04/09/2025
লেখাগুলো মৃত। তাকে কেউ পাঠ করলে, তখন সে প্রাণ পায়। জীবনের উপ্যাখান লিখতে গিয়ে এক সময় মনে হলো, রাজনীতিতে মানুষের পক্ষে একটি সংগঠন খুব দরকারী। সংগঠন তৈরির জন্য চাই, সে বিষয় বিস্তর জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা। পুস্তক জ্ঞান প্রধান সহায়ক, যা সহজ লভ্য ছিলো আমার জন্য। রাজনৈতিক সংগঠন তৈরির জন্য একটি পরীক্ষামূলক সংগঠন করলাম। সে সব ২০০৩ সালের কথা। আজ যখন রাজনীতির ময়দানে প্রায় অধিকাংশ নেতা আমার পরিচিত মানুষ, আমার জানা। সেখানে ক্ষমতার ভাগ এবং আত্মচর্চা ছাড়া কিছু দেখলাম না।
একদিকে মূল্যবান লোডশেডিং, ব্যবসায়ীর হাতে গ্যাস, নোংরা পানি; রাজধানীর মানুষ সর্বোচ্চ দাম দিয়ে নিকৃষ্ট আহার খাচ্ছে, সেখানে দৃশ্যগত রাজনীতি সরকারের ক্ষমতা ভাগাভাগি। আমাদের দেশের সরকারে রয়েছে, দেশের সবচেয়ে অক্ষম, অযোগ্য, অপরাধী মানুষগুলো। সেখানে তাদের বিপরীতে যারা গণতন্ত্রের কথা বলছেন, তারা তাদের সংগঠনে একজন চিরস্থায়ী শেখ হাসিনা। তারা আসমান-জমিনে নিজেদের চেয়ে উত্তম এবং নিজের পরেও কোন মানুষকে দেখেন না। গণতন্ত্র কি তারা জানে না, তবে মুখস্ত বলতে পারে।
মানুষ গণজাগরণ থেকে নিরাপদ সড়ক আন্দোলন করেছে, সেখানে বিএনপিকে জনগণ ঢুকতে দেয়নি। আন্তর্জাতিক চাপে তারা এখন রাজনৈতিক হওয়ার নাটকে অভিনয় করছে। বাঙলার জনগণ অক্ষম সিরাজের চেয়ে লুটেরা ক্লাইভকে গ্রহন করা উত্তম মনে করেছিলো। এখনও তাই। এরা কেউ এ ভূমির সন্তান নয়।
ভূমিপুত্রের রাজনীতিতে কলোনিয়ান চিন্তা এবং চরিত্র বাঁধা। ১৮০০ সাথে যে ঢাকার জনসংখ্যা ছিলো ২ লক্ষ, প্রায় ৩৫ বছর পর তার সংখ্যা কমে ষাট হাজারের কাছে এসে থামে। ঢাকার ইতিহাসের সাথে বাঙালীর ভাগ্যের ইতিহাস উঠেছে নেমেছে।
হয়তো এখনও অভাবে বাঙালী শহর ছাড়বে অথবা বদলে দিবে সমাজ বাস্তবতা। ভূমিপুত্রদের সরকার এবং সরকার বিরোধী দৃশ্যগত চরিত্রগুলোকে উপড়ে যেতে হবে। তখন হবে একটি স্বাধীন মানুষের দেশ, বাংলাদেশ।