Niloy's Pathology

Niloy's Pathology knowing about Your health can ensure your health Fitness. know about your health, be healthy. we will educate you about your diseases & Lab Tests in details.

আপনি যদি আপনার ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল করতে চান, তাহলে এই পানীয়টি ৭ দিন পান করে দেখতে পারেন।কিভাবে বানাবেন * উপকরণ:   * ...
25/07/2025

আপনি যদি আপনার ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল করতে চান, তাহলে এই পানীয়টি ৭ দিন পান করে দেখতে পারেন।
কিভাবে বানাবেন
* উপকরণ:
* ১ চা চামচ মৌরি
* ১ গ্লাস গরম জল (ফুটন্ত নয়)
* প্রস্তুত প্রণালী:
* মৌরিগুলো গরম জলে ১০-১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।
* প্রতিদিন সকালে খালি পেটে উষ্ণ অবস্থায় চুমুক দিয়ে পান করুন।
বাড়তি সুবিধা
* হজমশক্তি বাড়ায়।
* শরীর ফোলা কমায়।
* ত্বক পরিষ্কার করে।
* প্রাকৃতিকভাবে হরমোনকে সমর্থন করে।
সুরক্ষার জন্য
* দিনে এক গ্লাসের বেশি পান করবেন না।
* গর্ভবতী অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া এটি পান করা উচিত নয়।

22/07/2025

স্কুল ছুটির আগে যেন হলো জীবনের ছুটি। মৃত্যু এক অনিবার্য সত্য। মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেও আমরা জানিনা ঠিক কখন আমাদের নিঃশ্বাস থেমে যাবে। জানিনা কোন অবস্থায় কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমাদেরকে মৃত্যবরণ করতে হবে। বাচ্চাগুলোও তো আশায় ছিলো একটু পর বাড়ি চলে যাবে। তাদের বাড়ি ফেরার আশায় তাদের মায়েরা হয়তো বসে ছিলো। কিন্তু কিছু ফুলের আর বাড়ি ফেরা হলোনা। মায়ের মুখটা আর দেখা হলোনা।

২৪ এর জুলাই হয়তো ছিলো ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জুলাই।
এবছর জুলাই এর শুরু থেকেই না খুব আতঙ্ক লাগতো। খালি দু'আ করতাম এবারের জুলাইটা যেন সুন্দর ভাবে কেটে যায়। কিন্তু এবারও কেন যেন ভয়ঙ্কর রূপেই ফিরে এলো। ভিন্ন এক কারনে ভয়ঙ্কর হয়ে গেল।

জুলাইয়ের শেষের দিকে আবারও সেই ভয়ঙ্কর মুহুর্তগুলো ধরা দিচ্ছে। সন্তান হারা মায়ের আহাজারি, বেনামি লাশ,
র|ক্ত|র জন্য হাহাকার, প্রাণ বাঁচানোর জন্য ছুটে চলা, এতো এতো মানুষের কান্না আরও কত কি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সবাইকে হেফাজত করুক।

ওই ছোট্ট ছোট্ট প্রাণগুলো, আহ না জানি কতটুকু যন্ত্রনা সহ্য করতে হয়েছে। চোখের সামনে এতো আগুন দেখে না জানি কতটা আতঙ্কিত হয়েছিলো বাচ্চাগুলো। যেখানে আমাদের গায়ে সামান্য একটু গরম তেলের ছিটা লাগলেই আমরা যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকি, সেখানে না জানি ওই ফুলগুলোর কতটা কষ্ট হয়েছে যখন তাদের শরীর একটু একটু করে ঝলসে যাচ্ছিলো। না জানি একটু নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় ওই অবস্থাতেও কিভাবে ছটফট করে ছুটে যাচ্ছিলো এদিকে থেকে ওদিক। আর তাদের বাবা মা! তাদের অবস্থা কেমন?

নাহ আর ভাবতে পারছি না। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তাদেরকে সবর করার তৌফিক দান করুক। সবরের বিনিময়ে তাদের সন্তানদের সাথে রব্ব তাদেকে জান্নাতে মিলিত করুক ইনশাআল্লাহ।

ইয়া রব্ব ওই নিষ্পাপ ফুলগুলোকে জান্নাতের বাগিচায় ঠায় দিয়েন মালিক। ঠিক যতখানি কষ্ট পেতে হয়েছে বিনিময়ে তার চেয়েও কয়েকগুণ আরামে রাখিয়েন মালিক। ওই ফুলগুলোর বাবা মা কে ধৈর্য্য ধারণ করার তৌফিক দান করুন। (আমীন)

07/07/2025

সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে অ্যালজাইমার-সম্পর্কিত প্রোটিন, p-tau217, নবজাতকদের মস্তিষ্কে উচ্চ মাত্রায় উপস্থিত থাকে, যা অ্যালজাইমার রোগীদের চেয়েও বেশি! মাইক্রোবায়োলজি ও বায়োমেডিক্যাল সাইন্সের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি সত্যিই একটি যুগান্তকারী তথ্য।
আমরা জানি, প্রোটিনের গঠন এবং কার্যকলাপ জীবদেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। p-tau217-কে এতদিন নিউরোডিজেনারেশনের একটি মার্কার হিসেবে দেখা হলেও, এই গবেষণা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এটি শিশুর মস্তিষ্কের স্বাভাবিক বিকাশে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি আমাদের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে এবং নতুন করে ভাবাচ্ছে।
এই গবেষণা প্রমাণ করে যে অপরিণত শিশুদের মধ্যে এই প্রোটিনের মাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে এবং শৈশবে তা কমে যায়। মজার বিষয় হলো, অ্যালজাইমার রোগীদের ক্ষেত্রে এটি আবার বেড়ে যায়। এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া, যা কোষীয় স্তরে প্রোটিনের মিথস্ক্রিয়া এবং এর নিয়ন্ত্রণের উপর আলোকপাত করে।
আমার মনে হয়, এই আবিষ্কার ভবিষ্যতে নিউরোডিজেনারেটিভ রোগের চিকিৎসা এবং প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। যদি আমরা বুঝতে পারি কিভাবে নবজাতকরা p-tau217-এর উচ্চ মাত্রা সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তবে তা অ্যালজাইমারের মতো জটিল রোগের চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটাতে পারে।
আমরা মাইক্রোবায়োলজিস্টরা যেমন অণুজীবের রহস্য উন্মোচন করি, তেমনি এই গবেষণা আমাদের মানব দেহের কোষীয় ও আণবিক রহস্যের গভীরে প্রবেশ করতে সাহায্য করবে।
আসুন, এই গবেষণার গভীরে প্রবেশ করি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আরও উন্নত চিকিৎসার পথ তৈরি করি। 💡
#মাইক্রোবায়োলজি #অ্যালজাইমার #স্বাস্থ্য #গবেষণা #বিজ্ঞান #নিউরোসায়েন্স #বায়োমেডিক্যাল

27/06/2025

🥛 দুধ: আপনার জন্য কোনটি সেরা? নারকেলের দুধ নাকি গরুর দুধ? 🥛
আমরা সবাই জানি, সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে দুধের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু বাজারে তো এখন অনেক রকম দুধ পাওয়া যায়, তাই না? বিশেষ করে নারকেলের দুধ আর গরুর দুধের মধ্যে কোনটা আপনার জন্য ভালো, তা নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় ভোগেন। 🤔 Niloys Pathology আপনাদের জন্য এই জরুরি তথ্যটি সহজভাবে তুলে ধরছে!
নারকেলের দুধ: প্রাকৃতিক গুণের ভরপুর! 🥥
* যারা গরুর দুধ হজম করতে পারেন না বা ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স (Lactose Intolerance) আছে, তাদের জন্য নারকেলের দুধ একটি চমৎকার বিকল্প।
* এতে আছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং উদ্ভিদ-ভিত্তিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
* যারা সম্পূর্ণ নিরামিষাশী জীবনযাপন করেন, তাদের জন্যও এটি উপযুক্ত।
গরুর দুধ: ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের উৎস! 🐄
* গরুর দুধ হলো সম্পূর্ণ প্রোটিনের (Complete Protein) একটি দারুণ উৎস, যা আমাদের পেশী গঠনে এবং টিস্যু মেরামতে সাহায্য করে।
* হাড় মজবুত করার জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান এতে প্রচুর পরিমাণে থাকে।
* বাঙালিদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় গরুর দুধ একটি ঐতিহ্যবাহী এবং পরিচিত নাম।
তাহলে আপনার জন্য কোনটি ভালো? 🤔
আসলে এর কোনো একরকম উত্তর নেই! কারণ, দুধ নির্বাচনের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে আপনার ব্যক্তিগত হজম ক্ষমতা, জীবনযাপন এবং স্বাস্থ্যের লক্ষ্যের ওপর। সবার শরীর একরকমভাবে কাজ করে না!
Niloys Pathology-এর টিপস:
* আপনার যদি ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স থাকে, তাহলে নারকেলের দুধ আপনার জন্য আরামদায়ক হতে পারে।
* হাড় মজবুত করতে এবং পর্যাপ্ত প্রোটিন পেতে চাইলে গরুর দুধ ভালো বিকল্প।
* যেকোনো নতুন খাবার আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করার আগে একজন পুষ্টিবিদ বা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
মনে রাখবেন, পুষ্টি হলো ব্যক্তিগত বিষয়! আপনার শরীর কী গ্রহণ করছে এবং কীসে ভালো থাকছে, সেটাই আসল।
আপনার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সুনির্দিষ্ট স্বাস্থ্য পরামর্শের জন্য আজই Niloys Pathology-তে যোগাযোগ করুন! সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।
#দুধ #নারকেলেরদুধ #গরুরদুধ #স্বাস্থ্য #পুষ্টি #ল্যাক্টোজইনটলারেন্স #ক্যালসিয়াম #প্রোটিন #সুস্বাস্থ্য

09/06/2025

ঈদের ভোজের পর হজমে সমস্যা? জেনে নিন করণীয়

ঈদুল আজহার উৎসব মানেই সুস্বাদু মাংস, বিরিয়ানি, মিষ্টান্ন আর ঠান্ডা পানীয়তে ভরপুর আনন্দঘন সময়। তবে অতিরিক্ত তেল-মসলা ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে অনেক সময় গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা, অম্বল ও হজমের সমস্যায় পড়তে হয়।

কেন হয় এই সমস্যা?

দুবাইয়ের নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞ জুসেপ্পে বেলুচ্চি গালফ নিউজকে জানান, ঈদে আমরা সাধারণত ভাজা-পোড়া, তেলঝাল ও ভারি খাবার বেশি খাই। এতে পাকস্থলীতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে, হজম ধীরগতিতে হয় এবং গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা দেখা দেয়।

২০২৩ সালের ক্লিনিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি অ্যান্ড হেপাটোলজি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ভারি খাবার পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণ বাড়িয়ে তোলে, যা অম্বল ও অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি বাড়ায়। এর বিপরীতে, প্রোবায়োটিক ও ফাইবারযুক্ত হালকা খাবার হজমে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

ঈদের ভোজের পর হজমে সমস্যা? জেনে নিন করণীয়

ঈদুল আজহার উৎসব মানেই সুস্বাদু মাংস, বিরিয়ানি, মিষ্টান্ন আর ঠান্ডা পানীয়তে ভরপুর আনন্দঘন সময়। তবে অতিরিক্ত তেল-মসলা ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে অনেক সময় গ্যাস্ট্রিক, পেট ফাঁপা, অম্বল ও হজমের সমস্যায় পড়তে হয়।

কেন হয় এই সমস্যা?

দুবাইয়ের নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞ জুসেপ্পে বেলুচ্চি গালফ নিউজকে জানান, ঈদে আমরা সাধারণত ভাজা-পোড়া, তেলঝাল ও ভারি খাবার বেশি খাই। এতে পাকস্থলীতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে, হজম ধীরগতিতে হয় এবং গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা দেখা দেয়।

২০২৩ সালের ক্লিনিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি অ্যান্ড হেপাটোলজি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ভারি খাবার পাকস্থলীর অ্যাসিড নিঃসরণ বাড়িয়ে তোলে, যা অম্বল ও অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি বাড়ায়। এর বিপরীতে, প্রোবায়োটিক ও ফাইবারযুক্ত হালকা খাবার হজমে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

প্রোবায়োটিক কেন জরুরি?

কর্নারস্টোন ক্লিনিকের সার্জন জিওভান্নি লিওনেত্তির মতে, প্রোবায়োটিকসমৃদ্ধ খাবার পাকস্থলীর উপকারী ব্যাকটেরিয়া রক্ষা করে, হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা কমায়। এ ধরনের খাবার শরীরের পুষ্টি শোষণেও সহায়ক।

ঈদের খাবারে যেসব প্রোবায়োটিক রাখবেন :

#দই : হজমে সহায়ক, পেটের গ্যাস কমায়।

#কেফির : ফারমেন্টেড পানীয়, হজমবান্ধব।

আচার বা ফারমেন্টেড সবজি : উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে।

মাঠা (বাটারমিল্ক) : পেট ঠান্ডা রাখে, হজম সহজ করে।

ঈদের আনন্দ পূর্ণতা পায় শরীর ভালো থাকলে। তাই ভোজের পর হজম ঠিক রাখতে প্রোবায়োটিক খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না।

#ঈদুল_আযহা #পেট_খারাপ #বদহজম

16/05/2025

মনের খারাপ লাগা আর দুশ্চিন্তা কি শুধু পরিস্থিতির শিকার? 🤔 বিজ্ঞানীরা কিন্তু অন্য কথা বলছেন! পেটের ভেতরের জীবাণুদের ভারসাম্যহীনতাও এর কারণ হতে পারে! 🦠🧠

আমাদের চিন্তা, আচরণ, এমনকি মস্তিষ্কের রাসায়নিক বার্তাবাহকরাও নাকি বেশিরভাগ সময় এই পেটের জীবাণুদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়! ভাবুন একবার, মন খারাপ লাগলে বা দুশ্চিন্তা হলে, হয়তো আপনার পেটের জীবাণুদের একটু ভালোবাসার দরকার! 🤗

কিছু ইন্টারেস্টিং তথ্য শেয়ার করি:

👉 আপনার মস্তিষ্কের বুদ্ধি আর তথ্য ধারণের ক্ষমতা কীভাবে তৈরি হবে, সেটা নির্ভর করে মায়ের গর্ভাশয়ের জীবাণুদের উপর। আর মায়ের জীবাণু আসে মায়ের নিজের শরীর থেকে! 🤰
👉 মায়ের গর্ভাবস্থায় অ্যান্টিবায়োটিক খেলে বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে মায়ের পেটের জীবাণুদের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। এর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশেও! 😥
👉 এখনকার মায়েরা আগের তুলনায় অনেক বেশি প্রক্রিয়াজাত খাবার খান, যা তাদের পেটের জীবাণুদের জন্য ভালো নয়। 😔
👉 কিছু খাবার, যেমন লেকটিন ও অক্সালেটযুক্ত খাবার (সাধারণত উদ্ভিজ্জ খাবারে থাকে), যাদের পেটের সমস্যা আছে তাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। 🥦 এরা পেটের জীবাণুদের উত্তেজিত করে মন খারাপ বা দুশ্চিন্তা বাড়াতে পারে! 🤯

তাহলে উপায়? পেটের জীবাণুদের ভারসাম্য ঠিক করবেন কীভাবে? 🤔

দুটি সহজ উপায় আছে:

১. **রোজা (ফাস্টিং):** হ্যাঁ, উপোস করলে নাকি পেটের জীবাণুরা ছড়িয়ে পড়ে এবং খারাপ জীবাণুগুলো কমে যায়! অনেকটা রিসেট করার মতো! 🔄
২. **মাংসাশী খাবার (কার্নিভোর ডায়েট):** শুধু মাংস খেলে ক্ষতিকর কীটনাশক (গ্লাইফোসেট) আর লেকটিন-অক্সালেটের মতো জিনিসগুলো খাবার থেকে বাদ পড়ে। ফলে জীবাণুদের আর লড়াই করতে হয় না, ধীরে ধীরে ভারসাম্য ফেরে! 🥩🍖

বিশ্বাস করুন বা না করুন, আমাদের শরীরের নিজস্ব ঘড়ি (সার্কাডিয়ান রিদম) আর এমনকি চাঁদের দশাও নাকি পেটের জীবাণুদের প্রভাবিত করতে পারে! 🌙☀️

তাই, মন ভালো রাখতে আর দুশ্চিন্তা কমাতে নিজের পেটের স্বাস্থ্যটার একটু খেয়াল রাখুন! 😉

#পেটের_স্বাস্থ্য #মানসিক_স্বাস্থ্য #বিজ্ঞান #গবেষণা #রোজা #মাংসাশী_খাবার #সুস্থ_জীবন

16/05/2025

সুস্থ হজম মানেই সুস্থ শরীর! 💪
আমাদের হজমতন্ত্রে কোটি কোটি উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে, যারা আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অনেক সাহায্য করে। এদের নিয়েই আজকের পোস্ট! 👇
প্রোবায়োটিক (Probiotics):
এরা হলো সেইসব উপকারী জীবিত ব্যাকটেরিয়া যা আমরা কিছু খাবার থেকে পাই। যেমন: দই, কেফির, কিমচি, মিসো। এগুলোর কাজ হলো হজমতন্ত্র ভালো রাখা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো আর হজমে সাহায্য করা। সহজ কথায়, এরা আমাদের পেটের বন্ধু! 🤝
প্রিবায়োটিক (Prebiotics):
এরা সরাসরি কোনো ব্যাকটেরিয়া নয়, বরং এক ধরনের বিশেষ ফাইবার যা উপকারী ব্যাকটেরিয়াদের খাবার যোগায়। কলা, ওটস, রসুন, পেঁয়াজের মতো খাবারে এগুলো থাকে। প্রিবায়োটিক খেলে আমাদের পেটের ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলো শক্তিশালী হয়। 🌱
সিনবায়োটিক (Synbiotic):
ভাবুন তো, যদি প্রোবায়োটিক আর প্রিবায়োটিক একসাথে খাওয়া যায় তাহলে কেমন হয়? এটাই হলো সিনবায়োটিক! যখন এই দুটো একসাথে কাজ করে, তখন এদের উপকারিতা আরও অনেক বেড়ে যায়।

যেমন: দইয়ের সাথে কলা বা ওটস মিশিয়ে খাওয়া। এতে হজমতন্ত্র আরও ভালোভাবে কাজ করে, পুষ্টি শোষণ বাড়ে। ✨

কিছু সহজ সিনবায়োটিক ফুড কম্বিনেশন:
* দই + কলা 🍌+🥛
* কেফির + ওটস 🥣
* মিসো স্যুপ + পেঁয়াজ 🧅
* কিমচি + রসুন 🧄
* সাওয়ারক্রাউট + আপেল 🍎

এই খাবারগুলো আমাদের পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে দারুণ কার্যকরী। এগুলো ওষুধ নয়, তবে নিয়মিত খেলে হজম ভালো থাকে এবং শরীর সুস্থ থাকে।
আপনারা কে কে এই খাবারগুলো খান? কমেন্টে জানান! 👇

#হজমস্বাস্থ্য #প্রোবায়োটিক #প্রিবায়োটিক #সিনবায়োটিক #সুস্থ_জীবন #পুষ্টি #স্বাস্থ্যকরখাবার

12/05/2025

বন্ধুরা, মাইক্রোবায়োলজিস্ট হিসেবে আপনাদের সাথে একটা দারুণ বিষয় শেয়ার করতে চাই - আমাদের অন্ত্রের ভেতরের জগত! একে অনেক সময় "দ্বিতীয় মস্তিষ্ক" বলা হয়, আর মাইক্রোবায়োলজির দৃষ্টিকোণ থেকে এর গুরুত্ব আসলে বিশাল।
আমাদের অন্ত্রে বাস করে লক্ষ লক্ষ কোটি অণুজীব, যাদের সম্মিলিতভাবে বলা হয় 'গাট মাইক্রোবায়োম'। এরা শুধু আমাদের শরীরের একটা অংশ নয়, বরং আমাদের স্বাস্থ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশীদার। এই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বাসিন্দারা কী অসাধারণ কাজ করে জানেন?
খাবার ভাঙতে সাহায্য করে: বিশেষ করে ফাইবার এবং জটিল শর্করা, যা আমরা নিজেরা সহজে হজম করতে পারি না।
জরুরি ভিটামিন তৈরি করে: ভিটামিন বি১২ এবং ভিটামিন কে-এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি তৈরিতে এদের ভূমিকা আছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে: আমাদের শরীরের বেশিরভাগ রোগ প্রতিরোধ কোষ অন্ত্রেই থাকে, আর এই মাইক্রোবায়োম তাদের ঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে, যেন আমাদের শরীর জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়তে পারে।
মস্তিষ্কের সাথে যোগাযোগ রাখে: শুনতে অবাক লাগলেও, অন্ত্রের অণুজীবরা আমাদের মেজাজ, আবেগ এবং চিন্তাভাবনাকেও প্রভাবিত করতে পারে 'গাট-ব্রেইন অ্যাক্সিস'-এর মাধ্যমে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যখন এই অন্ত্রের অণুজীবদের ভারসাম্য নষ্ট হয় (যাকে আমরা 'ডিসবায়োসিস' বলি), তখন ডায়াবেটিস, স্থূলতা, পেটের প্রদাহজনিত রোগ এমনকি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন বিষণ্ণতার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
তাহলে আমরা কীভাবে আমাদের অন্ত্রের এই উপকারী বন্ধুদের ভালো রাখতে পারি? সহজ কিছু উপায় আছে, যা মাইক্রোবায়োমকে সাপোর্ট করে:
খাবারে বৈচিত্র্য আনুন: বিশেষ করে উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাবার (বিভিন্ন রঙের ফল ও সবজি), ফাইবার যুক্ত খাবার এদের খুব পছন্দের। যত বেশি ধরণের খাবার খাবেন, মাইক্রোবায়োম তত বৈচিত্র্যপূর্ণ হবে, আর এটাই সুস্থ অন্ত্রের লক্ষণ।
ফার্মেন্টেড ফুড (গাঁজানো খাবার) খান: দই, কেফির, কিমচি বা আচার - এগুলোতে থাকা প্রোবায়োটিকস উপকারী ব্যাকটেরিয়া সরাসরি অন্ত্রে যোগ করে।
প্রিবায়োটিকস যুক্ত খাবার খান: পেঁয়াজ, রসুন, কলা, ওটস - এগুলো অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়াদের খাবার যোগায়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার ও অতিরিক্ত চিনি/কৃত্রিম মিষ্টি এড়িয়ে চলুন: এগুলো মাইক্রোবায়োমের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে।
মনে রাখবেন, প্রতিটি মানুষের মাইক্রোবায়োম অনন্য, ঠিক আঙুলের ছাপের মতো। তাই অন্ত্রের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া আসলে আপনার নিজের ভেতরের বাস্তুতন্ত্রের যত্ন নেওয়া।

আসুন, আমাদের এই ক্ষুদ্র বন্ধুদের গুরুত্ব দেই এবং প্রতিদিন একটু সচেতন হয়ে অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেই!

আপনারা কি আপনাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য কিছু করছেন? কমেন্ট করে জানান!

10/05/2025

ল্যাব রিপোর্টে শুধু 'নরমাল' দেখলেই চিন্তা মিটে যায়? একজন মেডিকেল ল্যাবরেটরি সাইন্টিস্ট যেভাবে আপনার রিপোর্টের গল্প পড়েন!

গুগল আপনার রিপোর্টের গভীরে দেখতে পায় না!

এই ৫টি জিনিস আমি খুঁজে বের করি, যা গুগল মিস করে:

1. B12 "নরমাল" কিন্তু আপনি ক্লান্ত?
রিপোর্টে 250 pg/mL দেখে গুগল বলবে "ঠিক আছে!" কিন্তু আপনার স্মৃতিশক্তি কম, হরমোনাল ইস্যু? আমি জানি, MTHFR জিন ভেরিয়েন্ট থাকলে 400 pg/mL-এর নিচেও নিউরোলজিক্যাল সমস্যা হয়!

2. ফেরিটিন কম, কিন্তু হিমোগ্লোবিন ঠিক?
হিমোগ্লোবিন নরমাল দেখে চিন্তিত হবেন না, কিন্তু ফেরিটিন 18? এটি থাইরয়েড, চুল পড়া, পিরিয়ডের সমস্যা ডেকে আনে—এনিমিয়া আসার আগেই!

3. CRP/ESR বাড়ছে? অদেখা ইনফ্ল্যামেশন!
এই মার্কারগুলো PCOS, অটোইমিউন ফ্লেয়ার, ইনসুলিন রেজিস্টেন্স-এর ইঙ্গিত দেয়। গুগল এগুলো কখনোই কানেক্ট করবে না!

4. লিপিড প্রোফাইলেই লুকিয়ে আছে বিপদ!
ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়লে গুগল শুধু "ফ্যাট কম খান" বলবে। কিন্তু আমি দেখব লিভার ফ্যাটি, জিনগত মেটাবলিক রিস্ক—এমনকি যদি আপনি Slim থাকেন!

5. ভিটামিন ডি "সাফিসিয়েন্ট" কিন্তু অপটিমাল নয়!
30 ng/mL দেখে গুগল বলবে "চিন্তা নেই!" কিন্তু PCOS, ফার্টিলিটি, হরমোনাল ব্যালেন্স -এর জন্য 50 ng/mL-এর কাছাকাছি থাকা জরুরি!

💡 আপনার রিপোর্ট শুধু সংখ্যার গাদা নয়—এটি আপনার শরীরের "গল্প"!
গুগলের গাইডেন্সে বিভ্রান্ত?
এবার একজন এক্সপার্টকে দিয়ে রিপোর্ট পড়ান—নিজেকে রিস্ক থেকে বাঁচান!
ল্যাব রিপোর্টের প্রতিটি সংখ্যার পেছনের সাইন্স বুঝুন—স্বাস্থ্যকে ডাটা-ড্রিভেন way-তে ম্যানেজ করুন! 💉🔬

10/05/2025

"আমাদের ডায়বেটিস-হার্ট ডিজিজের এই মহামারীর অনেকটাই ব্রিটিশদের শোষনের ফল। আমরা দক্ষিন এশিয়ানরা খুব সহজেই শরীরে চর্বি জমিয়ে ফেলি এবং খুব অল্প মাসল ধরে রাখি, এটাও ব্রিটিশ শাসনের ফল। এর জন্য আমাদের রক্ত-জন্মকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।

খুব সম্ভবত ব্রিটিশরা যখন এই অঞ্চলে আসে তখন তাদের আর আমাদের গড় উচ্চতা প্রায় একই রকম ছিল। সুলতানী-নবাবী আমলে আমাদের পাতে ছিল প্রচুর মাছ, যথেষ্ট তেল, ঘি, মাখন, দুধ আর দধি। আমাদের বাড়িতে বাড়িতে ছিল প্রচুর গরু-ছাগল আর হাস-মুরগী। বাংলাদেশ ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী অঞ্চল। পুরো আমেরিকা লুট করে স্প্যানিশরা যা না করতে পেরেছে, এক বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান আর মিয়ানমার লুট করে তার অনেক বেশি করেছে ব্রিটিশরা। তাদের শিল্প বিপ্লব হয়েছে মূলত বাংলার কৃষকের রক্তে লাল পাউন্ডের ওপরে। ব্রিটিশ শাসন যখন শুরু হয় তখন সারা পৃথিবীত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাথাপিছু উৎপাদন ছিল বাংলাদেশে। প্রথম স্থানে ছিল দক্ষিণ ভারতের মহীশুর সালতানাত। মুঘলরা সারা ভারত থেকে যা খাজনা পেত তার অর্ধেক যেত এক বাংলা থেকে, এরপরেও এত সম্পদ ছিল আমাদের দেশে।

কিন্তু ব্রিটিশ শাসন শুরু হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে প্রথম যে বড় দুর্ভিক্ষটা ঘটে তা পৃথিবীর ইতিহাসের ভয়ংকরতম দুর্ভিক্ষগুলির একটা। ছিয়াত্তরের মন্বন্তর নামের এই মহাদুর্ভিক্ষে মারা যায় বাংলাদেশের প্রতি তিনজনে একজন মানুষ, মোট মৃতের সংখ্যা ছিল প্রায় এক কোটি!!!

এরপর, ১৮৬৬ সালের উড়িষ্যার দুর্ভিক্ষ, ১৮৯৬-৯৮ সালে হওয়া বাংলার দুর্ভিক্ষে আবারো মারা যায় কয়েক লাখ মানুষ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শুরু হয় আরেক ভয়ংকর দুর্ভিক্ষ, পঞ্চাশের মন্বন্তর নামের এই মহাদুর্ভিক্ষে মারা যায় ১৫ লাখ থেকে ৫০ লাখ মানুষ।

এই বড় বড় দুর্ভিক্ষগুলির ফাকে ফাকে ছোট ছোট আরো প্রায় ডজনখানেক দুর্ভিক্ষ হয় বাংলাদেশে, আর ব্রিটিশ ইন্ডিয়াতে হওয়া মোট দুর্ভিক্ষের সংখ্যা ৩০+।

এই দুর্ভিক্ষগুলিতে বেচে থেকে যারা বংশবিস্তার করতে পেরেছেন, আমরা তাদেরই বংশধর।

ড. মবিন সাঈদ বলেন, স্বাভাবিকভাবেই, ভয়ানক এই দুর্ভিক্ষগুলির সারভাইভারদের মধ্যে দুইটা মেজর এডাপটেশন ঘটেছে।
১) স্টারভেশন এডাপ্টেশন
২) ট্রমা এডাপ্টেশন

স্টারভেশন এডাপ্টেশনের ফলে শরীর খাবার পাওয়ামাত্রই আগে সেটা ফ্যাটে কনভার্ট করতে চায় যাতে ফের যদি না খেয়ে থাকা লাগে, তখন ঐ ফ্যাট পুড়িয়ে শরীর যেন টিকে থাকতে পারে। আবার একই সাথে শরীর চায় যথাসম্ভব কম মাসল ধরে রাখতে। কারন মাসল ধরে রাখা কস্টলি। মাসল ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলে, মাসল টিকিয়ে রাখতে বাড়তি প্রোটিন দরকার পড়ে। আমাদের পূর্বপুরুষ তো দুশো বছর ধরে ঠিকমত ভাতই খেতে পান নি, প্রোটিন তো অনেক দুরের কথা।

আবার, ট্রমা এডাপ্টেশনের ফলে শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কর্টিসোল ডমিনেটেড থাকে, এজন্যও আমাদের পূর্বপুরুষ ঘন ঘন কার্বোহাইড্রেট খেতে চাইতেন, আর তা সহজেই ফ্যাটে কনভার্ট করে ফেলতেন। যে যত বেশি ফ্যাট জমাতে পেরেছে তখন, তার বেচে থাকার সম্ভাবনা ছিল তত বেশি। যার মাসল মাস যত বেশি, তার দুর্ভিক্ষের সময় খাবারও লেগেছে তত বেশি। সেদিক দিয়ে একটা মোটাসোটা পরিবারের চেয়ে একটা শুকনো পরিবারের দুর্ভিক্ষে টিকে থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

এই এডাপ্টেশন করে টিকে যাওয়া আমাদের শরীর তাই এখনো খুব সহজে ফ্যাট জমায়, মাসল ভেঙ্গে ফেলে, খিটখিটে মেজাজে থাকে, অলসতা করে এবং ভাত দেখামাত্রই ভাতের ওপর ঝাপিয়ে পড়তে চায়। আমাদের বুদ্ধিমত্তা গেছে কমে, আমরা হয়ে গেছি সুযোগসন্ধানী।

ব্রিটিশরা যখন চলে যায়, তখন আমরা পথের ফকির, আমাদের শরীর হাড় জিরজিরে, আর পেটে একটা পুটলির মত ভুড়ি। আমরা অলস, আমরা শারীরিকভাবে দুর্বল। আমাদের পাতের সেই ঘি ভাত উধাও হয়ে গেছে আর এর ঠিক পরপরই শুরু হয়েছে সবুজ বিপ্লব।

ব্রিটিশরা আমাদের ডায়বেটিসে আক্রান্ত হবার রিলেটিভ রিস্ক ইউরোপিয়ানদের তুলনায় ৬০০% বাড়িয়ে দিয়ে গেছে, হার্টের রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বাড়িয়েছে ২৫০%।
হ্যা, আমরা টেকনোলজিক্যাল প্রগ্রেস আর ইংরেজী ভাষা পেয়েছি, কিন্তু বিনিময়ে হারিয়েছি আমাদের স্বাস্থ্য।"

- Ananta Bashir

06/05/2025

প্রাপ্তবয়স্কদের শেখার নতুন উপায়!
২৫ পেরিয়ে গেছেন ভাবছেন শেখার গতি কমে গেছে? মন খারাপ করবেন না! 😉 বিজ্ঞান বলছে, প্রাপ্তবয়স্ক হয়েও আমরা মস্তিষ্কের পরিবর্তনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে দারুণভাবে শিখতে পারি, ঠিক ছোটবেলার মতোই! 🚀
কিন্তু তার জন্য দরকার কিছু কৌশল:
১. ভুল করতে ভয় পাবেন না: ভুলগুলো আসলে আপনার মস্তিষ্কের জন্য সিগন্যাল! এগুলোই শেখার প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করে। ভুলের মাধ্যমে আমরা আরও ভালোভাবে শিখি।
২. মনোযোগ ধরে রাখুন: একটানা অনেকক্ষণ না শিখে ছোট ছোট সেশনে মনোযোগ দিন। অল্প সময়ে গভীর মনোযোগ শেখাটাকে আরও সহজ করে দেয়।
৩. frustration কে কাজে লাগান: শেখার সময় frustration আসতে পারে। এটাকে এড়িয়ে না গিয়ে, এই অবস্থাকেই শেখার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করুন।
৪. ইতিবাচক মনোভাব রাখুন: ভুলগুলোকে শেখার অংশ হিসেবে মেনে নিন এবং নিজেকে বলুন যে আপনি পারছেন! এতে আপনার মস্তিষ্ক ডোপামিন নিঃসরণ করবে, যা শেখার ক্ষমতা বাড়ায়।
৫. সঠিক সময়ে শিখুন: দিনের যে সময়ে আপনার মন সবচেয়ে সজাগ থাকে, সেই সময়টাকেই শেখার জন্য বেছে নিন।
মনে রাখবেন, শেখার কোনো বয়স নেই! সঠিক পদ্ধতি আর ইচ্ছাশক্তি থাকলে যেকোনো বয়সে নতুন কিছু শেখা সম্ভব। 💪
আপনার শেখার অভিজ্ঞতা কমেন্টে শেয়ার করুন! 👇
#শেখা #মস্তিষ্ক #বয়স্কদেরশিক্ষা #প্লাস্টিসিটি #লার্নিংটিপস #মোটিভেশন #নতুনকিছুশিখুন

03/05/2025

CRP vs hs-CRP: এদের পার্থক্য কী এবং কেন এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ!

এই দুটো টেস্টের মধ্যে পার্থক্য বোঝাটা খুবই জরুরি।

CRP (C-Reactive Protein) হলো শরীরে যেকোনো ধরনের প্রদাহ (inflammation) বোঝার জন্য একটি সাধারণ মার্কার। আঘাত লাগলে, ইনফেকশন হলে (যেমন নিউমোনিয়া), বা কোনো অটোইমিউন রোগের ক্ষেত্রে এটি বাড়তে পারে। এর মাত্রা ১০ mg/L এর বেশি হলে বুঝতে হবে শরীরে বড় ধরনের কোনো প্রদাহ চলছে।

hs-CRP (high-sensitivity C-Reactive Protein) হলো CRP-এরই একটি উন্নত মানের টেস্ট। এটি খুবই অল্প মাত্রার প্রদাহও নির্ভুলভাবে শনাক্ত করতে পারে। এমনকি হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকির মতো বিষয়গুলোও এটি প্রাথমিক পর্যায়ে জানান দিতে পারে, যা সাধারণ CRP টেস্টে সবসময় ধরা পড়ে না।

সহজ ভাষায়, CRP বড় আগুন দেখায়, আর hs-CRP ছোট স্ফুলিঙ্গও দেখতে পায়।

কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
hs-CRP টেস্ট আমাদের জীবনযাত্রা শরীরের উপর কেমন প্রভাব ফেলছে তা বুঝতে সাহায্য করে। শরীরে যদি দীর্ঘস্থায়ী, অল্প মাত্রার প্রদাহ থাকে (যা আমরা হয়তো টের পাই না), hs-CRP টেস্ট তা ধরতে পারে। এই ধরনের নীরব প্রদাহ অনেক রোগের কারণ হতে পারে।

hs-CRP লেভেল দেখে কী বুঝবেন?
* < 1.0 mg/L: আদর্শ বা Ideal
* 1 - 3 mg/L: মাঝারি ঝুঁকি, জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন দরকার
* > 3 mg/L: উচ্চ ঝুঁকি, আরও পরীক্ষা প্রয়োজন
কী কারণে CRP/hs-CRP বাড়তে পারে?
* তীব্র ইনফেকশন
* অটোইমিউন রোগ
* স্থূলতা এবং মেটাবলিক সিনড্রোম
* ইনসুলিন রেজিস্টেন্স
* অন্ত্রের সমস্যা (Gut dysbiosis)
* দাঁতের ইনফেকশন
* দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ

* খারাপ খাবার (বিশেষ করে প্রসেস করা খাবার)
কীভাবে CRP/hs-CRP লেভেল কমানো যায়?
* পর্যাপ্ত ঘুম
* শরীরচর্চা বা ব্যায়াম
* স্বাস্থ্যকর খাবার (চিনি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ভোজ্য তেল কম খান)
* ওমেগা-৩ এবং পলিফেনল সমৃদ্ধ খাবার খান
* মানসিক চাপ কমানো
* সামাজিক সম্পর্ক উন্নত করা

দীর্ঘ মেয়াদী সুস্থতার জন্য hs-CRP টেস্ট আমাদের শরীরের ভেতরের অবস্থা বুঝতে সাহায্য করে, যা রোগ প্রতিরোধের প্রথম ধাপ।
আপনার বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে এই টেস্টটি করিয়ে নেওয়া ভালো। কারণ, দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবন শুধু রোগ না থাকা নয়, বরং শরীরের ভেতরের অদৃশ্য সমস্যাগুলোকেও আগে থেকে জানা এবং সেগুলো ঠিক করার চেষ্টা করা।

Address

Shemoly,Dhaka-1207
Dhaka
1207

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Niloy's Pathology posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Niloy's Pathology:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram