Dr. Afroza Akter

Dr. Afroza Akter সুরক্ষা হেলথ্ কেয়ার
Book Appointment now🏥
📍FOR MEDICINE PROMOTION INBOX

World Arthritis Day
12/10/2022

World Arthritis Day

October (pink October) Breast Cancer Awareness Month.স্তন ক্যান্সার কোনো লজ্জার বিষয় নয় বা কোনো গোপন রোগ নয়। প্রতি ৬ মিন...
11/10/2022

October (pink October)
Breast Cancer Awareness Month.

স্তন ক্যান্সার কোনো লজ্জার বিষয় নয় বা কোনো গোপন রোগ নয়। প্রতি ৬ মিনিটে একজন নারী যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন, সেটাকে লজ্জার বা গোপন রোগ ভাববার আর কোনো সুযোগ নেই। আমাদের সকলের সচেতনতাই পারে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে।

নারীদের ক্যান্সারের মধ্যে ব্রেস্ট বা স্তন ক্যান্সার এক নম্বরে আছে। কিন্তু উন্নত বিশ্বে নিয়মিত স্ক্রিনিং আর সচেতনতার কারণে একদম প্রাথমিক পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার ধরা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, উন্নত বিশ্বে শতকরা ৬৫ ভাগ স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে। এ কারণে সেখানে ব্রেস্ট ক্যান্সারজনিত মৃত্যু অনেকটা কমে এসেছে। ফলে সারা বিশ্বে নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর এক নম্বর কারণ এখন ফুসফুস ক্যান্সার! ব্রেস্ট ক্যান্সার নয়।

বাংলাদেশে এই চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। এর কারণ অনেক দেরিতে ও শেষ পর্যায়ে এসে ক্যান্সার ধরা পড়া। বিগত পাঁচ বছরে আমাদের দেশে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া ও রোগ শনাক্ত হওয়ার হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৫ হাজারের বেশি মানুষ ব্রেস্ট ক্যান্সার বা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। এদের মধ্যে শতকরা ৯৮ শতাংশের বেশি নারী, তবে খুব অল্প সংখ্যক পুরুষও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।

প্রতি বছর প্রায় সাড়ে সাত হাজার মানুষ এ রোগে মারা যান।
আমাদের দেশে দেরীতে ও শেষ পর্যায়ে ডায়াগনোসিস হওয়া আর দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসার পেছনে অন্যতম কারণ রোগী ও তার পরিবারের এই বিষয়ে অজ্ঞতা ও অসচেতনতা এবং ব্রেস্ট ক্যান্সারের নিয়মিত স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম-এর স্বল্পতা।

প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে রোগীর সুস্থ হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি, তাই নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করে দেখতে হবে অস্বাভাবিক কোনো পরিবর্তন চোখে পড়ে কি না।

স্তন ক্যান্সার কি?

স্তনের কিছু কোষ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে, ওই অনিয়মিত ও অতিরিক্ত কোষগুলো বিভাজনের মাধ্যমে টিউমার বা পিণ্ডে পরিণত হয়।সেটি রক্তনালীর লসিকা (কোষ-রস) ও অন্যান্য মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। এই ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতাকেই ক্যান্সার বলে।

স্তন ক্যানসার কেন হয়?

স্তন ক্যান্সার হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো কারণ আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে নিচের কিছু কারনে মায়েদের/ মেয়েদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
১) বংশগত বা হরমোনজনিত কারণে।
২) অতিরিক্ত ওজন থাকলে।
৩) বেশি বয়সে বিয়ে করা।
৪) ৩০ বছরের পর নারীদের প্রথম বাচ্চা নেয়া ও সন্তান না হওয়া।
৫) ১২ বছরের আগে ঋতুস্রাব হওয়া এবং দেরিতে মেনোপজ বা ঋতু বন্ধ হওয়া।
৬.তেজস্ক্রিয়তা।
৭)সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ানো।
৮) খাদ্যাভ্যাসে শাকসবজি বা ফলমূলের চাইতে চর্বি ও প্রাণীজ আমিষ বেশি থাকলে এবং প্রসেসড ফুড বেশি খেলে।
৯) দীর্ঘদিন ধরে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল খাচ্ছে বা হরমোনের ইনজেকশন নিচ্ছে।

ব্রেস্ট ক্যান্সারের বা স্তন ক্যান্সার এর লক্ষণসমূহঃ

১) স্তনে চাকা ও লাম্প বা পিন্ড অনুভব করা যা ব্যথাহীন ও খুব দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে আকারে।

২) স্তনের ত্বকে বিভিন্ন পরিবর্তন যেমন চামড়া কুঁচকে যাওয়া, কমলার খোসার মত ছোট ছোট ছিদ্র দেখা দেয়া, চামড়ায় টোল পড়া, দীর্ঘস্থায়ী ঘা ইত্যাদি।

৩) নিপল (বোঁটা) দিয়ে রস নিঃসরণ হওয়া বা রক্তপাত হওয়া।

৪) নিপল ও তার আশেপাশের (Ar**la) কালো অংশা ফুঁসকুড়ি ও চুলকানি হওয়া।

৫) স্তনে দীর্ঘদিন ব্যথা অনুভূত হওয়া।

৬) স্তনের আকার পরিবর্তন হওয়া।

৭) গলার কাছে অথবা বগলে চাকা অনুভব করা।

৮) স্তনের বোটা ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া অথবা বোটা দিয়ে পুঁজ নির্গত হওয়া।

ব্রেস্ট ক্যান্সার/স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে পরীক্ষা পদ্ধতিঃ

২০ বছর বয়স থেকেই প্রত্যেকের উচিত স্তন ক্যান্সার বিষয়ে সচেতন হওয়া এবং প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ে নিজের স্তন পরীক্ষা করা। মাসিক শুরুর ৫-৭ দিন পর এই পরীক্ষা করতে হবে যখন স্তন নরম ও কম ব্যথা থাকে।

১) শুয়ে বা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের স্তনকে চারটি ভাগে ভাগ করে প্রতিটি অংশের অভ্যন্তরে কোন চাকা বা দলার মতো আছে কিনা তা অনুভব করুন।

২) স্তনের আকৃতির বিশেষ কোন পরিবর্তন হয়েছে কিনা দেখুন।

৩) সাধারণত দুই স্তনের আকার এক রকম নাও হতে পারে। এটা অস্বাভাবিক নয়। তাই চিন্তার কিছু নেই।

৪) নিপল থেকে অকারণে কোন তরল রস বের হয় কিনা তা লক্ষ্য করুন। তবে প্রসব পূর্ববর্তী বা প্রসব পরবর্তী নিঃসরণকে এর সাথে মিলিয়ে ফেলা চলবে না।

৫) বগলে কিংবা ঘাড়ে কোন চাকা অনুভব করতে পারছেন কিনা লক্ষ্য করুন।

৬) আপনার বাম হাত দিয়ে ডান পাশের ও ডান হাত দিয়ে বাম পাশের স্তন পরীক্ষা করুন।

এই পরীক্ষা করার সময় অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন যাতে আপনার সম্পূর্ণ স্তনটি পরীক্ষা করা হয়। এক্ষেত্রে আপনি নিপল থেকে শুরু করে বৃত্তাকারভাবে বাহিরের দিকে যেতে পারেন অথবা উপর-নিচ করে সম্পূর্ণ স্তন পরীক্ষা করতে পারেন। লক্ষ্য রাখবেন যাতে আপনি সকল টিস্যু (চামড়া থেকে স্তনের নিচের বুকের খাঁচা পর্যন্ত) অনুভব করেছেন। চামড়া ও চামড়ার অল্প নিচের অংশের জন্য অল্প চাপ দিন, স্তনের মাঝের অংশের জন্য মাঝারি চাপ দিন ও স্তনের নিচের অংশ অনুভবের জন্য গভীরভাবে চাপ দিন।

ব্রেস্ট ক্যান্সার নিশ্চিত হওয়ার উপায়ঃ

সাধারনত তিনটি উপায়ে ব্রেস্ট ক্যান্সারের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়।

১) নিজে নিজের ব্রেস্ট পরীক্ষার মাধ্যমে।( Self examination)
২)ম্যামোগ্রাফি বা স্তনের আল্ট্রাসনোগ্রাম করে।
৩)বায়োপসি অথবা এফএনএসি (FNAC) করে।

ব্রেস্টে যে কোন ধরনের পিন্ড বা চাকা মানেই যে তা ব্রেস্ট ক্যান্সার তা কিন্তু নয়। তাই কোন লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন।

নিজে সচেতন হই,অন্যকে সচেতন হতে সাহায্য করি,
ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করি।

Healthcare as a Right, Not a Business!Providing The Best Care For Patients In A Cost Effective Way!!Surokkha Health Care...
08/10/2022

Healthcare as a Right, Not a Business!
Providing The Best Care For Patients In A Cost Effective Way!!
Surokkha Health Care Firmly believe Providing Good Health to People Is Our Duty!

Feel free to visit our clinic following the given address or rather call for any inquiries in the given number below 👇

Much obliged.

FOLLOW AND LIKE SUROKKHA HEALTH CARE PAGE FOR MORE APPOINTMENT AND HEALTH RELATED SERVICES.
27/09/2022

FOLLOW AND LIKE SUROKKHA HEALTH CARE PAGE FOR MORE APPOINTMENT AND HEALTH RELATED SERVICES.

30/06/2022

শারীরিক অসুস্থতার দরুন এই সপ্তাহে রোগী দেখা সম্ভব হয়নি। আমার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন। আগামী সপ্তাহ থেকে আমি পুনরায় রোগীদের সাথে সাক্ষাৎ করবো আগের সময়সূচি অনুযায়ী।

13/06/2022

থাইরয়েড হরমোন কথোপকথন
২য় ভাগঃ
থাইরয়েড হরমোন বেড়ে যাওয়া ও কমে যাওয়া ছাড়াও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ রোগ হয়ে থাকে থাইরয়েড গ্রন্থিতে।
১. গয়েটার(Goitar) / গলগণ্ডঃ

থাইরয়েড গ্রন্থিটি যদি বড় হয়ে যায় সেক্ষেত্রে একে গয়েটার(Goiter) বা গলগন্ড বলা হয়ে থাকে। থাইরয়েড গ্রন্থির থাইরয়েড হরমোন তৈরির জন্য আয়োডিন এর প্রয়োজন পড়ে। আয়োডিনের অভাব হলে গ্রন্থিটি হরমোন তৈরি করতে পারেনা ঠিকভাবে। তবুও এটি চেষ্টা করে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন তৈরি করতে। ফলস্বরূপ এটি নিজে বড় হয়ে যায় শরীরের হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে। এবং একটা সময় এটি আর পারেনা সেই স্বাভাবিক মাত্রায় হরমোন তৈরি করতে। ফলে হরমোন এর পরিমাণ কমে যায় প্রয়োজনের তুলনায়। এর ফলে আক্রান্ত
ব্যক্তি হাইপোথাইরয়ডিজম রোগে ভোগে।

এজন্য যেসব শিশু বা মানুষ আয়োডিন এর স্বল্পতায় ভুগে তাদের এই রোগ হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে বর্তমানে লবণের সাথে আয়োডিন গ্রহণের ফলে এই রোগের প্রাদুর্ভাব অনেকাংশেই কমে এসেছে।

২.থাইরয়েড নডিউল(Nodule) ঃ
থাইরয়েড গ্রন্থিতে টিউমার ও হতে পারে। যাকে নডিউল(Nodule) বলে। এক্ষেত্রে এই টিউমার সংখ্যায় এক বা একাধিক হতে পারে। এবং বিভিন্ন আকারের হতে পারে। তবে টিউমার হলেই সবক্ষেত্রে ক্যান্সার হয়না। অবস্থা বেশি খারাপ হলে এবং কোনো চিকিৎসা না নেয়া হলে এটি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। যাকে বলা হয় থাইরয়েড ক্যান্সার।

থাইরয়েড ক্যান্সারের কারনঃ

গবেষকদের মতে, থাইরয়েড ক্যান্সারের কোন সুস্পষ্ট কারণ চিহ্নিত করা যায়নি। থাইরয়েড ক্যান্সার হয় যখন আপনার থাইরয়েড গ্রন্থির কোষগুলি জেনেটিক পরিবর্তনের কারণে বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও, মিউটেশনের ফলে কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তার ঘটে। এই কোষগুলোও স্বাভাবিক কোষের মতো মরে যাওয়ার ক্ষমতা হারায়। অস্বাভাবিক থাইরয়েড কোষ জমে একটি টিউমার গঠন করে। অস্বাভাবিক কোষগুলি নিকটবর্তী টিস্যুতে আক্রমণ করতে পারে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে যেতে পারে (মেটাস্টেসিস)।

থাইরয়েড ক্যান্সার হতে পারে এমন ঝুঁকির কারণগুলি হল-

১.পুরুষদের তুলনায় মহিলারা বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
২.পঞ্চাশের বেশি বয়সের মানুষের থাইরয়েড ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।
৩.বর্ধিত থাইরয়েড গ্রন্থি বা গলগণ্ড
৪.থাইরয়েড রোগ বা থাইরয়েড ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস
৫.ফুলে যাওয়া থাইরয়েড গ্রন্থি (থাইরয়েডাইটিস)
৬.একাধিক এন্ডোক্রাইন নিওপ্লাজিয়া টাইপ 2A (MEN2A), বা টাইপ 2B (MEN2B) সিন্ড্রোমযুক্ত ব্যক্তিদের থাইরয়েড ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
৭.কাউডেন সিনড্রোম, পারিবারিক অ্যাডিনোমাটাস পলিপোসিস এবং অন্যান্য জেনেটিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা।
৮.শরীরে আয়োডিন এর পরিমান কম,
স্থূলতা বা উচ্চ বিএমআই রোগীদের ঝুকি বেশি।
৯.যেসব রোগী অতীতে মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সারের জন্য রেডিয়েশন থেরাপি নিয়েছেন।
১০.যেসব মানুষ কাছাকাছি পাওয়ার প্ল্যান্ট দুর্ঘটনা বা তেজস্ক্রিয় পতনের কারণে বিকিরণ এক্সপোজার হয়েছেন।
১১. যারা রেডিয়েশন এক্সপোজার এর কাজের সাথে জড়িত।

গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড হরমোনের গুরুত্বঃ

গর্ভাবস্থায় যেসব পরীক্ষাসমূহ অবশ্যই করতে হয় তারমধ্যে থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা একটি।গর্ভাবস্থায় থাইরয়েডের মাত্রা বৃদ্ধির পিছনে মূলত দুটি হরমোন -ইস্ট্রোজেন এবং হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন(HCG) দায়ী। যখন আপনি গর্ভবতী হন, তখন থেকেই এই থাইরয়েড হরমোনগুলি আপনার স্বাস্থ্য এবং আপনার বাচ্চার মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ-উভয় ক্ষেত্রেই মূখ্য ভূমিকা গ্রহণ করে। এই HCG, TSH( থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন) এর মতোএবং আরও কিছু হরমোন সৃষ্টি করার জন্য থাইরয়েড গ্রন্থিকে উদ্দীপ্ত করে। ফলে শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেড়ে যায় ও তা থাইরয়েড বাইন্ডিং গ্লোবিউলিন উৎপন্ন করে, যেটি রক্তের মধ্যে থাইরয়েড হরমোনের গমনে সহায়তাকারী একটি প্রোটিন। প্রথম ট্রাইমেস্টারে, আপনার গর্ভস্থ শিশু থাইরয়েড হরমোনের চাহিদার কারণে সে আপনার উপর নির্ভর করে। আর এটি চলতে থাকে 12 সপ্তাহ না হওয়া পর্যন্ত, যার পর থেকে শিশুর থাইরয়েড গ্রন্থিটি নিজে থেকে কাজ করতে শুরু করে। আর মূলত এই কারণেই প্রেগন্যান্ট অবস্থায় থাইরয়েডের মাত্রা বেড়ে যায় শরীরে।
গর্ভাবস্থায় হাইপারথাইরয়েডিজমের (Hyperthyroidism) ও হাইপোথাইরয়ডিজমের (Hypothyroidism) ক্ষেত্রে যেসব প্রভাব পড়তে পারে তা নিচে উল্লেখ করা হলঃ

১.হাইপারথাইরয়েডিজমের সঠিক চিকিৎসা না হলে বা গর্ভাবস্থায় থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক না থাকলে, হঠাৎ করে গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
২.হাইপোথাইরয়ডিজমের কারণে গর্ভস্থ শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধা পায়।
৩.শিশুর IQ লেভেল কম হতে পারে।
৪.থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা অস্বাভাবিক হলে নির্দিষ্ট সময়ের আগে ডেলিভারি হতে পারে বা মৃত সন্তানও জন্ম নিতে পারে।
৫.বাচ্চা গর্ভে সঠিকভাবে বাড়তে পারে না।
৬.ভবিষ্যতে ওই বাচ্চাটির থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এছাড়াও, গর্ভাবস্থায় আপনার থাইরয়েড পরীক্ষা প্রসবের আগ পর্যন্ত প্রতি ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পর পর করা উচিত।

এছাড়াও থাইরয়েডের সমস্যার জন্য (স্বামী-স্ত্রী) উভয়ের প্রজনন শক্তি কমে যায় এবং গর্ভধারনে ও সমস্যা হতে পারে।

থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা কি বংশগত রোগ?

উত্তর না। থাইরয়েড সাধারণত বংশগত রোগ নয়। এটি আসলে অটো ইমিউন ডিজিজ। শরীরে আয়োডিনের মাত্রা কম হলে থাইরয়েড-এ আক্রান্ত হয়।

থাইরয়েড রোগ সনাক্তকরনঃ

রক্ত পরীক্ষাঃ

রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করা যায়। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সাধারণত নিচের টেস্টগুলো কতা হয়ঃ

1.Thyroid stimulating hormone (TSH)

2.Thyroxine hormone(T4)

3.Tri-iodothyronine hormone(T3)

4.TSH receptor antibody(TSI)
5. Anti-thyroid antibody
এছাড়া আরো কিছু পরীক্ষা যেমন নিউক্লিয়ার থাইরয়েড স্ক্যান, থাইরয়েড আল্ট্রাসাউন্ড, কম্পিউটারাইজড এক্সিয়াল টোমোগ্রাফি স্ক্যান (Computerized axial tomography scan) এর মত কিছু পরীক্ষার সাহায্যে ও থাইরয়েড গ্রন্থির বিভিন্ন রোগ সনাক্ত করা যায়।

থাইরয়েড হরমোনের সমস্যায় কখন সার্জারি লাগে?

সার্জারিঃ
হাইপারথাইরয়ডিজম, গয়েটার এবং নডিউল কিংবা টিউমার হলে সেটির ক্ষেত্রে রোগের মাত্রা অনুযায়ী থাইরয়েড গ্রন্থির কিছু অংশ কিংবা পুরোটা কেটে ফেলতে হতে পারে অপারেশানের মাধ্যমে।
তবে ৭০ ভাগ ক্ষেত্রে এই গ্রন্থির অর্ধেক কেটে ফেললেও রোগী তার বাকি অর্ধেক দিয়ে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে। তবে যাদের পুরো গ্রন্থিটিই কেটে ফেলেতে হয় তাদের বাকি জীবন আলাদাভাবে বাহির থেকে প্রয়োজনীয় হরমোন গ্রহণ করতে হয়।

এছাড়া বিভিন্ন নিউক্লিয়ার মেডিসিন, তেজস্ক্রিয় আয়োডিন ব্যবহার করে আক্রান্ত হবার মাত্রা নির্ধারণ করে চিকিৎসকেরা পরবর্তী পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

সুতরাং কোনো লক্ষণ দেখলে সেটাকে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর সুস্থ থাকতে বছরে অন্তত একবার রক্ত পরীক্ষা করে থাইরয়েড গ্রন্থির অবস্থা চেক করতে পারেন। সঠিক চিকিৎসার জন্য যেকোন এম বি বি এস অথবা হরমোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
ধন্যবাদ।

ডাঃ আফরোজা আক্তার
জেনারেল ফিজিশিয়ান
সুরক্ষা হেলথ্ কেয়ার।

💊 "ভিটামিন-এ" প্লাস ক্যাম্পেইন বিজ্ঞপ্তি:আসসালামু আলাইকুম। আগামী 12 ই জুন থেকে 15 ই জুন সারা দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে জাতীয় ...
31/05/2022

💊 "ভিটামিন-এ" প্লাস ক্যাম্পেইন বিজ্ঞপ্তি:

আসসালামু আলাইকুম।

আগামী 12 ই জুন থেকে 15 ই জুন সারা দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন।

৪ দিনব্যাপি জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস শিশুকে ১টি নীল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল (১,০০,০০০ আইইউ) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ১টি লাল রঙের ভিটামিন-এ (২,০০,০০০ আইইউ) ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আপনারা আপনাদের নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।

✅ সৌজন্যে: "স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়"।

Address

Dhaka

Opening Hours

Monday 15:00 - 21:00
Tuesday 15:00 - 21:00
Wednesday 15:00 - 21:00
Thursday 15:00 - 17:00
Friday 10:00 - 13:00
Saturday 15:00 - 21:00
Sunday 15:00 - 21:00

Telephone

+8801798561807

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Afroza Akter posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram