Dr Md Manir Hossain

Dr Md Manir Hossain ❤️💯 Doctor & Actor ❤️💯
MBBS(Sher-E-Bangla MC).CCCD.CCD.DOC.ICCDM.CMU
This is my only original page.

26/04/2025


সংক্ষেপে আমার (ডাঃ মোঃ মনির হোসেন) জীবনীঃ
আমার টোটাল শিক্ষা জীবন ১৯ বছর ৯ মাস ৮ দিন।
১) প্রাইমারী শিক্ষাঃ ৫৬ নং মঠবাড়িয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর, বাংলাদেশ।

২) সেকেন্ডারি শিক্ষাঃ ৬ ষ্ঠ শ্রেণি থেকে এস এস সি পর্যন্ত আমার স্কুল কে এম লতিফ ইনস্টিটিউশন,মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর, বাংলাদেশ। ৮ম শ্রেনী বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুল স্কলারশিপ সহ টোটাল মঠবাড়িয়া উপজেলাতে আমি ফার্স্ট হই। এস এস সি পরীক্ষায় আমি টোটাল মঠবাড়িয়া উপজেলায় আমি ফার্স্ট হই।

৩) উচ্চতর সেকেন্ডারি শিক্ষা(এইচ এস সি): ঢাকা কলেজ। ঢাকা কলেজ থেকে মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর, এ মাইগ্রেশন করি। মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচ এস সি পরীক্ষায় আমি টোটাল মঠবাড়িয়া উপজেলায় ফার্স্ট হই।

৪) এম বি বি এস শিক্ষাঃ সরকারি শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ বরিশাল বাংলাদেশ থেকে আমি এম বি বি এস পাশ করি ২০১৬ সালে। ২০১৭ সালে BMDC Registration পাই।

৫) সি এম ইউ (আল্ট্রাসনোগ্রাফী) কোর্সঃ আমি ঢাকা বিটমির থেকে সি এম ইউ আল্ট্রাসনোগ্রাফী কোর্স কম্প্লিট করি ২০১৭ সালে।

৬) আই সি সি ডি এম (ডায়েরিয়া) কোর্সঃ আমি ঢাকা ICDDRB থেকে ডায়রিয়া কোর্স কম্প্লিট করি ২০১৯ সালে।

৭) ডি ও সি(চর্ম-যৌন) কোর্সঃ আমি Aurora Skin & Hair Research Institute থেকে চর্ম-যৌন কোর্স কম্প্লিট করি ২০২০ সালে।

৮) সি সি সি ডি (হৃদরোগ): আমি National Heart Foundation Hospital & Research Institute, Dhaka থেকে Cardiology কোর্স কম্প্লিট করি ২০২১ সালে।

৯) সি সি ডি (ডায়াবেটোলজী): আমি Birdem থেকে ডায়বেটিস কোর্স কম্প্লিট করি ২০২২ সালে।

১০) আমি SA Healthcare Chittagong in Association with ABA group Turkey থেকে Application of Alisklamp Device in Circumcision surgery এর ট্রেনিং করি ২০২৩ সালে।

১১) Now I am a candidate for PhD .

১২) আমার শখঃ

*Listening Music
* Music Video making in Tiktok, You tube, Facebook.
* Participating in Social Media.
* International Travelling

১৩) নবী-রাসুল, ওলী-আউলিয়াদের আমি পছন্দ করি। আধ্যাত্বিক জীবন আমি পছন্দ করি।

১৪) সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ: আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয় গ্রন্হ আল কোরআন।

১৫) আমার উল্লেখযোগ্য জন্মগত ৬ টা গুনঃ
*Baby like mind
* অত্যন্ত ধৈর্যশীল।
* অত্যন্ত সৎ
*অত্যন্ত জ্ঞান পিপাসা।
* আমি বাচ্চাদের অত্যন্ত পছন্দ করি।
* নারীজাতির প্রতি অত্যন্ত ভালোবাসা।

১৬) টার্গেট: স্বনামধন্য ও সুপরিচিত বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তিত্ব হওয়া ও আল্লাহর ওলী হওয়া ও ফিল্ম স্টার হওয়া।

১৭) I am a doctor, Actor, Thinker, Philosopher, Writer, Researcher of Quran & Researcher of Sufism.

ধন্যবাদ।

14/04/2025

ওলি ও আউলিয়া কি জিনিস?
❤️💯❤️💯❤️💯❤️💯❤️
আরবি " أَوْلِيَاء " "আউলিয়া" শব্দটির একবচন হল " وْلِيء " ওলি/ অলি / Oli. । ওলি শব্দটির আভিধানিক সমার্থবোধক অর্থ হল = আল্লাহ ওয়ালা, বন্ধু, শহীদ, কর্তা, মালিক, অভিভাবক, Guardian,Custodian , ওয়াসি, রাজপুত্র, মনি, ঋষি, দরবেশ, নাবালকের অভিভাবক, প্রেমিক, প্রণয়, নির্বাহক , তত্ত্বাবধায়ক, পরিচালক, সন্ন্যাসী, যোগী, তপস্বী, বিবাগী, বিরাগী, বৈরাগী, ভিক্ষু।, আরব্য এলমে রুহনিয়াতের আবিদ - অলি- গাউস - কুতুব = সাধন পন্থার এই চতুর্থ স্তরের এবং বাংলা আধ্যাত্মিক বিদ্যার আউল- বাউল -ন্যাড়া, সাঁইজি = এই চতুর্থ স্তরের মধ্যে দ্বিতীয় স্তর বিশেষ।
[ উৎসঃ= বাংলা একাডেমির ব্যবহারিক বাংলা অভি. ৬৫ পৃ. / আধ্যাত্বিক লালন অভি.১০৯ পৃ / উর্দু- পার্সি -আরবি -বাংলা ফরংগই রাব্বানী অভি.৮৪৩পৃ./ বাংলা - আরবি- ইংরেজি অভি. ৭৭ পৃ. /আরবি - বাংলা - ইংরেজি অভি.১১৪০পৃ./ আলকাউসার আরবি - বাংলা অভি. ৫৯৯ পৃ. ]
অনেকেই বলেন ওলি শব্দটি কুরআনে নেই , অলিদের কোন শান মান নেই ।কিন্তু তাদের বক্তব্য ঠিক নয়। এখন আমরা জানবো ওলি শব্দটি কুরআনে আছে কিনা। পবিত্র কুরআনে ওলি শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রথমত যারা বলেন ওলি শব্দটি কুরআনে নেই মানা যাবে না তারা দলিল হিসেবে দাঁড় করাতে চান ,
" রবের পক্ষ হতে তোমাদের কাছে যা নাযিল হয়েছে তার অনুসরণ করো , আল্লাহকে বাদ দিয়ে বা রবের মোকাবেলায় অন্য কাউকে ওলি বা বন্ধু হিসেবে অনুসরণ করোনা সুরা আরাফ " ৭ঃ৩/ ৩৯ঃ৩ । এখানে যেহেতু ওলিআল্লাহ শব্দটি নেই সেহেতু ওলি মানা যাবেনা মর্মে বুঝ ভিত্তিহিন হয়ে যায় । এখানে বলা হয়েছে "মিন দুনিহি আউলিয়া" = যার অর্থ আল্লাহকে বাদ দিয়ে আল্লাহর মোকাবেলায় কোন ওলি মানা যাবে না। যারা আল্লাহর, আল্লাহর নাজিল কৃত বিষয় মোকাবেলা করার জন্য নিজেরা অন্য কাওকে ওলি মানে, আল্লাহর বিরুদ্ধে, বিপক্ষে কাউকে ওলি হিসেবে মানে তাদের কে ওলি হিসেবে অনুসরন করতে নিষেধ করা হয়েছে। এই নিষিদ্ধ আউলিয়া হতে পারে শয়তান ও তার দল, কিং"বা কাফির, মনের মধ্যে ষড়প্রবৃত্তি কিংবা জড় পদার্থ দ্বারা নিজেদের হাতে তৈরি মুর্তি -দেব - দেবি- দেবতা ইত্যাদিকে ইলাহ বা প্রভু কিংবা আউলিয়া বানিয়ে রবের নাজিলকৃত বিধান ছাড়া যারা চলে সেই সমস্ত পৌত্তলিক ও কাফিরদের আউলিয়া বা অভিভাবক হিসেবে অনুসরন করা নিষেধ। তারা আরো আয়াত দাঁড় করায় ২ঃ১৬৫-১৬৭/২ঃ১৮২/৫ঃ১১৬/৬ঃ১৫৯/৭ঃ১৮০/৯ঃ৩০-৩১/১০ঃ১০৬/১৪ঃ২১/২৯ঃ১৭/৩৭ঃ৭৫/৩৯ঃ৩-৪/১ঃ৪/৪০ঃ৬০/২৩ঃ৩৪/ ৩৫ঃ৪। কিন্তু না ,এই সমস্ত আয়াত গুলির দ্বারা আল্লাহর ওলিকে মানা যাবেনা এমনটি বুঝায় না নিশ্চিত।
এটা দ্বারা এক শ্রেণীর বেআক্কল জ্ঞানহীন দেড়বেটারীর লোকেরা বুঝাতে চায় আল্লাহ ব্যতিত অন্য কোন ওলী মানা যাবে না। বিধায় ওলি মানা যাবে না মর্মে তাদের কথাটি ঠিক নয় নিশ্চিত ।
❣️ প্রশ্ন হল কোন ওলি মানা যাবেনা?
চলুন আমরা আরো সামনে অগ্রসর হই এবং জেনে নিই কাদেরকে ওলি হিসেবে মানা যাবে না ।এই মর্মে ৭ নম্বর সূরা আরাফের ২৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে যারা " ঈমান আনে না, তাদের ওলী বা বন্ধু হলো শয়তান "সুরা আরাফ ৭ঃ২৭ / ৭ঃ৩০ আয়াত । আবার দুই নম্বর সূরা বাকারার ২ঃ২৫৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে কাফেরদের ওলি হল তাগুত বা শয়তান। ১৬ নং সুরা নহলের ৬৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে যারা রাসুলকে মানেনা তাদের ওলি বা বন্ধু শয়তান। ১৬ঃ৬৩।
আবার ৭নং সূরা আরাফের ৩০ নং আয়াতে বলা হয়েছে যারা আল্লাহ ব্যতীত শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছে তারাই পথপভ্রষ্ট হয়েছে । যেমনঃ=
"একদলকে পথ প্রদর্শন করেছেন এবং একদলের জন্যে পথভ্রষ্টতা অবধারিত হয়ে গেছে। তারা আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানদেরকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করেছে এবং ধারণা করে যে, তারা সৎপথে রয়েছে "আরাফ আয়াত ৭ঃ ৩০।
আর এই ব্যাপারে বলা হয়েছে " যে আল্লাহকে বাদ দিয়ে শয়তানকে ওলি বা বন্ধু বানিয়েছে সে সুস্পষ্ট ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে ৪ঃ১১৯ আয়াত
উল্লেখিত আলোচনা গুলি হতে বোঝা গেল যারা ঈমান আনে না, যারা কাফের ,পৌত্তলিক, তাদের ওলি হল শয়তান।আর এই শয়তান ও তার অনুসারিদের কে ওলি হিসেবে মানা যাবেনা। যে আল্লাহকে বাদ দিয়ে শয়তানকে বন্ধু /ওলি বানায় , সে স্পষ্ট ক্ষতিতে নিপতিত ৪ঃ১১৮-১১৯।বিধায় শয়তান কে ওলি মানার কোন সুযোগ নেই নিশ্চিত। শয়তানের একটি দল রয়েছে ৭ঃ৩০/৬৪ঃ২। আর ইবলিশ ও তার অনুসারিরা আল্লাহর আদেশ তরক করে কাফির হয়েছে ২ঃ৩৪/ ৩৮ঃ৭৪/১৫ঃ৩০-৩৪/৭ঃ১১--১২/১৭ঃ৬১/২০ঃ১১৬/১৮ঃ৫০। আর সেই ফরজ তরক করায় ইবলিশ ও তার দল জাহান্নামী হবে এটা আল্লাহর অঙ্গীকার ৩৮ঃ৮৫/৭ঃ১৮/১৫ঃ৫৩-৪৪/ ১৭ঃ৬৩/ ১৯ঃ৬৮।
❤️এবার আমরা জানব ঈমানদারগন কাদেরকে ওলি হিসেবে মানবে?
। এই বিষয়ে কুরআনে বলা হয়েছে,
"আসলে তোমাদের ওলি হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ, তাঁর রাসুল এবং সেই ঈমানদারেরা, যারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহর সামনে বিনত হয় "সূরা মায়েদা ৫ঃ৫৫ আয়াত ।
"যারা ঈমান এনেছে তাদের ওলী হচ্ছেন আল্লাহ ; তিনি তাদের আঁধার রাশি থেকে নূরের দিকে বের করে আনেন " ২ঃ২৫৭।
এখানে স্পষ্ট বোঝা গেল আল্লাহ নিজে ইমানদারদের ওলি, 'তাঁর রাসুল এবং ঈমানদারদের মধ্য থেকে সালাত আদায় করে যাকাত প্রদান করে আল্লাহর সামনে বিনত হয় তাঁরাও হল ঈমানদারদের ওলি। এই সমস্ত ওলিদের কে অনুসরণ করার ব্যাপারে সূরা লোকমানের ৩১ঃ১৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে
"তবে ধরায় তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো এবং তাদের পথ মেনে নাও যারা আমার মুখী" ৩১ঃ১৫।
তাদের সাথে সংঘ লাভ করো, তাদের কথা মেনে নাও যারা দ্বীন প্রচারে বিনিময় বা পারিশ্রমিক নেয়না এবং সঠিক পথের অনুসারি, সকাল - সাঁঝে প্রভুর প্রশংসা করে ৩৬ঃ২১/৬ঃ৯০/১৮ঃ২৮/২৫ঃ৫৭/৩৮ঃ৮৬/৬৮ঃ৪৬/ ৯ঃ১১৯।
এখানেও বোঝা গেল আল্লাহর ওলিদের অনুসরণ করা, আল্লাহর ওলিদের সাথে সংঘ লাভ করা আল্লাহর নির্দেশ। যারা এ নির্দেশ মানবে তারা নিশ্চিত আল্লাহর দলের লোক ৬৪ঃ২/৭ঃ৩০ । এই মর্মে আল্লাহর দলের ব্যাপারে কুরআনে বলা হয়েছে "যে আল্লাহ, রাসুল ও মুমিনগনকে বন্ধু বানায় ,আল্লাহর দলই বিজয়ী সুরা মায়েদা ৫ঃ৫৬। এখানে হিজবাল্লাহি শব্দ এসেছে, যার অর্থ আল্লাহর দল। এবং আল্লাহর দলের লোকেরাই সফলকাম সুরা হাদিদ ৫৮ঃ২২।
❣️ ওলিয়াম মুর্শিদ ধরতে হবে ১৮ঃ১৭। এই মর্মে বলা হয়েছে, " যাকে আল্লাহ সঠিক পথ দেখান সেই সঠিক পথ পায় এবং যাকে আল্লাহ বিভ্রান্ত করেন তার জন্য তুমি কোন পৃষ্ঠপোষক তথা ওলি ও পথপ্রদর্শক তথা মুর্শিদ পেতে পারোনা ১৮ঃ১৭/ ৭ঃ৯৭/৪০ঃ৩৩/৭ঃ১৮১। উল্লেখ্য এখানে ওলিয়াম মুর্শিদা বলতে অনেকে আল্লাহ কে বুঝে থাকেন। কিন্তু এখানে ফেল, ফায়েল, মউফুল বিচার করলে ওলিয়াম মুর্শিদ বলতে ওলিদের কেই বুঝায়। ১৭ঃ৯৭ আয়াতে আউলিয়া শব্দ দ্বারা যদি আল্লাহ কে বুঝানো হয় তবে আল্লাহ বহু হয়ে যায় ( নাউজুবিল্লাহ)। আল্লাহ তো বহু নন, তিনি একক, অখন্ড ১১২ঃ১-২। আর একবচনে ওলি শব্দটির বহুবচন আউলিয়া। আর আউলিয়া বহু হয়। আর আল্লাহর সৃষ্টির মধ্যে একটি দল এমনও রয়েছে,যে যথার্থ সত্য অনুযায়ী পথনির্দেশ দেয় এবং সত্য অনুযায়ি বিচার করে ৭ঃ১৮১। আর এরাই হচ্ছেন আল্লাহর ওলি। অনুরুপ ৪০ঃ৩৩ আয়াতের হাদি দ্বারা ওলিকে বুঝানো হয়েছে।
বিধায় যারা আল্লাহকে মানে, তাদের দায়িত্ব ওলিকে মানা । আর যারা ওলী কে মানে ,তাদের দায়িত্ব আল্লাহকেও মানা,রাসুলকেও মানা ।
প্রকারন্তরে যার যার মুর্শিদ তার তার গুরু বা সম্মক রাসুল। আর এই সম্মক রাসুলেকে ভালবাসা মানে আল্লাহকে ভালবাসা ৩ঃ৩১, রাসুলের আনুগত্য করা মানে আল্লাহর আনুগত্য করা ৪ঃ৮০। রসুলের হাত মানে আল্লাহর হাত ৪৮ঃ১০। রাসুল আর আল্লাহর মধ্যে ফারাক করা নিষেধ ৪ঃ১৫০-১৫২।আল্লাহ ও রাসুল অনুগত্য ব্যতীত অন্যের আনুগত্য করলে তিনে গণ্য হয় এবং শেরেকে গন্য হয় ৪ঃ১৭১। বিধায় যার যার ওলিকে তার তার রাসুল জ্ঞানে অনুসরন করতে হবে। যারা অলি কে মানে তাদের কোন ভয় নেই ।এই মর্মে আল্লাহর ওলিদের ব্যাপারে ধমক দিয়ে কুরআনে বলা হয়েছে "সাবধান -আল্লাহর ওলিদের কোন ভয় নাই, তারা দুঃখিত নয়" ভিত সন্ত্রস্ত নয়, তাঁদের জন্য ইহজগতে ও পরো জগতে রয়েছে শুধুই সুসংবাদ সুরা ইউনুছ ১০ঃ৬২-৬৪।
পক্ষান্তরে যারা ইবলিশ এবং শয়তানের অনুসারী অর্থাৎ যাদের ওলি শয়তান তারা নিশ্চিত জাহান্নামি। এটা হল আল্লাহর অঙ্গীকার ।এই মর্মে কুরআনে ইবলিশ ও তার অনুসারীদেরকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে ," তুমিও তোমার অনুসারী দ্বারাই জাহান্নাম পুরাইবো " ৩৮ঃ৮৫/৭ঃ১৮/১৫ঃ৪৩-৪৪/৭ঃ১৭৯।
❣️ ওলিদের অনুসরণ করার শর্তারোপঃ= ওলিদের অনুসরণ এর ব্যাপারে শতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক। এ ব্যাপারে কুরআনের ইশারা-ইঙ্গিত ও নির্দেশ হল এমনটি যে, "অনুসরণ করো তাঁদের যাঁরা তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চায় না, এবং যারা সৎ পথ প্রাপ্ত সুরা ইয়সিন ৩৬ঃ২১।সমার্থক আরো আয়াত
১ঃ৬-৭/৩৮ঃ৮৬/২৫ঃ৫৭/৩৪ঃ৪৭/৪২:২৩৬:৯০/৯ঃ৯/৩৪।
উল্লেখ্য যে মুমিনদেরকে বাদ দিয়ে কাফেরদেরকে অলি বানানো যাবেনা। যে কাফেরদের সঙ্গে সম্পর্ক করবে তার সাথে আল্লাহর কোন সম্পর্ক থাকবে না সুরা ইমরান ৩ঃ২৮।
যারা বলেন কুরআনে ওলি নাই ,ওলি মানা যাবে না ,এই সমস্ত ফাঁকা "খোঁড়া ' ভিত্তিহীন, যুক্তিহীন, দলিলহীন, গবেষনাহীন, অন্তসারশুন্য নিছক- আন্দাজ অনুমানে মিথ্যাচার করে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বক্তা হতে চায়। তারা আসলে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বক্তা হতে চায় ? নাকি আন্তর্জাতিক ক্ষতি সম্পন্ন বক্তা হতে চায়? আসলেই কুরআনে ওলি নাই নাই? নাকি ওলির কথা কুরআন হতে তাদের জানা নাই, জানা নাই? নাকি কুরআনের দর্শন থেকে মানুষকে সত্য বিমুখ করে রাখার সুক্ষ্ণ ষড়যন্ত্র ,ধান্ধা? অপকৌশল ,অপচেষ্টা? যেহেতু কুরআনে আল্লাহ নিজে ওলি ,রাসুল ওলি এবং ঈমানদারদের মধ্য থেকে ওলির কথা বলা হয়েছে,এবং ওলিকে অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে, সেহেতু এরা দেড় ব্যাটারির মোল্লা বলেই প্রমাণিত হয়।এরা জালিম, কাফির, ফাসিক। কেননা, কুরআনে বলা হয়েছে, যারা দ্বীনের ব্যাপারে সঠিক বিধান দেয়না তারা জালিম, কাফির, ফাসিক সুরা মায়েদা ৫ঃ৪৪-৪৯।
❤️ দ্বীনের ব্যাপারে কোন আন্দাজ - অনুমান গ্রহনীয় নয়। দ্বীনের ক্ষেত্রে নিছক আন্দাজ - অনুমানে চলা নির্বোধ লোকদের কে কুরআনে নির্বোধ বোকা জানোয়ার বলা হয়েছে ৮ঃ২২। এদের বেশির ভাগ জ্ঞান ছাড়া নিছক - আন্দাজে নিজেদের খেয়াল খুশিমত বিভ্রান্তিকর কথাবর্তা বলে থাকে ৬ঃ১১৯। নিছক আন্দাজ অনুমানে চলা লোকদের উদ্দেশ্যে কুরআনে বলা হয়েছে " এমন কোন বিষয়ের পিছনে লেগে যেয়োনা , যে সম্পর্কে তোমার জ্ঞান নেই । নিশ্চিত ভাবেই চোখ, কান, ও দিল সবাইকে জিজ্ঞাসা করা হবে ১৭ঃ৩৬। নিছক আন্দাজ - অনুমান গ্রহনীয় নয় মর্মে সমার্থক আরো আয়াত ২ঃ ৭৮-৭৯/ ৬ঃ১৪৮/১০ঃ৩৬/১০ঃ৬৬ / ৪৫ঃ২৪/৪৯ঃ১২/ ৫৩ঃ২৮ ।
❤️দ্বীনের ক্ষেত্রে সঠিক বিধান দেয়া আবশ্যক।
দ্বীনের ব্যাপারে সঠিক বিধান দিতে হবে এবং সত্যটি জানিয়ে দিতে হবে এবং সত্য গোপন করা যাবেনা।
এই ব্যাপারে বলা হয়েছে,
যারা দ্বীনের ব্যাপারে সঠিক বিধান দেয়না তারা জালিম, কাফির, ফাসিক সুরা মায়েদা ৫ঃ৪৪-৪৯।তারা সত্য গোপন করে, অথচ কুরআনে সত্য গোপন করতে নিষেধ করা হয়েছে ৩ঃ৭১/২ঃ৪২। বিধায় তারা সত্য গোপন করে কুরআন কে অস্বীকার করে। কারন সত্যটি জানিয়ে দেয়া ও পৌঁছিয়ে দেয়া দায়িত্বঃ১৬ঃ৮২/৩ঃ২০/৫ঃ৯২/৫ঃ৯৯/ ১৩ঃ৪০/২৪ঃ৫৪/২৯ঃ১৮/৩৬ঃ১৭/৪২ঃ৪৮/৬৪ঃ১২/৭২ঃ২৮/ ৮০ঃ১-১১ আয়াত। জেনে শুনে যারা সত্যের উপর মিথ্যার রং লাগায়, সত্যকে মিথ্যা বানায় তাদের জন্য চরম শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে ৬ঃ১১।/ ২৩ঃ৭১/৩৯ঃ৩৩।
❤️ দ্বীনের বিষয়ে কোন নীতি, আদর্শ,খাদ্য-বস্তু, হালালকে হারাম কিংবা হারাম কে হালাল বললে দলিল লাগবে এবং হালাল - হারাম ঘোষনা করার ক্ষমতার মালিক একমাত্র আল্লাহ ৭ঃ৩২/ ২ঃ১১১/২৭ঃ৬৪/ ১৮ঃ১০৭/১০ঃ৫৯/১৬ঃ১১৬/৬ঃ১১৯/৬৫ঃ১/৪ঃ১০৫ এবং সকল ফতোয়ার মালিকও আল্লাহ ৪ঃ১২৭/১৭৬।
বিধায় যারা ওলি মানার সুস্পষ্ট দলিল থাকার পরেও সত্যটি জানিয়ে দেয়না না, সত্যের উপর মিথ্যার রং লাগিয়ে মিথ্যাচার করে ফতোয়াজি করছেন তারা শেষ বিচারের দিনে জবাব দিহিতার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকুন, নয়তো প্রভুর দরবারে মিথ্যাচারের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
❤️ ওলি শব্দটির প্রয়োগ ক্ষেত্র কয়েক রকমেরঃ=
❣️১. আল্লাহ নিজে ইমানদারদের / মুমিনদের অলি /অভিভাবক: = ২ঃ২৫৭/৪ঃ৪৫/৫ঃ৫৫/৮ঃ৪০/১৩ঃ৩৭/৯ঃ১১৬/১৭ঃ৯৩/৩৯ঃ৩/ ২৯ঃ২২/ ৪১/৪২ঃ৬/৩১/৪৪-৪৬।
❣️২. মুমিন নারী ও মুমিন পুরুষরা পরস্পর একে অপরের ওলী বা বন্ধু ৯ঃ৭১/৩ঃ২৮ /৫ঃ৮২।
❣️৩. আবার জালেমরা পরস্পর একে অপরের ওলি ৪৫ঃ১৯।
❣️৪. যারা ইমান আনেনা, কাফির তাদের ওলি শয়তান ৭ঃ২৭/৭ঃ৩০ /২ঃ২৫৭।
কুরআন হতে ওলি ও আউলিয়া সংক্রান্ত আয়াত গুলি পর্যালোাচনা করে জানা যায় ওলি শব্দটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
❣️ওলির হাকিকতঃ = প্রতিটি মানব দেহের মধ্যে নফস নামে আত্মা, যাকে শিষ্যও বলা যেতে পারে এবং রূহ নামে পরমাত্মা, যাকে ওলি বলা যেতে পারে। নফসের লক্ষ্য হল রুহ নামক পরমাত্মা বা ওলির সঙ্গে মিলিত হওয়া। এই নফস নামক আত্না ওলি নামক সত্বার সাথে মেশার জন্য, দর্শন লাভের জন্য জাগতিক দেহধারী মুমিনদের মধ্য থেকে একজন ওলিকে মানার দরকার হয়। এই ওলিদের মাধ্যমে আধ্যাত্বিক শিক্ষা নিয়ে নিজেই নিজের সত্বার মধ্যে বিরাজিত ওলি নামক পরমাত্মার দর্শন লাভ করতে হয়।এই জন্য কুরআনে বলা হয়েছে তোমরা উয়াসিলা বা মাধ্যম তালাশ করো ৫ঃ৩৫। আর এই মাধ্যমই হল ৫ঃ৫৫ আয়াতে বর্নিত মুমিনদের মধ্যেকার একজন কামেল মোকাম্মেল ওলি / মুর্শিদ।
❣️ ওলিত্ব লাভের যোগ্যতা অর্জনঃ= উপরের আলোচনায় প্রমানিত হয়েছে যে, আল্লাহ নিজে আমাদের ওলি। আর আল্লাহ যেহেতু স্বয়ম্ভু শক্তি , সেহেতু আল্লাহ কে ওলি হওয়ার জন্য কোন যোগ্যতা অর্জন করতে হয়না। আবার মুমিনদের মধ্যে হতে যেহেতু যাকে খুশি আল্লাহ রাসুল রুপে মনোনীত করেন, ২ঃ১৫১/৩ঃ১৬৪/৬ঃ৮৪-৯০/৯ঃ১২৮/১০ঃ২/১০৯/১৪ঃ১১/১৬ঃ২/২২ঃ৭৫/৩২ঃ২৪/৪০ঃ১৫ সেহেতু এই সমস্ত রাসুলদের কেউ যোগ্যতা অর্জন করতে হয়না। আল্লাহর পক্ষ হতেই তাঁদের কে বিশেষত্ব দান করে দ্বীনের কার্যাবলী প্রচার করিয়ে নেন। প্রত্যেকেই কারো না কারো কোন না কোন প্রকারের ওলি তথা বন্ধু। নির্দিষ্ট করে যদি দ্বীন প্রচারের ক্ষেত্রে ওলি শব্দটিকে ধরি তবে সবাই ওলির মর্যাদা অর্জন করতে পারেনা। যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। যেটি প্রভাষকের উপমা দ্বারা নিচে বুঝানোর চেষ্টা করেছি।
❣️ বিধায় মুমিনদের মধ্য হতে ওলিত্ব লাভ করতে হলে তাকে অবশ্যই ৪৮ঃ১০/৬০ঃ১১- ১২ আয়াত মোতাবেক একজন রিসালাত প্রাপ্ত রাসুলের কাছে আত্নসমর্পন করা, বায়াত গ্রহন করা আবশ্যক। বায়াত গ্রহন করার পর ৮৪ঃ১৯ মোতাবেক স্তরে স্তরে কঠোর সাধনা করে ৮৪ঃ৬ আযাত মতে প্রভুর সাক্ষাৎ লাভ করতে হয়। অনেকে বলেন, প্রভু বান্দার সংগে সাক্ষাৎ করেন না, কিন্তু না, তাদের বুঝ ঠিক নয়। কারন ৪২ঃ৫১ আয়াতে প্রভু বান্দার সংগে ১.ওহি, ২. রাসুল ৩. হিজাব = এই তিনটি উপায়ে কথা বলেন , সাক্ষাৎ করেন, মর্মে আয়াত পাওয়া গেছে।[ প্রভুর সাক্ষাৎ লাভ সংক্রান্ত বহু আয়াত রয়েছে যা দেখার জন্য " ইহজগতে প্রভুর সাক্ষাৎ অসম্ভব মর্মে কোন আয়াত কুরআনে নেই" মর্মে পোস্টটি এই আইডিতে দেখতে পারেন]
❣️ অনেকে বলতে পারেন, যেহেতু তকদির নির্ধারিত ২৫ঃ৩/৮৭ঃ৩/৮০ঃ১৯-২০ সেহেতু ওলিত্ব অর্জনের ব্যাপার নয়, তকদিরের ব্যাপার এবং যাকে খুশি আল্লাহ ওলি বানাতে সক্ষম। কথা ঠিক আছে। কিন্তু তার পরেও যেহেতু সুরা দাহারের ৭৬ঃ২৩/সুরা মুমিনুনের ২৩ঃ৭৮ আয়াতে সামান্য ইচ্ছা শক্তি মানুষ কে দান করার কথা বলা হয়েছে, যাতে সে ইচ্ছা শক্তি কাজে লাগিয়ে কৃতজ্ঞও হতে পারে ,আবার অকৃতজ্ঞও হতে পারে, সেহেতু সামান্য ইচ্ছা শক্তি কাজে লাগিয়ে ওলিত্ব অর্জন করতে যেতে পারে। ।ইমানদারকে সাধনার বলে ওলিত্ব অর্জন করতে হয়।[ ওলিত্ব অর্জন করতে হলে কিকি যোগ্যতা অর্জন করতে হয় তা বিস্তারিত জানার জন্য এই আইডির মধ্যে, " কুরআন মোতাবেক গুরু/ পীর / মুর্শিদ / ওলি /সম্মক রাসুল চেনার উপায় কী? মর্মে পোস্টে দেখুন। ]
❣️ওলিত্ব অর্জনের একটি উপমাঃ= জাগতিক ভাবে কোন কলেজের " প্রভাষক " হতে হলে তার জন্য প্রথম শর্ত হল এম.এ. পাশের সনদ, পরে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় কৃতকার্যের সনদ, নাগরিকত্বের ও জাতীয় পরিচয় পত্রের সনদ আবশ্যক। দ্বিতীয়ত তাকে চাকুরীর জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করা আবশ্যক। তৃতীয়ত তাকে চাকুরির লিখিত ও বাছাই পরীক্ষায় যোগদান করে নিয়োগ বোর্ডে উত্তীর্ন হলে তাকে নিযোগ পত্র দেয়া হয়। চতুর্থত নিয়োগ পত্র প্রাপ্তির পর নির্দিষ্ট মেয়াদে প্রতিষ্ঠানে যোগদান করা আবশ্যক। এই সমস্ত প্রক্রিয়া অবলম্বন করলে তখন তার সামাজিক পদমর্যদা হয় " প্রভাষক" পরে পদোন্নতিতে সহকারি অধ্যাপক > সহযোগি অধ্যাপক, > অধ্যাপক । প্র= আদি, ভাষক = বক্তা। আদি বা মুল বিষয় সম্পর্কে যিনি পাঠদান করাবেন তিনিই প্রভাষক। এই প্রভাষকের যোগ্যতা অর্জনের পর তিনি পর্যায়ক্রমে অধ্যাপক হন। এখন কেউ যদি উল্লেখিত প্রক্রিয়া অবলম্বন না করে নিজেকে প্রভাষক কিংবা অধ্যাপক দাবি করে, রাজনীতির মাঠে, যাত্রা মঞ্চে, মসজিদ, মন্দিরে ভাষন দিয়ে নিজেকে প্রভাষক / অধ্যাপক দাবি করে তবে তার বুঝ হবে অযথার্থ। কারন, যিনি মসজিদে খুৎবা দিবেন তার নাম হবে ইমাম, খতিব, যিনি জনতার মঞ্চে বক্তব্য দিবেন তার নাম হবে বক্তা, যিনি নাটক -যাত্রায় অভিনয় করবেন তার নাম হবে অভিনেতা, কিন্তু এদের কাউকে প্রভাষক বলার সুযোগ নেই। ঠিক ওলিত্বের ব্যাপারটি এই রকমই। দ্বীন প্রচার করার জন্য, নিজে মুক্তি লাভ করার জন্য অবশ্যই একজন ইমানদারকে উল্লেখিত ধাপ মেনে ৮৪ঃ১৯ মোতাবেক স্তরে স্তরে কঠোর সাধনা করে ওলিত্ব অর্জন করতে হয়। আর এই ওলিদের ভয় নেই, তারা চিন্তিত ও ভীতসন্ত্রস্ত ও হবেনা এবং ইহজগত ও পরোজগতে তাঁদের জন্য শুধুই সুসংবাদ রয়েছে ১০ঃ৬২-৬৪।
❣️ ওলিদের শান -মানঃ = অনেকে গলা ফুলিয়ে অবলিলায় বলেন, ওলিদের কোন শান মান নেই। কিন্তু না, ওলিদের শান মান সম্পর্কে ন্যুনতম ধারনাও তাদের নেই। আমরা যদি এই উপমহাদেশে কুরআনিক দর্শন আবির্ভাবের নিকট অতীতের তথ্য দেখি তবে জানা যায় আজ হতে প্রায় ৭০০/৭৫০ বছর পূর্বে পার্সি ভাষায় পীর এবং আরবি ভাষায় ওলিদের হাত ধরে ইসলাম নামক ধর্ম মতের আবির্ভাব হয়েছে এই উপমহাদেশে। যেই ওলিদের মাধ্যমে ইসলাম অখন্ড ভারত বর্ষে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে সেই ওলিদের বিরুদ্ধে যারা কুৎসা রটায় তারা নিশ্চিত ইবলিশের অনুসারি। কারন ইবলিশ মাধ্যম মানেনি, তার অনুসারিরাও মানতে চায়না। বিধায় ইবলিশ ও তার অনুসারিদের আকিদার মধ্যে চরম মিল দেখা দেখা যায়। ওলিদের শান মান যদি না থাকে তবে অখন্ড ভারত বর্ষে পৌত্তলিক অমুসলিমদের কে কিভাবে, তৌহিদ কালিমার আওতায় এনেছেন ওলিরা ? পৃত্তিরাজ রাজাদের মত শক্তি শালি রাজাদের ঢাল, তলোয়ার, অস্ত্র সস্ত্র ছাড়া, বিনা যুদ্ধে কিভাবে পরাজিত করে বিজয়ি হয়েছিল? রাজা গৌড় গোবিন্দ কে শাহজালাল রহঃ কিভাবে পরাজিত করে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন? রাজশাহীর নরবলি দাতা দেওবন্দ জাতিকে কিভাবে শাহ মখদুম রুপোষ রহঃ পরাজিত করে ঘোড়া মারা নাম করন করেছিলেন? যারা বলেন ওলি মানা যাবেনা,ওলিদের শান মান নেই, অবদান নেই তারা এখনো ভুমি অফিসে / কাচারিতে গিয়ে দেখুন আপনার পুর্ব পুরুষের নামের আগে শ্রী লিখা রয়েছে। এই শ্রীর স্থলে মোঃ যুক্ত করার পিছনে কাদের অবদান ছিল,তা কি জানেন?
১৮ নং সুরা কাহাফের ৭ জন যুবক এর নিদর্শন, খিজির আঃ ও জুলকারনাইনের নিকট হতে আত্নদর্শনের( ইল্মে লাদুন্নির জ্ঞান ১৮ঃ৬৫) জ্ঞান লাভ করেছিলেন নবী হজরত মুসা আঃ।
❣️এদেশে পীর / ওলিদের অবদানের নমুনাঃ=
১.এদেশে ইসলাম ২. কলেমার দাওয়াত ৩. আযান ৪. ইকামাত ৫. কুরআন এনেছে =ওলিরা।৬.এদেশে হাদীস ৭. মাযহাব ৮. মক্তবের শিক্ষা ৯. হাফিজী মাদ্রাসা করেছে ১০. আলিয়া মাদ্রাসা করেছে = ওলিরা ১১. খতমে কুরআন +বুখারী ১২. শবে মে'রাজ পালন ১৩. শবে বারাত । ১৪. শবে কদর পালন করেছে= ওলিরা। ১৫. এদেশে রোযা+ কুরবানি +ঈদ এনেছে ১৬. সুন্নতী পোষাক পরিয়েছে ১৭. আজানের আগে সালাম ১৮. আজানের পর দোয়া ১৯.আশুরা পালন ২০. ঈদে- মিলাদুন্নাবী পালন ২১. জুলুস পালন করছেে= ওলিরা। ২২. মিলাদ পড়েছে-২৩.কিয়াম ২৪. উরশ শরীফ ২৫. ইসালে সাওয়াব করেছে= ওলিরা। ২৭/এদেশে তাবারুক খাইয়েছে,২৮.পীর মুরিদী করেছে ২৯. কদমবুসি করছে ৩০. মাজার জিয়ারত + মাজারে গিলাপ পরানো, ওলিদের সম্মান করা ।৩১. হায়াতুন্নাবী ৩২. নূরনবীর শিক্ষা ৩৩. নবীর এলমে লাদুন্নীর জ্ঞান ৩৪. নবী খাতামুনন্নবী বলছে ৩৫.বাইয়াত করিয়েছেন = ওলিরা।৩৬. মাহফিলে উয়াজ ৩৭. মূর্দার গোসল
৩৮. জানাজার নামাজ ৩৯.জানাজার পর দোয়া শিখিয়েছেন= ওলিরা।৪০.চল্লিশার দিন ৪১. তারাবীহ এনেছে ৮/১২/ ২০ রাকাত ৪২. বিবাহে কালিমা পড়িয়েছে ৪৩. জিকির এনেছে-= ওলিরা। ৪৪.
মোরাকাবা এনেছে ৪৫।. নবীপ্রেম শিক্ষা দিয়েছে = ওলিরা। ৪৬. এদেশে সাহাবা প্রেম শিক্ষা দিয়েছে ৪৭. আহলে বায়াত প্রেম শিখিয়েছেন ৪৮.পাকপাঞ্জাতন প্রেম ৪৯.ওলিপ্রেম শিখিয়েছেন = ওলিরা। ৫০. মসজিদ করেছে ৫১.দরবার /খানকা/হুজরাখানা৫২.ইসলামের আইন এনেছে ৫৩. মানুষকে নামাজ ৫৪.সুন্নাত ৫৫. নফল ৫৬. দোয়া দুরূদ ৫৭. হেকমত, নম্রতা ৫৮. আল্লাহর ভয় ৫৯. দাফন- কাফন এবং ৬০/ সুন্নতে খাতনা এনেছে ৬১.অখন্ড ভারত বর্ষে লক্ষ লক্ষ অমুসলিম কে মুসলিম বানিয়েছেন = ওলিরা।
উল্লেখ্য আজকে কারা এরা "হঠাৎ মৌলভী" হয়ে নূরনবী সাঃ এর বিরুদ্ধে, মা খাদিজাতুল কোবরা রাঃ এর বিরুদ্ধে, মওলা হজরত আলী আঃ এর বিরুদ্ধে,
আহলে বায়াতের বিরুদ্ধে, সাহাবায়ে কেরামদের বিরুদ্ধে, পীর / ওলিদের বিরুদ্ধে,ইসলামের বিরুদ্ধে, উল্লেখিত বিষয় গুলির বিরুদ্ধে কথা বলে? এদেশের মানুষের মনে এখনো নবীপ্রেম সাহাবী প্রেম,ওলিপ্রেম রয়েছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে। মাঝখানে "৭২ বাতিল ফের্কার দল " ছাগলের ৩ নাম্বার বাচ্চার মতো লাফালাফি করছেন কেন? তোতাপাখীর মত কার শেখানো বোল আউড়িয়ে মুখদিয়ে ফেনা তুলতেছেন? কয়টা অমুসলিম কে কালিমার আওতায় এনেছেন? ওলিদের কামাইয়ের ফসল ইসলাম লুটে পুটে খাচ্ছেন আবার সেই ওলিদের বিরোধীতা করছেন?
❣️ ওলিরা ৩ঃ১৪৪/৩ঃ১৮৫ মতে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করার পরেও তাঁরা রুহানী জগতে জীবিত। তাঁদের কে মৃত বলতে, মৃত ভাবতে অতি কড়া ধমক দিয়ে বলা হয়েছে, সাবধান! যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত তাঁদের মৃত বলোনা, মৃত ভেবোনা, বরং তাঁরা রিজিক পাচ্ছে ২ঃ১৫৪/ ৩ঃ১৬৯/আয়াত। এখানে অনেকে বলেন যে যারা অস্ত্রের যুদ্ধে মারা যায় শুধু তাঁদের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু না, যাঁরা নফসের বিরুদ্ধে জিহাদ করে, দ্বীন প্রচার করে, প্রভুর সাক্ষাৎ লাভ করে, বস্ত- মোহ ত্যাগ করে তাঁরাই প্রকৃত শহীদ। আর যিনি যুদ্ধের প্রবক্তা, সর্বাধিনায়ক নবী সাঃ তিনি কেমনে মৃত হন? আর মৃতই যদি হন তবে লাশ কবরে রাখার সময় যে দোয়াটি পাঠ করে রাসুলের নামে জিম্মা রাখেন,সেই দোয়া কেমনেইবা কবুল হয়?
❣️ ওলিরা আল্লাহর নিদর্শন ১৮ঃ১৭/২১।
❣️মৃত্যুর পরেও নবী ও ওলিদের ক্ষমতাঃ
আম্বিয়ায়ে কেরামে আঃ দের ক্ষমতার প্রসঙ্গে আসি।আল্লাহ ফরমান:
" আর আমি আপনার আগে যাদের রাসূল হিসেবে পাঠিয়েছি – তাদের জিজ্ঞেস করুন যে, আমি কি রহমান ছাড়া ইবাদত করা যায় – এমন আর কোনো ইলাহ সাব্যস্ত করেছি? ৪৩ঃ৪৫।
লক্ষ্য করুন, নবীজি সাঃ এর আগেতো প্রায় সকল রাসূলই আঃ ইন্তেকাল করেছেন; অথচ তারপরেও আল্লাহু তাঁকে বলছেন: “আপনি তাঁদের (সরাসরি) জিজ্ঞেস করুন!” এতে স্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয় যে, নবী-রাসূলগণ মৃত্যুর স্বাদ নিয়েও শুধু জীবিতই নন, বরং তাঁরা বারঝাখী জীবনেও দুনিয়ার কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িতও থাকেন। নইলে, কেন তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করতে তথা তাঁদের সাহায্য নিতে বলা হলো। তাছাড়া, তাঁরাও নবীজীকে নানাভাবে (সরাসরি বা তাঁর উম্মতকে সাহায্য করার মাধ্যমে তাঁকে) সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবন্ধ।
যেমন- আল্লাহুতা’লা ফরমান: আর স্মরণ করুন, যখন আল্লাহ এ মর্মে নবীদের থেকে অঙ্গীকার নিয়েছিলেন: “আমি তোমাদের কিতাব ও হেকমত (প্রজ্ঞা) দেবো; তারপর তোমাদের কাছে তোমাদের ওগুলোর সত্যায়নকারী একজন রাসূল তাশরীফ আনলে, তোমরা তাঁর প্রতি ঈমান আনবে এবং তাঁকে সাহায্য করবে।” তিনি (আল্লাহ) বললেন: “তোমরা মানলেতো এবং ঐ ব্যাপারে আমার (দেওয়া) গুরু দায়িত্ব নিলেতো, নাকি?” তারা বলেছিলো: আমরা মেনে নিলাম।” তিনি (আল্লাহ) বললেন: যাক! তাহলে, তোমরা সাক্ষী থাকো এবং আমিও তোমাদের সঙ্গে অন্যতম সাক্ষী থাকলাম।” ৩ঃ:৮১।
কেউ কেউ বলেন যে, ঐ আয়াতেে ৪৩ঃ৪৫) পবিত্র মীরাজের রাতে জিজ্ঞেস করতে বলা হয়েছে। কিন্তু না, এটা অন্যতম অভিমত, একমাত্র বা সর্বসম্মত কিংবা চূড়ান্ত অভিমত নয়, বরং এর তাফসীর ও শানে নুজুলে এখতেলাফ রয়েছে। তাফসীরে ইবনে আব্বাসেও এ ব্যাপারে ৩টি অভিমত রয়েছে – যার অন্যতমটি হচ্ছে, “ওদের জিজ্ঞেস করুন যে, আমি কি দয়াময় আল্লাহ্ ছাড়া এমন কোনো ইলাহ সাব্যস্ত করেছি – যার ইবাদত করা যেতে পারে?” সুতরাং এ অভিমত অনুসারে, এখানে সরাসরিই জিজ্ঞেস করতে বলা হয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, যেসব আয়াতে কারীমার তাফসীর ও শানে নুজুলের ব্যাপারে সুন্নী মুফাসসিরগণ একাধিক অভিমত দিয়েছেন – সেখানে নির্দ্বিধায় তাহকীকের (গবেষণার) সুযোগ রয়েছে। তাই, সেসব ক্ষেত্রে একটিমাত্র অভিমত গ্রহণ করে বা চাপিয়ে দিয়ে বাকিগুলোকে শিরক বা কুফর বলাটা অবশ্যই অজ্ঞতা। আর তাই, এ আয়াতে কারীমার অন্যতম তাফসীর হচ্ছে, নবীজীকে সরাসরিই আগেকার রাসূলগণকে জিজ্ঞেস করতে বলা হয়েছে। যদি এটা কুফর বা শিরক হতো – তাহলে, সুন্নী মুফাসসিরীনে কেরাম, বিশেষ করে, রইসুল মুফাসসিরীন ইবনে আব্বাস রাঃ কখনোই এ অভিমতটি দিতেন না। তাছাড়া, “পবিত্র মীরাজের রাতে আম্বিয়ায়ে কেরাম যেমন সক্রিয় ছিলেন – তেমন আর কখনো হবেন না” – এ কথা কে বলেছে? বরং আল্লাহুতা’লা যখনি ইচ্ছে করেন – তখনি তিনি তাঁর নবীগণকে সক্রিয় করে থাকেন বৈকি। এটাই আমাদের আকীদা এবং তাঁদের রওজা শরীফগুলো জিয়ারতের মূল হাকীকত বা চেতনা। আর ওলিদের ব্যাপারে তো স্পষ্ট বলা হয়েছে তাঁদের কে মৃত বলতে ও ভাবতে ২ঃ১৫৪/৩ঃ১৬৯।
❣️ ওলিদের বরাত দিয়ে প্রভুর কাছে দোয়া / মান্নত করতে দোষ নেইঃ= অনেকে ৪ঃ৪৮/৬ঃ১৩৬ /১৬২-১৬৩/৭ঃ১৯৪/১০ঃ১৮/৩৯/১০৭/১৭ঃ২৩/২৭ঃ৬২/ ৩৯ঃ৪৩-৪৪ /৪৬ঃ৫/নং আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, কোন মৃত নেককার ওলী কিংবা পীর-বুযুর্গকে ডাকা, তাদের সম্মানের উসীলায় দো‘আ করা এবং তাদের জন্য নজরনেওয়াজ মান্নত করা -এটা স্পষ্টতঃই ইসলাম বহির্ভুত বিষয়; বরং তা বড় শির্ক ও তাওহীদ বিরোধী কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচিত।
কিন্তু না, তাদের এই দাবি ভিত্তিহিন। দেবতা আর ওলি এক নয়। দেবতার প্রতিমা তৈরি, জড় পদার্থ দ্বারা। তাছাড়া এক জায়গায় যা ফেরেস্তা অন্য জায়গায় তা দেবতা। কথা সেটি নয়।
কথা হল ওলিদের দেবতার সংগে তুলনা করার কোন সুযোগ নেই। ওলিরা আল্লাহর নিজের ২ হাতে ৩৮ঃ৭৫/ নিজ সুরাতে ৮২ঃ৮/ নিজ স্বভাবে ৩০ঃ৩০ / নিজে রুহ ফুৎকারের দ্বারা ৩৮ঃ৭২/ নিজে জ্ঞান শিক্ষা দিয়ে ৫৫ঃ৪/ নিজে উত্তম স্বভাবে তৈরি করে ৩২ঃ৪-৯ / নিজে খলিফা ঘোষনা করে সিজদা দিতি বলে ২ঃ৩০-৩৪ / নিজে তাদের শাহরগে থেকে ৫০ঃ১৬ / সংগে থেকে ২ঃ১৮৬/৮ঃ২৪ / নিজ বস্তু আমানত রেখে ৩৩ঃ৭২/ নিজে বস্তুর নাম শিক্ষা দিয়ে ২ঃ৩১ তৈরি করেছেন ।
এই ওলি আর দেবতা এক হয় কিভাবে? তাছাড়া যাদের কে মৃত বলতে মৃত ভাবতে নিষেধ করা হয়েছে ২ঃ১৫৪/৩ঃ১৬৯। যেহেতু তারা মরেনা, খোলস পাল্টিয়ে রুহানি জগতে জীবিত রয়েছে, তাদের কোন ভয় নেই ১০ঃ৬২-৬৪, যেহেতু রাসুল কে ভাল বাসলে আল্লাহকে ভালবাসা হয় ৩ঃ৩১, রাসুলের আনুগত্য করলে আল্লাহর আনুগত্য করা হয় ৪ঃ৮০, রাসুলের আনুগত্য করলে নবীর সংগি হওয়া যায় ৪ঃ৬৯, যেহেতু রাসুল সুরাতে সিজদা দিলে আল্লাহকে সিজদা দেয়া হয়, সেহেতু রাসুল, ওলি তাদের উছিলা / দোহায় দিয়ে আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাইলে পরোক্ষভাবে আল্লাহর কাছেই চাওয়া হয়। টিকিট, সিলমোহর ছাড়া যেমন চিঠি প্রেরন হয়না, তেমনি রাসুল / ওলিদের উয়াসিলা ছাড়া দোয়া আল্লাহর দরবারে পৌঁছেনা।
আহলে বাইতের অনুসারিরা কোন ভাবেই ওলি আওলিয়াকে আল্লাহ মনে করেনা, তবে আল্লাহর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ জন মনে করে। আর সেই জন্যই তাঁদের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে দোয়ার আবেদন করেন। কারণ আহলে বাইতের অনুসারিরা বিশ্বাস করে নবীজি সাঃ ও উপযুক্ত মুমিন ব্যক্তিগণ আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করার অধিকারের মর্যদাপ্রাপ্ত। সেই জন্যই আহলে বাইতের অনুসারিরা দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতেই আল্লাহর দরবারে নবী, ওলিদের মাধ্যমে আবেদন জানায়। এই মর্মে নবীজি সাঃ কে উদ্দেশ্য করে কুরআনে মুমিন নর-নারীর জন্য দোয়া করতে বলা হয়েছে।
"অতএব হে নবী, ভাল করে জেনে নিন আল্লাহ ছাড়া আর কেউ ইবাদতের যোগ্য নন, নিজের ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং মুমিন নর - নারীর জন্যও " ৪৭ঃ১৯। "আর তাদের জন্য রহমতের দোয়া করুন, আপনার দোয়া তাদের শান্তির কারণ হবে " ৯ঃ১০৩।
" দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন এবং যার কথায় সন্তোষ্ট হবেন সে ছাড়া কারো সুপারিশ সেদিন কোন উপকারে আসবেনা " ২০ঃ১০৯।
যেহেতু আল্লাহ যাকে চাইবেন খুশি হয়ে অনুমতি দেবেন কারো জন্য সুপারিশ করার লক্ষ্যে ২০ঃ১০৯,
/ ১০ঃ৩/ ৩৪ঃ২৩/ ৫৩ঃ২৬/ ১১ঃ১০৫/ ৭৮ঃ৩৮/ ১৯ঃ৮৭ আয়াত মোতাবেক যেহেতু ওলিগণ মরেনা, আল্লাহর পছন্দনীয় সত্বা তারা, সেহেতু মানুষ দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জগতেই আল্লাহর দরবারে নবী ও ওলিদের মাধ্যমে কোন কিছু চাইতে পারে, মান্নত করতে পারে, তাতে কোন দোষ নেই।এটা শেরেক নয়, বিদআত নয় নিশ্চিত। মরিয়ম আঃ মান্নত করেছিলেন ১৯ঃ২৬ আয়াত।
নবী, ওলিদের বরাত দিয়ে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা হারাম হলে জাগতিক ভাবে বিপদে পড়লে ইহুদি নাসারাদের কাছে , আমেরিকার কাছে , সরকারের কাছে , ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হোন কেন? করোনায় ডাক্তারের কাছে দৌড়াচ্ছেন কেন? পুলিশ সহ আইন শৃখলা রক্ষাকারি বাহিনীর কাছে দৌড়ান কেন? আল্লাহর কাছে চাইবেন। কুরআন পাঠাতে আল্লাহর তিনটি মাধ্যম লাগল কেন? দ্বীন প্রচারে নবী রাসুল ওলি লাগল কেন? মানুষের বংশ বিস্তারে স্বামী স্ত্রীর সহযোহিতা নিলেন ৩২ঃ৭-৯ কেন?
অনেকে বলেন নবী রাসূলের স্তর শেষ। কিন্তু না, নবীর স্তর শেষ ৩৩ঃ৪০। কিন্তু রাসুলের স্তর শেষ মর্মে কোন আয়াত কুরআনে নেই। বরং মুমিনদের মধ্য হতে যাকে খুশি খিলাফতি, রিসালাত দান করে দ্বীনের কার্যক্রম পরিচালনা করানো হয় ২৪ঃ৫৫/৬ঃ১২৪। বিধায় চলমান রাসুলের আনুগত্য করা ফরজ এবং রাসুল ব্যবস্থা চলমান। আর এই চলমান রসুলের আনুগত্য করলে নবীর সংগি হওয়া যায় ৪ঃ৬৯। আর এই চলমান রাসুল গনই ওলি, গুরু। বিধায় আল্লাহর কাছে কোন কিছু চাইতে হলে ওলিদের বরাত দিয়েই চাইতে হবে। এটা শেরেক বিদআত নয়। কুরআনের বুঝ।
আল্লাহ বলেন মিডিয়া ধরো, মোল্লাহ বলে ডাইরেক্ট চাও। কোনটা সঠিক? ডাইরেক্ট চায় শয়তান ও তার অনুসারিরা। ডাইরেক্ট পন্থি হলে ইবলিশ পন্থি , আর ইবলিশ ও তার অনুসারিরা নিশ্চিত জাহান্নামী ১৯ঃ৬৮/৩৮ঃ৮৫/৭ঃ১৮/১৫ঃ৪৩-৪৪।
বাংলাদেশের সরকার প্রধান, রাজনৈতিক দল প্রধান গুলি তাঁদের নির্বাচনী প্রচার প্রসার শুরুই করেন বিখ্যাত ওলিদের পবিত্র মাজার জেয়ারতের মধ্য দিয়ে।দ্বীন প্রচারের নিমিত্বে তাঁদের বহু মুজেজার দৃষ্টান্ত রয়েছে। এই অখন্ড ভারত বর্ষে ওলিদের ইসলাম চলছে। আল্লাহর রহমতে ওলিদের মাধ্যমে এ ভুখন্ডে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যেহেতু ওলিদের ভয় নেই, চিন্তিত হবেনা ১০ঃ৬২-৬৪ যেহেতু ওলিদের অনুসরণ করা কুরআনিক বুঝ ৩১ঃ১৫/৩৬ঃ২১ সেহেতু আমাদের উচিত আল্লাহর ওলিদের পথ অনুসরণ করা। এবং তাঁদের উয়াসিলায় প্রভুর কাছে আজিজি করা উত্তম। এই ব্যাপারে কুরআনের নির্দেশ উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
❣️ ওলিদের হাতে হাতে বায়াত গ্রহন

Celebrating my 3rd year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉
09/04/2025

Celebrating my 3rd year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉

08/03/2025

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars – they help me earn money to keep making content that you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars.

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr Md Manir Hossain posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Dr Md Manir Hossain:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category