Medicine.com.bd

Medicine.com.bd দশে মিলে করিকাজ হারিজিতি নাহি লাজ

🔥 Special Discount Offer – Limited Time Only! 🔥Get 40% OFF on this premium healthcare package!✅ Market Price: 1060৳✅ Aft...
28/03/2025

🔥 Special Discount Offer – Limited Time Only! 🔥

Get 40% OFF on this premium healthcare package!

✅ Market Price: 1060৳
✅ After Discount: Only 680৳!

Hurry! Stock is Limited!

📍 Order Now & Stay Health

এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় গেল। তারা বানরের খাঁচার পাশ দিয়ে অতিক্রম করল। তারা দেখতে পেলো, পুরুষ বানর ...
12/05/2024

এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় গেল। তারা বানরের খাঁচার পাশ দিয়ে অতিক্রম করল। তারা দেখতে পেলো, পুরুষ বানর নারী নারী বানরকে নিয়ে খেলাধুলা করছে। স্ত্রী তখন বলল, আহ তাদের ভালোবাসা কত মধুর! এরপর তারা সিংহের খাঁচার কাছে দিয়ে অতিক্রম করল। তারা দেখতে পেল, পুরুষ সিংহটি একাকী নিশ্চুপ বসে আছে আর নারী সিংহটি দূরে গিয়ে খেলাধুলা করছে। স্ত্রী তখন বলল, তাদের ভালোবাসা কত বিষাদ!
তখন মহিলাটির স্বামী ছোট্ট লাঠি নিয়ে নারী সিংহের উপর মারলো। এতে পুরুষ সিংহটি উত্তেজিত হয়ে উঠলো। সিংহীকে রক্ষার জন্য সে দৌড়ে আসলো। এরপর তারা বানরের খাঁচার কাছে ফিরে আসলো। পুরুষ লোকটি নারী বানরের উপর একটি ছোট্ট লাঠি নিক্ষেপ করল। কিন্তু দেখা গেল পুরুষ বানরটি তখনো খেলাধুলায় মত্ত রয়েছে। যেন কোনো কিছু ঘটেয়নি।
"আমরা যা দেখি তার চেয়ে বেশি ভাবা থেকে বিরত থাকতে হবে।"

বই - নবীজির পাঠশালা : পৃষ্ঠা ১৩২

চাকুরি জীবী মায়েদের বলছি..…......আমার একমাত্র মেয়ে আনুর বয়স এখন ১৪ মাস। হাটি  হাটি পা পা করে নানা আবোল-তাবোল বোল বুলিয...
10/05/2024

চাকুরি জীবী মায়েদের বলছি..…......

আমার একমাত্র মেয়ে আনুর বয়স এখন ১৪ মাস। হাটি হাটি পা পা করে নানা আবোল-তাবোল বোল বুলিয়ে ঘর ভরে রাখবে- এটাই তো হওয়ার কথা। আমাদেরও তাই প্রত্যাশা। কিন্তু ও ক্রমশ শুকিয়ে হাত-পা পাট কাঠি আর গায়ের রং তেল চিটচিটে হয়ে গেছে। মুখে কোন শব্দটি নেই। চলায় চাঞ্চল্য নেই। যখন অফিস থেকে ফিরি-দেখি ক্লান্তিতে ও ঘুমিয়ে পড়েছে। ওকে বড়জোর নয় মাসের শিশুদের মত দেখায়। খুব অপুষ্ট পরিশ্রান্ত আর রোগাক্রান্ত। বুয়াকে প্রশ্ন করলে সোজা বলে "দুধ,ডিম, কলা, খিচুড়ি, বিস্কুট সবই তো খেয়েছে। দুপুরে ঘুমিয়েছিল। বিকেলে বসুন্ধরার মাঠে খেলতে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমিও ওর সাথে খেলেছি। ভীষণ আনন্দিত ছিল ও। আমি ভাবলাম শারিরীক কসরতের কারণে ক্লান্ত হয়ে গেছে বুঝি তাই অসময় ঘুমিয়ে পড়েছে। কিন্তু ক্রমাগত ওর অবস্থা খারাপ হতে লাগল। ওকে দেখে কাঁচের টুকরোর মতো ভেঙে যায় আমার মন। কোনো অজানা রোগের আশংকা করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলাম। দুর্বলতা ছাড়া ডাক্তার ওর মাঝে কোন রোগ পেলেন না। অগত্যা তিনি আমাকে মৃদু অপমান করে বললেন, "একে সুস্থ করা পরিবারের দায়িত্ব, ডাক্তারের নয়। সে অপুষ্টি ও সেবা হীনতায় ভুগছে। একটা বাচ্চার ঠিক যত্ন হলে তার শারীরিক অবস্থা এমন হওয়ার কথা নয়। "

তারপর পালাক্রমে ওর বাবা এবং আমি ছুটি নিলাম। আধমরা গাছ পানি ও সার পেলে যেমন জেগে ওঠে তেমনি অল্পদিনেই মেয়েটি আমার তরতাজা হয়ে উঠল। ছুটি শেষ হলে ওকে ছেড়ে আর অফিসে যেতে ভালো লাগল না। আমি উচ্চ শিক্ষিতা, চাকুরীজীবি মহিলা, আমি গর্বিত। কিন্তু এই কাঙাল সন্তানের দিকে তাকালে মনে হয় আমার মত দরিদ্র আর নেই। সমস্ত গর্ব ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। আবার চাকুরি ছাড়ার কথা ও ভাবতে পারছি না। কেননা একজনের আয়ে ঢাকা শহরে সংসারের ব্যয় নির্বাহ করা একেবারেই দুঃসাধ্য। তাছাড়া সন্তানের টেকসই ভবিষ্যতের কথাও তো ভাবতে হয়। আবার মনে হয় ওকে এমন ঝুঁকির মধ্যে রেখে আমি কার ভবিষ্যতের কথা ভাবছি। তারপর যেন আর কিছুই ভাবতে পারছি না। শেষ পর্যন্ত বুয়ার কাছেই ওকে রেখে আবার অফিসে যোগদান করলাম। এবার বুয়াকে আনুর ঘুম,খাওয়ার জন্য একটা পরিকল্পিত রুটিনও ধরিয়ে দিলাম। কিন্তু মাস দেড়েকের মধ্যে অবস্থা আবার আগের মত। আমরা দুজনেই চিন্তিত হয়ে পড়ি। কি করা যায়।

সেদিন সন্ধ্যায় বাড়িওয়ালা আমাদের বাসায় আসলো এবং বিনয়ের সাথেই বলল " মাগো, বিদ্যুৎের একটু কাজ করানোর দরকার ছিল। মিস্ত্রি নিয়ে এসেছি ; যদিও তোমরা অফিস থেকে এসেছো, তোমাদের বিরক্ত লাগবে। দুপুরেও একবার এসেছিলাম ঘরে তালা ছিল।" আমি তাদের কাজ করার অনুমতি দিয়ে তড়িঘড়ি করে ছুটে গেলাম ওর বাবার কাছে। ওর কাছে কথাটি পাড়লাম। সে ও অবাক না হয়ে পারল না। তাহলে বুয়া বাবুকে নিয়ে কোথায় গিয়েছিল। আমার স্বামী আমায় সান্ত্বনা দিয়ে বলল " তুমি অধৈর্য হয়ো না, ব্যাপার টা আমি দেখছি; আসলে আমরাই ভাগ্যহত; আমাদের মা শাশুড়ী কেউ নেই। "

পরদিন অফিসে যাওয়ার সময় বাড়িওয়ালা খালাম্মা, খালুকে বিস্তারিত বলে আমার বাসার দিকে বিশেষ নজর রাখতে বলি। সন্ধ্যায় সেই দূঃসংবাদই শুনতে হল। আজও সারাদিন ঘর তালাবদ্ধ ছিল। তারা আসার ঘন্টা খানিক আগে বুয়া বাবুকে নিয়ে এসেছে। বুয়ার কাছে কোন কৈফিয়ত চাইনি, প্রশ্নও করিনি কোন। সে রাতে দাঁতে দাঁত চেপে রইলাম। সকাল বেলায় নিয়মমত আমরা দুজনেই অফিসে রওয়ানা হলাম,কিন্তু অফিসে গেলাম না। বাড়ির মূল ফটকের বাইরে আড়ি পেতে রইলাম। আধাঘণ্টা পরে আমার স্বামী চিৎকার করে বলল " ওই যে আমাদের আনুকে নিয়ে যাচ্ছে বুয়া।" আমি অবাক হয়ে দেখলাম আনুকে চেনাই যাচ্ছে না।যেন ছাই মাটি মাখা ওর সারা শরীরে ও চুলে। বুয়াও খুব পুরোনো আধময়লা একটা ছেড়া কাপড় পরা। আমরা তাকে অনুসরণ করতে লাগলাম। অনেকটা পথ চলে সে একটা বাজারে ঢুকল। যেখানে আমাদের সচরাচর যাওয়া হয় না। আনু তখন কাঁদতেছিল। একটা দোকানে গিয়ে হাত পেতে বলল " স্যার,এতিম মাইয়াডা আমার, খিদেয় কানতাছে। দুই দিন ধইরা কিছুই খায় না ই। দয়া কইরা কিছু দিবেন।" তখন বিস্ময়ে আমার চোখ কোটর থেকে বের হয়ে আসছিল। মাথা ঝিমঝিম করতে লাগল। আমি আর দাঁড়াতে পারলামনা। ওর বাবার কোলে ঢলে পড়লাম।।।

[সত্য ঘটনা অবলম্বনে লেখা]

নারীর লজ্জা হচ্ছে লজ্জাবতী গাছের মতো😊✅হাত লাগলেই শেষ। সেটা স্বামীর হাত হোক বা অন্য কোন পুরুষের। এই হাত লাগা মানে শুধুই শ...
09/05/2024

নারীর লজ্জা হচ্ছে লজ্জাবতী গাছের মতো😊✅
হাত লাগলেই শেষ। সেটা স্বামীর হাত হোক বা অন্য কোন পুরুষের। এই হাত লাগা মানে শুধুই শারীরিক স্পর্শ না, একজন পুরুষের সঙ্গতায় ও নারীর লজ্জা কেটে যায়।

যে মেয়ে যত বেশি পুরুষের সংস্পর্শে যাবে, তার লজ্জা তত কমবে। যেমন চিত্র নায়িকারা, ওরা শুধু ব্রা-পেন্টি পরে অর্ধনগ্ন দেহ নিয়েও পুরুষের সামনে ঘুরতে দ্বিধা করে না। কারন- পুরুষের মাঝ থেকে চক্ষু লজ্জা উঠে গেছে তাদের। অথচ কনজারভেটিভ ফ্যামিলির একটা মেয়েকে ওড়না ছাড়া দাঁড়াতে বললেও সে লজ্জায় মরে যাবে।

আর ইদানীং ফেসবুক এই লজ্জা নিবারণের বড় মূখ্য ভূমিকা পালন করছে।

উদাহরণঃ
ফেসবুকে বন্ধু বেশি। আর অতি আধুনিক মেয়েরা ছেলে বন্ধুদেরর সঙ্গে পিরিয়ড নিয়ে কথা বলে। ফ্ল্যার্ট করতে গিয়ে শরীর নিয়ে নগ্ন কথা বলে। আর মাইন্ড করলে বলে ''জাস্ট কিডিং, টেক ইট ইজি"।
এই ইজিলি নিতে নিতে সেসব অশালীন বিষয় আর
অশালীন লাগে না। মানে লজ্জা শেষ!

আবার এখন ফেসবুকে প্রেমিক বেশি! কেউ প্রেমে পড়েছে তো প্রেমিক রোমান্সের ছলে অশ্লীল কথা বলে।
একদম স্বামীর মতো। এরপর ব্রেকআপ হয়। আবারও কারও প্রেমে পড়ে। আর আবারও চুম্মা-চাটি আরও কত কী করে! অতঃপর আবারও ব্রেকাপ! তখন লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে মেয়েটা এক সময় নির্লজ্জ হয়ে যায়। অশ্লীল প্রেম নারীর লজ্জাশীলতাকে গ্রাস
করে, ফলে নির্দিষ্ট একজন পুরুষের প্রতি আকর্ষণটা বিলীন হয়ে যায়। জাগে বহু পুরুষের সানিধ্য পাওয়ার ইচ্ছা।

একজন নারীর কাছে পুরুষের উপস্থিতি হচ্ছে ইয়*** মত। প্রথমে একটা খেলেই পিনিক আসে। পরে ২০-২৫টা খেলেও কাজ হয় না।
ব্যাস! এক সময় পুরুষের প্রতি তার আর ফিলিংস কাজ করে না। প্রেমিকের ভালোবাসা তার কাছে পানসে লাগে। একটার পর একটা পুরুষ বদল করে। কিন্তু স্থির হতে পারে না কোনোটাতেই। জানা-শোনা শেষ হলেই আর ভালো লাগে না কাউকে। বোরিং লাগে। কারণ, ডিফারেন্ট টেস্ট নিতে নিতেই তার ভালোবাসার অনুভূতিই শেষ। তখন বর্তমান হয়ে যায় এক্স। তারপর আবারও খোঁজা শুরু নতুন মুখ, নতুন প্রেমিক।

আগে মুরব্বীরা বলতেন, বিয়ের পরে মেয়েদের লজ্জা
কমে। বাচ্চা হওয়ার পরে আরও কমে যায়। তখন আমি বুঝতাম না। ভাবতাম লজ্জা 'ফোঁড়ার' মতো কিছু।
বিয়ের পরে গলে যায়।
কিন্তু এখন বুঝি। আগে মেয়েদের কাছে স্বামীই ছিল পুরুষ। তাই বিয়ের পরের কথা এসেছে। এখন বিয়ে লাগে না, পুরুষের কাছে আসতে ফেসবুক হলেই চলে। এখন ফেসবুক-ই সেই স্বামীর ভূমিকা পালন করে।
যাইহোক, সবশেষে নারীদের মাথায় রাখা উচিতঃ
এভাবে বাসা বদলের মতো প্রেমিক বদলের খেলাটা
নিজেকে খুবই সহজলভ্য করে দেয়। আর যে জিনিস সহজে পাওয়া যায় তার কদর থাকে না।

লেখাটি না বুঝলে আরেকবার পড়ুন। তবুও না বুঝলে মাথা খাটিয়ে একটু ভাবুন, তারপর মন্তব্য করুন।

বিঃদ্রঃ কথালগুলো নারীদের উদ্দেশ্য হলেও, নারী পুরুষ উভয়ের জন্যই শিক্ষণীয়!!

" বাড়ি ঘর জায়গা জমি সন্তানদের লিখে দিবেন না । আপনার ঘরে আপনি বসবাস করবেন । দরকার হলে ছেলে মেয়েরা  বাড়ি ঘর তৈরি করে '...
06/05/2024

" বাড়ি ঘর জায়গা জমি সন্তানদের লিখে দিবেন না । আপনার ঘরে আপনি বসবাস করবেন । দরকার হলে ছেলে মেয়েরা বাড়ি ঘর তৈরি করে 'যৌবনাশ্রমে ' থাকবে " :

পরিণত বয়সে এসে আমাদের অনেকেরই হয়তো কাজেও লাগতে পারে গল্পটি!!!

"যৌবনাশ্রম খুঁজে দেখো!"

আব্দুর রহমান সাহেব ক'মাস ধরেই কিছু আঁচ করছিলেন। উনি তিন বছর হয় রিটায়ার করেছেন। সরকারী উচ্চপদে ছিলেন। ভাল অঙ্কের পেনশন পান। স্ত্রী গত হয়েছেন বহুদিন আগে।

দুটি ছেলেকে বড় যত্নে মানুষ করেছেন। বাবা এবং মায়ের দুজনের স্নেহ দিয়ে ভালভাবে লেখাপড়া করে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারপর বড় ছেলের বিয়ে দিলেন। একটি নাতি হল। উনার মনে আর আনন্দ ধরে না ।

এরপর ছোট ছেলে নিজের পছন্দের মেয়ে খুঁজে বাবাকে জানালে তিনি সানন্দে সেই মেয়েকে ঘরে নিয়ে এলেন। রিটায়ারের আগেই বড় ছেলের বিয়ে হয়েছিল। তারপর ছোট বৌমা এল।

আব্দুর রহমান সাহেব এখন নাতিকে নিয়ে বেশ সময় কাটান। সংসারের অনেকটা ব্যয় ভার বহন করেন।

একদিন ইজি চেয়ারে বসে সকালে কাগজ পড়ছেন বড় বৌমার গলা পেলেন, আজ বাজার শর্ট আছে.রাতে রান্না হবে না। সে চাকরী করে। বলছে জা কে।

এ বাড়িতে ছেলেদের জন্মের আগে থেকে কাজের মেয়ে জয়নব আছে। সে তাঁর ছেলেদের থেকে বেশ কিছুটা বড়। জয়নব মাতৃহারা দুই ছেলেকে অপার স্নেহে আগলে রেখেছিল।

সে বলল--ভাইজানরা কেউ এনে দেবে।

বড় বৌ বলল--কেন বাবা তো বসে আছেন বাজারটা রোজ করলেই পারেন।

আব্দুর রহমান সাহেবের কানে কথাটা বাজল। বুঝলেন সংসারে তাঁর প্রয়োজন ফুরিয়েছে।

নিজের মনকে বললেন-- মন তুই তৈরী থাক।

এরপর থেকে বৌদের নানা আচরণে তাঁর প্রতি বিরূপতা প্রকাশ পেতে থাকল।

একদিন সকালে বড় ছেলে রাগত গলায় বৌকে বলছে--আমার শার্টটা লণ্ড্রী থেকে আনা হয়নি?

বড় বৌ বললো-- না যাবার সময় হয়নি।

বড় ছেলে -বাবা একটু আনতে পারল না? সারাদিন তো বসেই থাকে।

আব্দুর রহমান সাহেবের কানে গেলে ভাবলেন-- যুগধর্ম!

এরপর একদিন এক ছুটির দিনে সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে এসে দেখলেন--সবাই আগে ভাগেই উপস্থিত।

জয়নব প্লেটে গরম লুচি, আলু ভাজি আর সন্দেশ পরিবেশন করছে।

বড় ছেলে বলল --বাবা একটা কথা ছিল।

আব্দুর রহমান সাহেব বুঝলেন এরা সকলে কিছু প্ল্যান করেছে। বললেন, বল।

বড় ছেলে বললো, জানো বাবা কাল অফিসের কাজে গাজীপুর গিয়েছিলাম। কাজের ফাঁকে সময় পেয়ে ওখানকার দর্শনীয় জায়গা গুলো দেখতে বেড়িয়েছিলাম। দেখলাম নদীর ধারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে একটা সুন্দর বৃদ্ধাশ্রম চালু হয়েছে। দেখেই ভাবলাম তুমি ওখানে মনোরম পরিবেশে শেষ জীবনটা থাকতে পারো। আমরা যাব আসব। কিরে ভাই কি বলিস?

ছোট ছেলে বলল, বেশ ভালো হবে।

আব্দুর রহমান সাহেব হেসে বললেন--সব তো শুনলাম। কিন্তু বাবারা তোমরা যেমন আমার জন্য ভাবো, আমিও তোমাদের জন্য ভাবি। তাই আমারও একটা প্রস্তাব আছে তোমাদের জন্য। তোমরাই বরং যুতসই এবং মনোরম পরিবেশের একটা যৌবনাশ্রমের খোঁজ করে নিয়ে সেখানে গিয়ে থাকোনা কেন। বাড়ীটাতো আমারই, পেনশনও পাই ভাল। জয়নব মাকে নিয়ে আমরা বাপ বেটিতে বেশ ভালই থাকব। তোমরাও আসবে যাবে।

এই ভাবে তিনি এক ছক্কায় বাজীমাত করে দিলেন। জয়নবকে বললেন--জয়নব মা, লুচিগুলো ঠাণ্ডা হয়ে গেল। গরম গরম নিয়ে আয় তো।

ছেলেরা আর ছেলেদের বৌয়েরা রীতিমতো হতভম্ব হয়ে গেল, বাকরুদ্ধ হয়ে বসে রইলো.....!!

দিন কাল পালটাচ্ছে। তাই যোগ্য জবাব দেবার জন্য তৈরী থাকা উচিৎ ........

তা নাহলে ভবিষ্যতে বড় বিপদে পড়তে হতে পারে।

30/04/2024

এই বয়সে এসে উপলব্ধি হয়, নিজের ব্যাপারে মানুষকে বুঝানোর চেয়ে মানুষকে বুঝা তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ। নিজেরে কারো কাছে প্রকাশ করতে, মেলে ধরতে কেমন যেন জড়তা কাজ করে। এর থেকে ভালো মনে হয় সামনে থাকা মানুষটাকে বুঝি, সে কি চায় সে অনুযায়ী আচরণ করি। সেও খুশি,আমিও রেহাই পেলাম!

এখন কেন জানি জ্বর উঠলে "ঔষুধ খাইনি কেন?", তার এক্সপ্লেইনেশন আর কাউকে দিতে ভালো লাগে না। কিভাবে বুঝায়, ছোটবেলায় জ্বর উঠলে মাথায় পানি দিয়ে, গা মুছিয়ে দিয়ে জোর করে নিজ হাতে ভাত খাইয়ে, ঔষুধ খাইয়ে দেওয়া মানুষটা যে আর যে নেই। ঔষুধ যে এখন বড্ড তিক্ত লাগে!

নিজের শখ-আহ্লাদের কথা এখন আর কাউকে বলতে ইচ্ছে করে না। কারণ মানুষ প্রচন্ড ব্যস্ত। গল্প শুরু করার আগেই শেষ করার তাগিদ দেওয়া শুরু করে। কী দরকার, অযথা কারো সময়ের ভাগীদার হওয়ার!

এখন আর অসুস্থ আছি নাকি মন খারাপ, তাও কাউকে বলতে ইচ্ছে করে না। তারপর কতো প্রশ্নের সম্মুখীনের হতে হবে এই ভেবে! যেই আমি'টার মন খারাপ নাকি অসুস্থ, তা চেহারা দেখেই কেউ বুঝে যেতো, মুখ ফুঁটে বলার আগেই বুঝে যেত আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়া উচিত, সেই আমি'টা এখন এই আদরের অভাবে তীব্র মন খারাপ লুকিয়ে হাসি!

একাডেমিকে রেজাল্ট কেন খারাপ হচ্ছে, মনোযোগ কেন নেই, এসবের এক্সপ্লেইনেশন এখন আর দিতে ইচ্ছে করে না কাউকে। কারণ, কেউ এখন আর আগের মতো শাসন করে সবকিছু শুধরে দিবে এমন মানুষ নেই। স্বার্থ ছাড়া এখন কেউ এসে পাশে দাঁড়ায় না, উন্নতি চাওয়া তো অনেক পরের বিষয়!

ধর্ম বিমুখীকরণ প্রজেক্টের পরের স্টেপ এটা। প্রথম স্টেপ ছিল নারীবাদ, সেটাতে ওরা প্রায় সফল হয়ে গেছে। নারীরা পুরুষদের সমকক্ষ...
28/04/2024

ধর্ম বিমুখীকরণ প্রজেক্টের পরের স্টেপ এটা। প্রথম স্টেপ ছিল নারীবাদ, সেটাতে ওরা প্রায় সফল হয়ে গেছে। নারীরা পুরুষদের সমকক্ষ হয়ে কাজ করতে গেলে সন্তানদের দেখা শোনার করার সুযোগ হয় না স্বাভাবিক। কাজের মেয়ের কাছে বাচ্চা মানুষ হলে ভালো কিছু শেখার উপায় থাকে না। মায়ের ভূমিকা কখনো কাজের মেয়ে অথবা অন্য কেউ নিতে পারবে না। এটা কোনভাবেই সম্ভব না, অসম্ভব।

বিদেশে এসব ডাল ভাত হয়ে গেলেও আমাদের দেশে সম্পূর্ণ নতুন। বাবা কন্যার সম্পর্ক আগের মত নাই। ভাই বোনের সম্পর্ক ও রিস্কি হয়ে যাচ্ছে।

অনেকদিন আগে মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সাহেবের ওয়াজে শুনেছিলাম "বাবার সামনে ইয়াং কন্যারা কীভাবে যাবে তার একটা ইসলামি গাইড লাইন আছে। ইয়াং ভাইয়ের সামনে ইয়াং বোন কীভাবে যাবে তার একটা ইসলামি গাইড লাইন আছে। মায়ের রুমে ঢোকার আগেও সন্তানদেরকে অনুমতি নিয়ে ঢুকতে বলা হয়েছে হাদীসে।" বিষয় গুলো তখন শুনতে কেমন কেমন লাগলেও বাস্তবতা এখন টের পাচ্ছি।

লাস্ট কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু অভিযোগ শুনেছি "বাবারা কন্যা সন্তানদের জন্য বিদপজনক!" এ কারণে অনেক মহিলা তার কন্যা সন্তানকে আলাদা রেখেছেন। চিন্তা করতে পারেন বিষয়টা? কোন লেভেলে সমাজ চলে গেছে? শুধু তাই নয় বাবা তার আপন কন্যাকে ধ.. ণ করেছে এমন নিউজ প্রতি মাসে বেশ কয়েকটা পাবেন। গুগুলে সার্চ দিলে এরকম হাজারটা নিউজ পাবেন। আমার ধারণা নিউজ আসে হাজারে ১ টা। বেশিরভাগ পরিবার এসব চেপে যায়। বাবার না হয় মান ইজ্জত নাই কিন্তু কন্যার তো আছে, কন্যার মায়ের তো আছে।

আমার ধারনা এই রেজিম চলতে থাকলে আমাদের নেক্সট প্রজন্ম নাস্তিক হয়ে যাবে। তখন এইসব ঘটনা আর অস্বাভাবিক মনে হবে না।

Authentic Source🥲

27/04/2024

সময়ের সাথে সাথে বিয়ের অনুষ্ঠানের পরিবর্তনও হয়েছে, অনুষ্ঠানের রকমও বেড়ে গেছে। ব্রাইডাল শাওয়ার, মেহেদি, হলুদ, মূল অনুষ্ঠান ইত্যাদি একের পর এক চলতে থাকে।
আগের দিনে বিয়ের কনে চুপচাপ বসে থাকতো। এখন বিয়েতে কনেই ডিজে পার্টিতে লাফায়, হলুদের শাড়ি পরে হিন্দি গানের তালে তালে নাচতে থাকে। এসব ছবি, ভিডিও আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেই শেয়ার করে।
ছেলে পক্ষের দিকেও একই অবস্থা। গান, নাচ, ডিজে পার্টি, প্রি ওয়েডিং, ওয়েডিং ও পোস্ট ওয়েডিং বিভিন্ন ফটোশ্যুট ছাড়া আজকাল বিয়ে কল্পনাই করা যায় না।
এবার একটা বিষয় কল্পনা করুন..
জোহরের আযান দিল। কেউ নামাজ শুরু করল। কানে হেডফোন, উচ্চবিটের মিউজিক বাজছে। গান শুনছেন, আর গানের তালে তালে রুকু সিজদা দিয়ে নামাজ পরছেন।
কেমন হবে ব্যাপারটা?
আসলে কেউ এটা কখনোই করবেন না। কারণ, সবাই জানেন নামাজ একটা ইবাদত, যা আদায় করতে আল্লাহ আদেশ দিয়েছেন আমাদের। নামাজের মত বিয়েও একটা ইবাদত। আল্লাহ বলেন,
"তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ"। (সূরাহ আন-নূর, ৩২)
বিয়ে যদি আল্লাহর নির্দেশ ও ইবাদত না হত, কেউ আর বিয়ে করত না। সবাই লিভ টুগেদার বা কো-হ্যাবিটেশন করত। কিংবা যখন যার সাথে ইচ্ছে থাকতো। শুধু ইসলাম না, সকল ধর্মেই বিয়ে তাদের ধর্মীয় বিধানের অংশ। ইবাদতকে ইবাদতের মত পালন করতে হয়। কিন্তু সেদিক না গিয়ে আমরা এটাকে উল্টোভাবে পালন করছি। মেয়ের দেনমোহর পরিশোধ না করে উল্টো মেয়ের পরিবারের কাছে থেকে যৌতুক দাবী করছি। যারা যৌতুক দাবী করেনা, তারাও মনে মনে আশা পোষণ করে থাকে মেয়ের পরিবার নিজে থেকে গহণা, ফার্নিচার, গিফট দিবে। না দিলে মন খারাপ করে, মেয়ের সাথে খারাপ ব্যবহারও করে।
বিয়ের ওয়ালিমা বা ভোজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করার দায়িত্ব ছেলে পক্ষের একার। মেয়ের পরিবারের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটা ঐচ্ছিক। অথচ উল্টো মেয়ের বাড়িতে অর্ধ হাজার লোক না নিয়ে গেলে ছেলে পক্ষের মান সম্মান থাকে না।
• পুরুষদের জন্য স্বর্ণালংকার হারাম। অথচ যে ছেলেটি সারাজীবনে কখনো আংটি পরে নি, সেই ছেলেও বিয়ের সময় সোনার আংটি পরে থাকে। সোনার আংটি দিয়ে বরকে বরণ না করলে ছেলের পরিবার যেমন অসন্তুষ্ট হয়, মেয়ের পরিবারেরও মান সম্মান নাকি থাকে না।
• স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হবে সম্পুর্ন ব্যক্তিগত। অথচ বিভিন্ন ফটোশ্যূটের নামে সবার কাছে আমরা নিজেরাই তা উন্মুক্ত করে দিচ্ছি।
বাকি জীবন একসাথে থাকার প্ল্যান করেই দাম্পত্য জীবন শুরু করা হয়। এই কাজে আল্লাহর রহমত একান্ত জরুরী।
বিয়ে যতটা না একটা সামাজিক অনুষ্ঠান, তার চেয়ে বেশি এটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এটা একটা ইবাদত। ইবাদতকে ইবাদতের মত না পালন করলে, সেটার কোন গুরুত্ব থাকে না। এদিক আমাদের সবার একটু চিন্তা করা উচিত।

-ডা. তারাকি হাসান মেহেদী

23/01/2024
09/01/2024

জনগণের আমানত যখন পাছার নিচে

30/08/2023

Behind_Diagnosis: 79

এফসিপিএস মেডিসিনে গোল্ড মেডেল পাওয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক Dr. Khairul Islam (MBBS,MCPS,FCPS) ভাই। ভাই শুধু ডিগ্রীধারী বিশেষজ্ঞই নন, ক্লিনিসিয়ান হিসেবেও খুবই ভালো। একাডেমিক ও মানবিক একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। ভাইয়ের সাথে দেখা হলে সবসময় বিভিন্ন কেইস নিয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। কেইস নিয়ে কৌতুহল থাকায় শুনতে/জানতে ভালো লাগে এবং থিংকিং ক্যাপাবিলিটি বাড়ানোর চেষ্টা করি। সেদিন ভাইয়া একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

মহিলার বয়স মাত্র ২৯ বছর। সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দেয়ার কয়েকদিন পর গাইনী ডিপার্টমেন্টে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন জ্বর নিয়ে এবং এর সাথে তখনই/পরবর্তীতে Diarrhoea দেখা দেয়।

ঐ সময় জ্বরের কারণ হিসেবে underlying Infection চিন্তা করে পেশেন্ট কে হসপিটালে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়। সেলাইয়ের জায়গার একটা অংশ কিছুটা আদ্র থাকায় সেখানে ইনফেকশন চিন্তা করা হয়। প্রথমে এম্পেরিয়াল এন্টিবায়োটিক শুরু করা হয় কিন্তু রোগীর তেমন উন্নতি নেই। বরং শরীরের গলার নিচে-বুকে-পিঠে বিভিন্ন জায়গায় Rash দেখা। গাইনোকলজিস্ট Antibiotic এর Drug Reaction চিন্তা করে Antibiotic বন্ধ করেন।

পরবর্তীতে আদ্র জায়গা থেকে Swab নিয়ে কালচারের জন্য পাঠানো হয় কিন্তু কালচারে কোন গ্রোথ ছিল না। পরবর্তীতে কয়েক দফায় এন্টাবায়োটিক পরিবর্তন করা হয়। এর পাশাপাশি ব্লাড কালচার করা হয় সেখানেও কোনো গ্রোথ পাওয়া যায় নি। এছাড়া জ্বরের কারণ খোঁজার জন্য টিবি সহ সম্ভাব্য অন্যান্য পরীক্ষাও করা হয় কিন্তু কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি।

যেহেতু ডেঙ্গু সিজন চলছে ডেঙ্গু টেস্টও করা হয়েছিল ডেঙ্গু টেস্ট নেগেটিভ, Platelet count নরমাল।

এর মধ্যে মেডিসিন ডিপার্টমেন্টে কল দেয়া হয় মেডিসিনের সিনিয়র ডাক্তার এসেও কোনো ক্লোজ খুঁজে পাচ্ছেন না।
এন্টিবায়োটিক পরিবর্তন করা হল কিন্তু উন্নতি নেই।

এর মধ্যে রোগীর CBC পরীক্ষায় দেখা যায় যে wbc কাউন্ট দিন দিন কমে যাচ্ছে। জন্ডিস দেখা দিয়েছে, বিলিরুবিন বেশি। এলবুমিন ও কমে যাচ্ছে।

Procalcitonin level, HBsAg, Anti HCV সহ অনেক টেস্ট করা হয়েছিল সব নরমাল। এদিকে Albumin দিয়েও Albumin লেভেল নরমালে রাখা যাচ্ছে না বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ট্রাই করেও রোগীর কোন উন্নতি হচ্ছে না
কিন্তু কেন এমন হলো তার কোন ব্যাখ্যা ও দিতে পারছেন না ডাক্তাররা।

সবশেষে উনারা বলেন যে, Septicemia থেকে Multiorgan failure এর দিকে যাচ্ছে পেশেন্ট।

ঐ মুহূর্তে ডা. খাইরুল ভাইয়ার ডাক পড়ে। ভাইয়া ওয়ার্ডে গিয়ে পেশেন্ট কে দেখেন। একেবারে শুরু থেকে হিস্ট্রি নেন এবং প্রশ্ন করে পাওয়া একটা ক্লু থেকে ডায়াগনোসিস করেন। সেই মুহূর্তে ভাইয়া মোবাইলে থাকা পেশেন্টের Rash এর ছবি টা আমাকে দেখান।

পেশেন্টের হিস্ট্রি + Rash এর ছবি টা দেখে আমার মনে পড়ে যায় ১/২ বছর আগে বিশিষ্ট হেমাটোলজিস্ট Prof. Dr. Akhil Ranjon Biswas স্যারের শেয়ার করা দুটি কেইস হিস্ট্রি পড়েছিলাম Haematology Society of Bangladesh এর ওয়েবসাইটে। এবং এই পেশেন্টের Rash ও স্যারের শেয়ার করা পেশেন্টের Rash এর ছবির সাথে মিলে যাচ্ছে।

তখন ভাই কে জিজ্ঞেস করলাম, উনার ডায়াগনোসিস কি Blood Transfusion Associated GVHD(Graft Versus Host Disease)?

তখন ভাই জানালেন যে পেশেন্টের সিজারের সময় ব্লাড ডোনেট করে তার আপন ভাই। কেউ আসলে সেই হিস্ট্রি টা নেন নি। সবাই আসলে সিজার পরবর্তী জ্বরের কারণ হিসেবে Infective cause চিন্তা করছিলেন। তাই কোনো কনক্লুসনে আসতে পারছিলেন না কেইস টি নিয়ে। যেহেতু অনেক টেস্ট অলরেডি করা হয়ে গেছে এবং ভাইয়াও অতীতে এমন কেইস দেখেছেন তাই উনি আগ বাড়িয়ে ব্লাড ট্রান্সফিউসন হিস্ট্রি নিয়েছেন এবং ডায়াগনোসিস করতে পেরেছিলেন। আর বাইরে থেকে এলবুমিন দেয়া সত্ত্বেও পেশেন্টের এলবুমিন লেভেল কমে যাচ্ছিল তার কারণ হিসেবে ভাইয়া বললেন এক্ষেত্রে Protein loosing Enteropathy হয়।

কিন্তু GVHD এর মর্টালিটি রেইট যেহেতু অনেক বেশি, এই পেশেন্ট আসলে সার্ভাইভ করার সম্ভাবনা খুব কম ছিল। (আমি পূর্বে যে দুটো কেইস পড়েছিলাম সেই দুজনই মারা যান। একজনের ক্ষেত্রে ব্লাড ডোনার ছিলেন আপন ভাই, আরেকজনের ক্ষেত্রে আপন ছেলে।)

এই মহিলার শেষ CBC তে WBC count ছিল মাত্র ২৩০/মাইক্রো লিটার (!!!)। Neutrophil 08%, Lymphocyte 90%. ESR= 45.

পরবর্তীতে তাকে হেমোটলজি ওয়ার্ডে ট্রান্সফার করা হয়। ভাইয়া আমাকে নিয়ে যান হেমোটলজি ওয়ার্ডে ভর্তি এই পেশেন্ট দেখানোর জন্য এবং ঐ সময় অধ্যাপক ডা. আখিল রন্জন বিশ্বাস স্যারও ওয়ার্ডে রাউন্ড দিচ্ছিলেন। কিন্তু এই পেশেন্টের বেডে গিয়ে পেশেন্ট কে পাওয়া যায় নি। কারণ উনিও GVHD এর মত একটি Grievous condition এর নিকট হার মেনে মৃত্যুবরণ করেছেন।

আল্লাহ মেহেরবানী করে রোগী কে বেশেহত নসীব করুন।
ডা. খাইরুল ভাইয়া কে অসংখ্য ধন্যবাদ কেইস টি শেয়ার করার জন্য। এর আগে TA-GVHD এর সেইম আরেকটি কেইস ভাইয়া ডায়াগনোসিস করেন যেখানে Open Heart Surgery এর পর পেশেন্টের জ্বর এবং Rash দেখা দেয়। সার্জারীর সময় নিকটাত্মীয় থেকে রক্ত নেন ঐ পেশেন্ট এবং কয়েকদিনের মধ্যেই মরণঘাতী এই রোগে মৃত্যুবরণ করেন।

বি: দ্র: ইংরেজিতে একটা কথা আছে,, Knowledge increases by Sharing, not by Saving! এই সিরিজের সবগুলো লিখাই একাডেমিক আলোচনার জন্য। প্রাসঙ্গিক কোনো তথ্য/অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাইলে করতে পারেন।
Dr. Fahim Uddin
Khulna Medical College
Session: 2012-2013

:
নিকটাত্মীয় থেকে রক্ত নেয়া থেকে বিরত থাকুন। নিকটাত্মীয়ের রক্ত মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সাধারনত Blood Transfusion এর ২ দিন থেকে ৩০ দিন পর এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। Immunocompromised গ্রহীতার ক্ষেত্রে রিস্ক সবচেয়ে বেশি থাকে, তবে দৃশ্যত সুস্থ গ্রহীতার ক্ষেত্রেও Rarely এমনটা ঘটে থাকে।

এর বিস্তারিত ব্যাখা দিতে গিলে অনেক বড় হয়ে যাবে লেখা। সংক্ষেপে বললে, নিকটাত্মীয়ের সাথে আপনার HLA matching থাকায় আপনার রক্তে থাকা T cell(প্রতিরক্ষা কোষ) ডোনারের রক্তে থাকা T cell কে নিজের/Self হিসেবে মনে করবে, তাই তাকে কিছু করবে না। কিন্তু ডোনারের T cell আপনার শরীরে প্রবেশের পর আপনার দেহ কোষগুলো কে Non self/Foreign হিসেবে মনে করবে এবং বিভিন্ন অঙ্গের কোষ গুলো ধ্বংস করতে শুরু করবে। যাতে মৃত্যুর সম্ভাবনা উন্নত বিশ্বেই ৯০% এর বেশি। তবে মাত্র ১% এরও কম কেইসে এটা ঘটে থাকে, অর্থাৎ খুব রেয়ার। কিন্তু হলে যেহেতু রক্ষা নেই, তাই নিকটাত্মীয়ের রক্ত এভয়েড করাই যুক্তিযুক্ত।

বোঝার সুবিধার্থে সাধারন ভাষায় বললে,
বাইরের রাষ্ট্রের কেউ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে গেলে বিজিবি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু ধরুন বাংলাদেশ বিজিবির পোশাক পরে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের সৈনিকরা এদেশে প্রবেশ করল এবং বাংলাদেশ বিজিবি ঐ সকল সৈনিক কে নিজেদের লোক মনে করে কিছুই করল না। এই সুযোগে ঐ সৈনিকরা এদেশে বংশবৃদ্ধি করলো এবং বাংলাদেশের সাধারন মানুষ দের মারতে থাকলো। ঠিক এটাই ঘটে TA-GVHD তে।
*বিজিবি= গ্রহীতার রক্তের T cell(প্রতিরক্ষা কোষ)
*সৈনিক= দাতার রক্তের T cell(প্রতিরক্ষা কোষ)

♦বিশেষ করে আপন ভাই/বোন, বাবা /মা, ছেলে/ মেয়ে, ভাতিজা/ভাতিজি, ভাগিনা/ভাগিনী থেকে রক্ত নেয়া থেকে বিরত থাকুন। আপন ভাতিজা থেকে রক্ত নিয়ে TA-GVHD হয়ে মারা গেছেন এমন কেইসও আছে।

♣যদি ইমার্জেন্সি সিচুয়েশনে কোনো ডোনার খুঁজে না পাওয়া যায় তখন নিকটাত্মীয় থেকেও বাধ্য হয়ে ব্লাড নিতে হয়, তবে সেক্ষেত্রে ডোনারের ব্লাড Irradiation করে গ্রহীতার শরীরে দেওয়া হয়।

🥰🥰🥰🥰
23/08/2023

🥰🥰🥰🥰

Address

Bonogram Keranigonj
Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Medicine.com.bd posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Medicine.com.bd:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram