Dr. Anika Akter Piya

Dr. Anika Akter Piya ””””সেই বুদ্ধিমান যে সৃষ্টিকর্তার কাছে রোগ মুক্তি ও সুস্বাস্থের জন্য বলে এবং স্বাস্থ সচেতন থাকে””””

Like and comment pls./কোন ধরনের ব্যথায় গরম সেঁক উপকারীদৈনন্দিন জীবনে ভুল দেহভঙ্গির কারণে ঘাড়ব্যথা বা কোমরব্যথায় অনেকে...
04/12/2023

Like and comment pls.
/কোন ধরনের ব্যথায় গরম সেঁক উপকারী

দৈনন্দিন জীবনে ভুল দেহভঙ্গির কারণে ঘাড়ব্যথা বা কোমরব্যথায় অনেকেই ভোগেন। অনেকের আবার নানা ধরনের দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা আছে। শীতে সব ধরনের ব্যথাবেদনাই বাড়তে পারে। এ সময় একটু উষ্ণতার পরশ দিতে পারে ব্যথার উপশম। উষ্ণতায় বাড়ে রক্তসঞ্চালন, শক্ত হয়ে থাকা পেশি হয় নমনীয়। তবে কোন ধরনের ব্যথার জন্য উষ্ণতা ভালো আর উষ্ণতার সীমাই–বা কতটুকু, জেনে নিন।

//কোন ধরনের ব্যথায় উত্তাপ চিকিৎসা

ঘাড়ব্যথা, কোমরব্যথা বা হাঁটুব্যথার মতো সমস্যায় কাজে দেবে উষ্ণতা। দীর্ঘমেয়াদি ব্যথায় ভুগলে হটওয়াটার ব্যাগ বা হিটিং প্যাডের মতো অনুষঙ্গ বাড়িতে রাখতে পারেন। বৈদ্যুতিক হিটিং প্যাড বা মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা যায় এমন প্যাড—যেকোনোটিই ব্যবহার করতে পারেন। আর্থ্রাইটিসের রোগীদের অস্থিসন্ধির জড়তা কাটাতেও কাজে দেয় উত্তাপ চিকিৎসা। মলদ্বারের ব্যথায় ‘হিপ বাথ’ বেশ কার্যকর, যেখানে উষ্ণ পানির পাত্রে বসতে হয় রোগীকে।
কখন উত্তাপ দেবেন না.

আঘাতজনিত ব্যথায় উষ্ণতা ভালো নয়। দেহের কোনো অংশ ফুলে গেলে, নীলচে হয়ে গেলে বা ত্বক ছড়ে গেলে উত্তাপ প্রয়োগ করবেন না। জীবাণু সংক্রমিত স্থানেও উত্তাপ প্রয়োগ করা উচিত নয়।
প্রয়োগবিধি.

উত্তাপটা হতে হবে কোমল ও সহনীয়। আরামদায়ক উষ্ণতা বলতে যা বোঝায়, সেটিই উত্তাপ চিকিৎসার কাঙ্ক্ষিত তাপমাত্রা। তাপমাত্রা বেশি হলেই তা বেশি কার্যকর, এমনটা নয়। বরং তাতে হিতে বিপরীত হয়।
মৃদু ব্যথা কিংবা পেশি শক্ত হয়ে থাকার সমস্যায় একটানা ১৫-২০ মিনিটে উত্তাপ চিকিৎসা নিতে পারেন (সারা দিনে এভাবে ৩ বার)
মাঝারি ও তীব্র ব্যথার জন্য সময়টা বাড়াতে পারেন, তবে নির্দিষ্ট এক জায়গায় প্রয়োগ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে উষ্ণ পানির ধারায় শরীরের ওই অংশের পুরোটাই ভেজাতে পারেন ৩০-৬০ মিনিট।
হিটিং প্যাড ব্যবহার করলে কম তাপমাত্রা দিয়েই শুরু করুন।
হিটিং প্যাড বা হিটিং জেল ব্যবহারের সময় সরাসরি তা দেহের ত্বকের সংস্পর্শে রাখবেন না, ওই স্থানের ত্বকের ওপর আগে একটি তোয়ালে জড়িয়ে নিন।
সতর্কতা

উত্তাপে আরাম পাবেন নিশ্চয়ই। তবে অতিরিক্ত সময় ধরে উত্তাপ নেবেন না। অতিরিক্ত তাপমাত্রাও দেহের জন্য ক্ষতিকর। আপনি হয়তো সাময়িকভাবে আরাম পেলেন, কিন্তু এদিকে আপনার ত্বক পুড়ে যেতে পারে অতিরিক্ত সময় ধরে উত্তাপ নেওয়ার কারণে কিংবা অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে।
হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে করতে ঘুমিয়ে পড়বেন না।
বৈদ্যুতিক হিটিং প্যাড সংরক্ষণ করতে হবে সাবধানে। হিটিং প্যাডের বৈদ্যুতিক তারে কোনো সমস্যা থাকলে সেটি ব্যবহার করবেন না।
ভেজা শরীরে বৈদ্যুতিক হিটিং প্যাড ব্যবহার করবেন না।
ডায়াবেটিস রোগী, স্নায়ু দৌর্বল্যের দরুন যাঁদের অনুভূতি কম, তাঁদের উত্তাপ চিকিৎসা নেওয়ার সময় বেশি সতর্ক থাকতে হবে। নয়তো নিজের অজান্তে পা পুড়িয়ে ফেলতে পারেন।
সূত্র : প্রথম আলো
sastha kotha

// শরীরে সামান্য মেদ জমলেই ওজন কমানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকে। ওজন কমানোর জন্য পরিশ্রমের শেষ থাকে না। খাদ্যাভ্যাসে ...
27/11/2023

// শরীরে সামান্য মেদ জমলেই ওজন কমানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকে। ওজন কমানোর জন্য পরিশ্রমের শেষ থাকে না। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, নিয়মিত শরীরচর্চা, নিয়ম মেনে চলা থেকে শুরু করে এমন কোনো চেষ্টা নেই, যার ভেতর দিয়ে যেতে হয় না একজনকে। এত কিছু মেনে চলার পরও দেখা যায়, শরীরের মেদ কমার নামগন্ধ নেই, বরং বেড়েই চলেছে। মেদ কমানোর জন্য নিয়মিত পরিশ্রম, শরীরচর্চা সবকিছুই বৃথা হতে পারে কিছু বাজে অভ্যাসের কারণে। প্রতিদিনের অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো অজান্তেই প্রভাব ফেলে শরীরের ওপর। এসব বদভ্যাস কীভাবে শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে, কীভাবে একটু সাবধান হলেই শরীরের ওজন রাতারাতি কমিয়ে ফেলা সম্ভব, তা নিয়েই আজকের আলোচনা…

//ভালো ঘুমের অভাব
আমাদের ‘ডু মোর’ সমাজে বেশি কাজ করতে পারার পুরস্কার সব সময়ই বেশি। রাতের ঘুম হারাম করে হলেও ডেডলাইন শেষ করার উদাহরণ ভূরি ভূরি। অনেকেই রাতের ঘুম দিনে ঘুমিয়ে পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাতের ঘুমের বিকল্প নেই। সুস্থ শরীরের জন্য ভালো ঘুমের প্রয়োজনীতা অপরিসীম। বয়সভেদে প্রত্যেকেরই রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কাজের চাপে সময়টা নেমে আসে ৫-৬ ঘণ্টায়। কম ঘুম যেমন প্রতিদিনের কাজের ওপর প্রভাব ফেলে, তেমনই শরীরের ক্ষুধানিয়ন্ত্রক হরমোনগুলোকে করে প্রভাবিত। যে কারণে শরীরের কাজ করার শক্তি কমতে থাকে, শরীরের ওপর চাপও বেড়ে যায়। তখন এটা-সেটা খেলে শরীরের মেদ বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে। নিয়মিত ৭-৯ ঘণ্টা টানা ঘুম সবারই দরকার। ঘুমানোর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে ফেলতে হবে। এবং ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে গ্যাজেটকে বলতে হবে বিদায়।

খাবারের মাঝখানে অতিরিক্ত পানি খাওয়া
বেঁচে থাকতে পানির বিকল্প নেই। উজ্জ্বল ত্বক, রোগবালাইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, ক্লান্তি দূর করা থেকে শুরু করে ক্ষুধা নিবারণ, সবকিছুতেই পানির বিকল্প নেই। তবে সবকিছুরই একটা মাত্রা আছে। মাত্রা অতিক্রম করলে কোনো কিছুই ভালো নয়। তিন বেলা ভারী খাবার খাওয়ার সময় অনেকেই নিয়মিত বিরতিতে পানি খান। খাওয়ার সময় অতিরিক্ত পানি খেলে মেদ কমে না। বরং পাকস্থলীর পরিপাককারী অ্যাসিডকে পাতলা করে দেয়। ফলে বাধাপ্রাপ্ত হয় খাবারের হজমপ্রক্রিয়া। ভালো হজমের জন্য খাবার খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে ও খাবার শেষে কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে পানি পান করা উত্তম।

//সকালের নাশতা এড়িয়ে যাওয়া
সকালের নাশতা শরীরের বিপাকীয় ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সারা দিনে কাজের জন্য যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন, তা মূলত সকালের নাশতার মাধ্যমে আসে। কিন্তু কেউ যখন এটি বাদ দিয়ে যান, তখন শরীর নতুনভাবে কাজ করতে পারে না। ফলে শরীরের কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। যাঁরা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করছেন, তাঁরা যদি সকালের নাশতা না খান, তাহলে তাঁদের রক্তে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়। সকালের ভরপেট নাশতার পর দুপুরে আরেকটু কম খেতে হয়। রাতের খাবার হতে হয় একেবারে হালকা। অর্থাৎ অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার যে প্রবণতা, সেটা শুধু সকালে সঠিক পরিমাণে নাশতা খেয়ে কমানো সম্ভব।
.দিনভর খাওয়াদাওয়া..
অনেকেই আছেন একবারে ভারী খাবার না খেয়ে কম কম করে সারা দিন খান। কিন্তু সারা দিন এভাবে খাবার খেলে উল্টা শরীরের মেদ বেড়ে যায়। প্রতিবার খাবার খাওয়ার পর শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর সেটাই শরীরকে সংকেত দেয় চর্বি জমা করার। ফলে শরীর কিছুক্ষণ পরপর চর্বি সঞ্চয় করতে শুরু করে। বেশির ভাগ খাবারই শরীরে সঞ্চয় করার মতো পর্যাপ্ত চর্বি উৎপাদন করে না। ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে যায়।

////....সূত্র : প্রথম আলো....

// শীত যাই যাই করলেও অসাবধান হওয়া যাবে না—এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখুনশীত যাই যাই করলেও ভোরে বা সন্ধ্যায় এখনো কনকনে বাতাস...
21/11/2023

// শীত যাই যাই করলেও অসাবধান হওয়া যাবে না—এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন

শীত যাই যাই করলেও ভোরে বা সন্ধ্যায় এখনো কনকনে বাতাস ও কুয়াশা। শীতে যাঁদের স্বাস্থ্য নাজুক হয়ে পড়ে, এই সময় তাঁদের একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

হাত, পা, কান, নাক, গাল—এসব জায়গায় সাধারণত ঠান্ডা বাতাস বেশি লাগে। তাই ভোরে বা রাতে বাইরে যেতে মোজা ও টুপি ব্যবহার করতে হবে।

কানে ঠান্ডা লেগে এবং তার সঙ্গে ভাইরাস সংক্রমণে মুখ একদিকে বাঁকা হয়ে যেতে পারে, যাকে বলে বেলস পালসি।

যাঁদের হৃদ্‌রোগ বা হাঁপানি আছে, তাঁরা বাইরে ঠান্ডা হাওয়ায় হাঁটতে না গিয়ে এ সময় ঘরেই ব্যায়াম করুন। নাইট্রোমিন্ট স্প্রে হাতের কাছে রাখুন। কনকনে ঠান্ডায় বাইরে গিয়ে পরিশ্রম করলে বুক ভারী ভারী লাগলে বা বুকে ব্যথা অনুভব হলে জিহ্বার নিচে দুই স্প্রে নাইট্রোগ্লিসারিন নিয়ে নিন এবং দ্রুত কোনো হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চলে যান।

ডায়াবেটিক রোগীদের ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, কোলেস্টেরল অনিয়ন্ত্রিত থাকলে পায়ের রক্তনালিতে সঞ্চালন কম হয়। একে পেরিফেরাল ভাসকুলার ডিজিজ বলে। শীতে যখন গরম পানি ব্যবহার করবেন, তখন পরিবারের কাউকে বলবেন তাপমাত্রা অত্যধিক কি না দেখে দিতে। কারণ, ডায়াবেটিসের রোগীর স্নায়ুতন্ত্রের জটিলতায় অনুভূতিহীনতা থাকতে পারে, না বুঝে তীব্র গরম পানিতে ত্বক পুড়ে যেতে পারে।

ডায়াবেটিসে রক্তনালি আক্রান্ত থাকলে ঠান্ডায় রক্ত সঞ্চালন কম হয়। এ কারণে হাত–পা ব্যথা ও নীল হয়ে যেতে পারে। তীব্র ঠান্ডায় নীল হয়ে যাওয়া হাত–পা হালকা উষ্ণ পানিতে দিয়ে গরম করতে হয়। সরাসরি গরম করার প্যাড বা হিটার ব্যবহার করলে ত্বক পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

হাঁপানি ও সিওপিডি রোগীদের উচিত হবে ঠান্ডা এড়িয়ে চলা। ৬০ বছরের অধিক বয়সীরা, যাঁদের ডায়াবেটিক, শ্বাসযন্ত্র, হৃদরোগ আছে এবং যাঁরা স্টেরয়েড নেন, তাঁদের ইনফ্লুয়েঞ্জা, স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনিয়ার টিকা নেওয়া থাকলে তীব্র শীতে ইনফেকশন ও নিউমোনিয়া থেকে হয়তো মুক্তি মিলবে।

কারও কারও ঠান্ডা পানিতে বা ফ্রিজ খুলতে গেলে হাত–পা নীল হয়ে যায়, এটাকে বলে রেনড সিনড্রোম। কম বয়সী মেয়েদের প্রাইমারি রেনড হয়ে থাকে। সঙ্গে যদি অস্থিসন্ধির ব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গ থাকে, সেটাকে বলে সেকেন্ডারি রেনড। এই সিনড্রোম যাঁদের থাকে, তাঁদের ক্যাফিন খাওয়া বন্ধ করতে হবে। হাত মোজা, পা মোজা ব্যবহারের পাশাপাশি ওষুধের ব্যাপারে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। বিটা ব্লকার ওষুধের পরিবর্তে ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার ভালো হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে কখনো এটা করতে যাবেন না। আঙুলের রং যদি নীল থেকে কালো বর্ণ ধারণ করে, সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে একসময় তা গ্যাংগ্রিনে রূপ নিতে পারে। ইনজেকশন ইপোপ্রস্টেনল, হেপারিন, ইনফেকশন প্রতিরোধ ও আরও যা চিকিৎসা আছে, অতি দ্রুত শুরু করতে হবে। দেরি হয়ে গেলে গ্যাংগ্রিন হয়ে যাওয়া আঙুল অপসারণ করতে হবে।//

//সূত্র : প্রথম আলো//

//বিষাক্ত কিছু খেয়ে ফেললে কী করবেন//কখনো কখনো কেউ ভুলবশত বা ইচ্ছা করে এমন কিছু খেয়ে ফেলেন, যা শারীরিক অসুস্থতা, ক্ষেত্...
13/11/2023

//বিষাক্ত কিছু খেয়ে ফেললে কী করবেন

//কখনো কখনো কেউ ভুলবশত বা ইচ্ছা করে এমন কিছু খেয়ে ফেলেন, যা শারীরিক অসুস্থতা, ক্ষেত্রবিশেষে মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হতে পারে। আবার শিশুদের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত বিষক্রিয়া হতে পারে। আবার কখনো কখনো দুষ্কৃতকারী কর্তৃক বিষাক্ত দ্রব্য প্রয়োগের ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়। এমনটা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে অনেকেই দিশাহারা হয়ে পড়েন, কী করা উচিত বুঝতে না পেরে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যান। তাই প্রাথমিকভাবে কী করা দরকার, সেই সম্পর্কে কিছু ধারণা সবারই থাকা উচিত।

//শুরুতেই যা করতে হবে
কেউ বিষাক্ত কিছু খেয়েছেন বা পান করেছেন, এমনটা ধারণা করা হলে সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া প্রয়োজন। অনেকেই রোগী নিয়ে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করেন, চিকিৎসা হচ্ছে না কেন বলে আতঙ্কিত হন, হম্বিতম্বি করেন। আসলে চিকিৎসকের চেম্বারে বা বহির্বিভাগে জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা না–ও থাকতে পারে, তাই সবচেয়ে ভালো হয়, কোনো সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা। এর মধ্যে কী খাওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা দরকার।

//রোগী সচেতন থাকলে তার কাছ থেকে বিষাক্ত দ্রব্যের নাম, পরিমাণ, বমি হয়ে বেরিয়ে গেছে কি না, সে বিষয়ে তথ্য জেনে নেওয়া উচিত। রোগী অচেতন থাকলে বিষের কৌটা বা বোতল, ওষুধের খালি পাতা অবশ্যই সংগ্রহ করে চিকিৎসককে দেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে। রোগীর শরীর থেকে কোনো বিশেষ গন্ধ আসছে কি না, খেয়াল করতে হবে। যদি কীটনাশকের গন্ধ পাওয়া যায় বা রোগীর জামাকাপড়ে কীটনাশকের অস্তিত্ব বোঝা যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে রোগীর শরীর পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এমনকি রোগী বমি করলে তা থেকেও চামড়ার মাধ্যমে বিষ শরীরে প্রবেশ করতে পারে, তাই কীটনাশক বিষক্রিয়ায় শরীরে বা জামাকাপড়ে লেগে থাকা কীটনাশক ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

//কখন বমি করাবেন, কখন করাবেন না
সচেতন রোগীকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ঘুমের বা অন্য কোনো ওষুধ অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে বমি করানো যেতে পারে, কিন্তু অচেতন রোগীকে বা কেরোসিন অথবা অ্যাসিড–জাতীয় বিষক্রিয়ায় কখনোই বমি করানোর চেষ্টা করা উচিত নয়। অচেতন রোগীকে বমি করানো হলে শ্বাসনালিতে চলে যেতে পারে, আবার কেরোসিন বা তেলজাতীয় জিনিস, যা কিনা পানির চেয়ে হালকা, শ্বাসনালিতে সহজেই প্রবেশ করে। অ্যাসিড বা ক্ষারজাতীয় পদার্থ অন্ননালির প্রদাহ সৃষ্টি করে, বমি করানো হলে অন্ননালির ক্ষতি আরও প্রকট হওয়ার শঙ্কা বেড়ে যায়, তাই কিছু ক্ষেত্রে বমি করানো আরও জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। আর যদি বমি করানোর প্রয়োজন পড়ে, তাহলে পানিতে লবণ গুলিয়ে বা তিতা জিনিস খাইয়ে চেষ্টা করা যেতে পারে। তবে এসব ব্যাপার নিয়ে কখনোই অতিরিক্ত সময় ক্ষেপণ করা যাবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, জরুরি বিভাগে রোগীকে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা দরকার।

//রোগী যদি অচেতন থাকেন, অতিরিক্ত লালা ক্ষরণ হয়, বমি হয়, তাহলে রোগীকে বাঁ কাত করে দিতে হবে, না হলে শ্বাসযন্ত্রে প্রবেশ করে মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাসের অসুবিধা হলে কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

//তবে দুর্ঘটনা ঘটার আগেই প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা ভালো। যেকোনো রকম বিষাক্ত দ্রব্য, ওষুধ ইত্যাদি আলাদা স্থানে রাখা উচিত। এ ছাড়া রাস্তাঘাটে দুষ্কৃতকারী কর্তৃক বিষাক্ত দ্রব্য প্রয়োগ এড়ানোর জন্য অবশ্যই অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে মেলামেশা বা অচেনা কারও দেওয়া খাবার বা পানীয় গ্রহণ করা যাবে না। যদি কোনো খাবার খাওয়ার পরপরই অসুস্থ বোধ হয়, সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ বা অন্যান্য পথচারীর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। আর পথে অচেতন অবস্থায় কাউকে দেখতে পেলে নিকটস্থ হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা জরুরি।

কোমরব্যথায় চাই যেমন বিছানা =================================ব্যাক পেইন বা কোমরব্যথায় ভোগেননি, এমন মানুষের সংখ্যা বেশ ক...
10/11/2023

কোমরব্যথায় চাই যেমন বিছানা
=================================
ব্যাক পেইন বা কোমরব্যথায় ভোগেননি, এমন মানুষের সংখ্যা বেশ কম। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ৮৫ শতাংশ মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময় কোমরব্যথায় ভোগেন। সাধারণত ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কোমরব্যথার কারণ হলো মেকানিক্যাল বা আমাদের অবস্থানজনিত সমস্যা। যেমন ত্রুটিপূর্ণ বসা কিংবা শোয়া, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা, উবু হয়ে কাজ করা ইত্যাদি।

আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, শোবার বিছানা সঠিক না হওয়ায় প্রায়ই কোমরব্যথা হয়ে থাকে। এমনিতেও যাঁরা কোমরব্যথায় আক্রান্ত, তাঁদের বিছানা নিয়ে সতর্ক হওয়া উচিত।

কেমন বিছানা চাই
শক্ত না নরম: চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে, কোমরব্যথায় আক্রান্ত রোগীদের শক্ত বিছানায় ঘুমানো উচিত। এই শক্ত মানে কতটা শক্ত? তাহলে কি কাঠের ওপর চাদর বিছিয়ে বা তোশক ছাড়া শুধু মেঝেতে ঘুমাতে হবে? আসলে তা নয়। শোবার বিছানা হতে হবে খুব নরম নয় আবার খুব শক্তও নয়, মাঝামাঝি রকমের। ইংরেজি পরিভাষায় যেটাকে ‘ফার্ম ম্যাট্রেস’ বলা হয়। কারণ, খুব নরম ও খুব শক্ত—দুই ধরনের বিছানাই আমাদের মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বক্রতা নষ্ট করে দেয়।
মেরুদণ্ডের কোমরের অংশকে মেডিকেল পরিভাষায় ‘লাম্বোসেকরাল স্পাইন’ বলা হয়। জন্মগতভাবে আমাদের মেরুদণ্ডের কোমরের অংশে একটি বক্রতা থাকে, যাকে বলা হয় ‘লাম্বার কার্ভাচার’। যখন শোবার বিছানা খুব নরম হয়, তখন এই কার্ভাচার বা বক্রতা অতিরিক্ত সোজা হয়ে যায়, একে বলে ‘লাম্বার কার্ভাচার স্ট্রেইট্রেনিং’। কখনো কখনো ডান অথবা বাঁ পার্শ্বে বাঁকা হয়ে যায়, যেটাকে মেডিকেল ভাষায় ‘স্কোলিওসিস’ বলা হয়।
বিছানার উচ্চতা: বিছানার উচ্চতা হওয়া উচিত ব্যক্তির হাঁটুর উচ্চতার সমপরিমাণ। এর থেকে বেশি উঁচু কিংবা নিচু হলে ওঠানামার সময় কোমরব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
বিছানা সমান বা সমতল হতে হবে, যেন আকাঁবাকাঁ কিংবা উঁচু-নিচু না হয়। দীর্ঘদিনের পুরোনো বিছানা বা তোশক পরিত্যাগ করতে হবে। কারণ, এগুলো অতটা সমতল থাকে না।
শোয়া থেকে ওঠার সময় এক পাশ কাত হয়ে উঠতে হবে, অন্যথায় কোমরব্যথা বেড়ে যেতে পারে।
কোমরব্যথা দীর্ঘমেয়াদি হলে অবহেলা না করে ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শে চলতে পারলে ভালো।
আর দৈনন্দিন কার্যকলাপেও চাই সাবধানতা।
....সূত্র : প্রথম আলো.....//

শরীরে সামান্য মেদ জমলেই ওজন কমানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকে। ওজন কমানোর জন্য পরিশ্রমের শেষ থাকে না। খাদ্যাভ্যাসে পরি...
07/11/2023

শরীরে সামান্য মেদ জমলেই ওজন কমানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকে। ওজন কমানোর জন্য পরিশ্রমের শেষ থাকে না। খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন, নিয়মিত শরীরচর্চা, নিয়ম মেনে চলা থেকে শুরু করে এমন কোনো চেষ্টা নেই, যার ভেতর দিয়ে যেতে হয় না একজনকে। এত কিছু মেনে চলার পরও দেখা যায়, শরীরের মেদ কমার নামগন্ধ নেই, বরং বেড়েই চলেছে। মেদ কমানোর জন্য নিয়মিত পরিশ্রম, শরীরচর্চা সবকিছুই বৃথা হতে পারে কিছু বাজে অভ্যাসের কারণে। প্রতিদিনের অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো অজান্তেই প্রভাব ফেলে শরীরের ওপর। এসব বদভ্যাস কীভাবে শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে, কীভাবে একটু সাবধান হলেই শরীরের ওজন রাতারাতি কমিয়ে ফেলা সম্ভব, তা নিয়েই আজকের আলোচনা…

ভালো ঘুমের অভাব
আমাদের ‘ডু মোর’ সমাজে বেশি কাজ করতে পারার পুরস্কার সব সময়ই বেশি। রাতের ঘুম হারাম করে হলেও ডেডলাইন শেষ করার উদাহরণ ভূরি ভূরি। অনেকেই রাতের ঘুম দিনে ঘুমিয়ে পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাতের ঘুমের বিকল্প নেই। সুস্থ শরীরের জন্য ভালো ঘুমের প্রয়োজনীতা অপরিসীম। বয়সভেদে প্রত্যেকেরই রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কাজের চাপে সময়টা নেমে আসে ৫-৬ ঘণ্টায়। কম ঘুম যেমন প্রতিদিনের কাজের ওপর প্রভাব ফেলে, তেমনই শরীরের ক্ষুধানিয়ন্ত্রক হরমোনগুলোকে করে প্রভাবিত। যে কারণে শরীরের কাজ করার শক্তি কমতে থাকে, শরীরের ওপর চাপও বেড়ে যায়। তখন এটা-সেটা খেলে শরীরের মেদ বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে। নিয়মিত ৭-৯ ঘণ্টা টানা ঘুম সবারই দরকার। ঘুমানোর অন্তত দুই ঘণ্টা আগে খাবার খেয়ে ফেলতে হবে। এবং ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে গ্যাজেটকে বলতে হবে বিদায়।

খাবারের মাঝখানে অতিরিক্ত পানি খাওয়া
বেঁচে থাকতে পানির বিকল্প নেই। উজ্জ্বল ত্বক, রোগবালাইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, ক্লান্তি দূর করা থেকে শুরু করে ক্ষুধা নিবারণ, সবকিছুতেই পানির বিকল্প নেই। তবে সবকিছুরই একটা মাত্রা আছে। মাত্রা অতিক্রম করলে কোনো কিছুই ভালো নয়। তিন বেলা ভারী খাবার খাওয়ার সময় অনেকেই নিয়মিত বিরতিতে পানি খান। খাওয়ার সময় অতিরিক্ত পানি খেলে মেদ কমে না। বরং পাকস্থলীর পরিপাককারী অ্যাসিডকে পাতলা করে দেয়। ফলে বাধাপ্রাপ্ত হয় খাবারের হজমপ্রক্রিয়া। ভালো হজমের জন্য খাবার খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে ও খাবার শেষে কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে পানি পান করা উত্তম।

সকালের নাশতা এড়িয়ে যাওয়া
সকালের নাশতা শরীরের বিপাকীয় ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সারা দিনে কাজের জন্য যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন, তা মূলত সকালের নাশতার মাধ্যমে আসে। কিন্তু কেউ যখন এটি বাদ দিয়ে যান, তখন শরীর নতুনভাবে কাজ করতে পারে না। ফলে শরীরের কর্মক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। যাঁরা ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করছেন, তাঁরা যদি সকালের নাশতা না খান, তাহলে তাঁদের রক্তে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পুষ্টিহীনতা দেখা দেয়। সকালের ভরপেট নাশতার পর দুপুরে আরেকটু কম খেতে হয়। রাতের খাবার হতে হয় একেবারে হালকা। অর্থাৎ অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার যে প্রবণতা, সেটা শুধু সকালে সঠিক পরিমাণে নাশতা খেয়ে কমানো সম্ভব।

দিনভর খাওয়াদাওয়া
অনেকেই আছেন একবারে ভারী খাবার না খেয়ে কম কম করে সারা দিন খান। কিন্তু সারা দিন এভাবে খাবার খেলে উল্টা শরীরের মেদ বেড়ে যায়। প্রতিবার খাবার খাওয়ার পর শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়। আর সেটাই শরীরকে সংকেত দেয় চর্বি জমা করার। ফলে শরীর কিছুক্ষণ পরপর চর্বি সঞ্চয় করতে শুরু করে। বেশির ভাগ খাবারই শরীরে সঞ্চয় করার মতো পর্যাপ্ত চর্বি উৎপাদন করে না। ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে যায়।
..../..সূত্র : প্রথম আলো....../

মা হওয়ার পর করণীয়গুলো জেনে নিনশিশুর কান্না, তুলতুলে শরীরের স্পর্শ এবং স্তন্যপান মায়ের শরীরে সৃষ্টি করে এক স্বর্গীয় অ...
05/11/2023

মা হওয়ার পর করণীয়গুলো জেনে নিন

শিশুর কান্না, তুলতুলে শরীরের স্পর্শ এবং স্তন্যপান মায়ের শরীরে সৃষ্টি করে এক স্বর্গীয় অনুভূতি। নিমেষে ভুলিয়ে দেয় তাঁর সব ব্যথা, কষ্ট ও উৎকণ্ঠা। এ মানসিক প্রশান্তিই একজন মায়ের যত্নের প্রথম পদক্ষেপ। মায়ের যত্নে অন্য করণীয়গুলোও জেনে নেওয়া যাক।

দীর্ঘক্ষণ প্রসবযন্ত্রণায় থাকার পর মা ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তাই তাঁর প্রয়োজন তরল পুষ্টিকর খাদ্য ও প্রশান্ত ঘুম। মা হওয়ার পর কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল অথবা গা মুছে আরামদায়ক পোশাক পরা দরকার। জীবাণুমুক্ত স্যানিটারি প্যাড পরা উচিত। শিশু জন্মের পর প্রথম ২ ঘণ্টা, ১৫ মিনিট পরপর মায়ের তলপেটে হাত দিয়ে জরায়ু ম্যাসাজ করে দিতে হবে। রক্তক্ষরণ কেমন হচ্ছে, সেটা মা নিজে যেমন খেয়াল রাখবেন, তেমনি পরিবারের সাহায্যকারী অথবা স্বাস্থ্যকর্মীরাও লক্ষ রাখবেন। রক্তক্ষরণ বেশি হলে অবশ্যই হাসপাতালে যেতে হবে। রক্তক্ষরণ বন্ধ করার কিছু ওষুধ আছে। সেই সঙ্গে আধা ঘণ্টার মধ্যেই শিশুকে মায়ের দুধ দিতে হবে। এতেও কিন্তু রক্তক্ষরণ কিছুটা কমে আসবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে, যাতে কোনো সংক্রমণ না হয়।

মা বিছানা থেকে উঠে হাঁটতে চাইলে একজন সাহায্যকারী যেন সব সময় তাঁর পাশে থাকেন। মায়ের নাড়ির গতি, রক্তচাপ ও রক্তস্রাবের পরিমাণ ঠিক আছে কি না, সেটা দেখারও প্রয়োজন আছে।

মায়ের খাবার

মায়ের খাবার যেন সুষম হয়। ভাত, মাছ, শাকসবজি, ডাল, ফল, মাংস, ডিম, দুধ—সব ধরনের খাবারই মাকে দিতে হবে। স্বাভাবিক যে খাবার খেতেন, স্তন্যদায়ী মা হওয়ার পর এর সঙ্গে বাড়তি হিসেবে একমুঠো ভাত দুই বেলা, এক বাটি ঘন ডাল দুবার, এক বাটি শাকসবজি দুবার খেতে হবে। ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণের জন্য ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল, পাকা কলা, ডিম ও দুধ খাবেন। অর্থাৎ বাড়তি খাবার থেকে আরও ৫০০ কিলোক্যালরি পেতে হবে। প্রচুর পানি খাবেন। তাহলে শিশুটি ভালো দুধ পাবে এবং মায়ের শরীরের ক্ষয়পূরণে সাহায্য করবে। পরিবারের সবাই নতুন মাকে সাহায্য করবে। মা নিজেও নিজের শরীরের যত্ন নেবেন।

মানসিক স্বাস্থ্য

এ সময় মেয়েরা একটু আবেগপ্রবণ হয়ে উঠতে পারেন। হরমোন ও স্ট্রেসের কারণে এমনটা হয়ে থাকে। বিশেষ করে প্রথমবার মা হওয়ার পর মেয়েরা একটু দিশাহারা বোধ করেন। খাওয়া ও ঘুম সময়মতো হয় না বলে মেজাজ হয়ে পড়ে খিটখিটে। পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা এ সময় গুরুত্বপূর্ণ। কোনোভাবেই মায়ের মনে আঘাত দিয়ে কোনো কিছু করা উচিত নয়। এ ব্যাপারে স্বামীর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। যদি মনে হয় মা পোস্টপারটাম বিষণ্নতা বা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। মাকে সবাই মিলে সাহায্য করলে ও সমর্থন দিলে এ জটিল–কঠিন সময় স্বচ্ছন্দে পার করা সম্ভব।

ব্যায়াম

প্রসব–পরবর্তী সময়ে শারীরিক অবস্থা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যায়ামের প্রয়োজন আছে। প্রসবের সময় প্রচুর রক্তপাত হয়ে থাকে। রক্তস্বল্পতা কাটাতে আয়রন ফলিক বড়ি আর মাতৃদুগ্ধদানের জন্য ক্যালসিয়াম বড়ি সেবন করতে হয় তিন মাস। এ ছাড়া জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি সম্পর্কে জানা দরকার। প্রসব–পরবর্তী ছয় মাস ভারী ব্যায়াম বা ভারী কাজ না করাই ভালো। তবে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি ও শেখানো কিছু নিরাপদ ব্যায়াম করা যেতে পারে ফিটনেস ফিরে পেতে।

দুগ্ধদান

শালদুধ ফেলা যাবে না। তাই আধা ঘণ্টার মধ্যেই বুকের দুধ দেওয়া দরকার। তারপর যখনই শিশু কাঁদবে বা খেতে চাইবে, মা দুধ দেবেন। বুকের দুধ সঠিকভাবে পেতে সঠিক অ্যাটাচমেন্ট, পজিশন ইত্যাদি শিখে নিতে হবে। পর্যাপ্ত বুকের দুধ খাওয়াতে পারলে মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যও উজ্জীবিত থাকবে। স্তন্যদানকারী মায়ের জন্য সামনেটা খোলা, এমন ঢিলেঢালা হালকা পোশাক বেশি আরামদায়ক। ব্রেস্টফিডিং ঠিকভাবে না করলে বুকে দুধ জমে ইনফেকশন বা অ্যাবসেস হতে পারে, টনটনে ব্যথা করতে পারে। তাই ঠিকমতো ব্রেস্টফিডিং করানো জরুরি।

দুধ তৈরি ও নিঃসরণের জন্য অনেক হরমোন নিঃসরিত হয়। এসব হরমোন মাতৃস্বাস্থ্যের ওপর স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। মাকে রক্তস্বল্পতা, স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তের চর্বি কমানো, হার্টের অসুখ, স্তন ক্যানসার ও ওভারির ক্যানসার থেকে রক্ষা করে। মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সাহায্য করে। এ ছাড়া পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির ব্যাপারেও মাতৃদুগ্ধদান সাহায্য করে।

অধ্যাপক ডা. সামিনা চৌধুরী
স্ত্রীরোগ ও ধাত্রীবিদ্যা বিশেষজ্ঞ

সোর্স : প্রথম আলো........

কানে পানি গেলে কি বের করে আনাটা জরুরি?হঠাৎ করে কানে পানি যেতেই পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই। অনেকেই মনে করেন, কানে পানি গেলে...
05/11/2023

কানে পানি গেলে কি বের করে আনাটা জরুরি?

হঠাৎ করে কানে পানি যেতেই পারে। এতে ভয়ের কিছু নেই। অনেকেই মনে করেন, কানে পানি গেলেই কানের ক্ষতি হয়ে যাবে। এই ধারণাটির কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তিই নেই। সুস্থ কানে পানি গেলে আদতে কোনো অসুস্থতাই সৃষ্টি হয় না। তবে সুস্থ কানে পানি গেলে বের করার চেষ্টা করতে গেলেই বাধে বিপত্তি।

যেসব কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে

কানে পানি গেলে ভয় পাওয়া যাবে না।
কান থেকে পানি বের করার কোনো চেষ্টাও করা যাবে না।
নাক চেপে ধরে কান দিয়ে বাতাস বের করার চেষ্টা করেন অনেকেই। প্রচলিত বিশ্বাস হলো এভাবে বাতাসের চাপে কানের পানি বেরিয়ে আসবে। এ ধরনের প্রচেষ্টায় আমাদের মধ্যকর্ণের বিভিন্ন অংশ ভেতর থেকে আহত কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি কানের পর্দা ছিদ্রও হয়ে যেতে পারে। অথচ কানে ঢোকা পানি এমন কোনো ক্ষতিই করত না।
অনেকে মনে করেন, কানে বেশি পরিমাণ পানি দিলে আগে ঢুকে যাওয়া পানিসহ পুরো পানিটাই কান থেকে সহজে বেরিয়ে আসবে। এ জন্য কানে আরও পানি ঢুকিয়ে দেন। এই ধারণাটিও কিন্তু ভুল। এতেও হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই এমনটা করবেন না।
কটনবাড দিয়ে কানের পানি বের করার বা কানের অস্বস্তি দূর করার চেষ্টা করা যাবে না। কটনবাড কানের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর।
কেউ কেউ আবার লাফিয়ে কিংবা মাথা ঝাঁকিয়ে কানের পানি বের করার চেষ্টা করেন। এমনটাও করা উচিত নয়।
চিকিৎসকের কাছে কখন যাবেন

কানে পানি যাওয়াটা কোনো সমস্যা নয়। এর জন্য কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। তবে যাঁদের কানে আগে থেকে সংক্রমণ কিংবা অন্য কোনো সমস্যা রয়েছে, তাঁদের কানে পানি ঢুকলে কান ভারী লাগতে পারে বা কানে অস্বস্তি হতে পারে, ঠিক যেমন কানে ময়লা জমে থাকলে পানি ঢোকার পর তা ফুলে গিয়ে কান ভারী অনুভূত হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায়, কানে পানি যাওয়ার পর কান থেকে পুঁজও পড়ছে। এসব ক্ষেত্রে কানে পানি ঢোকাটাকেই সমস্যার মূল কারণ বলে চিহ্নিত করা হয়, যা একদমই ঠিক নয়। বরং বুঝতে হবে, কানে আগে থেকেই একটি সমস্যা ছিল। এ ধরনের কোনো উপসর্গ দেখা দিলে তখনো কিন্তু কানের পানি বের করার চেষ্টা করা যাবে না। বরং নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে কানের মূল সমস্যাটি নির্ণয় করে সেটির চিকিৎসা নিতে হবে।

তবে খেয়াল রাখুন

যদি কারও কানে প্রদাহ থাকে বা ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকজনিত কোনো সংক্রমণ থাকে, তাঁদের কানে যাতে পানি না ঢোকে, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। কারও যদি প্রায়ই কান চুলকায় বা ‘কানপাকা’ সমস্যা থেকে থাকে, তাঁদের কানে যাতে পানি না ঢোকে, সে বিষয়ে যত্নশীল হতে হবে।

অধ্যাপক ডা. এ এফ মহিউদ্দিন খান
সাবেক বিভাগীয় প্রধান, নাক কান গলা বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

সোর্স : প্রথম আলো

02/11/2023

কডনি সুরক্ষা মূলত শরীরের দুটি কিডনির সুরক্ষা সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিডনি মানব শরীরের মূখ্য প্রাণিরোগ্য অঙ্গের মধ্যে প্রথম রক্ষক হিসেবে কাজ করে, এই কারণে তাদের সুরক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। কডনির মূল কাজ হল রক্তের প্রশুদ্ধতা বজায় রাখা, মেটাবলিক বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করা এবং মূত্রে অপ্রয়োজন উপাদান সাইক্ল করে তোলা।

কডনির সুস্থতা দেখার জন্য প্রাথমিকভাবে প্রতিবর্ষে নিয়মিত চেকআপ এবং উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস, এবং কোলেস্টেরল স্তর নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। অতএব, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, ধূমপান বন্ধ করা, শক্ত নির্মিত দ্বিতীয় নিম্ন দাবের ব্যবহার এবং নির্ধারিত পরিমাণে পানি পান এই কডনি সুরক্ষা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।

31/10/2023

সুস্থ থাকার জন্য মহাগুরুত্বপূর্ণ উপায়:

1. নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রম অনুষ্ঠান করা, যেমন রোজ হাঁটা বা ব্যায়াম করা।

2. স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে, পুষ্টিকর খাবার নাও খেতে, ফল ও সবজি বেশি করে সেবন করা।

3. চেকআপ আপ এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা নেওয়া।

4. ভালো নিদ্রা প্রাপ্ত করা, সাপ্তাহিক নিদ্রার আদান-প্রদান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া।

5. স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করা, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া, যেমন ধ্যান, মানসিক স্বাস্থ্য অনুষ্ঠান এবং ব্যায়াম।

6. ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য দেখানোর জন্য যত্ন নেওয়া, যেমন শয়নকালের আগে দাঁত দেখানো এবং নিয়মিত চেকআপ করা।

7. ধূমপান এবং মাদকাসক্তি থেকে দূর থাকা এবং সামাজিক সংযোগ এবং সমর্থন স্থাপন করা।

8. পরিবারের সদস্যদের সাথে সুখ-শান্তি স্থাপন করা।

উপরে উল্লিখিত উপায়গুলি অনুসরণ করে আপনি সুস্থ থাকতে সাহায্য পেতে পারেন। এই যত্ন নেওয়া আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যে উন্নতি করতে সাহায্য করতে পারে।

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Anika Akter Piya posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram