Ashraf Aleya Hospital - আশরাফ আলেয়া হাসপাতাল

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • Ashraf Aleya Hospital - আশরাফ আলেয়া হাসপাতাল

Ashraf Aleya Hospital - আশরাফ আলেয়া হাসপাতাল সেবাই আমাদের একমাত্র লক্ষ।
ইউনিক বাসস্ট্যান্ড, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা
০১৯৪৮৯৫৯৯৪২

20/04/2025
গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে শিশুর যত্ন ও খাদ্যতালিকা কেমন হওয়া উচিত ?ইরের তাপমাত্রা ৩০+ ডিগ্রী। সামনে এই তাপমাত্রা বেড়ে যাবে ...
15/04/2025

গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে শিশুর যত্ন ও খাদ্যতালিকা কেমন হওয়া উচিত ?
ইরের তাপমাত্রা ৩০+ ডিগ্রী। সামনে এই তাপমাত্রা বেড়ে যাবে ৩৫-৩৭ এ। গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে অতিষ্ট সবাই। বড়রা তো মেনে নিতে পারে, বাচ্চাদের জন্য মানিয়ে নেওয়া, বোঝা খুবই কষ্টের। এর মাঝে গরমের রোগ ব্যাধি তো আছেই। গরমের তীব্রতায় বাচ্চাদের খাবারের প্রতিও কোন আগ্রহ থাকে না। গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে বাচ্চাদের খাবার রুটিনের গরমিল যেন নিত্য দিনের ব্যাপার।
গরমে বাচ্চারা কী খাবে, খাবারের ধরন কেমন হওয়া উচিত, কীভাবে তাদের ভালো রাখা যাবে এই নিয়ে বাবা মায়ের উৎকন্ঠার শেষ নেই। তাদের কিছুটা স্বস্তির জন্যই আমার আজকের লেখা।
গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে শিশুর খাবার যেমন হতে হবে
৬ মাসের কম বয়সী বাচ্চাদের শুধুমাত্র ব্রেস্ট মিল্ক দিবেন যতোটা সম্ভব। আর্টিফিশিয়াল বা কৌটার দুধ এড়িয়ে চলবেন একেবারে ইমার্জেন্সি না হলে। গরমে বাচ্চাদের ডায়রিয়া, বদহজম, বিভিন্ন চর্মরোগ, সর্দি কাশি, নিউমোনিয়া হতে বেশি দেখা যায়। কাজেই শিশুদের খাবার এমন হতে হবে যেন তা থেকে রোগ সংক্রমণ না হয়।
এছাড়াও গরমে শিশুর খাবার তৈরির সময় আরও যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে সেগুলো হলঃ
১) বাচ্চাদের খাবার হতে হবে সহজপাচ্য। সে হিসেবে নরম করে রান্না ভাত বা জাউ ভাত হতে পারে তাদের কমন খাবার। কম তেল মসলায় /পাঁচফোড়নে রান্না করা সবজি, আর পেঁপে লাউ, ঝিঙ্গা, শশা ইত্যাদি পানি জাতীয় সবজি দিয়ে পাতলা করে মাছের ঝোল দেওয়া যেতে পারে।
২) বাসি খাবার, বাইরের খাবার, ভাজা পোড়া এগুলো পুরোদমে এড়িয়ে যেতে হবে। হালকা পুষ্টিকর খাবার যেমন সবজি দিয়ে নরম পাতলা খিচুড়ি (কম তেল মসলায়), সবজির স্যুপ, মাছ বা মাংসের পাতলা ঝোল দিতে পারেন। এছাড়া ফ্রিজের পানি সরাসরি পান করা থেকে বিরত রাখতে হবে।
৩) ফল বা ফলের জুস ইত্যাদি যতোটা দিতে পারেন ভালো। ডাবের পানি, লেবুর শরবত, তরমুজ, পেঁপে, জাম, জামরুল ইত্যাদি দেশীয় ফল শিশুকে খেতে দিন। একটু বড় বাচ্চা হলে খাবারের সাথে শশা, গাজর, লেবু দিতে পারেন। মাঝে মাঝে খাবারে রাখতে পারেন দই-চিড়া কলা।
৪) পানি পানের ক্ষেত্রে ফিল্টার পানি পান করাতে হবে। বাইরের খোলা শরবত যেন শিশু না খায়।
৫) প্যাকেট জাত খাবার, চিপস, কেক, চকলেট, আচার, বিস্কুট, দেওয়ায় সতর্ক থাকুন।
প্রচন্ড গরমে শিশুর বিশেষ যত্ন
১) যে ঘরে তাপমাত্রা একটু কম থাকে সে ঘরে বাচ্চাদের রাখতে হবে। এসি থাকলে Temperature ঠিক রাখবেন, যেন বেশি ঠান্ডা না হয় ঘর।
২) বাচ্চাদের নিয়মিত এক বা দুইবার গোসল করালে ভালো অনুভব করে। যেসব বাচ্চারা বেশি ঘামে, তাদের গা মাথা সুতি নরম কাপড় দিয়ে মুছে দিন।
৩) শিশুর প্রস্রাব ঠিকমতো হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন, না হয় ইউরিন ইনফেকশন হতে পারে। বাচ্চারা যেন খেলা বা পড়ার ফাঁকে পানি পান করে সেটি লক্ষ্য রাখুন।
৪) বাচ্চাকে সুতি কাপড় পড়ানো সবচেয়ে ভালো, এতে করে ঘামাচি, চর্ম রোগ,র‍্যাশ কম হবে শরীরে।
৫) বাইরে বা স্কুলে পাঠানোর ক্ষেত্রে শিশুর জন্য উপযোগী সানস্ক্রিন লাগাতে পারেন। ছাতা, রুমাল, পানির বোতল দিতে ভুলবেন না।
এই টিপস গুলো মেনে চললে আশা করি গরমেও শিশুরা থাকবে সুস্থ। আজ এ পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন।

মম ব্রেইন | নতুন মায়ের মনের জটিলতাএকজন নারী নতুন মা হয়ে ওঠার পর অনেকসময় ভুলে যাওয়া, বিভ্রান্তি বা মনোযোগের অভাবের মতো সম...
11/04/2025

মম ব্রেইন | নতুন মায়ের মনের জটিলতা
একজন নারী নতুন মা হয়ে ওঠার পর অনেকসময় ভুলে যাওয়া, বিভ্রান্তি বা মনোযোগের অভাবের মতো সমস্যার সম্মুখীন হন। অনেক সময়ই এটিকে মজার ছলে “মম ব্রেইন” বলা হয়। কিন্তু বাস্তবে এটি কোনো কল্পিত ব্যাপার নয়, বরং গর্ভাবস্থা এবং সন্তান জন্মের পর একজন নারীর মস্তিষ্কে ও মানসিকতায় যে বিশাল পরিবর্তন ঘটে, তারই প্রতিফলন।
মম ব্রেইন আসলে কী?
“মম ব্রেইন ” বলতে বোঝানো হয় সেই মানসিক পরিবর্তন, যা অনেক নারী গর্ভাবস্থার সময় এবং সন্তান জন্মের পর অনুভব করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, এই সময় নারীদের মস্তিষ্কের কিছু অংশে পরিবর্তন ঘটে, বিশেষ করে সামাজিক উপলব্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত অংশে। এটি স্বাভাবিক হলেও, অনেক সময় নতুন মায়েদের জন্য এটি হতাশাজনক হয়ে উঠতে পারে।
মায়ের দায়িত্ব শুরু হয় সন্তান জন্ম নেওয়ার আগেই, তবে সন্তানের জন্মের পর এটি আরও জটিল হয়ে ওঠে। অনিদ্রা, মানসিক চাপ এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব নেওয়ার কারণে অনেক মা ভুলে যাওয়া, সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হওয়া বা মনোযোগ হারানোর মতো সমস্যায় পড়েন।
কেন নতুন মায়েরা এমন অনুভব করেন?
নতুন মায়েরা প্রায়ই রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না, কারণ শিশুকে খাওয়ানো, শান্ত করা বা দেখভাল করতে হয়। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ার ফলে তাদের স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগে প্রভাব পড়ে। পাশাপাশি, অনেক মা প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতা (Postpartum Depression) বা উদ্বেগজনিত সমস্যার মুখোমুখি হন। এটি তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যকে আরও দুর্বল করে তুলতে পারে।
একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি পাঁচজন নতুন মায়ের মধ্যে একজন প্রসব পরবর্তী মানসিক সমস্যার শিকার হন। তাই, মায়েদের এই পরিবর্তনগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত এবং মানসিকভাবে তাদের পাশে থাকা প্রয়োজন।
প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতা (PPD) কেমন লাগে?
অনেকে মনে করেন, প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতা মানেই দুঃখী থাকা, কিন্তু এটি আরও জটিল। অনেক মা অকারণে কান্না করে ফেলেন, খিদে কমে যায় বা খেতে ভুলে যান, রাগ বেড়ে যায় এবং পরিবারের কাছের মানুষদের উপর বিরক্ত হন। এমনকি, নিজের শিশুর প্রতিও কোনো অনুভূতি না থাকার মতো অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে পারেন। এই অনুভূতিগুলো তাদের মধ্যে অপরাধবোধ তৈরি করে, যা মানসিক অবস্থাকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে।
কীভাবে মায়েদের সাহায্য করা যায়?
“মম ব্রেইন ” বা প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতা কাটিয়ে ওঠার জন্য সাধারণ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
১. মানসিক সহায়তা নিন: পরিবারের সদস্য, বন্ধু বা চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
২. শারীরিক বিশ্রাম নিন: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। তাই, সুযোগ পেলেই বিশ্রাম নেওয়া জরুরি।
৩. সাহায্য নিতে দ্বিধা নয় : পরিবারের সদস্য বা কাছের বন্ধুরা যদি সাহায্য করতে চায়, তবে তা গ্রহণ করুন।
৪. মেডিটেশন চর্চা করুন: মেডিটেশন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করতে পারে।
৫. নিজের যত্ন নিন: শুধু সন্তানের দেখভাল করাই নয়, নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া দরকার। হালকা ব্যায়াম করা বা যা আপনাকে স্বস্তি দেয়, তেমন কিছু করা যেতে পারে।
বাবারাও এই পরিবর্তনের শিকার হন
মজার বিষয় হলো, শুধু মায়েরাই নয়, যারা শিশুর পরিচর্যা করেন, যেমন বাবা বা অন্যান্য অভিভাবকরাও মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যান। গবেষণায় দেখা গেছে, নতুন বাবা-মায়ের মস্তিষ্কে কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটে, যা তাদের সংবেদনশীলতা এবং যত্নশীল মনোভাব বাড়িয়ে দেয়।
নতুন মায়েদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হওয়া উচিত?
একজন নতুন মা অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যান, এবং এটি সহজ কোনো কাজ নয়। তাই, আমরা যদি তাদের ভুলত্রুটি নিয়ে বিচার না করে, বরং সাহায্য করতে এগিয়ে আসি, তবে তাদের জন্য এটি অনেক বেশি সহায়ক হবে। মাতৃত্ব শুধু দায়িত্ব নয়, এটি এক গভীর মানসিক পরিবর্তন, যা সবার কাছ থেকে বোঝাপড়া, সহানুভূতি এবং শ্রদ্ধার দাবি রাখে।
মাতৃত্ব এক গভীর মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তনের সময়। “মম ব্রেইন ” কোনো অলীক ধারণা নয়; এটি নতুন মায়েদের জন্য বাস্তব এক অভিজ্ঞতা, যা তাদের জীবনকে অনেকভাবে প্রভাবিত করে। এটি শুধুমাত্র ভুলে যাওয়া বা মনোযোগ কমে যাওয়ার বিষয় নয়, বরং সন্তান জন্মের পর মায়ের মানসিক ও আবেগিক অবস্থার একটি স্বাভাবিক প্রতিফলন। আমাদের উচিত নতুন মায়েদের প্রতি আরও সহানুভূতিশীল হওয়া, তাদের মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তনগুলোকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করা এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা। সমাজ, পরিবার ও কাছের মানুষদের সহানুভূতি, সাহায্য এবং ইতিবাচক মনোভাব একজন নতুন মায়ের জন্য বিশাল পার্থক্য তৈরি করতে পারে।
মাতৃত্ব কোনো সহজ পথ নয়, তবে এটি ভালোবাসা, ত্যাগ এবং আনন্দের এক অনন্য যাত্রা। তাই, নতুন মায়েদের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হওয়া উচিত সহানুভূতিশীল ও সহায়ক, যাতে তারা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তাদের নতুন ভূমিকাটি গ্রহণ করতে পারেন।

খাবার খেয়ে রোগ প্রতিরোধ করার ফলে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হওয়া ঝুঁকি নেই। সুতরাং খাবার গ্রহণের মাধ্যমে রোগ প্র...
26/03/2025

খাবার খেয়ে রোগ প্রতিরোধ করার ফলে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হওয়া ঝুঁকি নেই। সুতরাং খাবার গ্রহণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

তাই চলুন রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করে যেসব খাবার ও রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করার উপায় জেনে নেয়া যাক।

১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ভিটামিন ‘সি’:

সকল প্রকার ভিটামিনের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন ‘সি’ হচ্ছে বিখ্যাত ! ভিটামিন সি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি সর্দি, কাশি ও ঠান্ডা জনিত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি আমাদের ত্বক ভালো রাখে এছাড়া ভিটামিন ‘সি’ দাঁতের বিভিন্ন প্রকার রোগ প্রতিরোধ করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে – ভিটামিন ‘সি’ মানব দেহের জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মাক্রোনিউট্রিয়েন্ট উপাদান। পাশাপাশি ভিটামিন সি ত্বক, চুল, দাঁত ভালো রাখে। এছাড়া ভিটামিন ‘সি’ ক্যান্সার ও হার্টের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া শুধু মাত্র লেবু মিশ্রিত হালকা গরম পানি পান করে দেহের ৩০% ওজন কমানো যায়। ভিটামিন ‘সি’ শরীলে জমা থাকে না। তাই রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হয়। ভিটামিন ‘সি’ বিভিন্ন প্রকার ফল ও শাক-সবজিতে পাওয়া যায়। যেমন- লেবু, কমলা লেবু, আমলকি, জাম্বুরা, পেয়ারা, আমড়া, কাঁচা আম, ইত্যাদি ফলে প্রচুর পরিমান ভিটামিন ‘সি’ থাকে। অপরদিকে, ভিটামিন সি তে বিদ্যামান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। বিধায়, হার্টঅ্যাটাক এবং স্টোকের ঝুঁকি কমে যায়। তবে এর সুবিধা পেতে, একজন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তির প্রতিদিন প্রায় ৮০ থেকে ৯০ মি.গ্রা. পরিমাণ ভিটামিন সি গ্রহণ তরতে হবে। বয়স্ক ব্যক্তির জন্য ভিটামিন সি টনিকের মতো কাজ করতে পারে। কারণ এটি হাড় ক্ষয় রোধ করে। হাড় ভঙ্গুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিশেষ করে ৫০ ঊর্ধ যে সকল মহিলা নিয়মিত ভিটামিনি সি গ্রহণ করেন, তারা একই বয়সের অন্যদের তুলনায় তাদের শরীল অধিক সুস্থ্য ও মজবুত থাকে। এছাড়া ভিটামিন সি আমাদের চোখের রক্ত চলাচলা স্বাভাবিক রাখে ফলে আমাদের চোখও ভালো রাখে।

সুতরাং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানোর জন্য আপনি অন্তত প্রতিদিন লেবু খেতে পারেন। কেননা লেবু সস্তা, সহজে সারা বছর পাওয়া যায়।

এছাড়া ভিটামিন সি জাতীয় পাউডার পাওয়া যায়। তাই ভিটামিন সি আপনার রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করার অন্যতম সেরা উপায় হতে পারে।

২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সকালে পানি পান করতেই হবেঃ

পানির অপর নাম জীবন, একথা বললেই পানির গুরুত্ব শেষ হয়ে যায় না। বরং পানি কিভাবে আমাদের দেহকে প্রাণবন্ত রাখে তা জনতে হবে। আমাদের দেহের নিজস্ব ইমিউনিটি সিস্টেম রয়েছে, যা অনেক ইনফেকশন ও রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে আর খালি পেটে জল পান করলে সকল প্রকার ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। শুধু তাই নয় সকালে খালি পেটে পানি পানের ফলে, মাথা ব্যথ্য, শরীলে ব্যথা, হার্টের সমস্যা, বাতের সমস্যা, স্থুলতা, ইত্যাদি রোগে সফলতা পাওয়া যায়। পানি রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। এছাড়া ত্বক উজ্জ্বল রাখে। খালি পেটে জল পান করার অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। সারা দিন জুড়ে নিজেকে প্রানবন্ত রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং সকালে ঘুম থেকে উঠে ২ থেকে ৩ গ্লাস পানি পান করার পাশাপাশি সারা দিন কাজের ফাকে নিয়মিত বিরতিতে ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। এতে করে আমাদের শরীল সুস্থ্য থাকবে এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে।

তাই সকালে পানি পানের অভ্যস আপনার রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করার অন্যতম সেরা একটি উপায় হতে পারে।

৩। ভিটামিন ডি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:

মানব দেহের রোগ প্রতিরোধী কোষ সমূহ ভিটামিন পেলে বেশ উদ্দীপিত হয়। আর ভিটামিন ডি হলো বিখ্যাত, যা আমরা সূর্যর আলো থেকে পেয়ে থাকি। ভিটামিন ডি এর অভাব ঘটলে হাড় গঠন হয় না। এছাড়া বারবার ইনফেকশন হতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হীনতা জনিত রোগ হতে থাকে। তাই রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতে আমাদের ভিটামিন ডি এর অভাব দূর করতে হবে। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার যেমন- দুধ, পনির, দই, মাখন, সামুদ্রিক মাছ, কাঠবাদাম, পালং শাক, ডিম, শুটকি মাছ ইত্যাদি খেয়ে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করা যায়।

তাই ভিটামিন ডি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার অন্যতম সেরা উপায় হতে পারে।

৪। মধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ

মধুর কথা আমরা সকলেই জানি। মধুর উপকারের কথাও সবার জানা। মধুতে থাকা অ্যান্টিস্পেটিক পাকস্থলি সুস্থ্য রাখে। শুধু তাই নয় ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে মধু বেশ উপকারি। মধু দেহ থেকে দুষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহকে নানা ঘাত প্রতিঘাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া, মধুতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্যান্সরের মতো রোগ প্রতিরোধ করে। এটি কোষের ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। আবার মধুতে থাকা ক্যালোরি দেহে রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমান বাড়ায়। ফলে রক্ত বৃদ্ধির পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। তাই মধু আপনার রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করার অন্যতম সেরা উপায় হতে পারে।

৫। কালো জিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:

কালো জিরা একটি মশলা। এটি মশলা হলেও, এর যথাযথ ব্যবহারে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কালো জিরা একটি মশলা। এটি মশলা হলেও, এর যথাযথ ব্যবহারে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অদিমকাল থেকেই মহা উপকারি কালোজিরা মানবদেহের নানা রোগ প্রতিরোধ করতে ব্যবহার করা হয়। শুধু কালোজিরাই নয় এর থেকে প্রাপ্ত তেলও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। কালোজিরায় রয়েছে, ক্যান্সারের মতো রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। কারণ এত আছে কেরোটিন ও ক্যান্সার প্রতিরোধী বিভিন্ন হরমন। আরো রয়েছে- আয়রণ, ফসফেট এবং ফসফরাস। কলোজিরা ডায়াবেটিকস রোগীদের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া চায়ের সাথে নিয়মিত কালোজিরা খাওয়া বেশি উপকারি। দেহের রোগ প্রতিরোধের কাজ করার পাশাপাশি, কালোজির যৌন শক্তিও বৃদ্ধি করে। তাই কালোজিরা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর অন্যতম সেরা উপায় হতে পারে।

৬। জিংক রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করেঃ

দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে এমন কয়েকটি খনিজ উপাদানের মধ্যে জিংক অন্যতম। অন্যান্য খাদ্য উপাদানের মতো জিংক সুস্থ্য বজায় রাখতে জাদুকরি ভূমিকা রাখে। জিংক একাই ৩০০ টিরও বেশি এনজাইমের ভূমিকা পালন করে। যার মধ্যে অন্যতম হলো- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা, কোষ বিভাজন, কোষের বৃদ্ধি সাধন, ক্ষত নিরাময় করা, প্রোটিন ও ডিএনএ সংশ্লেষণ। এটা থেকে বোঝা যায়, দেহে জিংকের অভাব থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। সুতরাং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে জিংকের গুরুত্ব অপরিসিম। বাদাম, কুমরোর বীজ, লাল মাংশে জিংক থাকে! তাই জিংক সমৃদ্ধ খাবার আপনার রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করার অন্যতম সেরা উপায় হতে পারে।

৭। প্রোবায়োটিকস রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়ঃ

দুধ জাতীয় খাদ্যে থাকা ল্যাকটোব্যাসিলাস ও বিফিডোব্যাকটেরিয়াম হলো এমন দুটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকটেরিয়ার পরিবার। এটি আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। তাই, প্রোবায়োটিক গ্রহণ করলে আমাদের অন্ত্রে এসকল ব্যাকটেরিয়া ভালো ভাবে বেঁচে থাকতে পারে। ফলে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পায়। সুতরাং প্রোবায়োটিন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার বা বাড়ানোর অন্যতম সেরা উপায় হতে পারে।

৮। দৈনিক ১ টি আপেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ

কথায় আছে প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে আর ডাক্তারের কাছে যেতে হয়না। এর প্রধান কারন হলো আপেল দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে টনিকের মতো বৃদ্ধি করে। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ এর নিকট থেকে জানানো হয়েছে যে- আপেল খেলে অগ্ন্যাশয়ে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ২৩% কমে যায়। এর কারণ হলো আপেলে থাকা ফ্ল্যাভোনল ক্যান্সারের মতো রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে।

এছারাও আপেল,

=> কোলেস্টেরল কমায়

=> ডায়াবেটিকসে উপকার করে

=> হার্ট ভালে রাখে

=> ডায়রিয়ায় উপকার করে

=> কষ্ঠকাঠিন্যর মতো রোগ প্রতিরোধ করে

=> স্থুলতা প্রতিরোধ করে

=> লিভারের রোগ প্রতিরোধ করে।

রাত জেগে রিলস দেখার অভ্যাস কি উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে?বর্তমানে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। ব...
24/03/2025

রাত জেগে রিলস দেখার অভ্যাস কি উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে?
বর্তমানে স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও বা রিলস দেখার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। আমরা অনেকেই রাত জেগে রিলস দেখে সময় কাটাই। কিন্তু জানেন কি, এই অভ্যাস ধীরে ধীরে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে? সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, রাত জেগে অতিরিক্ত রিলস দেখার কারণে উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
রাত জেগে রিলস দেখা এবং উচ্চ রক্তচাপের সংযোগ
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ৪,৩১৮ জন অংশগ্রহণকারীকে নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়, যেখানে দেখা যায় যারা নিয়মিত ঘুমানোর আগে স্ক্রিনে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ভিডিও দেখে, তাদের রক্তচাপ বৃদ্ধির প্রবণতা অন্যদের তুলনায় বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতের বেলা স্ক্রিনের নীল আলো (Blue Light) আমাদের মস্তিষ্কে মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন কমিয়ে দেয়। এই হরমোন আমাদের ঘুমের সময় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফলে রাত জাগার কারণে ঘুমের ঘাটতি হয়, যা সরাসরি উচ্চ রক্তচাপের একটি বড় কারণ হতে পারে।
কেন রাত জেগে রিলস দেখা বেশি ক্ষতিকর?
আমরা প্রায়ই শুনি যে টিভি দেখা কিংবা কম্পিউটারে কাজ করাও দীর্ঘ সময় ধরে করা উচিত নয়। কিন্তু ছোট ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে ক্ষতির মাত্রা আরও বেশি হতে পারে। এর কারণ হলো—
১) টানা স্ক্রলিং অভ্যাস: রিলস বা শর্ট ভিডিওগুলি খুব সংক্ষিপ্ত ও আকর্ষণীয় হয়, ফলে একবার দেখা শুরু করলে থামানো কঠিন হয়ে যায়। এতে ঘুমানোর সময় পিছিয়ে যায়।
২) মানসিক চাপ বৃদ্ধি: রিলসের বিষয়বস্তু বিভিন্ন রকমের হয়—বিনোদনমূলক, ভয়ঙ্কর, উত্তেজনাপূর্ণ বা দুঃখজনক। এগুলো আমাদের আবেগের ওপর প্রভাব ফেলে এবং মানসিক চাপ বাড়াতে পারে, যা রক্তচাপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
৩) শরীরচর্চার অভাব: রাতে দেরি করে ঘুমানো মানে সকালে দেরি করে ওঠা, ফলে শারীরিক কার্যকলাপ কমে যায়। নিয়মিত ব্যায়ামের অভাবে শরীরে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
৪) অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অনেকে রাত জাগার সময় অস্বাস্থ্যকর খাবার বা কফি পান করেন, যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়?
যদি আপনি রিলস বা শর্ট ভিডিও দেখার অভ্যাস কমাতে চান এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি এড়াতে চান, তাহলে নিচের উপায়গুলো অনুসরণ করতে পারেন—
১) নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন: রাতে ঘুমানোর অন্তত ৩০ মিনিট আগে স্ক্রিন থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
২) ব্লু লাইট ফিল্টার ব্যবহার করুন: ফোনের ‘নাইট মোড’ বা ‘ব্লু লাইট ফিল্টার’ অন করে রাখুন, যা চোখ ও মস্তিষ্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমাবে।
৩) গভীর শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস করুন: ঘুমানোর আগে কিছুক্ষণের জন্য মেডিটেশন বা গভীর শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস করলে মানসিক চাপ কমবে।
৪) বই পড়ুন বা গান শুনুন: ঘুমানোর আগে স্ক্রিনের বদলে বই পড়া বা হালকা সুরের গান শোনা ঘুমের জন্য উপকারী হতে পারে।
৫) শারীরিক সক্রিয়তা বাড়ান: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।
রাত জেগে রিলস দেখাটা বিনোদনের জন্য ভালো মনে হলেও, এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদে এটি উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই আমাদের উচিত ঘুমের রুটিন ঠিক রাখা এবং রাতের বেলা স্ক্রিন টাইম কমিয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা অনুসরণ করা। ভালো ঘুম মানেই সুস্থ শরীর, আর সুস্থ শরীর মানেই সুখী জীবন!

রোজা রেখে বাড়তি উপকার পেতে শরবতে এই ৪ উপাদান মিশিয়ে নিনইফতারে নানা ধরনের শরবতের আয়োজন থাকে। দিনভর রোজা রাখার পর এসব পানী...
22/03/2025

রোজা রেখে বাড়তি উপকার পেতে শরবতে এই ৪ উপাদান মিশিয়ে নিন
ইফতারে নানা ধরনের শরবতের আয়োজন থাকে। দিনভর রোজা রাখার পর এসব পানীয় আমাদের দ্রুত চাঙ্গা করতে সাহায্য করে। এছাড়া পানির চাহিদা মেটাতেও শরবতের জুড়ি নেই। রুহ আফজা, তরমুজ, পুদিনা পাতা, লেবুসহ নানা কিছু ব্যবহৃত হয় শরবত বানাতে। এসব শরবতেই যদি কিছু বীজ ও উপাদান মিশিয়ে নেন, তাহলে বাড়তি উপকার পেতে পারেন। জেনে নিন শরবতে কোন কোন উপাদান মিশিয়ে এর গুণ বাড়াবেন।
১। তোকমা
ইফতারে তোকমার শরবত খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। স্মুদি কিংবা শরবতে ভেজানো তোকমা মিশিয়ে দিতে পারেন সহজেই। বীজটি ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। তোকমা অনেকটা চিয়া বীজের মতোই দেখতে, পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ছোট, কালো এবং থকথকে হয় এটি। খাওয়ার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে তোকমা ভিজিয়ে রাখতে হবে। সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা পর্যন্ত এটি ভিজিয়ে রেখে খাওয়া যায়। তোকমায় প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে। ফাইবারের অনেক স্বাস্থ্য সুবিধার মধ্যে একটি হলো এটি কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম বা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও এটি সহায়ক। রোজা রেখে তোকমার শরবত খেলে আমাদের শরীরের তরলের মাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়। আমাদের হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে তোকমার শরবত। এতে মিউকিলেজ থাকে। এটি এক ধরনের জেলের মতো পদার্থ যা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে ফুলে যায়। এই জেলের মতো টেক্সচার নিয়মিত খেলে হজম ভালো হয়। এছাড়া তোকমায় থাকা ফাইবার কার্ডিওভাসকুলার রোগ, কোলোরেক্টাল ক্যানসার এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
২। চিয়া সিড
চিয়া সিডকে বলা হয় সুপার ফুড। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের চমৎকার উৎস এই বীজ। ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজও মেলে এই বীজ থেকে। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে ভিজিয়ে রাখবেন চিয়া সিড। চিয়া বীজ প্রচুর পরিমাণে পানি শোষণ করে, ফলে ইফতারে চিয়া সিডের শরবত খেলে শরীরের পানির চাহিদা পূরণ হয়। নিয়মিত চিয়া বীজ খেলে হজম ভালো হয়, কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং সর্বোপরি ভালো থাকে হার্টের স্বাস্থ্য। রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে ক্ষুদ্র এই বীজ। উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে শরীরের প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতেও সাহায্য করতে পারে চিয়া বীজ। ফলে ডায়াবেটিস, ক্যানসার এবং হৃদরোগের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমে। চিয়া বীজ ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাসের দারুণ উৎস।
৩। ইসবগুল
রোজা রেখে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। জারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তারা তো বটেই, অন্যরাও শরবতের সঙ্গে খেতে পারেন ইসবগুলের ভুসি। ইসবগুল পাকস্থলী পরিষ্কার করে, হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ইসবগুল পাকস্থলী ও খাদ্যনালির ভেতরে আলাদা একটি পর্দা তৈরি করে, যা অ্যাসিড থেকে খাদ্যনালীর পর্দাকে রক্ষা করে বুক জ্বালাপোড়া কমায়। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সহায়ক উপাদানটি। তবে ইসুবগুল দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রেখে খাবেন না। শরবতের সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন সঙ্গে সঙ্গে।
৪। সাবুদানা
ইফতারে বানিয়ে ফেলতে পারেন সাবুদানার শরবত। চুলায় পানি বসিয়ে দিন। গরম হয়ে গেলে এক কাপ সাবুদানা দিন। মাঝারি আঁচে ১০ থেকে ১২ মিনিট সেদ্ধ করুন। সাবুদানাগুলো স্বচ্ছ দেখা গেলে নামিয়ে ছেঁকে নিন। ছাঁকনিতে থাকা অবস্থাতেই ঠান্ডা পানি ঢেলে ধুয়ে নিন। পছন্দের যেকোনো শরবতে মিশিয়ে নিন সেদ্ধ সাবুদানা। প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় সাবুদানায়। ফলে এটি খেলে অস্টিওপোরোসিস ও আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি কমে। শরীরে শক্তি জোগানোর পাশাপাশি হজমশক্তি বাড়াতেও এর ভূমিকা রয়েছে।

রমজানে সুস্থ থাকার সহজ উপায়ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক ইবাদতগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো রোজা। নিজেকে পরিশুদ্ধ এবং মহান ...
18/03/2025

রমজানে সুস্থ থাকার সহজ উপায়
ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক ইবাদতগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো রোজা। নিজেকে পরিশুদ্ধ এবং মহান আল্লাহ তা’লার সান্নিধ্যে লাভের মাধ্যম এটি। ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী রমজানের সময় সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে। রোজার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সুস্থ থাকা খুবই জরুরি।
শারীরিক দুর্বলতার কবলে পড়লে রোজা রাখাই সম্ভব হবে না। ফলে রমজান মাসের বরকত থেকে বঞ্চিত হতে হবে। তাই রোজা রেখে শরীর যেন সুস্থ থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। কিছু নিয়ম-কানুন আর প্রয়োজনীয় খাবার খেলেই কোনো সমস্যা ছাড়াই রাখা যাবে সবগুলো রোজা।
সারাদিন রোজা রেখে আমরা সাধারণত ইফতার করি ঠান্ডা শরবত ও ভাজাপোড়া দিয়ে। শুধু ইফতারেই নয়, সাহরিতেও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার কারণে শরীরে পড়ে বিরূপ প্রভাব। শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়লে মনও ভালো থাকে না। তবে সামান্য একটু সতর্ক হলে ও নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ থাকা সম্ভব। চলুন জেনে নেই রমজানে সুস্থ থাকার কিছু উপায়-
>> আমরা সাধারণত খেজুর দিয়ে ইফতার করি। খেজুরে প্রচুর ফাইবার রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে ইফতারে বেশি মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেক, দুধ দিয়ে তৈরি মিষ্টি, কোমল পানীয় এবং ফলের জুস পরিহার করা উত্তম। মিষ্টির পাশাপাশি রমজানে নোনতা খাবার থেকেও দূরে থাকতে হবে।
>> ইফতারের খেজুর, শরবত, তিন রকমের ফল, সালাদ, ছোলা, ডিম সেদ্ধ, মুড়ি ইত্যাদি রাখুন।
>> খাবার খেতে হবে খুব ধীরে ধীরে। কারণ দ্রুত খাবার খেলে বুকজ্বালা এবং অস্বস্তি অনুভব হতে পারে।
>> ইফতার শেষে সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রামের জন্য বসা যাবে না। কিংবা ঘুমানো যাবে না। বিভিন্ন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে। ইফতারের পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটিও করা যেতে পারে।
>> যাদের চা-কফি পানের অভ্যাস আছে তারা মাগরিবের নামাজের পর লাল চা ও গ্রিন টি পান করুন।
>> রাতে হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন- সবজি ও মাছ ইত্যাদি। অথবা ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ পান করুন।
>> রমজানে প্রতিদিন যে কোনো সময়ে কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটুন।
>> ইফতার ও সাহরিতে ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত তেল, মসলা, সাদা চিনি, বাইরের জুস, রাস্তার ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন।
>> দৈনিক কমপক্ষে আড়াই লিটার পানি পান করুন।
>> সাহরিতে দই, চিড়া, কলা অথবা ভাত-রুটি, মিক্সড সবজি, মাছ, ডিম, মাংস খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে হজম শক্তি বাড়াবে।
>> যারা ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত তারা অবশ্যই রোজার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Address

ইউনিক বাসস্ট্যান্ড, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা।
Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ashraf Aleya Hospital - আশরাফ আলেয়া হাসপাতাল posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Ashraf Aleya Hospital - আশরাফ আলেয়া হাসপাতাল:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category