12/05/2024
দাম্পত্যজীবন সুখকর ও মধুময় করার জন্য স্বামী-স্ত্রী একের প্রতি অন্যের কী কী হক বা অধিকার রয়েছে তা জানা এবং পালন করা আবশ্যক। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘নারীদের তেমনি ন্যায়সঙ্গত অধিকার রয়েছে যেমন তাদের ওপর পুরুষদের হক রয়েছে।’ (সূরা আল বাকারাহ-২২৮) আল্লাহ তায়ালা পুরুষ ও নারীকে তাদের নিজ নিজ ব্যক্তিত্ব, যোগ্যতা ও সামর্থ্যানুযায়ী দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি যেমন নারীদের (স্বামীর) আনুগত্যের নির্দেশ দিয়েছেন, তেমনিভাবে পুরুষদের দয়া ও ক্ষমার দৃষ্টিতে কর্মসম্পাদনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং নারীর যাবতীয় প্রয়োজন পূরণের দায়িত্ব পুরুষের ওপর অর্পণ করেছেন। পারস্পরিক দায়িত্ব ও অধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে উভয়ের মর্যাদা সমান। আর দায়িত্ব ও অধিকার আদায়ে উভয়েই সমান জিম্মাদার। উভয় উভয়কে সম্মান, আদর-স্নেহ, প্রেম-প্রীতি ও ভালোবাসা দেবে। একে অপরের মঙ্গল কামনা করবে। সুখে-দুঃখে সঙ্গ দেবে, যতœ ও সেবা করবে। একে অপরের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করবে। স্বামী যখন বাহ্যিক জগতের চাপে থাকে, তখন স্ত্রী কোমলতা ও প্রেম-ভালোবাসা দিয়ে প্রশান্তি দেবে। তা ছাড়া পারলৌকিক জীবনের শান্তির জন্য একে অপরকে উৎসাহিত করবে। স্বামী স্বীয় স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের সবার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নেবে। পক্ষান্তরে স্ত্রী ঘরের সবকিছু সুন্দরভাবে দেখাশুনা করবে। পুরুষ তথা স্বামী থাকবে নেতৃত্বের আসনে। পরিবারের প্রতিরক্ষা, রক্ষণাবেক্ষণ, ভরণ-পোষণ ও সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব তার ওপর অর্পিত হবে। কেননা দৈহিক শক্তি, মেধা ও মনোবলের দিক দিয়ে সে অধিকতর যোগ্য। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন- ‘নারীদের ওপর রয়েছে পুরুষদের শ্রেষ্ঠত্ব।’ (সূরা আল বাকারাহ-২২৮) আরো ইরশাদ করেন- ‘পুরুষরা নারীদের কর্তা ও রক্ষক।’ (সূরা আন নিসা-৩৪) আরো ইরশাদ করেন- ‘(পুরুষ-নারীদের কর্তা) যেহেতু আল্লাহ তাদের একে অপরের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। এ কারণে যে, পুরুষ তাদের ধনসম্পদ ব্যয় করে।’ (সূরা আন নিসা-৩৪)
স্বামীর হক : দাম্পত্যজীবন সুখকর ও আনন্দঘন করার জন্য স্ত্রীর স্বীয় স্বামীর প্রতি কিছু হক রয়েছে। যেমন-
সতীত্ব রক্ষা করা : সুসন্তান লাভ ও পারিবারিক সুখ-শান্তি স্ত্রীর সতীত্ব, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও পবিত্রতার ওপর নির্ভরশীল। একজন সতীসাধ্বী স্ত্রী স্বামীর জন্য বড় নিয়ামত। মহানবী সা: বলেছেন, ‘পৃথিবীর সবকিছু উপভোগের জিনিস, তবে পৃথিবীর উপভোগের জিনিসের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলো সতীসাধ্বী স্ত্রী। সুতরাং স্ত্রীর স্বীয় সতীত্ব র