16/09/2024
"ডেংগু জ্বরে সচেতনতা এবং এ সময়ে খাবার কেমন হওয়া উচিৎ "
ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। এ জ্বরে শরীর দূর্বল হওয়ার পাশাপাশি খাবারের রুচি একদম কমে যায়।জ্বরের তীব্রতা কমানোর পাশাপাশি রোগীর দেহের সঠিক পুষ্টি চাহিদা বজায় রাখার জন্য জ্বরের সময় সঠিক খাদ্য তালিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এ সময় রোগীর খাবার এমন হওয়া উচিৎ যা পুষ্টিকর এবং দ্রুত হজমে সহায়তা করে,সেই সাথে খেতে ও ভালো লাগে।ডেংগু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর খাবার কেমন হওয়া উচিৎ তা নিয়ে আমার আজকের আলোচনা :
🔹ডেঙ্গু জ্বর হলে প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে দেহকে কিভাবে হাইড্রেটেড রাখা যায়। সারাদিনে কমপক্ষে ৩ লিটার পানি পান করতে হবে,জ্বর হলে সাধারণত পানি পান করতে অনীহা দেখা যায়,তাই পানির চাহিদা পূরণ করতে পানির পাশাপাশি তাজা ফলের জুস, ডাবের পানি পান করতে হবে।
🔹ভিটামিন সি যুক্ত ফলের রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং খাবারের রুচি বাড়াতে সাহায্য করে সেই সাথে দ্রুত আরোগ্য লাভে সহায়তা করে। মাল্টা, কমলা, লেবু, পেয়ারা, কিউই, স্ট্রবেরি, পেঁপে,পাকা বেল, আনার, বাংগি, নাসপাতি, আনারস, লিচু, ডালিম সহ পানি জাতীয় ফল ও ফলের রস খেতে হবে এ সময়। এছাড়া ডেংগু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে ডাবের পানি, লেবু পানি বা লেবুর শরবত দিতে হবে এতে ভিটামিন সি, খনিজ বা ইলেট্রোলাইটস আছে, যা খুব এসময় খুব উপকারি ভূমিকা পালন করে।
🔹তরল জাতীয় খাবার :
জ্বরের সময় রোগীকে একটু হলেও সুস্থ রাখতে সহায়তা করে তরল জাতীয় খাবার।এছাড়া শরীরের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিকে আনতে ও সহায়তা করে এই তরল জাতীয় খাবার। এছাড়া তরল খাবার খেলে হজমেও খুব বেশি সমস্যা হয় না। তরল খাবার হিসেবে যে খাবার গুলো দেওয়া যেতে পারে সেগুলো হলো : মিক্স সবজির স্যুপ, টমেটোর স্যুপ, চিকেন স্যুপ বা কর্ণ স্যুপ দেওয়া যেতে পারে। এতে পানির চাহিদা পূরণ হবে, পাশাপাশি প্রোটিন এর ঘাটতি পূরণ হবে। এছাড়া এতে সবজি যোগ করে দেওয়া যেতে পারে যা এন্টি -অক্সিডেন্ট সোর্স হিসেবে কাজ করবে।
🔹তরল খাবারের পাশাপাশি অর্ধতরল খাবার যেমন- নরম সেদ্ধ করা খাবার, জাও ভাত, সুজি,সাগু দেওয়া যেতে পারে, এছাড়া ভাতের মাড়, চিড়া ভেজানো পানি এ সময় দ্রুত রিকভারি করতে সাহায্য করে।
★★ডেংগু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে যেসব খাবারগুলো অবশ্যই দেওয়া যাবে না : ভাজা পোড়া,বাসি খাবার, শক্ত খাবার - মোটা চালের ভাত,বেশি মশলা যুক্ত খানার, মাখন,পনির,বাদাম,ঘি,তৈলাক্ত খাবার,ক্রীম জাতীয় খাবার,ভাজা -পোড়া,শাক পাতা,গরু/ খাসির মাংস, মাংসের চর্বি,গ্রীল,রিচ ফুড, অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার।
রুচি না থাকলেও খেতে হবে আর বিশ্রাম নিতে হবে। আর অবশ্যই ডক্টরের এর পরামর্শ নিতে হবে।সবচেয়ে বড় কথা সবাইকে সচেতন থাকতে হবে, যেনো সহজে এ জ্বরে আক্রান্ত না হয়। সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ