চিকিৎসা জগৎ 丨 Madical World

চিকিৎসা জগৎ 丨 Madical World medical tips bangla

প্রতিদিন এই ৫টি খাবার খেলে আপনার রক্তের সমস্ত নোংরা বর্জ্য দূর হবে। রক্ত ঠিকমতো পরিষ্কার না হলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দ...
12/09/2024

প্রতিদিন এই ৫টি খাবার খেলে আপনার রক্তের সমস্ত নোংরা বর্জ্য দূর হবে। রক্ত ঠিকমতো পরিষ্কার না হলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। ত্বক, কিডনি, হার্ট, লিভার ও ফুসফুসে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করতে সাহায্য করতে আপনি নির্ভর করতে পারেন এমন বেশ কয়েকটি খাবার রয়েছে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
রক্তে টক্সিনও জমে। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এটাই সত্যি। রক্ত শরীরের সমস্ত অংশে অক্সিজেন..see comment link

শরীরে ভিটামিন এ-এর অভাব? এই সমস্ত লক্ষণ ব্যাখ্যা করবে..ভিটামিন এ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন যিনি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিটি উন্...
10/09/2024

শরীরে ভিটামিন এ-এর অভাব? এই সমস্ত লক্ষণ ব্যাখ্যা করবে..ভিটামিন এ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন যিনি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিটি উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি রেটিনার সঠিক কার্যকারিতার জন্য কিছু রঙ্গককে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে সহায়তা করে। ভিটামিন এ এর ​​অভাব আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ..details link comment

নারীর বন্ধ্যাত্ব দূর হয় যেসব কাজ করলে - নারীদের বন্ধ্যাত্বগুলি এমন কাজগুলিতে মুছে ফেলা হয় যা মহিলাদের জীবনযাত্রার জীবন,...
10/09/2024

নারীর বন্ধ্যাত্ব দূর হয় যেসব কাজ করলে - নারীদের বন্ধ্যাত্বগুলি এমন কাজগুলিতে মুছে ফেলা হয় যা মহিলাদের জীবনযাত্রার জীবন, পর্যাপ্ত খাবারের অভাব ইত্যাদির বন্ধ্যাত্বকে দূর করে, একই সাথে মহিলাদের উর্বরতা হ্রাস পায়। তবে হতাশ করার কোনও কারণ নেই, কোনও কিছুর যত্ন নিয়ে বন্ধ্যাত্বের সমস্যাটি দূর ..link Comment box

19/09/2022
28/08/2022

ভাত খাওয়ার পর যে পাঁচটি কাজ করবেন
না !!!
পৃথিবীতে অন্তত তিনশ কোটি মানুষের
প্রধান খাবার ভাত
৷চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যরক্ষায় ভাত খাবার
পর পাঁচটি কাজ করতে অনুৎসাহিত করেন।
এগুলো হলো:
১. ভাত খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে বা ১/২
ঘণ্টা পর ফল খাবেন। কেননা, ভাত
খাওয়ার পরপর কোনো ফল
খেলে গ্যাস্ট্রিকের
সমস্যা হতে পারে।
২. সারাদিনে অনেকগুলো সিগারেট
খেলে যতখানি ক্ষতি হয়, ভাত খাওয়ার
পর একটি সিগারেট বা বিড়ি তার
চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি করে। তাই
ধূমপান করবেন না।
৩. চায়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ টেনিক
এসিড থাকে যা খাদ্যের প্রোটিনের
পরিমাণকে ১০০ গুণ বাড়িয়ে তোলে।
ফলে খাবার হজম হতে স্বাভাবিকের
চেয়ে অনেক বেশী সময় লাগে। তাই
ভাত খাওয়ার পর চা খাবেন না।
৪. বেল্ট কিংবা প্যান্টের কোমর
ঢিলা করবেন না। খাবার পরপরই বেল্ট
কিংবা প্যান্টের কোমর
ঢিলা করলে অতি সহজেই ইন্টেস্টাইন
(পাকস্থলি) থেকে রেক্টাম (মলদ্বার)
পর্যন্ত খাদ্যনালীর নিম্নাংশ
বেঁকে যেতে পারে,
পেঁচিয়ে যেতে পারে অথবা ব্লকও
হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের
সমস্যাকে ইন্টেস্টাইনাল অবস্ট্রাকশন
বলা হয়। কেউ
বেশি খেতে চাইলে আগে থেকেই
কোমরের বাধন
ঢিলা করে নিতে পারেন।
৫. গোসল করবেন না। ভাত খাওয়ার পরপরই
গোসল করলে শরীরের রক্ত সঞ্চালনের
মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে পাকস্থলির
চারপাশের রক্তের পরিমাণ
কমে যেতে পারে যা পরিপাক
তন্ত্রকে দুর্বল করে ফেলবে, ফলে খাদ্য
হজম হতে সময় স্বাভাবিকের
চেয়ে বেশী লাগবে।
* আমাদের পোষ্ট যদি আপনাদের
সামান্য ভাল
লেগে থাকে অথবা উপকারে এসে থাকে,,,
তবে শেয়ার করে বন্ধুদের দেখার সুযোগ
দিন এবং কমেন্টে অন্তত একটা THX
জানাইয়েন.... আপনাদের সুখী জীবনই
আমাদের কাম্য । ধন্যবাদ।

like this active u

আমাদের স্বাস্থ্য জন্য কতটা উপকারী।
28/08/2022

আমাদের স্বাস্থ্য জন্য কতটা উপকারী।

আদা
28/08/2022

আদা

যৌনতার ১০ টি আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতাসেক্স শুধু ভালো লাগে না। এটা আপনার জন্যও ভালো হতে পারে। একটি সুস্থ যৌন জীবন আপ...
21/08/2022

যৌনতার ১০ টি আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা
সেক্স শুধু ভালো লাগে না। এটা আপনার জন্যও ভালো হতে পারে। একটি সুস্থ যৌন জীবন আপনার জন্য কি করতে পারে তা জনাতে ...

যৌন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ইভন কে ফুলব্রাইট, পিএইচডি বলেন, "যৌনভাবে সক্রিয় ব্যক্তিদের অসুস্থ কম লাগে।"

যারা যৌনমিলন করেন তাদের উচ্চ মাত্রায় শরীর ও মন সতেজ থাকে যা শরীরকে জীবাণু, ভাইরাস এবং অন্যান্য অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে রক্ষা করে। পেনসিলভেনিয়ার উইল্কস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখেছেন যে কলেজের ছাত্ররা যারা সপ্তাহে একবার বা দুবার যৌনমিলন করেছে তাদের একটি নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডির মাত্রা বেশি ছিল সেই ছাত্রদের তুলনায় যারা কম ঘন ঘন যৌনমিলন করেছে।

আপনার অন্যান্য সমস্ত জিনিস করা উচিত যা আপনার ইমিউন সিস্টেমকে খুশি করে, যেমন:

সঠিক খাদ্য গ্রহন করুন
সক্রিয় থাকুন।
যথেষ্ট ঘুম.
আপনি যদি আপনার উভয় STD স্ট্যাটাস না জানেন তাহলে একটি কনডম ব্যবহার করুন।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আমাদের সাথেই থাকুন ।
#সুস্থ

12/08/2022

রাত জাগলে কি হয় যেনে নিন...

10 বিউটি টিপস- সৌন্দর্য্য বাড়ানোর কিছু সহজ ঘরোয়া উপায়..সুন্দর ,উজ্বল , চকচকে ত্বক সব মানুষের স্বপ্ন । প্রাকৃতিক সৌন্দর্য...
30/07/2022

10 বিউটি টিপস- সৌন্দর্য্য বাড়ানোর কিছু সহজ ঘরোয়া উপায়..

সুন্দর ,উজ্বল , চকচকে ত্বক সব মানুষের স্বপ্ন । প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতি মানুষ যেমন চিরকাল আকৃষ্ট হয়, তেমনি সুন্দর ত্বকের অধিকারিণীও খুবই সহজে মানুষের মনে স্থান করে নেয় । কথায় বলে না, সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। । আর বর্তমান দূষণ ও চাহিদাপূর্ণ জীবনে, ত্বকের যত্ন আবশ্যক।

এছাড়াও ত্বক সুন্দর থাকলে কোনরকম প্রসাধনীর ব্যবহার ছাড়াই আপনাকে অনেক আকর্ষণীয় লাগে । রাস্তায়, বাসে -ট্রামে , অফিসে বা লোকালয়ে এমন একেকজনকে দেখা যায় , যাদের ত্বক অন্যদের তুলনায় অনেকটাই উজ্বল । তখন হয়ত আপনিও মনে করেন, যদি তেমন ত্বক আপনারও হত । আর চিন্তা নেই। আজ আমি এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে আপনাদের জন্য ত্বক সম্বন্ধিত এমন অনেক জরুরি টিপস্ শেয়ার করবো যার সঠিক ব্যবহারে আপনার ত্বকও কথা বলবে। এবং বিশ্বাস করুন এইসব করতে কোন বিউটি পার্লার যাবার বা অযথা দামী রূপচর্চার সামগ্রী কিনে পয়সা নষ্ট করার দরকার নেই । চলুন আজ আামরা কথা বলি সেই উপকরণগুলি নিয়ে যা আমাদের রান্নাঘরে মজুত থাকলেও তার গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই ওয়াকিবহাল নই।

রঙবেরঙের বিজ্ঞাপন দেখে লোভে পরে হয়ত কখনো আমরা নানান ধরনের সৌন্দর্য সামগ্রী কিনে ফেলি । কিন্তু এটা চিন্তা করিনা যে জিনিসটা আমাদের ত্বকের জন্য উপযুক্ত কিনা ! হয়ত ক্ষণিকের জন্য তা ত্বকে কিছুটা উপকার করলেও, তাতে ব্যবহৃত ক্ষতিকারক পদার্থ বা কেমিকেল কিছুদিনের পর থেকে ত্বকের উপর প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে । যার ফলে পঁচিশ পেরোনোর পরেই ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়।

তাই কেননা এইসব বাজারচলতি জিনিসের বদলে ঘরোয়া ভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া যাক , তাতে ত্বক যেমন কেমিকেলের বিষাক্ত প্রভাব থেকে রেহাই পাবে আর অতিরিক্ত খরচ করারও প্রয়োজন পরবে না।

1. ঘি বা “ঘৃত”(আয়ুর্বেদীয় উচ্চারণ)
বাঙ্গালী হয়ে গরমভাতে ঘি খায়নি ,তা বিশ্বাস করা যায় না। আমাদের মা – ঠাকুমাদের বলতে শুনবেন যে ঘি খেলে ত্বকের উজ্বলতা বৃদ্ধি পায় । কারণ আগেকার দিনে আমাদের মা – ঠাকুমাদের প্রধান রূপচর্চার উপকরণই ছিল ঘি । আসুন আজ বৈজ্ঞানিক তথ্য নাড়াচাড়া করে জেনে নেওয়া যাক মা -ঠাকুমাদের বলা এই কথাগুলো কতটা সঠিক।

ভালো মশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার – ঘি এর মধ্যে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সুতরাং ত্বকের পক্ষে একটি খুব ভালো ময়েশ্চারাইজার হল ঘি । শুষ্ক ত্বক, খসখসে ত্বক ইত্যাদি সমস্যায় ভালোভাবে ঘিয়ের মাসাজে ত্বক হয়ে ওঠে মোলায়েম ও সুন্দর । বার্ধক্য জনিত দাগ, মেচেদার ছোপ, কালচে ভাব ইত্যাদি দূর করতেও ঘিয়ের মাসাজ খুবই প্রয়োজন।
চুলের সমস্যায় ঘি এর ব্যবহার – শুষ্ক ,উস্কো -খুস্কো চুল এর ক্ষেত্রে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সাথে সামান্য ঘি মিশিয়ে তা চুলে লাগালে চুল সিল্কি ও মোলায়েম হয় এবং সাদা চুলের সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।

শীতে শুষ্ক ঠোঁটের সমস্যা রোধে – শীতে শুষ্ক ঠোঁট সবারই সমস্যা। ঠোঁট ফেটে যাওয়া, ঠোঁটের চামড়া উঠে গিয়ে রক্ত বার হওয়া ইত্যাদি রোধে ঠোঁটের ওপর ঘি হালকা ভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। ঘিয়ের তেলতেলে ভাব ঠোঁটের চামড়ার ওপর একটি স্তর তৈরি করে এবং শীতকালের আর্দ্রতা থেকে ঠোঁটকে সুরক্ষা প্রদান করে।
পা ফাটার সমস্যা রোধে – অনেকের শুধু শীতকালে পা ফাটে, কারও কারও আবার সারা বছরই পা ফাটার সমস্যা দেখতে পাওয়া যায় । এক্ষেত্রে রাতে শোবার সময় ঘিয়ের নিয়মিত মাসাজে পা ফাটার সমস্যা প্রতিরোধ করা যায় ।

2. হলুদ

আপনি কি জানেন হলুদ হলো সব মশলার রানী ? প্রাচীনকাল থেকেই নানান কাজে হলুদের ব্যবহার করা হয়ে আসছে । এমনকি হলুদকে অতি পবিত্র একটি উপকরণ হিসেবে ধরা হয় যার মধ্যে অনেক মহা ঔষধির গুন বর্তমান । সমীক্ষায় জানা গেছে যে নিয়মিত এক টুকরো হলুদের সেবনে মাউথ ক্যান্সার বা মুখের কর্কট রোগ হয় না। বিশুদ্ধ হলুদ তার অ্যান্টিসেপটিক, বিরোধী প্রদাহজনক এবং জীবাণুমুক্ত বৈশিষ্ট্যর জন্য সুপরিচিত । আসুন জেনে নেওয়া যাক আপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে হলুদ কিভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

ব্রণ প্রতিরোধে – অনিয়মিত জীবন যাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করার ফলে ব্রণ আজকালকার একটি অতি সাধারণ সমস্যা। সাধারণত কম বয়সী ছেলেমেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি পরিমাণে দেখতে পাওয়া যায় ।এছাড়াও কিছু হরমোনাল কারণ, বাইরের ধূলোবালি , তৈলাক্ত ত্বক ব্রণ হওয়ার জন্য দায়ী। কারণ সে যাই থাকুক না কেন হলুদের মধ্যে থাকা কিছু বিশিষ্ট উপকরণ এই সমস্যার প্রতিরোধে খুব ভালো কাজ করে ।

ব্যবহার বিধি

l হলুদ গুঁড়োর সাথে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে তা শুধুমাত্র ব্রণের ওপর লাগান।
l শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে নিন ।হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টিসেপটিক গুণগুলি ব্রণ সংক্রমণ প্রতিরোধ করে এবং লেবুর মধ্যে থাকা ব্লীচিং গুণাগুণ ব্রণের দাগ দূর করে ।
মুখের লোম ওঠাতে সাহায্য করে – মুখে এরকম কিছু অবাঞ্ছিত লোম থাকে যা মুখ কে করে তোলে দৃষ্টিকটু ।
অনেককে তাই থ্রেডিং বা ওয়্যাক্সিং এর পন্থা অবলম্বন করে। এক্ষেত্রেও হলুদের নিয়মিত ব্যবহার লাভদায়ক।

ব্যবহার বিধি

l হলুদের সাথে সামান্য জল মিশিয়ে একটি পুরু মিশ্রণ তৈরি করে অবাঞ্ছিত লোমের ওপর লাগান ।
l শুকিয়ে গেলে লোমের গ্রোথের উল্টো দিকে মাসাজ করুন। দেখবেন অবাঞ্ছিত লোমের সমস্যা অনেকটাই কমে গেছে।
চোখের তলায় কালো ভাব এবং রিংকেলস কমায় – অত্যধিক চিন্তা, পরিশ্রম এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই সমস্যা গুলোর আমাদের সবাইকেই সম্মুখীন হতে হয় । এক্ষেত্রেও হলুদ কাজে লাগে ।
ব্যবহার বিধি

l হলুদের সাথে মাখন এবং আখের রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করুন।
l রাতে শোবার আগে মধ্যমার সাহায্যে চোখের তলায় এবং সারা মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করুন ।

3. নারকল তেল
আদি অনন্তকাল ধরে নারকেল তেল চুলের পুষ্টির জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।কিন্তু আজ আমরা জানবো নারকোল তেল আমাদের ত্বকের জন্য কি কি ভাবে ব্যবহার করা যায় ।

মেকআপ রিমুভার হিসেবে নারকেল তেলের ব্যবহার – আপনারা সারা দিন যাই কাজ করুন না কেন, রাতে শোবার আগে মেকআপ তোলাটা খুবই দরকার এবং তার জন্য আমরা নানান ধরনের বাজার চলতি মেকআপ রিমুভার দাম দিয়ে কিনে থাকি অথচ আমাদের বাড়ির মধ্যেই অপূর্ব প্রাকৃতিক মেকআপ রিমুভার মজুদ আছে।

ব্যবহার বিধি

l রাতে শোবার আগে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল আপনার মুখের ওপর লাগান ।
l এরপর একটি ভেজা তুলো বা কাপড় দিয়ে আলতো করে মুখের মেকআপ তুলে নিন ।
দেখবেন বাজার চলতি রিমুভারের থেকে নারকেল তেল খুব ভাল কাজ করে এবং তা আপনার ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টিও যোগায়।
এক্সফলিয়েটর হিসেবে নারকেল তেলের ব্যবহার:- মুখের মৃত কোষ তুলে নতুন কোষ তৈরি করতে এক্সফলিয়েটরের ভূমিকা অপরিসীম।

ব্যবহার বিধি

এক্ষেত্রে নারকেল তেলের সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে মুখের উপর লাগানো যেতে পারে ।
এটি খুব ভাল স্ক্রাবের কাজ করে তবে সেনসিটিভ স্কিনে বেকিং সোডার ব্যবহার না করে নারকেল তেলের সাথে চিনিও ব্যবহার করতে পারেন।
শুষ্ক ত্বকের যত্নে নারকেল তেলের ব্যবহার – যাদের খুব বেশি শুষ্ক বা ড্রাই স্কিন তাদের স্নানের পর চামড়া শুকিয়ে যায় ।শীতকালে এ সমস্যা বেশি দেখতে পাওয়া যায় । এক্ষেত্রে স্নানের জলের সাথে কয়েক ফোঁটা নারকোল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যাবে।

ডার্ক সার্কেল বা চোখের তারার কালো দাগ দূর করতে – কাজের প্রেসার এর জন্য যদি ডার্ক সার্কেল আপনার একটি সমস্যা হয়ে থাকে , তাহলে রাতে শোবার আগে শুধুমাত্র নারকেল তেল খালি হাতে চোখের তলায় মাসাজ করে শুয়ে পড়ুন। নারকোল তেল চোখের রক্ত সঞ্চালন কে স্বাভাবিক করবে ফলে কয়েক দিনের মধ্যেই চোখের তলার কালো ভাব দূর হয়ে যাবে।

4. মধু

প্রাচীনকাল থেকেই মধু নানান কাজে ব্যবহার করা হয়ে আসছে । প্রাচীন পুঁথিগুলিতে মধুর ব্যবহার বিশেষভাবে উল্লেখিত। আজ আমরা জানব ত্বকের যত্নে মধুর গুনাগুন এর কথা।

শুষ্ক ত্বকে মধুর ব্যবহার – ভারতীয় শুষ্ক ত্বকের জন্য মধু অত্যন্ত কার্যকরী। মধুর মধ্যে থাকা মশ্চারাইজার ত্বকের শুষ্কতা কমিয়ে ত্বকে লাবণ্য আনে।

বার্ধক্যের চিহ্ন প্রতিরোধের জন্য – মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধর্মটি বার্ধক্যের চিন্হ হ্রাস করে ত্বককে করে তোলে লাবণ্যময়ী । এছাড়াও ফাটা ঠোঁট ও গোড়ালি তে মধু মাখলে সুফল পাওয়া যায়।

ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে – মধু ত্বকে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে প্রতিরোধ করে।

5. লেবু

পাতিলেবু আমাদের রান্নাঘরে সবসময়ই থাকে। শুধু খাদ্যে নয়, রূপচর্চায়ও লেবুর অবদান অনেক।

গায়ের রঙ ফর্সা করতে – আগেই বলা হয়েছে লেবুর মধ্যে থাকা ব্লিচিং গুণাগুনের জন্য ত্বকের কালচে ভাব দূর করা সহজেই সম্ভব ।

ব্যবহারবিধি

l লেবুর রসের সাথে বেকিং পাউডার মিশিয়ে ব্রণের দাগ, ত্বকের কালচে ভাব, কনুই ও হাঁটুর কালচে ভাবের উপর লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
l সপ্তাহে অন্তত দুবার এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে ত্বকের কালচে ভাব থেকে খুব সহজেই রেহাই পাওয়া যায়।
স্ট্রেচ মার্কস দূরীকরণে – অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির ফলে বা গর্ভবতী মহিলাদের স্ট্রেচ মার্কস একটি খুব সাধারন সমস্যা । এই সমস্যা দূর করার জন্য লেবুর রস নিয়মিত মার্কসের উপর প্রয়োগ করলে স্ট্রেচ মার্কস এর দাগ হালকা হতে শুরু করে।

6. আদা

নিত্যদিনের রান্নায় একটি বহুল ব্যবহৃত উপাদান হলো আদা। ত্বকের ক্ষেত্রেও তার অবদান অপরিসীম। চলুন জেনে নেওয়া যাক আদা আমাদের ত্বকের ক্ষেত্রে কোন কোন ভূমিকা পালন করতে সক্ষম।

হাইপারপিগমেন্টেশন প্রতিরোধে – হাইপেরপিগমেন্টেশন এর জন্য শ্রেষ্ঠ প্রতিষেধক হলো আদার রস । টাটকা আদার রস নিয়মিত দশ দিন ব্যবহারের ফলে আপনার হাইপেরপিগমেন্টেশন এর সমস্যা দূর হতে বাধ্য ।

প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে : আদার রস প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে অত্যন্ত কার্যকরী।

এছাড়াও ব্রণ রোধে আদার পাউডার এর সাথে দুধ দিয়ে একটি পেস্ট তৈরী করে মুখে লাগান৷ উজ্জ্বল ত্বক আপনার হাতের মুঠোয়।

অ্যান্টি-অক্সিডেণ্ট সমৃদ্ধ আদার রস বার্ধক্য রোধে সাহায্য করে।

7. মরিচ

সচরাচর রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য কালো মরিচের ব্যবহার করা হয় । কিন্তু আমাদের ত্বকের নানান সমস্যায়, জ্বর ,সর্দি -কাশি ইত্যাদিতেও এই মশলা ব্যবহার করা হয়ে থাকে । চলুন আপনার রান্নাঘরে মজুত এই উপকরণটির গুণাগুণের কথায় এবার আসা যাক ।

গোলমরিচের মধ্যে ভরপুর মাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম ,ভিটামিন কে ,আয়রন এবং ফাইবার থাকে । এছাড়াও এর মধ্যে অপরিহার্য তৈল পিপেরাইন থাকে যা আরোমাথেরাপিতে , পাচন সমস্যা , বাতের ব্যাথা ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণ রোগ প্রতিরোধ করতে, গায়ের ঘুষঘুষে জ্বর কমাতে ব্যবহৃত হয় ।

বার্ধক্যের ছাপ কমায় – নিত্যদিনের খাবারের সাথে গোলমরিচ বা কালো মরিচ সেবনে মুখের কালচে ভাব, বার্ধক্যজনিত চিহ্ন দূর করে এবং মুখের লাবণ্য বৃদ্ধি পায় ।

ত্বক এক্সফলিয়েশন – কালো মরিচ গুঁড়ো করে ,দইয়ের সাথে মিশিয়ে মুখে এক্সফলিয়েট করুন । বাজারের ক্ষতিকর এক্সফলিয়েটর এর থেকে এটি অনেক কার্যকরী।

গায়ের রং হালকা করতে – গায়ের রঙ ফর্সা ও উজ্বল করতে গোল মরিচের সাথে মধু মিশিয়ে হাতে ও মুখে প্রয়োগ করুন ।

8. বেসন

আমাদের সবার ঘরেই বেসন আছে । সন্ধ্যে বেলার চপ হোক বা পুজোর বেসনের লাড্ডু, সাধারণ খাবার কে অসাধারণ বানাতে এর জুরি মেলা ভার । খাবারের এর সাথে সাথে এই বেশন রূপচর্চাতেও বহুল পরিমাণে ব্যবহার করা হয় ।

ত্বককে পরিষ্কার রাখতে – বেসন ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে । ঠাকুমা – দিদিমারা বলতেন বেসনের সাথে হলুদ মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল হয়।

সূর্যের তাপে পোড়া চামড়া ঠিক করতে – সানস্ক্রিন ব্যবহার না করার ফলে সূর্যের তাপে চামড়া পুড়ে যায় ।এই পোড়া ভাব দূর করতে বেসন এর সাথে লেবুর রস, এক-চামচ দুধ ও সামান্য হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে তা পোড়া দাগের উপর লাগালে অল্প দিনের মধ্যেই কালো ভাব দূর হয়ে আবার আগের রং ফিরে আসে।

উজ্জ্বল ত্বক পেতে – বেসনের মধ্যে থাকা স্কিন লাইটেনিন্ প্রপার্টিজ ত্বকের রঙ হালকা করতে সাহায্য করে । নিত্যদিনের সাবানের বদলে যদি সামান্য বেসন দিয়ে মুখ ধোয়া যায় তাহলে গায়ের রঙ উজ্বল হতে থাকে । তাই বাজারের সাবানের জন্য ফালতু খরচ না করে প্রতিদিন বেসন ব্যবহার করুন ।

বি .দ্র . – বেসন ত্বককে শুষ্ক করে দেয় , তাই ব্যবহারের পর যদি শুষ্কতার অনুভূতি হয় তাহলে ব্যবহার করার সময় বেসনের সাথে অলিভ ওয়েল বা নারকোল তেল ব্যবহার করুন । তেল ব্যবহার করার ফলে যেমন শুষ্কতা দূর হবে তেমনি ত্বকের ময়লা ভেতর থেকে পরিষ্কার হবে ।

9. তিলের তেল

তিলের তেল একটি অতি পরিচিত নাম। তিলের বীজ থেকে সাধারণত এই তেল পাওয়া যায় ।অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তিলের তেল আমাদের ত্বকের পক্ষে অনেক উপকারী । আসুন জেনে নেওয়া যাক তিলের তেল কিভাবে আমাদের ত্বকের কাজে লাগাতে পারি।

প্রদাহ হ্রাস করে – তিল তেলে প্রচুর মাত্রায় পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকার জন্য প্রদাহ রোধ করতে সাহায্য করে । এছাড়াও শীতকালে ত্বককে ছত্রাকজনিত সংক্র্মন থেকে রক্ষা করে।

ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে – তিল তেলের নিয়মিত মাসাজে ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায়। দীপ্তিশীল ও দূষণমুক্ত ত্বক পেতে এর সাথে সামান্য জল এবং অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে রাতে ভালোভাবে আপনার ত্বকের উপর মাসাজ করুন এবং পরের দিন সকালে ভালো ক্লিনজার দিয়ে আপনার ত্বক পরিষ্কার করে নিন।

ত্বককে গুরুত্বপূর্ণ মশ্চারাইজার প্রদানে – কাটা, ছেঁড়া এছাড়াও ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে তিল তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যা কিনা ত্বককে ভেতর থেকে মশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে।

ত্বকের বলিরেখা দূর করতে – এই তেলের নিয়মিত মাসাজে ত্বকে বার্ধক্যের প্রভাব হ্রাস পেয়ে ত্বকের বয়স কম দেখায় ফলে আপনাকে দেখতে অনেক প্রাণবন্ত লাগে ।

পা ফাটা সমস্যার সমাধানে – যাদের পা ফাটার সমস্যা আছে , রাতের বেলা নিয়মিত এই তেলের ব্যবহারে পায়ের ফাটা ভাব দূর হয় এবং তা হয়ে ওঠে আরো মোলায়েম।

10. দুধ

প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় যে জিনিসটির অবধারিতভাবে ব্যবহার করা হয়ে আসছে সেটি হলো দুধ । দুধের মধ্যে থাকা ল্যাকটিক আসিড ত্বক কে পরিষ্কার করতে , দাগ-ছোপ দূর করতে , উজ্বল ত্বক পেতে ব্যবহৃত হয়। আসুন দেখে নি সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য দুধ কি কি ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে:

টোনার হিসেবে দুধের ব্যবহার – সি.টি.এম. -এই পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব সহজেই আকাঙ্ক্ষিত ত্বক পাওয়া যায়। সি এর অর্থ ক্লিন্সিং অর্থাৎ ত্বককে পরিস্কার করা । টি এর অর্থ টোনিং এবং এম এর অর্থ ময়শ্চারাইজিং । আমরা যদি আমাদের ত্বকের যত্নে নিত্যদিন এই রুটিন মেনে চলতে পারি তাহলে বয়স বাড়লেও ত্বকের বয়স বাড়বে না ।এবং ত্বকে উপস্থিত সমস্যারও সমাধান হবে । টোনার হিসেবে ঠান্ডা দুধ খুব ভালো কাজ করে ।

সামান্য দুধের মধ্যে তুলো ভিজিয়ে মুখ পরিষ্কার করে তা মুখের ওপর লাগান দেখবেন মুখের কালো ভাব ,নোংরা – ময়লা ইত্যাদি এর মাধ্যমে উঠে আসছে ।

উজ্বল ত্বক পেতে দুধের প্যাক – সামান্য দুধের সাথে , 1 চা চামচ কাজু বাদাম বাটা , 1 চা চামচ গুঁড়ো কমলা লেবুর খোসা এবং কয়েক ফোঁটা অলিভ ওয়েল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরী করুন । উজ্বল , মোলায়েম ত্বক পেতে এই পেস্টের জুরি মেলা ভার ।

শুষ্ক ত্বকের দুধের প্যাক – শুষ্ক ত্বকের জন্য দুধ বরদান স্বরূপ । একটি চটকানো কলার সাথে 1 চামচ মধু ও সামান্য দুধ মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরী করুন । তা মুখের ওপর প্রয়োগ করে 15 মিনিট রেখে দিন । এরপর সাধারণ জলে ধুয়ে নিন্ ।

আশা করা যায় এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে ঘরোয়া জিনিসের ব্যবহারে সুন্দর ত্বক পাওয়া যে সম্ভব তা আজ আপনারা জানতে পারলেন । প্রাকৃতিক উপাদানের উপকার চিরকালই অপরিসীম । আমাদের উচিত এইসব উপাদানের ভরপুর লাভ ওঠানো । যেহেতু কোনরকম কেমিকেল ছাড়াই শুধুমাত্র প্রাকৃতিক জিনিসের ব্যবহারে সুন্দর ত্বক পাওয়া যায়, তাই এর প্রভাব ধীরে ধীরে সামনে আসে । এক্ষেত্রে অধৈর্য হলে চলবে না । আজকের আমাদের প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে লাইক ও শেয়ার করুন এবং অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন । এছারাও কমেন্টের মাধ্যমে আপনার সুযোগ্য মতামত জানান ।

পাকা কলার কিছু ক্ষমতাশালী উপকারিতা১. পাকা কলা শক্তির উৎস (Energy Source)আপনি হয়তো দেখেছেন হবে খেলোয়াড়রা এবং ক্রীড়াবি...
23/07/2022

পাকা কলার কিছু ক্ষমতাশালী উপকারিতা
১. পাকা কলা শক্তির উৎস (Energy Source)
আপনি হয়তো দেখেছেন হবে খেলোয়াড়রা এবং ক্রীড়াবিদরা খেলার আগে পাকা কলা খায়। কেননা পাকা কলা শক্তি জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
ফুটবল খেলার মাঝে দেখে থাকবেন খেলোয়াড়রা মাঝে মাঝেই পাকা কলা খায়। পাকা কলা শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তির জোগান দেয়।
২. রক্তচাপ কম করতে সাহায্য করে (Lower Blood Pressure)
পাকা কলা রক্তচাপ কম করতে বিশেষ উপকারী । পাকা কলায় পাওয়া পটাশিয়াম রক্তচাপ কম করতে সাহায্য করে।
ধমনীর মধ্যে রক্তকে সহজভাবে প্রবাহ করতে সাহায্য করে। ধমনীতে সহজ ভাবে রক্ত বাহিত হলে হৃদ রোগ যেমন heart attack এবং স্ট্রোক থেকে আপনাকে দূরে রাখতে পারে।
পাকা কলায় বহুমাত্রায় ফাইবার পাওয়া যায়। যেটি ধমনী থেকে অধিক কোলেস্টেরল কে বাহির করে ফলে রক্ত চলাচল সহজ হয়। এর থেকে হৃদপিণ্ড এর চাপ কম হয় এবং আপনার হৃদপিণ্ড সুস্থ থাকে।
পাকা কলা কান খাওয়া উপকার৩. কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation) থেকে মুক্তি দেয়
পাকা কলায় বহুমাত্রায় ফাইবার পাওয়া যায় যেটা আপনার হজমে সাহায্য করে থাকে। হজম প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে কাজ করলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
এ কারণে সচরাচর শুনে থাকবেন পাকা কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নিয়মিত আহারের পাকা কলা অন্তর্ভুক্ত করলে হজম শক্তি প্রবল থাকে।
৪. কোলন ক্যান্সার (Colon Cancer) প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
পাকা কলা হজম প্রক্রিয়ায় এবং মল নিঃসরণ করতে সাহায্য করে।
পাকা কলায় পাওয়া ফাইবার মল নিঃসরণ করতে সাহায্য করে। সহজ ভাবে মল নিঃসরণ করতে পারলে কোলন ক্যান্সারের মত রোগকে দূরে রাখা যেতে পারে।
৫. হাঁপানি রোগ (Asthama) থেকে প্রতিরোধ করতে পারে
Researches পাওয়া গিয়েছে বাচ্চারা নিয়মিত পাকা কলার সেবন করলে হাঁপানি রোগের (Asthama) ঝুঁকি কমানো যায়। ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন একটি অধ্যায়নে পেয়েছে যে নিয়মিত একটি পাকা কলা খেলে হাঁপানি রোগর ঝুঁকি ৩৪ শতাংশ কম করা যায়।
৬. রক্তাল্পতা (Anemia) কম করতে সাহায্য করতে পারে
পাকা কলায় বিপুল মাত্রায় iron পাওয়া যায় যেটি anemia কম করতে সাহায্য করতে পারে। Iron লোহিত রক্ত কণিকার (Red Blood Cell) বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
এছাড়া পাকা কলায় পাওয়া copper লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি হতে সাহায্য করে। লোহিত রক্ত কণিকার বৃদ্ধি শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কে ঠিক ভাবে কার্য করতে সাহায্য করে।
অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি কম করতে নিয়মিত পাকা কলা খাওয়া উচিত।
পরতেক দিন পাকা কলা খাওয়া কেন ভালো৭. ওজন কম করতে সাহায্য কারী (Weight Loss)
পাকা কলায় calorie এর সংখ্যা খুবই অল্প যেটি আপনার ওজন কম করতে সাহায্য করে। পাকা কলা সহজেই হজম করা যেতে পারে। এছাড়াও পাকা কলায় অনেক মাত্রায় ফাইবার পাওয়া যায় এটি ওজন কম করতে পরোক্ষভাবে কার্যকরী।
পাকা কলা বারবার খিদে পাওয়া থেকেও আপনাকে দূরে রাখতে পারে। পাকা কলার এই বিশেষ চরিত্রের জন্য আপনাকে বেশি খাওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখে।
৮. হাড় কে মজবুত করে (Bone Strength)
পাকা কলায় মজুদ fructooligosaccharide এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া, যেটি খাবার থেকে minerals এবং nutrients কে শরীরে শোষণ করতে সাহায্য করে।
ক্যালসিয়াম আপনার হাড়ের বৃদ্ধি এবং হাড় কে মজবুত করতে কার্যকরী। এই ব্যাকটেরিয়াটি শরীরে ক্যালসিয়াম কে শোষণ করতেও সাহায্য করে থাকে।
৯. কিডনিকে (Kidney) সুস্থ রাখতে সাহায্য করে
পাকা কলায় পাওয়া পটাশিয়াম কিডনিকে সুস্থ রাখতে এক বহু দরকারি তথ্য। পাকা কলা পটাশিয়ামের এক প্রাকৃতিক ভান্ডার।
অধ্যায়নে দেখা গেছে যে 13 বছর ধরে সপ্তাহে ২-৩ পাকা কলা খেলে মহিলাদের মধ্যে 33 শতাংশ কিডনির রোগের ঝুঁকি কম দেখা গিয়েছে।
নিয়মিত খাবারে পাকা কলা অন্তর্ভুক্ত করা আপনার কিডনির জন্য উপকারী হতে পারে।
সপ্তাহে ৪-৬ বার পাকা কলা খেলে কিডনি রোগের ঝুকি 50% কম করা যেতে পারে।
পাকা কলার উপকারিতা১০. অ্যাসিডটি এবং আলসার (Acidity and Ulcer) থেকে মুক্তি দিতে পারে
পাকা কলা প্রাচীন যুগ থেকেই অ্যাসিডটি কম করতে প্রয়োগ করা হয়ে আসছে। পাকা কলা শরীরে অধিকমাত্রায় অ্যাসিড তৈরি হওয়ার থেকে বাধিত করে।
অধিক মাত্রায় অ্যাসিড আলসার এর মূল কারণ। পাকা কলায় পাওয়া protease inhibitor ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার নাশ করে যেটি আলসার জন্য দায়ী।
১১. পাইলসের (Piles) চিকিৎসায় সাহায্য করে
পাকা কলায় অধিক মাত্রায় ফাইবার পাওয়া যায় যেটি আপনাকে সহজভাবে মল নিঃসরণ করতে সাহায্য করে।
মলদ্বারের মজুদ শিরা ফুলে গেলে পাইলস হয়। সহজ ভাবে মল নিঃসরণ না করতে পারা পাইলস হওয়ার অন্যতম কারণ।
পাকা কলায় প্রাকৃতিক ভাবে জোলাপ উপাদান পাওয়া যায়। এই কারণে নিয়মিত পাকা কলা খেলে পাইলস কম করতে সাহায্য করে।
১২. দৃষ্টিশক্তি (Vision) বাড়াতে সাহায্য করতে পারে
অনেক ফলের মতন পাকা কলায় বহুমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যারোটিনয়েডস পাওয়া যায় এটি আপনার দৃষ্টি শক্তির জন্য উপকারী।
এছাড়াও পাকা কলায় বহুমাত্রায় মিনারেল এবং ভিটামিন পাওয়া যায় সেটি cataract, গ্লুকোমা এবং রাতকানা রোগের ঝুঁকি কম করতে উপকারী।
১৩. স্মৃতিশক্তি (Memory) এবং খোশমেজাজ (Boost Mood) বাড়াতে সাহায্য করে থাকে
পাকা কলায় পাওয়া tryptophan এক ধরনের neurotransmitter যেটি আপনার স্মৃতিশক্তি এবং খোশমেজাজ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
১৪. ঘুমাতে সাহায্য করে (Sleep Well)
কলায় পাওয়া Vitamin B6 সঠিকভাবে ঘুমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, পাকা কলায় অধিক মাত্রায় ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় যেটি শরীরকে আরাম করতে সাহায্য করে।
পাকা কলার উপকার
১৫. পোকার কামড়ের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে পারে (Bug Bite)
পোকার কামড়ে জ্বালা অথবা হুলের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে কলার খোসা উপকারী।
কামড়ে জায়গাটিতে কলার খোসার ভেতরের অংশটি ঘষলে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
কলার খোসা মশার কামড়ের চুলকুনি থেকেও নিস্তার পেতে সাহায্য করতে পারে।
আশা করি আপনারা এই জনপ্রিয় ফলটির ব্যাপারে অজানা তথ্য এবং পাকা কলার অসীম ক্ষমতার ব্যাপারে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন।
আজ থেকে অবশ্যই নিজের খাদ্যতালিকায় পাকা কলাকে অন্তর্ভুক্ত করুন।
আপনাদের কোন প্রশ্ন অথবা পরামর্শ থাকলে আমাদের নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট লিখে জানান।
এছাড়াও আপনার যদি পাকা কলার অন্য কোন উপকার এর ব্যাপারে জানা থাকে অবশ্যই আমাদের সাথে সেটা ভাগ করে নিন।
আর যদি আপনি আজ নতুন কিছু শিখলেন এবং কিছু উপকার পেলেন তাহলে লেখাটিকে অবশ্যই শেয়ার করুন

,
,
,
,,
,
,
,






Address

Dhaka City
Dhaka
1000

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when চিকিৎসা জগৎ 丨 Madical World posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

medical

world