18/08/2024
🦠🦠🦠এমপক্স (মাঙ্কিপক্স): ইতিহাস, লক্ষণ ও চিকিৎসা
এমপক্স (মাঙ্কিপক্স) একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা প্রথমত আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে দেখা যায়। এটি অনেকটা চামড়ার ফুসকুড়ি এবং তাপমাত্রার সাথে সম্পর্কিত।
🦠🦠🦠 ইতিহাস
🟢১. প্রাথমিক আবিষ্কার
- ☁️১৯৫৮☁️: প্রথমবারের মতো এমপক্স ভাইরাস আবিষ্কার হয় আফ্রিকাতে বাঁদরের মধ্যে। এই কারণে এর নাম "মাঙ্কিপক্স" রাখা হয়েছিল।
- ☁️১৯৭০☁️: প্রথম মানব সংক্রমণ রিপোর্ট করা হয়, যখন কঙ্গোতে একজন শিশু রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়।
☁️🟢২. মহামারী ও ছড়িয়ে পড়া☁️
- ☁️১৯৮০-র দশক☁️: মাঙ্কিপক্স আফ্রিকার কিছু দেশ যেমন কঙ্গো, নাইজেরিয়া ও গ্যাবন এ মহামারীর আকারে দেখা যায়। অন্যান্য অঞ্চলেও মহামারী দেখা গেছে, বিশেষ করে পশু ও মানুষের মধ্যে সংক্রমণের কারণে।
🦠🦠🦠 ☁️লক্ষণ ও উপসর্গ☁️
এমপক্সের লক্ষণ সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণের ৭-১৪ দিন পর শুরু হয় এবং এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:
• উচ্চ তাপমাত্রা (ফিভার)
• মাংসপেশী ব্যথা এবং শরীরব্যাপী অস্বস্তি
• উদরশূল (বমি, ডায়রিয়া)
• ফুসকুড়ি (প্রথমে মুখে এবং পরে শরীরের অন্যান্য অংশে বের হয়)
• বৃন্তযুক্ত ফুসকুড়ি (পক্স-জাতীয় ফুসকুড়ি)
• লিম্ফ নোডের ফুলে যাওয়া
🟢বিস্তারিতঃ
☁️🟢১. তাপমাত্রা☁️
- ☁️উচ্চ তাপমাত্রা☁️ (ফিভার) যা সাধারণত রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে দেখা যায়।
☁️🟢২. শরীরব্যাপী লক্ষণ☁️
- ☁️মাংসপেশী ব্যথা☁️ এবং ☁️শরীরব্যাপী অস্বস্তি☁️।
- ☁️প্রশ্নবোধক অসুস্থতা☁️ (বমি, ডায়রিয়া)।
☁️🟢৩. ত্বকের লক্ষণ☁️
- ☁️ফুসকুড়ি☁️: প্রথমে মুখে দেখা দেয়, পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
- ☁️বৃন্তযুক্ত ফুসকুড়ি☁️: ত্বকে ফুসকুড়ির মতো চিহ্ন দেখা যায় যা পরে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে শুকিয়ে যায়।
☁️🟢৪. লিম্ফ নোড☁️
- ☁️লিম্ফ গ্রন্থির ফুলে যাওয়া☁️: গলা, নীচের অংশ, অথবা শরীরের অন্যান্য অংশে।
☁️🟢৫. অন্যান্য লক্ষণ☁️
- ☁️শ্বাসকষ্ট☁️ (যদি ফুসফুসে প্রভাব ফেলে)।
- ☁️চুলকানি☁️ এবং ☁️অস্বস্তি☁️ ত্বকের ফুসকুড়ির কারণে।
🦠🦠🦠 ☁️হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা☁️
☁️🌿 ১. Variolinum☁️
- ☁️ব্যবহার:☁️ এমপক্সের পক্সভাইরাসজনিত লক্ষণগুলি কমাতে সাহায্য করে।
- ☁️ডোজ:☁️ ৩০ সি শক্তি, দিনে ১-২ বার।
☁️🌿 ২. Antimonium Tartarticum☁️
- ☁️ব্যবহার:☁️ তাপমাত্রা ও শ্বাসকষ্টের লক্ষণগুলি সহায়ক।
- ☁️ডোজ:☁️ ৩০ সি শক্তি, দিনে ১-২ বার।
☁️🌿 ৩. Rhus Toxicodendron☁️
- ☁️ব্যবহার:☁️ চুলকানি ও ত্বকের ফুসকুড়ির লক্ষণগুলি কমাতে।
- ☁️ডোজ:☁️ ৩০ সি শক্তি, দিনে ১-২ বার।
☁️🌿 ৪. Echinacea☁️
- ☁️ব্যবহার:☁️ ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে ও সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক।
- ☁️ডোজ:☁️ ৩০ সি শক্তি, দিনে ১-২ বার।
☁️🌿 ৫. Mercurius Solubilis☁️
- ☁️ব্যবহার:☁️ ত্বকের ফুসকুড়ি ও লসিকা গ্রন্থির ফুলে যাওয়া।
- ☁️ডোজ:☁️ ৩০ সি শক্তি, দিনে ১-২ বার।
🦠🦠🦠 ☁️লাইফস্টাইল পরিবর্তন☁️
☁️🌿১. স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতা☁️
- ☁️হাত ধোয়া:☁️ জীবাণু প্রতিরোধে নিয়মিত হাত ধোয়া।
- ☁️পরিষ্কার পরিবেশ:☁️ ঘর ও সরঞ্জাম পরিষ্কার রাখা।
☁️🌿২. আলাদা থাকা☁️
- ☁️অসুস্থ ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ কমানো:☁️ রোগীকে আলাদা রাখা।
☁️🌿৩. সুস্থ খাদ্যাভ্যাস☁️
- ☁️পুষ্টিকর খাবার:☁️ ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার।
- ☁️পর্যাপ্ত পানি পান:☁️ শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখতে।
☁️🌿৪. বিশ্রাম ও শিথিলতা☁️
- ☁️বিশ্রাম:☁️ পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিশ্চিত করা।
- ☁️মানসিক শিথিলতা:☁️ যোগব্যায়াম, মেডিটেশন ইত্যাদি।
☁️🌿৫. সাবধানতা ও সচেতনতা☁️
- ☁️মেডিক্যাল চেক-আপ:☁️ নিয়মিত চেক-আপ ও চিকিৎসকের পরামর্শ।
🥫🥫🥫 এমপক্স (মাঙ্কিপক্স) – খাদ্য তালিকা
☁️এমপক্স☁️ (মাঙ্কিপক্স) রোগের চিকিৎসা ও পুনরুদ্ধারের সময় কিছু খাদ্য নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাদ্যাভ্যাস রোগীর সুস্থতা ও দ্রুত আরোগ্যে সাহায্য করতে পারে। এখানে কিছু খাদ্য তালিকা যা আপনাকে সাহায্য করতে পারে:
🥫🥫🥫 ☁️যা খেতে হবে:☁️
☁️১. ফ্রেশ ফলমূল ও সবজি☁️
- ☁️ফলমূল:☁️ আপেল, কমলা, আঙুর, কলা, পেঁপে, স্ট্রবেরি
- ☁️সবজি:☁️ গাজর, ব্রকলি, পালং শাক, কপির পাত, টমেটো, শিমলা মরিচ
- ☁️কারণ:☁️ ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়ক।
☁️২. প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার☁️
- ☁️মাছ:☁️ স্যামন, টুনা, ম্যাকারেল
- ☁️মাংস:☁️ চিকেন, মেষশাবক
- ☁️ডাল:☁️ মুগ ডাল, মসুর ডাল
- ☁️কারণ:☁️ প্রোটিন শরীরের পুনর্গঠনে সাহায্য করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে সমর্থন করে।
☁️৩. সম্পূর্ণ শস্য☁️
- ☁️শস্য:☁️ ওটস, ব্রাউন রাইস, কুইনোয়া
- ☁️কারণ:☁️ ফাইবার সমৃদ্ধ যা পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এবং ইমিউন সিস্টেমকে সহায়ক।
☁️৪. প্রাকৃতিক উপাদান☁️
- ☁️হলুদ:☁️ অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণাবলী সমৃদ্ধ
- ☁️আদা ও রসুন:☁️ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক
☁️৫. পর্যাপ্ত পানি☁️
- ☁️পানি:☁️ শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখতে
- ☁️কারণ:☁️ ডিহাইড্রেশন এড়াতে এবং শরীরের বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার করতে সহায়ক।
🥫🥫🥫 ☁️যা এড়াতে হবে:☁️
☁️১. তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার☁️
- ☁️অ্যাভয়েড:☁️ ফাস্ট ফুড, ফ্রাইড ফুড, প্যাকেটজাত স্ন্যাকস
- ☁️কারণ:☁️ উচ্চ চর্বি ও ক্যালোরি শরীরের প্রদাহ বাড়াতে পারে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করতে পারে।
☁️২. চিনি ও প্রসেসড খাবার☁️
- ☁️অ্যাভয়েড:☁️ ক্যান্ডি, কুকিজ, কেক, সফট ড্রিংকস
- ☁️কারণ:☁️ অতিরিক্ত চিনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে পারে এবং ইনফেকশন বৃদ্ধিতে সহায়ক।
☁️৩. অ্যালকোহল☁️
- ☁️অ্যাভয়েড:☁️ মদ্যপান
- ☁️কারণ:☁️ ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করতে পারে এবং শরীরের পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
☁️৪. ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয়☁️
- ☁️অ্যাভয়েড:☁️ কফি, শক্তিশালী চা
- ☁️কারণ:☁️ অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরকে ডিহাইড্রেট করতে পারে এবং ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
☁️৫. ভাসাব (চর্বি বা স্নেহময়) খাবার☁️
- ☁️অ্যাভয়েড:☁️ প্যাকেটজাত খাবার, হাই-ফ্যাট খাবার
- ☁️কারণ:☁️ শরীরের প্রদাহ বাড়াতে পারে এবং পুষ্টির অভাব ঘটাতে পারে।🦠🦠🦠🦠
এমপক্স একটি গুরুতর ভাইরাসজনিত রোগ যা ত্বকের ফুসকুড়ি ও তাপমাত্রার লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা এবং লাইফস্টাইল পরিবর্তন রোগের লক্ষণ মোকাবেলা করতে সহায়ক হতে পারে। রোগের ইতিহাস এবং লক্ষণগুলি বুঝে উপযুক্ত চিকিৎসা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
#এমপক্স ্স
Dr - Salma Akter
DHMS
BHMS ( Dhaka University )