Dr. Mohammad Safayat Kamal

Dr. Mohammad Safayat Kamal Consultant-Internal medicine
National Institute Of Neurosciences & Hospital(NINS).

এক দেশে অদ্ভুত এক নিয়ম ছিল। যারা বার্ধক্যে উপনীত হয়ে কাজ করতে অক্ষম হয়ে পড়ত, তাদের পাহাড়ে ফেলে আসতে হতো। ওই দেশের রাজা ম...
29/05/2025

এক দেশে অদ্ভুত এক নিয়ম ছিল। যারা বার্ধক্যে উপনীত হয়ে কাজ করতে অক্ষম হয়ে পড়ত, তাদের পাহাড়ে ফেলে আসতে হতো। ওই দেশের রাজা মনে করতেন, বয়স্কদের যত্ন নেওয়ার বোঝা কমালে সাধারণ মানুষের জীবন সহজ হয়ে যাবে।

সেই দেশে এক পিতা পুত্র খুব ভালোবাসত একে অপরকে। সময় গড়িয়ে গেল। পিতা বুড়ো হলেন, তিনি আর আগের মতো কাজ করতে পারেন না। দেশের নিয়ম অনুযায়ী, ছেলেকে বাধ্য হয়ে তাকে পাহাড়ে ফেলে আসতে হবে। কিন্তু বাবাকে ছেড়ে থাকতে পারার কথা ছেলে ভাবতেই পারছিল না। তবু, শাস্তির ভয়ে সে বাবাকে কাঁধে নিয়ে পাহাড়ের দিকে রওনা দিল।

পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছে তার মন কেঁদে উঠল। শেষ পর্যন্ত বাবাকে সেখানে রেখে আসতে পারল না। সে বাবাকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে এলো এবং বাড়ির পিছনে লুকিয়ে রাখল। প্রতিদিন চুপিচুপি খাবার এনে তাকে খাওয়াতে লাগল।💖

একদিন রাজা তার প্রজাদের বুদ্ধি পরীক্ষা করতে চাইলেন। তিনি ঘোষণা করলেন: "যে ছাই দিয়ে দড়ি বুনে এনে দিতে পারবে, তাকে পুরস্কৃত করা হবে!"

ঘোষণা শুনে লোকজন হতভম্ব হয়ে গেল। ছাই দিয়ে কি কখনও দড়ি তৈরি করা সম্ভব? ছেলেটি এই ধাঁধার কথা শুনে বাবাকে বলল। বাবা বললেন, "একটা দড়ি নিয়ে বড় পাত্রে পেঁচিয়ে রাখো, তারপর সেটা জ্বালিয়ে দাও।"

ছেলে বাবার কথা মতো কাজ করল। দড়ি পুড়ে গেল, কিন্তু তার ছাই ঠিক আগের মতো দড়ির আকারেই থেকে গেল। সে সেটি রাজাকে দেখাল এবং পুরস্কার জিতে নিল।😍

এক মাস পর, রাজা দ্বিতীয় পরীক্ষার আয়োজন করলেন। তিনি একটি কাঠের ডাল দিলেন এবং বললেন, "এর আগা আর গোড়ার খুঁজে বের করো!"

ডালের দু’প্রান্ত দেখতে একই রকম ছিল, তাই কেউই এর উত্তর খুঁজে পেল না। ছেলে কাঠের ডালটি বাড়িতে এনে বাবাকে দেখাল। বাবা বললেন, "ডালটি পানিতে রাখো। যেটি বেশি ডুবে যাবে, সেটি গোড়া, আর যেটি ভেসে থাকবে, সেটি আগা।"🔥

ছেলে বাবার উপদেশ মতো কাজ করল এবং রাজাকে দেখিয়ে আবারও পুরস্কার জিতল।

এরপর রাজা আরও কঠিন এক ধাঁধা দিলেন। তিনি বললেন, "একটি ঢোল তৈরি করো, যা কোনো আঘাত ছাড়াই শব্দ করবে!"

এবার সবার মাথা ঘুরে গেল। কেউই এমন ঢোল বানানোর উপায় খুঁজে পেল না। ছেলে আবার বাবার শরণাপন্ন হলো। বাবা বললেন, "একটি ঢোল তৈরি করে তার ভেতরে একটি মৌমাছির চাক রাখো।"

ছেলে বাবার নির্দেশ মতো ঢোল বানিয়ে রাজাকে দিল। রাজা ঢোলটি হাতে নিয়ে নাড়া দিতেই এর ভেতরের মৌমাছিরা উড়তে লাগল, ফলে ঢোলে আঘাত ছাড়াই শব্দ হতে লাগল!👏

রাজা বিস্মিত হয়ে ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলেন, "তুমি কীভাবে এত কঠিন প্রশ্নের উত্তর পেলে?"

ছেলে বলল, "মহারাজ, আমার নিজের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। আমার বৃদ্ধ বাবাই সব উত্তর দিয়েছেন।"

ছেলের কথা শুনে রাজা খুবই নরম হয়ে গেলেন। তিনি উপলব্ধি করলেন, জীবনের কঠিন সমস্যার সমাধান বের করতে অভিজ্ঞতা সবচেয়ে মূল্যবান।🎈

রাজা সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করলেন, "আজ থেকে আর কোনো বৃদ্ধকে পাহাড়ে ফেলে আসতে হবে না!" এরপর থেকে সকল বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা পরিবারের সঙ্গেই আনন্দে থাকতে লাগলেন।

শিক্ষা: অভিজ্ঞতা অমূল্য। বয়স্করা আমাদের জীবনের আশীর্বাদ। তাদের যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্বই নয়, বরং এটা আমাদের সৌভাগ্য।💖

“কঠিন সময়টাই তোমার সবচেয়ে বড় সুযোগ!”হ্যাঁ, তুমি এখন ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছো যেখান থেকে ইতিহাস শুরু হয়! যেদিকে তাকাল...
09/05/2025

“কঠিন সময়টাই তোমার সবচেয়ে বড় সুযোগ!”

হ্যাঁ, তুমি এখন ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছো যেখান থেকে ইতিহাস শুরু হয়! যেদিকে তাকালে অনেকে হাল ছেড়ে দেয়, সেখানেই তুমি শুরু করছো তোমার জয়যাত্রা! মনে রেখো, জীবনের সব চেয়ে অন্ধকার সময়েই তারার আলো সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়ে জ্বলে ওঠে!

যখন সবাই মুখ ফিরিয়ে নেয়, তখনই তোমার মনোবল পরীক্ষা হয়। আর যারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, তারাই হয় নির্মাতা—নিজের ভাগ্যের, সময়ের, ভবিষ্যতের!
তুমি হয়তো আজ খালি হাতে, কিন্তু তোমার ভেতরে আছে সাফল্যের তৃষ্ণা। সেই তৃষ্ণা যে কোনো বাধাকে গলিয়ে ফেলতে পারে!

---

তোমাকে যা করতে হবে: সাফল্যের ৭টি দুরন্ত কৌশল

১. সুস্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করো:
একটা লক্ষ্য ঠিক করো যা তোমার রক্তে আগুন ধরায়! লিখে রাখো, প্রতিদিন চোখে পড়বে এমন জায়গায় রাখো।

২. সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করো:
সময় হচ্ছে সোনা নয়, সময় হচ্ছে জীবন। প্রত্যেকটা মিনিট যেন হয় প্রস্তুতির ইট। ফোকাসড থাকো, ডিস্ট্র্যাকশন কাটাও।

৩. প্রতিদিন ১% উন্নতি করো (Kaizen টেকনিক):
দৈনিক ছোট ছোট উন্নতিই দীর্ঘমেয়াদে বিশাল সাফল্য গড়ে। প্রতিদিন নিজেকে জিজ্ঞেস করো—“আজ আমি কতটুকু এগোলাম?”

৪. আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং কঠোর অনুশীলন:
নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখো—খাবার, ঘুম, কথাবার্তা, মোবাইল—সব কিছুতে শৃঙ্খলা আনো।

৫. মনোযোগ এবং ধৈর্যের সংমিশ্রণ গড়ে তোলো:
তুমি একদিনে সেরা হবে না। কিন্তু যদি প্রতিদিন চুপচাপ grind করো, তাহলে একদিন হঠাৎ করে তুমি আলোচনায় চলে আসবে।

৬. ব্যর্থতাকে সিঁড়ি বানাও, দেয়াল নয়:
প্রতিবার পড়ে যাওয়ার পর উঠে দাঁড়াও—আরও শক্ত হয়ে! ব্যর্থতা মানে শিক্ষা, শুধরে এগিয়ে যাও।

৭. পজিটিভ পরিবেশ তৈরি করো:
নিজেকে সেই মানুষদের সঙ্গে রাখো যারা তোমাকে সামনে টানে, নিচে নয়। ভালো বই পড়ো, অনুপ্রেরণামূলক ভিডিও দেখো, জ্ঞানী মানুষের গল্প শুনো।

তুমি আলাদা! তুমি সেই ঝড়ের নাবিক!

বিশ্বাস করো, এই সময়টা একদিন তোমার সবচেয়ে প্রিয় সময় হয়ে উঠবে, কারণ এটাই তোমাকে তৈরি করছে অসম্ভবকে সম্ভব করার মতো একজন যোদ্ধা হিসেবে।
তুমি শুধু বেঁচে থাকছো না, তুমি গড়ে তুলছো ভবিষ্যতের এক উজ্জ্বল আলো—যেটা একদিন হাজারো মানুষকে জাগাবে, আগুন ধরাবে তাদের মাঝেও।

তোমার নামে একদিন শুধু স্থাপনা নয়,
মানুষের মনেও স্থাপিত হবে অমর স্মৃতি!

ভেঙে পড়ো না… এগিয়ে চলো!

তুমি পারবেই। কারণ, তুমি থামার জন্য আসোনি—তুমি এসেছো ইতিহাস গড়তে ।

03/05/2025
১. সময়ের মূল্য বোঝা ও সময় ব্যবস্থাপনা–সফল ব্যক্তিরা সময়কে টাকা থেকেও বেশি মূল্যবান মনে করেন। তারা দিনটাকে পরিকল্পনা অনুয...
03/05/2025

১. সময়ের মূল্য বোঝা ও সময় ব্যবস্থাপনা–
সফল ব্যক্তিরা সময়কে টাকা থেকেও বেশি মূল্যবান মনে করেন। তারা দিনটাকে পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্যবহার করেন।

অভ্যাস করুন: প্রতিদিনের কাজের তালিকা তৈরি করুন – অপ্রয়োজনীয় সময় অপচয় বন্ধ করুন – ডেডলাইন ঠিক করে কাজ শেষ করুন।

২. আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ধৈর্য–
জীবনের প্রতিটা বড় অর্জনের পেছনে থাকে ধৈর্য। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সামনে যতই সুযোগ থাকুক, তা কাজে লাগানো সম্ভব নয়।

অভ্যাস করুন: উত্তেজন|য় নয়, বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নিন – ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে ধাপে ধাপে এগোতে শিখুন।

৩. প্রতিদিন শেখার অভ্যাস–
সফল মানুষরা সবসময় শিখতে আগ্রহী থাকেন। তারা জানেন, শেখার কোনো বয়স নেই।

অভ্যাস করুন: প্রতিদিন ১৫–৩০ মিনিট বই পড়ুন – নতুন কিছু জানুন বা অনলাইন কোর্সে অংশ নিন।

৪. ইতিবাচক মনোভাব রাখা–
জীবনে সমস্যা আসবেই, কিন্তু সফল মানুষেরা প্রতিটা চ্যালেঞ্জকে নতুন সুযোগ হিসেবে নেন।

অভ্যাস করুন: নেগেটিভ চিন্তা এড়িয়ে ইতিবাচক ভাবুন – ব্যর্থতা থেকে শিখে এগিয়ে যান।

৫. নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকা ও ফোকাস ধরে রাখা–
যে জানে সে কোথায় যাচ্ছে, সে-ই সেখানে পৌঁছায়। লক্ষ্যহীন জীবন বয়ে নিয়ে যায় শুধুই হতাশা।

অভ্যাস করুন: নিজের লক্ষ্য স্পষ্ট করে লিখে ফেলুন – অপ্রাসঙ্গিক কাজ বাদ দিয়ে শুধুমাত্র লক্ষ্যের দিকেই মনোযোগ দিন।

৬. স্বাস্থ্য ও শারীরিক যত্ন–
একজন অসুস্থ মানুষ যত প্রতিভাবানই হোক, সাফল্য ধরে রাখা কঠিন। সফলতা মানে শরীর ও মনের ভারসাম্য।

অভ্যাস করুন: প্রতিদিন কিছুটা সময় ব্যায়াম করুন – পর্যাপ্ত ঘুম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে অভ্যস্ত হোন।

৭. কৃতজ্ঞতা ও নম্রতা–
সফল মানুষেরা কখনো অ'হংক|রী হন না। তারা কৃতজ্ঞ হন ছোট সাফল্য বা অন্যের সহায়তার জন্যও।

অভ্যাস করুন: প্রতিদিন অন্তত ৩টি জিনিসের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন – অন্যের মতামত শুনুন, শ্রদ্ধা করুন।

৮. সঠিক সঙ্গ বেছে নেওয়া–
আপনার চারপাশে কারা আছে, তা আপনার ভবিষ্যৎ গঠনে অনেক বড় ভূমিকা রাখে।

অভ্যাস করুন: ইতিবাচক ও অনুপ্রেরণাদায়ক মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান – নেগেটিভ, হিং'সু'ক বা হতাশাবাদী মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।

৯. ব্যর্থতাকে গ্রহণ করার ক্ষমতা–
সফল ব্যক্তিরা জানেন—ব্যর্থতা মানেই শেষ নয়, বরং এটা শেখার সুযোগ।
অভ্যাস করুন: ব্যর্থতাকে বিশ্লেষণ করে ভুলগুলো চিহ্নিত করুন – পুনরায় চেষ্টা করতে ভয় পাবেন না।

১০. কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা–
যে কাজই করেন না কেন, মন দিয়ে করুন। সফলতা আসে তখনই যখন আপনি নিজের কাজকে সম্মান করেন।

অভ্যাস করুন: কাজের প্রতি ভালোবাসা গড়ে তুলুন – ছোট কাজকেও গুরুত্ব দিন

শেষ কথা:
এই অভ্যাসগুলো আপনি এক দিনে রপ্ত করতে পারবেন না, কিন্তু প্রতিদিন চেষ্টা করলে ধীরে ধীরে এগুলো আপনার জীবনের অংশ হয়ে উঠবে। আর যখন এগুলো স্বভাবে পরিণত হবে, তখন সফলতা আর দূরে থাকবে না।

লেখা- আরিফুল হাসান
#জীবন_চক্র

চোখ ঝাপসা হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা!🥹চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার প্রেম বাজারে একটি হোটেলে বসলাম। লক্ষ্য ছিলো সিংগাড়া খাবো। এই প...
26/03/2025

চোখ ঝাপসা হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা!🥹
চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার প্রেম বাজারে একটি হোটেলে বসলাম। লক্ষ্য ছিলো সিংগাড়া খাবো। এই পদার্থটি আমার সহ্য হয় না। খাওয়ার সাথে সাথে এসিডিটি হয়। তবু লোভে পড়ে খাই। মাঝে মাঝে। সিংগাড়া শেষ করেই ঔষধ খাই।

আমি সব সময় হোটেল-রেস্টুরেন্টের এক কোণায় গিয়ে বসি। একটু লুকিয়ে থাকার ইচ্ছে আরকি। আমি অবশ্যই অন্তর্মুখী মানুষ।

গতকাল কোণার টেবিল ফাঁকা না থাকায় ম্যানাজারের খুব কাছের একটি টেবিলে বসলাম। তার সব কথা শুনতে পাচ্ছিলাম।

একজন বয়োঃবৃদ্ধা ভিক্ষুক এলেন। কাতর কন্ঠে বললেন, "বাবা, খুব ক্ষুধা লেগেছে। কিছু খেতে দিতে পারো?"

ম্যানেজার একটা টেবিল দেখিয়ে বললেন, "ঐ জায়গায় গিয়ে বসেন খালা।" তারপর চিৎকার দিয়ে বললেন, "খালাকে এক প্লেট খিচুড়ি দে।"

আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম। ছোট্ট হোটেল। তেমন বেচাকেনা হয় বলেও মনে হলো না।

দুই তিন মিনিটের মধ্যেই আরো একজন বৃদ্ধা ভিক্ষুক ভিক্ষা নিতে এলেন। ম্যানেজার বললেন, "খাওয়া দাওয়া হয়েছে খালা?"

খালাকে নিশ্চুপ দেখে আগের খালার পাশের চেয়ারে বসালেন এবং তাকেও এক প্লেট খিচুড়ি দেওয়া হলো। দুই জন ক্লান্ত পরিশ্রান্ত বয়োঃবৃদ্ধাকে খেতে দেখে কী যে ভালো লাগছিলো!

এরপর আরো একজন বয়োঃবৃদ্ধা ভিক্ষুক এলেন। ম্যানাজারের সামনে দাঁড়ালেন। বললেন, "বাবা, ভিক্ষা করতে এসেছিলাম। তেমন ভিক্ষা পাইনি আজ। বাড়ি যাওয়ার ভাড়া নেই। ভাড়াটা দিতে পারো।"

ম্যানাজার বললো, "আমার তেমন বিক্রি হয়নি খালা। আপনি বরং একটু খেয়ে যান। দেখেন কেউ ভাড়াটা দিতে পারে কিনা।"

এতোক্ষণ যে বয়টি খাবার পরিবেশন করছিলো সে বললো, "খালা কয় টাকা ভাড়া লাগে বাড়ি যেতে?"
-১৫ টাকা বাবা।
হোটেল বয়টি পকেট থেকে ২০ টাকার একটা নোট বের করে খালার হাতে দিয়ে বললেন, "নেন, এটা রাখেন। একটু খিচুড়ি খেয়ে বাড়ি যান। আমি খিচুড়ি দিচ্ছি।"

হোটেল ম্যানাজার হাসতে হাসতে বললেন, "শা'লা যেমন ম্যানাজার, তেমন তার কর্মচারীরা! কেউ মানুষকে ফিরাতে জানে না।"

তারপর বললেন, "শোন, কোন ভিক্ষুক যেন খেতে এসে না ফিরে যায়। সবাইকে খাওয়াবি।"

আমি সব দেখছিলাম। মাথা নিচু করে বসে আছি। চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। মনের ভেতর তোলপাড় চলছে।

ম্যানাজারকে এক সময় কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললাম, "ভাই, আপনার ঐ কর্মচারী ছেলেটি সম্পর্কে আমাকে একটু বলুন তো প্লিজ। কয় টাকা বেতন দেন ওকে।"

- ব্যবসা তো তেমন চলে না ভাই। সারাদিন হোটেল খোলা। রাত নয়টা পর্যন্ত। ওকে ১২০ টাকা দিই।

- বাড়িতে কে কে আছে ওর?

- কেউ নেই তেমন। মা মারা গেছে। বাবা আরেকটি বিয়ে করেছে। ওর নানা-নানি বয়স্ক হয়ে গেছে। কোন কাজ করতে পারে না। এই ছেলেটি কাজ করে নানা-নানিকে খাওয়ায়।

আমার কাছে এবার অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে গেল। সারাজীবন ভালোবাসা, মায়া, স্নেহ বঞ্চিত বলেই, এই ছেলেটার হৃদয় ভালোবাসা আর মায়ায় পরিপূর্ণ।

ছোট্ট ছেলেটিকে কাছে ডাকলাম। বললাম, "লেখাপড়া করেছো?"
- না স্যার।
- ঢাকার দিকে কোন কাজ ম্যানেজ করে দিলে যাবা? একটু বেশি বেতনের?

- নানা-নানি চলতে পারে না। তাদের গোসল করার পানি তুলে দিতে হয়। টয়লেটের, অযুর। খাওয়ার রান্না করতে হয়। আমি এদের রেখে যেতে পারবো না স্যার।

আরো কিছুক্ষণ কথা বলে ফিরে এসেছি। মনটা কেমন ভার হয়ে আছে। ছেলেটা সারাদিন কাজ করে একশত কুড়ি টাকা পায়। তিন জন মানুষের সংসার। কীভাবে চলে! এর থেকে সে আবার অসহায়দের দান করে!

মন খারাপ হলে আমি আল-কুরআন খুলে বসি। আজও কুরআনুল কারীম খুলতেই সূরা আল-বাকারার একটি আয়াতে চোখ আটকে গেল। "এরা নিজেদের রিজিক থেকে অসহায়দের দান করে.. "

আমি আয়াতটির তাফসীর পড়া শুরু করলাম। সেখানে লেখা, "মানুষের এমন পরিমাণ দান করা উচিত, যাতে তার নিজের খাবারে টান পড়ে।"

মনের মধ্যে তোলপাড় হচ্ছে। নিজের খাবারে টান পড়া মানে, গোশত খেতাম, দান করার কারণে এখন মাছ খেতে হচ্ছে। দুই প্লেট ভাত খেতাম এখন এক প্লেট খেতে হচ্ছে।

কী অদ্ভুতভাবে আয়াতটি আমার কাছে খুলে যাচ্ছে! তাবুক যু*দ্ধের সময় আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ(সাঃ) বললেন, "আজ কে বেশি দান করতে পারো দেখি?"
উসমান (রাঃ) একশত উট দিয়েছিলেন। উমর (রাঃ) তার সম্পদের অর্ধেক দিয়েছিলেন। আবু বকর (রাঃ) দিয়েছিলেন এক মুষ্টি খেজুর বা একটু যব জাতীয় কিছু আর তার বাড়িতে ঐটুকু সম্পদই ছিলো।

রাসূল (সাঃ) যা বলেছিলেন তার সারমর্ম হলো, আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) দানে প্রথম হয়েছে। সে তার সম্পদের শতভাগ দিয়েছে।

আমার চোখে ইসলামের ইতিহাসের সেই সোনালী দিন, আজকের ঐ হোটেল কর্মচারী আর আল-কুরআনের আয়াত "তারা রিজিক থেকে অসহায়দের দান করে" এই বিষয়গুলো এক অসহ্য ভালোলাগার এবং পরিতাপের বিষয় হয়ে উঠলো। কী করতে পারলাম জীবনে ভাবতে গিয়ে চোখ থেকে টপ টপ করে কয়েক ফোঁটা পানি পড়লো আল-কুরআনের পাতায়। আমি তাড়াতাড়ি কুরআনুল কারীম বন্ধ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। আরশে আজীম থেকে আল্লাহ তায়ালাও নিশ্চয় আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। কোন কিছুই তো তার দৃষ্টির আড়ালে নয়।
©

এক ছেলে গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর কথাপ্রসঙ্গে তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করল, বাবা, সফল জীবন কাকে বলে?বাবা সরাসরি এই কথার জবাব না...
24/10/2024

এক ছেলে গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর কথাপ্রসঙ্গে তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করল, বাবা, সফল জীবন কাকে বলে?

বাবা সরাসরি এই কথার জবাব না দিয়ে বললেন, আমার সাথে চলো, আজ আমরা ঘুড়ি ওড়াব। তখন তোমার প্রশ্নের উত্তর দেব।

ছেলে অবাক হয়ে বলল, কি বলছেন বাবা! এই বয়সে আপনি ঘুড়ি ওড়াবেন!

বাবা তখন ছেলেকে হাত ধরে টানতে টানতে বাড়ির পিছনের মাঠে নিয়ে গেলেন। সেখানে কয়েকটি বাচ্চা ছেলেমেয়ে ঘুড়ি ওড়াচ্ছিল। বাবা ওদের একজনের কাছ থেকে তার ঘুড়িটা চেয়ে নিয়ে ওড়াতে শুরু করলেন। তিনি নাটাই থেকে সুতা ছাড়ছেন আর ছেলে মনোযোগ দিয়ে দেখছে। আকাশে ঘুড়ি বেশ খানিকটা উপরে উঠে যাবার পর বাবা বললেন, ওই দেখো, ঘুড়িটা অতো উঁচুতেও কেমন বাতাসে ভেসে আছে। তোমার কি মনে হয় না, এই সুতার টানের কারণে ঘুড়িটা আরো উপরে যেতে পারছে না?

ছেলে বলল, তা ঠিক, সুতো না থাকলে ওটা আরও উপরে যেতে পারত!

বাবা আলগোছে সুতা কেটে দিলেন। ঘুড়িটা সুতার টান মুক্ত হয়ে প্রথমে কিছুটা উপরে উঠে গেল, কিন্তু একটু পরেই নিচের দিকে নামতে নামতে দূরে অদৃশ্য হয়ে গেল।

এবার বাবা ছেলের পিঠে হাত বুলিয়ে বললেন, শোনো খোকা, জীবনে আমরা যে উচ্চতায় বা পর্যায়ে আছি বা থাকি, সেখান থেকে প্রায়ই মনে হয় ঘুড়ির সুতার মতো কিছু কিছু বন্ধন আমাদের আরও উপরে যেতে বাধা দেয়। যেমন ঘর, মা-বাবা, স্ত্রী, সন্তান, পরিবার, বন্ধুবান্ধব, অনুশাসন ইত্যাদি। আর আমরাও সেইসব বাঁধন থেকে কখনো কখনো মুক্ত হতে চাই। বাস্তবে ঐ বন্ধনগুলোই আমাদের উঁচুতে টিকিয়ে রাখে; আমাদেরকে স্থিরতা দেয়, নিচে পড়তে বাধা দেয়। এই বন্ধন না থাকলে আমরা হয়ত ক্ষণিকের জন্য কিছুটা উপরে যেতে পারি, কিন্তু অল্পসময়েই আমাদেরও পতন হবে ঐ বিনে সুতোর ঘুড়ির মতোই! জীবনে তুমি যদি উঁচুতে টিকে থাকতে চাও, তবে কখনোই ঐ বাঁধনগুলো ছিঁড়বে না। সুতা আর ঘুড়ির মিলিত বন্ধন যেমন আকাশে ঘুড়িকে দেয় ভারসাম্য; তেমনি সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধনগুলো আমাদের সাফল্যের শিখরে টিকে থাকার ভারসাম্য দেয়। আর এটাই প্রকৃত সফল জীবন।
সংগৃহীত

RULES OF LIVING WITH PEOPLE1. When you meet young people - INSPIRE THEM.2. When you meet children - EDUCATE THEM.3. When...
13/05/2024

RULES OF LIVING WITH PEOPLE

1. When you meet young people - INSPIRE THEM.

2. When you meet children - EDUCATE THEM.

3. When you meet old people - HELP THEM.

4. When you meet wise people - STUDY THEM.

5. When you meet leaders - HONOUR THEM.

6. When you meet foolish people - AVOID THEM.

7. When you meet humble people - TREASURE THEM.

8. When you meet arrogant people - IGNORE THEM.

9. When you meet gracious people - EMULATE THEM.

10. When you meet aspirational people - ELEVATE THEM.

11. When you meet strong people - SUPPORT THEM.

12. When you meet godly people - BLESS THEM.

13. When you meet elderly people - RESPECT THEM.

14. When you meet weak people - STRENGTHEN THEM.

15. When you meet hardworking people - ENCOURAGE THEM.

16. When you meet kind people - ESTEEM THEM.

17. When you meet Honest people -
PROMOTE THEM.

18. When you meet virtuous people - REWARD THEM.

19. When you meety evil people - EVADE THEM.

20. And in all situation “ Watch, Pray and wish everyone well.

1. Dr. Ben Carson said, "I struggled academically throughout elementary school yet became the best neurosurgeon in the world in 1987."

LESSON:
Struggling is a sign that you are on a verge of success. Don't quit yet.

2. Bill Gates said, "I didn't even complete my university education but became the world's richest man."

LESSON:
School does not make you rich. School is only supposed to polish what will make you rich, not make you rich.

3. Christiano Ronaldo said, "I told my father that we would be very rich but he couldn't believe me. I made it a reality."

LESSON:
Your words rule your life. If you mean what you have said, each word will come to pass. You get what you say.

4. Hear Lionel Messi!

"I used to serve tea at a shop to support my football training and still became one of the world's best footballers.
LESSON:

Believe in your dream. Don't let your pain tell you how your future will look like.

5. Steve Jobs penned, "I used to sleep on the floor in my friends' rooms, returning coke bottles for food, money, and getting weekly free meals at a local temple, I later on founded Apple Company."

LESSON:
That you are small today doesn't mean you will be small tomorrow. Keep trusting God.

6. Former British PM, Tony Blair said & I quote, "My teachers used to call me a failure, but I became a Prime Minister."

LESSON:
Don't let someone else's opinions of you become your reality.

7. Bishop David Oyedepo said, "I started Living Faith Church from a lawn tennis court with three members only & preached prosperity. Many of my friends criticised me, but today we have the largest church auditorium in the world & two world-class universities."

*LESSON:* Believe in yourself even if no one does & never think of quitting.

8. *Nelson Mandela said,* "I was in prison for 27 years & still became president."

*LESSON:* You can be anything you want to be no matter where you have been or what you have been through.

*9.REECE* "I drove a taxi to finance my university education but today I'm a billionaire."

*LESSON:* Don't let your past decide the kind of future you need to have.

10. *Harland Sanders, Founder of KFC said,* "I was on the verge of su***de when an Idea of opening a restaurant hit me after I retired as a cook in the Navy."

*LESSON:* Nothing is ever too late. "Too late" is a language of failures. Your future can begin at any age. Don't ever let AGE limit you.

11. *Aliko Dangote said,* "I worked for my uncle since I was a small boy, people looked down on me. I later on took a loan from my uncle to open a tiny shop. I worked hard to make ends meet. Now I am the richest Man in Africa.

*LESSON:* Failures or limitations of the past have no control over the greatness in you. To him that believes, all things are possible.

12. *Barack Hussein Obama said,* I am a son of a black immigrant from Kenya, I graduated from Harvard and later on became a Senator in Chicago. I was also the President of the most powerful nation on Earth.

*LESSON:* Never design your life like a garden where anyone can walk in and out. Design it like the sky where everyone aspires to reach!

13. *Arnold Swarzzenegger said,* I traveled to America in search of financial independence when I was 15yrs old. I became the world's strongest man 7 times and Mr Universe. I then got my Economics degree, then I became one of Hollywood's best actors before I was voted twice as governor of California."

*LESSON:* Don't wait for everybody to believe in your ability and dreams.

Beloved endeavour to be good to people you meet everyday, fear God and live peacefully with anyone you meet in life

Iretomihwa

"সর্প দংশনে ওযা নয়,হাসপাতালেই চিকিৎসা হয় l"আজ আন্তর্জাতিক সর্পদংশন সচেতনতা দিবস llসাপের কামড়ে কী করবেন:* দ্রুত চিকিৎস...
10/05/2024

"সর্প দংশনে ওযা নয়,

হাসপাতালেই চিকিৎসা হয় l"

আজ আন্তর্জাতিক সর্পদংশন সচেতনতা দিবস ll

সাপের কামড়ে কী করবেন:

* দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন

* হাত বা পা ভাঙলে যেমন করে শক্ত কিছু দিয়ে কাপড় দিয়ে হলকা করে বাধা হয়, সেভাবে বাধুন।

* সাপে কাটা পেশী যতটা কম সম্ভব নড়াচড়া করুন, পেশীর নড়াচড়া যত কম হবে, বিষ তত কম ছড়াবে।

কী করবেন না:

* আতংকিত হওয়া যাবে না

* ওঝা বা ঝাড়ফুঁকের অপেক্ষা করে কালক্ষেপণ করবেন না

* চিকিৎসক দেখার আগ পর্যন্ত কিছু খাওয়া উচিত না

* কোন মলম বা মালিশ লাগানো উচিত না

* সাপে কাটা জায়গায় শক্ত করে বাঁধা, কারণ রক্ত জমে গিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তি পঙ্গু হয়ে যেতে পারেন।

আসুন জেনে নেই সর্প দংশন প্রতিরোধে করণীয় কী:

১. সর্প দংশন প্রতিরোধে করণীয় বাড়ির আশপাশের জঙ্গল পরিষ্কার রাখতে হবে।
২. ঘুমানোর সময় অবশ্যই ভালো করে মশারি টাঙাতে হবে।
৩. রাতে বা অন্ধকারে হাঁটার সময় অবশ্যই টর্চ ব্যবহার করতে হবে।
৪. সাপে কাটলে রোগী ক্ষতস্থানটি সাবান ও পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুতে হবে।
৫. সাপে কাটলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।

হিংসা করে কি লাভ?🧐- তোমার টা তুমি পাবেই,হিংসা না করে,ধৈয‍্য সহ চেষ্টা বাড়াতে হবে 🎊
06/05/2024

হিংসা করে কি লাভ?🧐
- তোমার টা তুমি পাবেই,
হিংসা না করে,ধৈয‍্য সহ চেষ্টা বাড়াতে হবে 🎊

04/05/2024

Common sense is very uncommon. 🧐

দৈনন্দিন #প্রয়োজনীয়_কমনসেন্স (শেষেরটাও গুরুত্বপূর্ণ...🙂)
১. গভীর রাতে অতি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে কল করবেন না।
-
২. যতই জরুরী হোক না কেন কাউকে পর পর দুবারের বেশি কল করবেন না তবে একটা মেসেজ করে রাখতে পারেন।
-
৩. মানুষের কথার মাঝে বাঁধা দিয়েন না কেননা অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনাও একটা মহৎ গুণ।
-
৪. অন্যের মতামতের প্রতি সম্মান দিন।
-
৫. কারো মোটা শরীর, কারো চিকনা শরীর, কেউ
অনেক কালো, কেউ অনেক খাটো, কেউ অনেক লম্বা, কেউ টাক এসব নিয়ে কোন মন্তব্য করবেন না কেননা এতে তার কোন দোষ নেই সৃষ্টিকর্তা তাকে এভাবেই সৃষ্টি করেছেন।
-
৬. কারো প্রশংসা করলে প্রকাশ্যে করুন আর সমালোচনা করলে ব্যক্তিগতভাবে বলুন যেন সে নিজেকে সংশোধন করতে পারে।
-
৭. গায়ে পড়ে কাউকে পরামর্শ দিবেন না।
-
৮. কারো বয়স, ইনকাম এবং ব্যাংক-ব্যালেন্স সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন না।
-
৯. দাওয়াত ছাড়া কোথাও যাবেন না।
-
১০. ঠিক খাওয়ার সময় কারো বাড়িতে যাবেন না।
-
১১. অন্যের ডায়েরি, খাতা, মোবাইলের ফোন, ঘরের ফ্রিজ খুলবেন না।
-
১২. অনুমতি ছাড়া কারো বেডরুমে ঢুকবেন না।
-
১৩. যে মজাটা (Fun) এনজয় করে না সেই রকম মজা কারো সাথে করবেন না।
-
১৪. কেউ আপনাকে রেস্টুরেন্টে লাঞ্চ/ডিনার অফার করলে দামি দামি খাবারের অর্ডার করবেন না।
-
১৫. কারো কাছে টাকা ধার নিলে তিনি চাওয়ার আগেই ফেরত দিন। এতে আপনার চরিত্রের সততা ও আন্তরিকতার প্রকাশ ঘটবে।
-
১৬. কাউকে বিব্রতকর প্রশ্ন করবেন না যমন- ও আপনার এখনো বিয়ে হয়নি, এতদিন হল বিয়ে হয়েছে এখনো কোন বাচ্চাকাচ্চা হয়নি, এখনো কেন বাড়ি করছেন না, কেন গাড়ি কিনছেন না ইত্যাদি।
-
১৭. কোন বন্ধু বা আত্মীয় কিংবা সহকর্মীর সাথে রাইড শেয়ার করলে তিনি যদি ভাড়া পরিশোধ করেন তবে অবশ্যই পরবর্তী ট্রিপের ভাড়া আপনি পরিশোধ করতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবেন।
-
১৮. কেউ তাদের মোবাইলে আপনাকে কোন ছবি দেখালে ডানে-বামের ছবি দেখার জন্য স্কীনে আঙ্গুল চালাবেন না।
-
১৯. আপনার কোন সহকর্মী ডাক্তারের কাছে যাওয়া লাগবে বললে তার অসুখের কথা জানতে চাইবেন না কেননা তার ব্যক্তিগত অসুস্থতা থাকতে পারে।
-
২০. নিম্ন পদস্থদের সাথে খারাপ আচরণ করলে কেউ ভালো চোখে দেখে না বরং ভালো আচরণ করলে সবাই প্রশংসা করে। তাই তাদের সম্মান দিন।
-
২১. কারো সাথে রাস্তায় দেখা হলে কথা বলার সময় আপনার সানগ্লাস খুলে কথা বলুন কেননা এটা এক ধরনের সম্মান প্রদর্শন করা।
-
২২. প্লিজ ও থ্যাঙ্ক ইউ- দুটোই ভালো শব্দ। এই দুটো শব্দ যথাস্থানে যথাসময়ে ব্যবহার করুন।
-
২৩. গরিবের কাছে আপনার ধন-সম্পত্তির এবং নিঃসন্তানদের কাছে আপনার সন্তানের গল্প করবেন না।
(বাবা ও ভায়ের কাছে তাদের মেয়ের খবর জিজ্ঞেস করবেন না...😁)
-
সংগৃহীত

দিন দিন যত বড় হইতেসি, ততই বুঝতেসি, আমার বাপ মায়ের স্ট্রিক্টনেস, শাসন আর নিষেধ আমার জন্য কতটা ব্লেসিংস ছিলো। বিশ্বাস কর...
02/05/2024

দিন দিন যত বড় হইতেসি, ততই বুঝতেসি, আমার বাপ মায়ের স্ট্রিক্টনেস, শাসন আর নিষেধ আমার জন্য কতটা ব্লেসিংস ছিলো।

বিশ্বাস করেন, এই যে একটা করে ঘটনা ঘটে, আর আমি মনে মনে বলি, থ্যাংকিউ আব্বু। থ্যাংকিউ আম্মু।

ফ্রেন্ডদের সাথে ট্যুরে যাইতে চাইলে আম্মু বলতো, বড় হয়ে যাস। এখন না।

কলেজে উঠে সবাই স্বাধীনতা পায়। আমিও পাইসিলাম। তবে সেটা ছিলো লিমিটেড স্বাধীনতা।আড্ডা হোক বা খেলা হোক বা অনুষ্ঠান হোক, সন্ধ্যার মধ্যে বাসায় ফেরার একটা অলিখিত নিয়ম থাকতোই।

সেকেন্ড ইয়ারে এসে আটটা পর্যন্ত বাইরে থাকার অনুমতি পাইসিলাম, তবে সেটা সপ্তাহের তিন দিন।কোচিং এর জন্য।

স্কুল কলেজে আব্বুর এই শাসন আমারে পুরোপুরি আব্বু বিদ্বেষী করে তুলেছিলো। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, পৃথিবীর সবাইকে ক্ষমা করলেও আমি আমার আব্বুকে কখনও ক্ষমা করবো না।

অথচ আজকে আইসা দেখি,চলার পথের আলোটুকুই শুধু আমি চিনতাম, আর আব্বু আম্মু চিনত চোরাবালিগুলো। তাই আমার ছিলো সাহস নামের এক বোকামি। আর আমার মা বাবার ছিলো সাবধানতা নামের একটা প্রটেক্টিভনেস।

আব্বু আম্মুর এই প্রটেক্টিভনেসকে আমি ভাবতাম অহেতুক ভয়। আর আমার বোকামিরে আমি ভাবতাম সাহস। উনাদের ভয় দেখে আমি কতই না হাসছি আর বলছি, এরা কি পাগল? এতো ভয় পায় কেন?

আজ বড় হয়ে দেখি, পাগল উনারা ছিলেন না। পাগল ছিলাম আমি। আগুনে ঝাপ দিতে যাওয়া একটা ছেলেরে তারা তাদের শাসন দিয়ে বাচাইয়া দিসে। আজ, তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা আর শ্রদ্ধা ছাড়া আর কিছু নাই।

যারা যারা এখনও ছোট আছেন, বাবা মা ট্যুরে যাইতে দেয় না, সন্ধ্যার পর বাইরে থাকতে দেয় না, ফোন টিপতে দেয় না বলে পাহাড় পরিমাণ অভিমান আর ক্ষোভের সাগর লুকাইয়া রাখসেন, আপনারা আরেকটু ওয়েট করেন প্লিজ!!

আরেকটু বড় হোন। দুনিয়াটা আরেকটু দেখেন। মানুষগুলোরে আরেকটু চেনেন। দেখবেন, মা বাবাদের বলা অনেক কথাই আপনি ধীরে ধীরে বুঝতে শিখে গেছেন। মা বাবারা কখনোই মিথ্যা বলে না, জাস্ট আমাদের ঐ সত্যটা বোঝার জন্য একটু ওয়েট করা লাগে।

একটা জিনিস মাথায় রাইখেন, স্ট্রিক্ট মা বাবা হইতেসে মেডিসিনের মতো। খাইতে তিতা, বিরক্তিকর এবং প্যারাদায়ক, বাট দিনশেষে এই প্যারাদায়ক জিনিসটাই আমাদের জীবনকে আশেপাশের হাজারটা প্যারা থেকে মুক্ত রাখে।
(copied)

★জীবন চলার পথে কথা গুলো কাজে লাগবে---১. কখনো বাসে জানালার পাশে বসে মোবাইল টিপবেন না। কখন নিয়ে যাবে,টের পাবেন না।-২. রিক...
27/04/2024

★জীবন চলার পথে কথা গুলো কাজে লাগবে---
১. কখনো বাসে জানালার পাশে বসে মোবাইল টিপবেন না। কখন নিয়ে যাবে,
টের পাবেন না।
-
২. রিকশাতে বসে কোলে ব্যাগ রাখবেন না। পাশ থেকে মটরসাইকেল কিংবা গাড়িতে করে এসে হ্যাচকা টান দেবে।
-
৩. রাস্তায় কিছু খাবেন না, কিছুই না। দূরপাল্লার যাত্রা হলে বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসুন অথবা প্যাকেটজাত কিছু খান।
পাশের যাত্রী কিছু দিলে খান না, তাতে কি?
হয়তো যে পানি বা ডাব কিনলেন, বা
অন্যকিছু তাতেই থাকতে পারে ঔষধ।
-
৪. ট্রেন জার্নিতে দরজার পাশে, দুই বগির পাশে দাড়াবেন না। কিংবা যতোই ভালো লাগুক দরজায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খাবেন না। ট্রেনের ছাদে চলাচল যতোই রোমান্টিক লাগুক, যে গ্যাং গুলো ছিনতাই করে, তারা খুবই নির্দয় এবং বেপরোয়া। অনেক
যাত্রীর লাশ পাওয়া যায় সারাদেশের ট্রেন লাইনের আশেপাশে। বেশিরভাগই বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন
করে ফেলা হয়।
-
৫. কপাল খারাপ হলে ছিনত্যাইয়ের শিকার হবেন। ধরা যাক হলেন। কি করবেন ? ছিনতাইকারী বেশ কয়েকজন। আপনি একা, চারপাশে কেউ নেই। আপনাকে ঘেরাও করে রেখেছে। আপনার পকেটে দামী ফোন। এসবক্ষেত্রে ভালো হয় ফোনের মায়া ত্যাগ করা। কারণ যারা ছিনতাইকারী তাদের বেশিরভাগই নেশাগ্রস্থ।
আপনার জীবনের দাম পৃথিবীর যেকোনো দামী ফোনের চেয়েও অনেক বেশি।
-
৬. বান্ধবী বা মেয়ে বন্ধুর সাথে রেস্টুরেন্ট বা পার্কে যাচ্ছেন। হঠাৎ দেখবেন আপনার চারপাশে একদল ছেলের আবির্ভাব। এরা কিন্তু একটা গ্যাং।
দেখবেন আপনাদের নিয়ে নানান রকম আজে বাজে কথা বলছে, বাজে ইঙ্গিত দিচ্ছে। আসলে ওরা চাইছেই আপনাকে উত্তেজিত করে একটা
ঝামেলায় বাধাতে।
এতে ওদের লাভ, সেটা
কিরকম ?
ধরাযাক আপনি মাথা গরম করে ঝামেলায় জড়ালেন। ওরা আপনাকে অপমান করেছে বলে আপনি পাল্টা কিছু বললেন বা করলেন। এই পেয়ে
গেলো সুযোগ। ওরা তখন বাইরে থেকে নেতা গোছের কাউকে ধরে আনবে। যিনি এসেই আপনাকে আপনার বান্ধবীর সামনেই নানান
রকমভাবে জেরা করবে। তারপর বিচারে আপনাকেই দোষী বানিয়ে দেবে।
অত:পর মিটমাট করার নাম করে আপনার কাছ থেকে জরিমানা
বাবদ টাকা পয়সা কিংবা দামী ঘড়ি, ফোন অথবা ল্যাপটপটা রেখে দেবে। তাই এসব জায়গায় কথা বাড়ানো
মানেই ঝামেলা ডেকে আনা। আর নির্জন জায়গা হলে এদের দেখা মাত্রই সরে পড়ুন।
-
৭. ভোররাতে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। সাহস দেখিয়ে রাস্তায় নেমে পড়তে যাবেন না। বাসস্টপে বা ট্রেন স্টেশনেই অপেক্ষা করুন। সকালে যখন রাস্তায় যথেস্ট মানুষ থাকবে তখন বের হন।
-
৮. ট্রেন স্টেশনে বা সদরঘাটে নিজে নিজে বয়ে নিয়ে যেতে পারেন না এমন বোঝা নিয়ে এসেছেন তো মরেছেন। মাথায় করে পৌঁছেব দেয়ার নামে আপনার কাছ থেকে চাদার মতো
৪০০-৫০০ টাকা খসিয়ে ছাড়বে কুলিরা। তাই সাবধানে থাকুন,
দরদাম করে তারপর কুলি ঠিক করুন।
-
৯. নিউমার্কেট বা নীলক্ষেতের মত জায়গায় কেনা কাটা করতে গেলে খুবই সাবধান। কৌতুহলের
বশে কোনো কিছুর দাম জিজ্ঞেস করলেও
এখানে আপনাকে পাল্টা দাম বলার জন্য জোরাজুরি করবে। মনে রাখবেন এখানে মেজাজ দেখিয়ে লাভ নাই, এখানকার দোকানীরা সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করে।
-
১০. বাসে উঠলে প্যান্টের পিছনের পকেটে মোবাইল, মানিব্যাগ এসব কিছু রাখা নিরাপদ না।
দেখবেন ভিড়ের মাঝে বাসে ওঠতেছেন যে কেউ টান মেরে নিয়ে যেতে পারে টের ও পাবেন না। তাই সামনের পকেটে এসব জিনিস রাখুন।
-
১১. বাণিজ্যমেলা, চিড়িয়াখানা, চন্দ্রিমা উদ্যান কিংবা শিশুপার্কে গিয়ে দাম খুব ভালো করে না জেনে কিচ্ছু খাবেন না। দেখা যাবে একটা সিংগাড়া কিংবা আধা প্লেট বিরিয়ানি খাইয়ে ৪০০-৫০০টাকার বিল ধরিয়ে
দেবে আপনাকে।
-
১২. রাতে ঘোরাঘুরি না করাই ভালো। ছিনত্যাইকারী ধরলেতো কথাই নেই। এমনকি ‌( কিছু বিপদগামী)পুলিশ ( সক‌লেই নয় )ধরলেও বিপদ। যতই নির্দোষ হন, পুলিশ যদি বুঝতে না চায়
আর আপনাকে আটকে রাখার নিয়ত যদি থাকে, তাহলে আপনার কিছুই করার থাকবে না।
-
১৩. বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছেন, হঠাৎ একটা মাইক্রোবাস এসে থামলো আপনার সামনে। সেটা প্রাইভেট গাড়িও হতে পারে। আপনাকে চালক
বলবে সে গ্যারেজে ফেরার পথে বাড়তি কিছু ‘ট্রিপ’ নিচ্ছে। খুব অল্প ভাড়ায় আপনাকে পৌছে দেবার কথা বলবে। আপনি উঠবেন না। মেয়ে
হলেতো আরো আগে না।
-
১৪. রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। হঠাৎ ভদ্রবেশি কেউ এসে, সে হতে পারে ছেলে বা মেয়ে বা বয়ষ্ক পুরুষ কিংবা মহিলা, আপনার ফোন চাইলো।
বললো, উনার কোন একটা সমস্যার কথা, এক্ষুনি একটা ফোন দিতে হবে কাউকে। আপনি বিশ্বাস করে ফোনটা দিলেন, দেখবেন পরক্ষণেই হুট
করে বাইকে উঠে হাওয়া।
-
১৫. সাথে সবসময় আইডি কার্ডের ফটোকপি সাথে রাখুন। বিপদে পড়লে খুব কাজে দেয়। হয়তো কোনো দূর্ঘটনা ঘটেছে, অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন, তখন যারা
উদ্ধার কাজে আসবে তারা আপনার পরিবার পরিজনকে জানাতে পারবে।
-
১৬. নতুন বিবাহিত হলে এবং স্ত্রীকে সাথে নিয়ে ঘুরতে এলে কাবিননামার ছবি মোবাইলে তুলে রাখুন। কখন কোন কাজে লেগে যাবে বুঝতেও
পারবেন না।
সবচেয়ে বড় কথা, সবসময় সতর্ক
থাকুন, চোখ কান খোলা রাখুন।
মনে রাখবেন, দোয়া পড়ে বাহির হবেন।

আপনার নিরাপত্তা আপনারই হাতে।
এই বিষয়ে আপনারা সতর্ক থাকবেন।

নিজে সতর্ক ও সচেতন থাকুন এবং অন্যকেও সতর্ক ও সচেতন করুন।

শিক্ষা ও তথ্য কেন্দ্র

( সংগৃহীত )

Address

Ashraf Tower, 4/1, Walton Road, Sutrapur
Dhaka
DHAKA-1100

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Mohammad Safayat Kamal posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr. Mohammad Safayat Kamal:

Share