28/05/2025
ব্রেস্ট টিউমার
---------------
বর্তমানে ব্রেস্ট টিউমার সম্পর্কে মহিলারা ধীরে ধীরে সচেতন হয়ে উঠেছে।
এর জন্য দরকার গণসচেতনতা। টিউমার হলো দেহ কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। এটা কখনো Benine বা অক্ষতিকর আবার কখনো Malignant বা ক্যান্সার রূপে দেখা দেয়। প্রতিনিয়ত আমাদের দেহে পুরনো কোষ ধ্বংস হয়ে কোষ বিভাজনের মাধ্যমে নতুন কোষ তৈরি হয়।
কোনো কারণে কোষের বিভাজন ও ধ্বংসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ বাধাগ্রস্ত হলে টিউমার তৈরি হয়। কারন-গুলো
*Brest Tumour এর কারণ: হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় Brest Tumour বা Cancer এর কারণ হিসেবে মায়াজমকেই চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্তন ক্যানসারের জন্য প্রথমত দায়ী আমাদের খাদ্যাভ্যাস। দৈনন্দিন জীবনে প্রায় প্রতিটি খাবারের সঙ্গে আমরা বিষ গ্রহণ করছি বলা চলে। আজকাল ফাস্ট ফুড খাওয়ার অভ্যাস বেড়েছে অনেকখানি।
এসব খাবার আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করছে। দুশ্চিন্তা, নিদ্রাহীনতা, কম শারীরিক পরিশ্রম এবং অতিরিক্ত স্থূলতা। অতিরিক্ত স্থূলতা স্তন ক্যানসারের একটি বড় কারণ।
ক্যানসারের বংশগত ইতিহাস। বংশে কারও ক্যানসার থাকলে এর ঝুঁকি থাকে সর্বোচ্চ। স্তনে আঘাত থেকেও প্রথমে টিউমার এবং পরবর্তীতে ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
সন্তানকে বুকের দুধ পান না করানো স্তন ক্যানসারের একটি কারণ।
স্তন ছোট রাখার বিভিন্ন মালিশ ব্যবহার এবং ওষুধ সেবন করলেও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি হয়।
লক্ষণ
স্তনের কোনো অংশ শক্ত হওয়া অথবা স্তনের বোঁটার আকৃতির পরিবর্তন হওয়া।
স্তনের বোঁটা থেকে রক্ত বা তরল পদার্থ বের হওয়া। নিপলের আশপাশে র্যাশ বা ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া।
বগল ফুলে যাওয়া বা চাকা দেখা দেওয়া।
স্তনের ভেতরে গোটা ওঠা বা শক্ত হওয়া বা ক্ষতের সৃষ্টি হওয়া।
চিকিৎসা পদ্ধতি
স্তন ক্যানসারের অ্যালোপ্যাথিক ও শল্য চিকিৎসার পাশাপাশি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাও আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক বিস্ময়কর অবদান।
হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ভান্ডারে স্তন ক্যানসারের চিকিৎসায় কার্সিনোসিন, টিউবারকুলিনাম, সোরিনাম, সিফিলিনাম, মেডোরিনাম, কার্বো-অ্যানিমেলস, আর্সেনিক অ্যালবাম, আর্সেনিক আয়োড, অ্যাসিড নাইট্রিক, ন্যাট্রাম সালফ, ফাইটোলক্কার মতো অসংখ্য কার্যকরী ওষুধ রয়েছে।
এসব ওষুধের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত অসংখ্য রোগী আরোগ্য লাভ করছেন। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে স্তন ক্যানসারের রোগীদের বিনা কষ্টে স্বল্প সময়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে এখন। এ কারণে সচেতন নাগরিকেরা স্তন ক্যানসারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণের দিকে ঝুঁকছেন প্রতিনিয়ত।
তাছড়া-
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি রোগীর দ্রুত উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং, নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপন পদ্ধতি, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ঘুম, ব্যায়াম, মানসিক চাপমুক্ত জীবনযাপন ইত্যাদি বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া
কনিয়াম ম্যাকুল্যাটাম স্তনের পিণ্ডের অন্যতম প্রধান প্রতিকার। এখানে স্তন্যপায়ী গ্রন্থিগুলি শক্ত এবং কালশিটে। স্তন্যপায়ী গ্রন্থিতে টিউমার এবং মাসিক বা মাসিকের আগে এবং সময়কালে স্তনে ব্যথা সহ স্তনের নোডগুলির জন্য চমৎকার ফলাফল দেয়
হাইড্রাস্টিস ক্যান সেই সমস্ত রোগীদের জন্য নির্ধারিত হয় যাদের ইনডুরেটেড গ্রন্থিগুলির প্রবণতা রয়েছে। স্তন্যপায়ী গ্রন্থি ফুলে যাওয়া।
ল্যাপিস অ্যালবাস: এই প্রতিকারের প্রধান কাজ স্তন্যপায়ী অঞ্চলের গ্রন্থিগুলির উপর। এই গ্রন্থিগুলির ম্যালিগন্যান্ট হয়ে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে।
স্তনে পিণ্ডের জন্য কার্যকর আরেকটি প্রতিকার হল Phytolacca Dec।মামা হার্ড এবং খুব সংবেদনশীল. অ্যাক্সিলারি গ্রন্থিগুলির বৃদ্ধি সহ স্তনের টিউমার
স্ক্রোফুলারিয়া নোডোসার স্তনের জন্য নির্দিষ্ট সখ্যতা রয়েছে। এটি স্তনের টিউমার অপসারণে খুবই উপকারী। স্তনের টিউমার দ্রবীভূত করতে এবং পরিত্রাণ পেতে অত্যন্ত শক্তিশালী হোমিওপ্যাথিক ওষুধ।
কোনো আঘাতজনিত কারনে স্তনের Tissue বা কোষ নষ্ট হয়ে গেলে।
অনেক বেশি বয়সে প্রথমে গর্ভধারণ।
বাচ্চাকে যদি স্তনের দুধ পান করানো না হয়।
যেসব পরিবারে ক্যান্সার বা ব্রেস্ট ক্যান্সারের ইতিহাস পাওয়া যায়।
ইস্টোজেন ও প্রজেস্টোরেন হরমোনের আনুপাতিক বৈষম্য তেজষ্ক্রিয় আয়নের প্রভাবের কারণে।
মাসিক হচ্ছে একটি বড় কারণ। কম বয়সে মাসিক হওয়া এবং বেশি বয়সে বন্ধ হয়।
এছাড়া রেডিয়েশনের প্রভাবেও টিউমার ও ক্যান্সার হতে পারে।
#হোমিও চিকিৎসাঃ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্রেষ্ট টিউমারের চিকিৎসা সম্ভব।রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা, রোগের কারণ, দুঃখ-কষ্ট, মানসিক
চাপ বিবেচনা করে ঔষধ দিলে অরোগ্য সহজতর হয়।
ব্রেষ্ট টিউমার চিকিৎসায় সাধারণত যে সকল ওষধ ব্যবহার হয় যেমন-
Con M,
Phyto,
Sep,
Puls,
Cal f,
Heper S,
Thuja,
এসেইরয়াস রূপ
Silicia ইত্যাদি।