
22/08/2025
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর তথ্যমতে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় ৭% এই রোগের বাহক, যা দেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই রোগের প্রধান চিকিৎসা হলো নিয়মিত রক্ত গ্রহণ (Blood Transfusion), যা জীবন রক্ষা করে। কিন্তু এই চিকিৎসার একটি গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো শরীরে আয়রনের মাত্রাতিরিক্ত সঞ্চয় বা আয়রন ওভারলোড (Iron Overload)।
আয়রন ওভারলোড: একটি নীরব ঘাতক ⚠️
রক্ত গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে যে অতিরিক্ত আয়রন প্রবেশ করে, তা স্বাভাবিকভাবে শরীর থেকে বের হতে পারে না। এই অতিরিক্ত আয়রন হৃৎপিণ্ড, যকৃত এবং অগ্ন্যাশয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে জমা হয়ে সেগুলোর কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়। এর ফলে হার্ট ফেইলিওর, লিভার সিরোসিস এবং ডায়াবেটিসের মতো মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
এখানেই একজন ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক মেডিকেল নিউট্রিশন থেরাপি (MNT)-এর মাধ্যমে এই ঝুঁকিগুলো কমানো এবং রোগীর সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নত করা সম্ভব।
থ্যালাসেমিয়া রোগীর জন্য একটি সমন্বিত পুষ্টি পরিকল্পনা:
১. আয়রনযুক্ত খাবার পরিহার: যেহেতু রক্ত গ্রহণের মাধ্যমেই শরীরে অতিরিক্ত আয়রন ঢুকছে, তাই খাদ্যতালিকা থেকে উচ্চ আয়রনযুক্ত খাবার বাদ দেওয়া অপরিহার্য।
যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে: কলিজা, লাল মাংস, কচুশাক, পালং শাক এবং আয়রন ফোর্টিফাইড (Iron-fortified) সিরিয়াল বা বাজারের শিশুখাদ্য।
২. আয়রন শোষণ কমানোর কৌশল: কিছু খাবার রয়েছে যা অন্ত্র থেকে আয়রনের শোষণ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।
করণীয়: মূল খাবারের সাথে চা, কফি (এতে ট্যানিন থাকে) বা ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ ও দই গ্রহণ করা যেতে পারে। এটি খাদ্য থেকে আয়রন শোষণ কমাতে সাহায্য করে।
৩. হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষা: থ্যালাসেমিয়ায় হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়ার বা অস্টিওপোরোসিস (Osteoporosis)-এর ঝুঁকি থাকে।
করণীয়: ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন—দুধ, দই, চিজ, কাঁটাযুক্ত ছোট মাছ এবং প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা জরুরি।
৪. অপরিহার্য মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের যোগান:
ফলিক অ্যাসিড (Folic Acid): লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে এটি অপরিহার্য। ডাল, মটরশুঁটি এবং সবুজ শাকসবজি থেকে এটি পাওয়া যায়।
জিঙ্ক ও ভিটামিন ই (Zinc & Vitamin E): এগুলো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা আয়রন ওভারলোডের ফলে সৃষ্ট কোষীয় ক্ষতি বা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস (Oxidative Stress) কমাতে সাহায্য করে।
ভিটামিন সি (Vitamin C): এটি আয়রন শোষণ বাড়িয়ে দেয়, তাই এর সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। সাধারণত আয়রন চিলেশন (Chelation) থেরাপির কার্যকারিতা বাড়াতে চিকিৎসকের নির্দেশনায় এটি দেওয়া হয়।
ক্লিনিক্যাল গুরুত্ব:
একটি পরিকল্পিত খাদ্যতালিকা—
✨ আয়রন ওভারলোড নিয়ন্ত্রণ করে
✨ চিলেশন থেরাপির কার্যকারিতা বাড়ায়
✨ অপুষ্টি প্রতিরোধ করে
✨ রোগীর ইমিউনিটি ও শারীরিক বৃদ্ধি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে
👩⚕️আমি, পুষ্টিবিদ সিরাজাম মুনিরা, আপনার বা আপনার প্রিয়জনের স্বাস্থ্যগত অবস্থা ও চিকিৎসার ধরন অনুযায়ী নিরাপদ ও কার্যকর পুষ্টি পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করি।
🏥 চেম্বার–১
📍 ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কল্যাণপুর, ঢাকা
🕒 শনি–বৃহস্পতিবার: সকাল ১১ টা – দুপুর ২ টা
📞 09610009616
🏥 চেম্বার–২
📍 নিউট্রিলার্ণ, H: ৭৫(অ), ৩য় তলা (মিরপুর ১১ মেট্রোস্টেশনের উত্তর পাশে, মেট্রো পিলার নং ১৯৯)
🕒 বুধবার–শনিবার: সন্ধ্যা ৬ টা – রাত ৮.৩০ টা
📞 01339652056
🌐 টেলিমেডিসিন সেবা
🕒 রবি–মঙ্গলবার: রাত ৯ টা – রাত ১১ টা
📞 সিরিয়ালের জন্য: 01339652056
💬 ফেসবুক পেজে মেসেজ করুন এখনই...