist
Generic Healthcare Ltd.
এবং Life Trust Diagnostic Centre.

অনুষ্ঠান চলাকালীন প্রশ্ন লিখে কমেন্ট করলে পাবেন তাৎক্ষণিক পরামর্শ ও উত্তর।"

22/03/2025

দারুচিনি আমাদের দেহের ব্লাড স্যুগার নিয়ন্ত্রনে রাখে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দারুচিনি খুবই উপকারী। যাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস আছে, তারা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুচিনি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

রমজানে দইয়ের ব্যবহারটা উল্লেখযোগ্য। দই-চিড়া বা লাচ্ছি সবকিছুতেই দই বা টক দইটা ব্যবহার হয়।দই বলতে আমরা মূলত বুঝি মিষ্টি ব...
22/03/2025

রমজানে দইয়ের ব্যবহারটা উল্লেখযোগ্য। দই-চিড়া বা লাচ্ছি সবকিছুতেই দই বা টক দইটা ব্যবহার হয়।
দই বলতে আমরা মূলত বুঝি মিষ্টি বা টক-মিষ্টি দই। কিন্তু স্বাদের দিক থেকে একটু কম হলেও টকদই আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেশ কার্যকরী। এটি মিষ্টি এবং টক-মিষ্টি দইয়ের চাইতে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো।সারা পৃথিবীতেই এটি পরিচিত। পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে এর সুনাম আছে। দই প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, ভিটামিন B6 এবং ভিটামিন B12 এ অত্যন্ত সমৃদ্ধ।

টক দই খাওয়ার উপকারিতা গুলো হচ্ছে :
১. এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়| ঠান্ডা লাগা , সর্দি ও জ্বর না হওয়ার জন্য এটি ভালো কাজ করে।

২. টক দইয়ের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং শরীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে বাড়িয়ে হজম শক্তি বাড়ায় বা ঠিক রাখে।

৩. এতে lactic acid থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ও কোলন cancer এর রোগীদের জন্য উপকারী।

৪. দইয়ের ব্যাকটেরিয়া হজমে সহায়ক| তাই এটি পাকস্থলী/ bowel র ও জ্বালাপোড়া কমাতে বা হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

৫. এতে প্রচুর calcium, riboflavin, vitamin B6,B5 ও vitamin B12 থাকার কারণে এটি খুব দরকারী একটি খাবার।

৬. এতে প্রচুর calcium ও vitamin D থাকার কারণে হাড় ও দাঁতের গঠনে ও মজবুত করতে সাহায্য করে।

৭. তাই Osteoporosis, Arthritis এ নিয়মিত টক দই খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৮. কম ফ্যাট যুক্ত টক দই রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল এলডিএল কমায়|

৯.উচ্চ রক্ত চাপের রোগীরা নিয়মিত টক দই খেলে রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।


১০. ডায়বেটিস, হার্টের অসুখে নিয়মিত টক দই সুস্থ রাতে সাহায্য করে।

১১.এটা ব্রেইনকে tyrosine সরবরাহ করে, যা মানসিক প্রশান্তি দেয় এবং ক্লান্তি কমায়|

১২. টক দই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

১৩.দুধ সহ্য হয় না বা lactose intolerance আছে, তারা টক দই দুধের বিকল্প হিসাবে খাওয়া যেতে পারে।কারণ দইয়ের ব্যাকটেরিয়া lactose কে ভেঙ্গে lactic acid তৈরী করে।

১৪. টক দই শরীরে টক্সিন জমতে বাধা দেয়। শরীরে টক্সিন কমার কারণে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।

Asma Hossain Mou
সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান - VLCC HEALTH CARE
বিএসসি, এমএস সি-খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান (ঢাবি)
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড হেড অফ কন্টেন্ট রাইটার - 20 Minute Medical (ডিপার্টমেন্ট অফ ফুড এন্ড নিউট্রিশন)

21/03/2025

লবঙ্গ হজমশক্তি বাড়ায় এবং গ্যাস্ট্রিক জ্বালা রোধ করে। লবঙ্গ মুখের দূর্গন্ধ দূর করে, পেট ফাঁপা, অচলতা, বমি বমি ভাব এবং বমি থেকে মুক্তি দেয়।

Celebrating my 3rd year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉
20/03/2025

Celebrating my 3rd year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉

রমজানে রোজাদার ব্যক্তিদের খাবার-দাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর রাখতে হয়।বিশেষ করে বিভিন্ন শারীরিক  সমস্যায় ভুগছেন যার...
20/03/2025

রমজানে রোজাদার ব্যক্তিদের খাবার-দাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর রাখতে হয়।বিশেষ করে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন যারা। ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরী। তাই পুরো রমজান মাসে সঠিকভাবে রোজা পালনে ডায়াবেটিসের রোগীদের বিশেষ প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ দরকার পাশাপাশি খাবারের তালিকাতেও আরও মনোযোগী হতে হবে।

নিচে রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়েট কি হবে ও কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হলো :

রমজান মাসে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্যালোরির চাহিদা পরিবর্তন হয় না।তাই ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত ক্যালোরি ঠিক রেখে খাদ্য গ্রহণ করা উচিত এবং প্রয়োজনে ৩/৪ ভাগে ভাগ করে খাবার গ্রহণ করতে হবে।তবে একদম না খেয়ে থাকা যাবে না এতে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ইফতারিঃ ইফতারের সময় বিকল্প চিনি দিয়ে ইসবগুলের ভুষি, তোকমা, লেবু, কাঁচা আম বা তেঁতুল শরবত ডায়াবেটিস রোগীর জন্য উপকারী। তুলনায় কম মিষ্টি ফলের মিশ্রণে তৈরি সালাদও বেশ উপকারী। এতে খনিজ লবণ ও ভিটামিনের অভাব পূরণ হয়।
কাঁচা ছোলার সঙ্গে আদাকুচি, টমেটো কুচি, পুদিনা পাতা ও লবণের মিশ্রণ সুস্বাদু স্বাস্থ্যসম্মত একটি খাবার। কাঁচা ছোলা রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।পাশাপাশি সামান্য নুডলস/পাস্তার সাথে সবজির পরিমান বাড়িয়ে দিয়েও খাওয়া যেতে পারে।ভাজাপোড়া খাবার গুলো যথাসম্ভব না খাওয়াই ভালো।

রাতের খাবার: রাতের বেলায় পরিমাণমতো ভাত খেলে রোগীরা ভালো থাকতে পারবেন। রাতের খাবারের তালিকায় প্রতিদিন হালকা মসলায় রান্না যেকোনো সবজি,ভর্তা,ডাল,ছোট-বড় মাছ বা মুরগীর মাংস রাখা উচিত অথবা ওটসের খিচুড়ি ও খাওয়া যাবে।

সেহেরি: ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সেহরির সময় রুটি অথবা ভাত খেতে পারবেন। তবে অবশ্যই পরিমাণটা ঠিক থাকতে হবে। খাবার তালিকায় অবশ্যই লাল চালের ভাত, সবজি,শাক, ডাল ও মুরগীর মাংস থাকতে হবে। ভাত বা রুটি খাওয়ার পর লো ফ্যাট দুধ খাওয়া উচিত।

ব্যায়াম : রোজা পালনকালে ব্যায়াম ও বেশি হাঁটা উচিত নয়। তবে ইফতারের একঘণ্টা পর ও সেহরির আগে ব্যায়াম করে নিতে পারেন বা মেডিটেশনও করতে পারেন।

ওষুধ ও ইনসুলিন: রোজার খাবারের সময়সূচি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ওষুধ ও ইনসুলিনের সময় ও মাত্রা অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। তাই ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন প্রসঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Asma Hossain Mou
বিএসসি, এমএস সি-খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান (ঢাবি)
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড হেড অফ কন্টেন্ট রাইটিং ডিপার্টমেন্ট - 20 Minute Medical

পবিত্র রমজান মাসে আমরা আমাদের খাবারের সাধারণ রুটিন থেকে বেড়িয়ে আসি।পাশাপাশি এই খাদ্যাভাসের সাথে অনেকেরই খাপ খাওয়াতে ব্যা...
19/03/2025

পবিত্র রমজান মাসে আমরা আমাদের খাবারের সাধারণ রুটিন থেকে বেড়িয়ে আসি।পাশাপাশি এই খাদ্যাভাসের সাথে অনেকেরই খাপ খাওয়াতে ব্যাপক সমস্যার সৃষ্টি হয়।দেখা দেয় হজমে সমস্যা, পেট ফাঁপা,পেট জ্বালাপোড়া করা,ঢেঁকুর ওঠা, পেট ব্যথা ও পেটে অস্বস্তি অনুভুত হওয়া ইত্যাদি। আর এই পরিস্থিতির তৈরী হয় রোজায় ইফতার থেকে সেহেরী পর্যন্ত কি খাওয়া দাওয়া হচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে।

রোজা থাকাকালীন এইসব জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে তা হলো-

√ সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে অপুষ্টিকর খাবার কিংবা অতিরিক্ত খাওয়া গ্যাস্ট্রিকে ভোগার অন্যতম কারন।তাই ইফতার বা সেহেরীতে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।অতিরিক্ত খাবার গ্রহণে হজম প্রক্রিয়া চলাকালে পাকস্থলীর ওপরে চাপ পড়ে।ফলে বুক জ্বালাপোড়া সহ বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়।
√ তৈলাক্ত, অতিরিক্ত ভাজা ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।যেমনঃ পেঁয়াজু,কাটলেট,আলুর চপ,ডিম চপ,বেগুনি, চিকেন ফ্রাই, জিলাপি ইত্যাদি তেলেভাজা যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।

√ সহজ,সুপাচ্য, পুষ্টিকর,স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস গড়ে তুলতে হবে।শস্য জাতীয় খাবার যেমন-ছোলা,মটর,বাদাম,বিচি,ডাল খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।তরকারিতে মিষ্টিকুমড়া, করলা,শসা,পটল,ধুন্দল, ঝিঙে,লাউ ইত্যাদি রাখতে হবে।

√ টক জাতীয় ফলে ভিটামিন 'সি' এর পাশাপাশি সাইট্রিক এসিডও থাকে।টকফল বেশি খেলে এসিডিটির সমস্যা ও হতে পারে।তাই তরমুজ,বাঙ্গি,কলা,বেল,আনারস,আপেল ইত্যাদি ফল রাখতে হবে।

√ ঝাল খাবারও পাকস্থলীতে অস্বাভাবিক অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি করতে করে।তাই কাঁচামরিচ কিংবা অতিরিক্ত ঝাল খাবার পরিহার করতে হবে।
√ ইফতারের পর থেকে সেহেরী পর্যন্ত খাবারের স্বাভাবিকতা বজায় রাখুন।পরিমিত পানি পান করতে হবে।যেহেতু বেশ গরম পরেছে তাই অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি এই সময়টুকুতে পান করা উচিত।

√ চা,কফি,কোমল পানীয় জাতীয় ইত্যাদি খাবারও বাদ দিতে হবে।

√ রোজা রাখা অবস্থায় কোনো রকম ব্যায়াম না করাই ভালো।তবে এসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে ইফতার ও সেহেরীর পর কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করতে হবে।
√ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় বেশ কয়েক ধরনের ঔষধ রয়েছে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেসব ঔষধ গ্রহণ করতে হবে।

Asma Hossain Mou
BSc & Msc in Food & Nutrition
Nutritionist & Head of content writing department
20 Minute Medical

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nutritionist Asma Hossain Mou posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram