Jupiter Pharmaceuticals - Ayu Ltd.

Jupiter Pharmaceuticals - Ayu Ltd. মানসম্মত আয়ুর্বেদিক ঔষধ প্রস্তুতকারক।
Quality Ayurvedic Medicine Manufacturer.

09/06/2024

সাম্প্রতিক সাধারণ জ্ঞান ২০২৪ থেকে ৫০টি মধ্যে ১টি গুরুত্বপূর্ণ এমসিকিউ [পিডিএফ] নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো। আপনারা যারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামুলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন তাদের জন্য লেখাটি খুবই সহায়ক হবে। পিডিএফ থেকে উত্তর মিলিয়ে নিন।

#সাম্প্রতিক #সাধারণ #জ্ঞান #২০২৪ থেকে ৫০টি #মধ্যে ১টি #গুরুত্বপূর্ণ #এমসিকিউ [পিডিএফ] #নিয়ে #নিচে #আলোচনা #করা #হলো। #আপনারা #যারা #বিভিন্ন #প্রতিযোগিতামুলক #পরীক্ষায় #অংশগ্রহণ #করছেন #তাদের #জন্য #লেখাটি #খুবই #সহায়ক #হবে। #পিডিএফ #থেকে #উত্তর #মিলিয়ে #নিন।

09/06/2024
08/06/2024
07/06/2024

জিলহজের প্রথম ১০ দিনের ফজিলত

১. জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমলের ফজিলত জিহাদের চেয়েও মর্যাদাবান। হাদিসে এসেছে- হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এ দিনগুলোর (জিলহজের প্রথম ১০ দিনের) আমলের তুলনায় কোনো আমল-ই অন্য কোনো সময় উত্তম নয় । তারা বলল : জিহাদও না ? তিনি বললেন : জিহাদও না, তবে যে ব্যক্তি নিজের জানের শঙ্কা ও সম্পদ নিয়ে বের হয়েছে, অতঃপর কিছু নিয়েই ফিরে আসেনি।’ ( বুখারি)

জিলহজ মাসটি মর্যাদা ও ফজিলতপূর্ণ হওয়ার অন্যতম দুটি। প্রথমটি হলো-এ মাসেই হজ তথা ইয়াওমে আরাফাহ অনুষ্ঠিত হয়। হাদিসে পাকে আরাফার ময়দানে উপস্থিত হওয়াকেই হজ বলা হয়েছে। তাছাড়া কেউ যদি ৯ জিলহজ (আরাফার দিন) সন্ধ্যার আগে মুহূর্তের জন্য হলেও আরাফার ময়দানে উপস্থিত না হয় তবে তার হজ হবে না। পরবর্তী বছর আবার তাকে হজ আদায় করতে হবে।

দ্বিতীয়টি হলো- কুরবানি। যা ইসলামের অন্যতম নির্দশন ও সুন্নাত। ফজিলতপূর্ণ এ দুইটি কাজ মর্যাদাপূর্ণ মাস রমজানেও আদায় করা সম্ভব নয়।

জিলহজের প্রথম ১০ দিনের আমল

১. বুখারি, নাসাঈ, মুসলিম ও মিশকাতের ভিন্ন ভিন্ন বর্ণনা থেকে প্রমাণিত যে, জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন কুরবানি করার আগ পর্যন্ত রোজা পালনসহ যে কোনো নেকির কাজ অধিক সাওয়াব ও ফজিলতপূর্ণ। সে হিসাব ১ থেকে ৯ জিলহজ পর্যন্ত রোজা রাখা যায়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেও এ দিনগুলোতে রোজা রাখতেন।’

২. ৯ জিলহজ আরাফার দিনের রোজা রাখা বিশেষ মর্যাদার। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি আরাফার দিনের রোজা রাখবে আল্লাহ তাআলা তার এক বছর আগের এবং এক বছর পরের সব ছোট গোনাহ মাফ করে দেবেন।’ (মুসলিম, মিশকাত)

৩. কোনো ওজর আপত্তি না দেখিয়ে আর্থিক ও শারীরিক সক্ষম ব্যক্তিদের হজ আদায় করা।

৪. যাদের ওপর কুরবানি ওয়াজিব, তাদের কুরবানি আদায় করা। আর যাদের ওপর কুরবানি ওয়াজিব নয়, আল্লাহর সন্তুষ্টির অন্যতম মাধ্যম আত্মত্যাগের নিদর্শন কুরবানি আদায় করা। কারণ সম্পদহীন ব্যক্তি কুরবানির আগ্রহ প্রদানে আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে স্বচ্ছলতা দান করতে পারেন।

৫. জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে কুরবানি সম্পাদনের আগে পর্যন্ত নখ, চুল ও মোচ ইত্যাদি না কাটা। হাদিস এসেছে-

হজরত উম্মে সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমরা জিলহজ মাসের চাঁদ দেখতে পাবে, এবং তোমাদের কেউ কুরবানি করার ইচ্ছা করে তবে সে যেন চুল নখ কাটা থেকে বিরত থাকে। (মুসলিম, ইবনে হিব্বান)

৬. জিলহজ মাসের পাঁচ দিন তাকবিরে তাশরিক আদায় করা আদায় করা। তাকবিরে তাশরিক হলো-

‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’

আর তা ৯ জিলহজ ফজর নামাজের পর থেকে শুরু হয়ে ১৩ জিলহজ আসার নামাজের সময় শেষ হবে। মোট ২৩ ওয়াক্ত নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক পড়তে হয়। চাই নামাজ জামাআতে কিংবা একাকি পড়া হোক।

আর তাকবিরে তাশরিক পুরুষরা উচ্চ স্বরে আর মহিলার স্বশব্দে নিচু স্বরে পড়বে। অর্থাৎ মহিলাদের তাকবিরের শব্দ যেন (গাইরে মাহরাম) অন্য লোকে না শোনে।
৭. শুধু ঈদের দিন (১০ জিলহজ) ব্যতিত জিলহজের প্রথম দশকে রোজা রাখা অনেক ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (ঈদের দিন ব্যতিত) জিলহজের প্রথম ৯ দিন রোজা পালন করতেন।

এ মাসের নবম দিন ও রাত আল্লাহর নিকট অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দিনটি হলো আরাফাতের ময়দানে সমবেত হওয়ার দিন। আর রাতটি হলো মুজদালিফায় (শবে কদরের মতো গুরুত্বপূর্ণ) অবস্থানের রাত।

৮. বিশেষ করে ৯ জিলহজ রোজা আদায়ের ব্যাপারে প্রিয়নবি সবচেয়ে বেশি আশাবাদী ছিলেন যে, এ দিনের রোজা পালনকারীর বিগত এক বছর এবং আগাম (সামনের) এক বছরের গোনাহ মাফ করে দেবেন।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, জিলহজ মাসের বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদা পাওয়ার জন্য নির্ধারিত আমলগুলো যথাযথভাবে আদায় করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের নির্ধারিত আমলগুলো পালনের মাধ্যম হাদিসে ঘোষিত ফজিলত ও মর্যাদাগুলো পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

05/06/2024

বাংলাদেশের প্রকৃতি খুবই সুন্দর। চারপাশের নয়নাভিরাম দৃশ্যাবলি হৃদয়-মন কেড়ে নেয়। অজানা এক ভালোলাগা কাজ করে। প্রকৃতির সৌন্দর্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে। তার মায়ায় মন ভুলে যায় বেদনার মুহূর্তগুলো। ফিরে পায় হারানো স্মৃতি। আল্লাহতায়ালা পরম মমতার সাজে পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন। মনোমুগ্ধকর রূপে তাকে সাজিয়েছেন। তাই আধুনিক কারুকলা ও আর্টশিল্পের চাকচিক্যের রূপ সবুজ প্রকৃতির রূপের সামনে ক্ষীণ ও লঘু। নারীর রূপে পুরুষ যদি হয় পাগলপারা, তাহলে প্রকৃতির রূপে হবে বিস্ময়, বিমূঢ় ও আত্মহারা। কারণ, সবুজের মায়া তো রবের শ্রেষ্ঠ দান। যেখানে সবুজ প্রকৃতির দেখা মেলে না, সবুজের মাঝে তৃপ্তি-প্রশান্তি অনুভব হয় না, তাকে বড় নির্জীব ও শূন্য লাগে। আত্মার শান্তি সেখানে ক্ষুণ্ন। বস্তুত প্রকৃতি ও তার রূপ আল্লাহর দেয়া অনেক বড় অনুগ্রহ ও নেয়ামত।

প্রকৃতির গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

প্রকৃতিবিহীন জনবহুল এলাকা যেন কারাগারের চেয়ে নির্মম স্থান। প্রকৃতির আছে বৃক্ষরাজি, পশুপাখি, খালবিল, নদীনালা ও পাহাড়-পর্বত; যা মানবজীবনের আবশ্যকীয় অংশ। কারণ, মানবজাতির যেসব অনুষঙ্গ দিয়ে জীবন পরিচালিত হয়, তার মধ্যে অক্সিজেনের প্রভাব ও গুরুত্ব অনেক। আর বৃক্ষরাজি সেই অক্সিজেনের অধিক জোগান দেয়। তা ছাড়া প্রাণীর প্রয়োজনীয়তাও কম নয়। মানুষের খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে অন্যতম হলো, বৈধ প্রাণীর গোশত। আর তার জন্য বৃক্ষরাজি ও তার অক্সিজেন থাকা ছাড়া বিকল্প নেই। বস্তুত প্রকৃতির গুরুত্ব মানবদেহের অঙ্গের মতোই অনস্বীকার্য। দিনের শুরুতে পূর্বদিগন্তে কিরণ দেখতে কতই না ভালো লাগে! সূর্যের সেই অনিন্দ্য সুন্দর মনকাড়া দৃশ্য কতই না চমৎকার! প্রকৃতির এ অবদান না হলে মানুষ ভোরে ঐশ্বিক নেয়ামতরাজি কোথাও খুঁজে পেত না। সমাজের যেসব শ্রেণির মানুষ কৃষিকাজে নিবেদিত, তাদের দিন কাটেই প্রকৃতির সেই সুন্দর আলোতে। প্রকৃতির এ সৌন্দর্য না হলে কৃষক হয়তো ফসলি কাজ থেকে হাত গুটিয়ে নিত বহু আগেই। তখন সামাজিক প্রথারীতি হয়তো স্থবির হয়ে যেত। সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো হাজারো মানুষ।

বাংলার প্রকৃতি যে কারণে অনন্য

পৃথিবীতে এমন দেশও আছে, যেখানে প্রকৃতির সব বৈশিষ্ট্য পাওয়া দুর্লভ এবং অসম্ভব প্রায়। প্রকৃতির বড় একটি উপাদান হলো, গাছপালা। পৃথিবীর অনেক স্থানে গাছপালার সন্ধান মেলে না। কোথাও কিছু গাছপালা থাকলেও নেই নদী-নালা। সেখানে মানুষ বৃক্ষরাজির সজীবতায় মুগ্ধ হলেও নদীর ঢেউ দেখতে পায় না, নদীর কল্লোল ধ্বনিতে বিমোহিত হতে পারে না। এর বিপরীতও পরিলক্ষিত হয়। কোথাও সারি সারি পাহাড়-পর্বত প্রকৃতির শোভা বৃদ্ধি করলেও আরও অনেক কিছু থাকে না। আমাদের বাংলার যে প্রকৃতি আমরা প্রতিনিয়ত উপভোগ করি, তার মাঝে কী না আছে? প্রকৃতির শোভাবর্ধক প্রতিটি উপাদানই আছে এর মাঝে, ; যা বিশ্ববাসীর কাছে এ দেশের প্রকৃতিকে করে তোলে অদ্বিতীয়, অনন্য। বাংলার সবুজ শ্যামলের প্রকৃতি আল্লাহর দেয়া অপার নেয়ামত, যা না হলে আমরা বঞ্চিত হতাম বহু কিছু থেকে। বাংলার চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ীই এ দেশ ষড়ঋতুর দেশ। পালা করে প্রকৃতি একে একে তার ছয়টি রূপ আমাদের সামনে আনে। আমরাও অপেক্ষায় থাকি দুই মাস অন্তর অন্তর ঋতুর পালাবদলের। আমাদের জীবনযাত্রায় এসব ঋতু গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। আমাদের ফসল উৎপাদন এবং ঋতুনির্ভর ফল ঋতু বদলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতি ভিন্নবৈচিত্র্যে হাজির হয়। প্রকৃতির বৈচিত্র্যের সঙ্গে আমাদের মনেও বৈচিত্র্য আসে।

বাংলার প্রাকৃতিক শোভা মুগ্ধ করে

সবুজের চাদরে ঢাকা আমাদের এ দেশ। এ দেশের প্রাকৃতিক শোভা আমাদের মুগ্ধ করে। এ দেশের প্রকৃতির রূপ বড় বিচিত্র। এ দেশের নদী, মাঠ, অরণ্য, আকাশ, পাহাড় দেখে আমরা পুলকিত হই। আমাদের মাতৃভূমি তার অপরূপ ঐশ্বর্য ও সম্পদে অনন্য। আমাদের গ্রামের মাঠ-ঘাট, বন ও প্রান্তর সবকিছুর সঙ্গেই আমাদের আত্মার সম্পর্ক। তাই এ প্রকৃতি আমাদের কাছে অন্য সব স্থানের চেয়ে অনেক বেশি আপন। আমাদের চারদিকে সবুজের সমারোহ। যেদিকে তাকাই, সেদিকেই ঘন সবুজ। আম, জাম, কাঁঠাল, তাল, নারিকেল, বট, শাল, সেগুন, মেহগনি, কড়ইসহ আরও কত গাছ! এসব গাছগাছালি মিলে চারপাশে একটা বনের মতো সৃষ্টি হয়েছে।

বর্ষার দিনে যখন এ বনে বৃষ্টি আসে, তখন মনে হয় প্রকৃতি যেন তার দু’হাত বাড়িয়ে আমাদের ডাকছে। আবার শীতের দিনে যখন গাছগুলোর পাতা ঝরে পড়ে, তখন প্রকৃতিকে অসহায় মনে হয়। বসন্তে নতুন পাতা এলে গাছগুলো নতুন সাজে সেজে ওঠে। শুধু বড় গাছগুলোই নয়, ছোট গাছগুলোও অপরূপ শোভা সৃষ্টি করে চারপাশে।

বাংলার অপরূপ প্রকৃতি ও পরিবেশ

বনের দিক থেকে চোখ ঘোরাতেই ধানক্ষেত সামনে এসে পড়ে। যখন তার ওপর দিয়ে বাতাস বয়ে যায়, তখন মনে হয় সবুজের সমুদ্র বুঝি হাতছানি দিয়ে ডাকছে। পাটক্ষেতের পাটগাছগুলোও বেশ বড় হয়েছে। সেদিকে তাকিয়ে মনটা আনন্দে ভরে যাচ্ছে।

গমক্ষেতের গমগুলো পেকে উঠেছে। তার ওপর যখন সূর্যের আলো পড়ছে, তখন সোনালি আলোয় চারদিক ভরে যাচ্ছে। এ মাঠেই শীতের সময় ফোটে সর্ষেফুল। তখন চারদিক হলুদ হয়ে ওঠে। মৌমাছির দল এসে তখন সেখান থেকে মধু সংগ্রহ করে। মাঠ পেরিয়ে রাস্তায় আসতেই একটা বড় পুকুর চোখে পড়ে। পুকুরের চারদিকে নারিকেল ও কলাগাছ লাগানো। পানি কাঁচের মতো স্বচ্ছ। তার এক কোণে ফুটে আছে শাপলা ফুল। মাঝে মাঝে একটা দুটো মাছ লাফ দিচ্ছে এদিক থেকে ওদিকে। দুটো ছেলে অনেক উঁচু একটা গাছের ডাল থেকে পুকুরের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চারদিকে ঢেউ বয়ে গেল। পুকুরপাড় দিয়ে সামনে আসতেই একটা বিল চোখে পড়ে। বিলে অনেক পানি। জেলেরা সেখানে জাল দিয়ে মাছ ধরছে। বিলের পানিতে হালকা হালকা ঢেউ। তবে বর্ষায় এমন থাকে না। তখন অনেক বড় বড় ঢেউ এপার থেকে ওপার অবধি বয়ে যায়। বিলের ওপরে কিছু নৌকা ভেসে চলেছে। কিছু মানুষ বিলের এপার থেকে ওপারে যাচ্ছে।

বাংলার আকাশ স্বর্গের লীলাভূমি

গাঙশালিক, বক, বেলে হাঁস, মাছরাঙা ছাড়াও বিলের ধারে রয়েছে আরও অনেক পাখি।

রাতে মাঝে মাঝে দুয়েকটা মেছো বাঘ বিলের ধারে দেখা যায়। এ ছাড়া সবুজ ধানখেতে ও গাছের মাথায় ছুটে আসে টিয়া, চড়ুই, শালিক, ঘুঘু, বুলবুলি, ফিঙে, দোয়েলসহ আরও অনেক পাখি।

ঘন সবুজ গাছের আড়ালে মাঝে মাঝে দু-একটা শেয়াল দেখা যায়। তবে সাপ, বেজি, বনবিড়াল সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা। বাংলার রাতের আকাশ দেখে মনে হয়, যেন স্বর্গের লীলাভূমি। অগণিত তারা রাতের আকাশকে উজ্জ্বল করে তোলে। পূর্ণিমার সময় চাঁদের আলোয় ঝলমল করে চারপাশ। আবার অমাবস্যার রাতে চারদিকে কালো অন্ধকারে ভরে যায়। তখন জোনাকির আলোয় মানুষ পথ চিনে ঘরে ফেরে। প্রকৃতি জেগে ওঠে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে। কাকডাকা ভোরে মানুষ ঘুম থেকে উঠে আপন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সারাদিন পর আকাশ রাঙিয়ে যখন সূর্যাস্ত হয়, তখন প্রকৃতির কোলে যে যার স্থানে ফিরে যায়। আমাদের চারপাশের প্রকৃতি চোখ জুড়ানো ও মন ভুলানো। তাই যে একবার এ প্রকৃতির মাঝে আসে, সে আর এখান থেকে যেতে চায় না। খুঁজতে চায় না অন্য কোনো রূপ। তাই তো কবি বলেছেন, ‘বাংলার মুখ দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর।’

04/06/2024

আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে মানুষকে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। এ জন্য তিনি তাঁকে মহাবিশ্বের সব বস্তুর নাম ও বৈশিষ্ট্যের জ্ঞান দিয়েছেন, যা অন্য কোনো সৃষ্টিকে দেননি। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর আল্লাহ আদমকে সব নাম শিক্ষা দিলেন।’ (সুরা বাকারা: ৩১) মুফাসসিরগণ বলেন, আয়াতে ‘সব নাম’ বলে সৃষ্টিজগতের সব বস্তুর পরিচয়, প্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য বোঝানো হয়েছে। (মাআরিফুল কোরআন)

হজরত আদম (আ.)-কে শেখানো সব জ্ঞান-বিজ্ঞান অর্জনের যোগ্যতা তাঁর সন্তানদের মধ্যে জিনগতভাবে বিদ্যমান। তবে চেষ্টা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তা অর্জন করতে হবে। যেহেতু স্রষ্টার প্রতিনিধিত্ব করতে হলে এসব জ্ঞান-বিজ্ঞানের খুবই প্রয়োজন, তাই আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে জ্ঞান-বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করতে উৎসাহ দিয়েছেন।

মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে এবং রাত-দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধসম্পন্ন লোকজনের জন্য, যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং চিন্তা-গবেষণা করে আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সৃজনপ্রক্রিয়া নিয়ে এবং বলে, হে আমাদের রব, এসব আপনি অনর্থক সৃষ্টি করেননি।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৯০-১৯১)

অন্যত্র বলেন, ‘নিশ্চয়ই আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের পরিবর্তনে, যা মানুষের উপকারে আসে তাতেসহ সমুদ্রে বিচরণশীল নৌযানসমূহে, আল্লাহ আকাশ থেকে যে বৃষ্টি বর্ষণের মাধ্যমে পৃথিবীকে তার মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত করেন তাতে আর তার মধ্যে যাবতীয় জীবজন্তুর বিচরণে, বায়ুর দিক পরিবর্তনে, আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে নিয়ন্ত্রিত মেঘমালাতে জ্ঞানী জাতির জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা বাকারা: ১৬৪)

এ ধরনের আরও অনেক আয়াতে মহান আল্লাহ বিজ্ঞানগবেষণার বিভিন্ন উৎসের সন্ধান দিয়েছেন এবং মানুষকে এ নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন মহাবিশ্বের সব গ্রহ-নক্ষত্র পরস্পর মিলিত ছিল এবং পানি থেকেই যে পৃথিবীতে প্রথম জীবনের উদ্ভব—এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘অবিশ্বাসীরা কি ভেবে দেখে না যে আকাশসমূহ ও পৃথিবী মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে, এরপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম এবং প্রাণ আছে এমন সবকিছু সৃষ্টি করলাম পানি থেকে; তবু কি তারা ইমান আনবে না?’ (সুরা আম্বিয়া: ৩০)

রাসুল (সা.) বিজ্ঞানচর্চার প্রতি উদ্বুদ্ধ করে এরশাদ করেন, ‘জ্ঞানভিত্তিক কথা মুমিনের হারানো ধন। সুতরাং মুমিন যেখানেই তা পাবে, সে-ই হবে তার অধিকারী।’ (ইবনে মাজাহ) কোরআন ও হাদিসে জ্ঞান-বিজ্ঞানচর্চার প্রতি গুরুত্বারোপ করার কারণে ইসলামের সব আলিম ও ফকিহ এ বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন যে গণিত, পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান, নির্মাণবিদ্যাসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের যেসব শাখা-উপশাখা পৃথিবী ও মানুষের জন্য কল্যাণকর, তা শেখা, চর্চা ও গবেষণা করা ফরজে কিফায়া। (ইহইয়াউ উলুমিদ্দিন)

ইসলামে বিজ্ঞানচর্চার প্রতি এমন গুরুত্বারোপের ফলেই দেখা যায়, সৃষ্টিতত্ত্ব, জ্যোতির্বিদ্যা, পদার্থ, রসায়ন, খনিজবিজ্ঞান, উদ্ভিদবিজ্ঞান, প্রাণিবিদ্যা, চিকিৎসাবিজ্ঞান, বিদ্যুৎ, আলো, তাপ, গণিত, মহাশূন্যে গবেষণাসহ বিজ্ঞানের সব ক্ষেত্রে মুসলিম বিজ্ঞানীরা অসামান্য অবদান রেখেছেন। আব্বাসি খলিফা মামুনুর রশিদ বাগদাদে ‘বায়তুল হিকমা’ নামে একটি বিজ্ঞানচর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ইউরোপীয় সভ্যতার উৎকর্ষ সাধনের ফলে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদানকে ছোট করে দেখার প্রবণতা সৃষ্টি হলেও জাবির বিন হাইয়ান, ওমর খৈয়াম, ইবনে সিনা, আবু জায়েদ, আল খাওয়ারিজমি, ইবনে বাজ্জা, আল বেরুনি, বাত্তানি প্রমুখ মুসলিম বিজ্ঞানীর নাম এবং তাঁদের অবদান ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়।

03/06/2024

ইসলামে পাঁচটি ইবাদতকে ফরজ (অত্যাবশকীয় পালনীয়) মনে করা হয় -১। শাহাদাহ (বিশ্বাসের ঘোষণা), ২। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, ৩। যাকাত (দান-সদকা),৪। রমজান মাসে রোজা রাখা এবং৫। জ্বিলহজ্জ মাসে হজ্ব যাত্রা - যা সমষ্টিগতভাবে "ইসলামের রুকন" (আরকান আল-ইসলাম) নামে পরিচিত।এছাড়াও, মুসলিমরা অন্যান্য সুন্নত ও ঐচ্ছিক নফল ইবাদতও পালন করে যা পালন করতে উৎসাহিত করা হয় কিন্তু ফরজ ইবাদতের মত অত্যাবশকীয় হিসাবে বিবেচিত হয় না।

01/06/2024

২০২৪ #আইসিসি #পুরুষ #টি২০ #বিশ্বকাপ #হল #আইসিসি #পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপের #নবম #সংস্করণ #আসর, একটি #দ্বিবার্ষিক টি২০ আন্তর্জাতিক (টি২০আই) #টুর্নামেন্ট যা পুরুষদের জাতীয় দল দ্বারা #প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) দ্বারা আয়োজিত হবে। এটি ১ থেকে ২৯ জুন ২০২৪ পর্যন্ত #ওয়েস্ট #ইন্ডিজ এবং #মার্কিন #যুক্তরাষ্ট্রের #যৌথ #আয়োজক #হওয়ার কথা রয়েছে। এটিই হবে প্রথম আইসিসি বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট যা যুক্তরাষ্ট্রে এবং আমেরিকা মহাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যতীত অন্য কোনো দেশে খেলার বৈশিষ্ট্যযুক্ত ম্যাচগুলি। আগের আসরের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।

Address

965/1/A, East Shewrapara Kafrul
Dhaka
1216

Telephone

+8801763141448

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jupiter Pharmaceuticals - Ayu Ltd. posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Jupiter Pharmaceuticals - Ayu Ltd.:

Share