17/05/2025
জাতি যখন সান্ডার তেল নিয়ে ব্যস্ত আমি তখন স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন প্রধান মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। স্যার, আপনাদের রিপোর্টে কোথাও ঔষধের কোয়ালিটি নিশ্চিতকরণের বিষয়ে কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ল না। আপনারা কি নিশ্চিত আমাদের যত ঔষধ কোম্পানি আছে, সবাই ফেরেশতা? আপনারা কি নিশ্চিত ঔষধ প্রশাসনে যারা আছেন, তারা সবাই ফেরেশতা? ঔষধ প্রশাসনের আন্ডারে যে ল্যাব ঔষধের মান পরীক্ষা করে, তারা সবাই ফেরেশতা?
ঔষধের বিষয়ে একচ্ছত্র ক্ষমতা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এবং কোয়ালিটি পরীক্ষা করার একমাত্র ল্যাব বাংলাদেশে একটাই। যেটা মহাখালীতে অবস্থিত। তাহলে ঔষধের স্বচ্ছতা বা একাউন্টটিবিলিটি কিভাবে নির্ধারণ হবে? কে বা কোন অথোরিটি এটা ক্রস চেক করবে? আপনারা বিশ্বাস করতে পারেন, কিন্তু আমি এই দেশের কাউকে বিশ্বাস করি না।
এই মুহূর্তে নাম নিচ্ছি না। একটি ঔষধ কোম্পানি তার ৫০০ মিলিগ্রাম এজিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেটে দিচ্ছে ২৪০ মিলিগ্রাম এজিথ্রোমাইসিন। এটা পূর্ণবয়স্ক একজন ব্যক্তি খেলে কী অবস্থা হবে তার!! এক, কাজ করবে না, দুই, এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যাবে রোগী। ন্যাপ্রোক্সেন ৫০০ এমজি'র পরিবর্তে দিচ্ছে মাত্র ১৭০ এমজি। লাইসেন্স প্রাপ্ত অখ্যাত এই কোম্পানি মাসে শুধু এজিথ্রোমাইসিন বিক্রি করে নাকি কয়েক কোটি টাকার।
ব্যবসা হচ্ছে রমরমা। মানুষ মরছে।
খাদ্য থেকে শুরু করে কীটনাশক এবং অন্যান্য কেমিক্যালের সরকারি ল্যাব যেমন আছে দেশে, তেমন বেসরকারি ল্যাবও আছে। একাধিক সংস্থা ক্রস চেক করতে পারে এসব উপাদান। কিন্তু ঔষধের ক্ষেত্রে কী হবে?
আপনি ভাল করেই জানেন, আমাদের দেশে যত লাইসেন্সিং অথোরিটি আছে, তারা পণ্য বা উপাদানের লাইসেন্স দেয়ার সময় ভাল নমুনার পরীক্ষা করে লাইসেন্স দিয়ে থাকে৷ এই ভাল নমুনা সরবরাহ করে থাকে উৎপাদক, আমদানিকারক বা ব্যবসায়ী। লাইসেন্স পাবার পর শুরু হয় এদের আসল কারবার। লাইসেন্সের সেই নমুনার সাথে পণ্যের প্রায়শই আর মিল থাকে না।
বছরে বাজার থেকে যখন নমুনা কালেকশন করা হয় পরীক্ষা করার জন্য, সেই নমুনা আবার ভাল হয়ে যায়, কোনো এক অজ্ঞাত কারণে। কিভাবে হতে পারে, তা আমরা সবাই জানি।
আমাকে উক্ত ঔষধ কোম্পানির এই খবর দিয়েছে, সেই ঔষধ কারখানায় চাকুরি করা একজন কর্মী। মিথ্যা বলেছে? তাহলে একটা কমিটি করে বাজার থেকে সব এন্টিবায়োটিকের র্যান্ডম নমুনা নিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে পরীক্ষা করে দেখুন প্লিজ। দেখা যাক কী রেজাল্ট আসে।
আমাদের নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করুন যে, ডিজি ডিএ, হতে লাইসেন্স প্রাপ্ত সকল কোম্পানির ঔষধ সব সময়, সকল ব্যাচের মান সঠিক এবং এক রকম থাকে। সেটা অবশ্যই অন্য কোথাও হতে ক্রস চেক করে দিতে হবে।
নিরাপদ খাদ্য নিয়ে যে সুপারিশ দিয়েছেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ থাকবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় এবং একজন ডিজি বা মহাপরিচালক থাকবেন সেটার প্রধান।
হাস্যকর স্যার। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন থাকবে। চেয়ারম্যানের পদ মর্যাদা হবে একজন সচিব পর্যায়ের। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের সাহায্য করবে সব তথ্য দিয়ে। বাস্তবায়ন করবে কর্তৃপক্ষ।
** দায়িত্ব মনে করলে শেয়ার করবেন সবাই প্লিজ।
#স্বাস্থ্যসংস্কারকমিশন
#মানহীনঔষধ #নিরাপদখাদ্য
Courtesy: Mahabub Kabir Milon