Dr. Noman

Dr. Noman MBBS (General Physician)

প্রচণ্ড গরমে আমাদের শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যেমন হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন, মাথাব্যথা, দুর্বলতা ইত্যাদি। ত...
18/05/2025

প্রচণ্ড গরমে আমাদের শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যেমন হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন, মাথাব্যথা, দুর্বলতা ইত্যাদি। তাই চিকিৎসকদের মতে গরমে সুস্থ থাকার জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। নিচে ডাক্তারদের সাধারণ কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:

🔆 প্রচণ্ড গরমে করণীয়
:
💧 প্রচুর পানি পান করুন:

দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

ডিহাইড্রেশন রোধে ওরস্যালাইন বা লবণ-চিনি মিশ্রিত পানি খেতে পারেন।

🧴 সূর্যের আলো এড়িয়ে চলুন:

সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রোদ এড়িয়ে চলুন।

বাহিরে গেলে ছাতা, টুপি, সানগ্লাস ও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

👕 হালকা ও সুতির পোশাক পরুন:

হালকা রঙের ও ঢিলেঢালা সুতির কাপড় পরা উচিত।

🍉 তাজা ফল ও শাকসবজি খান:

তরমুজ, শসা, ডাবের পানি ইত্যাদি শরীর ঠাণ্ডা রাখে।

তৈলাক্ত ও ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন।

❄️ ঠাণ্ডা পরিবেশে থাকুন:

সম্ভব হলে ফ্যান বা এ.সি. চালিয়ে রাখুন।

সরাসরি রোদে হাঁটাহাঁটি করা এড়িয়ে চলুন।

🚫 ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকুন:

এগুলো শরীর আরও পানিশূন্য করে তোলে।

⚕️ সমস্যা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:

অতিরিক্ত দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, জ্বর বা বমি হলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।

আপনি যদি বাচ্চা, বয়স্ক, বা ডায়াবেটিস/হৃদরোগ/উচ্চ রক্তচাপের রোগী হন, তাহলে আরও সতর্ক থাকা জরুরি।

ডা: আব্দুল্লাহ আল নোমান
মেডিক্যাল অফিসার
নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র
এক্স মেডিকেল অফিসার বসুন্ধরা আদ্ দ্বীন মেডিকেলে কলেজ, ঢাকা। (মেডিসিন ডিপার্টমেন্ট)

নারীরা ৩ হরমোনজনিত সমস্যায় বেশি ভোগেন :বয়সভেদে নারীর বিভিন্ন হরমোনজনিত সমস্যা হতে দেখা যায়। যেমন শৈশব-কৈশোরে থাইরয়েড বা ...
11/01/2025

নারীরা ৩ হরমোনজনিত সমস্যায় বেশি ভোগেন :

বয়সভেদে নারীর বিভিন্ন হরমোনজনিত সমস্যা হতে দেখা যায়। যেমন শৈশব-কৈশোরে থাইরয়েড বা স্টেরয়েড বা গ্রোথ হরমোনের অসামঞ্জস্যের কারণে অনেকে খর্বকায় হয়, স্থূলকায় হয়ে পরে বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশে সমস্যা হয়।

নারীদের হরমোনজনিত সমস্যাগুলো বেশ সাধারণ এবং এগুলো বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। জেনে নিন ৩টি হরমোন সমস্যা সম্পর্কে যা নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়-

১.ইস্ট্রোজেনের ভারসাম্যহীনতা: ইস্ট্রোজেন হরমোন নারীদের প্রজনন এবং মাসিক চক্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত বা কম ইস্ট্রোজেন শরীরে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এর তিনটি কারণও রয়েছে, মেনোপজ বা পেরিমেনোপজ। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল বা হরমোনাল চিকিৎসা।

উপসর্গ হিসেবে আপনি দেখবেন, অনিয়মিত মাসিক, ত্বকের সমস্যা, যেমন ব্রণ। ওজন বৃদ্ধি বা শরীরের ফ্যাট জমে যাওয়া। মেজাজ পরিবর্তন, যেমন ডিপ্রেশন বা অস্থিরতা।



২. থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা: থাইরয়েড হরমোন শরীরের মেটাবলিজম এবং শক্তি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হাইপোথাইরয়েডিজম (কম থাইরয়েড) বা হাইপারথাইরয়েডিজম (বেশি থাইরয়েড) নারীস্বাস্থ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এর কারণ হতে পারে- অটোইমিউন রোগ (হাশিমোটো বা গ্রেভস ডিজিজ)। আয়োডিনের অভাব বা অতিরিক্ততা। পারিবারিক ইতিহাস।

উপসর্গ হতে পারে- ক্লান্তি বা দুর্বলতা, অনিয়মিত মাসিক চক্র, চুল পড়া বা চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, ওজন কমা বা বেড়ে যাওয়া।



৩. ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম: পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম একটি হরমোনজনিত সমস্যা যা ওভারিতে সিস্ট তৈরি করে এবং ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সাথে সম্পর্কিত। এর কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা। জেনেটিক ফ্যাক্টরও রয়েছে।

উপসর্গ হতে পারে- অনিয়মিত বা বন্ধ মাসিক, অতিরিক্ত চুলপড়া বা ব্রণ। ওজন বৃদ্ধি, বিশেষত পেটের চারপাশে। বন্ধ্যাত্বও হতে পারে।

প্রতিরোধ এবং ব্যবস্থাপনা-

১. সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা।

২. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো।

৩. চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনমতো হরমোনাল থেরাপি বা ওষুধ গ্রহণ।

৪. মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান এবং রিল্যাক্সেশন পদ্ধতি অনুসরণ করা

যদি কোনো নির্দিষ্ট উপসর্গ দেখা দেয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

Courtesy
Dr. Abdulla Al Noman

10/11/2024

হঠাৎ ভালো লাগা হঠাৎ খারাপ লাগা একটা মানুষের মধ্যে যে অস্থিরতা সৃষ্টি করে সেটা সেই মানুষ ছাড়া অন্য কেউ বুঝবে না। এটাকে সাইক্রাইটির ভাষায় বাইপোলার ডিসঅর্ডার বলে।

ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় জর্জ: তৃতীয় জর্জ সম্ভবত পাগল রাজাদের মধ্যে সবচেয়ে সুপরিচিত। তিনি আমেরিকান বিপ্লবের সময় ইংল্যা...
28/10/2024

ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় জর্জ: তৃতীয় জর্জ সম্ভবত পাগল রাজাদের মধ্যে সবচেয়ে সুপরিচিত। তিনি আমেরিকান বিপ্লবের সময় ইংল্যান্ড শাসন করেছিলেন এবং একটি রহস্যময় অসুস্থতায় ভুগছিলেন যার কারণে তিনি মানসিক অস্থিরতার সম্মুখীন হন। কিছু ইতিহাসবিদ বিশ্বাস করেন যে তার বাইপোলার ডিসঅর্ডার।

Dr. Noman

Loading............

Big shout out to my newest top fans! 💎 ßarna Mirja, Md Nishan Ali
26/10/2024

Big shout out to my newest top fans! 💎 ßarna Mirja, Md Nishan Ali

চিয়া সিড কী? চিয়া সিড একটি গাছের বীজ। শস্যে জাতীয় উদ্ভিদ যা মরুভূমিতেই বেশি জন্মায়। জানা যায়, প্রাচীন অ্যাজটেক জাতির প্র...
25/10/2024

চিয়া সিড কী?

চিয়া সিড একটি গাছের বীজ। শস্যে জাতীয় উদ্ভিদ যা মরুভূমিতেই বেশি জন্মায়। জানা যায়, প্রাচীন অ্যাজটেক জাতির প্রধান খাদ্য তালিকায় এটি রাখা হতো। চিয়া সিড দেখতে অনেকটা তিলের দানার মতো। আমেরিকা ও মেক্সিকোতে চিয়া নামে এক ধরনের গাছ হয়। এই গাছের বীজকেই চিয়া সিড বলে।


একনজরে চিয়া সিড এর উপকারিতা ও অপকারিতা

চিয়া সিডে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এতে দুধের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম, কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি, পালংশাকের চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন, কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম, মুরগির ডিম থেকে ৩ গুণ বেশি প্রোটিন, স্যামন মাছের চেয়ে ৮ গুণ বেশি ওমেগা-৩ রয়েছে।
এতে আরও রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ।



চিয়া সিড এর উপকারিতা

১. পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, চিয়া সিডে রয়েছে ওমেগা-৩ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।

২. ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর করতে কাজ করে এই বীজ।
৩. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
৪. মেটাবলিক সিস্টেমকে উন্নত করে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
৫. ডায়বেটিসের ঝুঁকিও কমে যায় এই বীজ খেলে।
৬. চিয়া সিড কোলন পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে তাই কোলন ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে।
৭. এটিতে অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে যায়।


চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম


পানিতে ভিজিয়ে সহজেই খাওয়া যায় চিয়া সিড। চাইলে ওটস, পুডিং, জুস, স্মুথি ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়েও খেয়ে নেয়া যায়। এ ছাড়া কেউ চাইলে টকদই, সিরিয়াল, রান্না করা সবজি বা সালাদের ওপরে ছড়িয়েও খেতে পারেন। স্বাভাবিক পানি কিংবা হালকা কুসুম গরম পানিতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখবেন চিয়া সিড। এরপর সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। আবার ঘুমানোর আগেও এটি খাওয়া যায়।


চিয়া সিড এর অপকারিতা

১. গবেষণায় জানা গেছে, চিয়া সিড প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সারকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই ভালোর কথা ভেবে বেশি বেশি না খেয়ে এটি সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত।

২. পরিমাণের থেকে বেশি খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।
৩. অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে, এটি খারাপ হতে পারে।
সব জিনিসেরই ভালো-খারাপ থাকে। চিয়া সিডে ভালোর পরিমাণ বেশি হলেও কিছুটা খারাপ প্রভাবও দেখা যায় মাঝে মাঝে। এটা ব্যবহারের উপরও নির্ভর করে।


ওজন কমাতে সাহায্য করে বলে স্বাস্থ্যসচেতনদের প্রতিদিনের ডায়েট আলো করে থাকে এই বীজ। এই বীজের উপকারিতার শেষ নেই। খাবার বেক করার ক্ষেত্রেও চিয়া বীজ ব্যবহার করা হয়। আবার পুডিংয়ের সঙ্গেও এই বীজ খাওয়া যেতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই বীজ দুধ অথবা পানিতে ভিজিয়ে খেলেই বাড়তি উপকারিতা পাওয়া যায়। চিয়া ওজন কমায় ঠিকই, কিন্তু এর অতিরিক্ত ব্যবহারে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যাও।


Dr. Noman

জুম্মা মোবারক❤️❤️🙂
25/10/2024

জুম্মা মোবারক❤️❤️🙂

24/10/2024

Obsessive Compulsive disorder (OCD) বা শুচিবায়। আসুন এই সমস্যা থেকে কিভাবে নিজেকে উত্তরণ করবেন জেনে নিই।

Dr. Noman

24/10/2024

Obsessive Compulsive disorder (OCD) বা শুচিবায়। আসুন এই সমস্যা থেকে কিভাবে নিজেকে উত্তরণ করবেন জেনে নিই।

Dr. Noman

#

অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার বা চিন্তাবাতিক ও বাধ্যতাধর্মী আচরণ অর্থাৎ শুচিবাই। মনোরোগসমূহের মধ্যে এ রোগটি অন্যতম উদ্বেগে...
24/10/2024

অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার বা চিন্তাবাতিক ও বাধ্যতাধর্মী আচরণ অর্থাৎ শুচিবাই। মনোরোগসমূহের মধ্যে এ রোগটি অন্যতম উদ্বেগের এবং কষ্টদায়ক। সারা বিশ্বে প্রতি ১০০ জনের ১ জন এ রোগে আক্রান্ত। এ রোগে, যাতে অবসেশন অথবা কমপালশন বা উভয়টিই থাকতে পারে।

Loading........ Today Evening.......

Dr. Noman

কাঁচা ছোলার গুণ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যপোযগী ছোলায় আমিষ প্রায় ১৮ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট প্রায় ৬৫ গ...
23/10/2024

কাঁচা ছোলার গুণ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যপোযগী ছোলায় আমিষ প্রায় ১৮ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট প্রায় ৬৫ গ্রাম, ফ্যাট মাত্র ৫ গ্রাম, ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘এ’ প্রায় ১৯২ মাইক্রোগ্রাম এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-১ ও বি-২ আছে। এছাড়াও ছোলায় বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, খনিজ লবণ, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে আরও অনেক উপকার।

উচ্চমাত্রার প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার ছোলা। কাঁচা, সেদ্ধ বা তরকারি রান্না করেও খাওয়া যায়। কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে, খোসা ছাড়িয়ে, কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে একই সঙ্গে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিক যাবে। আমিষ মানুষকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান বানায়। আর অ্যান্টিবায়োটিক যেকোনো অসুখের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ছোলার কিছু চমকপ্রদ গুণাগুণ হল-

ডাল হিসেবে:
ছোলা পুষ্টিকর একটি ডাল। এটি মলিবেডনাম এবং ম্যাঙ্গানিজ এর চমৎকার উৎস। ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে ফলেট এবং খাদ্য আঁশ আছে সেই সাথে আছে আমিষ, ট্রিপট্যোফান, কপার, ফসফরাস এবং আয়রণ।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে:
অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা দেখিয়েছেন যে খাবারে ছোলা যুক্ত করলে টোটাল কোলেস্টেরল এবং খারাপ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমে যায়। ছোলাতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের খাদ্য আঁশ আছে যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। আঁশ, পটাসিয়াম, ভিটামিন ‘সি’ এবং ভিটামিন বি-৬ হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। এর ডাল আঁশসমৃদ্ধ যা রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ৪০৬৯ মিলিগ্রাম ছোলা খায়, হৃদরোগ থেকে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি ৪৯% কমে যায়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে:
আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখানো হয় যে, যে সকল অল্পবয়সী নারীরা বেশি পরিমাণে ফলিক এসিডযুক্ত খাবার খান তাদের হাইপারটেনশন এর প্রবণতা কমে যায়। যেহেতু ছোলায় বেশ ভাল পরিমাণ ফলিক এসিড থাকে সেহেতু ছোলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এছাড়া ছোলা বয়সসন্ধি পরবর্তীকালে মেয়েদের হার্ট ভাল রাখতেও সাহায্য করে।

রক্ত চলাচল:
অপর এক গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা প্রতিদিন ১/২ কাপ ছোলা, শিম এবং মটর খায় তাদের পায়ের আর্টারিতে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। তাছাড়া ছোলায় অবস্থিত আইসোফ্লাভন ইস্কেমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আর্টারির কার্যক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয় ।

ক্যান্সার রোধে:
কোরিয়ান গবেষকরা তাদের গবেষণায় প্রমাণ করেছেন যে বেশি পরিমাণ ফলিক এসিড খাবারের সাথে গ্রহণের মাধ্যমে নারীরা কোলন ক্যান্সার এবং রেক্টাল ক্যান্সার এর ঝুঁকি থেকে নিজিদেরকে মুক্ত রাখতে পারেন। এছাড়া ফলিক এসিড রক্তের অ্যালার্জির পরিমাণ কমিয়ে এ্যজমার প্রকোপও কমিয়ে দেয়। আর তাই নিয়মিত ছোলা খান এবং সুস্থ থাকুন।

রমজানে:
রমজান মাসে ইফতারের সময় জনপ্রিয় খাবার হলো ছোলা। আমাদের দেশে ছোলার ডাল নানাভাবে খাওয়া হয়। দেহকে করে দৃঢ়, শক্তিশালী, হাড়কে করে মজবুত, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এর ভূমিকা অপরিহার্য। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম।

কোলেস্টেরল:
ছোলা শরীরের অপ্রয়োজনীয় কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। ছোলার ফ্যাট বা তেলের বেশির ভাগ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট ছাড়া ছোলায় আরও আছে বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ লবণ।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে:
ছোলায় খাদ্য-আঁশও আছে বেশ। এ আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য সারায়। খাবারের আঁশ হজম হয় না। এভাবেই খাদ্যনালী অতিক্রম করতে থাকে। তাই পায়খানার পরিমাণ বাড়ে এবং পায়খানা নরম থাকে।

ডায়াবেটিসে উপকারী:
১০০ গ্রাম ছোলায় আছে: প্রায় ১৭ গ্রাম আমিষ বা প্রোটিন, ৬৪ গ্রাম শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট এবং ৫ গ্রাম ফ্যাট বা তেল। ছোলার শর্করা বা কার্বোহাইডেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ছোলার শর্করা ভাল। প্রতি ১০০ গ্রাম ছোলায় ক্যালসিয়াম আছে প্রায় ২০০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১০ মিলিগ্রাম, ও ভিটামিন এ ১৯০ মাইক্রোগ্রাম। এছাড়া আছে ভিটামিন বি-১, বি-২, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম। এর সবই শরীরের উপকারে আসে।

যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে:
যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে এর ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। শ্বাসনালিতে জমে থাকা পুরনো কাশি বা কফ ভালো হওয়ার জন্য কাজ করে শুকনা ছোলা ভাজা। ছোলা বা বুটের শাকও শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। প্রচুর পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার বা আঁশ রয়েছে এই ছোলায় ও ছোলার শাকে। ডায়াটারি ফাইবার খাবারে অবস্থিত পাতলা আঁশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

রক্তের চর্বি কমায়ঃ
ছোলার ফ্যাটের বেশিরভাগই পলি আনস্যাচুয়েটেড। এই ফ্যাট শরীরের জন্য মোটেই ক্ষতিকর নয়, বরং রক্তের চর্বি কমায়।

অস্থির ভাব দূর করেঃ
ছোলায় শর্করার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ কম থাকায় শরীরে প্রবেশ করার পর অস্থির ভাব দূর হয়।

রোগ প্রতিরোধ করেঃ
কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে কাঁচা আদার সঙ্গে খেলে শরীরে আমিষ ও অ্যান্টিবায়োটিকের চাহিদা পূরণ হয়। আমিষ মানুষকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যবান বানায় এবং অ্যান্টিবায়োটিক যে কোনো অসুখের জন্য প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

জ্বালাপোড়া দূর করেঃ
সালফার নামক খাদ্য উপাদান থাকে এই ছোলাতে। সালফার মাথা গরম হয়ে যাওয়া, হাত-পায়ের তলায় জ্বালাপোড়া কমায়।

মেরুদণ্ডের ব্যথা দূর করেঃ
এছাড়াও এতে ভিটামিন ‘বি’ও আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। ভিটামিন ‘বি’ মেরুদণ্ডের ব্যথা, স্নায়ুর দুর্বলতা কমায়।

ছোলা অত্যন্ত পুষ্টিকর। এটি আমিষের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। এতে আমিষ মাংস বা মাছের পরিমাণের প্রায় সমান। তাই খাদ্যতালিকায় ছোলা থাকলে মাছ মাংসের প্রয়োজন পরে না। ত্বকে আনে মসৃণতা। কাঁচা ছোলা ভীষণ উপকারী। তবে ছোলার ডালের তৈরি ভাজা-পোড়া খাবার যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। তাই হজমশক্তি বুঝে ছোলা হোক পরিবারের শক্তি।

Dr. Noman

21/10/2024

এলার্জি থেকে মুক্তি উপায় চলুন দেখে নেই।

Dr. Noman

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. Noman posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share