Imran Mazhari., KhilKhet Dhaka (2025)

09/09/2025

আশিক জ্বিন, হিংসা, হাসাদ ও যাদুতে আক্রান্ত লক্ষণসমূহ:

(আপনি যদি এসব সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন)

নিচের লক্ষণগুলো কারো মধ্যে থাকলে বুঝবেন – আশিক জ্বিন, যাদু, হিংসা বা হাসাদের প্রভাব থাকতে পারে:

🔸 মানসিক ও শারীরিক লক্ষণঃ

1. ঘন ঘন যৌন স্বপ্ন (নিজের সাথে মিলনের মত স্বপ্ন)।

2. হস্তমৈথুনের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া।

3. বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে বিরক্তি, বিবাহের প্রতি ভয়।

4. বিয়ের আগেই বাগদান বাতিল হওয়া বা বাধা আসা।

5. অকারণে সন্দেহ, ঘৃণা ও একাকীত্বে সুখবোধ।

6. অলসতা ও ঘুমে ডুবে থাকা, কবর বা মরণ সংক্রান্ত স্বপ্ন।

7. শরীর গরম হওয়া, শ্বাসরোধ অনুভব, অন্ধকার বা মূর্তি দেখা।

8. মৃত্যুভয়, আত্মহত্যার চিন্তা, আত্মীয়দের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়া।

9. দাম্পত্য কলহ, ডিভোর্সের দিকে যাওয়া, সন্তান ধারণে বিলম্ব।

10. পেট ফোলা, তলপেটে ব্যথা, জয়েন্ট বা পিঠে ব্যথা।

11. অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া, অতিরিক্ত চুল পড়া।

12. অকারণে ফোকাস করতে না পারা, বিষণ্নতা বেড়ে যাওয়া।

13. বাসায় পোকা-মাকড় বৃদ্ধি বা আশেপাশে মৃত প্রাণীর উপস্থিতি।

🔸 আ-ত্মহ-ত্যাপ্রবণ ও গভীর মানসিক সংকটঃ

1. পূজা বা হিন্দু আচার দেখে ভয় পাওয়া বা মন্দির দেখা।

2. একাকীত্বকে ভালো লাগা, আত্মীয়-বন্ধুদের থেকে দূরে থাকা।

3. রাতে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া।

4. শরীর ভারী অনুভব হওয়া, মাথা ব্যথা ও উত্তপ্ত অনুভূতি।

5. রাগ ও হতাশা বাড়া, বাসা থেকে পালিয়ে যেতে মন চাওয়া।

6. উদাসীনভাবে তাকিয়ে থাকা ও মৃত্যুকামনা করা।

📌 আপনি যদি উপরোক্ত লক্ষণগুলোর একাধিকটি নিজের মধ্যে খুঁজে পান, তাহলে সময় নষ্ট না করে দ্রুত রুকইয়াহ ডায়াগনোসিস সেশন করুন।

⚠️ সতর্ক বার্তা:

নিজে নিজে রুকইয়াহ করার পূর্বে অভিজ্ঞ রাক্বীর পরামর্শ না নিলে সমস্যা আরও জটিল হতে পারে।

আমাদের চিকিৎসা বিষয়ক কার্যক্রম:
যাদুটোনা,বদনজর,খুরুজ,ওয়াসওয়াসা,হিংসা ও হাসাদ,পারিবারিক অশান্তি,বন্ধ্যাত্ব,মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতা ইত্যাদি।

সরাসরি রুকইয়াহ করতে যোগাযোগ করুন আমাদের রুকইয়াহ হেল্পলাইনে।

হেল্পলাইন নাম্বার:
☎️ 01981-681952 হোয়াটসঅ্যাপ
☎️ +8801992-685692
🕰 যোগাযোগের সময়: সকাল ১০টা – সন্ধ্যা ৭টা

সেন্টারের ঠিকানা:
খাঁন ভিলা, হোল্ডিং- খ-১০০/৬/২
আবুল সড়ক, নামাপাড়া, বোডগাট মসজিদের একটু আগে,খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯

Healing Nobabi Sunnah

08/09/2025

যাদু কেন্দ্রিক শারীরিক অ- সুস্থতা!

🔹 সমস্যার বাস্তবতা:
✅ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পেটে যাদু থাকে।
✅ পেটের যাদু যত শক্তিশালী হয়, অসুস্থতাও তত বেশি ও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

🔹 প্রাথমিক চিকিৎসা সরাসরি রুকইয়াহ করা এবং রাক্বির সাজেশন অনুযায়ী সেল্ফ রুকইয়াহ অডিও শোনা।

সাপ্লিমেন্ট খাওয়া এতে যাদুর প্রভাব অনেকাংশে কমে যায় এবং রোগী ধীরে ধীরে সুস্থতার দিকে অগ্রসর হয়।

🔹 সরাসরি রুকইয়াহ করার পাশাপাশি ইস্তেফরাগ তথা বমি করা। যদি যাদু অত্যন্ত শক্তিশালী হয়, তখন প্রয়োজন হয়।

ইস্তেফরাগ (বমি)

ইসহাল (লুজমোশন)

বমি বা লুজমোশনের দুটি উপায়ঃ

1️⃣ রুকইয়াহ বা সাপ্লিমেন্টের প্রভাবে স্বাভাবিকভাবে হওয়া।
2️⃣ সাপ্লিমেন্ট বা পড়া পানি পান করে সচেতনভাবে করানো।

🔹 আক্রান্ত হওয়ার রোগীর জন্য করণীয়:

⚠️ প্রতিটি রোগ ভিন্ন, তাই রোগী ভেদে চিকিৎসা করা উচিত।

⚠️ অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ রাক্বির সাথে কনসাল্ট করে সমস্যার যথাযথ সমাধান করতে হবে।

⚠️ সফল রুকইয়াহ চিকিৎসার প্রথম ধাপই হলো সঠিক যাচাই-বাছাই ও উপযুক্ত গাইডলাইন অনুসরণ করা।

আলহামদুলিল্লাহ, ইতিপূর্বে অনেক রোগী এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে উপকার পেয়েছেন।

সঠিক নিয়মে চিকিৎসা করলে মা-জলুম ভাই-বোনদের অনেক উপকারে আসবে, ইনশাআল্লাহ।

উপরোল্লিখিত বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে ও সরাসরি রুকইয়াহ করতে যোগাযোগ করুন আমাদের রুকইয়াহ হেল্পলাইনে।

হেল্পলাইন নাম্বার:
☎️ +8801981-681952 হোয়াটসঅ্যাপ
☎️ +8801992-685692
🕰 যোগাযোগের সময়: সকাল ১০টা – সন্ধ্যা ৭টা

সেন্টারের ঠিকানা:
খাঁন ভিলা, হোল্ডিং- খ-১০০/৬/২
আবুল সড়ক, নামাপাড়া, বোডগাট মসজিদের একটু আগে,খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯

Healing Nobabi Sunnah

04/09/2025

ব্যবসায় লোকসান? ঋণের জর্জরিত??

আপনার কি প্রতিনিয়ত ব্যবসায় লোকসান হচ্ছে❓

কোনো কারণ ছাড়াই ব্যবসায় একের পর এক ধস নেমে যাচ্ছে❓

আপনি ১০ টাকার ঋণ থেকে ৫০ টাকার ঋণে জড়িয়ে যাচ্ছেন❓

➡️ জেনে রাখুন, এগুলো হতে পারে জ্বীন-যাদু, বদনজর ও হাসাদের প্রভাব। এ থেকে মুক্তির একমাত্র শরঈ সমাধান হলো কোরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে রুকইয়াহ শারইয়্যাহ।

আল্লাহ তাআলা বলেন –

وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاءٌ وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ📖

(সূরা ইসরা – ৮২)

আমি কোরআন নাজিল করেছি, যা মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত।

আরো বলেন –

قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ. مِن شَرِّ مَا خَلَقَ. وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ. وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ. وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ

(সূরা ফালাক – ১-৫)

বলুন, আমি আশ্রয় চাই প্রভাতের পালনকর্তার নিকট... এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে, যখন সে হিংসা করে।

রাসূল ﷺ বলেছেন –

আল্লাহ যে রোগ সৃষ্টি করেছেন, তার সাথে চিকিৎসাও সৃষ্টি করেছেন। (সহিহ বুখারী: ৫৬৭৮)

অন্য হাদিসে এসেছে –

যে ব্যক্তি আয়াতুল কুরসি পড়বে, আল্লাহ তাকে জ্বীন-শয়তান থেকে হেফাজত করবেন।
(সহিহ বুখারী, সহিহ মুসলিম)

🔹 প্রতিদিন ফজর ও মাগরিবের পর কোরআনুল কারীমের রুকইয়াহ আয়াত পড়া।

🔹 নিয়মিত সূরা ফালাক, সূরা নাস, আয়াতুল কুরসি পড়া।

🔹 রাক্বির পরামর্শ অনুযায়ী রুকইয়াহ অডিও শোনা ও আমল করা।

এটাই হলো আপনার ব্যবসা, রিজিক, মানসিক শান্তি ও ঋণমুক্ত জীবনের প্রকৃত সমাধান –
রুকইয়াহ শারইয়্যাহ (কোরআন ও হাদিস ভিত্তিক চিকিৎসা)।

সরাসরি রুকইয়াহ করতে যোগাযোগ করুন আমাদের রুকইয়াহ হেল্পলাইনে।

হেল্পলাইন নাম্বার:
☎️ 01981-681952 হোয়াটসঅ্যাপ
☎️ +8801992-685692
🕰 যোগাযোগের সময়: সকাল ১০টা – সন্ধ্যা ৭টা

সেন্টারের ঠিকানা:
খাঁন ভিলা, হোল্ডিং- খ-১০০/৬/২
আবুল সড়ক, নামাপাড়া, বোডগাট মসজিদের একটু আগে,খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯

Healing Nobabi Sunnah

02/09/2025

আয়-উন্নতি বন্ধ বা বাঁধা তৈরীর যাদুর!

একজন মানুষ এবং তার পরিবারের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ধ্বংস করার জন্য “আয়-উন্নতি বন্ধ বা বাঁধা তৈরীর যাদু” যথেষ্ট!

এই যাদু এতটাই ভয়ঙ্কর যে এর প্রভাবে মানুষের সার্বিক জীবন ব্যাহত হয়ে পড়ে। অনেক সময় এ যাদুতে জীনের সাহায্য নেওয়া হয়। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে একজন খাদেম জীন সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থেকে যাদুটি পুনঃনবায়ন করতে থাকে এবং নানা প্রকার অনিষ্টটা তৈরী করে।

যতক্ষণ পর্যন্ত এর সঠিক চিকিৎসা অর্থাৎ শরীয়াহ সম্মত রুকইয়াহ না করা হয়, আক্রান্ত ব্যক্তির অবস্থা ধীরে ধীরে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আল্লাহু আলাম।

সাধারণত এ ধরনের যাদুতে আক্রান্ত হলে নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়ঃ

1. প্রায় সময় শরীর গরম থাকা।

2. হঠাৎ শরীরের শক্তি কমে যাওয়া, দুর্বলতা ও অলসতা অনুভব করা।

3. রুজি-রোজগার, পড়ালেখা, চাকরি ও সার্বিক উন্নতিতে বারবার বাধা আসা।

4. টেনশন, হতাশা, বিষণ্ণতা ও অস্থিরতা কাজ করা।

5. অকারণে মেজাজ গরম থাকা ও মানসিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দেওয়া।

6. মাথা গরম থাকা বা প্রায় সময় মাথা ব্যথা করা।

7. চাকরি বা ব্যবসায় অমনোযোগী হয়ে পড়া, চাকরি চলে যাওয়া বা ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়া।

8. দীর্ঘদিন বেকার থাকা এবং কোনোভাবেই কর্মসংস্থানের সুযোগ না পাওয়া।

9. নে-শাগ্রস্ত হয়ে পড়া এবং হারামে জড়িয়ে পড়া।

10. মেয়েদের বিয়ে বা কর্মসংস্থানের সুযোগ না হওয়া।

11. হঠাৎ করে অতিরিক্ত অপচয় বা অর্থ নষ্ট করা।

12. অন্যদের সাথে আলোচনা/পরামর্শকে গুরুত্ব না দেওয়া এবং নিজেকে বুদ্ধিমান মনে করা।

13. নিজের খেয়ালখুশি মতো চলা।

14. পরিবারের সদস্যদের সাথে মনোমালিন্য, ঝ-গড়া, এমনকি মা-রামারি পর্যন্ত গড়ানো।

15. ঘরের খাবার অপছন্দ করা এবং বাইরে খাবারের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি তৈরি হওয়া।

16. হঠাৎ করে স্বাস্থ্যের অব-নতি হওয়া।

17. সহকর্মীদের সাথে ম-নোমালিন্য, ঝ-গড়া ও মা-রামা-রি হওয়া।

✅ উপরে উল্লিখিত লক্ষণগুলোর সাথে আপনার বা আপনার পরিবারের অবস্থা মিল পেলে দেরি না করে দ্রুত শরীয়াহ সম্মত রুকইয়াহ করুন।

✅ যাদু, জিন ও জিন-যাদু সংক্রান্ত সমস্যার একমাত্র কার্যকর সমাধান হলো রুকইয়াহ।

✅ পাশাপাশি অভিজ্ঞ রাক্কীর দেওয়া সেলফ রুকইয়াহ নির্দেশনা নিয়মিত অনুসরণ করা আবশ্যক।

সরাসরি রুকইয়াহ করতে যোগাযোগ করুন আমাদের রুকইয়াহ হেল্পলাইনে।

হেল্পলাইন নাম্বার:
☎️ 01981-681952 হোয়াটসঅ্যাপ
☎️ +8801992-685692
🕰 যোগাযোগের সময়: সকাল ১০টা – সন্ধ্যা ৭টা

সেন্টারের ঠিকানা:
খাঁন ভিলা, হোল্ডিং- খ-১০০/৬/২
আবুল সড়ক, নামাপাড়া, বোডগাট মসজিদের একটু আগে,খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯

Healing Nobabi Sunnah

01/09/2025

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের অবনতি ঘটে আইন ও হাসাদের (বদনজর ও হিংসা) কারনে। এমন পরিস্থিতিকে যাদু ভেবে অনেকে ভুল করে চিকিৎসার জন্য কবিরাজ, ভন্ড হুজুর, ওঝা, তান্ত্রিকদের কাছে গিয়ে উল্টো নিজেরাই জ্বিন যাদুতে আক্রান্ত হয়ে যায়।

জ্বিন, যাদু, আইন ও হাসাদের একমাত্র সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে রুকইয়াহ ও হিজামা। আপনার যেকোনো প্যারানরমাল সমস্যার জন্য একজন রাক্বীর পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং রাক্বীর তত্ত্বাবধানে ও পরামর্শে সরাসরি ডায়াগ্নোসিস রুকইয়াহ্ করে কনফার্ম হোন আপনার মুল সমস্যা কি। রাক্বীর দেয়া গাইড লাইন মেনে চলুন ইনশাআল্লাহ খুব দ্রুতই সুস্থ হয়ে যাবেন।

31/08/2025

সিহরুত তা’তীল (প্রতি-ব-ন্ধকতার যাদু)

ভয়ংকর যাদুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর এক প্রকার হলো সিহরুত তা’তীল – যাদু যা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অদৃশ্য বাধা তৈরি করে দেয়।

এ যাদুর প্রভাবে মানুষ—
✅ বিয়েতে অজানা বাধার শি-কার হয়।
✅ রিজিক ও উন্নতির পথে বারবার প্রতি-ব-ন্ধকতা আসে।
✅ সন্তান হওয়াতেও বাঁধা তৈরি হয়।

এই যাদুর মূল লক্ষ্য হলো একজন মানুষকে শারীরিক, মানসিক ও পারিবারিকভাবে দুর্বল করে ফেলা। যেখানে বাধা দিলে জীবন থমকে যাবে, সেখানেই আঘাত হানে এই ভয়ংকর যাদু।

উপরোল্লিখিত সমস্যার সমাধান একমাত্র শরীয়তসম্মত রুকইয়াহ চিকিৎসার মাধ্যমেই সম্ভব।
অতএব, শরীয়াহর নির্দেশনা অনুযায়ী রুকইয়াহ চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

Healing Nobabi Sunnah

31/08/2025

কীভাবে বুঝবেন আপনি জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত অথবা জ্বিন আপনাকে আছর বা ভর করে?

আপনি নিজেকে জ্বিন আক্রান্ত মনে করেন কিন্তু বুঝতে পারছেন না কিভাবে যাচাই করবেন?

আপনি জ্বিনে আক্রান্ত কিনা তা যাচাই করতে নিচের লক্ষণগুলো মিলিয়ে দেখুন আপনার সাথে কয়টা লক্ষণ মিলে।

🔰 জ্বিনে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণঃ

✔ ঘুমন্ত অবস্থায় লক্ষণ সমূহঃ

১. নিদ্রাহীনতা অর্থাৎ সারারাত পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া। ঘুম হলেও খুব কম এবং সারাদিন ঘুমঘুম ভাব থাকা।
২. উদ্বিগ্নতার কারনেও রাতে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া।
৩. ঘুমন্ত অবস্থায় অথবা স্বপ্নে ঘনঘন বোবায় ধরা। ঘুমের মধ্যে কেউ চেপে ধরেছে এরকম অনুভূতি হওয়া। নড়াচড়া করতে না পারা।
৪. ঘুমের সময় মাঝেমধ্যে চিৎকার করা, গোঙানো, আবোল-তাবোল বকা, দাঁত কিড়মিড় করা, হাসি বা কান্না করা।
৫. ঘুমন্ত অবস্থায় হাঁটাচলা করা, দৌড় দেওয়া বা উঠে বসা কিন্তু বাস্তবে অনুভব না করা।
৬. স্বপ্নে কোন প্রাণীকে আক্রমণ বা ধাওয়া করতে দেখা। বিশেষ করে সাপ, কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, উট, ষাড় গরু, মহিষ, বাঘ, সিংহ, শিয়াল, পেঁচা, বানর, পাখি বা যেকোনো হিংস্র প্রাণী।
৭. স্বপ্নে নিজেকে অনেক উঁচু কোন স্থান থেকে পড়ে যেতে দেখা।
৮. স্বপ্নে নিজেকে কবরস্থান বা নির্জন এলাকায় আবিষ্কার করা অথবা কোন গোরস্থান, পরিত্যক্ত জায়গা, নদী, মরুভূমি বা খালি সড়কে দেখা। এটি জ্বিনের পাশাপাশি যাদু আক্রান্ত হওয়ারও ইঙ্গিত বহন করে। আর স্বপ্নে একই জায়গা বারবার দেখলে সেখানে যাদুর জিনিস থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
৯. বিশেষ আকৃতির মানুষ দেখা যেমনঃ অনেক লম্বা, খুব খাটো, খুব কালো ইত্যাদি।
১০. মাঝে মধ্যেই ভীতিকর ও আজগুবি স্বপ্ন দেখা অথবা ঘুমের মধ্যে চমকে ওঠা।
১১. স্বপ্নে জ্বিন-ভূত দেখা অথবা অন্যান্য ভয়ানক দুঃস্বপ্ন দেখা। স্বপ্ন দেখে চমকে ওঠা।
১২. স্বপ্নে কারো সাথে ফিজিক্যাল রিলেশন করা বা কেউ এমন করতে চাচ্ছে এমন কিছু দেখা।
১৩. ঘনঘন স্বপ্নদোষ হওয়া।
১৪. কোন বিপদ এলে সেগুলো আগেই স্বপ্ন দেখা।
১৫. ঘুমের মধ্যে খাবার-দাবার খাওয়া।
১৬. যথেষ্ট বয়স হওয়া সত্বেও ছেলে/মেয়েদের বিছানায় প্রস্রাব করা (স্বপ্ন দেখে), ইত্যাদি।

✔ জাগ্রত অবস্থায় লক্ষণ সমূহঃ

১. নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার থেকে আগ্রহ উঠে যাওয়া অথবা এগুলোতে বাধাপ্রাপ্ত হওয়া।
২. নিয়মিত অথবা দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথা, বমি করা, বমি বমি ভাব কিংবা চেহারার রং ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া।
৩. পূর্বের পছন্দ ও অপছন্দের বিষয়গুলো হঠাৎ করে বদলে যাওয়া।
৪. শিশুদের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক কান্নাকাটি করা এবং একটুতেই চমকে ওঠা।
৫. সন্তান বুকের দুধ খেতে না চাওয়া। মা সন্তানকে দুধ খাওয়াতে না চাওয়া।
৬. মাঝেমধ্যে এমন মনে হওয়া যে, কেউ যেন ডাকছে কিন্তু কাউকে খুঁজে না পাওয়া।
৭. স্বরনশক্তি কমে যাওয়া। সবকিছু ভুলতে থাকা বা ভুল করা।
৮. চিন্তা ও মননে দুশ্চিন্তা, হতাশা, অস্থিরতা ও আতঙ্কভাব বিরাজ করা।
৯. প্রচন্ড অলসতা, অবসন্নতা, দুশ্চিন্তা, হতাশা, অস্থিরতা, আতঙ্কভাব কাজ করা।
১০. খুব সামান্য কারণেই যখন-তখন রেগে যাওয়া কিংবা কান্নাকাটি করা।
১১. বিশেষ কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ বেহুশ বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, দাঁতে-দাঁত লেগে ফিট হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যাওয়া।
১২. অস্বাভাবিক আচরণ করা। এমন মনে হওয়া যে, আমি খারাপ আচরণ করতে চাচ্ছি না তবুও কথা বলতে গেলেই নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছি। দুর্ব্যবহার করা, গালিগালাজ করা।
১৩. শরীরের কোন অঙ্গে প্রায় সময় ব্যথা থাকা কিংবা শরীরের কোন অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া। ডাক্তাররা যেখানে সমস্যা খুঁজে পেতে বা চিকিৎসা করতে অপারগ হচ্ছে।
নোটঃ কোন সমস্যা ধরতে না পারা এটা জ্বিন যাদু এবং বদনজরের ক্ষেত্রে বড় একটা লক্ষণ। তবে এটি দীর্ঘদিন আক্রান্ত হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে।
১৪. বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া।
১৫. ব্যাপক অলসতা সবসময় অবসন্নতা ঘিরে রাখা, শরীর ভারী হয়ে থাকা।
১৬. কিছুতেই কোনো কাজে মন না বসা, মনোযোগ বিক্ষিপ্ত।
১৭. কুরআনের তেলাওয়াত অথবা আজান সহ্য না হওয়া।
১৮. দৃষ্টিশক্তি লোপ পাওয়া কিংবা দৃষ্টিভ্রম বা দৃষ্টিবিভ্রাট সৃষ্টি হওয়া।
১৯. হ্যালুসিনেশন বৃদ্ধি পাওয়া। ফলে রোগী জাগ্রত অবস্থাতেই স্বপ্নের মতো বিভিন্ন কিছু দেখতে পায় যা অন্যরা দেখতে পায় না।
২০. সিজোফ্রেনিয়া (Schizophrenia) তে আক্রান্ত হওয়া।
২১. জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত হলে রোগীর মাঝে জ্বিনের স্বভাব প্রকাশ পায় উদাহরণ স্বরূপ, কেউ মুশরিক জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত হলে হিন্দুদের মতো সাজগোছ, মন্দিরের আওয়াজ ইত্যাদির প্রতি আকর্ষণ তৈরি হতে পারে।
২২. টয়লেটে দীর্ঘ সময় ব্যয় করা। একা একা কারো সাথে কথা বলা।
২৩. রাতে কারো ব্যাপারে দুর্ঘটনার স্বপ্ন দেখা এবং পরের দিন সেটা সত্যি হয়ে যাওয়া।
কারো ওপর রেগে গেলে বা অভিশাপ দিলে তার ক্ষতি হওয়া। সড়ক দুর্ঘটনা থেকে বিশেষ ভাবে বেঁচে যাওয়া।
২৪. মাঝে মাঝে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করা এবং হঠাৎ নাস্তিক টাইপের কথা বলা।
২৫. মেয়েদের অনিয়মিত পিরিয়ড হওয়া যেমন মাসে দুইবার হওয়া আবার অনেকের ২/৩ মাসেও একবারও না হওয়া। অতিরিক্ত ব্লিডিং বা খুবই অল্প ব্লিডিং হওয়া।
২৬. স্বামী ও স্ত্রী উভয়ে সুস্থ হওয়া সত্বেও গর্ভধারণ না হওয়া।
২৭. প্রায় সময় ঘুম থেকে উঠার পর কোন কারণ ছাড়াই শরীর ব্যথা করা।
২৮. ঘুম থেকে উঠলে কারন ছাড়াই লজ্জাস্থানে ব্যথা অনুভব করা (বিশেষ লক্ষণ)।
২৯. মৃগীরোগ হওয়া, ইত্যাদি।

এমন ঘটনা যদি সচরাচর ঘটতেই থাকে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার কোন একটা সমস্যা আছে। আর হ্যাঁ, প্রত্যেকের ক্ষেত্রে সব লক্ষনই মিলবে ব্যাপারটা এমন না। তবে সমস্যা থাকলে ৪ থেকে ৫টি বা তারচেয়ে বেশি লক্ষণ মিলে যাবে। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য একজন রাক্বীর কাছে সরাসরি ডায়াগ্নোসিস রুকইয়াহ করে কনফার্ম হতে পারেন।

জ্বিন ও যাদুর সমস্যায় সরাসরি রুকইয়ার বিকল্প নেই। তাই উপরোল্লিখিত ৪/৫ টি লক্ষণ যদি আপনার সাথে মিলে যায় তাহলে সমস্যা আরো জটিল করতে না চাইলে সময় নষ্ট না করে অতিদ্রুত একজন রাক্বীর তত্ত্বাবধানে থেকে রাক্বীর পরামর্শে সরাসরি রুকইয়াহ্ ও পরবর্তী সেল্ফ রুকইয়াহ্ এবং হিজামা চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

29/08/2025

জ্বীন যাদু বদনজর হাসাদ হিংসা ওয়াসওয়াসা রোগব্যাধি ও মানসিক সমস্যায় উপকারী কিছু কুরআনের আয়াত ও সেল্ফ রুকইয়াহ।

নিচের আয়াতসমূহ নিয়মিত সকাল–সন্ধ্যা পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ রোগব্যাধি, মানসিক সমস্যা ও অশান্তি থেকে মুক্তি মিলবে।

📖 সূরা আল-বাকারা (আয়াত ২৪৮)
وَقَالَ لَہُمۡ نَبِیُّہُمۡ اِنَّ اٰیَۃَ مُلۡکِہٖۤ اَنۡ یَّاۡتِیَکُمُ التَّابُوۡتُ فِیۡہِ سَکِیۡنَۃٌ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ...

অর্থ: নবী বললেন, “তার রাজত্বের নিদর্শন এই যে, তোমাদের কাছে আসবে সেই তাবূত, যাতে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে থাকবে প্রশান্তি...”

📖 সূরা আত-তাওবাহ (আয়াত ২৬)
ثُمَّ أَنْزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ عَلَى رَسُولِهِ وَعَلَى الْمُؤْمِنِينَ...

অর্থ: অতঃপর আল্লাহ্ তাঁর রাসূল ও মু’মিনদের ওপর প্রশান্তি বর্ষণ করলেন এবং এমন সৈ-ন্যবাহিনী প্রেরণ করলেন, যা তোমরা দেখতে পাওনি।

📖 সূরা আত-তাওবাহ (আয়াত ৪০)
لَا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ عَلَيْهِ...

অর্থ: “বিষণ্ণ হয়ো না, আল্লাহ তো আমাদের সাথেই আছেন।” অতঃপর আল্লাহ তাঁর প্রশান্তি বর্ষণ করলেন এবং এমন বা-হিনী দিয়ে তাকে শক্তি দিলেন, যা তোমরা দেখতে পাওনি।

📖 সূরা আল-ফাত্‌হ (আয়াত ৪)
هُوَ الَّذِیۡۤ اَنۡزَلَ السَّکِیۡنَۃَ فِیۡ قُلُوۡبِ الْمُؤْمِنِیۡنَ...

অর্থ: তিনি মু’মিনদের অন্তরে প্রশান্তি নাযিল করেছেন, যেন তারা তাদের ঈমানের সাথে ঈমান আরও দৃঢ় করে নেয়।

📖 সূরা আল-ফাত্‌হ (আয়াত ১৮)
فَاَنۡزَلَ السَّکِیۡنَۃَ عَلَیۡہِمْ وَ اَثَابَہُمْ فَتْحًا قَرِیۡبًا...

অর্থ: তখন আল্লাহ তাদের অন্তরের অবস্থা জেনে তাদের উপর প্রশান্তি বর্ষণ করলেন এবং দিলেন আসন্ন বিজয়।

📖 সূরা আল-ফাত্‌হ (আয়াত ২৬)
فَاَنْزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ عَلَى رَسُولِهِ وَعَلَى الْمُؤْمِنِينَ...

অর্থ: তখন আল্লাহ তাঁর রাসূল ও মু’মিনদের ওপর প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং তাদেরকে তাকওয়ার বাক্যে দৃঢ় রাখলেন।

উপকারিতা:
➡️ জ্বীন যাদু বদনজর হাসাদ হিংসা।
➡️ রোগব্যাধি থেকে মুক্তি।
➡️ মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা দূরীকরণ।
➡️ অন্তরে শান্তি ও প্রশান্তি লাভ।

সদাকায়ে জারিয়ার নিয়তে শেয়ার করতে পারেন।

Healing Nobabi Sunnah

27/08/2025

যাদুকরের উপর লানতের সেল্ফ রুকইয়াহ।

১. সূরা আল-ফালাক (১১৩:৪)

وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ

এবং (আমি আশ্রয় চাই) গিঁটে ফুঁ দানকারিণীদের (যাদুকর/যাদুকরীদের) অনিষ্ট থেকে।

➡️ প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় সূরা ফালাক ও নাস পড়ে নিজের উপর ফুঁ দিতে হবে।

২. সূরা আল-বাকারা (২:১০২) – হারূত মারূতের কাহিনী অংশে আল্লাহ বলেন:

وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَـٰكِنَّ الشَّيَاطِينَ كَفَرُوا۟ يُعَلِّمُونَ ٱلنَّاسَ ٱلسِّحْرَ...

সুলাইমান কুফরি করেননি, বরং শয়তানরা কুফরি করেছে। তারা মানুষকে যাদু শিখাতো।

➡️ এ আয়াত পাঠ করলে বোঝা যায়, যাদু কুফরী এবং যাদুকর কা-ফেরের দলভুক্ত।

৩. সূরা আ’রাফ (৭:১১৭–১১৮)

فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ
অতঃপর সত্য প্রতিষ্ঠিত হলো এবং তারা যা করত (যাদু), তা মিথ্যা প্রমাণিত হলো।

এই আয়াত যাদুর বিনাশের জন্য পড়া যায়।

যাদুকরের উপর লা’নতের দোয়া রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
যে ব্যক্তি যাদু করে, সে আল্লাহর লা’নতের অধিকারী।
(হাদিস: তাবরানী, বায়হাকী, সহীহুল জামে – ৫০৭৫)

দোয়া⤵️

اللَّهُمَّ أَبْطِلْ سِحْرَ السَّحَرَةِ وَدَمِّرْهُمْ تَدْمِيرًا، اللَّهُمَّ الْعَنْهُم لَعْنًا كَبِيرًا
উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা আ’বতিল সিহরাস-সাহারাহ, ওয়া দাম্মিরহুম তাদমীরান, আল্লাহুম্মালআনহুম লা’নান কাবীরান।

অর্থ:
হে আল্লাহ! যাদুকরদের যাদু ধ্বং-স করে দাও, তাদের ধ্বং-স করে দাও সম্পূর্ণরূপে। হে আল্লাহ! তাদের উপর বড় লা’নত বর্ষণ কর।

আমল
১. সকাল-সন্ধ্যার আযকার (আয়াতুল কুরসি, সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস ৩ বার করে)।
2. যাদুকরের উপর আল্লাহর লা’নত ও ধ্বংস কামনা করে দোয়া করা।
3. সূরা আ’রাফ ১১৭-১১৮, সূরা ইউনুস ৮১-৮২, সূরা ত্বাহা ৬৯ বারবার পড়া – এগুলো যাদু বিনাশের কোরআনী দোয়া।

সদাকায় জারিয়ার নিয়াতে পোস্ট শেয়ার করে দিন।

Healing Nobabi Sunnah

27/08/2025

তাবিজ ও তামিমা!
কোরআন, হাদিস ও ফকীহদের বক্তব্য।

✅ ১. তাবিজ (تعويذ)

অর্থ কি?
তাবিজ হলো কোনো দোয়া, মন্ত্র, আয়াত বা অক্ষর লিখে কাগজ, কাপড় বা চামড়ায় রেখে তা গলায়, হাতে, কোমরে ঝুলানো, এ বিশ্বাসে যে এটি বিপদ বা রোগ থেকে রক্ষা করবে।

কোরআনের দলিল:
আল্লাহ বলেন—
“তারা আল্লাহকে ছেড়ে এমন কিছু গ্রহণ করেছে যা তাদের ক্ষতি করে, উপকার করে না।”
(সূরা ইউনুস: 106)

আল্লাহ বলেন—
“যদি আল্লাহ তোমাকে কষ্টে ফেলেন, তবে তিনি ছাড়া কেউ তা দূর করতে পারবে না।”
(সূরা ইউনুস: 107)

ব্যাখ্যা:
এগুলো প্রমাণ করে যে, বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা একমাত্র আল্লাহর হাতে। তাবিজের উপর ভরসা করা মানে আল্লাহ ছাড়া অন্যের উপর নির্ভর করা, যা শির্কের অন্তর্ভুক্ত।

হাদিসের দলিল:
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন—
যে তাবিজ ঝুলালো, সে শির্ক করল।
(সুনান আবু দাউদ: 3883, মুসনাদ আহমদ: 17422 – সহিহ)

অন্য হাদিসে এসেছে—
যে তাবিজ, তামিমা বা দম নিলো, সে শির্ক করল।
(মুসনাদ আহমদ: 3615; সহিহুল জামে: 4921)

✅ ২. তামিমা (تميمة)

অর্থ কি?
তামিমা হলো এক ধরনের তাবিজ, যা মূলত শিশুদের গলায় ঝুলানো হতো জাহেলিয়াত যুগে, এ বিশ্বাসে যে বদনজর, জ্বীন বা রোগ থেকে রক্ষা করবে।

হাদিসের দলিল:
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন "তামিমা হলো শির্ক।"
(সুনান ইবনে মাজাহ: 3531, মুসনাদ আহমদ: 3615 – সহিহ)

আরেক হাদিসে এসেছে—
যে তামিমা ঝুলালো, আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন না। আর যে শির্কের তাবিজ ঝুলালো, আল্লাহ তাকে নিরাপত্তা দেবেন না। (মুসনাদ আহমদ: 16951 – সহিহ)

✅ ৩. ফকীহ ও আলেমদের ব্যাখ্যা

◼ ইবনে মাসউদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু):

তিনি বলেন “তাবিজ, তামিমা ও তাওয়ালা (ভালোবাসা আনার জাদু) সবই শির্ক। (সুনান আবু দাউদ: 3883)

◼ ইমাম ইবনে তাইমিয়াহ (রাহিমাহুল্লাহ):

তিনি বলেন “যে তাবিজে অজানা অক্ষর, শির্ক, জাদুমন্ত্র থাকে তা হারাম ও কুফর। আর যদি তাতে কুরআনের আয়াতও থাকে, তবুও শরীরে ঝুলানো বিদআত। রাসূল ﷺ বা সাহাবীরা এটি ব্যবহার করেননি।” (মাজমু‘ ফাতাওয়া, 19/64)

◼ ইমাম ইবনে কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)

তিনি বলেন “তাবিজ ঝুলানো দুই প্রকার:

১️/-
যদি তাতে শির্ক থাকে, তবে এটি সর্বসম্মতভাবে হারাম।

২️/-
যদি তাতে কুরআন বা আল্লাহর নাম থাকে, তবে এটিও নিষিদ্ধ, কারণ সাহাবীদের আমল নয়। প্রকৃত প্রতিকার হলো রুকইয়াহ (কুরআন তেলাওয়াত ও দোয়া), তাবিজ নয়। (যাদুল মা‘আদ, 4/170)

◼ ইমাম নওবী (রাহিমাহুল্লাহ):

তিনি বলেন “তাবিজ ও তামিমা ব্যবহার করা সম্পূর্ণরূপে হারাম। কুরআন বা আল্লাহর নাম লিখেও ঝুলানো বৈধ নয়। কারণ এটা শরীয়তসম্মত পদ্ধতি নয়।” (শরহ সহিহ মুসলিম,14/168)

✅ ৪. ইসলামে বৈধ চিকিৎসা:

তাবিজ-তামিমা না ব্যবহার করে আমাদের উচিত—

1️⃣ কুরআন তেলাওয়াত (সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সূরা ফালাক, সূরা নাস)

2️⃣ রাসূল ﷺ প্রদত্ত দোয়া (সকাল-সন্ধ্যার যিকর)

3️⃣ রুকইয়াহ শারইয়াহ।

4️⃣ আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখা।

চূড়ান্ত কথা:
তাবিজ ও তামিমা উভয়ই শির্ক। আল্লাহ ছাড়া কারো উপর ভরসা করা যায় না। রাসূল ﷺ, সাহাবা, তাবেয়ী বা চার ইমামের যুগে কুরআনের আয়াত লিখে গলায় ঝুলানোর প্রমাণ নেই। বৈধ প্রতিকার কেবল রুকইয়াহ শারইয়াহ, দোয়া ও যিকর।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে বোঝার তাওফিক দান করেন এবং শির্ক কূফর মুক্ত চিকিৎসা ও জীবন চলা সহজ করে দিন। আমীন।

Healing Nobabi Sunnah

26/08/2025

যদি আপনি নিশ্চিত হন যে আপনার আত্মীয়রা যাদু করছে, তাহলে তাদের পরিত্যাগ করুন, তাদের সাথে বন্ধন ছিন্ন করুন এবং তাদেরকে সালামও দিবেন না, কারণ তারা কাফের।

🎙 শায়েখ সালেহ আল-ফাওজান।

26/08/2025

স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটানোর যাদুর লক্ষণ:

১️⃣ সামান্য বিষয় নিয়েই উভয়ের মধ্যে বড় ধরনের মতানৈক্য ও ঝগড়া-বি–বাদ শুরু হয় — অথচ অন্যদের সাথে এমনটা হয় না।

২️⃣ একজনের কাছে অপরজনের সব কাজ–কর্ম বিরক্তিকর ও অপছন্দনীয় মনে হয়।

৩️⃣ হঠাৎ ভালোবাসা থেকে শত্রুতার দিকে চলে যাওয়া।

4️⃣ একে অপরকে ক্ষমা না করা ও ক্ষমা চাইতে না চাওয়া।

5️⃣ পরস্পরের প্রতি তীব্র সন্দেহের সৃষ্টি হওয়া।

6️⃣ স্বামী–স্ত্রীর একজনের চেহারা অপরজনের চোখে বিকৃত বা খারাপ মনে হওয়া।

7️⃣ একে অপরের ব্যবহার করা জিনিসপত্র বা বসার জায়গা অপছন্দ হওয়া।

8️⃣ একে অপরের উপস্থিতি সহ্য করতে না পারা — স্বাভাবিকভাবে ঠিক থাকলেও সঙ্গীর কাছে এলেই অকারণ ঝগড়া শুরু হওয়া।

9️⃣ স্বামী বাসায় ডুকলেই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া।

🔟 কথায় কথায় ভুলত্রুটি ধরা, অকারনে স্ত্রী কে মা-রধর করা। ইত্যাদি।

উপরোল্লিখিত লক্ষণগুলোর মধ্যে ১–২টা মিললেই সমস্যা আছে বলে প্রমাণ হবে না। তবে ৫–৭টি লক্ষণ একসাথে পাওয়া গেলে যাদু বা জ্বিনের প্রভাব থাকতে পারে।

এ ধরনের যাদু–জ্বিনের সমস্যায় একমাত্র কার্যকর সমাধান হলো রুকইয়াহ শ্যারঈয়াহ।

সরাসরি রুকইয়াহ করতে যোগাযোগ করুন আমাদের রুকইয়াহ হেল্পলাইনে।

হেল্পলাইন নাম্বার:
☎️ 01981-681952 হোয়াটসঅ্যাপ
☎️ +8801992-685692
🕰 যোগাযোগের সময়: সকাল ১০টা – সন্ধ্যা ৭টা

সেন্টারের ঠিকানা:
খাঁন ভিলা, হোল্ডিং- খ-১০০/৬/২
আবুল সড়ক, নামাপাড়া, বোডগাট মসজিদের একটু আগে,খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯

Healing Nobabi Sunnah

Imran Mazhari.

09/09/2025

08/09/2025

04/09/2025

02/09/2025

01/09/2025

31/08/2025

31/08/2025

29/08/2025

27/08/2025

27/08/2025

26/08/2025

26/08/2025

Address

Website

Alerts

Shortcuts

Share