11/09/2024
"পাইলস কেয়ার বিডি"
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্বাস্থ্যকর & তাজা সুস্বাদ খাবার খাওয়া জরুরি। তেমনই কিছু খাবার নিয়মিত খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করবে... ‼️
★ লেটুস-পাতা
লেটুস বা লেটুস পাতা খুবই উপকারী একটি সবজি। বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে এর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। লেটুস কাঁচাই খাওয়া যায়। খেতে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর হওয়ায় লেটুস পাতা পছন্দের তালিকায় রাখছেন অনেকেই। চলুন জেনে নিই, লেটুস পাতার উপকারিতা-
১. লেটুস আঁশযুক্ত সবজি বলে এটা খাবার দেহের জন্য উপকারী। এটি হজমও হয় দ্রুত। লেটুসে অতি অল্প পরিমাণে কোলেস্টরেল রয়েছে এবং হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।
২. সব ধরনের সবুজ পাতার সবজিতে কিছু না কিছু আয়রন রয়েছে। নারীদের ঋতু চলাকালে যে রক্ত বের হয়ে যায়, সে সময় আয়রনের প্রয়োজন হয়। গর্ভবতী অবস্থাতেও আয়রনের প্রয়োজন পড়ে। তাই খাবারের সঙ্গে পছন্দমতো উপায়ে লেটুস ব্যবহার করুন।
৩. প্রোটিন দেহের পেশী গঠনে মূল ভূমিকা রাখে। খুব অল্প পরিমাণ প্রোটিন থাকলেও প্রতিদিন পেতে লেটুস একটি উপায় হতে পারে। তাই সালাদে শিমের বিচির সঙ্গে লেটুস ব্যবহার করলে প্রচুর প্রোটিন পাবেন।
৪. লেটুস পাতায় কম পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। তবুও নিয়মিত ক্যালসিয়াম পেতে পারেন লেটুস থেকে। হাড় এবং দাঁতের গঠনে ক্যালসিয়ামের বিকল্প নেই। অন্যান্য ক্যালসিয়ামপূর্ণ খাবারের সঙ্গে লেটুস মেশাতে পারেন।
৫. লেটুসে কয়েক ধরনের ভিটামিন ‘বি’ রয়েছে।
৬.পটাসিয়াম রক্তের জন্য উপকারী। রক্তে পটাসিয়ামের পরিমাণ অতিমাত্রায় কমে গেলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকে। লেটুস পাতা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ পটাসিয়াম পাওয়া যায়
★ তোফু বা টোফু
টোফুতে অনেক স্বাস্থ্যকর উপাদান রয়েছে, যেমন সয় আইসোফ্লাভোন, সয় সাপোনিন এবং সয় প্রোটিন। আরোও, টোফু হাইলি পুষ্টিকর খাদ্য যা অনেক স্বাস্থ্যসুবিধা দেয়। সবুজ খাবার ও মাংসের খাবার উভয়ই টোফু খাওলে সুবিধা পাবে। এখানে টোফু খাওয়ার কিছু সুবিধাও দেখানো হলঃ
1. কোলেস্টেরল কমানো: টোফুতে সয় আইসোফ্লাভোন রয়েছে যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোয়া সাহায্য করে, এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো হয়। উত্তেজনার জন্য, মহিলাদের জন্য সয় আইসোফ্লাভোন এসেছে যা এস্ট্রোজেনের মতো কাজ করে। মহিলাদের হরমোন সিক্রিয়া যখন ৩০ বা ৪০ বছরের পরে ধীরে ধীরে কম হয়, তখন ওজন বাড়ানো হতে পারে। টোফু মহিলা হরমোন সম্পূর্ণ করতে পারে, সোয়া আইসোফ্লাভোন এস্ট্রোজেন সম্পূর্ণ করতে পারে।
2. হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে: টোফুতে অধিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা স্বাস্থ্যমূলক হাড় বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয়।
3. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়: টোফুতে সয় ইসোফ্লাভোন রয়েছে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
4. মেটাবলিজম বাড়ায়: টোফুতে প্রোটিন এবং ডায়েটারি ফাইবার মেটাবলিজম উন্নত করতে সাহায্য করে এবং শরীরের ক্যালরি আরামে পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য সাহায্য করে।
5. সয় স্যাপোনিন রয়েছে, যা চর্বি সংগ্রহ বন্ধ করতে পারে।
6. সয় ভিটামিন ই এবং ভিটামিন বি গ্রুপে ধনী, যা মেটাবলিজম উন্নতি করতে পারে, এবং সয় প্রোটিন আঁতের পরিবেশ উন্নতি করতে পারে।
7. টোফু ধারাবাহিক ফাইবারে ধনী, ক্যালরি কম, এবং কম গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স (শুধুমাত্র 40 এর জন্য জি মান) যা রক্তের চিমটি উঠানো দ্রুত করে এবং মানুষকে অনভোজন অনুভব করায়।
★ টমেটো
টমেটো শীতের ফল হলেও এখন সারা বছরই পাওয়া যায়। তবে শীতের সময় এই সবজির স্বাদ অন্য সময়ের চেয়ে আলাদা।
সালাদ হিসেবে ও রান্না টমেটো খুবই সুস্বাদু। টমেটোতে ভিটামিন এ কে, বি১, বি৩, বি৫, বি৬, বি৭ ও ভিটামিন সিসহ নানা প্রাকৃতিক ভিটামিন পাওয়া যায়।
এ ছাড়া এতে ফোলেট, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্রোমিয়াম, কোলিন, কপার এবং ফসফরাসের মতো খনিজও থাকে।
নিয়মিত টমেটো খাওয়ার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে-
আসুন জেনে নিই টমেটো খাওয়ার উপকারিতা-
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খেতে পারেন টমেটো।
ভিটামিন সিসমৃদ্ধ টমেটো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং স্ট্রেস হরমোন কমায়। এ কারণে নিয়মিত টমেটো খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে এবং শরীর সুস্থ থাকে।
২. টমেটা খেলে শরীরের রক্তশূন্যতা দূর হয়। নিয়মিত দু-একটি করে টমেটো খেলে রক্তের কণিকা বৃদ্ধি পায়, রক্তশূন্যতা রোধ হয়। এ ছাড়া রক্ত পরিষ্কার, হজমে ভালো হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
৩. টমেটোতে থাকা লাইকোপিন ত্বকের ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বক পরিষ্কার ও সতেজ রাখে।
৪. টমেটোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে ১১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। এ কারণে নিয়মিত টমেটো খেলে হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
৫. টমেটো ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সির ভালো উৎস। এ দুটি উপাদান ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে শরীরকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। এতে শরীর সুস্থ থাকে।
৬. টমেটোতে থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন বি এবং পটাশিয়াম কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সেই সঙ্গে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৭. টমেটো ক্রোমিয়াম নামক এক ধরনের খনিজ থাকায় এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এ কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী।
★ কাঁচা শসা
শীতকালে শসা খাওয়ার পরিমাণটা বাড়িয়ে দিলে উপকার হয়। এমনটি বলেছেন স্বাস্থ্য সচেতনরা।
কারণ, সারা বছরের সেরা খাবারগুলো পাওয়া যায় এই শীতকালে। বিয়ে, বনভোজন, পর্যটন, চড়ুইভাতি ধরনের সব আয়োজনটা বেশি হয় শীতকালেই।
এই সুযোগে খেদ মিটিয়ে খেয়ে নেন ভোজনরসিকেরা। আর এসব খাবার থেকে শরীরে জমা হয় টক্সিন।
সর্বশেষ জাতীয় আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিনোদন খেলা স্বাস্থ্য তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা চট্টগ্রাম প্রতিদিন
search
নিয়মিত শসা খেলে মিলবে ৮ উপকার
লাইফস্টাইল ডেস্ক
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
নিয়মিত শসা খেলে মিলবে ৯টি উপকার
শীতকালে শসা খাওয়ার পরিমাণটা বাড়িয়ে দিলে উপকার হয়।
খারাপ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা সমস্যারও সম্মুখীন হতে হয়। বেড়ে যায় ওজন।
শসা খেলে এই টক্সিনের মাত্রা কমে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শসায় প্রচুর পরিমাণে পানিসহ ভিটামিন সি এবং কে রয়েছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
শসা খেলে কি কি উপকার মেলে -
১) শরীরকে ডিটক্সিফাই করে
শসায় যে পানি থাকে, তা আমাদের দেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে অনেকটা অদৃশ্য ঝাড়ুর মতো কাজ করে। নিয়মিত শসা খাওয়ায় কিডনিতে সৃষ্ট পাথরও গলে যায়।
২) ভিটামিনের শূন্যতা পূরণ করে
প্রতিদিন আমাদের দেহে যেসব ভিটামিনের দরকার হয়, তার বেশিরভাগই শসার মধ্যে বিদ্যমান। ভিটামিন এ, বি ও সি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও শক্তি বাড়ায়। সবুজ শাক ও গাজরের সঙ্গে শসা পিষে রস করে খেলে এই তিন ধরনের ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হবে।
৩) হজম ও ওজন কমাতে সহায়ক
শসায় উচ্চমাত্রায় পানি ও নিম্নমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান রয়েছে। ওজন কমাতে শসা আদর্শ টনিক। শীতে স্যুপ, সালাদ ও নুডলস বেশি খাওয়া হয়। আর এতে বেশি বেশি শসা ব্যবহার করলে ভালো। শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
৪) চোখের জ্যোতি বাড়ায়
রূপচর্চার সময় অনেকেই দেখা যায় শসা না খেয়ে গোল করে কেটে দুই চোখের ওপর দিয়ে রাখছেন। কারণ, তারা জানেন, এটা করলে চোখের পাতায় জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে দেয় শসা। আর চোখের জ্যোতি বাড়াতেও কাজ করে এটি। চোখের প্রদাহপ্রতিরোধক উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকায় ছানি পড়া ঠেকাতেও এটি কাজ করে।
৫) ত্বকবান্ধব খনিজের সরবরাহকারী
রূপচর্চায় অন্যতম নিয়ামক শসা। এর মধ্যে থাকা উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। এজন্য গোসলের সময় শসা ব্যবহার করেন অনেকে।
৬) চুল ও নখ সতেজ করে
শসার মধ্যে যে খনিজ সিলিকা থাকে তা আমাদের চুল ও নখকে সতেজ ও শক্তিশালী করে তোলে। এছাড়া শসার সালফার ও সিলিকা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৭) ইউরিক অ্যাসিড কমায়
শসায় প্রচুর পরিমাণে সিলিকা আছে, যা শরীরে জমা ইউরিক অ্যাসিড কমায়। এতে বাতব্যথা থেকে অনেকটাই রেহাই মেলে। গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেলে শরীরের ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নেমে আসে। এতে গেঁটেবাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৮) মাথাব্যথা কমায় শসা
ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক স্লাইস শসা খেয়ে নিলে রাতে ঘুম ভালো হয়। ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথা হালকা লাগে। মাথাধরা থেকে মুক্তি মেলে। ম্যাজম্যাজ করা শরীর ফ্রেস লাগে। শসায় থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও সুগারের ফলে এটি ঘটে।
৯) ক্যানসার প্রতিরোধ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে
শসায় সিকোইসোলারিসিরেসিনোল, ল্যারিসিরেসিনোল ও পিনোরেসিনোল—এ তিনটি আয়ুর্বেদিক উপাদান আছে। জরায়ু, স্তন ও মূত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্ন স্থানে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমানোর সঙ্গে এই তিন উপাদানের জোরালো সম্পর্ক রয়েছে। ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দেয়, কোলস্টেরল কমায় ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
[★★ নিয়মিত হেল্থ রিলেটেড আপডেট পেতে আমাদের সাথে থাকুন...‼️★★]
Piles Care bd
আপনাদের সুস্থতায়,
আমাদের সফলতা...‼️
Piles Care