02/09/2025
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কী?
অ্যান্টিবায়োটিক হলো ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার শক্তিশালী ওষুধ। কিন্তু যখন কোনো ব্যাকটেরিয়া বারবার একই অ্যান্টিবায়োটিকের সংস্পর্শে আসে, তখন সে ধীরে ধীরে তার ভেতরে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে ফেলে। ফলে যে ওষুধ আগে সহজেই কাজ করত, তা আর কার্যকর হয় না। এই অবস্থাকেই বলা হয় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স (Antibiotic Resistance)।
🧪 কীভাবে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়?
🔹 রোগী ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খেলে
🔹 সামান্য সর্দি-কাশি বা ভাইরাল জ্বরে অপ্রয়োজনীয়ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করলে
🔹 কোর্স অসম্পূর্ণ রেখে মাঝপথে ওষুধ বন্ধ করলে
🔹 একই ধরনের ওষুধ বারবার ব্যবহার করলে
---
এর ক্ষতিকর দিকগুলো
❌ সাধারণ সংক্রমণও মারাত্মক রূপ নিতে পারে
❌ রোগ সারতে বেশি সময় ও খরচ লাগে
❌ শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হয়, যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেশি
❌ ভবিষ্যতে নতুন রোগের চিকিৎসা কঠিন হয়ে যাবে
সমাধান কী?
✅ সবসময় ডাক্তারের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করুন
✅ ওষুধ শুরু করলে অবশ্যই পুরো কোর্স সম্পূর্ণ করুন
✅ হালকা জ্বর, ঠান্ডা বা ভাইরাস সংক্রমণে অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না
✅ টিকা নিন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন
👉 মনে রাখবেন, অ্যান্টিবায়োটিক আমাদের জীবনের রক্ষাকবচ।
কিন্তু যদি অযথা ব্যবহার করি, একদিন এগুলো আর কাজ করবে না।
তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাবেন, যতদিন বলবে ঠিক ততদিন খাওয়া উচিত এর থেকে বেশি বা কম খেলে সেক্ষেত্রে ক্ষতি করতে পারে তাই সবসময় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই এন্টিবায়োটিক খাবেন।