Mushfique Imtiaz Chowdhury

Mushfique Imtiaz Chowdhury অফিশিয়াল পেইজ www.facebook.com/dr.michy
অফিশিয়াল আইডি www.facebook.com/mushfiqueimtiaz
বাকি সব ফেইক।

মুশফিক ইমতিয়াজ চৌধুরী রচিত প্রবন্ধের একমাত্র অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজ (dr.michy)। এই পেইজ ব্যতীত আমার আর কোনো পেইজ নেই। যারা তথ্য-উপাত্ত-যুক্তি-ব্যাখ্যা না দিয়েই শুধুমাত্র সত্য উন্মোচন করার কারণে সৃষ্ট গাত্রদাহ থেকে অযাচিতভাবে পোস্টে হাসির ইমোজি দেবেন, তারা আর পরের বার থেকে মন্তব্য করতে পারবেন না। তাদের তাৎক্ষণিকভাবে ব্যান করে দেওয়া হবে। বট আইডি দিয়ে অন্যায়ভাবে কিছু করার চেষ্টা করলে সেসব আইডিগুলোকেও তৎক্ষণাৎ ব্যান করে দেওয়া হবে। আলোচনার বিপরীতে সমালোচনা সঙ্গত, সেজন্য মন্তব্য করুন কিন্তু হাসির ইমোজি দিয়ে দিয়ে অন্যায় আক্রমণ করলে আপনার মন্তব্য করার সুযোগই বন্ধ হয়ে যাবে। অতএব, কেউই অনৈতিক পথ অনুসরণ করে সুবিধে করতে পারবেন না। মন্তব্য করার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভাষাগত শিষ্টতা বজায় রাখুন নতুবা এক্ষেত্রেও ব্যান করে দেওয়া হবে। ধন্যবাদ।

🚫 ☢ ইতিহাস সম্পর্কে সুষুপ্ত পাঠকের মহা অজ্ঞতা হাতেনাতে ধরা পড়লঃ মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে বাগদাদের খলিফা আসল কিভাবে? ...
03/11/2023

🚫 ☢ ইতিহাস সম্পর্কে সুষুপ্ত পাঠকের মহা অজ্ঞতা হাতেনাতে ধরা পড়লঃ মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে বাগদাদের খলিফা আসল কিভাবে? কেন ২১ জন মুঘল সম্রাটদের ১জনও হজ্ব পালন করতে পারেননি তথা করেননি? ☢ 🚫

❎ ইতিহাস সম্পর্কে সুষুপ্ত পাঠকের মহা অজ্ঞতাঃ মুঘল সম্রাটরা বাগদাদের খলিফাকে উপঢৌকন পাঠাতেন। ঔরাঙ্গজেব তার পিতা সম্রাট শাহজাহানকে বন্দী করে রেখেছিলেন বলে বাগদাদের খলিফা ঔরাঙ্গজেবের পাঠানো বিপুল পরিমাণ উপঢৌকন ফিরিয়ে দেন।

🎇 প্রকৃত সত্যঃ মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে বাগদাদের কোনো খলিফা ছিল না, খলিফা ছিল তুরস্কের কনস্টান্টিনোপলের যা বর্তমানে ইস্তানবুল বলে সুপরিচিত। প্রমাণ দেখে নিনঃ

✅ ০১) মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনকাল ১৬৫৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৭০৭ খ্রিষ্টাব্দ।

সূত্রঃ www.britannica.com/biography/Aurangzeb

✅ ০২) তুর্কি অটোমানদের শাসনকাল ১৩০০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দ।

সূত্রঃ www.britannica.com/place/Ottoman-Empire

✅ ০৩) বাগদাদের শেষ খলিফা ছিলেন আল মুস্তাসিম যিনি হালাকু খানের হাতে ১২৫৮ সালে পরাজিত হন। সম্রাট আওরঙ্গজেব এর আবির্ভাব এর ঠিক ৪০০ বছর পরে যখন বাগদাদের কোনো খলিফা ছিলই না।

al-Mustaʿṣim, (born 1212—died 1258), the last ʿAbbāsid caliph in Baghdad (reigned 1242–58).

The caliph and 300 officials hurried to present their surrender and, 10 days later, were all put to death. This left Islām without a caliph for the first time in its history.

সূত্রঃ www.britannica.com/biography/al-Mustasim

Abbāsid authority was partially restored in the 12th century, but the caliphate ceased with the Mongol destruction of Baghdad in 1258.

সূত্রঃ www.britannica.com/topic/caliph

✅ ০৪) ১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দের পর ১৫১৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত নামমাত্র খলিফ (Puppet caliph) ছিলেন যারা, তারা বাগদাদে নয় বরং মিশরের কায়রোতে ছিলেন। দেখুনঃ

A scion of the family was invited a few years later to establish a puppet caliphate in Cairo that lasted until 1517, but it exercised no power whatsoever. From the 13th century onward a variety of rulers outside Cairo also included caliph among their titles, although their claims to universal leadership of the Muslim community seem to have been more notional than real.

সূত্রঃ www.britannica.com/place/Caliphate/The-Abbasid-caliphate

✅ ০৫) ১৫৩৪ খ্রিষ্টাব্দে সঙ্ঘটি বাগদাদের যুদ্ধে তুর্কি অটোমানদের সাথে পার্সিয়ান সাফাভিদদের যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে অটোমানেরা জয়যুক্ত হয় এবং ১৯১৭ সালে ব্রিটিশদের কাছে পরাজয়ের আগ পর্যন্ত বাগদাদ অটোমানদের দখলে থাকে।

Battle of Baghdad, (1534). The Ottoman capture of Baghdad occurred during the first campaign of a twenty-year war between the Ottoman (Turkish) Empire and the Persian (Iranian) Safavid Empire of Shah Ṭahmāsp I. The famous city was to remain in Ottoman hands almost continuously until it was captured by the British in 1917.

সূত্রঃ www.britannica.com/event/Battle-of-Baghdad-1534

অটোমানদের রাজধানী ছিল তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল এলাকায় যা বর্তমানে ইস্তানবুল নামে সুপরিচিত।

Constantinople (now Istanbul), which henceforth served as the Ottoman capital.

সূত্রঃ www.britannica.com/summary/Ottoman-Empire

সুতরাং, ‘বাগদাদের খলিফা’ ও তথাকথিত ‘বাগদাদের খলিফার কাছে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের উপঢৌকন পাঠানো’ – দুটোই সুষুপ্ত পাঠকের মনগড়া আবিষ্কার তথা গাঁজাখুরি গল্প। ইতিহাসে একদমই অজ্ঞ, অনভিজ্ঞ বা কাঁচা না হলে তথা গুগল-জ্ঞানী না হলে কেউ এসব আবোল তাবোল ভক্কর চক্কর লিখতে পারে?

🎲 সিদ্ধান্তঃ ১৫৩৪ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত খলিফা ছিলেন তুরস্কের কনস্টান্টিনোপলের বা ইস্তানবুলের অটোমান শাসকেরা, বাগদাদের কেউ নন। তাহলে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব বাগদাদের কারো কাছে উপঢৌকন পাঠাবেন কোন যুক্তিতে? প্রশ্নই ওঠে না।

এবার আসা যাক ২য় ইস্যুতে। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ১৯ জন মুঘল সম্রাটদের কেউই হজ্ব পালন করতে পারেননি তথা করেননি। এর কারণঃ

✅ ০১) মুঘল-অটোমান আমলে গাড়ি কিংবা বিমান ছিল না অর্থাৎ যাতায়াত ব্যবস্থা ছিল চরম খারাপ। সমুদ্রপথ কিংবা স্থল পথ ধরে মক্কায় যেতে ১ বছর (ভারতবর্ষ থেকে মক্কা) কিংবা কয়েক মাস (তুরস্ক থেকে মক্কা) পর্যন্ত লেগে যেত। অর্থাৎ ফিরে আসতেও আরো ১ বছর বা কয়েক মাস লেগে যেত। অর্থাৎ মক্কায় গমন ও মক্কা থেকে ফিরে আসা মিলিয়ে ১ থেকে ২ বছর লেগে যেত। এই দীর্ঘ সময় একজন সম্রাট বা খলিফার পক্ষে তার সামাজ্য ও রাজকার্য ছেড়ে মক্কায় অবস্থান করা একদমই অসম্ভব বা বাস্তবতাবিবর্জিত। কেননা এই সুযোগে প্রতিপক্ষ সাম্রাজ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে পারত এবং যখন সম্রাট ফিরে আসতেন, তখন তিনি দেখতে পেতেন যে তার স্থলে অন্য কেউ সেই এলাকা শাসন করছে।

✅ ০২) যদি সম্রাটের উজির, সেনাপতি ও উচ্চপদস্থরা বিদ্রোহ দমনও করতেন, তারপর রাজকার্য পরিচালনা বা তা স্থিতিশীল অবস্থায় রাখা দুরূহ হয়ে পড়ত। কারণ দক্ষ প্রশাসক ছাড়া একটি সাম্রাজ্য সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে না।

✅ ০৩) অনেক সময় সম্রাটের পুত্র কিংবা নিকট আত্মীয়দের মধ্যেও ক্ষমতার দ্বন্দ্ব বা লড়াই থাকে। ফলে সিংহাসন ফেলে সম্রাটদের জন্য মক্কায় হজ্ব করা মোটেই বিচক্ষণতার কাজ ছিল না।

✅ ০৪) সম্রাটের অনুপস্থিতির সুযোগে অন্য সাম্রাজ্য দ্বারা আক্রমণের শিকার হওয়ার সম্ভাব্যতা ছিল।

✅ ০৫) হজ্ব গমনের দীর্ঘযাত্রা থেকে রোগাক্রান্ত বা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি ছিল।

✅ ০৬) সমুদ্রপথে জাহাজডুবি হওয়া তথা মৃত্যুর ভয় ছিল।

✅ ০৭) উষর মরুভূমিতে বাঁচার প্রয়োজনে লুটপাট করতে বাধ্য হওয়া বেদুঈনদের দ্বারা অপহরণ ও লুটতরাজের শিকার হওয়ার আশংকা ছিল।

✅ ০৮) সভাসদ ও সেনাদের নিয়ে হজ্বে গেলে অপহরণ ও লুটতরাজের শিকার না হলেও তাতে বিপুল পরিমাণের খাদ্য, পোষাক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বস্তু বহন করা লাগত তথা বিপুল অংকের অর্থ খরচ করা লাগত।

🎲 সিদ্ধান্তঃ উপরিউক্ত কারণে সম্রাটদের ক্ষেত্রে হজ্ব করার অনুকূলে ন্যূনতম বাস্তবিকতা ছিল না। তাই সম্রাটগণ তাদের সাম্রাজ্যেই অবস্থান করতেন। তবে সম্রাটগণ তার পরিবারের সদস্য ও তার প্রতিনিধিত্বকারী দূতকে পাঠিয়ে বিপুল ও মূল্যবান উপঢৌকন সহকারে মক্কায় হজ্ব করতে পাঠিয়ে দিতেন। অথচ সুষুপ্ত পাঠকের উদ্দেশ্য ছিল কিভাবে মুঘল শাসকদের ভীরু, ভীতু, কাপুরুষ, অধার্মিক, ধর্মান্ধ ইত্যাদি প্রতিপন্ন করবে, সেটি!

👉 এই বিষয়ে কেউ বিস্তারিত জানতে চাইলে Michael Naylor Pearson রচিত Pilgrimage to Mecca: The Indian Experience, 1500-1800 পড়ে দেখতে পারেন।

সূত্রঃ https://archive.org/details/pilgrimage-to-mecca-the-indian-experience-1500-1800

আশা করি সুস্পষ্ট হয়েছে সুষুপ্ত পাঠক ও আমার লেখার পার্থক্য কতটুকু। সুষুপ্ত পাঠকের লেখা লাইক, শেয়ার করা লোকজন চরম অজ্ঞ, অনভিজ্ঞ, অসৎ, অনৈতিক, অবুঝ ও অন্ধ প্রকৃতির। এদের কাছে বারবার সঠিক তথ্য, সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হলেও এরা এদের মজ্জাগত স্বভাব থেকে অপব্যাখ্যা, অতিরঞ্জন ও মিথ্যাচার পরিপূর্ণ প্রোপ্যাগান্ডামূলক পোস্টগুলো লাইক শেয়ার করেই যাবে। এরা কী মানুষের বাচ্চা নাকি অন্যকিছু – সচেতন মানসের কাছে এটাই আমার একমাত্র প্রশ্ন! প্রাণ থাকলেই প্রাণী হয় কিন্তু মেধা ও মননশীলতা না থাকলে মানুষ হয় না।

02/11/2023

সুষুপ্ত পাঠকের ডাহা মিথ্যাচার: ইসরায়েল রিফিউজিদের কলেরা টিকা দিয়েছিল! প্রকৃত সত্য: মেডিকেল ও রিলিফ সাপ্লাই দিয়েছিল OXFAM, REDCROSS ও UNHCR। পদে পদে অপব্যাখ্যা, অতিরঞ্জন ও মিথ্যাচার করে বলেই সুষুপ্ত রেফারেন্স দেয় না।

01/11/2023

ইহুদীরা আমাদের সঙ্গে মেশেনি বলে এই জাতির প্রতি কোনো আবেগ ছিল না। পাকিস্তান ভেঙে সর্ববৃহৎ মুসলিম শক্তিকে দুর্বল করে দিতে, পাকিস্তান দ্বারা ১০ বিমান ধ্বংসের জ্বালা মেটাতে ও ভারতের সাথে সুসম্পর্ক করতে আমাদের তারা স্বীকৃতি দেয়।

🇧🇩🇵🇸🇵🇰🇮🇳🇮🇱 Super Exclusive ISRAEL-PALESTINE Series এর ১ম পর্বঃ বাংলাদেশ-ইসরায়েল নিয়ে উগ্র ইসলাম, মুসলিম ও বাংলাদেশ বিদ্ব...
01/11/2023

🇧🇩🇵🇸🇵🇰🇮🇳🇮🇱 Super Exclusive ISRAEL-PALESTINE Series এর ১ম পর্বঃ বাংলাদেশ-ইসরায়েল নিয়ে উগ্র ইসলাম, মুসলিম ও বাংলাদেশ বিদ্বেষী সুষুপ্ত পাঠকের মিথ্যাচার, অপব্যাখ্যা ও অতিরঞ্জনমূলক প্রোপ্যাগান্ডার তথ্য, উপাত্ত, যুক্তি ও ব্যাখ্যা নির্ভর জবাব 🇮🇱🇮🇳🇵🇰🇵🇸🇧🇩

🚫 সুষুপ্ত পাঠকের উদ্ভট প্রশ্ন ও মিথ্যে দাবিঃ

❎সুষুপ্ত পাঠকের উদ্ভট প্রশ্নঃ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা, ধর্ষণ ও এক কোটি মানুষের শরণার্থী হওয়ার ঘটনায় ফিলিস্তিনি জনগণ কি বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলো? ‘স্টপ জেনোসাইড’ লিখে কোন ফিলিস্তিনি কি প্রতিবাদ করেছিলো পাকিস্তানের গণহত্যাকে?

✅ যৌক্তিক ব্যাখ্যাঃ ১৯৭১ সাল নিয়ে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সাধারণ জনগণের কেউই পাশে দাঁড়ায়নি কিংবা ‘স্টপ জেনোসাইড’ লিখে প্রতিবাদ করেনি।

আচ্ছা, সুষুপ্ত পাঠকের প্রশ্নগুলোর বিপরীতে যদি পাল্টা প্রশ্ন করা হয় যে –

📛 প্রশ্নঃ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা, ধর্ষণ ও এক কোটি মানুষের শরণার্থী হওয়ার ঘটনায় কী ইসরায়েলি জনগণ বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল?

🧿 উত্তরঃ নাহ, মোটেও দাঁড়ায়নি।

📛 প্রশ্নঃ ‘স্টপ জেনোসাইড’ লিখে কী ইসরায়েলি জনগণ প্রতিবাদ করেছিল?

🧿 উত্তরঃ নাহ, মোটেও করেনি।

যদি ইসরায়েলি সাধারণ জনগণ বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়াত বা স্টপ জেনোসাইড লিখে প্রতিবাদ করত তবে তার ছবি ও প্রতিবেদন নামকরা সংবাদমাধ্যম বা পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত হত। যেমনঃ

👉 ০১) বিখ্যাত ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমঃ BBC, Reuters
👉 ০২) বিখ্যাত ব্রিটিশ দৈনিকঃ The Guardian, The Daily Telegraph, Daily Mail
👉 ০৩) বিখ্যাত আমেরিকান সংবাদ মাধ্যমঃ Associated press (AP)
👉 ০৪) বিখ্যাত আমেরিকান দৈনিকঃ The New York Times, The Wall Street Journal
👉 ০৫) বিখ্যাত ফ্রেঞ্চ সংবাদ মাধ্যমঃ Agence France-Presse (AFP)
👉 ০৬) বিখ্যাত ফ্রেঞ্চ দৈনিকঃ Le Figaro, Le Monde

অথচ এতোগুলো বিখ্যাত সংবাদ মাধ্যম ও দৈনিক পত্রিকার কোথাও বাংলাদেশের পক্ষে ইসরায়েলি জনগণের ‘স্টপ জেনোসাইড’ লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়ানোর প্রমাণস্বরূপ কোনো ছবি, প্রতিবেদন ও ডকুমেন্টারি পাওয়া যায় না।

প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয় রাষ্ট্রের সাধারণ জনগণ তাদের নিজেদের মধ্যেকার বিরাজমান গুরুতর সমস্যা নিয়েই ব্যতিব্যস্ত ও জর্জরিত ছিল। বাংলাদেশ বা পাকিস্তান এর কী হল, তা নিয়ে তাদের ভাবার সময় বা অবকাশ ছিল না। ফিলিস্তিনিদের ক্ষেত্রে এটি বেশি সত্য কেননা ১৯৪৮ সাল থেকে ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধের পাশাপাশি ১৯৭০-১৯৭১ সালে তাদের জর্ডানের সাথেও যুদ্ধ করতে হয়েছিল।

❎ সুষুপ্ত পাঠকের মিথ্যা দাবিঃ উত্তর হচ্ছে, ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাত ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে। ফিলিস্তিনের আরব জাতীয়তাবাদ ও ম্যান্ডেটরি প্যালেস্টাইন গ্রুপের নেতা মোহাম্মদ আমিন আল হুসাইনি বিবৃতি দেন, ফিলিস্তিনির মুক্তির জন্য মুসলিম দেশগুলির ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরী আর তার জন্য পাকিস্তানের অখন্ডতা কাম্য।

খুবই স্বাভাবিক যে মুসলমানদের মধ্যে চিরকাল ‘মুসলিম ভ্রাতৃত্ব’ রাজনীতিতে এসেছে, আসবে। ফলে ফিলিস্তিনিরা পাকিস্তানের সমর্থন করেছিলো। কিন্তু সেই একাত্তর সালে ইজরায়েলের সাধারণ জনগণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের গণহত্যার সমালোচনা করেছে।

✅ প্রকৃত সত্যঃ আসুন ধাপে ধাপে দেখে নেই প্রকৃত সত্যগুলো।

🎇 ০১) ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা প্রাক্তন পিএলও প্রধান ইয়াসির আরাফাত বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের কখনই ‘Terrorist’ বলে আখ্যায়িত করেননি। একইভাবে, ফিলিস্তিনের আরব জাতীয়তাবাদ ও ম্যান্ডেটরি প্যালেস্টাইন গ্রুপের নেতা মোহাম্মদ আমিন আল হুসাইনি কখনই বাংলাদেশের বিপক্ষে বিবৃতি দেননি।

ক) ইয়াসির আরাফাত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিলে বা মোহাম্মদ আমিন আল হুসাইনি বাংলাদেশের বিপক্ষে বিবৃতি দিলে পৃথিবীর নামকরা সংবাদমাধ্যমগুলোর কোথাও না কোথাও তা প্রকাশিত হত এবং এমন হলে বাংলাদেশ সরকার মোটেও ১৯৭৩ সালে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আন্তরিক সুসম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতো না। একইভাবে, শেখ মুজিবুর রহমানকেও ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানে যেয়ে ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাতের সাথে এক মঞ্চে হাস্যোজ্জ্বল মুখে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখা যেত না। আসুন মুয়াম্মার গাদ্দাফি ও জুলফিকার আলী ভুট্টোর সঙ্গে ইয়াসির আরাফাত ও শেখ মুজিবুর রহমানের এই ঐতিহাসিক দুর্লভ চিত্রটি দেখে নেই।

সূত্রঃ www.researchgate.net/publication/332606967_Bangabandhu_and_International_Relations

খ) ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক তথা কিছুটা বামপন্থী নেতা। এদিকে পূর্ব পাকিস্তানের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক উভয় আদর্শে বিশ্বাসী। অনেকটাই কাছাকাছি রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পূর্ব পাকিস্তানের একটি সমাজতান্ত্রিক দলের বিপক্ষে কোনো অবস্থান নেবে – এমনটি যৌক্তিকভাবেই সম্ভব নয়।

🎇 ০২) যৌক্তিকতার প্রেক্ষাপট থেকে সচেতন যে কোনো ব্যক্তি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যেকার আভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো সম্পর্কে অন্যান্য ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর সাধারণ জনগণ বা সরকার – কারোরই বিশদ জানার কথা নয়। পরের দেশ নিয়ে কেউ খুব বেশি মাথা ঘামায় না। সেই আমলে সংবাদ ও যোগাযোগ ব্যবস্থাও খুব একটা ভালো ছিল না। ফলে অন্য দেশ বা জাতি সম্পর্কে বিশদ খবর নেওয়া এত সহজসাধ্য ছিল না। সারা পৃথিবীর মুসলিমেরা সাধারণভাবে সব সময় এটাই চেয়ে এসেছেন যে – মুসলিম উম্মাহর মধ্যে শান্তি ও ঐক্য বজায় থাকুক। তারা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে দুই ভাগে বিভক্ত তথা খণ্ডবিখণ্ড না হোক। পাকিস্তান সহ প্রত্যেকটি মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্রের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব বজায় থাকুক। এই প্রত্যাশা মোটেও দোষের কিছু নয় বরং সাধারণ দৃষ্টিতে বিভক্তি নয় বরং ঐক্যই ইতিবাচকতা তথা ন্যায্যতা। পৃথিবীর সকল জাতি, ধর্ম ও বর্ণের মানুষই প্রথম পছন্দ হিশেবে বিভক্তির বদলে মিলেমিশে থাকাকে প্রাধান্য দেয়। তাই, মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে একতাবদ্ধতা বা ঐক্য কামনা করা মানে বাংলাদেশের বিরোধিতা করা – এমন দাবি তিলকে তাল করা অপব্যাখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়।

🎇 ০৩) ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের অবিসংবাদিত নেতা পিএলও প্রধান ইয়াসির আরাফাত মোটেও বাংলাদেশের বিপক্ষে ছিলেন না বরং ভেতরে ভেতরে তিনি বাংলাদেশের পক্ষে ও তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের বিপক্ষেই ছিলেন। এর পেছনে যুক্তিগুলো হলঃ

🇵🇸 ক) ১৯৭০ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর থেকে সামগ্রিকভাবে ১৯৭১ সালের ১৭ই জুলাই পর্যন্ত সঙ্ঘটিত Black September (Arabic: أيلول الأسود Aylūl al-ʾAswad) তথা জর্ডান-ফিলিস্তিন যুদ্ধে পাকিস্তান সরকার ফিলিস্তিনের বিপক্ষে ও জর্ডানের পক্ষে অংশগ্রহণ করে। জর্ডানের পক্ষে পাকিস্তান সরকারের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত যোগদান ফিলিস্তিনিদের রাগান্বিত ও ক্রুদ্ধ করে তোলে।

এই বিষয়ে আসুন দেখে নেই বিখ্যাত আমেরিকান দৈনিক পত্রিকা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনঃ

PAKISTANI TROOPS REPORTED SERVING WITH JORDANIANS

BEIRUT, Lebanon, Feb. 10— Pakistan has quietly moved an infantry regiment into Jordan, high officials close to King Hus sein's palace in Amman said today.

The sources said that the troops were in addition to two Pakistani military‐training mis sions—one for the Jordanian Air Force and one for armored units—that have been in Jordan for three or four months. The regiment was said to number 2,000 to 3,000 men, while the training missions were said to total 200 to 300 men.

In another development in Amman, the Government issued an order reasserting earlier measures for controlling Pales tinian guerrillas, particularly the prohibition against carrying arms in towns. The new order requires the guerrillas to turn in their arms and ammunitions to the authorities.

Palestinians Angered

A committee representing the Palestinian groups answered angrily that the measures “were meant to push the countries to the verge of civil war” and that the Jordanian authorities alone would be responsible for “any bloodshed that may en sue.”

সূত্রঃ www.nytimes.com/1970/02/11/archives/pakistani-troops-reported-serving-with-jordanians-infantry-regiment.html

🇵🇰 খ) ইসলামকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রধর্ম হিশেবে প্রতিষ্ঠিত করার মূল নায়ক তখনকার ব্রিগেডিয়ার ও পরবর্তীতে চিফ অফ স্টাফ আর্মি জেনারেল মুহাম্মদ জিয়াউল হক জর্ডানের সেনাদের সরাসরি পরিচালিত করে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

আসুন আমেরিকান সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এর প্রাক্তন বিশ্লেষক ও কাউন্টার-টেররিজম বিশেষজ্ঞ Bruce O. Riedel রচিত What We Won: America's Secret War in Afghanistan, 1979-89 এবং India Today নামক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম থেকে ঘটনার সত্যতা জেনে নেই।

সূত্রঃ

ক) www.cia.gov/static/Black-September-Jordan.pdf

খ) https://archive.org/details/whatwewonamerica0000ried

গ) www.indiatoday.in/history-of-it/story/israel-hamas-gaza-war-how-pakistan-army-zia-ul-haq-jordan-helped-king-hussein-massacre-thousands-of-palestinians-2451241-2023-10-20

অর্থাৎ, জর্ডান-ফিলিস্তিন যুদ্ধে অবৈধভাবে জর্ডানের পক্ষ নেওয়ার কারণে মনে মনে ফিলিস্তিনিরা পাকিস্তান সরকারের প্রতি অসন্তুষ্ট ও রাগান্বিত ছিল। ফলে, ১৯৭১ সালে ফিলিস্তিনিদের পাকিস্তান সরকারের পক্ষে থাকা বা পাকিস্তানকে সমর্থন দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।

🇧🇩 গ) তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা অধুনা বাংলাদেশের পাবনায় জন্মগ্রহণ করা ‘লিভিং ঈগল’ উপাধিপ্রাপ্ত খ্যাতনামা বৈমানিক সাইফুল আজম ১৯৬৭ সালে সঙ্ঘটিত ৬ দিনের যুদ্ধে ফিলিস্তিনের পক্ষে যুদ্ধে অংশ নিয়ে ইসরায়েলের ৪টি শক্তিশালী যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে দেন। এই ঘটনা ফিলিস্তিনি সরকার ও জনগণের অনেকেই জানত কেননা ইসরায়েলের এতোগুলো শক্তিশালী যুদ্ধবিমান ধ্বংস করার অনন্য রেকর্ড আর ২য় কোনো বৈমানিকের নেই। ফলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পূর্ব পাকিস্তানীদের নেতিবাচক চোখে দেখার কোনো কারণই নেই। কিংবদন্তী বৈমানিক সাইফুল আজমের কাহিনী ২য় পর্বে বিশদভাবে উল্লেখ করা হবে।

📛 প্রশ্নঃ ১৯৭১ সালে ইয়াসির আরাফাত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ত্রাসী বলেছেন বা মোহাম্মদ আমিন আল হুসাইনি মুক্তিযোদ্ধাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন – এমন মিথ্যাচার ও অপব্যাখ্যামূলক দাবিটি কাদের উত্থাপিত?

🧿 উত্তরঃ এমন মিথ্যাচার ও অপব্যাখ্যামূলক দাবি এক সময়ে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় কর্মরত ও পরবর্তীতে বহিষ্কৃত সাংবাদিক সালাহউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী ও সোহেল চৌধুরীর। ২টি ভিন্ন মামলায় যথাক্রমে ৭ বছর ও ৪ বছর ৩ মাস সাজাপ্রাপ্ত এই ইসরায়েলপন্থী হলুদ সাংবাদিক নিজে ও পুত্র-কন্যাদের দিয়ে তার প্রতিষ্ঠিত উইকলি ব্লিটজ নামক অজানা, অচেনা ও অখ্যাত একটি নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে মিথ্যাচার, অপব্যাখ্যা ও অতিরঞ্জিন ছড়িয়েই যাচ্ছেন।

সূত্রঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Salah_Choudhury

অবৈধভাবে ইসরায়েল গমন করার দায়ে সালাহউদ্দীন শোয়েব চৌধুরীর ৭ বছর, ৩ মাস ও ৪ বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় মনের ভেতরে পুঞ্জীভূত রাগ, ক্ষোভ ও ক্রোধ থেকে তিনি এমন দাবি করেছেন যার বিপরীতে কোনো অডিও-ভিডিও বা ডকুমেন্টেড তথ্যপ্রমাণ তিনি দিতে পারেননি অথচ তা না দিয়েই লিখেছেন - According to documented facts!

❎ ০১) আসুন দেখে নেই সালাহউদ্দীন শোয়েব চৌধুরীর তথ্যপ্রমাণ বিহীন উদ্ভট ও হাস্যকর দাবিটিঃ

While Bangladeshi government had been extremely biased towards the Palestinians, it might have forgotten, Palestine and its leaders including Yaseer Arafat had been violently and openly opposed to the war of independence of Bangladesh in 1971. According to documented facts, during the war of independence of Bangladesh, Mohammed Amin al-Husseini, a Palestinian Arab nationalist and Muslim leader in “Mandatory Palestine” had openly called upon the Muslim nations to extend support towards Pakistan.

Yaseer Arafat, at the request of Pakistan had travelled to a number of countries with the agenda of getting support towards Pakistani occupation forces. In Arafat’s eyes, Bengali freedom fighters were seen as “terrorists”.

সূত্রঃ www.weeklyblitz.net/news/palestine-opposed-to-bangladeshs-war-of-independence-termed-bengali-freedom-fighters-as-terrorists

এই প্রতিবেদনটি হুবুহু নকল করে তাতে নিজের মনগড়া কিছু তথ্য সংযুক্ত করে সুষুপ্ত পাঠক তার মিথ্যাচার, অপব্যাখ্যা ও অতিরঞ্জনমূলক ফেসবুক পোস্টটি করেছে। যখন সুষুপ্ত পাঠককে এই বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ দিতে বলা হয়েছে তখন এই বাংলাদেশ বিদ্বেষী উগ্রবাদীটি উপরিউক্ত মিথ্যাচারমূলক প্রতিবেদনটির লিংক দিয়েছে।

❎ ০২) এছাড়াও সুষুপ্ত পাঠক একটি ভারতীয় সংবাদপত্রের লিংক দিয়েছে। ভারতীয় পত্রিকায় অবশ্য বাংলাদেশী নিউজ পোর্টালটির মতো এরকম নির্লজ্জ মিথ্যাচার নেই। তারা শুধু দাবি করেছে যে ইসরায়েল বাংলাদেশকে ১ম স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু তারা এটা দাবি করেনি যে ফিলিস্তিনি ইয়াসির আরাফাত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ত্রাসী বলেছিলেন কিংবা মুহাম্মদ আমিন আল হুসাইনি বাংলাদেশের বিপক্ষে গিয়েছিলেন। আসুন এর সত্যতা যাচাই করে নেই ভারতীয় পত্রিকার প্রতিবেদনটি থেকে।

সূত্রঃ https://timesofindia.indiatimes.com/india/israel-secretly-provided-arms-to-india-in-1971-book/articleshow/25068719.cms

👉 আগামী পর্বের চমকঃ

🎲 ১ম ইস্যুঃ ইসরায়েল বাংলাদেশী শরণার্থীদের কলেরা টিকা দেয় – এর কোনো গ্রন্থগত বা দলিলগত প্রমাণ আছে কী? অতীতের ইঞ্জেকশন রূপে লভ্য টিকা কতটুকু উপকারী ও কতটুকু ক্ষতিকর?

🎲 ২য় ইস্যুঃ ইসরায়েলের ভারতের কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বিক্রয়ের কারণ কী বাংলাদেশকে সাহায্য করা নাকি ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও জনসংখ্যার বিচার বৃহত্তম মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র পাকিস্তানকে ভেঙে ২ টুকরো করার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর শক্তি কমিয়ে দেওয়া?

31/10/2023

BD-ISRAEL-PALESTINE ইস্যুর ১ম পর্ব আগামীকাল সকাল ১০টায়: ১৯৭১ সালে ফিলিস্তিনিরা কী আসলেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ছিল? নাকি পাকিস্তান সরকারের বিপক্ষে ছিল? লজিক কী? কাদের অপপ্রচার এসব? সুষুপ্ত পাঠকের মিথ্যাচারগুলো কী কী?

☢☢ খুব সাবধানঃ ইসলামবিদ্বেষী, মুসলিমবিদ্বেষী, বাংলাদেশবিদ্বেষী ও শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্বেষী সুষুপ্ত পাঠকের তথ্যসূত্র বা ...
29/10/2023

☢☢ খুব সাবধানঃ ইসলামবিদ্বেষী, মুসলিমবিদ্বেষী, বাংলাদেশবিদ্বেষী ও শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্বেষী সুষুপ্ত পাঠকের তথ্যসূত্র বা রেফারেন্সবিহীন পোস্টগুলোতে কেউ চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে বসবেন না ☢☢

সাধারণ পাঠকদের অজ্ঞতা মূর্খতার সুযোগ নিয়ে ইসলামবিদ্বেষী, মুসলিমবিদ্বেষী, বাংলাদেশবিদ্বেষী ও শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্বেষী সুষুপ্ত পাঠক যেই চালাকিগুলো করে সেগুলো হলঃ

⛔ ০১) অজানা অচেনা অপরিচিত লেখকদের রচিত বইয়ের নাম উল্লেখ করে কিন্তু বইয়ের পৃষ্ঠার স্ক্রিনশট কিংবা বইয়ের ডাউনলোড লিংক কিংবা বইয়ের সুনির্দিষ্ট পৃষ্ঠার স্ক্রিনশট দেয় না। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বইটিতে সুষুপ্ত পাঠকের চামচ দিয়ে খাইয়ে দেওয়া কথাগুলো লেখা নেই বরং সুষুপ্ত পাঠক তিলকে তাল করে বইয়ে লিখিত কথাগুলোর অপব্যাখ্যা করেছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, সে সব বইয়ে আদৌ এই বিষয়ে কোনো কথা লেখা নেই। সুষুপ্ত পাঠক জানে যে, সাধারণ পাঠকেরা বইগুলো ডাউনলোড করবে না বা পড়ে দেখবে না। এজন্যই সে এই প্রতারণার আশ্রয় নেয়।

⛔ ০২) নামকরা ও স্বীকৃত সংবাদমাধ্যমের তথ্য না দিয়ে অজানা অচেনা অপরিচিত ও বিশেষ একটি দল, গোষ্ঠী বা উদ্দেশ্যপন্থী সংবাদমাধ্যমের তথ্য দেয়। এই তথ্যগুলোতে কোনো স্বীকৃত সংস্থা বা বই এর রেফারেন্স থাকে না, এই তথ্যগুলো আর ২য় কোনো নামকরা ও স্বীকৃত সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যায় না।

যেমনঃ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে সুষুপ্ত পাঠক যেই মিথ্যাচার, অপব্যাখ্যা ও অতিরঞ্জনমূলক পোস্ট করেছে, তার পেছনে সে মাত্র ২টি সাইটের লিংক প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছে। এর মধ্যে প্রধান লিংকটি Weekly Blitz নামক একটি অজানা অচেনা বাংলাদেশী সংবাদ সাইটের। এর সাংবাদিকদের বাংলাদেশে কেউ চেনে না, বিশ্বেও মানুষেরা চেনে না। সকলে প্রমাণ দেখে নিন:

Weekly Blitz নামক তথাকথিত বাংলাদেশী সংবাদ সাইটের প্রকাশক ও সম্পাদক সালাহউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী এবং কার্যনির্বাহী সম্পাদক সোহেল চৌধুরী। এই সংবাদ মাধ্যমটির অবস্থান ঢাকার গুলশানে।

সূত্রঃ

ক) www.weeklyblitz.net/about-us
খ) www.weeklyblitz.net/contact-us

সালাহউদ্দীন শোয়েব চৌধুরী দৈনিক ইনকিলাব নামে একটি বড় প্রকাশনা পরিচালিত একটি বেসরকারী টেলিভিশন ইনকিলাব টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তিনি দৈনিক ইনকিলাবের সংবাদদাতাও ছিলেন। সালাহউদ্দীন শোয়েব চৌধুরীর ভাষ্যমতে ইনকিলাব টেলিভিশনে তার ৩০% শেয়ারের মালিকানা ছিল, যার মূল্য প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার। তিনি দাবি করেন যে স্টেশনে তার মালিকানা শেয়ারটি তার সম্মতি ছাড়াই বিক্রি করা হয়েছিল। আদালতে হাজির হয়ে চৌধুরী দাবি করেছিলেন যে ইনকিলাব টেলিভিশনে তার মালিকানার অংশীদার নিয়ে আর্থিক বিরোধের জের ধরে তার গ্রেপ্তারের ষড়যন্ত্র করা হয়।

☢ ০১) বাংলাদেশ সরকার দ্বারা সালাহউদ্দীন শোয়েব চৌধুরীর বিরুদ্ধে দেশের তথ্য পাচার, রাষ্ট্রদ্রোহ, এবং ধর্মঅবমাননার অভিযোগ আনা হয়। লিটারেচার এন্ড কালচার অব পিস নামক আন্তর্জাতিক ফোরামের আমন্ত্রণে তেল আবিবতে একটি সেমিনারে অংশ নেওয়ার সময় সালাহ উদ্দিন শোয়েব চৌধুরীকে ২০০৩ সালের ২৯ শে নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৩ সালে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহ, রাষ্ট্রদ্রোহী ও নিন্দার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। ২০০৪ সালের ২৪ শে জানুয়ারী বিমানবন্দর থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল হানিফের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা নথির ভিত্তিতে মোসাদ এজেন্ট বলে দাবি করা হয়। ২০০৩ সালের ১ ডিসেম্বর দ্যা ডেইলি স্টার এর প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার সময় তার কাছে একটি প্রজেক্ট প্রোফাইল পাওয়া যায়, যাতে তিনি ইসরাইলের কাছে তিনটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশের জন্য ১২ কোটি টাকা সাহায্যের আবেদন করেছিলেন। তিনি তার আবেদনে ইসরাইলী বন্ধুদের মুসলিম প্রধান দেশে মিডিয়া গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কোটি কোটি ডলার খরচ করে যুদ্ধবিমান ক্রয়ের চেয়ে মিডিয়া সৃষ্টি করুন, এতে ইসরাইল বেশি লাভবান হবে।’ তিনি এসব তথ্য নিয়ে তেল আবিবে একটি সেমিনারে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। পুলিশ তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করে। ২০১৪ সালের ৯ ই জানুয়ারী তিনি ঢাকার একটি আদালত বাংলাদেশের দন্ডবিধির ৫০৫ (এ) ধারায় দণ্ডিত হন।

সূত্রঃ

ক) www.thedailystar.net/shoaib-jailed-for-sedition-6242
খ) www.jagonews24.com/opinion/news/102245

☢ ০২) ডমিনিকা নামক রাষ্ট্রের সরকারও সালাহউদ্দীন শোয়েব চৌধুরীর হলুদ সাংবাদিকতার শিকার। তিনি ডমিনিকার প্রধানমন্ত্রী Roosevelt Skerrit এবং ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা Tony Astaphan এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, হামাস ও হিজবুল্লাহ এর সদস্যদের পাসপোর্ট দেওয়া ও পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ এনেছিলেন এবং পরে এই নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হলে একসময় তিনি দাবি করেন, তিনি অন্যদের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে এই ভুল সংবাদটি প্রকাশ করেছিলেন।

সূত্রঃ https://dominicanewsonline.com/news/homepage/news/general/blitz-editor-arrested-in-fraud-case

☢ ০৩) ২০১৪ সালে সালাহ উদ্দিন শোয়েব চৌধুরীকে বাংলাদেশের আদালত দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়।

সূত্রঃ

ক) www.prothomalo.com/bangladesh/ব্লিৎসের-সম্পাদক-শোয়েব-চৌধুরীর-৭-বছর-কারাদণ্ড
খ) www.dhakatribune.com/bangladesh/laws-rights/49729/mysterious-salah-uddin-shoaib-gets-7-year-jail
গ) www.dawn.com/news/1079394

☢ ০৪) ২০১২ সালের ৭ নভেম্বর, ঢাকার আদালত চৌধুরীর ব্যবসায়িক অংশীদার বাংলাদেশ স্টাডিজ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেনের দায়ের করা একটি আত্মসাতের মামলার মামলায় শোয়েব চৌধুরীকে কারাগারে প্রেরণ করে। ২০১৫ সালে তিনি মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত (বাংলাদেশ) দোষী সাব্যস্ত হন এবং ৪ বছর ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।

সূত্রঃ

ক) www.banglanews24.com/national/news/bd/369218.details
খ) www.observerbd.com/2015/02/20/73678.php
গ) www.thedailystar.net/city/blitz-editor-shoaib-jailed-swindling-money-2979

ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের গুপ্তচর যে ইসরায়েলের পক্ষে মিথ্যাচার, অপব্যাখ্যা ও অতিরঞ্জনমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। অথচ BBC, Reuters, AFP, The New York Times, The Wall Street Journal, The Guardian, The Daily Telegraph, Daily Mail, Le Figaro, Le Monde সহ নামকরা সংবাদসংস্থার সংবাদে এরকম কোনো তথ্য নেই।

যখন ১০টি নামকরা পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রচারিত হয়, তখন সেখানে গ্রহণযোগ্যতা বা বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে কিন্তু ১টি পত্রিকার সংবাদে কোনো গ্রহণযোগ্যতা বা বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে না, তাও আবার সেটা একদমই অজানা অচেনা ও অখ্যাত পত্রিকা।

তাই খুব সাবধান। উগ্র ইসলামবিদ্বেষী, মুসলিমবিদ্বেষী, বাংলাদেশবিদ্বেষী ও শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্বেষী সুষুপ্ত পাঠকের তথ্যসূত্র বা রেফারেন্সবিহীন পোস্টগুলোতে কেউ চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে বসবেন না। কখনই না।

25/10/2023

সুষুপ্ত পাঠকের ISRAEL-BD নিয়ে লেখাটি তিলকে তাল করা অপব্যাখ্যা ও অতিরঞ্জনময়। এতে কোনো বই বা আন্তর্জাতিক সংস্থার নয় বরং একমাত্র বাংলাদেশী সাংবাদিক সালাউদ্দিন শো: চৌ: এর প্রকাশিত পত্রিকার তথ্যসূত্র ছিল। So, Wait for the best article!

22/10/2023

সর্বপ্রথম কোন দেশ স্বাধীন বাংলাদেশ কে স্বীকৃতি দেয়? ভুটান? ভারত? নাকি ইসরায়েল? কেন দেয়? যুক্তি কী? চমকপ্রদ তথ্যপ্রমাণ সহকারে ২৭ অক্টোবর আসছে এই ইস্যুতে সর্বাধিক তথ্যবহুল তথা সর্বশ্রেষ্ঠ লেখা। Add: www.facebook.com/drmichy666

🌓🌑 🌗 সুপার এক্সক্লুসিভঃ কোরান কী আসলেই চাঁদের ভৌতগত বিভাজনের কথা বলে নাকি আংশিক চন্দ্র গ্রহণের কথা বলে? - ১ম পর্ব 🌓🌑 🌗চা...
04/09/2023

🌓🌑 🌗 সুপার এক্সক্লুসিভঃ কোরান কী আসলেই চাঁদের ভৌতগত বিভাজনের কথা বলে নাকি আংশিক চন্দ্র গ্রহণের কথা বলে? - ১ম পর্ব 🌓🌑 🌗

চাঁদের কখনই বাস্তব বা ভৌতগত বিভাজন ঘটেনি। এটা অসম্ভব। মধ্যযুগের ধর্মান্ধ ধর্মবিশারদ থেকে শুরু করে পরবর্তী ধর্মান্ধ-ধর্মব্যবসায়ী লোকজন ও সাধারণ আমজনতা আংশিক চন্দ্র গ্রহণের একটি স্বাভাবিক ঘটনাকে অলৌকিক বা মুহাম্মদের নিদর্শন বলে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রয়াসী হয়েছেন – যা সম্পূর্ণরূপে কোরান পরিপন্থী একটি অপপ্রয়াস।

কোরানে ভুলভাবে অনূদিত এবং হাদিস ও তাফসিরে অতিরঞ্জিত অপব্যাখ্যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত চন্দ্র বিভাজন যে আসলে ভৌতগত বিভাজন নয় বরং একটি আংশিক চন্দ্র গ্রহণ তা আজ ১ম পর্বে জ্যোতির্বিজ্ঞান তথা বাস্তবতা ও যুক্তির আলোকে প্রমাণ করা হবে।

📛 প্রশ্নঃ দ্বিখণ্ডিত ও খণ্ডিত শব্দের ইংরেজি ও আরবি প্রতিশব্দ কী কী?

🧿 উত্তরঃ আসুন দেখে নেইঃ

✅ ০১) দ্বিখণ্ডিত শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ Bisected or bifurcated
✅ ০২) দ্বিখণ্ডিত শব্দের আরবি প্রতিশব্দ متشعب যার বাংলা উচ্চারণ মুতাশাইবুন

সূত্রঃ https://translate.google.com/?sl=bn&tl=ar&text=%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A6%A3%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%A4&op=translate

পক্ষান্তরে,

✅ ০৩) খণ্ডিত শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ Split or cleft/rent asunder
✅ ০৪) আরবি প্রতিশব্দ وَٱنشَقَّ যার বাংলা উচ্চারণ ওয়াইনশাক্কা

সূত্রঃ https://translate.google.com/?sl=ar&tl=bn&text=%0A%D9%88%D9%8E%D9%B1%D9%86%D8%B4%D9%8E%D9%82%D9%91%D9%8E&op=translate

দুটো শব্দের অর্থ কাছাকাছি হলেও অভিন্ন নয়। আবার একই শব্দের বিভিন্ন অর্থ আছে, অবস্থাভেদে এক এক ক্ষেত্রে এক এক অর্থ প্রযোজ্য হয় – এটিও বুঝতে হবে।

📛 প্রশ্নঃ কোরান শরীফের অনুবাদ বা অনুবাদকেরা কী অকাট্য, অখণ্ডনীয়, নিখুঁত ও নিঃশ্ছিদ্র?

🧿 উত্তরঃ মোটেও নয়। আসুন কোরান শরীফের ৫৪ নং সূরা আল-কামার এর ১ ও ২ নং আয়াত দেখে নেই -

🇸🇦 মূল আরবীঃ وَإِن يَرَوْا۟ ءَايَةً يُعْرِضُوا۟ وَيَقُولُوا۟ سِحْرٌ مُّسْتَمِرٌّ اِقۡتَرَبَتِ السَّاعَۃُ وَ انۡشَقَّ الۡقَمَرُ

🇬🇧 ইংরেজি অনুবাদঃ The Hour (of Judgment) is nigh, and the moon is cleft asunder. But if they see a Sign, they turn away, and say, "This is (but) transient magic."

সূত্রঃ https://quranx.com/54.1-2

🇧🇩 বাংলা অনুবাদঃ কিয়ামত নিকটবর্তী হয়েছে/আসন্ন এবং চাঁদ বিদীর্ণ/খণ্ডিত হয়েছে। আর তারা কোন নিদর্শন দেখলে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, ‘চলমান/চিরাচরিত যাদু/এটা তো সেই আগের থেকে চলে আসা যাদু’।

সূত্রঃ

ক) www.hadithbd.com/quran/link/?id=4847
খ) www.hadithbd.com/quran/link/?id=4848

Quranx সাইট থেকে দেখা যাচ্ছে, ১৬ জন কোরান অনুবাদক কাছাকাছি কিন্তু কিছুটা ভিন্ন অর্থ প্রকাশক শব্দ দিয়ে একই আরবি শব্দের অনুবাদ করেছেন।

⚠ ০১) মুহাম্মদ ইউসুফ আলী, মুহাম্মদ শাকির ও সাহীহ ইন্টারন্যাশনালঃTransient/Passing অর্থ ক্ষণস্থায়ী
⚠ ০২) আরবেরি, দারিয়াবাদী, কর্পাস, কারিবুল্লাহ, তালাত ইতানী এবং হিলালী ও খানঃ Continuous অর্থ একটানা
⚠ ০৩) আলী করাইঃ Incessant অর্থ অবিরাম
⚠ ০৪) আমহাদ খানঃ Customary অর্থ গতানুগতিক
⚠ ০৫) মওদূদীঃ Ongoing অর্থ চলমান
⚠ ০৬) মুহাম্মদ সারওয়ারঃ Powerful অর্থ শক্তিশালী
⚠ ০৭) পিকথ্যালঃ Prolonged অর্থ দীর্ঘায়িত
⚠ ০৮) আহমাদ আলি ও ওয়াহিদুদ্দীন খানঃ Same old lie/sorcery অর্থ সেই পুরনো মিথ্যা/জাদু

অনুবাদের এই ভিন্নতা থেকেই সৃষ্টি হয় বিভ্রান্তি। কেউ ২ লাইন বেশি বোঝেন, কেউ ২ লাইন কম বোঝেন। কেউ অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করেন তো কেউ করেন অপব্যাখ্যা। ক্ষণস্থায়ী ও অবিরাম/চলমান/একটানা/দীর্ঘায়িত – পরস্পর বিরোধী অর্থ প্রকাশ করে। গতানুগতিক, শক্তিশালী সম্পূর্ণ বা অনেকটাই আলাদা অর্থ প্রকাশ করে। নিশ্চয়ই সকল অনুবাদকই সঠিক নন। ফলে কোরান অনুবাদকদের অনুবাদ পড়েই তাকে অকাট্য, অখণ্ডনীয়, নিখুঁত, নিঃশ্ছিদ্র বলে মনে করা সঠিক নয়। এক্ষেত্রে গভীর পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ অপরিহার্য।

وَٱنشَقَّ যার বাংলা উচ্চারণ ওয়াইনশাক্কা এর অর্থ Split যাকে বিভক্ত, বিদীর্ণ ইত্যাদি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা যায়।

সূত্রঃ https://translate.google.com/?sl=ar&tl=bn&text=%D9%88%D9%8E%D9%B1%D9%86%D8%B4%D9%8E%D9%82%D9%91%D9%8E%0A%0A&op=translate

আরবী ক্রিয়ামূল SH-Q-Q দিয়ে আকাশ বিদীর্ণ হওয়ার কথা বলা হয়েছে ৪টি সূরায়

✅ ০১) ২৫ নং সূরা আল ফুরকান এর ২৫ নং আয়াতে উল্লেখিত تَشَقَّقُ তাশাক্কাকু

সূত্রঃ www.hadithbd.com/quran/link/?id=2880

✅ ০২) ৫৫ নং সূরা আর রাহমান এর ৩৭ নং আয়াতে উল্লেখিত ٱنشَقَّتِ ইনশাক্কাতি

সূত্রঃ www.hadithbd.com/quran/link/?id=4938

✅ ০৩) ৬৯ নং সূরা আল হাক্কাহ এর ১৬ নং আয়াতে উল্লেখিত وَٱنشَقَّتِ ওয়াইনশাক্কাতি

সূত্রঃ www.hadithbd.com/quran/link/?id=5339

✅ ০৪) ৮৪ নং সূরা আল ইনশিক্কাক এর ১ নং আয়াতে উল্লেখিত ٱنشَقَّتْ ইনশাক্কাত

সূত্রঃ www.hadithbd.com/quran/link/?id=5885

তবে, আরেকটি আরবী ক্রিয়ামূল মূল F-T.-R দিয়ে আকাশ বিদীর্ণ হওয়ার কথা বলা হয়েছে ২টি সূরায়

✅ ০১) ৭৩ নং সূরা আল মুযামমিল এর ১৮ নং আয়াতে উল্লেখিত مُنفَطِرٌۢ মুনফাতিরুন

সূত্রঃ www.hadithbd.com/quran/link/?id=5493

✅ ০২) ৮২ নং সূরা আল ইনফিতার এর ১ নং আয়াতে উল্লেখিত ٱنفَطَرَتْ ইনফাতারাত

সূত্রঃ www.hadithbd.com/quran/link/?id=5830

সূরা কামার এর আয়াতটির ক্ষেত্রে সঠিক অনুবাদটি হচ্ছে চাঁদ বিভক্ত হল। এখন এই বিভক্তি কোন অর্থে ব্যবহার করা হচ্ছে, এটি যাচাই করতে হবে।

বিভক্তি ২ ভাবে হতে পারে –

✳ ক) ভৌতগত বিভক্তি (Physical splitting)
✳ খ) দৃষ্টিলব্ধ বিভক্তি (Visual splitting as in a full or partial eclipse of moon)

📛 প্রশ্নঃ চন্দ্র পৃষ্ঠের ওপর ৩০০ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত ফাটল রেখা কী চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হওয়ার প্রমাণ?

🧿 উত্তরঃ অ্যাপোলো মিশনের আলোকচিত্র চাঁদের পৃষ্ঠের ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ফাটল রেখা Rima Ariadaeus, a Linear Rille প্রকাশিত হওয়ার পরে কিছু ইন্টারনেট সাইটে কতিপয় ধর্মান্ধ মুসলিম দাবি করছিল যে এটি কোরানে বর্ণিত চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হওয়ার প্রমাণ।

সূত্রঃ www.nasa.gov/mission_pages/LRO/multimedia/lroimages/lroc_20090928_ariadaeus.html

এটি সম্পূর্ণই ভুল একটি দাবি।

✅ ০১) পৃথিবীতে সবচেয়ে দীর্ঘ ফাটল রেখা হল দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মায়ানমার থেকে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত Sunda Megathrust যার দৈর্ঘ্য ৫৫০০ কিলোমিটার।

✅ ০২) ২য় স্থানে রয়েছে আফ্রিকার গিনির ঊপকূল থেকে সুদান পর্যন্ত বিস্তৃত Central African Shear Zone যার দৈর্ঘ্য ৪০০০ কিলোমিটার।

✅ ০৩) ৩য় স্থানে আমেরিকার আলাস্কার উপকূল থেকে রাশিয়ার উপদ্বীপ কামচাটকা পর্যন্ত বিস্তৃত Alaska-Aleutian Megathrust যার দৈর্ঘ্য ৩০০০ কিলোমিটার।

সূত্রঃ www.insidermonkey.com/blog/11-biggest-fault-lines-in-the-world-362188/?singlepage=1

তাহলে কি পৃথিবীও দ্বিখণ্ডিত/খণ্ডিত/বিদীর্ণ হয়েছিল? সেক্ষেত্রে পৃথিবীর দ্বিখণ্ডিত/খণ্ডিত/বিদীর্ণ হওয়ার বর্ণনা কোরানের আয়াতে নেই কেন? সুতরাং, এটি সুস্পষ্ট যে – চাঁদ দ্বিখণ্ডিত/খণ্ডিত/বিদীর্ণ হওয়ার দাবিটি অপব্যাখ্যা, অতিরঞ্জন তথা ডাহা মিথ্যাচার।

📛 প্রশ্নঃ কেন ভূ-চ্যুতি ঘটে?

🧿 উত্তরঃ ভূ-আলোড়নের ফলে ভূ-পৃষ্ঠে সৃষ্ট ফাঁটলের একদিকের অংশ স্থানচ্যুত হয়ে ভূ-গর্ভে বসে যায় আবার কিছু অংশ উপরে উত্থিত হয়। এই ধরনের ভূমিরূপকে চ্যুতি বলে। চ্যুতি যে কোনো প্রকার শিলাতে সৃষ্টি হতে পারে। তবে পাললিক শিলায় চ্যুতির পরিমাণ বেশি।

ভূ-পৃষ্ঠের যে কোনো স্থান আনুভূমিক সঙ্কোচন বা সম্প্রসারিত হলে চ্যুতির সৃষ্টি হতে পারে। আবার কোনো শিলাস্তরে অধিক সঙ্কোচনের প্রভাব পড়লে অপ্রতিসম্য ভাঁজ বা আনুভূমিক ভাঁজের সৃষ্টি হয়ে শেষ পর্যন্ত ফাটল ও চ্যুতির সৃষ্টি হতে পারে। এইভাবে একেকটি ভাঁজ একেকটি চ্যুতিতে রূপান্তরিত হতে পারে।

প্রত্যেক চ্যুতির দুইটি করে পার্শ্ব থাকে। যথা- উত্থিত পার্শ্ব এবং অবনত পার্শ্ব। যে সমতল হতে চ্যুতির পার্শ্ব উত্থিত বা অবনত হয় অর্থাৎ চ্যুতির সৃষ্টি হয় তাকে চাতিতল (Fault Plane) বলে। চ্যুতিতল সাধারণত ঢালু হয় তবে তা খাড়াও হতে পারে। চ্যুতির উত্থিত পার্শ্বের ঢালকে চ্যুতিঢাল (Fault Scarp) বলে।

উত্থিত পার্শ্বের উপরের নরম শিলাস্তর ক্ষয়সাধনের ফলে অপসারিত হলে নিম্নের কঠিন শিলা দৃষ্টিগোচর হয় এবং চ্যুতিঢালের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধিত হয়। একে চ্যুতিরেখা ঢাল (Fault Line Scarp) বলে।

সূত্রঃ

ক) www.livescience.com/37052-types-of-faults.html
খ) www.usgs.gov/faqs/what-a-fault-and-what-are-different-types

📛 প্রশ্নঃ অপব্যাখ্যার মাধ্যমে মুসলিম মানসে সুপ্রতিষ্ঠিত চন্দ্র বিভাজন সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাসা এর বক্তব্য কী?

🧿 উত্তরঃ তথাকথিত চন্দ্র বিভাজন প্রসঙ্গে ২০১০ সালে NASA Lunar Science Institute এর বিজ্ঞানী Brad Bailey এই বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন –

আমার সুপারিশ হল ইন্টারনেটে লভ্য যে কোনো তথ্যই বিশ্বাস করে বসবেন না। PEER-নিরীক্ষিত নথিপত্রগুলোই হল বৈজ্ঞানিকভাবে বৈধ তথ্যের একমাত্র উৎস। আজ পর্যন্ত কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকে প্রমাণিত হয়নি যে চাঁদ কখনো দুটি (বা ততোধিক) অংশে বিভক্ত হয়েছিল এবং পরবর্তীতে যে কোনো সময়ে পুনরায় মিলিত বা একত্রিত হয়েছিল।

My recommendation is to not believe everything you read on the internet. Peer-reviewed papers are the only scientifically valid sources of information out there. No current scientific evidence reports that the Moon was split into two (or more) parts and then reassembled at any point in the past.

সূত্রঃ

ক) https://factcheck.afp.com/doc.afp.com.328Y6DA
খ) https://perma.cc/PK8G-THFP

সুতরাং, কোরানের ভুল অনুবাদ ও অপব্যাখ্যা করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত চাঁদ বিদীর্ণ বা খণ্ডিত হওয়ার বিষয়টি সত্য নয় বরং বৈজ্ঞানিক তথা বাস্তবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি আংশিক চন্দ্রগ্রহণ এর ঘটনা।

বিজ্ঞানের ইতিহাস ও ইসলাম গবেষক Robert G. Mourison এর গবেষণা এবং বিশ্বখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা Cambridge University Press থেকে প্রকাশিত The Cambridge Companion to Muhammad গ্রন্থেও প্রমাণ করা হয়েছে – বিষয়টি ভৌতগত চন্দ্র বিভাজন নয় বরং আংশিক চন্দ্র গ্রহণ।

সূত্রঃ

ক) www.jstor.org/stable/f7e8d6eb-7f76-33e6-a17f-885f1cd8b887
খ) https://archive.org/details/cambridgecompani0000unse_t7r1/mode/2up

📛 প্রশ্নঃ পূর্ণ ও আংশিক চন্দ্র গ্রহণ আসলে কী?

🧿 উত্তরঃ জ্যোতির্বিজ্ঞান মোতাবেক, চাঁদ যেমন পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরছে তেমন পৃথিবীও সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এভাবে একটা সময় চাঁদ, সূর্য, পৃথিবী ঘুরতে ঘুরতে একই সরলরেখায় আসে। যখন এই সরলরেখায় চাঁদ ও সূর্যের মধ্যে পৃথিবী আসে, তখন পৃথিবীর ছায়ার জন্য চাঁদে সূর্যের আলো পৌঁছায় না। ফলে চাঁদকে তখন কিছু সময়ের জন্য দেখা যায় না। অর্থাৎ পৃথিবী পৃষ্ঠের কোন দর্শকের কাছে চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। তখন একে সংক্ষেপে চন্দ্রগ্রহণ বলে। পৃথিবী, সূর্যকে আংশিক ঢেকে নিলে পৃথিবীর জন্য চাঁদকে আংশিক দেখা যায় না একে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ বলে। আর পৃথিবী সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে নিলে পৃথিবীর জন্য চাঁদকে পুরোপুরি দেখা যায় না একে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ বলে। চাঁদের তুলনায় পৃথিবীর ব্যাস অনেক বেশি হওয়ায়, পৃথিবীর ব্যাস অতিক্রম করতে চাঁদের অনেকটা সময় লাগে। এই জন্য সূর্যগ্রহণের স্থায়িত্ব কয়েক মিনিট হলেও চন্দ্রগ্রহণের স্থায়িত্ব ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে।

সূত্রঃ https://moon.nasa.gov/moon-in-motion/phases-eclipses-supermoons/eclipses

যারা মুহাম্মদের আমলে সঙ্ঘটিত পূর্ণ কিংবা আংশিক চন্দ্রগ্রহণের বিস্তারিত জানতে আগ্রহী তারা নাসা এর সাইট থেকে জেনে নিতে পারেন।

সূত্রঃ https://eclipse.gsfc.nasa.gov/JLEX/JLEX-AS.html

🎇 ২য় পর্বের আকর্ষণঃ মুহাম্মদ যে কোনো অলৌকিক কিছু ঘটাতে পারতেন না তথা তিনি শুধুই প্রকৃতির বিভিন্ন ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে মানুষকে সতর্ক করার চেষ্টা করতেন, তা কোরানের বিভিন্ন আয়াতের আলোকে প্রমাণ করা হবে। লেখাটি শেয়ার করুন।

Address

Dhaka
<<NOT-APPLICABLE>>

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mushfique Imtiaz Chowdhury posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category