Food & Alimentation

Food & Alimentation Everybody should knows to knowledge on Food & Nutrition for happy life.In this circumstance, we want

সজনে, সজনে পাতা ও সজনে বীজের গুণাগুণ ও উপকারিতা******************************************************সজনে গ্রীষ্মকালীন এ...
05/10/2020

সজনে, সজনে পাতা ও সজনে বীজের গুণাগুণ ও উপকারিতা
******************************************************
সজনে গ্রীষ্মকালীন একটি সবজি। স্বাদের কারণে অনেকেই এটি পছন্দ করেন। সজনের বীজ, পাতা, ফুল, ডাঁটা সবই স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। সজনে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়। এ কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। এ ছাড়া এটি মূত্রাশয়ের কার্যকারিতা উন্নত করে।

সজনেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি যেমন- নিয়াসিন, রিভোফ্লাবিন এবং ভিটামিন বি-১২ আছে যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। এতে থাকা ভিটামিন বি খাবার ভাঙতে সহায়তা করে এবং সেগুলো সহজে হজম হতে ভ‚মিকা রাখে। এছাড়া সজনেতে থাকা ডিয়াটেরি ফাইবারও হজম পদ্ধতি ঠিক রাখে।
ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের ভালো উৎস হওয়ায় সজনে হাড় গঠনে সাহায্য করে। এছাড়া হাড়ের ক্ষয় এবং শরীরের শক্তি বাড়াতেও এটি বেশ কার্যকরী। অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান থাকায় রক্ত পরিশোধনে সহায়তা করে সজনে। নিয়মিত সজনে খেলে রক্ত সরবরাহ ভালো হয়।

অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান এবং পরিমিত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় সজনে অ্যালার্জি প্রতিরোধে ভ‚মিকা রাখে। সে সঙ্গে যেকোনো ধরনের সংক্রমণ সারাতেও এটি বেশ কার্যকর। সজনেতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকায় আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এটি ঠাণ্ডা-কাশি রোধে ভ‚মিকা রাখে।

সজিনা পুষ্টি ও বিভিন্ন খাদ্যগুণসমৃদ্ধ সবজি। সজিনা গাছকে প্রচলিত বিভিন্ন খাদ্য প্রজাতির মধ্যে সর্বোচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন উদ্ভিদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বহুবিধ খাদ্যগুণসম্পন্ন হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকায় সজিনা গাছকে ‘জাদুর গাছ’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়েছে।
সজিনা ৩০০ প্রকার ব্যাধির প্রতিষেধক হিসেবে ব্যাবহৃত হয়।শরীরের প্রয়োজনীয় প্রায় সব ভিটামিনের সাথে আবশ্যকীয় প্রায় সবগুলি এমাইনো এসিড সজিনা পাতায় বিদ্যমান বলে বিজ্ঞানীরা একে “পুষ্টির ডিনামাইট ” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন । প্রধান ঔষধি রাসায়নিক পদার্থ হচ্ছে–বিটা সিটোস্টেরোল,এক্যালয়েডস-মোরিনাজিন।আর ফুলে আছে জীবানুনাশক টিরিগোজপারমিন। এর মধ্যে আছে ভিটামিন এ, বি, সি, নিকোটিনিক এসিড, প্রোটিন ও চর্বি জাতীয় পদার্থ, কার্বোহাইড্রেট ইত্যাদি।
সাধারণ নাম ‘সাজনা’আর শুদ্ধ ভাষায় সজিনা। এর বৈজ্ঞানিক নাম Moringa oleifera . এর বহু রকম গুনের জন্য আমার অনেক সম্বলকৃত নাম আছে।যেমনঃ শোভাঞ্জন, সুপত্রক, উপদংশ, তীক্ষ্মগন্ধ, সুখামোদ, দংশমূল, শিগ্রু, রুচিরঞ্জক,মধুশিঘ্রক।
ওষধি উদ্ভিদ সজিনার বৈজ্ঞানিক নাম মোরিনগা অলিফেরা (Moringa Oleifera Lam). সজিনা বা সজনে এর বাংলা নাম। সজিনা মোরিনগেসি (Moringaceae) গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। সজিনা আমাদের দেশে একটি বহুল পরিচিত গাছ। এর কাঁচা লম্বা ফল সবজি হিসেবে খাওয়া হয়।
ইংরেজরা এতো বেরসিক যে তারা আমার নাম দিয়েছে-Horse radish ও Drumstick. কিন্তু ভেষজ পন্ডিতরা সেই পুরাকাল থেকে যেমন-চরক, শ্রুত, বাগভাঁটা, বঙ্গসেন, চক্রদত্ত সবাই আমার নানা রকমের গুনের উল্লেখ করেছেন।আমার মূল, ছাল, ফল, ফুল, বীজ সবার মধ্যেই আছে ঔষৌধি গুন।
সাধারণত এ গাছের উচ্চতা ২৩ ফুট থেকে ৩৩ ফুট বা তারও বেশি হয়ে থাকে। সজিনা গাছের কাঠ অত্যন্ত নরম, বাকলা আঠাযুক্ত ও কর্কি। সজিনা তিন ধরনের নীল, শ্বেত ও রক্ত সজিনা।
ড্রামস্টিক, মরিঙ্গাসহ দেশ-বিদেশে সজিনার বিভিন্ন নাম রয়েছে।
বাংলাদেশে সজিনা নামেই পরিচিত। ইংরেজিতে সজিনার নাম ‘ড্রামস্ট্রিক’, যার অর্থ ঢোলের লাঠি। নামটি অদ্ভুত হলেও এটি একটি অতিপ্রয়োজনীয় জীবনরক্ষাকারী উদ্ভিদ। বাংলাদেশে এটি নিয়ে তেমন গবেষণা না হলেও বিশ্বের বহু দেশে এ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে; বিশেষ করে গাছ বৃদ্ধিকারক হরমোন, ওষুধ, কাগজ তৈরি ইত্যাদি।
আমাদের দেশে এটি সবজির পাশাপাশি ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার হয়ে আসছে। সজিনার অ্যানিমিয়া, জয়েন্ট পেইন, ক্যান্সার, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিস, ডায়রিয়া, হার্ড পেইন, ব্লাডপেসারসহ বিভিন্ন রোগে উপকারী ওষধি গুণ রয়েছে। সজিনায় রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ভিটামিন।

সজিনার পাশাপাশি সজিনা পাতা পুষ্টি ঘাটতি পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সজিনার পাতার গুঁড়োরও বিশেষ গুণাগুণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এতে দুধের চেয়েও বেশি ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও জিংক রয়েছে। সজিনা পাতাকে শাক হিসেবে খাওয়া হয়। এতে তাদের শ্রমজনিত ক্লান্তি, শরীরের ব্যথা ইত্যাদি দূর হয়।
সজিনা ফুল শাকের মতো রান্না করে বসন্তকালে খেলে বসন্তের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ হয়। এছাড়া সর্দি, কাশিতে, শ্লোথ, প্লীহা ও যকৃতের কার্যকারিতা কমে গেলে এবং কৃমিনাশক হিসেবে সজিনা ব্যবহার করা যায়। এর পাতা অগ্রহায়ণ-মাঘ মাসে হলুদ হয়ে ঝরে পড়ে। মাঘ-ফাল্গুনে থোকা থোকা সাদা ফুল প্রায় পত্রশূন্য গাছ ছেয়ে থাকে।

সজিনা পাতা শাকের মতো রান্না করে আহারের সময় অল্প পরিমাণে খেলে বল বৃদ্ধি পায় ও ক্ষুধা বাড়ে। পাতা কেটে ফোঁড়া বা টিউমারে দিলে উপকার পাওয়া যায়। বাতের ব্যথায় তা ভালো কাজ দেয়। সজিনা বীজের তেল আমাদের দেশে তেমন পাওয়া যায় না। একে ‘বেন অয়েল’ বলে। এটি ঘড়ি মেরামতের কাজে লাগে।
কুষ্ঠ রোগে বীজের তেল অথবা বীজের তেলের অভাবে বীজ বেটে প্রলেপ দিলে উপকার হয়। সজিনা মূল ও বীজ সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

সজনা, সজনা পাতা ও সজনা বীজের গুনাগুণঃ
১। মুখে রুচি বাড়েঃ সজনে ডাঁটার মতো এর পাতারও রয়েছে যথেষ্ট গুণ। সজনে পাতা শাক হিসেবে, ভর্তা করেও খাওয়া যায়। এতে মুখের রুচি আসে।
২। শ্বাসকষ্ট কমাতেঃ সজনে পাতার রস খাওয়ালে শ্বাসকষ্ট সারে। তাছাড়া পাতাকে অনেকক্ষণ সিদ্ধ করে তা থেকে যেই ঘন রস পাওয়া যায় হিং (এক ধরনের বৃক্ষ বিশেষ) ও শুকনো আদার গুঁড়ো মিশিয়ে খাওয়ালে পেটের গ্যাস বেরিয়ে যায়।
৩। রক্ত চাপ কমাতেঃ বার্মিজ চিকিৎসকদের মতে সজনের পাকা পাতার টাটকা রস দু’বেলা খাবাবের ঠিক আগে ২-৩ চা চামচ করে খেলে উচ্চ রক্ত চাপ কমে যায়। তবে ডায়াবেটিস থাকলে তা খাওয়া নিষেধ।
৪। সজনে পাতার বেটে অল্প গরম করে ফোঁড়ার ওপর লাগালে ফোঁড়া ফেটে যায়।
৫। সজনে পাতার রস মাথায় ঘষলে খুসকি দূর হয়।
৬। সজনা পাতার রসে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার ক্ষমতাও রয়েছে।

৭। উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণেঃ সজনে ডাঁটা খাওয়া উচ্চ রক্ত চাপের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী। সজনে দেহের কোলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া উচ্চ রক্ত চাপের চিকিৎসায় সজনের পাতাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সজনের পাতার (কচিনয়) রস প্রতিদিন নিয়ম করে ৪-৬ চা চামচ খেলে উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়।
৮। টিউমার বা আঘাত জনিত ফোলা উপশমেঃ টিউমার যখন একেবারে প্রাথমিক অবস্থায় থাকে তখন সজনের পাতা এই টিউমার নিরাময় করতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় টিউমার ধরা পরলে তাতে সজনে পাতা বেটে প্রলেপের মতো ব্যবহার করলে টিউমারের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ব্যথা বা আঘাত পেলে দেহের কোনো অংশ ফুলে উঠলে একই উপায়ে তা নিরাময় করা সম্ভব।
৯। বাতের ব্যথা উপশমেঃ বাতের ব্যথা উপশমে সজনে গাছের ছাল বেশ কার্যকর। এই পদ্ধতি বেশ প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। সজনে গাছের ছাল তুলে তা বেটে রস চিপে নিয়ে এই রস নিয়মিত প্রতিদিন ৪-৬ চা চামচ খেলে বাতের ব্যথা প্রায় ৬৫% উপশম হয়।
১০। দাঁতের মাড়ির সুরক্ষায়ঃ অনেক সময় দাঁতের মাড়ির সমসসায় ভুগে থাকেন অনেকে। দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পড়া এবং মাড়ি ফুলে যাওয়া সমস্যায় ইদানীং অনেককে পড়তে দেখা যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে সজনে পাতা। সজনে পাতা ১/২ মগ পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানি দিয়ে ভালও করে প্রতিদিন কুলকুচা করতে হবে। এতে মাড়ির সকল সমস্যার সমাধান হয়।
১১। হেঁচকি ওঠা উপশমেঃ হেঁচকি ওঠা যে কতো কষ্টের তা যারা ভুক্তভোগী তারা ঠিকই জানেন। একবার হেঁচকি উঠা শুরু করলে তা বন্ধ হতে চায় না সহজে। কিন্তু সজনে এই সমস্যার সমাধান করতে পারে বেশ সহজে। সজনে পাতার রস ৯/১০ ফোঁটা আধ গ্লাস দুধের সাথে মিশিয়ে পান করে ফেলুন এক নিঃশ্বাসে। দেখবেন হেঁচকি ওঠা দ্রুত বন্ধ হয়ে যাবে।
১২। পেটের সমস্যা সমাধানেঃ বহুকাল আগে থেকে সজনে হজমের সহায়ক খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পেটে গ্যাস হলে, বদহজম হলে এবং পেটে ব্যথা হলে সজনের তৈরি তরকারীর ঝোল খেয়ে নিন। দেখবেন পেটের গোলমাল অনেক উপশম হয়ে গিয়েছে।
১৩। শরীর ব্যাথাঃ শরীরের কোন স্থানে ব্যথা হলে বা ফুলে গেলে সজিনার শিকড় বেটে প্রলেপ দিলে ব্যথা এবং ফোলা সেরে যায়।
১৪। কান ব্যথাঃ শেকড়ের রস কানে দিলে কানের ব্যথা ভাল হয়ে যায়।
১৫। মাথা ব্যথাঃ সজিনার আঠা দুধের সাথে খেলে মাথা ব্যথা সেরে যায়। আঠা কপালে মালিশ করিলে মাথা ব্যথা সেরে যায়। ফোড়া হলে সাজিনার আঠা প্রলেপ দিলে সেরে যায়।
১৬। মুত্রপাথরীঃ সজিনা ফুলের রস দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে মুত্রপাথরী থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
১৭। শিশুদের পেটের গ্যাসঃ সজিনা পাতার রসের সাথে লবণ মিশিয়ে খেতে দিলে বাচ্চাদের পেটে জমা গ্যাস দূর হয়।
১৮। কুকুরে কামড়েঃ সজিনা পাতা পেষণ করে তাতে রসুন, হলুদ, লবণ ও গোল মরিচ মিশিয়ে সেবন করলে কুকুরের বিষ নষ্ট হয়।
১৯। জ্বর, সর্দিঃ পাতার শাক খেলে জ্বর ও যন্ত্রণাদায়ক সর্দি আরোগ্য হয়।
২০। গর্ভপাতকারকঃ সজিনা গর্ভপাত কারক। সজিনার ছাল গর্ভাশয়ের মুখে প্রবেশ করালে গর্ভাশয়ের মুখ প্রসারিত হয়ে যায় এবং গর্ভপাত ঘটে।
২১। সজিনা শরীরে কোলেস্টরেলের মাত্রা ঠিক রাখে।
২২। মানুষের শরীরে চিনির মাত্রা সমান রাখে ও ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। এতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো এসিড পাওয়া যায়।
২৩। হজমে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
২৪। শরীরে পুষ্টি ও শক্তি জোগায়।
২৫। সজিনা লিভার ও কিডনি সুরক্ষিত রাখে।
২৬। শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
২৭। মায়ের দুধের পরিমাণ বাড়ায়।
২৮। ব্যাকটেরিয়াবিরোধী সজিনার পেস্ট ত্বকের জন্য উপকারী।
২৯। পুরুষের যৌনশক্তি বৃদ্ধি ও দীর্ঘস্থায়ী করে ।
৩০। মেয়েদের বিলুপ্ত যৌন বাসনাকে উজ্জীবিত ও দীর্ঘায়িত করে।
৩১। কৃমিনাশক হিসেবে সজিনা ব্যবহার করা যায়।
৩২। কুষ্ঠ রোগে বীজের তেল অথবা বীজের তেলের অভাবে বীজ বেটে প্রলেপ দিলে উপকার হয়।
৩৩। সজিনা মূল ও বীজ সাপে কামড়ানোর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
৩৪। মূলের ছালের প্রলেপে দাদ উপশম হয়।

সফেদা ফুসফুস ভালো রাখে****************************আমাদের পরিচিত ও দেশি ফল সফেদা। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ অনেক উপকারী এই ফলটি হর...
05/10/2020

সফেদা ফুসফুস ভালো রাখে
****************************
আমাদের পরিচিত ও দেশি ফল সফেদা। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ অনেক উপকারী এই ফলটি হরহামেশাই হাতের নাগালে পাওয়া যায়। সফেদা একটি পুষ্টিমান সমৃদ্ধ অত্যন্ত মিষ্টি, সুস্বাদু ও সুন্দর গন্ধযুক্ত ফল। এছাড়াও এতে রয়েছে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমূহের ভিটামিন এ, সি এবং ই, তামা, লোহা ইত্যাদি।

সফেদার প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য অংশে রয়েছে খাদ্যশক্তি ৮৩ কিলোক্যালরি, শর্করা ১৯.৯৬ গ্রাম, আমিষ ০.৪৪ গ্রাম, ভিটামিন বি২ ০.০২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৩ ০.২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৫ ০.২৫২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি৬ ০.০৩৭ মিলিগ্রাম, ফলেট ১৪ আইইউ, ভিটামিন সি ১৪.৭ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ২১ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৮ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১২ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১২ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৯৩ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ১২ মিলিগ্রাম, জিংক ০.১ মিলিগ্রাম। পুষ্টিগুণের পাশাপাশি এই ফলটির রয়েছে অনেক ঔষধিগুণ।

সকালের নাস্তায় ৭টি স্বাস্থ্যকর খাবার\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\সকালের নাস্তা আমাদের শ...
28/08/2017

সকালের নাস্তায় ৭টি স্বাস্থ্যকর খাবার
\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\

সকালের নাস্তা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি সারা দিন আমাদেরকে প্রাণবন্ত ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, সকালের নাস্তা বেশি পরিমাণে ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে এবং সারাদিন ধরে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন সকালে স্বাস্থ্যকর এবং ভারী নাস্তা খেলে মস্তিষ্ক পুরোদিনের জন্য তৈরি হয়ে যায় এবং সারাদিন শক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু সব ভারী খাবারই স্বাস্থ্যকর নয়। তাই আমাদের জানতে হবে সকালের নাস্তায় কোন খাবারগুলো খাওয়া একেবারেই উচিত নয় এবং কোনগুলো খাওয়া উচিত।

তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই সকালের নাস্তায় ৭টি স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে।

১. ফল
সকালের নাস্তার জন্য সব চাইতে ভালো খাবার হচ্ছে ফলমূল। কলা, আপেল, কমলা, আঙুর ইত্যাদি ধরণের ফলমূল অথবা মৌসুমি ফলমূল দিয়ে সকালের নাস্তা করা সব চাইতে ভালো। ২টি কলা, ১টি আপেল, ১টি কমলা, ২/৩টি স্ট্রবেরি এভাবে শুধুমাত্র ফল দিয়ে নাস্তা করা সকালের জন্য ভালো। চাইলে ফলমূল দিয়ে সালাদের মত তৈরি করেও খেতে পারেন।

২. ওটস
ওটস জিনিসটা খেতে ভালো না লাগলেও এটি আমাদের দেহের জন্য অনেক ভালো একটি খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। ওজন কমাতে এবং কলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওটসের জুড়ি নেই। সকালে হাবিজাবি খাবার বাদ দিয়ে একবাটি ওটস রাখুন। তবে কোন ফ্লেভারড বা চিনিযুক্ত ওটমিল খাবেন না। চিনির পরিবর্তে মধু এবং সাথে কিছু ফলমূল যোগ করে নিতে পারেন। ওটস খিচুড়িও নাস্তা হিসেবে চমৎকার।

৩. ডিম
ডিমকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস। প্রোটিনের সব চাইতে ভালো উৎস হচ্ছে ডিম। এতে ক্যালোরিও থাকে বেশ কম। সকালের নাস্তায় অবশ্যই প্রত্যেকের ডিম খাওয়া উচিৎ। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ হিসেবে সকালে ২ টি ডিম খেলেই যথেষ্ট। তবে যারা একটু বেশি স্বাস্থ্যবান তাদের ডিমের কুসুম এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ। সকালে ডিম সেদ্ধ বা ডিমের অমলেট দিয়ে নাস্তা সারতে পারেন।

৪. আটার রুটি
সকালের নাস্তার জন্য বেশ ভালো একটি খাবার হচ্ছে আটার রুটি। বিশেষ করে যারা ভারী খাবার পছন্দ করেন। সকালে পাউরুটি বা ভাত খাবার চাইতে আটার রুটি সবজি ভাজি বা ডিম অথবা ঝোলের তরকারি কিংবা কলা দিয়ে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো। এছাড়া রুটি বেশ ভালো এনার্জি সরবরাহ করে আমাদের দেহে যা পুরো দিনই রাখবে সতেজ। তবে অবশ্যই তেলে ভাজা পরটা থেকে দূরে থাকবেন।

৫. খিচুড়ি
অনেকেরই সকালে ভাত খাওয়ার অভ্যাস। তারা ভাতের বদলে সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন খিচুড়ি। তবে অবশ্যই সবজি খিচুড়ি। চালের পরিমাণ কমিয়ে বেশি পরিমাণে সবজি দিয়ে রান্না করা সবজি খিচুড়ি দিয়ে সেরে নিতে পারেন সকালের নাস্তা। এতে করে ভারী নাস্তা করা হলেও দেহে পৌঁছাবে পর্যাপ্ত পুষ্টি।

৬. দই
দিনের শুরুটা দই দিয়ে শুরু হোক অনেকেই তা চান না। কিন্তু দই দেহের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী একটি খাবার। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা হাড়ের গঠনে কাজ করে। দিনের শুরু দই দিয়ে করলে পুরো দিন আপনার দেহে থাকবে অফুরন্ত এনার্জি। ক্লান্তি স্পর্শ করবে না দিনের শেষেও। সুতরাং সকালের নাস্তায় কিছু ফলমূলের পাশাপাশি রাখুন দই।

৭. সালাদ
সালাদ মানেই যে শসা, টমেটো এবং গাজরের হতে হবে এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। সুস্বাস্থ্যের জন্য এই সকল সবজির সাথে সালাদে ব্যবহার করতে পারেন সেদ্ধ ডিম বা সেদ্ধ মাংস অথবা সেদ্ধ ছোলাবুট। এছাড়া খেতে পারেন ফলমূলের সালাদ। এইসব ধরণের সালাদ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং দিনের শুরুটা চমৎকার করতে বেশ কার্যকরী।

ডাবের পানির পুষ্টিগুণ::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::ডাবের পানিতে প্রতি ১০০ গ্রামে ১৬.৭ ক্যালোরি তথা ৭০ কিলো জুল...
13/08/2017

ডাবের পানির পুষ্টিগুণ:
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
ডাবের পানিতে প্রতি ১০০ গ্রামে ১৬.৭ ক্যালোরি তথা ৭০ কিলো জুল খাদ্যশক্তি রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়া (যেমন বাংলাদেশ, ভারত) ও মধ্য আমেরিকার অনেক দেশে (যেমন কোস্টা রিকা ও পানামায়) ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম ও অন্যান্য খনিজ পদার্থ আছে। ১ কাপ ডাবের পানিতে যা খনিজ পদার্থ আছে, তা অনেক স্পোর্টস ড্রিংকের চাইতেও বেশি। একটি ডাবে একটি কলার চাইতে বেশি পটাশিয়াম থাকে।

মাটির গুণাগুণের উপর ভিত্তি করে ডাবের পানির স্বাদ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যেমন, ভারতের ডাব মিষ্টি হয়, কিন্তু ব্রাজিলের ডাব হয় একটু পানসে। আবার বাংলাদেশের ডাবের পানি বেশ মিষ্টি হয়, আর একটু হালকা নোনতা স্বাদ থাকে।

ডাবের পানি কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগের প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। এটা কিডনির পাথর সৃষ্টি রোধ করে এবং ডায়রিয়া, আলসার, গ্যাসটাটাইটিস বা অ্যাসিডিটি, মূত্রনালীর সংক্রমণ ও ইউরোলিথিয়েসিস প্রতিরোধ করে। ডাবের পানিতে এন্টিসেপটিক গুণ থাকাতে কাটা-ছেড়া জায়গায় ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। মুখের ক্ষত যেমন—ব্রণ, মেছতা ও ফক্সের ক্ষত ডাবের পানি দিয়ে ধৌত করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এতে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, রিবোফ্লেভিন ও কার্বোহাইড্রেট আছে। ডাবের পানি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
যেসব দেশে স্যালাইন পাওয়া যায় না, সেখানে ডাবের পানিকে অনেক সময় শিরার মাধ্যমে দেয়া স্যালাইন হিসাবে ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধের কাজে ব্যবহার করা হয়।

ডাবের পানির কিছু ক্ষতিকর দিকও জেনে রাখুন
::::::::::::::::::::::ঃ:::::::::::::::::::ঃ:::::::::::::::::::::::::
ডাবের পানির নানা উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারি বা ক্ষতিকর দিকও আছে যা আমাদের কাছে অজানা। আসুন জেনে নেই উপকারি এই পানীয়র কিছু ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে।
১। রক্তের চিনির মাত্রা বৃদ্ধি করে:
ডাবের পানির কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম থাকে কিন্তু তারপরও এটি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী পানীয় নয়। এই মিষ্টি স্বাদের পানীয়টি রক্তের চিনির মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। ১ কাপ নারিকেল পানিতে ৬.২৬ গ্রাম বা ১.৫ চামচ চিনি থাকে।

২। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য উপযুক্ত নয়:
যদিও ওজন কমানোর জন্যই অনেকে ডাবের পানি পান করেন কিন্তু অতিরিক্ত ওজনের বা স্থূলতার সমস্যায় আক্রান্তদের জন্য এটি উপযুক্ত পানীয় নয়।

৩। ক্রীড়াবিদদের জন্য উপযুক্ত পানীয় নয়:
ডাবের পানিতে সোডিয়ামের তুলনায় উচ্চমাত্রার পটাসিয়াম থাকে যা ক্রীড়াবিদদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পটাসিয়ামের উচ্চমাত্রা কখনো কখনো বিষাক্ত হতে পারে, যার কারণে পটাসিয়াম সম্পর্কিত সমস্যা – হাইপারকেলেমিয়া হয়। এর ফলে কিডনির সমস্যা তৈরি হয় এবং হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক হয়। তাই ক্রীড়াবিদেরা এই পানীয় পান না করাই ভালো।

৪। ল্যাক্সেটিভ প্রভাব:
ডাবের পানি প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভ বা রেচক হিসেবে কাজ করে। যাদের অন্ত্রের কাজ বা বাউয়েল মুভমেন্ট ঠিকভাবে হয় না তাদের জন্য এটি উপযুক্ত পানীয় নয়।

৫। রক্তচাপ বৃদ্ধি করে:
উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ডাবের পানি উপযুক্ত পানীয় নয়। ডাবের পানিতে সোডিয়াম থাকে বলে রক্তচাপ বৃদ্ধি করতে পারে। ইউএস ডিপারটমেন্ট অফ এগ্রিকালচার এর মতে, ১ কাপ তাজা নারিকেল পানিতে ২৫২ মিলিগ্রাম সোডিয়াম থাকে।

৬। অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া:
অনেকেরই ডাবের পানির প্রতি অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হয়। তারা যদি ডাবের পানি পান করেন তাহলে তাদের শরীরে র‍্যাশ হয়, চোখে পানি আসে, হাঁচি আসে বা ত্বক লাল হয়ে যায়। ২০০৬ সালে ইউ এস ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন নারিকেলকে ট্রি নাট হিসেবে শ্রেণী বিন্যস্ত করে। তাই যাদের ট্রি নাট অ্যালার্জি আছে তাদের ডাবের পানি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

৭। তাজা ডাবের পানি পান করা উচিৎ:
ডাব কাটার পর সাথে সাথেই ডাবের পানি পান করা উচিৎ। দীর্ঘ সময় ডাবের পানি রেখে দেয়া হলে এর পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যায় বলে এটি আর স্বাস্থ্যকর পানীয় থাকেনা।

৮। শরীর থেকে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান কমে যায়:
অতিরিক্ত ডাবের পানি পান করার ফলে শরীর থেকে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান বের হয়ে যায় প্রস্রাবের মাধ্যমে। এর ফলে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা তৈরি হয় যা কিডনির ক্ষতির কারণ হতে পারে।

সূত্র: উইকিপিডিয়া,লাইফ মারটিনি ও লাইফ স্ট্রং

ছোলার খাদ্য গুণ*******************স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে ছোলা বা বুটের বেশ সুনাম। রোজার ইফতারীতে মুড়ি, পিঁয়াজু আর শ...
12/07/2017

ছোলার খাদ্য গুণ
*******************
স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবে ছোলা বা বুটের বেশ সুনাম। রোজার ইফতারীতে মুড়ি, পিঁয়াজু আর শশার সাথে ছোলা না হলে চলে না। দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ইফতারীতে তেল-মশলায় ভাজা ছোলা আমাদের সংস্কৃতি বা ঐতিহ্যের অংশই হয়ে গেছে। ছোলা মুখ- রোচকও বটে। শক্তি দেয়। পেটেও থাকে বেশিক্ষণ। ছোলা অত্যন্ত পুষ্টিকর। এটি আমিষের একটি উল্লেখযোগ্য উত্স। ছোলায় আমিষের পরিমাণ মাংস বা মাছের আমিষের পরিমাণের প্রায় সমান। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় আছে: প্রায় ১৭ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন, ৬৪ গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং ৫ গ্রাম ফ্যাট বা তেল। ছোলার শর্করা বা কার্বোহাইডেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। খাওয়ার পর খুব তাড়াতাড়িই হজম হয়ে গ্লুকোজ হয়ে রক্তে চলে যায় না। বেশ সময় নেয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ছোলার শর্করা ভাল। ছোলার ফ্যাট বা তেলের বেশির ভাগই পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ছাড়া ছোলায় আরও আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবন। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় ক্যালসিয়াম আছে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১০ মিলিগ্রাম, ও ভিটামিন এ ১৯০ মাইক্রোগ্রাম। এ ছাড়াও আছে ভিটামিন বি¬-১, বি-২, ফসফরাস ও ম্যাগনেশিয়াম। এ সবই শরীরের জন্য কাজে লাগে। ¬ছোলায় খাদ্য-আঁশও আছে বেশ। এ আঁশ কোষ্ঠ কাঠিন্যে উপকারী। খাবারের আঁশ হজম হয় না। রক্তের চর্বি কমাতেও সহায়ক খাদ্যের আঁঁশ। আরও নানান শারীরিক উপকার আছে খাদ্য-আঁশে। দেরীতে হজম হয়, এরূপ একটি খাবার হচ্ছে ছোলা। শরীরে শক্তির যোগান দিতে থাকে দীর্ঘক্ষণ ধরে। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলা থেকে পাওয়া যায় ৩৬০ ক্যালরিরও অধিক শক্তি।

খালি পেটে মাত্র ৪ দিন কিশমিশের পানি খান, তারপরই দেখবেন ফল!**************************************************************...
12/07/2017

খালি পেটে মাত্র ৪ দিন কিশমিশের পানি খান, তারপরই দেখবেন ফল!
*************************************************************************
রক্তস্বল্পতায় কিশমিশ যে উপকারী, সেটা অনেকেই জানেন। কারণ, কিশমিশ শরীরে নতুন রক্ত তৈরি করে। কিন্তু, এটা জানা আছে কি, আপনার লিভার বা যকৃত্‍‌ পরিষ্কার করতেও কিশমিশের জুরি নেই? হ্যাঁ, নিয়মিত কিশমিশের পানি লিভার সাফ হয়।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কিশমিশের পানি খেলে লিভারে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। যার দরুন শরীরের অভ্যন্তরে দ্রুত রক্ত পরিশোধন হতে থাকে। অন্তত টানা চার দিন কিশমিশের পানি পান করলে, পেট একদম পরিষ্কার হয়ে যাবে। পেটের গন্ডগোল থাকবে না। সেইসঙ্গে ভরপুর এনার্জি পাবেন।
অনেক ডাক্তারও রোগীকে ওষুধের পাশাপাশি কিশমিশ প্রেসক্রাইব করেন। কারণ, কিশমিশ হার্টকে ভালো রাখে। সেইসঙ্গে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক যে কোলেস্টেরল রয়েছে, তা দূর করে। কিশমিশে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল। কিশমিশ না-খেয়ে শুধু কিশমিশের পানি খেলেও সেই ভিটামিন ও মিনারেল শরীরে ঢোকে। পানিতে ভেজানোর আর একটা কারণ শর্করার মাত্রা কমে।
রক্ত পরিষ্কার করতে কিডনির পাশাপাশি লিভারকেও ভালোভাবে কাজ করতে হবে। তাই লিভার ও কিডনির সমস্যা হলে, ক্ষতিকারক পদার্থ শরীরে জমতে শুরু করে আমাদের অসুস্থ করে তোলে। তাই লিভার ও কিডনিকে সবসময় চাঙ্গা রাখতে হবে। কিশমিশ ভেজানো পানি সেই কাজটাই ভালোভাবে করে। যার দরুণ হজমশক্তিও বাড়ে।

যেভাবে কিশমিশের পানি তৈরি করবেন :
===========================
২ কাপ পানি (৪০০ এমএল) ও ১৫০ গ্রাম কিশমিশ লাগবে। কী ধরনের কিশমিশ কিনছেন, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খুব চকচক করছে, এমন কিশমিশ কিনবেন না। তাতে কেমিক্যাল মেশানো থাকে। চেষ্টা করুন গাঢ় রঙের কিশমিশ কিনতে। তা-ও এমন কিশমিশ নিতে হবে, যা খুব শক্তও না আবার একদম নরম তুলতুলেও না। কিশমিশগুলোকে ভালো করে কয়েক বার ধুয়ে নিন। এরপর একটি পাত্রে দু-কাপ পানি দিয়ে রাতভর কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। সকালে কিশমিশ ছেকে নিয়ে, সেই পানিটা হালকা গরম করে সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন। ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট অন্য কিছু খাবেন না।

12/07/2017

জলপাই তেলের উপকারিতা
:::;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;;:::::
যুদ্ধে শান্তির প্রতীক হলো জলপাইয়ের পাতা এবং মানুষের শরীরের শান্তির দূত হলো জলপাইয়ের তেল বা অলিভ ওয়েল। আরবিতে জয়তুন নামে ডাকা হয়। ভেষজ গুণে ভরা এই ফলটি লিকুইড গোল্ড বা তরল সোনা নামেও পরিচিত।
গ্রীক সভ্যতার প্রারম্ভিক কাল থেকে এই তেল ব্যাবহার হয়ে আসছে রন্ধন কর্মে ও চিকিৎসা শাস্ত্রে। আকর্ষণীয় এবং মোহনীয় সব গুণ এই জলপাইয়ের তেলের মধ্য রয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলেন, জলপাই তেলে এমন উপাদান রয়েছে, যেগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখে।
জলপাই তেল পেটের জন্য খুব ভালো। এটা শরীরে এসিড কমায়, লিভার পরিষ্কার করে। যাদের কোষ্টকাঠিণ্য রয়েছে, তারা দিনে এক চা চামচ জলপাই তেল খেলে উপকার পাবেন। গবেষকরা বলেন, জলপাই তেল গায়ে মাখলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক কুচকানো প্রতিরোধ হয়।

ইসলাম ধর্মেও জলপাইয়ের তেল খাওয়া এবং ব্যবহারের গুরত্ব দেয়া হয়েছে। আল্লাহর রাসুল (স.) বলেছেন, “কুলু আয যাইতু ওয়াদ দাহিনু বিহি, ফা ইন্নাহু মিন শাজারাতিন মুবারাকাতিন” অর্থ- তোমরা এই তেলটি খাও, তা শরীরে মাখাও।” যাঁদের কোলস্টেরলের মাত্রাটা বেশি, তাঁদের জন্য জলপাই তেলের কোনো বিকল্প নেই। এ তেলের রান্না যেমন ভালো, ত্বকে এর ব্যবহারও উপকারী। যাঁদের ত্বকে চুলকানির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা নির্দ্বিধায় এ তেল ম্যাসাজ করতে পারেন।
শিশুর ত্বকেও নিরাপদ। জলপাই তেল মাথার ত্বকের খুশকি দূর করার জন্যও উপকারী।শুষ্ক তালু প্রাণ ফিরে পায় অলিভ অয়েলের গুণে। অলিভ অয়েল অতিরিক্ত শুষ্ক ও ছোপ ছোপ ত্বক কোমল ও মসৃণ করে তোলে।

সুত্র- ইন্টারনেট।

যৌবন ধরে রাখবে যেসব খাবার*****************************************প্রকৃতির নিয়মেই মানুষের বয়স বাড়ে, বয়সের ছাপ পড়তে ...
06/07/2017

যৌবন ধরে রাখবে যেসব খাবার
*****************************************
প্রকৃতির নিয়মেই মানুষের বয়স বাড়ে, বয়সের ছাপ পড়তে থাকে শরীরে। কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই আপনি বয়স বাড়লেও শরীরকে সুন্দর আর আকর্ষণীয় করে রাখতে পারবেন। নিয়মিত ব্যায়াম, মেডিটেশনের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসটাও যদি ঠিক রাখেন তাহলে বয়স বাড়লেও সুন্দর থাকতে পারবেন। এজন্য খাদ্য তালিকায় রাখুন নিচে বর্ণিত ৫টি খাবার।

দই:
নিয়মিত দই খান। দইয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া শরীরের জন্য ভালো। দই বয়সজনিত কারণে হওয়া রোগগুলো প্রতিরোধ করে। দইয়ে ক্যালসিয়ামও থাকে।

কমলা:
কমলালেবু খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ভালো। কারণ এই ফলে ভিটামিন 'সি' থাকে। ত্বক টানটান রাখে কমলালেবু।

অলিভ অয়েল:
অলিভ তেল রোগ থেকে যেমন দূরে সরিয়ে রাখবে, তেমনি ত্বকে এনে দেবে উজ্জ্বলতা। যা আপনার বয়সকে সত্যিই কম করে দেখাবে।

স্ট্রবেরি:
স্ট্রবেরি হোক কিংবা ব্ল্যাকবেরি সবকটিই শরীরের জন্য ভালো। বিশেষ করে কালো জাম। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন 'সি' থাকে। এই জাতীয় ফল ত্বককে রাখে সতেজ।

প্রকৃতির নিয়মেই মানুষের বয়স বাড়ে, বয়সের ছাপ পড়তে থাকে শরীরে। কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই আপনি বয়স বাড়লেও শরীরকে সুন্দর আর আকর্ষণীয় করে রাখতে পারবেন। নিয়মিত ব্যায়াম, মেডিটেশনের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসটাও যদি ঠিক রাখেন তাহলে বয়স বাড়লেও সুন্দর থাকতে পারবেন। এজন্য খাদ্য তালিকায় রাখুন নিচে বর্ণিত ৫টি খাবার।

দই: নিয়মিত দই খান। দইয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া শরীরের জন্য ভালো। দই বয়সজনিত কারণে হওয়া রোগগুলো প্রতিরোধ করে। দইয়ে ক্যালসিয়ামও থাকে।

কমলা: কমলালেবু খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ভালো। কারণ এই ফলে ভিটামিন 'সি' থাকে। ত্বক টানটান রাখে কমলালেবু।

অলিভ অয়েল: অলিভ তেল রোগ থেকে যেমন দূরে সরিয়ে রাখবে, তেমনি ত্বকে এনে দেবে উজ্জ্বলতা। যা আপনার বয়সকে সত্যিই কম করে দেখাবে।

স্ট্রবেরি : স্ট্রবেরি হোক কিংবা ব্ল্যাকবেরি সবকটিই শরীরের জন্য ভালো। বিশেষ করে কালো জাম। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন 'সি' থাকে। এই জাতীয় ফল ত্বককে রাখে সতেজ।

18/06/2017

আনারস খাওয়ার ৫টি উপকারিতা
★★★★★★★★★★★★★★★★★
মৌসুমী ফল আনারস, প্রতিবছরের এই সময়টায় ছোট-বড় আনারসে ভরে যায় বাজার। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসে নজর কাড়া সব আনারস। শুধু নজর কাড়া নয়, এই আনারসগুলো স্বাদেও বেশ অতুলনীয়। এই সময়ে আনারস খাওয়া শরীরে জন্য অত্যন্ত উপকারি। চলুন জেনে নিই আনারসের কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা-

১. আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এই সকল উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে আনারস খেলে দেহে এইসকল পুষ্টি উপাদানের অভাব থাকবে না।

২. আনারস আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন যা আমাদের হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে।

৩. আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ম্যাংগানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাংগানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত।

৪. শুনতে বেশ অবাক লাগলেও আনারস আমাদের ওজন কমানোয় বেশ সাহায্য করে। কারণ আনারসে প্রচুর ফাইবার রয়েছে এবং অনেক কম ফ্যাট। সকালের যে সময়ে ফলমূল খাওয়া হয় সে সময় আনারস এবং সালাদে আনারস ব্যবহার অথবা আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই ওজন কমাতে চাইলে আনারস খান।

৫. বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে আনারস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। এই রোগটি আমাদের চোখের রেটিনা নষ্ট করে দেয় এবং আমরা ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাই। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এতে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।

এছাড়াও আনারসের ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কম হয় এবং দাঁত ঠিক থাকে।

14/06/2017

★সুষম খাদ্যের উপাদান - ৬ টি
★ প্রোটিন বেশি থাকে -- মসুর ডালে।
★ হাড় ও দাতকে মজবুত করে-ক্যালসিয়াম ও
ফসফরাস।
★ চা পাতায় থাকে -- ভিটামিন বি কমপ্লেক্স।
★ ম্যালিক এসিড -- টমেটোতে পাওয়া যায়।
★ ক্ষতস্থান থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে সাহায্য
করে -- ভিটামিন কে।
★ Natural Protein এর কোড নাম -- Protien - P 49
★ কচুশাক বিশেষভাবে মূল্যবান-লৌহ উপাদানের
জন্য।
★ ভিটামিন সি হলো -- অ্যাসকরবিক এসিড
★ তাপে নষ্ট হয় -- ভিটামিন সি।
★ অামিষের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি --- শুটকী মাছ।
★ গলগল্ড রোগ হয় -- অায়োডিনের অভাবে।
★ মানবদেহ গঠনে প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি-অামিষের।
★ অায়োডিন বেশি থাকে -- সমুদ্রের মাছে।
★ কচু খেলে গলা চুলকায়, কারণ কচুতে অাছে-
ক্যালসিয়াম অক্সালেট।
★ রাতকানা রোগ হয় -- ভিটামিন এ এর অভাবে।
★ মুখে ও জিহবায় ঘা হয় -- ভিটামিন বি₂ এর অভাবে।
★ পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন -- ভিটামিন বি ও সি
★ শিশুদের রিকেটাস রোগ হয়-ভিটামিন ডি এর অভাবে।
★ মিষ্টি কুমড়া -- ভিটামিন জাতীয় খাদ্য।
★ মিষ্টি অালু -- শ্বেতস্বার জাতীয় খাদ্য।
★ শিমের বিচি -- অামিষ জাতীয় খাদ্য।
★ দুধে থাকে -- ল্যাকটিক এসিড।
★ অায়োডিনের অভাবে -- গলগন্ড রোগ হয়।
★ হেজ তৈরিতে ব্যবহৃত উদ্ভিদ -- করমচা
★ লেবুতে বেশি থেকে -- ভিটামিন সি
★ অামলকী,লেবু,পেয়ারা ভিটামিনের উৎস-ভিটামিন
সি।
★ সর্বাধিক স্নেহ জাতীয় পদার্থ বিদ্যমান -- দুধে।
★ রক্তশূন্যতা দেখা দেয় -- অায়রনের অভাবে।
★ দুধের রং সাদা হয় -- প্রোটিনের জন্য।
★ ভিটামিন সি এর রাসায়নিক নাম-অ্যাসকরবিক এসিড।
★ প্রোটিন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়-অ্যামাইনো এসিড।
★ কচুশাকে বেশি থাকে -- লৌহ।
★ সুষমখাদ্যে শর্করা, অামিষ ও চর্বি জাতীয়
খাদ্যের অনুপাত -- ৪:১:১
★ সবুজ তরিতরকারিতে সবচেয়ে বেশি থাকে -খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন।
★ সবচেয়ে বেশি পাটাশিয়াম পাওয়া যায় -- ডাবে।
★ মাড়ি দিয়ে পুজি ও রক্ত পড়ে -- ভিটামিন সি এর
অভাবে।
★ মানবদেহের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন -অামিষ
জাতীয় খাদ্যে
★ সূর্য কিরণ হতে পাওয়া যায় -- ভিটামিন ডি।
★ ডিমের সাদা অংশে যে প্রোটিন থাকে - অ্যালবুমিন
★ অামিষের কাজ -- দেহ কোষ গঠনে সহয়তা করা।
★ মোটামুটি সম্পূর্ণ বা অাদর্শ খাদ্য বলা হয় - দুধকে।
★ কোলেস্টরল -এক ধরণের অসম্পৃক্ত অ্যালকোহল।
★ কোলাজেন -- একটি প্রোটিন।
★ হাড় ও দাত তৈরির জন্য প্রয়োজন -- ডি ভিটামিন
★ ভিটামিন ডি এর অভাবে -- রিকেটস রোগ।
★ অস্থির বৃদ্ধির জন্য পোয়োজন -- ক্যালসিয়াম।
★ মলা মাছে থাকে -- ভিটামিন ডি।
★ সহজে সর্দি কাশি হয় -- ভিটামিন সি এর অভাবে।
★ বিষাক্ত নিকোটিন থাকা -- তামাকে।
★ ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরিতে সাহায্য করে --
অাল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি।
★ শরীরে শক্তি যোগাতে দরকার -- খাদ্য
★ সামুদ্রিক মাছে পাওয়া যায় -- অায়োডিন।
★ সবচেয়ে বেশি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল -- পেয়ারা।
★ ভিটামিন-এ সবচেয়ে বেশি -- গাজরে।
★ মানুষের প্রোটিনের অভাবে -- কোয়াশিয়কর
রোগে।
★ অায়োডিন পাওয়া যায় -- শৈবালে।
★ অামাদের দেশে একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির
প্রায় গড় ক্যালরি শক্তির প্রয়োজন -- ২৫০০ ক্যালরি।
★ গ্লুকোজের স্থূল সংকেত -- CH2O
★ ল্যাথারাইজম রোগ -- খেসারি ডাল খেলে।
★ শরীরের হাড় ও দাঁতের গঠনের কাজে বেশি
প্রয়োজন – ক্যালসিয়াম

21/05/2017

#খাদ্যদ্রবে ভেজাল মেশানো ও তার প্রতিকার

"সোনার বাংলা কবি কল্পনা,তার
দিকে দিকে শুধু ক্ষুধিতের হাহাকার। "

কবিত্বের কাব্যছন্দে ফুটে উঠেছে বাংলার দারিদ্র্য পীড়িত জনগণের জীবন -যাতনার এক করুণবিঁধূর নিরবীয় বিষ গ্রহণের প্রতিচ্ছবি। আজকে দিন বদলের পালায় জনগণের ভাগ্যাকাশে বিচরণ করছে আর্থিক দুর্যোগের পাশাপাশি খাদে ভেজাল মেশানোর এক মহা ঘনঘটা।
যে খাদ্য গ্রহণ করে মানুষ জীবন ধারণ করছে তাতে নির্দ্বিধায় ভেজাল মিশ্রণ করে মানুষের চরম সর্বনাশ সাধন করছে প্রাণী
জগতের শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী মানুষরূপী মনুষ্যত্ব বিহীন, অর্থ লোলুপ, আত্মকেন্দ্রিকতায় কলঙ্কিত জঘন্যতম অমানুষ ।

মানুষ সামাজিক জীব। মানুষের
কল্যাণেই সমাজ, সমাজের কল্যাণেই মানুষ। মনুষ্যত্ব নিয়েই মানুষ, মনুষ্যত্ব বিহনে মানুষই অমানুষ। মানবতা মানুষের বড় গুণ। কিন্তু, মানুষ আজ মানবতাকে উপেক্ষা করে অর্থলোলুপ স্বার্থপরতায় ভেজালের দৌরাত্ম্যে প্রতিনিয়তই নতুন "আইটেম " যুক্ত করছে।

অত্যন্ত ভয়াবহ কথা যে, রাজধানীতে বিক্রিত খাদ্য সামগ্রীর 70%ভেজাল যুক্ত (সূত্র :ঢাকা সিটি কর্পোরেশন )এবং বাজারে বিক্রয় হচ্ছে এমন ভেজাল খাদ্যের পরিমাণ 50% (কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশএর হিসেবে)
রাজধানী ঢাকায় ভেজালযুক্ত খাদ্য অনেক টা সোনার হরিণের মত দুর্লভ। মাছ, মাংস, চিনি, লবন,আটা, ঘি, মিষ্টি,ঔষধ, দুধ, এমন কী মিনারেল ওয়াটার নামে বোতলবন্দি "বিশুদ্ধ " পানিতে ও ভেজাল। আজকাল তরল দুধে মেশানো হচ্ছে ফরমালিন, আর শিশুর গুঁড়া দুধে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিষাক্ত রাসায়নিক মেলামাইন।
ভাবতে ও কষ্ট হয় -
মানবতা আজ কত বিপন্ন।
অসহায় শিশু, অসহায় রোগী,তাদের নিয়ে চলছে কত ষড়যন্ত্র? ভাবা যায় জীবনরক্ষাকারী ওষুধে ট্যালকম পাউডার, আটা -ময়দা,প্রাণঘাতী হেপাটাইটিস বি -ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসাবে পুশ করা হচ্ছে মিনারেল ওয়াটার, ওষুধে ভেজাল মিশাতে হাত কাঁপেনা এসব মুনাফাখোরদের।
সিমেন্টের সঙ্গে মেশানো হয় মাটি,চালে, ডালে কাঁকর মিশিয়ে ওজন বাড়ানো হচ্ছে,
ডিমে ও ঢুকছে ভেজাল, বাদ পড়ল না শাকসবজি, আলু,মাছ, মাংশ, মশলাপাতিসহ এসব কিছুও।ঘি এর সঙ্গে পশুর চর্বি, তিল বা নারিকেল তেলের সঙ্গে তুলা বীজের তেল, বাদাম তেল মেশানো,সরিষার সঙ্গে প্রায়ই শিয়ালকাঁটার বীজ মিশিয়ে তেল বের করা হয়, সয়াবিন তেলের সাথে পামতেলের ভেজাল করা হয় অনেক সময় দুধের মাখন তুলে নিয়ে দুধে পানি মিশিয়ে ভেজাল দুধ বাজারজাত করা হয়, মসলার মধ্যে হলুদ বা লঙ্কার গুঁড়াতে সীসাজাতীয় রঞ্জক পদার্থ মিশিয়ে রং উজ্জ্বল করা, কোমল পানীয় তৈরিতে গ্লুকোজ ও চিনির পরিবর্তে প্রায়শই ব্যবহৃত কার্বোক্সি মিথাইল মেশানো হয়, বিভিন্ন ফলের রসের নামে কৃত্রিম ও নিষিদ্ধ দ্রব্য ব্যবহার করে নকল রস তৈরি করা হয়।

দেদারছে চলছে এসব ভেজাল অপকর্ম বিভিন্ন হোটেল, চাইনিজ রেস্তোরাঁ ও ফাস্টফুডের
দোকানগুলোতে। সুকৌশলে মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে মৃত্যুর দিকে। আর ব্যক্তিগত অঙ্ক বাড়াচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।

দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, ভেজাল নিরুপনকারী বিএসটি আই প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেখানে ও ভেজাল আর দুর্নীতি।
ভেজাল সর্বত্রই।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে,
এসব নকল ও ভেজাল খাদ্য সামগ্রীই বিশুদ্ধ বা খাঁটি লেবেল লাগিয়ে অনায়াসেই বিক্রি হচ্ছে,প্রচার হচ্ছে, সাথে সরবরাহের ও অভাব নেই। আসলে এসব খাঁটি লেবেলের আড়ালে আসল জিনিসটাই বোধহয় হারিয়ে গেছে।
নকল -ভেজালের দৌরাত্ম্যে "খাঁটি" কথাটাই কথার কথায় পরিণত হয়েছে। সকলেই জানে, "খাঁটি "মোটেও খাঁটি নয়।

কী ভয়াবহ -কী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি!
মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা কোন জগতে বসবাস করছি?মনুষ্য সমাজে নাকি পশুর সমাজে???
মানুষ কি পশুকে অতিক্রম করে যাচ্ছে নাকি পশুত্ব মনুষ্যত্তকেগ্রাস করছে??
যারা কোনোরকম সুস্থ আছি তাদের সুস্থতা ধ্বংস করতে কী গভীর ষড়যন্ত্র,
কী কুটিল জল্পনা -কল্পনাই না চলছে দিবানিশি।
তাই বলছিলাম -
আমরা আসলে কোথায় আছি? যাচ্ছিই বা কোথায়? আমাদের ভবিষ্যৎ কি? আগামী প্রজন্মের আগামী কতোটুকুই বা শংকামুক্ত এবং নির্বিঘ্ন????
অপরাধ করা, অপরাধ এবং অপরাধী কে প্রশ্রয় দেয়া সমান অপরাধ এ কথা শুধু জানলেই চলবে না -প্রতিবাদ করে প্রতিরোধ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে।
ওয়াজ -নসিহত করে এই নিন্দনীয় অপরাধ কর্মকে বিরত রাখা যাবে না, তাই,,,
ভেজালের সর্বনাশা বিভীষিকাময় থেকে মুক্তির জন্য সরকারের সদিচ্ছা এবং আইন প্রয়োগকারীদের সততা সহ বিএসটিআইকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হতে হবে।
খাদ্য নমুনা নিরীক্ষণ পদ্ধতি বড় বড় বাজার সহ জেলা পর্যায়ে পরীক্ষাগার স্হাপন করতে হবে।

11জুলাই2005প্রথমবারের মতো ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর খাবার তৈরির জন্য হোটেল মালিককে সাজা প্রদান ও জরিমানা করা হয়,, এ ধারা বেগবান করা উচিত।
এছাড়াও "বিশুদ্ধ খাদ্য বিল 2005"আইনে সর্বোচ্চ 3লক্ষ টাকা জরিমানা এবং সর্বোচ্চ 3বছরের সশ্রম কারাদন্ডের বিধান প্রয়োগ ও তরান্বিত করা উচিত।

সুখী ও সোনালি সভ্যতার প্রত্যাশায় আমাদের

-"এ তুফান ভারি দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।"

সর্বোপরি,
জগৎ জুড়ে সকলের বিবেকবোধ, নীতি ও ঔচিত্যবোধ জাগ্রত হোক, সকলের সচেতনতায় ভেজাল নামক সামাজিক অপরাধ নিশ্চিহ্ন হোক,,,, মানুষের শুভ বুদ্ধি তমসাচ্ছন্ন থেকে বেরিয়ে আসুক,,, সকলেই সুস্থ ও নীরোগ
থাকি...।
"ভেজাল খাবার খাবো না
ডাক্তারের কাছে যাবো না,
ভেজাল কে না বলি
সুস্বাস্থ্যের সোনার বাংলা গড়ি।"..
ব্যক্তিগত সচেতনতায়,,,
ইসমত আরা আসমা

Address

Dhaka

Telephone

+8801711946883

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Food & Alimentation posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Food & Alimentation:

Share