Nutritionist Barnali Mostafa

Nutritionist Barnali Mostafa Personalized Nutrition & Lifestyle Specialist
Farazy Hospital Ltd. CCTD (BUHS), CND ( BIRDEM)
BSc, MSc.

in Food & Nutrition

Appointment:
(Online)Whatsapp - 01533598737
(Offline)Phone - 09606990000

26/10/2025

জীবনের বিনিময় ৫ লক্ষ টাকা মাত্র। সাথে ফ্রি একটা চাকরি ও...!

জীবিত আছি এইতো অনেক....

হেলদি লাইফস্টাইলে আসতে না পারার অন্যতম একটা কারণ হলো আমাদের সমাজ!জাঙ্ক ফুড খাওয়া এখনকার সময়ে এতটাই কমন, যে কেউ এগুলো এভয়...
26/10/2025

হেলদি লাইফস্টাইলে আসতে না পারার অন্যতম একটা কারণ হলো আমাদের সমাজ!

জাঙ্ক ফুড খাওয়া এখনকার সময়ে এতটাই কমন, যে কেউ এগুলো এভয়েড করতে চাইলে তাকে “অসামাজিক” ট্যাগ দিয়ে দেওয়া হয়!

আপনি যদি বলেন “না, আমি বার্গার খাই না”, তখনই কেউ না কেউ বলবে -

“আরে একটা খেলে কিছু হবে না!”

"আজকের দিনটাই তো!"

“এই এত রুলস মেনে চলে জীবনটা উপভোগ করবে কবে?”

"মরলে মরবো, না খেয়ে মরবো কেন?"

আর এই "একটা করে" খাওয়া বা একটু এনজয় করে নেওয়ার নামেই মানুষ ধীরে ধীরে নষ্ট করতে থাকে নিজের শরীরটাকে।

হরমোনাল ইমব্যালেন্স, ইনসুলিন সেনসিটিভিটি নষ্ট হওয়া, গাট হেলথ নষ্ট হওয়া, ঘুমের রুটিন নষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে লিভার, হার্ট, কিডনি পর্যন্ত সবকিছু নষ্ট হতে থাকে একে একে।

এজন্যই তো এখনকার দিনে সবাই ধরেই নেয় - বয়স বাড়বে মানে অবশ্যই কোনো রোগ হবে।

যতদিন যাবে - ঔষধ আর রোগ বাড়তেই থাকবে। এটাই তো নরমাল!

আমরা এমন এক সমাজে বাস করি যেখানে “নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া” কে বিলাসিতা ভাবা হয়,
কিন্তু “নিজেকে ধ্বংস করা” কে বলা হয় Fun আর Freedom !

হায়াত যতদিন আছে আমরা বাঁচবো তো ততদিন ই। যেই কয়দিন বেঁচে আছেন সুস্থ ভাবে বাঁচার চেষ্টা করুন।

শেষ বয়সে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে বিছানায় পড়ে যেতে কার ভালো লাগবে ভেবে দেখুন!

তাই পরের বার কেউ যখন আপনাকে বলবে, “তুমি তো এখন হেলদি হয়ে গেছ, লাইফ টাই বোরিং তোমার!”

তখন একটা ছোট হাসি দিয়ে শুধু বলবেন -

‘আমি fun আর freedom না, smart হওয়াকেই prefer করি।’

লাইফ যেমন আপনার, চয়েস টাও যেনো আপনারই থাকে!

বর্ণালী মোস্তফা মুনা
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড লাইফস্টাইল স্পেশালিষ্ট
ফরাজি হাসপাতাল (ভবন - ২)
দক্ষিন বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা।

চেম্বার এর এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য কল করুন -
09606990000 নাম্বারে।

অনলাইন এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য ইনবক্সে যোগাযোগ করুন।

আমাদের অতি পরিচিত 'সয়াবিন তেল' যে আবিষ্কৃত হয়েছিল মেশিনের জ্বালানি হিসেবে! - এটা কয়জন জানেন?? বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও এটা...
22/10/2025

আমাদের অতি পরিচিত 'সয়াবিন তেল' যে আবিষ্কৃত হয়েছিল মেশিনের জ্বালানি হিসেবে!
- এটা কয়জন জানেন??

বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও এটাই সত্য।

আজ যে সয়াবিন তেলকে “হার্টের জন্য ভালো”, “ট্রান্স ফ্যাট - ফ্রি”, “লাইট অয়েল” বলে বিক্রি করা হয় -
সেটা আবিষ্কৃত হয়েছিল মানুষের খাবার হিসেবে নয়, বরং মেশিন চালানোর জ্বালানি হিসেবে!

১৮০০ এর শেষ দিকে, শিল্প বিপ্লবের সময় ইউরোপে সয়াবিন প্রথম ব্যবহৃত হতো Lubricant oil ও Industrial Fuel হিসেবে।

কিন্তু যখন দেখা গেল এর উৎপাদন খুবই সস্তা, তখন বড় বড় কোম্পানি গুলো এটাকে “Refine” করে বাজারে ছুড়ে দিল “ভোজ্য তেল” হিসেবে।

সেখান থেকেই মানুষের পেট আস্তে আস্তে হয়ে উঠলো এক Chemical lab!

সয়াবিন কিন্তু তৈরি হয় মূলত Crude Oil হিসেবে।
তারপর শুরু হয় একে বাজারে আনার এবং “Refined Healthy Oil” বানানোর যাত্রা।

সয়াবিন তেল তৈরির প্রক্রিয়াটাই আসলে প্রমাণ করে যে এর “স্বাস্থ্যকর” ট্যাগটা আসলে কত বড় প্রহসন!

এই প্রক্রিয়া গুলোর মধ্যে আছে -

Extraction with Hexane:

তেল প্রথমে n-Hexane নামের পেট্রোলিয়াম solvent দিয়ে বের করা হয় - মানে Chemical Wash করা হয়।
Hexane একটি Neurotoxin, যার trace অংশ refining শেষ দিকেও তেলে কিছুটা থেকে যায়।

Neutralization:
এরপর Caustic Soda (NaOH) যোগ করা হয় Free Fatty Acid দূর করার জন্য।
যা তেলের প্রাকৃতিক অম্লতা বদলে ফেলে।

আর এই প্রক্রিয়ায় তেল হারায় তার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন E, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস।
এবং গঠনগতভাবে হয়ে পড়ে Highly Reactive Oxidized Fat!

Bleaching:
Activated clay ও Bleaching earth দিয়ে তেলকে করে তোলা হয় “উজ্জ্বল”।
এই ধাপে তেল থেকে color, Heavy metal ও odor বাদ গেলেও, oxidation বেড়ে যায় অনেক গুণ!

Deodorization (230–260°C):
এটা হলো তেল রিফাইনিং এর সবচেয়ে ভয়ংকর ধাপ!

এখানে ভ্যাক্যুমে স্টিম দিয়ে তেলের গন্ধ দূর করা হয়।
ভ্যাক্যুম স্টিমের এই High Heat Process তেলকে chemically বিকৃত করে ফেলে।
ফলে তৈরি হয় Trans Fat ও Oxidized Lipid।

আর এগুলো যখন মানব শরীরে ঢুকে তখন শুরু হয় inflammation, hormone imbalance আর cell damage এর প্রক্রিয়া।

Dr. Kaayla Daniel তার বই “The Whole Soy Story”-তে লিখেছেন,

"The refining process doesn’t purify soybean oil — it destroys it.”

“When we eat modern soy products, we’re consuming industrial leftovers disguised as food.”

বাংলাদেশে আরও এর ভয়ংকর বাস্তবতা হলো Mercury দূষণ!

2024 সালে Journal of Health & Pollution-এ প্রকাশিত Shaheen et al.-এর গবেষণায় পাওয়া গেছে -

বাংলাদেশে বিক্রি হওয়া soybean oil-এ Mercury থাকে 1.73 mg/kg।
যেখানে BSTI সীমা মাত্র 0.25 mg/kg!
অর্থাৎ ৭ গুণ বেশি!

এই পারদ (Mercury) আসে Crude oil আমদানি, জাহাজ ও ট্যাঙ্কার সংরক্ষণ প্রক্রিয়া থেকে।

Mercury হলো আরও এক ভয়ংকর neurotoxin, যা শরীরে জমে থেকে -

মস্তিষ্ক ও স্নায়ুর ক্ষতি করে
হার্টকে দুর্বল করে তোলে
ভ্রূণের মস্তিষ্ক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে
হরমোন ভারসাম্য নষ্ট করে

Dr. Daniel আরও বলেন,

“Soybean oil today is not a food — it’s a chemical experiment we’re feeding to our children.”

আমরা আসলে খাচ্ছো এমন এক তেল -
যেটা একসময় তৈরি হয়েছিল মেশিনে ঢালার জন্য!

Refined Soybean Oil মানে chemically processed, oxidized, trans-fat-loaded একটা তেল যেটা শরীরে ঢুকে কোষের ঝিল্লি দুর্বল করে, hormone signaling বিঘ্নিত করে,
আর ধীরে ধীরে inflammation, fatty liver, insulin resistance, infertility–র রাস্তা খুলে দেয়!

বিকল্প কি?

প্রকৃতির তৈরি বিকল্প গুলো হলো

> সরিষার তেল
> ঘি
> নারকেল তেল
>অলিভ অয়েল
> দেশি ঘাস খাওয়া প্রাণীর থেকে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক ফ্যাট

“Nature designed real fat for real bodies -
factories designed vegetable oils for profit.”
- Kaayla Daniel

মনে রাখবেন -
আমাদের শরীর প্রকৃতির তৈরি এক masterpiece, কোনো chemical lab না।
তাই শরীর চালাতে সস্তা না খুঁজে বুঝে শুনে খরচ করুন।

প্রয়োজনে কম খান, তবুও ভালো খাবার টা খান।

বর্ণালী মোস্তফা মুনা
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড লাইফস্টাইল স্পেশালিষ্ট।

পেশেন্ট এর পাঠানো খাবার প্লেট এর ছবি।তাদের বাসায় গতকাল রাতে প্রোগ্রাম ছিলো। সবার জন্য আয়োজন ভিন্ন হলেও তিনি ঠিক যেভাবে ব...
20/10/2025

পেশেন্ট এর পাঠানো খাবার প্লেট এর ছবি।
তাদের বাসায় গতকাল রাতে প্রোগ্রাম ছিলো। সবার জন্য আয়োজন ভিন্ন হলেও তিনি ঠিক যেভাবে বলেছি ওভাবেই প্লেট সাজিয়েছেন।

নিষেধ করা খাবার গুলো খাননি। একজন নিউট্রিশনিস্ট হিসেবে আসলে আপনাদের থেকে এটুকুই চাওয়া থাকে।

পেশেন্টদের যখন বলা হয় ওমুক খাবার টা বন্ধ রাখতে হবে, তমুক ভাবে খেতে হবে, তাদের সবচেয়ে বড় কনসার্ন থাকে রান্নার ঝামেলা।

কিভাবে সবার থেকে ভিন্ন খাবার খাবো? আলাদা করে বাজার করবো বা তৈরি করবো এতো সময় কোথায়?

আসল সমস্যা আসলে এগুলো না, সমস্যা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে।ভয় না পেয়ে একটু মাথা খাটাতে হবে। উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

আপনি সবজি খাবেন, প্রয়োজন নেই তো শুধু সেদ্ধ সবজি খাওয়ার!
সবার রান্না যে-রকম ভাবে হয় আপনি ওভাবেই শুরু করেন।

ডিম খাবেন, প্রয়োজন নেই শুধু সেদ্ধ ডিম খাওয়ার!
চাইলে পোচ / ভাজা / রান্না সব ভাবে খেতে পারবেন।

মুরগির মাংস খাবেন, শুধু শ্যালো ফ্রাই করে খেতে হবে এমন না। রান্না টাও খাওয়া যাবে।

সবার জন্য একই রান্না হলেও যাস্ট বেসিক কিছু পরিবর্তন যেমন -
রান্নার কোন তেলে হচ্ছে?
সারাদিনের রান্নায় কি কি আাইটেম থাকছে?
কোনটা কার জন্য কতটুকু রান্না করতে হবে?
কোন বেলায় কি খেতে হবে?

এই বিষয় গুলো মাথায় সেট করে নিলেই চলে।

ব্যালেন্স করাটাই শিখতে হবে যাস্ট।

তবে হ্যাঁ, বাসার বাকি সবাই আপনার জন্য নিষেধ এমন কোনো খাবার খেলে তা থেকে কিছুদিন বিরত থাকতে হবে।

একজন পুষ্টিবিদ হিসেবে রাস্তা আমি দেখাবো কিন্তু হাঁটতে হবে আপনাকেই।
পরামর্শ আমি দিতে পারবো, কিন্তু মেইনটেইন করতে হবে আপনাকেই।

সো ডায়েট মডিফিকেশন মানেই সবকিছু হুট করে পাল্টে ফেলা - এটা ভেবে ভয় পাওয়া যাবে না।

যা এখন পারছেন তা দিয়েই শুরু করতে হবে। বাকিটা ধীরে ধীরে এডজাস্ট করতে হবে।

মনে রাখবেন, ডায়েট মডিফিকেশন কোনো শাস্তি না। যে আসবে, কয়দিন লেগে থাকবেন - স্বার্থ হাসিল হলে চলে যাবে।

এটা আপনার নিজের শরীরের উপর করা একটা 'Investment'!

আপনার ভবিষ্যৎ এর জন্য করা Investment!

বর্ণালী মোস্তফা মুনা
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড লাইফস্টাইল স্পেশালিষ্ট।

ওজন বেশি মানেই যেমন মোটা হওয়া নয়, তেমনি কারো BMI বেশি মানেই সে Obese নয়!বেশি ওজন থাকা কখন কনসার্নিং?শুধু BMI কেনো ওজন মা...
20/10/2025

ওজন বেশি মানেই যেমন মোটা হওয়া নয়, তেমনি কারো BMI বেশি মানেই সে Obese নয়!

বেশি ওজন থাকা কখন কনসার্নিং?

শুধু BMI কেনো ওজন মাপার সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য উপায় নয়?

শরীরের কোন জায়গায় ফ্যাট জমলে সেটা চিন্তার বিষয়?

এরকম বিষয় গুলো নিয়ে ডিসকাস করেছি এই ভিডিওটিতে।

আপনারা কোন কোন বিষয়ে জানতে চান কমেন্টে জানাবেন।

পেশেন্ট একজন মধ্য বয়সী মহিলা। হার্টের সমস্যা নেই কিন্তু বুকে ব্যাথা হয়, কোনো খাবার হজম হয় না। সারাদিন গলা শুকিয়ে থাকে। খ...
14/10/2025

পেশেন্ট একজন মধ্য বয়সী মহিলা। হার্টের সমস্যা নেই কিন্তু বুকে ব্যাথা হয়, কোনো খাবার হজম হয় না।

সারাদিন গলা শুকিয়ে থাকে। খাওয়ার মধ্যে খান শুধু ভাত। ডক্টর ওজন কমাতে বলেছে তাই ডিম, মাছ, মাংস ও খান না।

শরীরে একদম শক্তি পান না। দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে কষ্ট হয়।

পেশেন্ট আসার পর আমাদের সবার প্রথম কাজ হলো মৌখিক হিস্টরি নেয়ার পাশাপাশি পেশেন্ট কে গভীর ভাবে অবজার্ভ করা।

কমপ্লিকেশন যত বেশি, তত বেশি অবজারভেশন জরুরি হয়।

এই পেশেন্ট কে অবজার্ভ করে পাওয়া গেলো উনার শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক ভাবে চলে না। অনেক সময় পর পর সে শ্বাস নেন আবার অনেক সময় পর পর ছাড়েন।

মুখের কিছুটা অংশ সারাদিন ই খোলা থাকে। নাক এর ব্যবহার তাই কম করেন। অনেক সময় একদম থেমে থাকেন, আবার হঠাৎ জোরে শ্বাস নেন।

শ্বাস নেয়ার বিষয়টাকে আমরা আসলে ততটা পাত্তা দেই না যতটা দেয়া প্রয়োজন। এটা এমন বিষয় নয় যে একভাবে হলেই হলো।

আমরা যেভাবে বছরের পর বছর শ্বাস নিচ্ছি, সেটা বেশিরভাগ সময়ই ভুল পদ্ধতি।

ভুল শ্বাস-প্রশ্বাসের ফলেই শরীরে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না, ফলে -

* কোষগুলো তাদের কাজ সঠিক ভাবে করতে পারে না,
* ব্রেইন ফগ হয়,
* মনোযোগ কমে যায় বা কগনিটিভ ফাংশনে সমস্যা হয়
* হজম দুর্বল হয়ে পড়ে
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষক্ষমতা দূর্বল হয়ে পরে
* শরীর সবসময় ক্লান্ত ও ভারী লাগে

আপনি হয়তো ভাবছেন আপনার সমস্যা ডায়েট বা ঘুমের কারণে, কিন্তু হতে পারে মূল সমস্যাটা শ্বাস নেওয়ার প্যাটার্নে!

সঠিক শ্বাস নেওয়ার নিয়ম হলো -

মুখ বন্ধ রেখে শ্বাস নিতে ও ছাড়তে হবে নাক দিয়ে।
আর মোস্ট ইম্পর্টেন্ট হলো বুক ফুলিয়ে নয় শ্বাস নিতে হবে পেট ভরে।

এই পেট ভরে শ্বাস নেয়াকে বলা হয় “ডায়াফ্রামিক ব্রিদিং” - যেখানে আপনার বুক ওঠা-নামা করবে না, বরং পেট ধীরে ওঠানামা করবে।

এগুলো যেহেতু আমরা প্র্যাক্টিস কম করি, চাইলে কিছু এক্সারসাইজ দিয়ে শুরু করে দেখতে পারেন।

যেমন -
বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে বা হেলান দিয়ে পেট ফুলিয়ে শ্বাস নিন আবার ধীরে ধীরে ছাড়ুন।

প্রথম দিন একটু কষ্ট হবে, কিন্তু এক সপ্তাহ পরে দেখবেন আগের চাইতে ভালো অনুভব করছেন, বেশি অক্সিজেন নিতে পারছেন।

শর্ট এক্সারসাইজ হিসেবে 'Deep breathing' বা '4-6-7 breathing' গুলো ইউটিউব ভিডিও দেখে শুরু করতে পারেন।

কনশাস ভাবে শ্বাস নেয়া এবং ছাড়া টা খুব বেশি জরুরি।
এই একটুখানি শ্বাস-প্রশ্বাসের অভ্যাস আপনার পুরো শরীরের রিদম বদলে দিতে পারে।

কয়েকদিন প্র্যাকটিস করলে দেখবেন আগের চাইতে আপনার ঘুম ভালো হবে, মন মেজাজ ফুরফুরে হবে, হজম ইমপ্রুভ হবে।

এই ব্রিদিং প্র্যাকটিস যে আমাদের হরমোন, হজম আর স্ট্রেসের ব্যালান্স ফিরিয়ে আনতে পারে তা নিয়ে ইন শা আল্লাহ পরে কখনও লেখার চেষ্টা করবো।

মনে রাখবেন -
'বেঁচে থাকা আর সঠিক ও সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা এক জিনিস নয়!'

বর্ণালী মোস্তফা মুনা
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড লাইফস্টাইল স্পেশালিষ্ট।

'তেল-চর্বি না খেলেই তো টেনশন নাই' - এখনও অনেকে এমনটাই মনে করেন। কিন্তু বাস্তব হলো—আপনি যদি কোনো প্রকার ফ্যাট না-ও খান, শ...
09/10/2025

'তেল-চর্বি না খেলেই তো টেনশন নাই' - এখনও অনেকে এমনটাই মনে করেন।

কিন্তু বাস্তব হলো—
আপনি যদি কোনো প্রকার ফ্যাট না-ও খান, শরীর নিজে থেকেই ফ্যাট তৈরি করে নেবে!

আর এর কারণ হলো - শরীরের অসংখ্য কাজের জন্য ফ্যাট আসলে অপরিহার্য। আপনি চাইলেন আর ফ্যাট কে ভুলে যেয়েই শরীর নিজের মতো সব কাজ করতে থাকবে, তা হবে না।

হরমোন তৈরি ও নিয়ন্ত্রণ - ফ্যাট ছাড়া হবে না।

কোষের গঠন ও সুরক্ষা - ফ্যাট ছাড়া নরবরে।

মস্তিষ্কের সঠিক কার্যক্রম - ফ্যাট ছাড়া ঠিকঠাক চলবে না।

ভিটামিন A, D, E, K শোষণ - ফ্যাট এর সাথেই শোষণ হয়।

এগুলো চালাতে শরীরের ফ্যাট লাগবেই।

তাই ফ্যাট ইনটেক পুরোপুরি বন্ধ করলেও শরীর তার কার্যক্রম চালানোর জন্য ঠিক বাইপাস রাস্তা দিয়ে ফ্যাট তৈরি করে নিবে।

আর এই বাইপাস ওয়ে টা হলো শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট!

জি, ফ্যাট কমিয়ে আপনি যেই খাবার গুলো বেশি করে খাচ্ছেন ওগুলো থেকেই তৈরি হবে ফ্যাট।

এখন অনেকের ধারণা হতে পারে যে তাহলে সমস্যা কোথায়?

সমস্যা হলো নিজে থেকে তৈরি করা সেই ফ্যাটে Essential Fatty Acids (যেমন Omega-3, Omega-6) থাকে না।
ফলে সেই ফ্যাট গুলো কম কার্যকরি হয়, এমনকি কোষের গঠন ও হরমোনাল ভারসাম্য বজায় রাখতেও সমস্যা হয়।

অর্থাৎ, ফ্যাট না খেলে শরীর টিকে তো থাকবে।
কিন্তু তার মান, পারফরম্যান্স আর হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে থাকবে নিঃশব্দে!

এখন তাহলে করণীয় কি?

ফ্যাট কে একা ভিলেন বানানো যাবেনা। তাকে নিয়েই ব্যালেন্সড উপায়ে খাদ্যাভ্যাস গুছাতে হবে।

এক্ষেত্রে কোন ধরনের ফ্যাট খাবেন, কতটুকু খাবেন, তার পাশাপাশি শর্করা কতটুকু খেতে পারবেন, প্রোটিন কতটা নিতে হবে - এগুলো সব একজন প্রফেশনাল নিউট্রিশনিস্ট এর সাথে কনসাল্ট করে সাজিয়ে নিতে হবে।

আপনার শারীরিক কন্ডিশন অনুযায়ী তারাই পারবেন সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করে দিতে।

বর্ণালী মোস্তফা মুনা
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড লাইফস্টাইল স্পেশালিষ্ট।

বাসায় একটা পোষা প্রাণী থাকা মানেই একটা ছোট্ট ‘থেরাপিস্ট’ ফ্রি তে পাওয়া! যখন আপনি হতাশ, একা, বা ক্লান্ত হয়ে পড়েন— ওরা কথা...
05/10/2025

বাসায় একটা পোষা প্রাণী থাকা মানেই একটা ছোট্ট ‘থেরাপিস্ট’ ফ্রি তে পাওয়া!

যখন আপনি হতাশ, একা, বা ক্লান্ত হয়ে পড়েন— ওরা কথা না বুঝলেও আপনার অনুভুতি বুঝে ফেলে।
ওদের একটা ছোট্ট লেজ নাড়ানো, বা মিউ মিউ আওয়াজেই মনটা হালকা হয়ে যায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, পোষা প্রাণীর সাথে সময় কাটালে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল কমে, আর হ্যাপিনেস হরমোন সেরোটোনিন বেড়ে যায়।

মানে— tension কমে, মন ভালো হয়, ঘুমও ভালো হয়।

আর সবচেয়ে সুন্দর ব্যাপার?
ওরা কখনো জাজ করে না।
আপনি যেমনই হোন না কেন, ওরা আপনাকে ভালোবাসে — নিঃস্বার্থভাবে। ❤️

তাই যদি বাসায় জায়গা ও সময় থাকে, একটা ছোট্ট পোষা প্রাণী নিতে পারেন। যার যেমন ভালো লাগে।

কারণ— “একটা ছোট্ট প্রাণ ও অনেক বড় ভালোবাসার আখড়া!”

ভাত খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন কিন্তু ওজন কমছে না - এক পেশেন্ট আজ এটা বলে অনেক দুঃখ প্রকাশ করলেন।তার ভাষ্য মতে সারাদিন বাসায় এত...
03/10/2025

ভাত খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন কিন্তু ওজন কমছে না - এক পেশেন্ট আজ এটা বলে অনেক দুঃখ প্রকাশ করলেন।

তার ভাষ্য মতে সারাদিন বাসায় এতো কাজ কর্ম করতে হয়, কম খেলে শরীর কাঁপে। কাজ করতে পারেন না।
কিন্তু ডক্টর বলেছে ওজন কমাতে।

শুনেছেন ভাত কম খেলেই নাকি ওজন কমে যায়। তাই নিজে নিজে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ফলাফল শূন্য।
ওজন তো কমেই নি বরং দূর্বলতা বেড়ে গেছে কয়েক গুণ!

তার হিস্ট্রি নিয়ে দেখা গেলো কম ভাত খেলেও সে মিড মর্নিং স্ন্যাকস হিসেবে খান বিস্কিট-চানাচুর কিংবা মিস্টি। আবার সাথে থাকে দুই একটা কলাও !

সন্ধ্যায় নাস্তার সময় খান নুডুলস / পুরি - সিঙ্গারা।
সকাল সন্ধ্যা ২ কাপ চা তো আছেই, অল্প চিনি সহ দুধ চা।

আর সবজি খেলে নাকি আলু - মিষ্টি কুমড়া থাকেই। সবজিই তো। তাই না?

আসলে যেই জায়গাটায় আমরা ভুল করি তা হলো কোন খাবার খেলে তা শরীরে কিভাবে কাজে লাগে তাই জানিনা।

অনেকেই ভাবে, শুধু ভাত কমালেই ওজন কমে যাবে। কিন্তু আসল বিজ্ঞানটা অন্য জায়গায়।

শরীরে খাবার ঢোকার পর তা শুধু পেট ভরে রাখে না - ভাঙে, হজম হয়, শোষিত হয়, তারপর হরমোনের মাধ্যমে এনার্জি ও ফ্যাট স্টোরেজে প্রভাব ফেলে।

সাদা ভাত একদিকে দ্রুত ভাঙে, ফলে গ্লুকোজে পরিণত হয় দ্রুত।অন্যদিকে আপনি যদি সাথে বিস্কিট, চানাচুর, মিষ্টি বা ভাজাভুজি খান—তাহলে রক্তে শর্করা বা গ্লুকোজ একটু পর পরই ওঠানামা করতে থাকে।
ফলে রক্তে একটু পর পর দেখা দেয় 'গ্লুকোজ স্পাইক'!

ফলাফল?এই গ্লুকোজ গুলোকে ঠিকানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ইনসুলিন লেভেল সবসময় হাই থাকে।

রক্তে হাইপার ইনসুলিন আবার ফ্যাট বার্ন হতে দেয় না, বরং বাড়তি গ্লুকোজকে ফ্যাট হিসাবে জমা করতে সিগনাল দেয়।

সো শুধু ভাত কমালে হবে না—পুরো খাবারের মান ও ভারসাম্যটাই হলো আসল বিষয়। যার মধ্যে কখন কোন খাবার খাবেন তার দিকেও নজর রাখতে হয়।

সংক্ষেপে বলতে গেলে -

* প্লেটে বেশি রাখতে হবে বেশি করে নন-স্টার্চি সবজি (লাউ, ঢেঁড়স, করলা, ঝিঙে, শসা ইত্যাদি) । এগুলো ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে ও তৃপ্তি বাড়ায়।

আলু বা মিষ্টি কুমড়া সবজি হলেও এগুলো স্টার্চি, তাই পরিমাণ বুঝে খেতে হবে।

* খেতে হবে মুরগি, গরু, মাছ, ডিম, ডাল এর মতো ভালো মানের প্রোটিন। এগুলো শুধু পেশি রক্ষা করে না, বরং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।

* বাদাম, বীজ, মাছের তেল বা সরিষার তেল, খাঁটি ঘি, অলিভ অয়েল এসব স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হরমোন ব্যালান্সে সাহায্য করে। এবং স্যাটাইটি (তৃপ্তি) অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয় যা বার বার ক্ষুধা লাগাকে প্রতিরোধ করে।

* আর ভাত। সেটা খেতে পারেন তবে ঢেঁকি ছাটা লাল চালের। ফাইবার যুক্ত ভাত খেলে দেখবেন আপনি চাইলেও বেশি খেয়ে ফেলতে পারবেন না। অল্প খেয়েই পেট ও ভরা থাকবে দীর্ঘ সময়।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো শারীরিক কার্যকলাপ। সারাদিন ঘরের কাজ করলে শরীর ক্লান্ত হয় ঠিকই, কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবে সেটি Structured Physical Activity বা Exercise নয়।

কারণ ঘরের কাজের মধ্যে নিয়মিত সব মাংসপেশির ব্যবহার হয় না—এতে হার্টের রেট নির্দিষ্ট লেভেলে ওঠা-নামা করে না, তাই মেটাবলিজমও যথেষ্ট বুস্ট হয় না।

হাঁটা, জগিং, সাইক্লিং, হালকা ব্যায়াম—এসবের মাধ্যমে আপনি শরীরকে যদি সত্যিকারের “Exercise mode”-এ আনতে পারবেন তবেই সুস্থ থাকতে পারবেন।

বরং অল্প কাজ করেই যে ক্লান্তি চলে আসে, এটা দূর হয়ে যাবে। এনার্জি বেশি সময় ধরে রাখতে পারবেন।

শুধু ভাত কে দোষ দিয়ে লাভ নেই।
সঠিক ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস + নিয়মিত ব্যায়াম + যথেষ্ট ঘুম থেকেই হতে পারে টেকসই ওজন নিয়ন্ত্রণ।

বর্ণালী মোস্তফা মুনা
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড লাইফস্টাইল স্পেশালিষ্ট।

গ্লাস দিয়ে রোদ আসলেই ভিটামিন ডি পাওয়া যায় না!সূর্যের আলো গ্লাস বা কাপড়ের মাঝে দিয়ে গায়ে লাগলেই ভিটামিন ডি তৈরি হবে -এটা ...
23/09/2025

গ্লাস দিয়ে রোদ আসলেই ভিটামিন ডি পাওয়া যায় না!

সূর্যের আলো গ্লাস বা কাপড়ের মাঝে দিয়ে গায়ে লাগলেই ভিটামিন ডি তৈরি হবে -এটা একটা প্রচলিত ভুল ধারণা।

ভিটামিন ডি উৎপাদন হবার জন্য প্রয়োজন হয় সূর্যের আলোর UV-ray সরাসরি ত্বকে পড়া। এবং সামান্য তাপ লাগা।

সরাসরি সানলাইট না পরলে ভিটামিন ডি উৎপাদন হবেনা। পাতলা কাপড়/ গ্লাসের ভেতর দিয়ে কড়া রোদ আসলেও না।

আর আপনি যদি ত্বকের সব জায়গায় sunscreen ব্যবহার করেন তাহলে তো আরও না!

ভিটামিন ডি তৈরি হওয়ার জন্য শর্ত মেইনটেইন করে রোদে থাকা লাগে। আলো লাগলেই হয়ে যাবে বিষয়টা মোটেই এমন নয়।

বর্ণালী মোস্তফা মুনা
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড লাইফস্টাইল স্পেশালিষ্ট।

কোলাজেন সাপ্লিমেন্ট?যদি ঘুম-খাওয়া, লাইফস্টাইল ঠিক না থাকে—কোন লাভ নেই।ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট? ভিটামিন D আর ম্যাগনেসিয়...
20/09/2025

কোলাজেন সাপ্লিমেন্ট?
যদি ঘুম-খাওয়া, লাইফস্টাইল ঠিক না থাকে—কোন লাভ নেই।

ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট?
ভিটামিন D আর ম্যাগনেসিয়াম না থাকলে কাজে আসবে না।

প্রোটিন পাউডার?
মাসল এর চর্চা না করলে মাসল হবে না।

মাল্টিভিটামিন?
যদি জাঙ্ক ফুড-চিনি খাওয়া কমানো না যায়—শুধুই দামী প্রস্রাব হবে!

আয়রন সাপ্লিমেন্ট?
ভিটামিন C ছাড়া শোষণই হবে অর্ধেক।

ওমেগা-৩ ক্যাপসুল?
রেগুলার ফাস্ট ফুড আর ভাজা পোড়া খেলে ইনফ্লেমেশন কমবে না বরং বাড়বেই।

বি-কমপ্লেক্স ট্যাবলেট?
যদি ঘুম ঠিক না থাকে, ক্রনিক স্ট্রেস থাকে,খুব একটা কাজে দিবে না।

ওজন কমানোর জুস/ড্রিংক?
কোনো লাভ নেই। খাওয়া, ঘুম, ব্যায়াম থেকেই মিলবে আসল সমাধান।

সাপ্লিমেন্ট হোক বা “ওজন কমানোর জুস” এগুলো কোনোটাই ম্যাজিক এর মতো কাজ করবে না।
লাইফস্টাইল পরিবর্তনই হলো আসল থেরাপি, বাকি সব তো সাপোর্টিং রোল মাত্র!

নিউট্রিশনিস্ট বর্ণালী মোস্তফা মুনা
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড লাইফস্টাইল স্পেশালিষ্ট।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nutritionist Barnali Mostafa posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram