Valo Thakun

Valo Thakun ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। আপনার প্রতিটা সময় হয়ে উঠুক মধুময়।

🍀🥦  ফুলকপির রেজালা কীভাবে বানাবেন, জেনে নিন   🎋🏡শীতে এই সময় বাজারে অনেক বেশি যে সবজি পাওয়া যায়, তা হলো ফুলকপি। এই ফুলকপি...
13/02/2025

🍀🥦 ফুলকপির রেজালা কীভাবে বানাবেন, জেনে নিন 🎋🏡

শীতে এই সময় বাজারে অনেক বেশি যে সবজি পাওয়া যায়, তা হলো ফুলকপি। এই ফুলকপি দিয়ে রান্না করতে পারেন মজার রেজালা। ফুলকপির এই রেজালা গরম গরম ভাত, রুটি বা পরোটার সাথে খেতে পারেন। এটি একটি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর পদ যা আপনার খাবারের মেনুতে বৈচিত্র্য আনবে। রইল সহজ রেসিপি।
উপকরণ: ফুলকপি ১টি মাঝারি আকারের (ছোট ছোট করে কাটা), পেঁয়াজ ২টি মাঝারি আকারের (কুচি করে কাটা), টমেটো ২টি মাঝারি আকারের (কিউব করে কাটা), আদা বাটা ১ চা-চামচ, রসুন বাটা ১ চা-চামচ, দই ১/২ কাপ, লাল মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ (স্বাদ অনুযায়ী), হলুদের গুঁড়া ১/২ চা-চামচ, ধনিয়া গুঁড়া ১ চা-চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১/২ চা-চামচ, তেজপাতা ১টি, লবঙ্গ ২-৩টি, দারুচিনি ১ টুকরা, এলাচ ২টি, তেল ২-৩ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ২-৩টি (স্লাইস করে কাটা) এবং ধনে পাতা সাজানোর জন্য (কুচি করে কাটা)।
প্রণালী: ফুলকপি ভালোভাবে ধুয়ে নিন। একটি ফ্রাইংপ্যানে তেল দিয়ে, তাতে ফুলকপিগুলো ছেড়ে দিন। সামান্য লবণ দিয়ে ভেজে নিতে হবে। তারপর একটি পাত্রে তুলে রাখুন। আর একটি কড়াইয়ে তেল গরম করুন। তাতে তেজপাতা, লবঙ্গ, দারুচিনি এবং এলাচ দিন। মসলার সুগন্ধ বের হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। কুচি করা পেঁয়াজ দিন এবং সোনালি বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এবার তাতে যোগ করুন আদা ও রসুন বাটা। ১-২ মিনিট ভাজুন।
এবার একে একে হলুদের গুঁড়া, লাল মরিচ গুঁড়া, ধনিয়া গুঁড়া এবং গরম মসলা গুঁড়া দিন। ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। কিউব করে রাখা টমেটোগুলো দিয়ে দিন। এবার নরম হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। টমেটো পুরোপুরি গলে গেলে তেল আলাদা হয়ে যাবে। তারপর যোগ করুন দই। ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ফুটতে দিন। আগে থেকে ব্লাঞ্চ করে রাখা ফুলকপিগুলো দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। কাঁচা মরিচ স্লাইস দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে ১০-১২ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করুন। ফুলকপি নরম হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। ধনিয়া পাতা দিয়ে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
সূত্রঃ আইটিভিবিডি ডট কম।

18/12/2024

💡 ঠান্ডায় গলা বসে গেলে যা করবেন 🎋

শীতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় কণ্ঠস্বর বা গলা বসে যাওয়া, কথা ফ্যাসফেসে হয়ে যাওয়া খুবই সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। তবে অনেকসময় এই সমস্যা হতে পারে স্বাস্থ্য হুমকির কারণ। বর্তমানে ওমিক্রনের উপসর্গে অন্যতম লক্ষণ এই কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হওয়া। তবে ঠান্ডাজনিত কারণে গলার স্বরের পরিবর্তন হলে, ঘরেই নিতে পারেন প্রাথমিক চিকিৎসা।

চলুন জেনে নেয়া যাক সাধারণ গলা বসায় রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসাগুলো—

🪄 লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করাটা সবচেয়ে সাধারণ এবং একই সঙ্গে কার্যকর একটি পদ্ধতি। দিনে অন্তত চারবার লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করতে হবে।
গলা ভাঙা উপশমে ভালো আরেকটি পদ্ধতি হলো গরম পানির ভাপ টানা। ফুটন্ত পানির বাষ্প যদি দৈনিক অন্তত ১০ মিনিট মুখ ও গলা দিয়ে টানা হয়, তাহলে উপকার পাওয়া যাবে।
🪄 ভাঙা গলায় হালকা গরম লেবুপানি ও আদা বেশ কার্যকর। শুকনো আদায় ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী উপাদান রয়েছে, যা গলার বসে যাওয়া স্বরকে স্বাভাবিক করে তুলতে পারে।
🪄 যারা জোরে কথা বলেন, অথবা যাদের সবসময় কণ্ঠ ব্যবহার করতে হয়, যেমন সংগীতশিল্পী, রাজনীতিবিদ—তারা কিছুদিন কণ্ঠের বিশ্রাম নেবেন। এই বিশ্রামের ফলে শ্বাসনালিতে প্রদাহ কমে আসবে।
লবঙ্গ মুখে রাখতে পারেন। তবে দীর্ঘক্ষণ লবঙ্গ মুখে রাখলে সেটি জিহ্বার চামড়া পুড়িয়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে গরম পানিতে লবঙ্গ দিয়ে সেই পানি মুখে দিয়ে গড়গড়া করতে পারেন।
🪄 আদা, মধু, তুলশি পাতার রস দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে চায়ের সঙ্গে খেতে পারেন। এতে একটুকরো আদা (দুই ইঞ্চি), এক মুঠো তুলশি পাতা ও এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে এটি তৈরি করে সারাদিন চা বা গরম পানি দিয়ে খেতে পারেন। এতে উপকার পাবেন।

🪡 তবে এমন সব চিকিৎসা অনেক সময় কাজে দেয় না। দিনের পর দিন ধরে গলার স্বর বসে থাকে। গলা দিয়ে কথা বের হতে চায় না। স্বর বদলে যায়। ফ্যাসফেসে আওয়াজ হয়। এ ধরনের রোগীদের মধ্যে অন্তত ১০ শতাংশ আরও বিপজ্জনক কোনো রোগের সম্মুখীন হন। তাই জেনে নিতে হবে বিপদচিহ্নগুলো—

♦️ গলা একবার বসে যাওয়ার পর চার থেকে ছয় সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়।
♦️ সাধারণভাবে ৫০ বছরের ওপরের যেকোনো রোগীর গলা যদি কোনো কারণ ছাড়া বসে যায়, তবে তা নিয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। ধূমপায়ীরাও বিপদের মধ্যে আছেন।
♦️ গলা বসার সঙ্গে দীর্ঘদিনের কাশি, কাশির সঙ্গে রক্ত, ওজন হ্রাস বা অন্যান্য উপসর্গ যদি থাকে।

সূত্রঃ সংবাদ প্রকাশ ডট কম।

🪻শীতে রোগমুক্ত থাকতে কী খাবেন?🍒🌺শীতের রোগের প্রকোপ অনেক বেশি থাকে। ঠান্ডা, শর্দি, কাশি, চুলকানো, জ্বরসহ নানা সমস্যা দেখা...
20/11/2024

🪻শীতে রোগমুক্ত থাকতে কী খাবেন?🍒🌺

শীতের রোগের প্রকোপ অনেক বেশি থাকে। ঠান্ডা, শর্দি, কাশি, চুলকানো, জ্বরসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। অনেকের পেটের সমস্যাও দেখা দেয়।
শীতে মৌসুমি শাকসবজি বা ফল গ্রহণের মাধ্যমে সহজেই শরীরের চাহিদা মোতাবেক পুষ্টি উপাদান, বিশেষ করে ভিটামিন ও মিনারেলসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। অন্য সময়ের চেয়ে শীতকালের শাকসবজি এবং ফলের স্বাদ এবং পুষ্টি গুণাগুণও বেশি থাকে।

শীতে রোগমুক্ত থাকার খাবার নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন কিংসটন হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্মকর্তা নাজিয়া আফরিন।

শীতে বাজারে দেখা যায় ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, লালশাক, পালংশাক, মুলা, শালগম, শিম, টমেটো, পেঁয়াজ পাতা, লাউ, ব্রোকলি, মটরশুঁটি, গাজর, ধনিয়াপাতা, লাউ ইত্যাদি। এসবে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, বিটা-ক্যারোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, এন্টিঅক্সিডেন্ট, আঁশ ও ভিটামিন বিদ্যমান। অস্থিক্ষয় রোধে ও শরীরে রক্তকণিকা বা প্ল্যাটিলেট গঠনেও শীতকালীন শাকসবজির ভূমিকা অপরিসীম। ভিটামিন-সি, এ এবং ই-এর ঘাটতি পূরণ করে এসব ফল ও শাকসবজি। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত ভিটামিন-ই; যা স্থুলতার সমস্যা থেকে রক্ষা করে ও চুলপড়া কমায়।

* ফুলকপি ও বাঁধাকপি : ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন-এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিড ও পানি। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও সালফার রয়েছে। ফুলকপিতে এমন কিছু উপাদান আছে, যা কিডনির পাথর ও ক্যানসার নিরাময়ে ভূমিকা রাখতে পারে। এতে কোনো চর্বির মাত্রা নেই। তাই এটি কোলেস্টেরলমুক্ত, যা শরীরের বৃদ্ধি ও বর্ধনে বিশেষ উপযোগী। পাশাপাশি বাঁধাকপিতে রয়েছে ভিটামিন-সি ও ফাইবার। শরীরের হাড় শক্ত ও মজবুত রাখতে এবং ওজন কমাতে এর জুড়ি নেই। এটি আলসার প্রতিরোধে ভালো কাজ করে।

* ব্রোকলি : ব্রোকলিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ক্যালসিয়াম বিদ্যমান। এটি অত্যন্ত উপাদেয়, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি সবজি। এটি চোখের নানাবিধ রোগ, রাতকানা, অস্থি বিকৃতি ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।

* গাজর : গাজর অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও আঁশসমৃদ্ধ শীতকালীন সবজি, যা প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। তরকারি বা সালাদ হিসাবে এই সবজি খাওয়া হয়। এতে আছে বিটা ক্যারোটিন যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। অন্যান্য উপাদানগুলো অন্ত্রের ক্যানসার প্রতিরোধ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। গাজরে উপস্থিত ক্যারোটিনয়েড ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ত্বকের খসখসে ও রোদে পোড়া ভাব দূর করে।

* জলপাই : শীতের একটি উপকারী ফল জলপাই। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’, ‘ই’, লৌহ ও অসম্পৃক্ত চর্বি। ফলে এটি স্থূলতা কমায়, শরীরে উপকারী চর্বি বাড়ায়। বাতের ব্যথা, হাঁপানি উপশমে জলপাই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া টক জাতীয় এ ফলে রয়েছে ভিটামিন এ, সি এবং ই। এ ভিটামিনগুলো দেহের রোগজীবাণু ধ্বংস করে, উচ্চরক্তচাপ কমায়, রক্তে চর্বি জমে যাওয়ার প্রবণতা হ্রাস করে হৃৎপিণ্ডের রক্তপ্রবাহ ভালো রাখে। এতে হৃৎপিণ্ড থেকে বেশি পরিশোধিত রক্ত মস্তিষ্কে পৌঁছায়, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। জলপাইয়ের খোসায় রয়েছে আঁশ জাতীয় উপাদান। এ আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়, পাকস্থলির ক্যানসার দূর করতে ভূমিকা রাখে।

* ধনিয়াপাতা : ধনিয়াপাতা এখন সারা বছর পাওয়া গেলেও মূলত এটি শীতকালীন সবজি। এটি সরাসরি সালাদ হিসাবে এবং রান্না করে দু’ভাবেই খাওয়া যায়। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-সি, এ, কে ও ফলিক এসিড রয়েছে, যা আমাদের ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয়। ধনিয়াপাতার ভিটামিনগুলো আমাদের ত্বকে প্রতিদিনের পুষ্টি জোগায়, চুলের ক্ষয়রোধ করে, হাড়ের ভঙ্গুরতা দূর করে এবং মুখের ভেতরের নরম অংশগুলোকে রক্ষা করে।

* টমেটো : ক্যালরিতে ভরপুর টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, যা মানবদেহের হাড় ও দাঁত গঠনে ভূমিকা রাখে। তাছাড়া ভিটামিন-সি’র অভাবজনিত স্কার্ভি ও চর্মরোগ প্রতিরোধে টমেটো বেশ কার্যকরী। এতে বিদ্যমান অন্য এক উপাদান হলো লাইকোপেন, যা ক্যানসার প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে। টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা প্রকৃতির আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির বিরুদ্ধে কাজ করে।

* মটরশুঁটি : শীতকালীন সবজি মটরশুঁটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি; প্রতি ১০০ গ্রামে পাওয়া যায় ১২৫ কিলোক্যালরি। এটি উদ্ভিজ আমিষের একটি বড় উৎস।

* শিম : শিমে আমিষ ছাড়াও স্নেহ ও ফাইবার থাকে। এর আঁশ খাবার পরিপাকে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকাংশে দূর করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে হ্রাস করে পাকস্থলী ও প্লিহার শক্তি বাড়ায়। লিউকেরিয়াসহ মেয়েদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে, শিশুদের অপুষ্টি দূর করে।

* পালংশাক : পালংশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, আয়রন ও ফলিক এসিড, যা আমাদের দেহের জন্য জরুরি। এটি আমাদের শরীরে আর্থাইটিস, অস্টিওপোরোসিস ছাড়াও হৃদরোগ ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে।

* মূলা : বিভিন্ন ক্যানসার, কিডনি ও পিত্তথলিতে পাথর তৈরি প্রতিরোধে সাহায্য করে মুলা। এর মধ্যে থাকা বিটা-ক্যারোটিন হৃদরোগের ঝুঁকি দূর করে। শরীরের ওজন হ্রাস করে আলসার ও বদহজম দূর করতে সাহায্য করে।

* লাউ : লাউয়ে প্রচুর পানি থাকে, যা দেহের পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এটি ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। লাউ খেলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। প্রস্রাবের সংক্রমণজনিত সমস্যা দূর হয়। কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য এটি আদর্শ সবজি। নিদ্রাহীনতা দূর করে এবং ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস, যা দেহের ঘামজনিত লবণের ঘাটতি দূর করে। দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে। চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পেকে যাওয়ার হার কমায়। লাউ কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ, পেট ফাঁপা প্রতিরোধ করে।

* শীতকালীন মৌসুমি ফল : শীত মৌসুমে বাজারে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন জাতের কুল বা বরই, কমলালেবু, আমলকী, আপেল, সফেদা, ডালিম, পেয়ারা ইত্যাদি পাওয়া যায়। এসব ফলে আছে ভিটামিন-এ, সি ও ই, মিনারেল, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার। এসব মৌসুমি ফল কেবল মুখরোচকই নয়, এতে থাকা নানা ভিটামিন এবং মিনারেলস দাঁত, মাড়ি মজবুত করতে যেমন সাহায্য করে তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এসব ফল সুস্থতার পাশাপাশি সজীবতা, সৌন্দর্য ও তারুণ্য ধরে রাখে। শরীরে আঁশের ঘাটতি মেটাতে ও ভিটামিন ‘সি’র জোগান দিতে শীতের সময় বেশি করে টক জাতীয় ফল খাওয়া ভালো। তবে খাবার আগে অবশ্যই ফল ধুয়ে বা পরিষ্কার করে নিতে হবে।

* পানি ও তরল জাতীয় খাবার : শীতকালে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি, তরল জাতীয় খাবার, স্যুপ, গরম ডাল, মিক্সড ফলের জুস এ খাবারগুলো গ্রহণ করলে শরীরের ভেতরে আরাম অনুভূত হবে।

সূত্রঃ যুগান্তর

🫒আমলকির উপকার প্রচুর, কীভাবে খাবেন? জানালেন বিশেষজ্ঞ  ☘️আমলকি কেন এত উপকারী?এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল, ১০০ গ্রা...
29/10/2024

🫒আমলকির উপকার প্রচুর, কীভাবে খাবেন? জানালেন বিশেষজ্ঞ ☘️

আমলকি কেন এত উপকারী?

এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল, ১০০ গ্রাম আমলকিতে ভিটামিন ‘সি’-র পরিমাণ প্রায় ৬০০-৭০০ মিলিগ্রাম, যা পেয়ারা বা আভোগাডোর থেকে অনেকটাই বেশি। এছাড়াও প্রচুর আন্টি অক্সিড্যান্টের উপস্থিতি একে করেছে আরও মূল্যবান।

আমলকির পুষ্টিগুণ:

সর্দি-কাশির উপসর্গ থেকে মুক্তি দেয়: সিজন চেঞ্জের সময়ে আমলকির ব্যবহার আওনাকে সারা বছর সর্দি কাশি থেকে দূরে রাখতে পারে। ভিটামিন ‘সি’ ও অ‌্যান্টি অক্সিড্যান্টগুলি শ্বাসনালির স্বাস্থ্য বজায় রাখে।

কোলেস্টেরল কমাতে: শরীর থেকে ফ্রি রেডিক্যাল বার করতে সাহায্য করে বলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল LDL এর মাত্রা হ্রাস পায় এবং মেটাবলিজম বাড়ে, যা পরোক্ষভাবে ভালো কোলেস্টেরল HDL বাড়াতে সাহায্য করে।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: ভালো পরিমাণে ফাইবারের উপস্থিতি থাকে এবং উপস্থিত অ‌্যান্টি অক্সিড্যান্টগুলি শরীর থেকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল দূর করে বলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

গাট হেলথ: উপকারী অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ও সলিউবল ফাইবার থাকার জন্য গাট ভালো রাখারও প্রয়োজন আছে। নিজে অ্যাসিডিক হলেও স্টমাকের PH নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

ইমিউনিটি: এতে ভিটামিন ‘সি’-র পাশাপাশি ভিটামিন ‘এ’-ও থাকে (১০০ গ্রামে প্রায় ২৯০ আই ইউ) যা চোখ, ত্বক ও চুলের কোনওরকম ইনফেকশন থেকে রক্ষা করেl

চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য: আমলকিতে উপস্থিত ভিটামিন ‘সি’ ও ‘এ’, ত্বকের কোলাজেন তৈরির পদ্ধতিতে সাহায্য করে, ফলে নিয়মিত গ্রহণে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

ওরাল আলসার: যাঁদের মুখে বা জিভে বার বার আলসারের প্রবণতা দেখা যায় তাঁরা প্রত্যেক দিন যদি আমলকি চিবিয়ে খান তবে ভিটামিন ‘সি’ ও উপস্থিত ফ্লাভোনওয়েড আলসারের সম্ভাবনা কমায়।

বেশি খাওয়া ক্ষতিকর :ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় খুব বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে ডায়রিয়া হবার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া মুখের মধ্যে বা জিভে ও প্রদাহ হতে পারে।

কীভাবে খাবেন?তাজা আমলকি খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। সকালে খালিপেটে এক কুচি কাঁচা আমলকি গরম জলের সঙ্গে বা এক চা চামচ আমলকির জুস এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলের সঙ্গে – এভাবেই খেতে বলা হয়। শুকনো আমলকির ভিটামিন ‘সি’-র পরিমাণ অনেকটাই কমে যায় এবং এতে নুন যোগ করা হলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। যাদের হাই ব্লাড প্রেশারের সমস্যা আছে তারা এই নুন যুক্ত শুকনো আমলকি না খেয়ে ফ্রেশ আমলকিই ডায়েটে রাখবেন। যাঁদের কিডনির সমস্যা আছে তাঁরা আমলকি এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে পটাশিয়ামের পরিমাণ খুব বেশি থাকে।

সূত্রঃ সংবাদপ্রতিদিনডটইন

31/12/2023
টাইফয়েড জ্বরের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকারটাইফয়েড জ্বর স্যালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণে হয়ে থাকে। ...
11/07/2023

টাইফয়েড জ্বরের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার

টাইফয়েড জ্বর স্যালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণে হয়ে থাকে। দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে প্রধানত দেহে এই জীবাণু ছড়ায় এবং জ্বরসহ নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। চলুন জেনে নিই টাইফয়েড জ্বরের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে।

টাইফয়েড জ্বর বাংলাদেশে খুবই সচরাচর একটি রোগ। টাইফয়েড জ্বর স্যালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমণে হয়ে থাকে। দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে প্রধানত দেহে এই জীবাণু ছড়ায়। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার লোকজনের টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তস্রোতে ও অন্ত্রনালীতে এই ব্যাটটেরিয়া অবস্থান করে এবং দুষিত খাবার ও পানি গ্রহণের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিযা দেহে প্রবেশ করা জীবাণুগুলো গুণিতক আকারে বেড়ে গিয়ে রক্তস্রোতে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে জ্বরসহ নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। আজ আমরা জানব টাইফয়েড জ্বরের কারণ, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার সম্পর্কে।

টাইফয়েড জ্বরের কারণ ও ছড়ানোর মাধ্যম:

টাইফয়েড একটি পানিবাহিত মারাত্মক রোগ যা দুই ধরনের জীবাণুর সংক্রমণে এই রোগ হয়ে থাকে। (১)‘সালমোনেলা টাইফি’ এবং (২) ‘সালমোনেলা প্যারাটাইফি’। সালমোনেলা টাইফির সংক্রমণে যে জ্বর হয় তাকে টাইফয়েড জ্বর বা ‘এন্টারিক ফিভার’ বলে। আর যদি জ্বর সালমোনেলা প্যারাটাইফির নামক জীবাণুর কারণে হয় তখন তাকে প্যারা টাইফয়েড জ্বর বলে। প্রধানত দূষিত পানি ও খাবার গ্রহণের মাধ্যমেই এই জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার প্রতি উদাসীনতার কারণেও এটি শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এছাড়াও টাইফয়েড জ্বর হতে আরোগ্য লাভ করেছেন কিন্তু এই ব্যাকটেরিয়া বহন করছেন এমন কিছু সংখ্যক ব্যক্তিও এই রোগের বাহক হতে পারে। যেভাবেই এই জীবাণু শরীরে শরীরে প্রবেশ করুক না ঢুকার পর তা বৃহদান্ত্রকে আক্রমণ করে। এছাড়া এই ব্যাকটেরিয়া শরীরের পিত্তথলিতে জমা থাকে এবং উপযুক্ত পরিবেশ পেলেই কেবল আক্রমণ করে।

টাইফয়েডের ঝুঁকি কাদের বেশি?

যেকোন বয়সেই টাইফয়েড হতে পারে, তবে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শরীরে জীবাণু প্রবেশ করলেই টাইফয়েড হবে এমন কোন কথা নাই কারণ দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো থাকলে অনেক সময়ই জীবাণু দেহে সংক্রমণ করতে পারেনা। তবে কম রোগপ্রতিরোধক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি যেমন এইচআইভি পজিটিভ ও এইডস রোগীরা সহজেই টাইফয়েডে আক্রান্ত হতে পারে। যেসব এলাকায় এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি সেসব জায়গায় ভ্রমণ করলেও এ রোগের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণসমূহঃ

সাধারণত রোগ-জীবাণু শরীরে প্রবেশের ১০ থেকে ১৪ দিন পর রোগের লক্ষণ সমূহ প্রকাশ পেতে থাকে। জ্বর এ রোগের প্রধান লক্ষণ যা প্রথম চার-পাঁচ দিন জ্বর বৃদ্ধি পায় জ্বর কখনো বাড়ে, কখনো কমে; তবে কোনো সময় সম্পূর্ণ ছেড়ে যায় না। এর প্রধান প্রধান লক্ষণসমূহ নিম্নরুপঃ

১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত টানা জ্বর হওয়া।
জ্বরের সঙ্গে মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা ও শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিতে পারে।
ক্ষুধামন্দা হওয়া সহ কারো কারো কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
শিশুদের ক্ষেত্রে ডায়রিয়া ও বমি হতে পারে।
গা ম্যাজ ম্যাজ করা সহ রোগীর কফ বা কাশি হতে পারে ।
প্রচণ্ড পেটে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
দ্বিতীয় সপ্তাহে রোগীর পেটে ও পিঠে গোলাপি রঙের দানা দেখা দিতে পারে।
কারো কারো জ্বরের সঙ্গে কাশি হয়।
হার্ট রেট বা হৃদস্পন্দন কমে যেতে পারে।
ওষুধ চলা অবস্থায়ও সপ্তাহ খানেক জ্বর থাকতে পারে।
কিভাবে টাইফয়েড জ্বর সনাক্তকরণ করা হয়?

পরীক্ষা নিরীক্ষার পর কেবল চিকিৎসকগণ বলতে পারবেন যে কারও টাইফয়েড জ্বর হয়েছে কিনা। টাইফয়েড দ্রুত সনাক্ত করার জন্য ব্লাড কালচার নামক রক্ত পরীক্ষা করতে হয়। যদি নমুনায় স্যালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া যায় তাহলে প্রকার ভেদে টাইফয়েড ও প্যারা- টাইফয়েড পার্থক্য করা হয়। এছাড়া জ্বর হওয়ার ২য় সপ্তাহে “উইডাল টেস্ট” নামে এক ধরনের ননস্পেসিফিক ব্লাড টেস্ট করতে হয় যাতে টাইটার দেখে টাইফয়েড নির্ধারণ করা হয়।

টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা পদ্ধতিঃ

প্রধানত এন্টিবায়োটিকের মাধ্যমে ডাক্তারগণ টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসা করে থাকেন। নির্দিষ্ট এন্টিবায়োটিক শুরুর পরও জ্বর কমতে পাঁচদিনও লেগে যেতে পারে। টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরও দ্রুত চিকিৎসা না করলে জ্বর সপ্তাহ বা মাসব্যাপী থাকতে পারে। এছাড়া রোগী অন্যান্য জটিলতায় ভুগতে পারে। চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীকে অধিক পরিমাণে তরল খাবার দেওয়া দরকার কারণ দীর্ঘস্থায়ী জ্বর এবং ডায়রিয়ার কারণে তাঁর শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। তীব্র আকারে পানি শূন্যতা দেখা দিলে শিরাপথে ওষুধ প্রদানের মাধ্যমেও তরলজাতীয় খাবার প্রদান করা যেতে পারে। টাইফয়েডের রোগীকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। জ্বর বেশি থাকলে পুরো শরীর ভেজা গামছা বা তোয়ালে দিয়ে মুছে দিতে হবে। অসুস্থতাকালীন সময়ে হারানো পুষ্টি পুনরুদ্ধারে উচ্চ ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা উচিত। প্রতিবার বাথরুম ব্যবহারের পর হাত পানি ও সাবান দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ বিষয় হলো যতদিন পর্যন্ত চিকিৎসক এন্টিবায়োটিক গ্রহণের পরামর্শ দিবেন ততদিন পর্যন্ত তা গ্রহণ করতে হবে।

টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে করণীয়ঃ

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টাইফয়েড জ্বরের জন্য নির্ধারিত ভ্যাক্সিন (টিকা) গ্রহণ করা রোগটি থেকে বেঁচে থাকার একটি উপায়। ইনজেকশন এবং মুখে খাওয়ার উভয় ধরনের ভ্যাক্সিন বাজারে পাওয়া যায়। ভ্যাক্সিন গ্রহণ করার ব্যাপারে চিকিৎসককের পরামর্শ নেওয়া দরকার। সব সময় ভ্যাক্সিন ১০০% কার্যকর হয়না তাই ভ্যাক্সিনের পাশাপাশি নিম্নলিখিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা দরকার।

শাকসবজি, ফলমূল এবং রান্নার বাসনপত্র সবসময় পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
খাবার ভালভাবে রান্না বা সিদ্ধ করে তারপর খাওয়া উচিত।
খাবার গ্রহণ, প্রস্তত বা পরিবেশনের পূর্বে খুব ভালভাবে হাত ধৌত করতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ফুটানো পানি বা পরিশোধিত পানি সংরক্ষণ করতে হবে এবং পানি যাতে দূষিত হতে না পারে সে জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংরক্ষণকৃত সেই পানি পান করা উচিত।
বোতলজাত, পরিশোধিত বা ফুটানো পানি হতে বরফ তৈরি করা না হলে সেই বরফ মিশিয়ে পানি বা অন্য কোন পানীয় পান করা হতে বিরত থাকতে হবে।
রাস্তার পার্শ্বস্থ দোকানের খাবার গ্রহণ এবং পানি পান করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
টয়লেট সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
টয়লেট ব্যবহারের পর, শিশুকে পরিষ্কার করার পূর্বে, খাবার প্রস্তুত বা পরিবেশন করার পূর্বে, নিজে খাওয়ার পূর্বে বা শিশুকে খাওয়ানোর পূর্বে সাবান দিয়ে ভালভাবে হাত পরিষ্কার করতে হবে।


পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাই টাইফয়েড থেকে বাঁচার মূলমন্ত্র। যারা নিয়মিত ভ্রমণ করেন তাদের প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় খেতে হয়। এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানি পান এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সবসময় নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না ফলে টাইফয়েডে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই টাইফয়েড প্রবণ এলাকা পরিদর্শন করলে বাইরের খাবার খাওয়া এবং পানি পান করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
সূত্রঃ ডাক্তার বাড়ি

গলা ও বুক জ্বালা-পোড়ার বিভিন্ন কারণ ও করণীয়★★শারীরিক সমস্যার মধ্যে বুক ও গলা জ্বালাপোড়া একটি বড় সমস্যা। বর্তমানে এমন কোন...
11/07/2023

গলা ও বুক জ্বালা-পোড়ার বিভিন্ন কারণ ও করণীয়★★

শারীরিক সমস্যার মধ্যে বুক ও গলা জ্বালাপোড়া একটি বড় সমস্যা। বর্তমানে এমন কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে একবারের জন্যও বুক জ্বালাপোড়া সমস্যায় ভুগে নাই। এই বুক জ্বালাপোড়ার কারণ তাৎক্ষণিক কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে বিষয়ে আসুন বিস্তারিত জেনে নিই।

শারীরিক সমস্যার মধ্যে বুক ও গলা জ্বালাপোড়া একটি বড় সমস্যা। বর্তমানে এমন কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে একবারের জন্যও বুক জ্বালাপোড়া সমস্যায় ভুগে নাই। এই বুক জ্বালাপোড়ার কারণ তাৎক্ষণিক কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে বিষয়ে আসুন বিস্তারিত জেনে নিই।

গলা ও বুক জ্বালা-পোড়া কী?

বুক জ্বালা পোড়া হচ্ছে-বুকের ভিতরের মধ্যবর্তী স্থান থেকে শুরু করে গলা পর্যন্ত জ্বালাকর অনুভুতি। এই জ্বালা কখনও কখনও শুধু বুকে আবার কখনও কখনও শুধু গলায় বা উভয় স্থানে হতে পারে। মাঝে মাঝে জ্বালার সাথে ব্যাথ্যা থাকতে পরে। কিন্তু এই বুক জ্বালাপোড়া করলে তাৎক্ষণিক কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে বিষয়ে আমাদের অনেকেরই জানা নেই। যদি কারও বুক জ্বালা-পোড়া করে, গলায় জ্বলুনি হয়, কিংবা গলার ভেতরের দিকে ঝাল, টক বা লবণাক্ত কোনো তরলের অস্তিত্ব অনুভুত হয়, সেই সঙ্গে ঢেকুর উঠে তাহলে ধরে নিতে হবে এগুলো গ্যাসের সমস্যা থেকে তৈরি হয়েছে। আর যদি বুকের জ্বালা-পোড়া যদি খুব বেশি হয়, পাশাপাশি এ ধরনের অস্বস্তিসহ ব্যথা বুক থেকে বাহু ও কাঁধের দিকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, তাহলে হূদযন্ত্রের কোন সমস্যার কারণে হচ্ছে কিনা সেটি মাথায় রাখতে হবে এবং জরুরি ভিত্তিতে দ্রুত হূদেরাগ বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে। অনেকেই হঠাৎ বুক জ্বালা-পোড়া হওয়া মাত্রই অ্যান্টাসিড জাতীয় ঔষধ খেয়ে ফেলেন। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়মিত হূৎস্পন্দন, কিডনি রোগ, পায়ুনালির সমস্যা কিংবা অ্যাপেন্ডিসাইটিসের কোনো লক্ষণ আছে কি না, সে ব্যাপারে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ না করে অ্যান্টাসিড সেবন করা উচিত নয়। বুকের ব্যথ্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় ও বাম বাহুতে চলে আসে এবং ব্যায়াম করার সময় বৃদ্ধি পায়, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

গলা ও বুক জ্বালা-পোড়ার কারণসমূহ

এই রোগের প্রধান কারণ হিসেবে গ্যাস্ট্রো ইজোফ্যাকাল রিফ্লেক্স ডিজিজ (Gastroesophageal Reflux Disease) বা সংক্ষেপে গার্ড (GERD) কে দায়ী করা হয়। মাঝে মাঝে কিছু তরল পদার্থ পাকস্থলী থেকে গলনালী দিয়ে মুখ চলে আসে, অর্থাৎ উল্টা পথে ধাবিত হয়, একেই বলা হয় Gastro esophageal reflux. চিকিৎসা বিজ্ঞানের দীর্ঘদিনের গবেষণায় বুক জ্বালাপোড়ার বিভিন্ন কারণ খুঁজে পাওয়া গেছে। এগুলো হচ্ছে –

ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া।
বুক জ্বালাপোড়ার আরও একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে ধুমপান করা।
অ্যালকোহল সেবন বা মদ্য পান করা।
অতিরিক্ত মাত্রায় চা, কফি ইত্যাদি পান করা।
অতিরিক্ত মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকা অনেক সময় বুক জ্বালাপোড়ার জন্য দায়ী।
কালো গোল মরিচ, সিরকা যুক্ত খাবার বেশি খাওয়া।
আচার, টমেটোর সস, কমলার রস, পেয়াজ, পিপারমেন্ট ইত্যাদি খাবার অনেক সময় বুক জ্বালাপোড়ার জন্য দায়ী।
পিত্ত থলিতে পাথর থাকলেও বুক জ্বালাপোড়া হতে পারে।
এছাড়া পাকস্থলীর উপর চাপ পড়ে এমন কাজ যেমন এক সাথে বেশি পরিমাণ খাওয়া, স্থুলতা, গর্ভাবস্থা, শক্ত ও মোটা বেল্টের প্যান্ট পড়া ইত্যাদি কারণেও বুক জ্বালাপোড়া হতে পারে।
বুক ও গলা জ্বালাপোড়ার লক্ষণসমূহ:

অনেকেরই প্রায়ই বুকে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। তবে কিভাবে বুঝবেন আপনি বুক জ্বালাপোড়ায় ভুগছেন। নিম্নে বুক জ্বালাপোড়ার বিভিন্ন লক্ষণসমূহ আলোচনা করা হলো:

পেটের উপরের দিকে মৃদু ব্যথ্যা অনুভূত হওয়া।
বুকের ব্যথ্যার সাথে জ্বালা জ্বালা ভাব থাকা।
কারও কারও বুক জ্বালা খালি পেটে আবার কারও খাবার গ্রহণের পরে হয়।
বুক জ্বালা পোড়া হওয়ার মাঝে মাঝে ঢেকুর উঠতে পারে।
পাকস্থলীর এসিড সম্প্রসারিত হয়ে খাদ্যনালীর উপর পর্যন্ত চলে আসলে বুকে ব্যথ্যা ও জ্বালা হতে পারে। এই ব্যাথ্যা ও জ্বালা কখনও স্বল্পস্থায়ী আবার কখনও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
বিশ্রামের সময় বুক জ্বালাপোড়া ও ব্যাথ্যার বৃদ্ধি হয়। শুয়ে থাকা বা আধো শোয়া অবস্থায় এসিড খাদ্যনালী দিয়ে উপরে উঠে আসে। ফলে বুক জ্বালাপোড়া হয়। যখন সোজা হয়ে বসে থাকা হয় তখন মধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে খাদ্যবস্তুসমুহ পাকস্থলীতে থাকে, তাই বুক জ্বালাপোড়া কম হয়।
বুক জ্বালা পোড়ায় মুখে তিতা স্বাদ অনুভুত হতে পারে বিশেষ করে সকালের দিকে বেশি ঘটে থাকে।
স্বরভঙ্গ বুক জ্বালপোড়ার একটি অস্বাভাবিক লক্ষণ। অম্ল বা এসিড পাকস্থলি থেকে গলা পর্যন্ত উঠে আসলে এরকম হতে পারে। আর এই এসিড কন্ঠস্বরকে ভারি করে তোলে ও স্বরভঙ্গ হয়ে থাকে ।
বুক ও গলা জ্বালার সাথে গলায় ক্ষত হতে পারে, মনে হয় যেন গলা ছিলে গেছে। এসিডের কারণে এমনটি হয়। তাই খাবার গ্রহণের পরপর এ রকম হলে বুঝতে হবে এটা বুক জ্বালাপোড়ার সাথে সম্পৃক্ত।
বুক জ্বালা পোড়া হওয়ার সাথে বমিবমি ভাব ও বমি হতে পারে।
দীর্ঘ দিন যাবৎ বুক জ্বালাপোড়া চলতে থাকলে এসিডের কারণে খাদ্যনালী সংকুচিত হয়ে খাবার গিলতে কষ্ট হতে পারে।
বুক জ্বালাপোড়া প্রতিরোধের উপায়:

একটি কথা প্রচলিত আছে যে, Prevention is batter then cure অর্থাৎ রোগ হওয়ার আগেই সচেতন হওয়া ভাল। তবে অবস্থা খারাপ হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। ওষুধ ব্যতীত বুক জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের কিছু নিয়ম মেনে চলা দরকার। নিয়মগুলো হলো:

যেসব খাবার খেলে বা পানীয় পান করলে বুক জ্বলা-পোড়া করে, সেগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এসব খাবারের মধ্যে থাকতে পারে টমেটো, কমলালেবু, লেবু, রসুন, পেঁয়াজ, চকলেট, কফি, চা কিংবা কোমল পানীয়।
ভাজা মাংসের পরিবর্তে সেঁকা অথবা ঝলসানো মাংস খাওয়া, কম তেল-চর্বিযুক্ত ও মসলাযুক্ত খাদ্য গ্রহণে অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
একসাথে বেশি পরিমাণে না খেয়ে কিছুক্ষণ (২ ঘণ্টা) পরপর অল্প অল্প করে খেতে হবে। ফলে খাবার দ্রুত হজম হবে এবং পেটে অতিরিক্ত গ্যাস ও এসিড উৎপন্ন হবে না।
খাওয়ার পরপর শুয়ে পড়া যাবেনা। অন্তত ১ ঘন্টা অপেক্ষা করে তারপর ঘুমুতে যাওয়া উচিত।
ঘুমানোর সময় বিছানা থেকে মাথাকে ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি উচুতে রেখে শয়ন করতে হবে।
অবশ্যই ধুমপান বর্জন করতে হবে।
শরীরের বাড়তি ওজন থাকলে তা কমিয়ে ফেলতে হবে।
মোটা বেল্টের প্যান্ট না পরে ঢিলেঢালা পোশাক পরতে হবে।
অবশ্যই মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে চেষ্টা করতে হবে।


আমাদের এই যান্ত্রিক জীবনের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে ছোট বড় অনেক সমস্যা। তার মধ্যে একটি হলো বুক জ্বালাপোড়া বা Heart burn। অনেকের বুক জ্বালা-পোড়ার মতো সমস্যা হতে পারে কোনো রকম শারীরিক কারণ ছাড়াই। এ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে সবচেয়ে বড় চিকিৎসক হয়ে উঠতে হবে নিজেকেই।এজন্য নিজেকে দুশ্চিন্তা ও চাপমুক্ত থাকার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর নিয়্মাবলি মেনে জীবন যাপন করতে হবে।
সূত্রঃ ডাক্তার বাড়ি।

11/07/2023

মুখ ও জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়ার কারণ সমূহ, লক্ষণ ও প্রতিকার

মুখে পর্যাপ্ত লালা থাকলে তা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক নিয়ন্ত্রণ করে দেহে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণে বাধা দেয়। এছাড়া মুখে যথেষ্ট লালা না থাকলে শুষ্ক হয়ে মুখে অস্বস্তিকর অবস্থাও তৈরি হয়। নিম্নে মুখ ও জিহ্বার শুস্কতা দূর করার কিছু উপায় আলোচনা করা হলো।

আমাদের মুখ এবং জিহ্বা ভিজা রাখতে ও খাদ্য হজম করতে লালার প্রয়োজন। এই লালা মুখের ভিতর ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ হতে বাধা দেয়। যখন কেউ মুখে যথেষ্ট লালা তৈরি করতে পারেনা তখন তার মুখ শুষ্ক হয়ে অস্বস্তিকর অবস্থার সৃষ্টি করে। মুখ ও জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়া দূর করতে কিছু প্রতিকারমুলক কিছু ব্যবস্থাপনা নিম্নে আলোচনা করা হলো।

মুখ ও জিহ্বা শুকিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন কারণঃ

১। নির্দিষ্ট কিছু ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ বিভিন্ন অসুখের যেমন বিষণ্নতা, উদ্বেগ, ব্যথা, অ্যালার্জি, এবং ঠান্ডা (অ্যান্টিহিস্টামাইন), স্থূলতা, ব্রণ, মৃগী, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়রিয়া, মানসিক অসুখ, হাঁপানি এবং পারকিনসন্স রোগের সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে মুখ ও জিহ্বা শুকিয়ে যেতে পারে। এছাড়া মাংশপেশী শিথিলকারী ও ঘুমের ঔষধ বেশী খেলেও মুখও জিহ্বা শুকিয়ে যেতে পারে।

২। কোন কোন চিকিৎসার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ বিভিন্ন চিকিৎসার কারণে যেমন মাথা ও ঘাড়ে ব্যথার কারণে বিকিরণ রশ্মি প্রয়োগ কিংবা ক্যান্সারের কারণে কেমোথেরাপি চিকিৎসা দেওয়ার ফলে লালা গ্রন্থিগুলির ক্ষতি হলে মুখে লালার পরিমাণ কমে যেতে পারে। এছাড়া কোন শারিরীক সমস্যার কারণে লালা গ্রন্থির অপসারণ করলেও এই সমস্যা হতে পারে।

৩। নার্ভ বা স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হলেঃ আঘাত বা সার্জারি জনিত কারণে মাথা এবং ঘাড়ের নার্ভ ক্ষতিগ্রস্থ হলে মুখ ও জিহ্বা শুকিয়ে যেতে পারে।

৪। শরীরে মারাত্মক ডিহাইড্রেশনঃ বিভিন্ন অসুস্থতা যেমন জ্বর,অত্যধিক ঘাম, বমি, ডায়রিয়া,অতিরিক্ত রক্তপাত ইত্যাদি কারণে শরীরে ডিহাইড্রেশন বা পানিশুন্যতা দেখা দিতে পারে। ফলাফল হিসাবে মুখ ও জিহ্বা শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।

৫। অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের ফলাফলঃ অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন যেমন ধূমপান বা তামাক সেবন শরীরে লালা উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণ করে মুখের শুষ্কতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়া নাক না দিয়ে শ্বাস না নিয়ে মুখের মাধ্যমে নিলেও মুখের মধ্যে লালার পরিমান কমে যেতে পারে।

শুষ্ক মুখের লক্ষণগুলো কি কি?

নানা কারণে মুখে ও জিহবায় শুষ্কতা দেখা দিলে শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। এগুলো নিম্নরূপ:

মুখের মধ্যে আঠালো ও শুষ্ক অনুভূতি।
বারবার তৃষ্ণা পাওয়া।
মুখের মধ্যে ফুস্করি বা ঠোঁটে ফাটল দেখা দেওয়া।
গলাতে শুষ্ক অনুভূতি।
শুষ্ক, লাল, আঁচড় কাটা জিহ্বা।
কথা বলতে,খাবার চিবাতে ও গিলতে সমস্যা হওয়া।
নাকের ছিদ্রের ভিতরের অংশ শুকিয়ে অস্বস্তি দেখা দেওয়া।
নিঃশ্বাসে গন্ধ অনুভূত হওয়া।
শুষ্ক মুখের সমাধানের বিভিন্ন উপায়ঃ

আপনি যদি মনে করেন যে নির্দিষ্ট কিছু ওষুধের কারণে আপনার মুখে শুষ্কতার সৃষ্টি হয়েছে তাহলে দেরি না করে আপনার ডাক্তারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলুন। আপনার অসুখের অবস্থা দেখে তিনি যে ডোজটি গ্রহণ করছেন তার সমন্বয় সাধন করতে পারেন বা আপনাকে অন্য ঔষধ দিতে পারেন যাতে আপনার মুখে শুষ্কতার পরিমাণ কমে যায়। ডাক্তার আপনাকে কোন মাউথ ওয়াস দিতে পারেন যাতে আপনার মুখে পুনরায় আদ্রতা ফিরে আসে। এছাড়া তিনি আপনাকে লালাগ্রন্থির লালা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার উপদেশ দিতে পারেন। যেমন-

মুখ আর্দ্র রাখার জন্য প্রচুর পানি পান করা।
ফ্লোরাইডাইড সমৃদ্ধ টুথপেষ্ট দিয়ে সাথে ব্রাশ করার পাশাপাশি নিয়মিত দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া।
চিনি-মুক্ত লজেন্স, ক্যান্ডি বা চুইংগাম খাওয়া।
ফাস্ট ফুডজাতীয় খাবার কম খাওয়া।
যতটা সম্ভব মুখ দিয়ে শ্বাস না নিয়ে নাকের মাধ্যমে শ্বাস ফেলা।
লালার বিকল্প হিসাবে কৃত্রিম লালা অথবা মাউথ জেল ব্যবহার করা।
বেডরুমের বায়ুতে আর্দ্রতা বৃদ্ধির জন্য একটি রুম ভ্যাপারাইজার ব্যবহার করা ইত্যাদি।
মুখের অভ্যন্তরে যখন স্বাভাবিক আর্দ্রতা না থাকলে অত্যন্ত বিড়ম্বনাকর এক অনুভূতির সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন রোগের জন্য ব্যবহৃত ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার এই সমস্যা হতে পারে। সমস্যাটিকে কোনোভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ শুষ্ক মুখের কারণে মুখের অভ্যন্তরে নানাবিধ রোগ সৃষ্টি হতে পারে। তাই এ জাতীয় কোন সমস্যা হলেই আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
সূত্রঃ ডাক্তার বাড়ি।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Valo Thakun posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share