Tanim healthcare Solution

Tanim healthcare Solution Let's go the path to a healthier, happier you together. Welcome to "Tanim Health Care Solutions" – where your health is our top priority.

ডোপামিন (Dopamine) একটি গুরুত্বপূর্ণ নিউরোট্রান্সমিটার বা রাসায়নিক বার্তাবাহক, যা আমাদের মস্তিষ্ক ও শরীরের বিভিন্ন কার্...
06/09/2025

ডোপামিন (Dopamine) একটি গুরুত্বপূর্ণ নিউরোট্রান্সমিটার বা রাসায়নিক বার্তাবাহক, যা আমাদের মস্তিষ্ক ও শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি মূলত স্নায়ুকোষের মধ্যে সংকেত আদান-প্রদান করে এবং আমাদের অনুভূতি, প্রেরণা, আনন্দ, শেখা ও চলাফেরায় বড় ভূমিকা রাখে।
________________________________________
১. আনন্দ ও পুরস্কার অনুভূতি (Pleasure & Reward)
• যখন আমরা কোনো সুখকর কাজ করি, যেমন সুস্বাদু খাবার খাওয়া, গান শোনা বা প্রিয় কাজ করা — তখন ডোপামিন নিঃসৃত হয়।
• এটি আমাদের "ভালো লাগা" অনুভূতি দেয় এবং আবার সেই কাজ করতে উৎসাহিত করে।
উদাহরণ: চকলেট খাওয়ার পর যে আনন্দ হয়, সেটা ডোপামিনের কারণে।
________________________________________
২. প্রেরণা ও লক্ষ্যপূরণ (Motivation & Goal Achievement)
• ডোপামিন আমাদের কিছু করার ইচ্ছা ও আগ্রহ বাড়ায়।
• এটি আমাদের লক্ষ্য স্থির করতে, পরিকল্পনা করতে এবং সেই লক্ষ্য অর্জনে চেষ্টা চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে।
উদাহরণ: পড়াশোনায় ভালো ফলাফলের স্বপ্ন দেখলে পরিশ্রম করতে যে উদ্দীপনা আসে, সেটা ডোপামিনের কাজ।
________________________________________
৩. শেখা ও স্মৃতি (Learning & Memory)
• ডোপামিন আমাদের মস্তিষ্ককে নতুন তথ্য গ্রহণ করতে সাহায্য করে।
• এটি শেখার সময় "কোন জিনিসটি ভালো" আর "কোন জিনিসটি এড়িয়ে চলা উচিত" তা মনে রাখতে সহায়তা করে।
________________________________________
৪. চলাফেরা ও শারীরিক নিয়ন্ত্রণ (Movement Control)
• ডোপামিন পেশী ও স্নায়ুর মধ্যে সঠিক সমন্বয় ঘটাতে সাহায্য করে।
• ডোপামিনের ঘাটতি হলে চলাফেরায় সমস্যা হয়, যেমন পারকিনসন’স ডিজিজ (Parkinson’s Disease)।
________________________________________
৫. মানসিক স্বাস্থ্য ও মুড নিয়ন্ত্রণ (Mental Health & Mood)
• ডোপামিনের সঠিক মাত্রা আমাদের মুডকে স্থিতিশীল রাখে।
• ডোপামিন খুব বেশি হলে অতিরিক্ত উত্তেজনা বা ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ দেখা দিতে পারে।
• ডোপামিন কম হলে হতাশা, উদ্যমহীনতা, ক্লান্তি বা ডিপ্রেশন হতে পারে।
ডোপামিন বাড়ানোর ১০টি সহজ উপায়
১. নিয়মিত ব্যায়াম করুন 🏃‍♂️
• হালকা জগিং, সাইক্লিং, যোগ বা স্ট্রেচিংও ডোপামিন বাড়ায়।
• দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করলে ডোপামিনের নিঃসরণ প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি পায়।
________________________________________
২. পর্যাপ্ত ঘুম নিন 😴
• ঘুমের অভাবে ডোপামিনের মাত্রা কমে যায়।
• প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা মানসম্মত ঘুম নিলে ডোপামিন স্বাভাবিক থাকে।
________________________________________
৩. স্বাস্থ্যকর খাবার খান 🥦🍎
• প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম, মাছ, দুধ, ডাল, মুরগির মাংস — এগুলোতে টাইরোসিন থাকে, যা ডোপামিন তৈরিতে সহায়তা করে।
• ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার যেমন সামুদ্রিক মাছ, বাদাম ও বীজ ডোপামিনের কার্যকারিতা বাড়ায়।
________________________________________
৪. সূর্যের আলো নিন ☀️
• প্রতিদিন অন্তত ১৫-২০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকলে ডোপামিন বাড়ে।
• সকালের রোদ বিশেষভাবে উপকারী, কারণ এটি মস্তিষ্কে ডোপামিন রিসেপ্টর সক্রিয় করে।
________________________________________
৫. মেডিটেশন ও শ্বাস-প্রশ্বাস অনুশীলন 🧘‍♀️
• ধ্যান, প্রার্থনা বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস ডোপামিনের মাত্রা বাড়ায়।
• দিনে অন্তত ১০ মিনিট মেডিটেশন করলে মানসিক প্রশান্তি ও মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
________________________________________
৬. লক্ষ্য নির্ধারণ ও সম্পন্ন করা 🎯
• ছোট ছোট লক্ষ্য পূরণ করলে মস্তিষ্ক ডোপামিন নিঃসরণ করে।
• উদাহরণ: আজ ৫ পৃষ্ঠা পড়ব → সম্পন্ন করলেই মস্তিষ্কে পুরস্কারের অনুভূতি তৈরি হয়।
________________________________________
৭. সঙ্গীত শুনুন 🎵
• প্রিয় গান শোনার সময় ডোপামিন নিঃসরণ হয়।
• স্ট্রেস কমাতে ও মুড উন্নত করতে সঙ্গীত থেরাপি খুব কার্যকর।
________________________________________
৮. সোশ্যাল মিডিয়া ও ডোপামিন ড্রেইন এড়িয়ে চলুন 📵
• অতিরিক্ত ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক স্ক্রল করলে কৃত্রিমভাবে ডোপামিন বেড়ে যায়, পরে হঠাৎ কমে গিয়ে ক্লান্তি তৈরি করে।
• সোশ্যাল মিডিয়ার সময় সীমিত করুন।
________________________________________
৯. নতুন কিছু শিখুন 📚
• নতুন স্কিল, ভাষা, বাদ্যযন্ত্র বা যেকোনো নতুন জ্ঞান শেখার সময় ডোপামিন নিঃসৃত হয়।
• শেখার মাধ্যমে মস্তিষ্ক সক্রিয় ও প্রফুল্ল থাকে।
________________________________________
১০. প্রিয়জনের সাথে সময় কাটান ❤️
• বন্ধু, পরিবার বা প্রিয়জনের সাথে কথা বলা, হাসাহাসি করা ডোপামিন বাড়ায়।
• সামাজিক সম্পর্ক মস্তিষ্ককে ইতিবাচক শক্তি দেয়।

Nocturia, Polyuria and Urinary Frequency এর মধ্যে পার্থক্য
03/09/2025

Nocturia, Polyuria and Urinary Frequency এর মধ্যে পার্থক্য

পারকিনসন রোগ (Parkinson's Disease) একটি স্নায়বিক রোগ যা মস্তিষ্কের ডোপামিন উৎপাদনকারী কোষগুলোর ক্ষতির কারণে হয়। এর প্র...
03/09/2025

পারকিনসন রোগ (Parkinson's Disease) একটি স্নায়বিক রোগ যা মস্তিষ্কের ডোপামিন উৎপাদনকারী কোষগুলোর ক্ষতির কারণে হয়। এর প্রধান লক্ষণগুলো হলো হাত-পা কাঁপা, পেশী শক্ত হয়ে যাওয়া, শরীর স্থির রাখতে অসুবিধা এবং ধীরগতিসম্পন্ন চলাফেরা। এটি একটি প্রগতিশীল রোগ, যার অর্থ লক্ষণগুলো সময়ের সাথে সাথে খারাপ হতে থাকে। চিকিৎসার জন্য লেভোডোপা (Levodopa) ওষুধটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
কারণ:
মস্তিষ্কে ডোপামিন নামক রাসায়নিক বার্তাবাহক তৈরি হয়, যা স্বাভাবিক চলাফেরার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পারকিনসন রোগে ডোপামিন উৎপাদনকারী নিউরনগুলো ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত বা নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলে ডোপামিনের অভাব দেখা দেয় এবং মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক কার্যকলাপ ঘটে, যা রোগের লক্ষণ সৃষ্টি করে।
প্রধান লক্ষণসমূহ :
• কম্পন (Tremor):
সাধারণত হাত বা শরীরের একপাশে দেখা যায়।
• ব্র্যাডিকাইনেসিয়া (Bradykinesia):
নড়াচড়া বা গতি ধীর হয়ে যাওয়া।
• অনমনীয়তা (Rigidity):
পেশী শক্ত হয়ে যাওয়া।
• অঙ্গবিন্যাস অস্থিরতা (Postural Instability):
ভারসাম্য বজায় রাখতে অসুবিধা হওয়া।
অন্যান্য লক্ষণ: ধীরে ধীরে কথা বলা, লেখালেখিতে অসুবিধা, মুখেভাবের পরিবর্তন কমে যাওয়া, ঘুমের মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ.
চিকিৎসা:

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
• পারকিনসন রোগের লক্ষণগুলো ধীরে ধীরে প্রকাশ পায় ।
• প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় হলে এর অগ্রগতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

স্বাস্থ্য সচেতনতা............................................... বর্তমানে আমরা ছোটখাটো স্বাস্থ্য সমস্যাগুলিকে উপেক্ষা কর...
02/09/2025

স্বাস্থ্য সচেতনতা...............................................

বর্তমানে আমরা ছোটখাটো স্বাস্থ্য সমস্যাগুলিকে উপেক্ষা করি এবং সেগুলিকে একটি বড় বিষয় বলে মনে করি না, যা পরবর্তীতে বড় ধরনের রোগের একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হয়ে ওঠে । অতএব, প্রত্যেকের উচিত প্রতিটি উপসর্গের প্রতি মনোযোগ দেওয়া । যখন শরীরে প্রায়ই ভিন্নভাবে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তখন পুরো শরীর চেক আপ করা অপরিহার্য । এটি একটি রুটিন পরীক্ষা যাতে শরীরের সমস্ত সিস্টেম পরীক্ষা করা হয়, যেমন রক্ত পরীক্ষা, প্রস্রাব পরীক্ষা, মল পরীক্ষা, ডায়াবেটিস পরীক্ষা, থাইরয়েড পরীক্ষা ইত্যাদি। তবে, পুরো শরীর পরীক্ষা করে রোগগুলি আগে থেকেই সনাক্ত করা উচিত । সর্বোপরি, শরীরকে সুস্থ রাখতে বছরে অন্তত পক্ষে একবার সম্পূর্ণ শরীর চেক আপ করাতে হবে।

বয়স বাড়লেও মস্তিষ্ক সচল রাখার উপায় | ৯টি কার্যকর পদ্ধতিবয়স বাড়লেও মস্তিষ্ক সচল রাখার উপায়১. রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্...
31/08/2025

বয়স বাড়লেও মস্তিষ্ক সচল রাখার উপায় |
৯টি কার্যকর পদ্ধতি
বয়স বাড়লেও মস্তিষ্ক সচল রাখার উপায়
১. রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখুন:
উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, যা মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে এবং ডিমেনশিয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। এই সমস্যা প্রতিরোধ করতে-
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলুন
নিয়মিত হাঁটুন
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন
সময়মতো রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল পরীক্ষা করুন
২. ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপান পরিহার করুন:
ধূমপান ও অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ মস্তিষ্কের কোষ ধ্বংস করতে পারে এবং স্মরণশক্তি দুর্বল করে।
তাই ধূমপান সম্পূর্ণ ত্যাগ করুন এবং মদ্যপানে সীমারেখা টানুন।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম করুন:
নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম রক্তপ্রবাহ বাড়ায় এবং সেটা মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।
হাঁটাহাঁটি করা, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো বা হালকা যোগব্যায়াম মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায়।
যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন তাদের মধ্যে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি এক-তৃতীয়াংশ কম।
৪. পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন:
মস্তিষ্ককে সচল রাখতে এমন খাদ্য বেছে নিন যা পুষ্টিকর।
মস্তিষ্কবান্ধব খাদ্য, যেমন—সবুজ শাকসবজি, বাদাম, বীজ, সামুদ্রিক মাছ, বেরি ফল ও অলিভ অয়েল ইত্যাদি। এছাড়াও ‘মাইন্ড ডায়েট’ অনুসরণ করলে মস্তিষ্কের বয়সজনিত ক্ষয় কমে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
৫. মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখুন:
আপনার চিন্তাভাবনাকে সচল রাখতে নতুন কিছু শিখুন।
যেমন নতুন ভাষা শেখা, বাদ্যযন্ত্র বাজানো, বই পড়া, গল্প লেখা ইত্যাদি।
এধরনের কাজ মস্তিষ্কের নিউরনগুলো সক্রিয় রাখে এবং বয়সের সাথে সাথে এর কার্যক্ষমতা কমে না।
৬. সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখুন:
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা একাকীত্বে ভোগেন তাদের মস্তিষ্কের ধূসর পদার্থ কমে যায় এবং ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি ২৬%-২৮% বেড়ে যায়।
তাই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিন।
প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখুন।
৭. নিয়মিত যৌন জীবন বজায় রাখুন:
অনেকেই যৌন জীবনের গুরুত্ব ভুলে যান বয়স বাড়লে, কিন্তু এটি শুধু সম্পর্ক নয়, মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী। যৌন তৃপ্তি মানে মানসিক ও শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা, যা মস্তিষ্ককে তরতাজা রাখে।
৮. মস্তিষ্কের খেলা খেলুন:
স্মরণশক্তি ও চিন্তাশক্তি বাড়াতে পাজল, দাবা, স্যুডোকু বা স্মৃতিনির্ভর খেলা খেলতে পারেন।
যদিও এগুলো ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ করে না, তবে এটি আপনার বুদ্ধির পরীক্ষা ও প্রশিক্ষণের কাজ করে।
৯. পর্যাপ্ত ঘুমান:
ঘুমের সময় মস্তিষ্ক বর্জ্য পদার্থ দূর করে, যা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমায়।
দিনে অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা গভীর ও টানা ঘুম দরকার।
যারা দিনে ৫ ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ এবং মৃত্যুঝুঁকি ২.৪ গুণ বেশি।
মস্তিষ্কের সুস্থতা বজায় রাখা কোনো কঠিন কাজ নয়। একটু সচেতনতা, নিয়মিত অভ্যাস এবং ইতিবাচক জীবনধারা গড়ে তুললেই বয়স বাড়লেও বুদ্ধি ও স্মৃতি ধরে রাখা যায়।

Iron Deficiency Anemia led to...........
29/08/2025

Iron Deficiency Anemia led to...........

28/08/2025

good night all Facebook friends and well wishers.

17/07/2025

Good morning

I gained 53 followers, created 9 posts and received 11 reactions in the past 90 days! Thank you all for your continued s...
17/07/2025

I gained 53 followers, created 9 posts and received 11 reactions in the past 90 days! Thank you all for your continued support. I could not have done it without you. 🙏🤗🎉

বারবার চেষ্টা করেও সিগারেট খাওয়া ছাড়তে পারছেন না! তাহলে জানুন সহজ উপায়।ধূমপান একবার অভ্যাসে পরিণত হলে তা থেকে মুক্তি ...
28/06/2025

বারবার চেষ্টা করেও সিগারেট খাওয়া ছাড়তে পারছেন না! তাহলে জানুন সহজ উপায়।
ধূমপান একবার অভ্যাসে পরিণত হলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া অনেকের কাছেই অসম্ভব মনে হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সঠিক মানসিক প্রস্তুতি আর কিছু সহজ কৌশল অনুসরণ করলেই সিগারেট ছাড়ার পথটা হয়ে উঠতে পারে একদম সহজ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিগারেট ছাড়তে চাইলে আগে প্রয়োজন মনের শক্তি এবং দৃঢ় সিদ্ধান্ত। যাদের ইচ্ছাশক্তি দৃঢ়, তারা ধাপে ধাপে সিগারেটের পরিমাণ কমিয়ে একসময় সম্পূর্ণভাবে ছাড়তে সক্ষম হন।

১. মানসিক প্রস্তুতি নিন
সিগারেট ছাড়ার প্রথম ধাপ হলো নিজেকে বোঝানো—‘আমি কেন সিগারেট ছাড়তে চাই?’ নিজের পরিবারের মুখ, নিজের শরীরের ক্ষতি ও ভবিষ্যতের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিন। মনে রাখবেন, আপনার ইচ্ছাই সবচেয়ে বড় শক্তি।

২. ধাপে ধাপে ছাড়ুন—হঠাৎ নয়
একদিনেই সিগারেট ছাড়ার চেষ্টা না করে ধীরে ধীরে কমিয়ে আনুন। যেমন, দিনে ১০টি খেলে তা প্রথমে ৫টি, এরপর ৩টি, তারপর একেবারে বন্ধ করুন। এতে শরীর ও মন দুটোই প্রস্তুত হয়।

৩. বিকল্প অভ্যাস গড়ে তুলুন
হাত ও মুখ ব্যস্ত রাখতে পারেন চুইংগাম, বাদাম, লজেন্স বা পানির বোতল সাথে রাখুন। কেউ কেউ হালকা হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়ামের অভ্যাস করেও উপকার পান।

৪. ট্রিগার এড়িয়ে চলুন
চা-কফি, বন্ধুদের আড্ডা কিংবা মানসিক চাপে অনেকেই সিগারেট খেতে চান। এই পরিস্থিতিগুলো আগে থেকেই চিহ্নিত করুন এবং এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে পরিবেশ পরিবর্তন করুন।

৫. সাপোর্ট সিস্টেম গড়ে তুলুন
আপনার পরিবারের সদস্য, কাছের বন্ধু বা সহকর্মীদের জানিয়ে দিন আপনি সিগারেট ছাড়ছেন। তারা আপনার পাশে থাকবে, উৎসাহ দেবে এবং দুর্বল সময়ে আপনাকে ঠেকাতে সাহায্য করবে।

৬. মোবাইল অ্যাপ ও মেডিটেশনের সাহায্য নিন
বর্তমানে অনেক মোবাইল অ্যাপ রয়েছে যা ধূমপান ছাড়ার অগ্রগতি ট্র্যাক করে। একইসঙ্গে মেডিটেশন বা মাইন্ডফুলনেস মনোসংযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।

৭. চিকিৎসকের সহায়তা নিন
নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (যেমন: নিকোটিন গাম, প্যাচ) নেওয়ার দরকার হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এগোলে ধূমপান ছাড়া সহজ হয়।

সিগারেট ছাড়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো নিজের ইচ্ছাশক্তিকে জাগিয়ে তোলা। ধীরে ধীরে অভ্যাস পরিবর্তন করে নিজেকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনের দিকে এগিয়ে নিন। মনে রাখুন, আপনি পারবেন—এই বিশ্বাসই সবচেয়ে বড় শক্তি।

শুভ অপরাহ্ন
18/05/2025

শুভ অপরাহ্ন

05/05/2025

Address

Dhaka

Telephone

+8801774710558

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tanim healthcare Solution posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Practice

Send a message to Tanim healthcare Solution:

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram