04/12/2024
বেশি না,শত বর্ষ আগের কথা!
আমার দাদী সকালে তিন সার চাউল বেটে চুই পিঠা বানিয়ে বাবার বাড়ি যেতো নারকেল আনতে। বলে রাখি, দাদীর বাবার বাড়ি খালের এপার আর ওপার শ্বশুর বাড়ি। নারকেল এনে ভেঙে পিঠা বানিয়ে, দুপুরের রান্না শেষ করে যখন দাদা যোহরের নামাজ পড়ে আসতো তখন দুপুরের ভাত দিয়ে পিঠা দিত সামনে।
তার পরবর্তী প্রজন্ম আমার মাও পিঠা বানাতো। দুই স্যার চাউল আগের দিন বেটে রাখতো। দুপুরের বানানো শুরু করতো রাতের খাবার শেষ করে পিঠা খেতাম। খেতে খেতে তখন দাদীর পিঠা বানানোর গল্প শুনতাম।
হাঃ এখন আমার বউও পিঠা বানায়!
এক কেজি চাল কোটানো হয়। সে এবং হেলপিং হ্যান্ড মিলে করতে করতে ক্লান্ত। তখন আমার মা গল্পঃ শুনায় কেমনে আগে চাউল বেটে এক হাতে পিঠা বানাতো!
কি বুঝলেন?
দোষ আমার বউয়ের না। দাদীর প্রজন্ম থেকে এখন পর্যন্ত একশত বিশ বছর কেটে গেছে। আগের মানুষের মতো এখন আমাদের তেমন শক্তি - সমর্থ নেই। এখনকার মানুষ কর্মঠ না। আমাদের বাবা দাদদের মতো আমরাও কি পরিশ্রমী আছি? নেই।
সময়ের বিবর্তনে ফরমালিন আর সার ঔষধের প্রভাবে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।
সব কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। তখনকার মানুষের পিলো দরকার হয়না, এখন বেশির ভাগ গর্ভবতী মায়েরা হাই রিস্কি প্রেগনেন্সি জার্নিতে থাকেন। আগের সময়কার প্রেগনেন্সি জার্নি এখনকার জার্নি সেম না।
আগে মা দাদীরা সব কাজ করত, কিছু অনুধাবন করতো না। আর এখন হাজারো সাবধানতার পরেও কত রকমের সমস্যা দেখা দেয় ব্যক্তিগত জীবনে সবাই অনুভব করেন।
যারা কমেন্ট করেন নানি দাদীদের সময়তো কিছু লাগতো না, এখন এতো কিছু লাগে কেনো, তাদের উদ্দেশ্যেই বলা।
আপনারা যারা বলেন তারা ব্যক্তিগত জীবনেও এতকিছু লাগার কারণ অনুভব করেন তবুও এরকম কমেন্ট করা নিতান্তই হাস্যকর বিষয় ছাড়া কিছুই নয়।
যাই হোক আমাদের প্রেগনেন্সি পিলোর এতো এতো রিভিউ দেখে আসলেই আমরা আবেগে আপ্লুত। প্রেগনেন্সি জার্নিতে মায়েদের যত্ন নিশ্চিত করতে পেরেছি বলে আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের কাস্টমারগণ আমাদের এক্সপেক্টেশনের বেশি সন্তুষ্ট সেইটা ভাবতেই ভালো লাগে।
যাই হোক যারা এখনো নেন নি তারা এখনি নিয়ে নেন। কারণ যতো দেরি করবেন ততই আফসোস করে বলবেন আগে কেনো নিলাম না।
দেরি না করে এখনি অর্ডার করুন আমাদের ওয়েবসাইটে বা নক দিন পেইজে।
💕প্রেগ্নেন্সি পিলো অর্ডার করতে ক্লিক করুন
https://momscarebd.com/products/pregnancy-support-pillow/
💕প্রয়োজনে কল করুন 01601-776273