নিজের স্বার্থের কারণে অন্যকারও জীবনকে বিপর্যস্ত করে দেয়া, বিশেষকরে আবেগ ও অনুভবের সর্বোচ্চটা দিয়ে ভালোবেসে যাওয়া প্রেমের মানুষের সাথে প্রতারণা করা কোনও স্বাভাবিক বিবেক বোধসম্পন্ন মানুষের কাজ না। যারা এইসব অমানবিক কাজ করে তাদেরকে সাইকোপ্যাথ বলে। সাইকোপ্যাথি এক ধরনের পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার বা ব্যক্তিত্বের স্খলন। বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার-এর নানারকম ধরণ আছে। এগুলোর মধ্যে নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার-কে সবচেয়ে গুরুতর মনে করা হয়ে থাকে। কারণ, এইরকম পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার স্বেচ্ছায় বেছে নেয়া আচরণ হিসেবে গড়ে ওঠে। কমিটেড প্রেমের মানুষের প্রতি প্রতিশ্রুতি, বিশ্বাস ও নৈতিক দায়বোধকে লংঘন করে অন্যসব মানুষের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখাকে তারা অন্যরকম যোগ্যতা মনে করে। এইসব অপরাধে অনুতপ্ত হবার চাইতে তারা বিকৃত এক ধরনের আনন্দ অনুভব করে। অস্বাভাবিক এই আনন্দ তাদেরকে নেশার মতো আঁকড়ে ধরে। তাই তারা এই আচরণ থেকে বের হতে পারে না। এদের মধ্যে কোনও সহানুভূতি, কৃতজ্ঞতাবোধ, অপরাধোবোধ কাজ করে না। কোনও সম্পর্কেই এরা সততা ও বিশ্বস্ততা বজায় রাখতে পারে না। এবং একারণে তাদের কোনও সম্পর্কই বেশিদিন স্থায়ী হয় না।
ফেসবুক, টিন্ডার, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদির মতো ভার্চুয়াল মাধ্যমের মানুষের কাছ থেকে পাওয়া এটেনশন, ভ্যালিডেশন, প্রেইস ইত্যাদি বাস্তবের মানুষের দেয়া প্রেমের অনুভূতির চাইতে প্রাধান্য পেয়ে যায়। এইভাবে দিনে দিনে বাস্তবের মানুষ বা প্রেমের মানুষটা তাদের কাছে আকর্ষণ হারিয়ে ফেলে, অন্য অনেকের ভিড়ে একটা অপশন বিবেচনা করা হয় তাকে, সাবজেক্ট থেকে অবজেক্ট বানিয়ে ফেলা হয় তাকে। ফলে একের পর এক মানুষ জীবনের তরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রেমের সম্পর্ক, পারিবারিক সম্পর্ক ভেঙে পড়ে।
এখন থেকে এই পেইজ এ ধরনের মানুষ সম্পর্কে নানাবিধ তথ্য তুলে ধরবে। এইসব মানুষের বাইরের ও ভেতরের চরিত্র বা মুখ ও মুখোশের স্বরূপ তুলে ধরবে। যাতে এই ধরনের সাইকোপ্যাথ বা স্খলিত চরিত্রের মানুষের হাত থেকে নিরপরাধ মানুষের রেহাই মেলে।