A.Amin

A.Amin জীবন মানে যুদ্ধ কখন ভুল কখন শুদ্ধ।

13/07/2023

আমি তো প্রথম বিশ্বাস করে ফেলেছি

17/10/2020

প্রত্যেক বিত্তবান মানুষদের এগিয়ে আসা উচিৎ

15/10/2020

bangladesh army can do it

26/11/2019

ক্যালসিয়ামে ভরপুর যে ১০ টি খাবার


  
ক্যালসিয়াম আমাদের হাড় ও দাঁত শক্ত করে, ক্ষয় রোধ করে। স্নায়ু, হৃৎস্পন্দন, মাংসপেশির কাজেও লাগে। এর অভাবে হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপোরাসিস রোগ হতে পারে। হাড়ের ক্ষয়রোগ প্রধানত প্রবীণদের হয়ে থাকে। হরমোনজনিত কিছু তারতম্যের কারণে প্রবীণ নারীদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। কিছু অসুখের কারণে অনেক সময় তরুণেরাও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
কৈশোরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম-জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে পরবর্তী সময়ে ক্যালসিয়ামের ঘাটতিজনিত সমস্যাগুলো কম হবে। যেসব খাবারে অধিক পরিমাণ ক্যালসিয়াম রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেই। এই খাবারগুলো নিয়মিত খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মিটবে এবং হাড় হয়ে উঠবে মজবুত।
১) টক জাতীয় ফল
টক জাতীয় ফল হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কমলালেবু, জাম্বুরা, কাগুজে লেবুর মতো যেকোনো লেবুতেই থাকে ভিটামিন ‘সি’ আর সাইট্রিক অ্যাসিড, যা শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। এছাড়া অন্যান্য টক জাতীয় ফল হাড় সুস্থ রাখতে অবদান রাখে।
২) ব্রোকলি
মজবুত হাড় পেতে নিয়মিত ব্রোকলি খেয়ে দেখুন। ক্যালসিয়ামে ভরপুর এই সবজিটি শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। হাড়কেও করে শক্তিশালী। নিয়মিত ব্রোকলি খেলে ভবিষ্যতে হাড়ের সমস্যা অনেকটা কম দেখা দেবে।
৩) সয়াবিন
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে সয়াবিন খুবই উপকারী। এক কাপ (১০০ গ্রাম) সয়াবিনে প্রায় ১৭৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। তাই নিয়মিত সয়াবিন খান। এটি হাড়ের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে এবং শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
৪) ঢেঁড়শ
বাজারে অত্যন্ত সহজলভ্য একটি সবজি ঢেঁড়শ। এটি বিভিন্নভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। অনেকে এর পিচ্ছিল আশের কারণে খেতে পছন্দ করেন না। তবে সহজলভ্য এই সবজির গুণ জানলে যারা অপছন্দ করেন তারাও পছন্দ করতে শুরু করবেন। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমাতে নিয়মিত ঢ্যাঁড়শ খেতে পারেন। মাত্র ৫০ গ্রাম ঢ্যাঁড়শে রয়েছে ১৭২ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। হাড়ের অসুখে পড়তে না চাইলে এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে চাইলে ঢ্যাঁড়শের সাহায্য নিন।
৫) কাঠবাদাম
কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। এক মুঠো (১০০ গ্রাম) কাঠবাদামে প্রায় ২৬৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। তাই শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দ্রুত পূরণ করতে যথাসম্ভব কাঠবাদাম রাখুন নিয়মিত খাবারের তালিকায়।
৬) তিল
তিল এবং তিলের তেল খুবই উপকারী জিনিস। গ্রামে এখনো অনেক ধনী কৃষক পরিবার রয়েছে যারা নিয়মিত তিলের তেল দিয়ে রান্না তরকারি খায় এবং বিভিন্ন খাবারে তিল ব্যবহার করে। এটি অত্যন্ত উপকারী। কারণ তিলে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম। মাত্র ১০০ গ্রাম কাঁচা তিলে রয়েছে এক হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।
৭) ডিম
ডিমকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস। প্রোটিনের সবচেয়ে ভালো উৎস হচ্ছে ডিম। ডিম হাড়ের গঠন মজবুত করে এবং এতে ক্যালোরিও থাকে বেশ কম। তাই হাড়ের সুস্থতায় দিনে অন্তত একটি ডিম খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৮) দুধ
হাড়ের সুস্থতায় ক্যালসিয়াম বেশ কার্যকর উপাদান এবং দুধ সবচেয়ে ভালো ক্যালসিয়ামের উৎস। দুধের ক্যালসিয়াম খুব সহজে আমাদের দেহ হজম করে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে। ছোটবেলা থেকেই দুধ খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত। শুধু ছোটদের নয় বড়দেরও হাড়ের সুস্থতায় প্রতিদিন দুধ পান করার অভ্যাস করা প্রয়োজন।
৯) মাছ
প্রধানত স্যামন ও সার্ডিন জাতীয় মাছে অর্থাৎ, সামুদ্রিক মাছে প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে। বিশেষ করে এক টুকরো সার্ডিন মাছে প্রায় ৫৬৯ মিগ্রা ক্যালসিয়াম থাকে। এছাড়া, কাঁটা সমেত যে কোনও মাছেই এই ক্যালসিয়াম মিলবে।
১০) ডুমুর
ডুমুর ফলে যেমন আয়রন থাকে প্রচুর তেমনি থাকে ক্যালসিয়াম। এক কাপ ডুমুরে প্রায় ২৪২ গ্রাম ক্যালসিয়াম মেলে। একই সঙ্গে ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম থাকায় এটি হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে। পেশী মজবুত করে।
হাড়ের সমস্যা ও শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কমাতে কোনো ওষুধ না খেয়ে এসব প্রাকৃতিক খাবার নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন।
বিডিটাইমস৩৬৫ডটকম/জিএম

10/04/2017

টার্কি আমাদের দেশে এখনো বিত্তবানদের খাদ্য তালিকায় যোগ হয়নি ,এটি এখনো (Royal Food) রাজকীয় খাবারের মর্

12/03/2017

অসহ্য গাঁটে ব্যথা, হাঁটু ব্যথা, ঠাণ্ডা, ফ্লু, সর্দি ও ত্বকের সমস্যা দেখা দিলে দু'তিন ফোটা তেল নাভিতে ঢেলে দেখুন কী হয়!
একদম মুহূর্তের মধ্যেই আপনার শরীর থেকে একে একে সব সমস্যা হাওয়া হয়ে যাবে।
কী বিশ্বাস হচ্ছে না তো! তবে একাধিক গবেষণায় এমনটাই প্রমাণিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মাত্র দু'তিন ফোটা তেল নাভিতে ঢেলে মালিশ করে এসব সমস্যা সারিয়েছেন।
আপনি জেনে অবাক হবেন, সনাতন চিকিৎসা পদ্ধতি মানুষ এখনও অনুসরণ করে এবং বিশ্বাসও করে। ওইসব সনাতন চিকিৎসায় দারুণ ফলও পাওয়া যায়।
নির্দিষ্ট কয়েকটি তেল দু'তিন ফোটা নাভিতে ব্যবহার করলেই যাদুর মতো অনেক রোগ কমে যায় এবং এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।
তাহলে দেরি কেন? আসুন জেনে নেয়া যাক কোন তেল নাভিতে ব্যাবহারে আপনি কি কি রোগ সারাতে পারবেন;
ফাটা ঠোঁট ও গিরায় ব্যথা: আপনার নাভিতে দু'তিন ফোটা সরিষার তেল দিন। এটা শুনে আপনার চোখ কপালে উঠতে পারে, মনে হতে পারে নাভির সঙ্গে ঠোঁট ও গিড়ার সম্পর্ক কি? তবে বিশ্বাস করুন কয়েক ফোটা সরিষার তেল নাভিতে দিয়ে মালিশ করলেই আপনার ঠোঁট ফাটা ও গিরার ব্যথা কমে যাবে।
গোপন দুর্বলতায়: নাভিতে ৪-৫ ফোটা নারিকেল বা অলিভ অয়েল দিয়ে মালিশ করুন। এটা সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে আপনার গোপন দুর্বলতা কমে যেতে শুরু করবে এবং এতে উর্বরতাও বাড়বে।
হাঁটু ব্যথা: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক ফোটা ক্যাস্টর তেল মালিশ করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখবেন আপনার ব্যথা কমে গেছে।
ব্রণ: ব্রণ হলে নাভিতে কয়েক ফোটা নিম তেল দিয়ে আলতো হাতে মালিশ করুন। এই তেল কয়েক দিন ব্যবহারে আপনার ব্রণ কমে যাবে। তবে এ তেল আবার মুখে ব্যবহার করবেন না যেন, তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
উজ্বল ত্বক: তিন-চার ফোটা বাদাম তেল আপনার নাভিতে দিয়ে মালিশ করুন। এভাবে কয়েক দিন ব্যবহারে দেখবেন আপনার ত্বক কেমন উজ্জ্বল হয়ে গেছে।
এছাড়া কয়েক ফোটা ঘি নাভিতে মালিশ করলে আপনার ত্বক কোমল হয়ে যাবে। আপনি হয়ে উঠবেন আরও মোহনীয়।
ফ্লু বা ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা: একটি তুলার বল এলকোহলে ডুবিয়ে নাভির ওপর রাখুন। দেখবেন আপনার ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা কতো তাড়াতাড়ি কমে গেছে।
ঋতুস্রাবে ব্যথা: ঋতুস্রাবে ব্যথা হলে একটি তুলার বল ব্র্যান্ডিতে ডুবিয়ে নিন, তারপর নাভির ওপর রাখুন। এভাবে দিনে কয়েকবার ব্যবহারে ব্যথা কমে যাবে।

19/02/2017

সততা, পরিশ্রম, ধৈর্য্য, বুদ্ধি আর জিদ দরকার সফল হতে


জীবনে চলার পথে আসে নানা বাঁধা। পথচলার শুরু হতে না হতেই থমকে দাঁড়াতে হয় কখনও কখনও। বুদ্ধিমত্তা আর কৌশল প্রয়োগ করে পেরিয়ে যেতে হয় সেই বাঁধা। অক্লান্ত পরিশ্রম বয়ে আনে সেই পথে সফলতা। আর এই পথের শেষ দেখতে যারা এগিয়ে যায় তারা অন্য সবার থেকে বেশী আত্মবিশ্বাসী হয়। এগিয়ে থাকে তারুন্যের যাত্রায়। সেই সাথে এই মানুষগুলো হয় অন্যের জন্য অনুপ্রেরণা। তেমনই একজন তরুন উদ্যোক্তা কে.এস.এম সপ্নীল চৌধুরী সোহাগ।

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার উলা গ্রাম। দুরন্ত বালক দাপিয়ে বেড়িয়েছে খেলার মাঠ থেকে সর্বত্র। এ পাড়া থেকে ও পাড়া কোথায় নেই তার পদচারনা। গ্রামের মানুষের মধ্যমনি ছিলেন ছোট বেলা থেকেই। বাবা ছিলেন আর্মি অফিসার। লেখাপড়ার শুরুটা হয় ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট স্কুল থেকে। এরপর নড়াইল তারপর ঝিনাইদহ প্রি ক্যাডেট। বাবার চাকুরীর সুবাদে বিভিন্ন জায়গায় লেখাপড়া করলেও অষ্টম শ্রেনীতে বৃত্তি তুলে নিতে ভুল হয়নি। নড়াইল দিঘলিয়া আদর্শ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি। গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে এইচএসসি। কম্পিউটার এন্ড সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ারিং এ বিএসসি সমাপ্ত করে বর্তমানে এমএসসি চলমান।
ইটকাঠ পাথরের যান্ত্রিক ঢাকায় আসা পড়াশুনার সুবাদে। কারও মুখাপেক্ষী না হয়ে কিভাবে আত্মকর্মসংস্থান করা যায় সেটা খুজতেই শুরু হয় টিউশনি করা। নিজের পড়াশুনার খরচ নিজে যোগানোর পরেও হাতে থাকা কিছু কিছু টাকা জমানো শুরু করেন। কিন্তু হটাৎ করেই টিউশন চলে যায়। এভাবে যে জীবন চলবে না বুঝতে বাকি থাকে না। তখন থেকেই মুলত বড় কিছু করার স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। ২০১০ সাল। তখনও ঢাকা শহর অচেনা। অচেনাকে চেনার যাত্রা শুরু হয় টিউশনি করে জমানো মাত্র ২২,০০০ টাকা হাতে নিয়ে।

নিজেকে কিভাবে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরী করা যায় সে ভাবনা ভাবতে ভাবতে বন্ধুর পরামর্শ পছন্দ হয়। মজার বিষয় হচ্ছে যে বন্ধু ব্যবসার আইডিয়া দিয়েছিল সে বিস্তারিত কিছুই জানত না। শুধু রাস্তাটা বলে দিয়েছিল। পরের দিন ভার্সিটির ক্লাশ শেষ করে দুপুরের রোদ মাথায় নিয়ে ঘর্মাক্ত শরীরে আইডিয়া কে বাস্তবায়নের পথে নেমে পড়েন। কাছে থাকা ২২০০০ টাকাই সম্বল। পন্য কিনে কোথায় বিক্রি করবেন নেই সে সম্পর্কেও কোন ধারনা।

গুলিস্থান এলাকায় খুঁজেও পেলেন তার ব্যবসার জন্য পাইকারী পন্য ক্রয়ের জায়গা। কিন্তু কোয়ালিটি নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারলেন না। সর্বপ্রথম ১২০০০ টাকার টিশার্ট কিনলেন। যে বাসায় থাকতেন সেখান থেকেই শুরু হল যাত্রা। বন্ধু আর সল্প সময়ের পরিচিত জনদের কাছে তার পণ্য বিক্রি শুরু করলেন। কিছু দিনের মধ্যে প্রচার বাড়তে লাগল তার ক্রেতাদের কাছ থেকেই।

প্রথম চালানের মাল বিক্রি করতে না করতেই ধাক্কা। একজনের সাথে সল্পসময়ের পরিচয়। সেই লোক কিছু প্রোডাক্ট সোর্সিং করে দেওয়ার কথা বললেন ভাল কোয়ালিটির। কিন্তু যা দিলেন তা ছিল রাশিয়ান বায়ারের প্রোডাক্ট। বাংলাদেশের মানুষের পোশাকের সাইজ থেকে অনেক বড়। তার ওপর ছেড়া কাটা রিজেক্ট প্রোডাক্ট প্যাকেট করে দিয়েছিল। বড় ধরনের ক্ষতি হল। মনটা ভেঙে গেল। হতাশ হলেন দারুন ভাবে। ভাবলেন কোন ভাবেই এ ব্যবসা করবেন না। আশপাশে সব অসৎ মানুষ। এদের মাঝে থেকে ব্যবসা করা সম্ভব নয়।
থেমে গিয়েও থামলেন না। বড় হওয়ার জিদটা আরও বেশী কাজ করল। হটাৎ করেই ভাবলেন অসৎ মানুষের ভীড়ে সততা নিয়ে ব্যবসা করাটা অবশ্যই ভাল কিছু হতে পারে। তার প্রতি ক্রেতাদের আস্থা তৈরী হতে বেশী সময় লাগবে না। ধাক্কাটাকে পজিটিভ ভাবে নিয়ে শুরু হল সাবধানে পা ফেলা। পণ্যের বিক্রি বাড়ানোর জন্য নতুন পথের সন্ধান করা। সেই সাথে কোন জায়গা থেকে আরও ভাল কোয়ালিটির প্রোডাক্ট সংগ্রহ করতে পারবে সেদিকে নজর দেওয়া। অন্যদিকে নিজের পড়াশুনা আর টিউশন তখনও চলছে।

প্রতিদিন সকালে উঠে ভার্সিটি, তারপর সেখান থেকে পাইকারী মার্কেটে গিয়ে আনকমন ষ্টাইলিশ পন্য খুজে বের করে বাসায় এনে সুতা কাটিং করে সেগুলোতে মেটাল ও বাটন সংযুক্ত করে আয়রন করা, সাথে হ্যান্ড ট্যাগ ও প্যাক চেঞ্জ করে দর্শনীয় উপস্থাপন। তত দিনে মিরপুরের ফুটপাতের পোশাক বিক্রেতারা তার খোঁজ পেয়ে গেছে। দিন দিন পন্য বিক্রয়ের জায়গা বাড়ার সাথে পন্য পাইকারী কিনে আনার পর সেটিকে দর্শনীয় রুপ দিতে চুক্তি ভিত্তিক তিন জন ছেলে ও একটি মেয়ের কাজের ব্যবস্থাও হল। সেই সাথে তার অক্লান্ত পরিশ্রম যুক্ত হয়ে ভাল কিছুর দেখা মিলতে শুরু করল।

কিন্তু গল্প তো এখানেই শেষ নয়? দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করার পরও স্বপ্নটাকে ছুতে পারছিলেন না। ব্যবসাকে কিভাবে আরও সমৃদ্ধ করা যায় সে চেষ্টা চলছিল দিনরাত। পরিচয় হল বায়িং হাউজের সঙ্গে। প্রতিশ্রুতি পেলেন গার্মেন্টস থেকে তার পছন্দের নির্দিষ্ট পোশাক তৈরী করে দেওয়ার। এবার স্বপ্নের পথে যাত্রার আরও একটি ধাপ পার হতে পারবেন বলেই অনেকটা নিশ্চিত। গার্মেন্টস এ তার দেওয়া অর্ডারের মাল সুইং হল। কিন্তু তিনি হাতে পেলেন না। তার টাকায় তৈরী পন্য মার্কেটে বিক্রি করে দিয়ে মুনাফা লুটে নিতে লাগল সেই বায়িং হাউজ। আর তাকে দেখাতে লাগল নানান অজুহাত। অন্যদিকে তার পাইকাররা তার কাছে মাল চাইতে লাগল। কিন্তু হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় সমস্যায় পড়তে হল প্রতিনিয়তই।

দেড় মাস পর উদ্ধার পেলেন কৌশল আর বুদ্ধিমত্তার গুনে। ডেলিভারী পেলেন মাল কিন্তু নিন্মমানের। ততদিনে তার ব্যবসার যত পাইকার ছিল তা হাতছাড়া হয়ে গেছে। ব্যবসা বন্ধের পর্যায়ে প্রায়। হাল ছাড়লেন না। আবারও ভাবলেন যেখানে যত অসৎ মানুষ সেখানেই সততার স্বীকৃতি পাওয়া সহজ হবে। পথে নেমে বাধার সম্মুখীন না হলে বাধা পার হওয়ার উপায় খুঁজে পাওয়া যায় না। এবার আর মার্চেন্ডাইজার নয় সরাসরি গার্মেন্টস মালিকদের সাথে যোগাযোগ শুরু করলেন। সেই সাথে পুরাতন পাইকারদের ফিরিয়ে আনার সাথে সাথে নতুন পাইকার খুঁজতে লাগলেন। সফলতাও এলো সে পথে। দিন দিন পরিচিতি বাড়তে শুরু করল। সততা, বুদ্ধিমত্তা, আর অক্লান্ত পরিশ্রমের গুণে ঘুরে দাড়ানো শুরু হল।

ব্যবসা বড় হতে শুরু করল। কিন্তু নিজের কাছে বড় ধরনের পুজিঁ না থাকার কারনে সমস্যায় পড়তে হল। কিন্তু তার সততা আর পরিশ্রম তাকে সেই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় দেখিয়ে দিল। বেশ কয়েকজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী তাকে সাহায্য করতে শুরু করলেন। গার্মেন্টস থেকে বাকীতে মাল নিয়ে বিক্রি করে বাকী টাকা পরিশোধের সুযোগ করে দিলেন। মুলত এখান থেকেই সে সর্বোচ্চ লাভের সুযোগ পেলেন কোন রকমের পুজিঁ না খাটিয়ে। সেই সাথে আবিস্কার করতে পারলেন সততা থাকলে ব্যবসায় পুঁজির সংস্থান করা কঠিন কিছু না।

ব্যবসাকে আরও সমৃদ্ধ করতে শোরুম ভিত্তিক ব্যবসা পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিলেন। যদিও মাঝখানে পুঁজির সংস্থানের জন্য লোনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে বড় অংকের টাকা ক্ষতি হল। সিদ্ধান্ত নিলেন লোনের টাকায় ব্যবসা নয়। শোরুম ব্যবসার যাত্রা শুরু হল ২০১৪ সালে। সেই সাথে ব্যবসায়কে আইনগত দিক থেকে শক্ত অবস্থানে দাঁড় করাতে লিমিটেড কোম্পানীতে রুপান্তর করলেন। ব্লু ড্রিম কোম্পানী লিমিটেড এর বায়িং হাউজ বর্তমানে দশটি নিজস্ব শোরুমসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪০০ এর বেশী শোরুমে পাইকারী পন্য সরবরাহ করে। সেই সাথে দেশের ৪২ টি জেলায় ডিলার নিয়োগের পাশাপাশি দেশের বাহিরেও এক্সপোর্ট করছে।

২০১৬ সাল। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে অর্ধশত লোক। যারা নিয়মিত ভাবে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করছে। সেই সাথে তার পন্য উৎপাদনের সাথে জড়িত আরও শতাধিত লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী হয়েছে। তরুন এ উদ্যোক্তার সাথে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে জানতে চাইলাম ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান আগামীতে? কাল বিলম্ব না করে বললেন একজন উদ্যোক্তা হিসেবে দেশের পাইকারী পোশাকের বাজারে নিজেকে মার্কেট লিডার হিসেবে দেখতে চাই। আর মানব সেবায় নিজের প্রতিষ্ঠান এশিয়ান লাইফ ফাউন্ডেশন নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে থাকতে চাই জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত।

তরুন এ উদ্যোক্তার সাথে কথা বলতে বলতে আরও জানতে চেয়েছিলাম আগামীতে যারা উদ্যোক্তা হতে চায় তাদের কি করনীয়? খুব হাস্যোজ্বল ভাবে বলছিলেন একটা বড় লক্ষ দাঁড় করিয়ে দিয়ে তার পেছনে তাড়া করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হল সততা থাকতে হবে। অসৎ মানুষের ভীরে সততাকে কাজে লাগানো সম্ভব হলে সফল হওয়াটা খুব সহজ হবে। প্রচুর পরিমান পরিশ্রম করতে হবে। দিন রাতের পার্থক্য ভুলে কাজে লেগে থাকতে হবে। যতক্ষন সফলতার দেখা না পাওয়া যায় ততক্ষণ লেগে থাকতে হবে। লেখাপড়া শিখে চাকুরী করতে হবে এমন মানুষিকতা বাদ দিয়ে নিজে কিছু করার চেষ্টা করতে হবে। লেখাপড়ার সাথে সাথে নিজে কিছু একটা করার মত মানুষিকতা তৈরী করে ঝুঁকি নিতে হবে। সফলতার জন্য ব্যার্থতাকে মেনে নিতে হবে। অন্যের কথায় কান না দিয়ে সামনে এগিয়ে চলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

আপনার সফলতার পেছনের ছোট ছোট গল্পগুলো অন্যের জন্য প্রেরণার। উদ্যোক্তার খোঁজে ডটকমের মাধ্যেমে আপনিও তুলে ধরতে পারেন আপনার সফলতার পেছনের গল্প । যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭৩৫-২৮৪৬১৭ নাম্বারে। শুভকামনা সকলের জন্য।

মোঃ মাসুদুর রহমান মাসুদ/উদ্যোক্তার খোঁজে ডটকম।

Address


Telephone

01827517404

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when A.Amin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to A.Amin:

  • Want your practice to be the top-listed Clinic?

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram