Dr.Fahim Rahman

Dr.Fahim Rahman � Believe in yourself

নিঃসন্দেহে আম আমাদের সবচেয়ে প্রিয় ফলের মধ্যে একটি। গ্রীষ্মকালে এই ফল প্রতিদিন খাওয়ার নানা বাহানা খুঁজতে থাকি। প্রতিদিন...
19/05/2025

নিঃসন্দেহে আম আমাদের সবচেয়ে প্রিয় ফলের মধ্যে একটি। গ্রীষ্মকালে এই ফল প্রতিদিন খাওয়ার নানা বাহানা খুঁজতে থাকি। প্রতিদিন আম খাওয়া কি উপকারী নাকি ক্ষতিকর সেই ভাবনা থেকেই যায়। ভুলে যাবেন না যে আমে প্রাকৃতিকভাবে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে, যা কারও কারও জন্য চিন্তার কারণ হতে পারে। তবে প্রতিদিন একটি আম খেলে তা স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না, বরং এটি বেশ উপকারী হতে পারে। প্রতিদিন একটি আম খাওয়ার ৪টি স্বাস্থ্য উপকারিতা জেনে নিন-

১. ত্বক উজ্জ্বল করে

আম ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী হতে পারে। আম ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এর সবই স্বাস্থ্যকর এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতার জন্য অপরিহার্য। প্রতিদিন আম খেলে তা শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতেও সাহায্য করে, যা ত্বককে সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২. হৃদরোগ দূরে রাখে

আপনি কি জানেন প্রতিদিন একটি আম খেলে হৃদযন্ত্রের উন্নতি হয়? আম পটাসিয়াম সমৃদ্ধ এবং হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে কাজ করে। এতে ম্যাগনেসিয়ামও প্রচুর থাকে, যা হার্ট ভালো রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন আম খেলে তা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

৩. ওজন কমাতে সাহায্য করে

আপনার ওজন কমানোর ডায়েটে আম রাখতে পারেন। প্রতিদিন পরিমিত আম খেলে অর্থাৎ প্রতিদিন একটি করে খাওয়া হলে তা ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করবে। এর কারণ হলো আম ফাইবার সমৃদ্ধ এবং দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরাতে সাহায্য করতে পারে।

৪. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

আঁশের পরিমাণ এবং পুষ্টির কারণে প্রতিদিন একটি আম খাওয়ার অভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। তাই এ ধরনের সমস্যা থেকে বাঁচতে আমের মৌসুমে প্রতিদিন একটি করে আম খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে আরও অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন।

15/05/2025

✅ লেবু খাওয়ার উপকারিতা:
১. ভিটামিন C-এর উৎস
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন C থাকে যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

২. হজমে সহায়ক
লেবুর রস পেটের অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং হজমে সহায়তা করে।

৩. ওজন কমাতে সাহায্য করে
গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খেলে বিপাকক্রিয়া (metabolism) বাড়ে, যা ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে।

৪. ত্বকের জন্য ভালো
লেবুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক উজ্জ্বল করে, ব্রণ কমায় এবং বয়সের ছাপ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

৫. ডি-টক্সিফাই করার ক্ষমতা
লেবু লিভার পরিষ্কারে সাহায্য করে এবং শরীরের টক্সিন দূর করতে ভূমিকা রাখে।

৬. মুখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
মুখে দুর্গন্ধ দূর করতে এবং মাড়ি শক্ত করতে লেবু উপকারী।

❌ লেবু খাওয়ার ক্ষতিকর দিক:
১. অতিরিক্ত অ্যাসিডিটি
লেবুতে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে। অতিরিক্ত খেলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।

২. দাঁতের এনামেল ক্ষয়
লেবুর রস দাঁতের এনামেল ক্ষয় করতে পারে, বিশেষ করে যদি সরাসরি খাওয়া হয় বা দাঁতের ওপর ঘষা হয়।

৩. অ্যালার্জির সমস্যা
কারও কারও লেবুতে অ্যালার্জি থাকতে পারে, যেমন চুলকানি, ফুসকুড়ি বা শ্বাসকষ্ট।

৪. মূত্রবর্ধক প্রভাব
লেবুতে ডাইউরেটিক প্রভাব থাকতে পারে, যা অতিরিক্ত প্রস্রাব সৃষ্টি করে শরীর থেকে পানি ও লবণ বের করে দিতে পারে।

৫. পেট খারাপ বা ডায়রিয়া
অতিরিক্ত লেবু খেলে পেটে ব্যথা বা পাতলা পায়খানা হতে পারে।

👉 লেবু খাওয়ার কিছু পরামর্শ:
খালি পেটে বেশি লেবু খাবেন না।

দাঁত রক্ষায় লেবু পানি খাওয়ার পর মুখ কুলকুচি করে নিন।

পরিমিত পরিমাণে খেলে লেবু অত্যন্ত উপকারী।

15/05/2025

দুর্বল হওয়ার সাধারণ কারণ:
পুষ্টিহীনতা (Malnutrition):

পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন, ভিটামিন না খাওয়া।

নিয়মিত খাবার না খাওয়া বা অনিয়মিত ডায়েট।

ডিহাইড্রেশন (পানি স্বল্পতা):

শরীরে পর্যাপ্ত পানি না থাকা।

ঘুমের ঘাটতি:

প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুম না হলে শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল লাগে।

রক্তস্বল্পতা (Anemia):

আয়রনের অভাবে রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যায়।

দীর্ঘমেয়াদি অসুখ:

থাইরয়েড সমস্যা, ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা ইত্যাদি।

মানসিক চাপ বা বিষণ্ণতা (Depression):

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগ থেকেও দুর্বল লাগতে পারে।

সংক্রমণ:

ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের পর দুর্বলতা অনুভূত হয়।

✅ দুর্বলতা দূর করার উপায়:
সুষম খাদ্য খাওয়া:

প্রতিদিন প্রোটিন (ডাল, ডিম, মাছ, মাংস), আয়রন (লাল শাক, কলিজা), ভিটামিন (ফলমূল ও সবজি) গ্রহণ করুন।

পানি পান করুন পর্যাপ্ত পরিমাণে:

প্রতিদিন অন্তত ৮–১০ গ্লাস পানি পান করুন।

নিয়মিত ঘুম:

প্রতিদিন অন্তত ৬–৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।

হালকা ব্যায়াম করুন:

প্রতিদিন হেঁটে বেড়ান বা হালকা ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ করুন।

স্ট্রেস কমান:

মেডিটেশন, প্রার্থনা বা মন ভালো রাখার কাজ করুন।

ডাক্তারের পরামর্শ নিন:

যদি দুর্বলতা দীর্ঘদিন থাকে, তাহলে রক্ত পরীক্ষা বা প্রয়োজনীয় মেডিকেল টেস্ট করুন।

ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট (প্রয়োজনে):

ডাক্তারের পরামর্শে আয়রন, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স, ভিটামিন ডি ইত্যাদি নিতে পারেন।

15/05/2025

তীব্র গরমে করণীয়:
প্রচুর পানি পান করুন

ঘাম দিয়ে শরীর থেকে পানি ও লবণ বের হয়ে যায়, তাই নিয়মিত পানি, স্যালাইন, ফলের রস, লেবু পানি ইত্যাদি পান করুন।

হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুন

হালকা রঙের, পাতলা ও তুলার পোশাক গরম প্রতিরোধে সহায়ক।

রোদে বের হওয়ার সময় ছাতা বা টুপি ব্যবহার করুন

সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা পেতে ছাতা, সানগ্লাস, হ্যাট ব্যবহার করুন।

যথাসম্ভব রোদ এড়িয়ে চলুন

বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রোদ সবচেয়ে বেশি তীব্র থাকে। এই সময়ে বাইরে বের হওয়া এড়িয়ে চলুন।

বাড়িতে থাকলে ঘর ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন

জানালার পর্দা টেনে রাখা, ফ্যান/এসি ব্যবহার, পানি ছিটিয়ে ঘর ঠান্ডা রাখা যেতে পারে।

স্নান করুন দিনে একাধিকবার

শরীর ঠান্ডা রাখতে দিনে অন্তত ২ বার স্নান করা ভালো।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম

গরমে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তাই বিশ্রাম খুব জরুরি।

❌ তীব্র গরমে বর্জনীয়:
ধূমায়িত ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন

এসব খাবার গরমে হজমে সমস্যা ও শরীর গরম করে তোলে।

খালি পেটে রোদে বের হওয়া

এতে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা বেড়ে যায়।

অতিরিক্ত চা/কফি বা কোল্ড ড্রিংকস পান

ক্যাফেইন ও কৃত্রিম চিনি শরীরকে পানিশূন্য করে তোলে।

ঢাকা জায়গায় বা যানবাহনে দীর্ঘ সময় থাকা

পর্যাপ্ত বায়ু চলাচল না থাকলে মাথা ঘোরা বা অসুস্থ বোধ হতে পারে।

অতিরিক্ত ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম

গরমে বেশি শারীরিক শ্রম শরীরকে ক্লান্ত ও পানিশূন্য করে তোলে।

আবহাওয়া উপেক্ষা করে পোশাক পরা

গরমে মোটা বা কালো পোশাক ঘাম ও অস্বস্তি বাড়ায়।

15/05/2025

মানব দেহের সুস্থতা ও সঠিক বিকাশের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবার রয়েছে যেগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।

১. প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার (Growth and Repair)
ডিম

মাছ (রুই, কাতলা, ইলিশ, তেলাপিয়া)

মুরগি ও গরুর মাংস (চর্বিহীন)

ডাল (মসুর, মুগ, ছোলা)

সয়াবিন

দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার (যেমন দই, পনির)

২. শর্করা (Carbohydrates – শক্তির উৎস)
ভাত

রুটি

আলু

মিষ্টি কুমড়ো

কর্নফ্লেক্স ও ওটস

ফলমূল (কলা, আপেল, আম ইত্যাদি)

৩. চর্বি (Fats – স্বাস্থ্যকর চর্বি)
বাদাম (আখরোট, কাঠবাদাম, কাজু)

তিল ও তিলের তেল

অলিভ অয়েল

মাছের তেল (ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড)

৪. ভিটামিন ও খনিজ (Vitamins and Minerals)
গাজর (ভিটামিন A)

লেবু, কমলা (ভিটামিন C)

কলা, পেঁপে (পটাশিয়াম)

দুধ (ক্যালসিয়াম)

পালং শাক, লাল শাক (আয়রন)

ডিমের কুসুম (ভিটামিন D)

৫. ফাইবারযুক্ত খাবার (Digestive health)
ব্রাউন রাইস

ওটস

সবুজ শাকসবজি

ফলমূলের ছাল

ছোলার ডাল

৬. পানীয় (Hydration)
বিশুদ্ধ পানি

ডাবের পানি

ঘরে তৈরি ফলের রস

দুধ

নোট: একটি সুষম খাদ্য তালিকায় এই সব উপাদানগুলোর সঠিক পরিমাণে অন্তর্ভুক্তি দরকার। বয়স, লিঙ্গ, কাজের ধরণ ও শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে খাদ্যের পরিমাণ ও ধরন পরিবর্তন হতে পারে।

12/05/2025

অতিরিক্ত তাপমাত্রা বা তাপপ্রবাহ (heatwave) স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী নারী এবং অসুস্থ ব্যক্তিরা ঝুঁকিতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয় হলো:

🟠 করণীয়:
পর্যাপ্ত পানি পান করুন:

ঘাম দিয়ে শরীরের পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়, তাই দিনে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

শরীরের পানিশূন্যতা রোধে ওরস্যালাইন বা লবণ-চিনির পানি খেতে পারেন।

রোদ থেকে দূরে থাকুন:

দুপুর ১২টা থেকে ৪টার মধ্যে রোদে বের না হওয়াই ভালো।

জরুরি প্রয়োজনে ছাতা বা টুপি ব্যবহার করুন।

হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরুন:

সুতির ও হালকা রঙের জামা পরলে শরীর ঠান্ডা থাকে।

বাড়ির ভেতরে শীতল পরিবেশ বজায় রাখুন:

জানালা-দরজা খোলা রাখুন যেন বাতাস চলাচল করে।

সম্ভব হলে ফ্যান বা এ.সি. ব্যবহার করুন।

হালকা খাবার খান:

সহজপাচ্য ও ঠান্ডা জাতীয় খাবার খান (যেমন ফলমূল, দই, শসা ইত্যাদি)।

অতিরিক্ত ঝাল ও ভাজাপোড়া খাবার পরিহার করুন।

অসুস্থতা অনুভব করলে বিশ্রাম নিন:

মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, বমি বমি ভাব বা অজ্ঞান হওয়ার উপক্রম হলে দ্রুত ছায়াযুক্ত স্থানে বিশ্রাম নিন এবং পানি পান করুন।

বিশেষ সতর্কতা:

শিশু ও বৃদ্ধদের রোদে বের হতে দেবেন না।

প্রাণীদের জন্যও পানি ও ছায়ার ব্যবস্থা রাখুন।

10/05/2025

🌞 গরমে কেন পানির প্রয়োজন বেশি?
ঘাম বেশি হয়: গরমে শরীর তাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘাম ছাড়ে, ফলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও ইলেক্ট্রোলাইট বের হয়ে যায়।

ডিহাইড্রেশন (জলশূন্যতা): পর্যাপ্ত পানি না খেলে শরীরে জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে, যার ফলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, খিটখিটে মেজাজ ও ঘাম বন্ধ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত সমস্যা দেখা দেয়।

তাপজনিত রোগ প্রতিরোধে: হিট স্ট্রোক, হিট এক্সহসশন ইত্যাদি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য শরীরকে ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড রাখা জরুরি।

💧 কী পরিমাণ পানি প্রয়োজন?
সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে ২.৫ থেকে ৩ লিটার পানি প্রয়োজন হয়। তবে গরমে এই চাহিদা ৩.৫ লিটার বা তার বেশি হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি বাইরে কাজ করেন বা শারীরিক পরিশ্রম করেন।

✅ কীভাবে পানি গ্রহণ বাড়ানো যায়?
সবসময় নিজের সঙ্গে পানি রাখুন।

ফ্লেভারড ওয়াটার (লেবু, পুদিনা, শসা মিশিয়ে) খেতে পারেন।

ফলমূল (তরমুজ, শসা, বাঙ্গি) খান — এগুলোতেও প্রচুর পানি থাকে।

শরবত, ডাবের পানি, লাচ্ছি ইত্যাদি পান করুন।

09/05/2025

পালং শাক
উপকারিতা:

প্রচুর আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন এ, সি ও কে-র উৎস।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

চোখের জন্য ভালো (ভিটামিন A)।

হজমে সাহায্য করে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।

অপকারিতা:

অতিরিক্ত খেলে অক্সালেট জমে গিয়ে কিডনিতে পাথর হতে পারে।

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়াতে পারে কারও কারও জন্য।

২. ডাটা শাক (মূলত লাউ/পুঁই/শিমের ডাটা)
উপকারিতা:

আঁশযুক্ত, হজমে সহায়ক।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক (পটাশিয়াম সমৃদ্ধ)।

ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।

অপকারিতা:

রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহৃত হলে ক্ষতিকর হতে পারে।

অপরিষ্কারভাবে রান্না করলে পেটের সমস্যা হতে পারে।

৩. লাল শাক
উপকারিতা:

আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, রক্তস্বল্পতা দূর করে।

ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

অপকারিতা:

অতিরিক্ত খেলে গ্যাস্ট্রিক হতে পারে।

রাসায়নিক থাকলে হজমে সমস্যা হতে পারে।

৪. কচু শাক
উপকারিতা:

আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।

হজমে সহায়ক, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।

অপকারিতা:

ভালোভাবে না রান্না করলে চুলকানি (Oxalate Crystals) হতে পারে।

কিছু মানুষের জন্য গ্যাস বা পেটে ফাঁপা সৃষ্টি করতে পারে।

৫. পুঁই শাক
উপকারিতা:

ফাইবার ও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ।

হজমে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

ওজন কমাতে সহায়ক, কোলেস্টেরল কমায়।

অপকারিতা:

অতিরিক্ত খেলে গ্যাস বা অম্বল হতে পারে।

ভালোভাবে না ধুয়ে খেলে পেটের রোগ হতে পারে।

09/05/2025

🐔 মুরগির মাংসের উপকারিতা:
উচ্চ প্রোটিন: দেহ গঠন ও পেশি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

লো ফ্যাট (ত্বক ছাড়া): হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

ভিটামিন বি৬ এবং নিয়াসিন: মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক রাখে।

ইমিউন বুস্টার: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

🦆 হাঁসের মাংসের উপকারিতা:
উচ্চ ক্যালোরি ও ফ্যাট: শক্তির ভালো উৎস, শীতপ্রধান অঞ্চলে উপকারী।

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

আয়রন ও জিঙ্ক: রক্তে হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

🐐 খাসির মাংসের উপকারিতা:
উচ্চমানের প্রোটিন: পেশি গঠনে সহায়ক।

জিঙ্ক, আয়রন, ভিটামিন বি১২: রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ ও নার্ভ সিস্টেম ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

লো-কোলেস্টেরল (গরুর চেয়ে কম): নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে গ্রহণ করলে তুলনামূলক স্বাস্থ্যসম্মত।

🐄 গরুর মাংসের উপকারিতা:
উচ্চ আয়রন ও ভিটামিন বি১২: এনিমিয়া প্রতিরোধে কার্যকর।

ক্রিয়েটিন ও জিঙ্ক: পেশি শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

প্রোটিনে ভরপুর: শরীরের কোষ পুনর্গঠন ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

❗ মনে রাখবেন: যেকোনো ধরনের লাল মাংস (গরু/খাসি) অতিরিক্ত খেলে হৃদরোগ ও কোলেস্টেরল বাড়ার ঝুঁকি থাকে। তাই পরিমিত এবং স্বাস্থ্যসম্মত রান্না পদ্ধতিতে খাওয়া সবচেয়ে ভালো।

08/05/2025

. কলা
শক্তি বাড়ায় (উচ্চ ক্যালরি ও কার্বোহাইড্রেট)

হজমে সাহায্য করে (ফাইবার ও পটাশিয়াম)

হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখে

২. আনারস
হজমে সহায়ক (ব্রোমেলিন এনজাইম)

অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি

ভিটামিন C সমৃদ্ধ

৩. আঙ্গুর (আঙুর)
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ (রেসভেরাট্রল)

হৃদযন্ত্র রক্ষা করে

ত্বকের জন্য ভালো

৪. পেঁপে
হজমে সহায়ক (প্যাপন এনজাইম)

লিভার ও ত্বকের জন্য ভালো

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

৫. বাদাম
প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও ফাইবার সমৃদ্ধ

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

মস্তিষ্ক ও ত্বকের জন্য উপকারী

৬. আম
ভিটামিন A ও C সমৃদ্ধ

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

হজমে সহায়তা করে

৭. লিচু
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ

রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে (আয়রন)

ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে

৮. আপেল
ফাইবার সমৃদ্ধ – হজম ভালো রাখে

কোলেস্টেরল কমায়

"প্রতিদিন একটি আপেল, ডাক্তার থেকে দূরে রাখে" (সতেজ শরীর রাখে)

৯. কমলা
ভিটামিন C এর চমৎকার উৎস

রোগ প্রতিরোধে সহায়ক

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়

এই সব ফল নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে শরীর ও মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।

07/05/2025

পালং শাক:

এটি আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ক এবং ভিটামিন এ-তে সমৃদ্ধ।

রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে এবং হাড়ের জন্য উপকারী।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা কোষের ক্ষতি রোধ করে।

লাউ:

এটি শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে এবং হজমের সমস্যা দূর করে।

ক্যালরি কম হওয়ায় এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

এটি হাইড্রেশন বজায় রাখতে সহায়ক এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

বাঁধাকপি:

এতে ফাইবার, ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

হজমতন্ত্রের জন্য উপকারী এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

টমেটো:

টমেটোতে লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

এটি ত্বকের জন্য ভালো এবং ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ।

শিমলা মরিচ:

এটি ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ।

এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বকের জন্য উপকারী।

কপি শাক:

কপি শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, এবং ক্যালসিয়াম থাকে।

এটি হাড় শক্তিশালী করে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।

করলা:

করলায় বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে এবং রক্তের শর্করা কমাতে সহায়ক।

শাক:

শাকে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক।

এটি শরীরের টক্সিন পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের জন্য উপকারী।

গাজর:

গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন থাকে যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।

এটি ত্বকের জন্য উপকারী এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

কুমড়ো:

কুমড়োতে পটাসিয়াম, ভিটামিন সি এবং ফাইবার থাকে যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

এটি ত্বক ও হজমে সহায়ক।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr.Fahim Rahman posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category