পেশেন্ট: ১: বয়স ২০ সমস্যা: সন্তান হয়না, স্বামী আসলে যৌনখমতা হারিয়ে ফেলে, ধারনা করেছিলো কেউ তাবিজ করেছে। রুকইয়াহ করছিলাম, রুকইয়ার গোসল কিছুদিন সাজেশন ছিলো , আল-হামদুলিল্লাহ। এরপর সন্তান ধারণ করেছে ডেলিভারি হয়েছে। কিন্তু তার শাশুরী জোড় করে আবার তাবিজ তাগা বাচ্চার গায়ে দেয়। .
পেশেন্ট: ২ : বয়স ৬ মাস। মাঝে মাঝে বদনজর লাগে, দুধ খেতে চায়না, অতিরিক্ত কান্নাকাটি করে । রুকইয়াহ করার পর ঠিক হয়ে যায়। আল-হামদুলিল্লাহ।
পেশেন্ট: ৩ : বয়স ৩২ হবে। সমস্যা : সন্তান হয়না। একটা পরামর্শ দিলাম ২/৩ মাস ফলো করলো আল-হামদুলিল্লাহ এরপর পেটে বাবু আসলো আল্লাহর রহমতে। . এরকম ৫জন নি:সন্তান দম্পতিকে পরামর্শ দিলাম যে ২জন ফলো করছিলো তাদের কাজ হয়েছে বাকি তিন জন হয়নি।
পেশেন্ট: ৪: বয়স ৪০ হবে: সমস্যা: জীন চালান দিয়ে বান মেরেছে পাগল বানানোর জন্য। এখনো মাঝে মাঝে পাগলামী করে। আমি রুকইয়াহ করছিলাম। জীন আসছিলো শরীরে বলছিলো চলে গেছে কিন্তু যায়নি, আরও রুকইয়াহ করতে বলছিলাম, পরামর্শ দিলাম। কিন্তু তারা কবিরাজ ও তাবিজ কবজে বিশ্বাসী। তাই ওদের কাছেই ধরনা দিচ্ছে এখনো। . হ্যা এগুলো সবই ছিলো ফ্রি পরামর্শ নিজ আত্বীয়স্বজনদের মধ্যে ।
এখন কিন্তু হাদিয়া ছাড়া হয়না। ফ্রি পরামর্শ দিলে অনেকেই ফলো করেনা গুরুত্বদেয়না। . আরও কিছু রুকইয়াহ চলমান । আর নিজের ও নিজের ফ্যামিলির রুকইয়াহ তো মাঝে মাঝে করাই লাগে।
কারও রুকইয়াহ করলে মাঝে মাঝে জীনেরা এসে উতপাত করে।
কিন্তু আল্লাহর কুরআনের কাছে টিকতে পারেনা। আল-হামদুলিল্লাহ।
.
রুকইয়াহ কেস স্টাডি: পেশেন্ট:৫: ছেলে
সমস্যা: জাদুর মাধ্যমে অসুস্থ করা হয়েছে ও মাঝে মাঝে জীনে সমস্যা করে।
.
বয়স: ২১/২২ হবে। জণৈক মহিলা হুমকী দিয়ে তাকে জাদু করেছিলো তার বোনকে বিয়ে না করার কারণে । বিভিন্ন সময় তাবিজ বাসায় রেখে যেতো কখনো কাফনের কাপর দিয়ে জাদু করতো ইত্যাদি। ইত্যাদি।
.
চিকিতসা যা যা করেছেণ:
ভাইটি অনেক ডাক্তার দেখিয়েছেন টেস্ট রিপোর্ট নরমাল কোন সমস্যা নেই। অথচ তিনি প্রায়ই অসুস্থ থাকেন, শুকিয়ে গেছেন, চেহাড়া খারাপ হয়ে গেছে, অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ হয়, পেটে ব্যাথা, পাতলা পায়খানা, মাঝে মাঝে কয়েক সেকেন্ডের জন নাকি হার্টবিট বন্ধ হয়ে যেতো, শারিরিক দুর্বলতা লেগেই থাকতো। রাত্রিতে ঘুমাতে পারতোনা, ওষুধে কোন কাজ করতো না।
হালিখানেক কবিরাজ দেখিয়েছেন তাবিজ তেল-পড়া দিছে, কোন উপকার হয়নি বরং সমস্যা আরও বাড়ছে।
এরপর রোগী অনেক তাবিজ ফেলে দিয়েছে সমস্যা বাড়ার কারণে। রোগী নিজে বলতো যে সে আর বাচঁবেনা, মা-বাবা তো তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরে গেছেন। আর কবিরাজ নাকি তাকে বলছিলো যে তার কর্ম নষ্ট্ করে দেয়া হয়েছে জাদুর মাধ্যেমে তিনি কিছু করতে গেলেই বিপদ ঘটতো সফল হতোনা।
.
এই রোগীকে এক দীনি ভাই আমার কাছে পাঠিয়েছিলেন। আমি আগে রোগীকে বললাম যেখানে যা তাবিজ আছে ও কবিরাজের তেলপড়া পানিপড়া আছে সব নিয়ে আসতে তিনি নিয়ে আসলেন।
.
প্রথমে আমি কবিরাজের দেয়া সবগুলো তাবিজ কবজ, করি,লোহাপড়া, গামছা পড়া, পড়া তেল, মধু রুকইয়াহর পানিতে গুলিয়ে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে নষ্ট করলাম (মূলত আল্লাহই নষ্ট করে দেন)।
এবং সেগুলো দূরে কোথাও ফেলে দিতে আসতে বললাম । তিনি তা করলেন।
.
এরপর তাকে বললাম এই চিকিতসা সম্পূর্ণ আল্লাহর উপর ভরসা করে চালাতে হবে আপনাকে নিয়মিত কুরআন তিলওয়াত শুনতে অথবা করতে হবে, সলাত ঠিকমতো পড়তে হেব। তিনকুল, আয়াতুল কুরসী পড়ে শরীর মাসেহ করে ঘুমাতে বললাম । তাকে কিছু আমল সাজেস্ট করলাম ফলোও করার জন্য।
.
রুকইয়ার সময় প্রতিক্রিয়া:
তাবিজ নষ্ট করার পরের দিন রুকইয়াহ শুরু করলাম।মাথা গরম হয়ে যাচ্ছিল তেলওয়াত করা শুরু করলে। শুরুতে বলছিলো যে তার তেলওয়াত শুনে নাকি হাসি পাচ্ছিলো, তার ভঙ্গিটাও খুব ভয়ানক ছিলো। কয়েকবার দেখলাম গা কেপেঁ উঠছে। একবার মনে হলো পরে যাবে। অনেকক্ষন তেলওয়াতের পরও কোন জীন আসেনি তবে জীনের প্রবলেম হয়তো ছিলো, পরে আর একদিন রুকইয়াহ করে দেখতে হবে। কারণ তার কানে ফিস ফিস শব্দ আসতো আর বাহিরের শব্দ কানে বেশী আসতো। আর বললো যে রুকইয়াহ করার কালীন মনে হচ্ছিলযে কে যেনো সিড়িতে হেটে আসতেছে এরকম ।
.
রুকইয়াহ পরবর্তী পদক্ষেপ:
রুকইয়াহর পর প্রতিদিন রুকইয়ার পানি, মধু ও কালোজিরা তেল ব্যবহারের জন্য পড়ে দিলাম। আর বড়ই পাতার গোসল তখনই একবার করালাম। গোসলের পর বললো আল-হামদুলিল্লাহ শরীর ভালো লাগছে।
.
রুকইয়াহ করার রাত্রির আপডেট:
রোগী যেখানে থাকে সেখানে রাত্রীতে জীনেরা এসে রুমের অনেককে ডিস্টার্ব দিছে ভয় দেখিয়েছে, তবে রোগীকে ছাড়া। আমাদেরও ডিস্টার্ব দিছে।
.
রুকইয়াহর পরের আপডেট:
দুর্বলতা কমে গেছে, আগের চেয়ে ভালো লাগছে শরীর , রাতে আগে ঘুমাতে পারতোনা এখন পারতেছে আল-হামদুলিল্লাহ আগের চেয়ে উনি সুস্থ। সর্বশেষ আপডেট উনি সুস্থ আল-হামদুলিল্লাহ, তবে মাথা ব্যাথাটা রয়ে গেছে এর জন্য হিজামা করাতে সাজেস্ট করেছি। যেহেতু জাদু করছিলো তার প্রভাবে হয়তো মাথা ব্যাথাটা রয়ে গেছে। ইনশ-আল্লাহ আল্লাহ সুস্থতা দান করবেন।
.
দেখুন এই রোগিটি ও তার পরিবার মনে করেছিলো সে হয়তো আর বেশিদিন বাচবেনা।
আল্লাহর কুরআনের আয়াতের কি শিফা আল্লাহু আকবার।
রুকইয়াহ করার কয়েকদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠলেন। আল-হামদুলিল্লাহ।
.
এই কুরআন মুমিনদের জন্য শেফা ।
কে আছে এমন যে কুরআন থেকে উপদেশবাণী গ্রহন করবে ???
.
.
রুকইয়াহ সাকসেস স্টোরি পেশেন্ট: ০৬
১০দিন আগে এক দীনি ভাইয়ের রুকইয়াহ করছিলাম।
আজকেও খবর নিলাম। উনি সুস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আল-হামদুলিল্লাহ।
সমস্যা ছিল উনি বাসে উঠে যিকির তাসবিহ তাহলিল করলে মাথায় প্রচন্ড ব্যাথা আসতো। তিনি বলছিলেন তার মনে হচ্ছিল যে তিনি পাগল হয়ে যাবেন এরকম ব্যাথা আসতো।
রুকইয়াহ করার সময় ওনার মাথা প্রথমে গরম হয়ে গেছিল।
১ম বার রুকইয়াহর পর ২য়বার শুধু আয়াতে শিফা দিয়ে রুকইয়াহ করার পর মাথা ঠান্ডা হয়েছিল। তখন আমি ধারনা করছিলাম হয়তো আল্লাহ ভালো করে দিয়েছেন ওনার সমস্যা।
আল-হামদুলিল্লাহ আজকে উনি তাসবিহ তাহলিল করছেন বাসে উঠে কয়েকবার কোন সমস্যা হয়নি জানিয়েছেন। উনি শুকরিয়াহ আদায় করছেন।
রব্বানা লাকাল হামদ।
এই কুরআন মুমিনদের জন্য শিফা। আল্লাহই রোগমুক্ত করেন।
কেস স্টাডি লিখতে খুব অলসতা লাগে।
আর লিখবো কি???
#রুকইয়াহ সাকসেস স্টোরিঃ
পেশেন্ট ঃ ছেলে বয়স ১১। মাদ্রাসার ছাত্র।
সমস্যা ঃ জীন আক্রান্তের।
পূর্বের কাহিনীঃ
একবার একটা মুসলিম জীন রোগীর শরীরে এসে আর একটা মূরতাদ জীনকে ছুরি দিয়ে হত্যা করে ফেলে। কারন ঐ জীনটা আগে মুসলিম ছিলো পরে হিন্দু হয়ে মূরতাদ হয়ে গেছে। মুসলিম জীনরা মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে মূরতাদ জীনটা মসজিদের বাইরে ঢোল বাজাইতো। তাই ওরে মুসলিম জীনটা মেরে ফেলে।
পরের ঘটনাঃ ওই মূরতাদ জীনের বউ তার সামী হত্যার প্রতিশোধ নিতে রোগীর শরীরে এসে ভর করে, পিছন দিয়ে ধাক্কা দেয় আরও ঝামেলা করে, ইত্যাদি।
সর্বশেষ সমস্যা করছে রোগীকে একনাগাড়ে ১৩ দিনে কোন টয়লেট করতে দেয়নি। পেট ফোলাভাব ছিলো।
আমার সাথে আর এক রাকি ভাই যোগাযোগ করে পরের দিনের সিরিয়াল দেয়ার পর আল-হামদুলিল্লাহ অই দিন রাতেই রোগী টয়লেট করতে পারছে।
আমার করা রুকইয়াহ ঃ পরের দিন রুকইয়াহ করার ১ঘনটার মধে জোকারের মত চেহারা নিয়ে রোগীর চোখের সামনে আসছিলো। কিছুক্ষন তেলওয়াতের পরে চলে যেতে বলার পর, বের হয়ে যায়।
শেষখবর পাওয়া পযন্ত রোগী সুস্থ ও সাভাবিক আছে আল-হামদুলিল্লাহ।
#রুকইয়াহ সাকসেস স্টোরি:
পেশেন্ট: ছেলে।
বয়স: ১৬বছর
সমস্যা: প্রায় ২/৩বছর ধরে সপ্তাহে ৫-৬দিন সপ্নদোষ হয় যার কারনে দিন শুকিয়ে গেছে। আর সপ্নে দেখে এক মহিলা জীনকে সহবাস করতে।
যেসব চিকিতসা নিয়েছেন:
১ম: ডাক্তারি চিকিতসা করে কোন লাভ হয়নি।
২য়:কবিরাজী কুফুরী ভন্ডামি চিকিতসা করে অনেক টাকা খরচ করেছেন ভালো হয়নি।
৩য়: হুজুর/মসজিদের ইমাম কর্তৃক দেয়া শিরকী তাবিজ তদবির ইউজ করেও উপকার পাননি।
অবশেষে আমার কাছে এক আন্টি রেফার করে পাঠিয়েছেন।
আমার করা রুকইয়াহ:
রুকইয়াহর ১ম দিন:
আমি একদিন রুকইয়াহ করলাম সামান্য কিছু ইফেক্ট হলো রুকইয়াহর তেলওয়াত শুনতে শুনতে রোগী ঘুমিয়ে গেলো, আমি রুকইয়াহ চালিয়ে গেলাম।
আল-হামদুলিল্লাহ হয়তোবা রুকইয়াহতে কাজ হয়েছে। তবে কোন জীন আসেনি।
কিছুদিন আমার দেয়া প্রেসক্রিপশন ফলো করতে বললাম।
১৫দিন পর জানালো সমস্যা এখনো ভালো হয়নি।
আমি বললাম আর একদিন রুকইয়াহ করে দেখি আমার বাসায় নিয়ে আসেন।
রুকইয়াহর ২য়দিন:
জাস্ট ১.৩০ঘন্টার মতো রুকইয়াহ করলাম। ইফেক্ট খুব কম দেখতে পেলাম রোগীর শরীরে।
যাই হউক আরও ১০দিন আমার দেয়া পরামর্শ ফলো করে জানাতে বললাম।
রুকইয়াহর পরবর্তি আপডেট:
৫/৬দিন পর জানালো আমি যেদিন লাস্ট রুকইয়াহ করেছি তার পরের দিনই শুধু স্বপ্নদোষ হয়েছে।
এরপর পরের দিন থেকে সুস্থ আর সপ্নদোষ আগেরমতো কন্টিনিউ ৫/৬দিন হয়নাই।
এখন পর্যন্ত পুরোপুরি সুস্থ আছে রোগীর মা খুব খুশি মনেই কল করেই জানালো আল-হামদুলিল্লাহ।
এরকম আরও কিছু সাকসেস স্টোরি আছে সংক্ষেপে লিখবো ইনশ-আল্লাহ।
.
#রুকইয়াহ সাকসেস স্টোরি:
পেশেন্ট: মেয়ে।
বয়স: ২৩বছর
আল-হামদুলিল্লাহ।
৪টা জীন আল্লাহর দেয়া আগুনে জলেপুরে শেষ, ১,টা তাওবা করে কোনরকম জান নিয়ে পালিয়েছে।
আল্লাহ রোগীকে সাহায্য করছেন।
কখনো তরবারি, কখনো জলন্ত আগুন, ঝাক্কুম গাছে, কখনও বা পাথর দিয়ে।
দেখলাম রোগী এগুলো হাতে নিয়ে ওদের গায়ে আঘাত করছে এতে নিহত হয় এরপর আগুন আসছে হাতে তা দিয়ে জালিয়ে দিয়েছে পুড়ে ছাড়খাড় হয়ে ছাই হয়ে গেছে।
রোগী ঈমানী দৃড়তার কারনেই নিজেই ৪টা জীনরে মেরে জালিয়ে দিতে পেরেছে আল্লাহর সাহায্যে।
রব্বান লাকাল হামদ।
এটা আমার করা রুকইয়াহর রেয়ার টপ কেস, একেই বলে আল্লাহর সাহায্য বা নুসরত।
এর আগে ৩দিন পরপর রুকইয়াহ করছিলাম জীন আসে নাই আজকে শেষ চেষ্টায় আল্লাহ সাহায্য করছেন।
যারা অনেকদিন রুকইয়াহ করে হতাশ হয়েছেন হতাশ হবেন না।
আল্লাহর কাছে সাহায্য চান কান্নাকাটি করুন সিজদাহ পড়ে এরপর আবার রুকইয়াহ করুন।
বিস্তারিত কেস স্টাডি লিখবো ইনশাআল্লাহ।
.
#রুকইয়াহ কেস স্টাডি: ০৭
পেশেন্ট: বিবাহিত মহিলা
কেস স্টাডি লিখেছেন ও রুকইয়াহ করেছেন: গাজী মুহাম্মাদ তানজিল
সমস্যা: জাগ্রত অবস্থায় সাপ দেথে,ঘুমের ভিতরও দেখে সাপ পেচিয়ে আছে কামর দেয় এরপর থেকে অনেকদিন অসুস্থ্। স্থাস্থ্য ভেঙে গেছে। ডাক্তার দেখিয়েছে ওনেক অবস্থার উ্ন্নতি হয়নি। এটাতো আসলে ডাক্তারের কাজ না, তারা পারবে জীন-জাদুর সমস্যাকে মানসিক সমস্যা বলে চালিয়ে দিতে, পাগলামি করলে ঘুমের ওষুধ/ইন্জেকশন দিয়ে ঘুম পারিয়ে রাখতে।
রুকইয়াহর মাধ্যমে আমার ট্রিটমেন্ট:
রুকইয়াহ সাপোর্ট বিডি গ্রপের এডমিন একভাই রোগীকে আমার কাছে রেফার করেছিলেন।
আসুন এবার বিস্তারিত জানি:
রুকইয়াহর ১ম দিন:
রোগী মনে করে তার কোন সমস্যৗা নেই জীন কেন্দ্রীক। তো তাকে বুঝিয়ে বলে রুকইয়াহ শুরু করলাম ২৫ মিনিটের মাথায় শরীরে ব্যাথা শুরু হলো রোগী শুয়ে পড়লো এরপর অজ্ঞান হয়ে গেলো। জীন আসলো চান্দুরে আটাকালাম। খালি কয় ছাইরা দে মোরে ওরে মাইরা ফালামু। যাই হউক কিছুক্ষন শাস্তি দিলাম শাস্তি সহ্য না করে ভাগছে ।
এরপর আবার তেলওয়াত শুরু করলাম আবার একটা বোবা জীন আসলো কথা বলেনা কোনমতে তাড়ালাম।আবার তেলওয়াত করলাম আরও একটা আসলো বোবা এটাও আল্লাহর রহমতে ছেড়ে গেছে।
আবার তেলওয়াত করলাম আরও একটা আসলো এটাও আল্লাহর রহমতে ছেড়ে গেছে।
তাহলে ১মদিন মোট ৪টা বের হলো। এতগুলো জীনের ক্ষতির কারনে রোগীর শরীর দূর্বল এতটাই হয়ৈছে যে তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারছেন না
রুকইয়াহর ২য় দিন:
২য় দিন আগের চেয়ে অনেক সুস্থ আল-হামদুলিল্লাহ।
রুকইয়াহ করলাম ২ ঘন্টার মতো আরও১টা জীন আসলো । আল্লাহর রহমতে বের হলো।
রোগী অনেকটা সুস্থ। তারপরও কিছু প্রবলেম ছিলো।
রুকইয়াহর ৩য় দিন:
আমি গিয়ে রোগীর সাথে কথা বলতেই রোগীর কাপাঁকাপিঁ শুরু হলো একটু তেলওয়াত করতেই যোবায়ের নামক ৬৮ বছর বয়সী এক মুসলিম জীন চলে আসলো সে সব ঘটনা খুলে বললো।
মূলত মহিলার শাশুরী তার ছেলে ও বউকে বশে রাখার জন্য ভন্ড হুজুর দিয়ে বশ করার জাদু করে জীন চালান দিছে। এই কারণে মহিলার শরীরে জীন এসে থাকে।
আর একটা জীন আসছিলে এ কারণে যে রোগী বারান্দায় ঝাড়ু দিচ্ছিলো তখন জীনের গায়ে আঘাত লাগছে তার প্রতিশোধ নিতে। আর রোগী একটা মাছি মেরে ছিলো যেটি ছিলো মহিলার শরীরে আসা হিন্দু জীন দেবাশীষ এর বউ। আমি মুসলিম জীন যোবায়ের এর কথা সবগুলো বাস্তবে যাচাই করে নিশ্চিত হয়েছি।
তাকে নাসিহাহ দিয়েছি।আয়তাল কুরসী পড়তে পারে শুনলাম, মসজিদে গিয়ে সে নামাযও পরে, রোগীর একটা ভালো কাজ দেখেছিলো তাই রোগীর উপকার করার জন্য এসেছিলো।
সে আমার সব কথা শুনছে ঘাড় তেড়ামি করে নাই তাই যোবায়ের জীনকে কোন শাস্তি দেইনাই। আল্লাহর নামে শপথ করিয়ে ছেড়ে দিছি।
.
পরবর্তী আপডেট:
রোগী কিছুদিন সুস্থ ছিলো।
তারপর জানালো একটু সমস্য হয়েছে আবার এরপর আর আপডেট জানেতে পারিনি।
.
এরকম অসংখ্য রুকইয়াহর কেস জমা আছে লেখার সময় পাচ্ছি না।
সময় পেলে লিখবো জাস্ট কুরআনিক চিকিতসা সম্পর্কে জানানোর জন্য ইনশ-আল্লাহ।