01/05/2025
সাবম্যান্ডিবুলার গ্রন্থির পাথর
সাবম্যান্ডিবুলার গ্রন্থির পাথরকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় সালাইথিয়াসিস বা সাবম্যান্ডিবুলার স্যালাইভারি গ্ল্যান্ড স্টোন। এটি এক ধরনের কঠিন পদার্থ, যা লালা গ্রন্থির (সাধারণত সাবম্যান্ডিবুলার গ্রন্থি) নালীতে তৈরি হয়। এর ফলে লালার স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয় এবং ব্যথা, ফোলাভাব, বিশেষ করে খাওয়ার সময় অস্বস্তি হতে পারে।
লক্ষণসমূহ:
খাওয়ার সময় বা খাওয়ার পরে হঠাৎ ফোলাভাব ও ব্যথা
গ্ল্যান্ডের কাছে স্পর্শে ব্যথা
লালা নিঃসরণে বাধা
কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংক্রমণজনিত পুঁজ
কারণসমূহ:
লালায় উচ্চ ক্যালসিয়াম ঘনত্ব
পানিশূন্যতা বা পর্যাপ্ত পানি না খাওয়া
দীর্ঘ সময় লালা থেমে থাকা (যেমন ঘুমের সময়)
লালার নালীর সরু বা বাঁকানো গঠন
চিকিৎসা:
কনজারভেটিভ পদ্ধতি (প্রাথমিক স্তরে):
প্রচুর পানি পান করা
টকজাতীয় খাবার (যেমন লেবু বা অন্য সাইট্রাস ফল) খাওয়া যাতে লালার প্রবাহ বাড়ে
আক্রান্ত অংশে হালকা ম্যাসাজ ও উষ্ণ সেঁক
ব্যথা ও সংক্রমণ হলে পেইনকিলার ও অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন হতে পারে
মিনিমালি ইনভেসিভ পদ্ধতি:
সায়ালেন্ডোস্কোপি: এক ধরনের ছোট ক্যামেরা ও যন্ত্রের মাধ্যমে ডাক্ট থেকে পাথর সরানো হয়
ডাক্ট ইন্সিশন: মুখগহ্বরে ডাক্ট কেটে পাথর বের করা হয় (ছোট পাথরের ক্ষেত্রে)
সার্জিকাল চিকিৎসা:
পাথর বড় বা বহুবার সমস্যা হলে সাবম্যান্ডিবুলার গ্রন্থি সম্পূর্ণ অপসারণ করতে হতে পারে
প্রতিরোধের উপায়:
প্রচুর পানি পান করা
মুখের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
দীর্ঘ সময় মুখ শুকনো না রাখার চেষ্টা করা
লালাগ্রন্থির পাথরের ক্ষেত্রে (সালাইথিয়াসিস), একাধিক পাথর থাকা কিছুটা বিরল হলেও সম্ভব। গবেষণা ও পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় 10% থেকে 20% ক্ষেত্রে একাধিক পাথর (multiple calculi) পাওয়া যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৩-৫ টা পাথর দেখা যায়।
আজকে আমদের রুগির ক্ষেত্রে প্রায় ১৭ টা পাথর পাওয়া যায়।
বেশি করে পানি পান করুন।লালাগ্রন্থি কে সুস্থ রাখুন।