Nutritionist Barnali Mostafa

  • Home
  • Nutritionist Barnali Mostafa

Nutritionist Barnali Mostafa CCTD (BUHS)
CND ( BIRDEM)
BSc, MSc. in Food & Nutrition
Personalized Nutrition & Lifestyle Modification Specialist.

Appointment:
(Online)Whatsapp - 01533598737
(Offline)Phone - 01894-882101

10/07/2025

❝ কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন –
“তীন ও জয়তুনের শপথ” (সূরা তীন, আয়াত ১)
যে কোনো কিছুর উপর আল্লাহ যখন শপথ করেন, সেটা যে গভীর অর্থপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ—তা বোঝাই যায়।

সায়েন্স ও আসলে আমাদের কাছে জয়তুন তেল বা অলিভ অয়েলকে খুব হেলদি বলেই প্রেজেন্ট করে। কারণ এর বিশেষ কিছু স্বাস্থ্য উপকারীতা আছে।

* হার্টকে সুস্থ রাখে –
মনোআনস্যাচুরেটেড গুড ফ্যাট থাকার কারণে এটি হার্টের জন্য উপকারী।
এটি খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমায় ও ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায়।
বিজ্ঞান বলছে – হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে অলিভ অয়েল অসাধারণ!

* ত্বক ও অ্যান্টি-এইজিং উপকারিতা –
অলিভ অয়েল ভিতর থেকে ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে, প্রচুর ভিটামিন-ই (অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট) থাকায় বয়সের ছাপ কমায়।
"রাসূল ﷺ নিজে অলিভ অয়েল শরীরে মেখেছেন—এটি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।"

* পবিত্র ও হালাল খাবার –
“তাইয়্যিব” (পবিত্র ও উপকারী) খাবারের নির্দেশনা কুরআনে এসেছে (সূরা বাকারা ২:১৬৮)।
অলিভ অয়েল এমনই একটি তাইয়্যিব ফ্যাট—যা শরীর, মন ও আত্মার ভারসাম্য বজায় রাখে।

* ওজন ও হজমে সহায়ক –
স্মার্ট ও হেলদি লাইফস্টাইলের জন্য এন্টি-ইনফ্লেমেটরি, হজমে সহায়ক এবং হেলদি ফ্যাট সাপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অলিভ অয়েল এই সবগুলো দিকে কাজ করে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন?

🥗 সালাডে ড্রেসিং
🍲 রান্না শেষে সামান্য মিশিয়ে
🧴 স্কিন বা চুলে ম্যাসাজ

অতিরিক্ত গরম বা ফ্রাইয়ে না ব্যবহার করাই ভালো।

আর হ্যাঁ, অলিভ অয়েল দিয়ে কিন্তু মেয়োনিস ও তৈরি করা যায়!
তাই ক্ষতিকর সয়াবিন তেল এর পরিবর্তে চাইলে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।

ইসলাম + বিজ্ঞান = সুন্দর জীবন

যখন আপনি রেগুলার অলিভ অয়েল খাচ্ছেন বা মাখছেন, তখন আপনি শুধু হেলদি লাইফস্টাইল গড়ছেন না—
বরং এক সুন্নাহর আমল ও তাইয়্যিব খাদ্য গ্রহণ করছেন।

বর্ণালী মোস্তফা মুনা
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড লাইফস্টাইল স্পেশালিষ্ট।

সউনা বাথ কি মানুষ এমনি নেয়? শুধু ঘাম ঝরানোর জন্য? আমরা অনেকেই ভাবি সাউনা শুধু শরীর ঘামানোর জন্য। কিন্তু অনেকেই জানেন না ...
07/07/2025

সউনা বাথ কি মানুষ এমনি নেয়? শুধু ঘাম ঝরানোর জন্য?

আমরা অনেকেই ভাবি সাউনা শুধু শরীর ঘামানোর জন্য। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে নিয়মিত সউনা আপনার ব্রেন, মুড, ঘুম, এমনকি ত্বককেও করে তুলতে পারে আরও সুস্থ, সতেজ আর ইয়াং!

সউনা কী?

সউনা হলো একধরনের গরম ঘর, যেখানে ৭০ থেকে ১০০°C তাপমাত্রায় শরীরকে ১০–২০ মিনিট ঘামতে দেওয়া হয়। এতে দেহের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ঘাম দিয়ে টক্সিন বের হয়ে যায়—যেন শরীর নিজেই নিজের ডিটক্স থেরাপি পরিচালনা করে!

সউনার যেসকল উপকারিতা আছে তার মধ্যে বিশেষ কিছু উপকারিতা হলো-

1. স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি কমায় –
২০১৭ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সপ্তাহে ৪–৭ দিন সাউনা নেয়, তাদের অ্যালঝেইমার ও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি ৬৫% কমে।

2. Heat Shock Proteins (HSPs) তৈরি হয়—
এগুলো ব্রেন সেল রক্ষা করে এবং স্ট্রেস হ্যান্ডেল করতে সাহায্য করে।

3. ডিপ্রেশন ও অ্যানজাইটি কমায় –
স্নায়ুর ওপর আরামদায়ক প্রভাব ফেলে, মুড ভালো করে।

4. ঘুম ভালো হয় –
শরীর ও মস্তিষ্ক রিল্যাক্স হলে গভীর এবং শান্তিপূর্ণ ঘুম হয়।

5. ফোকাস ও ডিসিশন মেকিং ক্ষমতা বাড়ায় –
যারা স্পোর্টস বা বেশি প্রশারে থাকতে হয় এমন কাজ করেন, তাদের জন্য একদম বোনাস উপকারিতা!

6. ঘাম দিয়ে টক্সিন বের হওয়ার মাধ্যমে ত্বক হয়ে ওঠে পরিষ্কার ও উজ্জ্বল।

7. রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে ত্বকের কোষে অক্সিজেন ও পুষ্টি দ্রুত, পৌঁছাতে সাহায্য করে, ফলে স্কিনের গ্লো বাড়ে।

8. কোলাজেন উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে ত্বকের টাইটনেস বাড়ায়, বলিরেখা কমায়। অর্থাৎ, অ্যান্টি-এজিং ইফেক্ট দে!

কীভাবে সউনা বাথ নেবেন?

নতুনদের জন্য:

তাপমাত্রা: ৭০–৮০°C

সময়: ৮–১০ মিনিট (২ সেশন)

অভ্যস্তদের জন্য:

তাপমাত্রা: ৮০–৯৫°C

সময়: ১৫–২০ মিনিট

সপ্তাহে ৩–৫ দিন সউনা বাথ নিলে খুব ভালো উপকার পাওয়া যায়।

বিশেষ সতর্কতা:
হার্টের রোগী, উচ্চ রক্তচাপ, প্রেগন্যান্সি থাকলে অবশ্যই আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

বর্ণালী মোস্তফা মুনা
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড লাইফস্টাইল স্পেশালিষ্ট।

01/07/2025

প্রতিদিন প্লেটে ভেজালমুক্ত প্রোটিন রাখতে হলে দেশি মুরগি খুবই ভালো অপশন!

শুধু সুস্বাদুই নয়—দেশি মুরগি হচ্ছে শরীরের জন্য প্রকৃত পুষ্টির খনি!

দেশি বা প্রকৃত উপায়ে লালন-পালন করা মুরগি—যেখানে সয়া ফিড, হরমোন বা ইনজেকশনের জায়গায় ঘাস, কীটপতঙ্গ, ধানের খোসা, চালের কুড়া বা ঘরের খাবার খাইয়ে বড় করা হয়—সেই মুরগির মাংস শুধু সুস্বাদু না, বরং স্বাস্থ্যকর ও ঔষধিগুণেও ভরপুর।

দেশি মুরগির পুষ্টিগুণ (প্রতি ১০০ গ্রাম সেদ্ধ মাংসে):

প্রোটিন: ২৫-২৮ গ্রাম

হেলদি ফ্যাট (Good Fat): ৫-৭ গ্রাম (ওমেগা-৬ এবং কিছু পরিমাণ ওমেগা-৩)

ক্যালরি: প্রায় ১৭০-১৮০ ক্যালোরি

ভিটামিন ও মিনারেল:

ভিটামিন B3, B6

আয়রন, ফসফরাস, সেলেনিয়াম

জিংক (রোগ প্রতিরোধে সহায়ক)

কোলিন (মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় সহায়ক)

এসব ফ্যাট শরীরের কোষ গঠনে সাহায্য করে, হরমোন ব্যালেন্স বজায় রাখে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে।

কেন দেশি বা সয়া-ফিডবিহীন মুরগি বেছে নেবেন?

- কৃত্রিম হরমোন বা দ্রুত বড় হওয়ার ইনজেকশন থেকে মুক্ত
- মাংসে ফ্যাটের গঠন প্রাকৃতিক, সহজে হজম হয়, শরীরে জমে না
- ওমেগা ফ্যাটের ভারসাম্য, হার্ট, ব্রেইন ও হরমোনের জন্য ভালো
- স্বাদে আলাদা, গ্রাম্য রান্নায় এর ঘ্রাণই বলে দেয় ‘এটা আসল দেশি!’

দেশি মুরগি খাওয়ার উপায়:

* গ্রিল/ভুনা না করে সেদ্ধ বা হালকা ঝোল রূপে রান্না করলে পুষ্টিগুণ থাকে অক্ষত

* হাড় ও চামড়া একসাথে রান্না করলে কোলাজেন, মিনারেল ও ফ্যাট বেশি পাওয়া যায়

* সকাল বা দুপুরের মিল-এ প্রোটিন হিসেবে রাখা যেতে পারে

* মাংসের পাশাপাশি হাড়ের ঝোল বা স্টক দারুণ উপকারী

প্রতিদিন শুধু পেট নয়, শরীরও যদি সঠিক জ্বালানী চায়, তবে দেশি বা ভেজালমুক্ত মুরগির মাংস হতে পারে আপনার সবচেয়ে সহজ, সাশ্রয়ী ও কার্যকর উৎস।

বি.দ্র. : ভিডিওতে দেয়া চিকেনটি লোভনীয় হলেও দেশি নয় কিন্তু! 🤭

বর্ণালী মোস্তফা মুনা
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড লাইফস্টাইল স্পেশালিষ্ট।

ব্রেইনের ইনসুলিন আবার কি জিনিস? ইনসুলিন তো প্যানক্রিয়াস থেকে হয়, তাই না? 🤔আমরা সবসময় জেনে এসেছি — ইনসুলিন মানেই প্যানক্র...
21/06/2025

ব্রেইনের ইনসুলিন আবার কি জিনিস? ইনসুলিন তো প্যানক্রিয়াস থেকে হয়, তাই না? 🤔

আমরা সবসময় জেনে এসেছি — ইনসুলিন মানেই প্যানক্রিয়াসের হরমোন, যেটা রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।
কিন্তু বিজ্ঞান এখন বলছে, আপনার ব্রেইন নিজেও ইনসুলিন তৈরি করে!

জি, এটা কোনো গল্প না — নতুন গবেষণায় দেখা গেছে,
ব্রেইনের কিছু বিশেষ কোষ যেমন নিউরোগ্লিয়াফর্ম সেল আর স্ট্রেস সেন্সিং নিউরন নিজেরাই ইনসুলিন তৈরি করে।

এমনকি ব্রেইনের একটা অংশ Choroid plexus, যেটা ব্রেইন ফ্লুইড তৈরি করে —
সেই জায়গা থেকেও ইনসুলিন বের হয়,
আর এই ইনসুলিন হাইপোথ্যালামাসকে (ক্ষুধা ও হরমোন নিয়ন্ত্রণকারী অংশ) নতুনভাবে রিপ্রোগ্রাম করে ফেলতে পারে!

তাহলে এই ইনসুলিন কি সুগার কমায়?

না!ব্রেইনের তৈরি ইনসুলিন রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং এটা কাজ করে:

- মস্তিষ্কের স্মৃতি ঠিক রাখতে

- বয়সজনিত দুর্বলতা কমাতে

- ব্রেইনের মেটাবলিক হেলথ ঠিক রাখতে

কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ?

কারণ অনেক বিজ্ঞানী এখন Alzheimer’s (স্মৃতিভ্রষ্টতা) কে বলছেন "টাইপ ৩ ডায়াবেটিস!

মানে ব্রেইন এক সময় ইনসুলিনের প্রতি সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয়,
ফলে স্মৃতি, চিন্তা —এ সবকিছুতেই সমস্যা দেখা দেয়।

আর গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে —

মস্তিষ্কের ইনসুলিন ও তার কাজে বাধা পাওয়া (রেজিস্টেন্স) ই হতে পারে ডায়াবেটিস, অ্যালঝাইমার বা মানসিক রোগের বড় কারণ!

বর্ণালী মোস্তফা মুনা
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড লাইফস্টাইল স্পেশালিষ্ট।

শুধু ইলিশ দেখে অবাক হওয়ার কোনো কারণ নেই আসলে। আমাদের হাতের নাগালের প্রায় সব খাবারেরই এখন প্রায় একই দশা৷ আর আর্সেনিক, লেড...
18/06/2025

শুধু ইলিশ দেখে অবাক হওয়ার কোনো কারণ নেই আসলে।
আমাদের হাতের নাগালের প্রায় সব খাবারেরই এখন প্রায় একই দশা৷

আর আর্সেনিক, লেড, ক্যাডমিয়াম, মারকারি - এই ধরণের ভারী ধাতু গুলো আমরা শুধু খাবার বা পানি থেকেই না, শ্বাস-প্রশ্বাস এর সাথে নেয়া বাতাস থেকেও পাচ্ছি।

পরিবেশ দূষণ যেমন অনেক বছর ধরে চলমান একটি প্রক্রিয়া, তেমনি এর থেকে উত্তরণের পথ খুঁজলেও সেটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপারই হবে।

তবে হ্যাঁ, আমরা যে কাজগুলো এই সময়ে করতে পারি -

* যতটুকু সম্ভব ক্যামিকেল মুক্ত বিশুদ্ধ খাবার খোঁজ করতে পারি। এটা পাওয়া সহজ নয় জানি। তবে চেষ্টা করে যদি একটু কম বিষাক্ত খাবার পাওয়া যায় তাহলে ক্ষতিটাও একটু কমই হবে। চেষ্টা করতে তো দোষ নেই তাই না?

* একটি হেলদি লাইফস্টাইল মেইনটেইন করার চেষ্টা করি। নিয়মিত ব্যায়াম করা, রাতে আগে আগে ঘুমানো, সারাদিন একটু পর পর না খেয়ে একটু ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ট্রাই করা - এগুলো বডিকে ডিটক্স করতে ও বিষাক্ত পদার্থ বডি থেকে বের করে দিতে হেল্প করে।

* ভালো মানের প্রোটিন ও ফ্যাট খাওয়া, বাজে প্যাকেটজাত খাবার বাদ দেয়া - এই প্যাক্টিস গুলো শুরু করলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি হবে। যা আমাদের হেল্প করবে শরীরের যেকোনো ধরণের টক্সিসিটি গুলোকে ফাইট করতে।

* কিছু বিশেষ খাবার যেগুলো সরাসরি শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে পারে, তাদেরকে খাবার তালিকায় রেগুলার রাখার চেষ্টা করতে হবে। যেমন - Spirulina, Milk Thistle, Curcumin, Cruciferous Vegetables, B - Vitamins (বিশেষ করে কোলিন)।

* অবশ্যই রেগুলার কিছু শ্বাস-প্রশ্বাস এর ব্যায়াম করতে পারি। যেমন - Wim Hof, Deep Breathing, 4-7-8 breathing এগুলো বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় এবং শ্বাসনালী বা ফুসফুস থেকে কিছু বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতেও বেশ কার্যকরী।

সব কথার শেষ করা হলো, সমস্যা তো আসবেই। সমাধানও খুঁজতে হবে।

সমস্যা যেমন নতুন সময় এবং নতুন যুগের নিয়ে আসা খেলা, সমাধান পেতে হলেও আমাদের কাজে লাগাতে হবে এই সময়কেই!

বর্ণালী মোস্তফা মুনা
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড লাইফস্টাইল স্পেশালিষ্ট।

হেলদি আবার মজা! এমন নাস্তাই তো সবাই চাই তাই না?সকালের খাবারে স্বাস্থ্যকর, সহজ আর দেশি স্বাদের কিছু চাইলে এই সবজি ও ডিমের...
17/06/2025

হেলদি আবার মজা! এমন নাস্তাই তো সবাই চাই তাই না?

সকালের খাবারে স্বাস্থ্যকর, সহজ আর দেশি স্বাদের কিছু চাইলে এই সবজি ও ডিমের 'সটে' রেসিপিটা হতে পারে আপনার জন্য পারফেক্ট চয়েস!

দিনের শুরুতে হালকা, পুষ্টিকর এবং রঙিন সবজি ও ডিম খেলেই এটা যেমন সারাদিন আপনাকে শক্তি দেবে, পেট দীর্ঘ সময় ভরা রাখবে আর সারাদিন বডিতে একটা ফ্রেশ ভাবও বজায় থাকবে।

এই রেসিপি টার আরেকটা গুণ হলো এটা খুব দ্রুত তৈরি করা যায়, তাই অফিসে নিয়ে যাওয়া বা বাসায় খাওয়া যেকেনো পরিবেশের জন্য দারুণ।

৩. রেসিপি -

যা যা লাগবে:

* গাজর
* লাউ
* ক্যাপসিকাম
* মাশরুম
* বরবটি
* টমেটো
* পেঁয়াজ
* কাঁচা মরিচ
* শসা (অপশনাল)
* ২টি ডিম
* রসুন
* লবণ, গোলমরিচ, অল্প হলুদ
* অল্প সরিষার তেল বা আপনার পছন্দের তেল

কিভাবে বানাবেন:

১. সব সবজি ধুয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিন।
২. প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ ও রসুন ভেজে নিন।
৩. প্রথমে গাজর, লাউ, বরবটি দিন, ২-৩ মিনিট নাড়ুন।
৪. এবার ক্যাপসিকাম, মাশরুম, টমেটো দিন; লবণ, গোলমরিচ, হলুদ দিন।
৫. ৫ মিনিট মিডিয়াম আঁচে ঢেকে রাখুন—ভেজিগুলো হালকা নরম হলে ডিম ফাটিয়ে দিন।
৬. ডিম স্ক্র্যাম্বল করে সবকিছু মিশিয়ে নিন।
৭. চাইলে কাঁচা মরিচ বা গোল মরিচ দিতে পারেন। গরম গরম পরিবেশন করুন!

ক্যামিকেল মুক্ত ফ্রেশ দেশি ফল। শহরে যেগুলো খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন! 🥭
13/06/2025

ক্যামিকেল মুক্ত ফ্রেশ দেশি ফল। শহরে যেগুলো খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন! 🥭

হঠাৎ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন—মুখের এক পাশ ঠিকমতো নড়ছে না। চোখ বন্ধ হচ্ছে না, হাসলে এক পাশ নিচে ঝুলে পড়ছে। আয়নায় তাক...
04/06/2025

হঠাৎ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন—মুখের এক পাশ ঠিকমতো নড়ছে না। চোখ বন্ধ হচ্ছে না, হাসলে এক পাশ নিচে ঝুলে পড়ছে।
আয়নায় তাকিয়ে মনে হচ্ছে, মুখটা যেন একদিকে কেমন বেঁকে গেছে। ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক।

যদি জানতে চান যে কিসের কারণে এমনটা হতে পারে, তাহলে উত্তর হবে - Bell's Palsy!

যেটা অনেক সময়েই একেবারে হঠাৎ করেই হয়।

বেলস পালসি মানে হচ্ছে মুখের এক পাশে হঠাৎ দুর্বলতা বা প্যারালাইসিস হওয়া। এটা মুখের সপ্তম ক্রেনিয়াল নার্ভ (facial nerve) এর একটি সাময়িক বা টেম্পোরারি সমস্যা।

এই নার্ভটা মূলত আমাদের মুখের এক্সপ্রেশন গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে—যেমন হাসা, চোখ বন্ধ করা, ভ্রু উঠানো ইত্যাদি।

যখন এই নার্ভে প্রদাহ বা inflammation হয় কিংবা কোনো কারণে প্রেশার পড়ে, তখন মুখের পেশিগুলো কাজ করা বন্ধ করে দেয়।

এটা কেন হয়?

একেবারে নিশ্চিতভাবে না বলা গেলেও, বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এটা সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয়। সবচেয়ে বেশি সন্দেহের তালিকায় আছে:

হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস – ঠোঁটের ঘা যার কারণে হয়

হারপিস জোস্টার– চিকেনপক্স বা শিঙ্গেলসের ভাইরাস

লাইম ডিজিজ– একটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ

এছাড়া মুখে কোনো ভাবে আঘাত লাগলেও হতে পারে।কখনো কখনো শরীরের ইমিউন সিস্টেম নিজেই নার্ভকে আক্রমণ করে বসে ( এক ধরণের অটো ইমিউন রেসপন্স)।

কি কি লক্ষণ দেখলে বুঝবেন এটা Bell's Palsy?

* মুখের এক পাশে ঝুলে পড়া
* এক চোখ ঠিকমতো বন্ধ না হওয়া বা খুলতে না পারা
* কথা বলতে বা খেতে অসুবিধা
* লালা পড়ে যাওয়া
* জিভের এক পাশে স্বাদ কমে যাওয়া
* এক কানে শব্দে অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা বা সেনসিটিভিটি
* চোখ বন্ধ করতে না পাড়লে চোখ শুকিয়ে যাওয়া (কারণ পলক পড়ে না)

এতো বেশি ভয়ের কারণ নেই। ভালো খবর হলো বেলস পালসি বেশিরভাগ সময়েই সাময়িক। মানে, কিছুদিনের মধ্যেই অনেকটা বা পুরোপুরি সেরে যায়।

সাধারণত:
২-৩ সপ্তাহের মধ্যে উন্নতি শুরু হয়
২-৩ মাসে পুরোপুরি ঠিক হয়ে যেতে পারে

ডাক্তাররা সাধারণত স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দেন এবং চোখের যত্ন নিতে বলেন। যেমন প্রয়োজন ভেদে চোখে কৃত্রিম অশ্রু ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

Bell's Palsy হলে করণীয় কি?

* চোখ বন্ধ না হলে চোখে ময়েশ্চারাইজার বা ড্রপ ব্যবহার করুন। অবশ্যই ডক্টর এর পরামর্শ নিয়ে।
* ঘুমানোর সময় চোখ ঢেকে রাখুন
* মুখের হালকা ব্যায়াম বা ফিজিওথেরাপি কাজে আসতে পারে
* চুপ করে বসে না থেকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
* অবশ্যই মানসিকভাবে ভেঙে পড়বেন না।
এটা ক্যান্সার ও না, জীবননাশকারীও না!

মনে রাখবেন - বেলস পালসি জীবননাশক নয় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেরে যায়। তবে হঠাৎ মুখে এমন পরিবর্তন দেখলে স্ট্রোকের সম্ভাবনাওথাকতে পারে। তাই দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।

বর্ণালী মোস্তফা মুনা
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড লাইফস্টাইল স্পেশালিষ্ট।

ট্রু! চলে আশে এমন কিছু হেল্থ কনশাস পেশেন্ট। দেখে ভালো ও লাগে অবশ্য!  😇
03/06/2025

ট্রু! চলে আশে এমন কিছু হেল্থ কনশাস পেশেন্ট। দেখে ভালো ও লাগে অবশ্য! 😇

'ডায়বেটিস হলেই ইনসুলিন নিতে হয়' এখনকার সময়ে প্রায় সব মধ্যবয়সী লোকজন এটাই মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন।এমনকি অনেক কমবয়সীরাও এ...
01/06/2025

'ডায়বেটিস হলেই ইনসুলিন নিতে হয়' এখনকার সময়ে প্রায় সব মধ্যবয়সী লোকজন এটাই মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন।
এমনকি অনেক কমবয়সীরাও এমনটাই মনে করেন।

কিন্তু ডায়বেটিস টা কোন ধরনের - টাইপ ১ নাকি টাইপ ২, এটা নিয়ে খুব কমই মাথাব্যাথা থাকে।

টাইপ-১ ডায়বেটিস হয় মূলত যখন কোনো ব্যাক্তির দেহে যথেষ্ট পরিমাণ ইনসুলিন উৎপাদন হয় না।

হোক সেটা প্যানক্রিয়াস ( যেই অঙ্গ থেকে ইনসুলিন নিসৃত হয়) এর কোনো রোগ কিংবা ড্যামেজ এর কারণে। অথবা জেনেটিকাল কারণে।

আর টাইপ-২ ডায়বেটিস হয় যখন কোনো ব্যাক্তির দেহে ইনসুলিন উৎপাদন হয় ঠিক, কিন্তু এর যেই কাজ - রক্তের সুগারকে কোষে ঢুকানো, তা সঠিক ভাবে করতে পারেনা।

অনেকেই বলেন টাইপ-২ ডায়বেটিস এ ইনসুলিন কেনো ঠিক ভাবে কাজ করতে পারেনা তা অজানা।
আবার অনেকে বলেন কোষে ইনসুলিন রিসেপর অকেজো হয়ে যাওয়ার কারণে তা কাজ করতে পারেনা।

কিন্তু এর পেছনে থাকা আসল কারণ হলো Insulin Resistance!

আর Insulin Resistance এর জার্নি টা শুরু হয় Hyperinsulinemia থেকে। যার অর্থ হলো রক্তে অতিরিক্ত মাত্রায় ইনসুলিন এর উপস্থিতি বা ইনসুলিন আধিক্য।

তাহলে আপনিই ভাবুন, যদি ইনসুলিন রক্তে বেশি থাকার কারণেই এই ডায়বেটিস টাইপ-২ এর আগমন হয়ে থাকে। তাহলে ইনসুলিন দিয়ে এর ট্রিটমেন্ট করার বিষয়টা 'তেলে মাথায় তেল দেয়া' এর মতো বিষয় হয়ে যায় না বলুন?

আর ইনসুলিন ছাড়া মেডিসিন দিয়ে ট্রিটমেন্ট? ওটা আসলে শুধু 'বাড়তি চিনি' কমানোর জন্য দেয়া হয়। যা কোনো রোগ না। বরং একটি ভয়ংকর শারীরিক সমস্যার 'লক্ষণ' মাত্র।

এখন জিজ্ঞেস করতে পারেন যে - তাহলে টাইপ-২ ডায়বেটিস এর আসল চিকিৎসা কি হবে? কোন পদ্ধতিতে করলে তা সঠিক হবে?

আমি বলবো - 'লাইফস্টাইল মডিফিকেশন'!

জি। শুধু ডায়েট নিয়ে বলছি না আমি। কারণ ডায়বেটিস শুধুমাত্র খাবার থেকে হয়না।

লাইফস্টাইল মানে হলো জীবনব্যবস্থা।

-আপনি কি খাচ্ছেন
-কখন খাচ্ছেন
-কতটুকু খাচ্ছেন
-কখন ঘুমাচ্ছেন
-শারীরিক একটিভিটিস কেমন হচ্ছে
-স্ট্রেস লেভেল কেমন আছে

সবকিছুর সমন্বয়েই হয় 'লাইফস্টাইল'।

বর্তমানে আমাদের জীবনব্যবস্থার বাজে রকমের অবনতি হওয়ার কারণেই মূলত টাইপ-২ ডায়বেটিস এখন ছোট-বড়-বুড়ো সকলের রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আর আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবো যে আপনি যদি টাইপ ২ ডায়বেটিস এ আক্রান্ত হয়ে থাকেন।মেডিসিন খেয়ে বা ইনসুলিন নিয়ে সারাজীবন কাটাতে হবেনা।

লাইফস্টাইল মডিফিকেশনই পারবে আপনাকে এই ক্রমবর্ধমান কন্ডিশন থেকে মুক্তি দিতে!

বর্ণালী মোস্তফা মুনা
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড লাইফস্টাইল স্পেশালিষ্ট।

বি.দ্র.- ছবিটির সাথে লেখার তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। ফান হিসেবে শেয়ার করলাম! 😅

পিরিয়ড এর সময় শরীর-মাথা কিছুই কাজ করেনা!এটা প্রায় সব ফিমেল দেরই কমপ্লেইন। বয়স কম বা বেশি এটা বিষয় না।একজন নারী যখন প্রতি...
28/05/2025

পিরিয়ড এর সময় শরীর-মাথা কিছুই কাজ করেনা!এটা প্রায় সব ফিমেল দেরই কমপ্লেইন।
বয়স কম বা বেশি এটা বিষয় না।

একজন নারী যখন প্রতি মাসে মেন্সট্রুয়েশন বা পিরিয়ড এর মধ্য দিয়ে যান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা শারীরিক ও মানসিক ভাবে দূর্বল বোধ করেন।

এমন হওয়ার কারণটা কি?

পিরিয়ড সাইকেল চলাকালীন দেহে যে হরমোনাল পরিবর্তন গুলো হয় তার পাশাপাশি ঠিকভাবে ঘুম না হওয়া, খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া,দেহ থেকে ভালো পরিমাণে রক্ত বের হয়ে যাওয়া সবকিছু একত্রেই মূলত এই দূর্বল বোধ হওয়ার কারণ।

National Sleep Foundation এর মতে শতকরা ৩০ ভাগ নারীরই পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ঘুম এবং খাওয়া দাওয়ায় ব্যাঘাত ঘটে।

এর সাথে নানান রকমের ক্র্যাম্পস তথা তলপেট বা কোমড়ের ব্যাথা, পা ব্যাথা,মাথাব্যথা, পেট ফেঁপে থাকা, অস্বস্তি বোধ হওয়া, ঘন ঘন মুড সুইং হওয়া, পরিষ্কার ভাবে চিন্তা করতে না পারা, মনোযোগ দিতে ব্যাঘাত ঘটা এগুলো তো আছেই।

এই সময়ে একটু স্বস্তি পাওয়ার যে জিনিস গুলো সাহায্য করতে পারে তা নিয়ে একটু আলোচনা করছি।

১। ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার ঃ
ম্যাগনেসিয়াম muscle relaxing এর জন্য খুবই কার্যকর একটি নিউট্রিয়েন্ট। পিরিয়ডের ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে এটি হতে পারে একটি perfect relief ।

মেন্সট্রুয়েশন এর সময় ইউটেরাস বা জরায়ুর পেশী গুলোর সংকোচন হওয়ার কারণেই মূলত এরূপ ব্যাথা হয়।খাবারের সাথে অথবা সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করলে এই জরায়ু পেশীগুলো রিল্যাক্সড হয় এবং তা ব্যাথার তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে।

কিছু ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার হলো- পালং শাক, মিষ্টি কুমড়ার বিচি, শিমের বিচি, টুনা ফিশ, বাদামী চাল, কাঠবাদাম, ডার্ক চকোলেট, এভোকাডো, দই, কলা।

২।বি ভিটামিনসঃ
Vitamin B1, B2, B6, B9 এবং B12 মেন্সট্রুয়েশন ক্র্যাম্পস থেকে রিলিফ পেতে সাহায্য করে। কিভাবে?
আসুন দেখে নেই।

Thiamine বা vitamin B1 নিউরোমাসকুলার এবং সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম একটিভিটিস এর সাথে জড়িত। অর্থাৎ এটি জরায়ু পেশীগুলোর সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। মুড সুইং নিয়ন্ত্রণ এর জন্যেও থায়ামিন প্রয়োজন।

Riboflavin বা Vitamin B2 মূলত দেহে এনার্জি তৈরিতে সাহায্য করে এবং Vitamin B6 ও Folate কে একটিভেট করে। এদের কাজ নিয়ে একটু পর ই বলছি।

Pyridoxine বা Vitamin B6 দেহে serotonin নামক একটি নিউরোট্রান্সমিটার প্রোডাকশনে সাহায্য করে যা কিনা আমাদের মুড কন্ট্রোল করে।

Folate বা Vitamin B9 দেহে এনার্জি উৎপাদন এবং রক্ত পুনরুৎপাদন এর জন্য কাজ করে। এটি Dopamine এবং serotonin নামক নিউরোট্রান্সমিটার তৈরিতেও সাহায্য করে যারা কিনা ইমোশন এবং মুড কন্ট্রোল করে, বিশেষ করে মাসের এই সময়ে।

Cobalamine বা Vitamin B12 দেহের ক্ষয় হওয়া রক্তকে পুনরুৎপাদন করতে সাহায্য করে।

কিন্তু এ ভিটামিন গুলোর চাহিদা যেহেতু খাবারের মাধ্যমে পূরণ করা একটু কষ্টসাধ্য তাই B complex সাপ্লিমেন্ট থেকে গ্রহণ করাই ভালো।

৩।হলুদ ঃ
পিরিয়ড এর সময় মাঝারি থেকে তীব্র পর্যায়ের ক্র্যাম্পিং নির্দেশ করতে পারে ইনফ্লেমেশনকে। আর একে ফাইট করতে পারে এমন একটি জাদুকরী খাবার হলো হলুদ।

হলুদে বিদ্যমান বায়োএকটিভ কম্পাউন্ড curcumin এর এন্টি ইনফ্লামেটরি ও এন্টিঅক্সিডেন্ট গুণের কারণে এটি ইনফ্লামেশন এর সাথে সাথে সকল প্রকার ব্যাথা নিরাময়ে কাজ করে ম্যাজিক এর মতো।

তবে একটি ভাবার বিষয় হলো curcumin একা ব্লাড সার্কুলেশন এ ভালো ভাবে শোষিত হতে পারে না। কিন্তু এর সাথে গোল মরিচের গুঁড়ো যুক্ত করলে এর শোষণ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। তাই পানিতে হলুদের গুঁড়ো ও গোল মরিচের গুঁড়ো একত্রে মিশিয়ে কিছুক্ষণ মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে মিশ্রণটি পান করলে তা পিরিয়ড ক্র্যাম্প হতে রিলিফ পেতে সাহায্য করবে।

৪।হার্বাল চাঃ
বিভিন্ন উপকারী হার্ব যেমন আদা,লবঙ্গ,আমলকি, তুলসী, গ্রিনটি, সজিনা পাতা, কালোজিরা, দারুচিনি, যষ্ঠী মধু, ক্যামোমিল যুক্ত চা এদের antiinflammatory এবং antianxiety প্রভাবের সাহায্যে দেহে এক ধরনের আরামদায়ক ভাব এনে দিতে সক্ষম। যা কিনা পিরিয়ড ক্র্যাম্প থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।

৫।স্ট্রেস রিলিফঃ
কিছু নারীদের মধ্যে পিরিয়ডকালীন ক্র্যাম্প বেশি হওয়ার একটা বড় কারণ হলো স্ট্রেস।
যারা অনেক বেশি স্ট্রেস এর মধ্যে থাকে, বিশেষ করে মেন্সট্রুয়াল সাইকেল এর প্রথম দিকে, তাদের মধ্যে পিরিয়ড ক্র্যাম্প বেশি হতে দেখা যায়।

তাই স্ট্রেস থেকে কিভাবে দূরে থাকা যায় সেদিকে একটু খেয়াল রাখা প্রয়োজন। আর স্ট্রেস কমানোর একটি ভালো উপায় হতে পারে মেডিটেশন এবং এক্সারসাইজ।

৬।এক্সারসাইজ ঃ
এক্সারসাইজ এবডোমেন এরিয়াতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করার মাধ্যমে পিরিয়ড ক্র্যাম্প কমাতে পারে। এক্ষেত্রে সাহায্য করে স্ট্রেচিং এবং যোগ ব্যায়াম জাতীয় এক্সারসাইজ গুলো।

৭।গরম পানির উষ্ণতাঃ
হট ওয়াটার ব্যাগে গরম পানি নিয়ে তার সাহায্যে পেট ও কোমড়ের ব্যাথার স্থানে শেক নিলে এটি দেহের এই অঞ্চলের পেশীগুলোকে রিলাক্সড করে, রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে এবং ব্যাথার স্থান গুলোতে আরাম ভাব এনে দিতে পারে।

সবশেষে যেগুলো না বললেই নয় এমন কিছু বিষয় হলো -

-এসময় অবশ্যই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে।

-চা, কফি, কোল্ড ড্রিংকস সহ বেশি চিনিযুক্ত খাবার গুলো এরিয়ে চলতে হবে।

- ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ ফ্রেশ শাক সবজি ও ফলমূল খেতে হবে।

- মোবাইল নেটওয়ার্ক, ওয়াইফাই, সেলুলার ডাটার রেডিয়েশন থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকতে হবে।

- এ সময়ে দিনে অন্তত ৮ ঘন্টা ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

বর্ণালী মোস্তফা মুনা
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড লাইফস্টাইল স্পেশালিষ্ট।

📌 বাচ্চা ঘরের খাবার একদম খেতে চায় না!- বাহিরের খাবার তার মুখে প্রথম আপনারাই দিয়েছিলেন তাই না?📌 মোবাইল ফোন ছাড়া বাচ্চা কি...
26/05/2025

📌 বাচ্চা ঘরের খাবার একদম খেতে চায় না!
- বাহিরের খাবার তার মুখে প্রথম আপনারাই দিয়েছিলেন তাই না?

📌 মোবাইল ফোন ছাড়া বাচ্চা কিছু বোঝেনা। না পেলে পাগলের মতো আচরণ করে!
- প্রথমে তাকে শান্ত রাখার জন্য মোবাইলটা তো আপনিই তার হাতে দিয়েছিলেন তাই না?

📌 বাচ্চা মুরগির রান ছাড়া ভাত খেতে চায় না!
- মুরগির রান যে একটা বিশেষ আকর্ষণীয় খাবার, মুরগির বাকি অংশ যে নয়। তা সে শিখেছে কোথা থেকে বলুন তো। সে তো জন্মানোর সময় থেকে এটা জানতো না তাই না?

📌 বাচ্চার মুখে সবজি দিতেই পারিনা!
- একদিন নতুন একটা সবজি না খেতে চাইলে তাকে ভিন্ন এবং আকর্ষণীয় ভাবে খাবারটা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন কি?
- একদিন - পাঁচ দিন - দশ দিন। তাকে বার বার একদম অল্প করে মুখে দিয়ে ঐ খাবারের স্বাদ এর সাথে অভ্যস্ত করেছিলেন কি?


ছোট বাচ্চারা হয় অনেকটা নরম কাদা মাটির মতো।
আপনি যেই ছাঁচে দিয়ে তাকে পেলেপুষে বড় করবেন, ভবিষ্যতে তার ক্যারেক্টারিসটিকস গুলো ওরকমই হবে।

ছোটবেলা থেকেই যদি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী খাবার গুলো তার কাছে আকর্ষণীয় করে প্রেজেন্ট করতে পারেন, তাকে খাবারের উপকারিতা গুলো দৈনন্দিন জীবনের সাথে কানেক্ট করে বোঝাতে পারেন তাহলে তার জীবনের পরবর্তী সময় গুলো প্যারাময় হবে না।

খাওয়ার জন্য জোড় করতে করতে দিন কাটাতে হবেনা মায়েদের।

যেমন ধরুন

- তাকে ডিম, মাছ বা মাংস খাওয়াতে খাওয়াতে গল্প শোনালেন। কিভাবে এক রাজপুত্র বা রাজকন্যা এগুলো খেয়ে অনেক শক্তিশালী হয়ে গিয়েছিলো।

- তাকে নানা রঙের শাক-সবজি খাওয়াতে খাওয়াতে গল্প শোনালেন যে কিভাবে খাবারের এই নানা রঙ গুলো আমাদের শরীরের ফাইটার (রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা) গুলোকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।

- ঘি খাওয়ানোর সময় বোঝালেন, যে এটা যারা খায় তাদের বুদ্ধি খুব ভালো থাকে। পরীক্ষায় তারা বাকিদের থেকে এগিয়ে থাকে।

বাহিরের প্রক্রিয়াজাত খাবার তার মুখে দেয়া মাত্রই সে অন্যরকম স্বাদ পেয়ে ঘরের খাবারের প্রতি আগ্রহ হারাবে। তাই এই বিষয়ে খুব সচেতন থাকতে হবে।

আর অবশ্যই চেষ্টা করবেন অন্তত ৪-৫ বছর না হওয়া পর্যন্ত ডিভাইস থেকে দূরে রাখতে। তাদের ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট এর ১২ টা বাজাতে এর থেকে ভয়াবহ জিনিস আর ২য় টা নেই!

কিছুটা ধারণা পেয়েছেন কি?

কোনো কিছু এমনি এমনি হয়ে যায় না। আমাদের আজকের নেয়া ডিসিশনই তৈরি করে দেয় আমাদের ভবিষ্যৎ।

বর্ণালী মোস্তফা মুনা
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড লাইফস্টাইল স্পেশালিষ্ট।

Address


Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nutritionist Barnali Mostafa posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your practice to be the top-listed Clinic?

Share