31/08/2025
ডায়াবেটিস রোগীর যত্ন খুব নিয়মিতভাবে নিতে হয়, কারণ রক্তে সুগারের তারতম্য শরীরের প্রায় সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে প্রভাব ফেলে। এখানে ধাপে ধাপে ডায়াবেটিস রোগীর যত্নের মূল দিকগুলো দিলাম:
🥗 ১. খাবারের যত্ন
নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত খাবার খেতে হবে।
বেশি ভাত, আলু, মিষ্টি, সফট ড্রিঙ্কস, ফাস্ট ফুড এড়াতে হবে।
শাকসবজি, আঁশযুক্ত খাবার, সালাদ, ডাল, শস্যজাতীয় খাবার খেতে হবে।
দিনে অল্প অল্প করে বারবার খাওয়া ভালো।
রাতে বেশি ভারী খাবার না খাওয়াই উত্তম।
💉 ২. ওষুধ ও ইনসুলিন
ডাক্তার যে সময় ও ডোজ বলে দিয়েছেন, ঠিক সে সময়ে ওষুধ/ইনসুলিন নিতে হবে।
ইনসুলিনের ক্ষেত্রে একই জায়গায় বারবার ইনজেকশন না দিয়ে পেট, হাত বা উরুর ভিন্ন স্থানে নিতে হবে।
ওষুধ মিস করলে পরদিন ডাবল ডোজ নয়, ডাক্তারের নির্দেশনা মেনে নিতে হবে।
🩸 ৩. রক্তের সুগার নিয়মিত পরীক্ষা
খালি পেটে রক্তের সুগার (FBS), খাবারের ২ ঘণ্টা পর (PPBS) ও মাঝে মাঝে HbA1c টেস্ট করতে হবে।
হঠাৎ দুর্বল লাগা, ঘাম, কাঁপুনি বা ঝিমুনি হলে সাথে সাথে সুগার পরীক্ষা করতে হবে (এগুলো হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ হতে পারে)।
🏃♂️ ৪. শারীরিক কার্যক্রম
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করা দরকার।
ওজন বেশি হলে ধীরে ধীরে কমানোর চেষ্টা করতে হবে।
একেবারে অলস জীবনধারা (sedentary lifestyle) এড়াতে হবে।
👣 ৫. পায়ের যত্ন
প্রতিদিন পা ধুয়ে শুকিয়ে রাখতে হবে।
ফাটা বা কাটা থাকলে অবহেলা করা যাবে না, দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।
শক্ত জুতা না পরে আরামদায়ক জুতা ব্যবহার করতে হবে।
👀 ৬. নিয়মিত চেকআপ
বছরে অন্তত একবার চোখ, কিডনি, দাঁত, হৃদপিণ্ড পরীক্ষা করতে হবে।
রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
⚠️ ৭. জরুরি অবস্থার যত্ন
হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে (সুগার খুব কমে গেলে) সাথে সাথে চিনি বা মিষ্টি কিছু খাওয়াতে হবে।
হাইপারগ্লাইসেমিয়া (সুগার খুব বেশি হলে) প্রচুর পানি খেতে হবে এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
👉 সহজভাবে বলা যায়: সঠিক খাবার + নিয়মিত ওষুধ/ইনসুলিন + ব্যায়াম + সুগার টেস্ট + নিয়মিত চেকআপ = ডায়াবেটিস কন্ট্রোল।
#ডায়াবেটিস
#রোগীর যত্ন
#ঔষধ ইনসুলিন
#রক্তে সুগার টেস্ট
#হাইপোগ্লাইসেমিয়া