Dr. MD Rayhan Ahmed

Dr. MD Rayhan Ahmed MBBS

দেহের সব ক'টা সেল এ মাইটোকন্ড্রিয়া দেয়া হয়েছে। দেয়া হলোনা শুধু আরবিসিতে(Red blood cell)! কারণ, আরবিসি যদি একটা মাইটোকন্...
30/06/2025

দেহের সব ক'টা সেল এ মাইটোকন্ড্রিয়া দেয়া হয়েছে। দেয়া হলোনা শুধু আরবিসিতে(Red blood cell)! কারণ, আরবিসি যদি একটা মাইটোকন্ড্রিয়ার মালিক হয়ে যেতো, তাহলে ফুসফুস থেকে যে অক্সিজেন বহন করে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তাঁকে প্রতিটি টিস্যুতে, গন্তব্যে যাবার আগেই সে নিজে এটা খরচ করে ফেলতো (কারণ, কারো কাছে যদি একটা মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে, তবে সে এটার সাহায্যে অক্সিজেন পুড়িয়ে এটিপি অর্থাৎ শক্তি তৈরি করে ফেলতে পারবে। এটা হচ্ছে একধরণের ইঞ্জিনের মতো)। আমাদের টিস্যুগুলো তখন আর অক্সিজেন পেতোনা।

🔵 তুমি কেমন ডিজাইনার? এত নির্ভূল আর যৌক্তিক তোমার ডিজাইনগুলো!

সেন্ট্রিয়োল দেয়া হল সবখানে। শুধু দেয়া হলোনা নিউরন আর গ্লিয়াল সেল এ। যদি আমাদের ব্রেইনের সেল গুলোতে সেন্ট্রিওল থাকতো, তাহলে এই সেন্ট্রিওল প্রতিটি কোষকে বিভাজিত করে নতুন কোষ তৈরী করে ফেলতো। ফলস্বরূপ, আমরা যা তথ্য সঞ্চয় করে রেখেছি আমাদের মেমোরিতে, সব এক প্রেসে কেল্লাফতে!! পাওনাদারের টাকা পাওনাদারও ভুলে যেতো দেনাদারও ভুলে যেতো! 😁

🔵 তুমি কেমন ডিজাইনার? এতো যৌক্তিক তোমার ডিজাইন!

আমি যখন পোস্টেরিওর থোরাসিক ওয়ালের (বক্ষপিঞ্জরের পিঠের দিকের দিকের অংশ) ব্লাড সাপ্লাই ধরলাম, আমি জানতে পারলাম- এখানে ডিসেন্ডিং থোরাসিক এওর্টা মোটাদাগে সবাইকে সাপ্লাই দিচ্ছে। কিন্তু ২ মিনিটের একটা খটকা আমার লাগলো। কারণ আমি জানি, লেফট হার্ট থেকে এওর্টা বের হয়ে কার্ভ করে শেষে যখন ডিসেন্ড করতে শুরু করেছে, ততক্ষণে উপরের দু'টি রিবস (পাঁজর) মিস হয়ে গেছে। আবার এটাও ভাবলাম যে, কেউ তো দিয়েছে নিশ্চই। না হয় ব্লাড ছাড়া কিভাবে চলবে রিবস দু'টি। না, কেউ এসে দিয়েছে। জেনে গেলাম। 'কস্টোসারভাইকাল ট্রাঙ্ক' নামের একজন নেমে এসে ঠিকই দিয়েছে! যে 'সাবক্ল্যভিয়ান আর্টারি' তাঁরতাঁর চলে যাচ্ছিল, কি দরকার পড়লো ঐখানে দুটো ব্রাঞ্চ ছেড়ে দেবার!

আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম এক মুহুর্তের জন্য! তখনকার অনুভুতি কি যে ছিলো, বলে বোঝাতে পারবোনা।

🔵 তুমি কেমন ডিজাইনার? তোমার ডিজাইন এত জ্যামিতিক।

টেবিলের এক কোণায় একটি বই রেখে দিলে তিন থেকে চার দিন পর সেখানে ১ সেন্টিমিটার ধূলোর আস্তর পরে। অথচ প্রতিটা অবচেতন মনে টেনে নেয়া শ্বাসে আধা লিটারের মত বাতাস টেনে নিচ্ছি প্রতি মুহূর্তে। একটু জোরে টান দিলেতো এক লিটারই ঢুকে পড়ে। বাতাসে এত ধূলিকণা আর জীবাণু! তবু কি আশ্চর্য্য!! কেকের মত স্পঞ্জি আর সফট ফুসফুসটার কিছু হয়না। আস্তরও পড়েনা। পড়বে কি করে? পুরো ট্রাকিয়া আর নাসাল এয়ার ওয়ে জুড়ে রয়েছে সিলিয়ারি বিট! প্রাকৃতিক ঝাড়ুদার। প্রতিনিয়ত ঝাড়ুদিচ্ছে ধূলিকণাগুলোকে।

🔵 তুমি এ কেমন ডিজাইনার? এত নির্ভূল, নিখুঁত আর যৌক্তিক তোমার ডিজাইন!

সুবহানাল্লাহ!

"হে মানুষ সকল, তোমাদের কি এমন জিনিস যেটা তোমার রব থেকে তোমাকে গাফিল করে রেখেছে? অথচ তিনি তোমাকে কত সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন আর সামঞ্জস্য করে দিয়েছেন।"
------সূরা ইনফিত্বার (৫-৬)

❌ ভুল ধারণা ভেঙে দিই: পায়া মানেই ক্যালসিয়াম নয়, বরং হৃদরোগের ঝুঁকি! ❗️আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত বিশ্বাস হলো — গরু বা ছাগ...
08/06/2025

❌ ভুল ধারণা ভেঙে দিই: পায়া মানেই ক্যালসিয়াম নয়, বরং হৃদরোগের ঝুঁকি! ❗️

আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত বিশ্বাস হলো — গরু বা ছাগলের পায়া (হাড়ের জোড়ার অংশ) খেলে নাকি ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়। কিন্তু এই ধারণাটা পুরোপুরি ভুল এবং বিপজ্জনকও হতে পারে।

🔬 বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ:
পায়ার যে অংশ আমরা রান্না করে খাই — অর্থাৎ হাড়ের ভেতরের নরম অংশ (Bone Marrow) — সেটা মূলত চর্বি বা ফ্যাটে ভরপুর। এতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ প্রায় নেই বললেই চলে।
অন্যদিকে, হাড়ের শক্ত, সাদা অংশে ক্যালসিয়ামের লবণ থাকে ঠিকই, কিন্তু আমরা সেই অংশটি তো রান্না করে খাই না — বরং ফেলে দিই।

🧬 পায়া বা নেহারিতে থাকে:

প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট (পরিপৃক্ত চর্বি)

সামান্য পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল

অতি নগণ্য পরিমাণ ক্যালসিয়াম

❤️ ঝুঁকির দিক:
বিশেষত বয়স্ক মানুষ — যেমন দাদু-নানুদের জন্য পায়া বা নেহারি অতিরিক্ত খাওয়া রক্তে কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে, যা থেকে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ও স্ট্রোকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। শুধু বয়স্করাই নয়, অন্যদেরও এই চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

✅ সঠিক বিকল্প কী?

ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য গ্রহণ করুন:
🥛 দুধ, 🧀 চিজ, 🥬 শাকসবজি, 🐟 ছোট মাছ

স্বাস্থ্যকর প্রোটিনের জন্য বেছে নিন:
🐓 চর্বিহীন মাংস, 🥚 ডিম, 🫘 ডাল

📢 সচেতনতার বার্তা:
"পায়া খেলে হাড় মজবুত হয়" — এই ভুল ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন।
সুস্থ থাকতে হলে খাদ্যে থাকতে হবে ভারসাম্য, সচেতনতা আর বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান।

#স্বাস্থ্যসচেতনতা #ভুলধারণা_ভাঙি #নেহারি_চর্বি #হৃদরোগ #খাদ্য_জ্ঞান

হত্যা করে গরু কুরবানী করছেন না তো?""একটি ছোট্ট ভুল এবং বাতিল হয়ে যাওয়া কুরবানী।"" ♦সকল কুরবানী দাতাদের জন্য অত্যন্ত জরুর...
07/06/2025

হত্যা করে গরু কুরবানী করছেন না তো?

""একটি ছোট্ট ভুল এবং বাতিল হয়ে যাওয়া কুরবানী।""
♦সকল কুরবানী দাতাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়।

১০-১৫ মিনিট সময় বাঁচাতে গিয়ে আমাদের করা, ছোট্ট একটি ভুলের কারনে সম্পূর্নরুপে বাতিল হয়ে যেতে পারে আমাদের অত্যন্ত যত্নের সাথে আদায়কৃত আল্লাহর মহান হুকুম কুরবানী।

★পশু জবেহ সম্পন্ন হবার পর, একটি ছোট তীক্ষ্ণ ছুড়ি দ্বারা জবেহের স্থানে খোঁচা দেয়ার একটা সিস্টেমের সাথে আমরা কমবেশি প্রায় সবাই পরিচিত, আমাদের অনেকেরই ধারনা এই কাজটার মাধ্যমে পশু দ্রুত মারা যায় এবং কষ্ট কম পায়।
এই ছোট্ট একটা ভুলই আমাদের কুরবানী বরবাদ করে দেবার জন্য যথেষ্ট।

★পশু জবেহ সহীহ হবার শর্ত হলো:-
পশুর অন্তত মূল তিনটি রগ কেটে দেয়া। আর মূল তিনটি রগ কেটে দিলে, রক্তক্ষরনের স্বাভাবিক ফলস্বরুপ পশুটি খুব দ্রুত মারা যায়।

★আমরা একটু অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে, পশুটার মেরুদন্ডের ভেতর তীক্ষ্ণ ছুড়ি ঢুকিয়ে "মেরুরজ্জু বা স্পাইনাল কর্ড" বিচ্ছিন্ন করে দ্রুত মেরে ফেলার চেষ্টা করি। স্পাইনাল কর্ড বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে পশুর মস্তিষ্ক, দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় আর এর ফলে পশুটি হার্ট এটাক করে এবং মারা যায়।
অনেক সময় এভাবে দ্রুত পশুটিকে শান্ত করতে গিয়ে, কুরবানীর উদ্দেশ্য ব্যাহত হয় এবং পশুটি জবেহ না হয়ে, হত্যা হিসেবে পরিগনিত হয়।

★চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও এই পন্থা অত্যন্ত গর্হিত এবং বিপদজনক। স্পাইনাল কর্ড কেঁটে গেলে পশুর দেহের মাংশপেশিতেই রক্ত জমাট বেঁধে যায় এবং ফলশ্রুতিতে গোশত দূষিত হয়ে পরে। এই গোশত ভক্ষনে ক্যান্সার, এইচবিএএস, সহ অন্তত ১৮ প্রকার জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে।

এতএব,
কুরবানী দাতা সকলের কাছে বিনীত অনুরোধ থাকবে, ১০-১৫ মিনিট সময় বাঁচাতে গিয়ে, দয়া করে আপনার কুরবানী কে বরবাদ হয়ে যাবার সুযোগ দিবেন না।

21/05/2025

Happy Birthday to our upcoming Doctor, Turna. Many many happy returns of this day. May Allah bless you.

বাংলাদেশেও এই সিস্টেম চালু করা এখন সময়ের প্রয়োজন…
21/05/2025

বাংলাদেশেও এই সিস্টেম চালু করা এখন সময়ের প্রয়োজন…

মালেশিয়ার পোর্ট ডিকসন সমুদ্র সৈকত থেকে সান্ডা ধরে ফেললাম কপিলের ছেলের জন্য। কপিলের ছেলে মজা করে খাবে।
17/05/2025

মালেশিয়ার পোর্ট ডিকসন সমুদ্র সৈকত থেকে সান্ডা ধরে ফেললাম কপিলের ছেলের জন্য। কপিলের ছেলে মজা করে খাবে।

Islam is beautiful 🌹
17/05/2025

Islam is beautiful 🌹

“ডাক্তাররা কোনো ফ্রি হেল্পলাইন নন।”আমরা ফ্রি পরামর্শ দিই।আমরা বিনা মূল্যে প্রেসক্রিপশন লিখি।আমরা রাত ১১টায় ল্যাব রিপোর্ট...
12/05/2025

“ডাক্তাররা কোনো ফ্রি হেল্পলাইন নন।”

আমরা ফ্রি পরামর্শ দিই।
আমরা বিনা মূল্যে প্রেসক্রিপশন লিখি।
আমরা রাত ১১টায় ল্যাব রিপোর্ট ব্যাখ্যা করি।
আমরা জন্মদিন, বিয়ের অনুষ্ঠান, এমনকি জানাজার সময়ও চিকিৎসা বিষয়ক প্রশ্নের উত্তর দিই।
কেন?
কারণ আমরা কেয়ার করি।
কারণ আমরা শপথ নিয়েছি।
কারণ আমাদের শেখানো হয়েছে—সেবা noble বা মহৎ।

কিন্তু এর বিনিময়ে আমরা কী পাই?

— “টাকার কথা বলছ কেন?”
— “এটা তো মহান পেশা।”
— “মানবতার সেবা করো, টাকার কথা তুলো না।”

অন্য পেশাজীবীরা এসব সহজেই বলে থাকেন:

একজন আইনজীবী ফোনে কথা বললেও ফি নেন।
চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শুধু স্বাক্ষরের জন্যও চার্জ করেন।
আর্কিটেক্ট ব্লুপ্রিন্ট বানানোর জন্য টাকা নেন।
থেরাপিস্ট প্রতি সেশনে চার্জ নেন — ছাড়ও দেন না।
আইটি কনসালটেন্ট ফ্রি সফটওয়্যার ঠিক করেন না।
শিক্ষকেরাও ফ্রি পড়ান না, এমনকি আপনি "পরিবারের মতো" হলেও না।

কিন্তু আমরা?
আমাদেরকে হোয়াটসঅ্যাপে রোগ নির্ণয় করতে বলা হয়।
দুই মিনিটে ফোনে জীবন-মরণ সিদ্ধান্তে পরামর্শ দিতে বলা হয়।
আর কখনোই যেন ‘ফি’ শব্দটি উচ্চারণ না করি — কারণ এটা “শুধু একটা সেবা”।

কিন্তু আমরা কেবল তথ্য দিই না — আমরা অন্তর্দৃষ্টি দিই।
এটা গুগল নয় — এটা সেই প্রজ্ঞা যা গড়ে উঠেছে বছরের পর বছর অধ্যয়ন, নির্ঘুম রাত আর আত্মত্যাগ দিয়ে।

এই ব্যবস্থাটা বদলাতে হবে।

কারণ, যদি চিকিৎসাসেবার মূল্য কেবল টাকায় মাপা হয়, সম্মানে নয় — তাহলে হয়তো একদিন আমরা সাদা অ্যাপ্রোন খুলে রাখব।

আর তখন বিশ্ব বুঝতে পারবে, কী হারিয়ে ফেলেছে:
একটা এমন ব্যবস্থা, যেখানে সেবা চাওয়া হয়, কিন্তু তার মূল্য দেওয়া হয় না।

---

Dr-Md Rayhan Ahmed

স্ক্যাবিস: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধস্ক্যাবিস (Scabies) একটি ছোঁয়াচে চর্মরোগ, যা স্ক্যাবিস মাইট (Sarcoptes scabiei) নামক এ...
11/05/2025

স্ক্যাবিস: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ

স্ক্যাবিস (Scabies) একটি ছোঁয়াচে চর্মরোগ, যা স্ক্যাবিস মাইট (Sarcoptes scabiei) নামক এক ধরনের পরজীবীর কারণে হয়ে থাকে। এই পরজীবীটি ত্বকের নিচে বাসা বেঁধে তীব্র চুলকানি ও ফুসকুড়ির সৃষ্টি করে। যথাযথ চিকিৎসা না করলে এটি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং পরিবারের সদস্য বা ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

---

স্ক্যাবিসের লক্ষণ

১. বিশেষ করে রাতে তীব্র চুলকানি।
২. ত্বকে লাল দাগ, ফুসকুড়ি বা ছোট ফোস্কা — সাধারণত হাতের আঙুলের ফাঁক, কব্জি, কোমর, নিতম্ব বা জননাঙ্গে বেশি দেখা যায়।
৩. ত্বকে সূক্ষ্ম ধূসর বা লাল রেখা — যা মাইটের চলাচলের চিহ্ন নির্দেশ করে।
৪. শিশুদের ক্ষেত্রে মাথা, গলা, হাত-পায়ের তালু প্রভাবিত হতে পারে।

---

কিভাবে ছড়ায়?

সরাসরি শারীরিক সংস্পর্শে, যেমন: হাত ধরা বা ঘনিষ্ঠতা।

ব্যক্তিগত জিনিস শেয়ার করলে, যেমন: তোয়ালে, বিছানার চাদর, পোশাক ইত্যাদি।

ঘনবসতিপূর্ণ ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে দ্রুত ছড়ায়।

---

চিকিৎসা ও প্রতিরোধ

১. চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: স্ক্যাবিস চিকিৎসায় সাধারণত ক্রিম/লোশন/সাবান ব্যবহার করা হয়।
২. সবার একসাথে চিকিৎসা জরুরি: আক্রান্ত ব্যক্তি ছাড়াও পরিবারের অন্যান্য সদস্য বা ঘনিষ্ঠদের চিকিৎসা নেওয়া উচিত।
৩. পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন:

আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক, তোয়ালে ও বিছানার চাদর গরম পানিতে ধুয়ে রোদে শুকাতে হবে।

ঘর নিয়মিত পরিষ্কার করুন, এবং কার্পেট, সোফা ইত্যাদি ভালোভাবে ভ্যাকুয়াম করুন।
৪. ব্যক্তিগত জিনিসপত্র অন্যের সঙ্গে শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।

---

সচেতনতা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

স্ক্যাবিস দ্রুত ছড়ালেও সঠিক চিকিৎসা ও সচেতনতায় এটি সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এই রোগ নিয়ে লজ্জা বা গোপন করার কিছু নেই—প্রথম লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করলেই জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

স্ক্যাবিস প্রতিরোধে সচেতন হোন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং অন্যদেরকেও জানাতে সাহায্য করুন!

---

✅ বিঃদ্রঃ কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত একজন এমবিবিএস চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

📌 শেয়ার করুন, সচেতনতা ছড়ান!

মেডিকেলের টেক্সট বুকের নাম যদি বাংলায় হতো
02/05/2025

মেডিকেলের টেক্সট বুকের নাম যদি বাংলায় হতো

23/04/2025

একজন তরুণ ডাক্তারের কান্না কেউ শোনে না কেন?

ইন্টার্নশিপ শেষ করার সাথে এমবিবিএস ডাক্তারটি যখন বেকার হয়ে যায় কেউ শোনে না৷ এমবিবিএস পাশ করেও বাসা থেকে টাকা নেয়ার বেদনা, শুধু একটা বিশ-পঁচিশ হাজার টাকার চাকরির জন্যে পাগলের মতো এ দ্বারে ও দ্বারে ঘোরার সময়গুলোতে কে পাশে থাকে?

ক্লিনিকে "খ্যাপ" নামক ডিউটিতে যখন স্টোর রুমে ডাক্তারকে থাকতে দেয়, মালিকপক্ষের নানা দুর্ব্যবহার, অযাচিত অনৈতিক চাপে যখন মনে মনে আর কখনও খ্যাপ মারতে আসব না বলা ডাক্তারটি টানা ২৪ ঘণ্টা ডিউটি শেষে ২০০০ টাকা, ১ ঘণ্টায় ৮৩.৩৩ টাকা হাতে পায় তখন তার দীর্ঘশ্বাস কেউ শোনে না।

সন্তান বড় হয়েছে এবার সংসার তো একটু দেখবে। অন্তত বাবা-মা-ভাই-বোন-আত্নীয়দের তো ঈদে ভালো কিছু উপহার দেবে। যে তরুণ ডাক্তারটি বড় পরিবার-আত্নীয়দের ঈদের উপহার দিয়ে খুশি করতে গিয়ে টাকা ধার করে ফেলে তার বুকের পাথরের ওজনটা কেউ মাপে না।

পাশ করে বেরুতে না বেরুতেই শুরু হয়ে যায়, আপনার সন্তান এখন কোন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ, কীসের ডাক্তার? ও সিম্পল এমবিবিএস? ৬ বছর পড়াশোনা করার পর আবার ৪/৫ বছরের কোর্সে ঢোকার জন্যে মাসের পর মাস প্রস্তুতি। কোচিং-এ ভর্তি, আবার বই কেনা...নিজের ইন্টার্নশিপে জমানো ২১০০০ টাকা যখন কোচিং-এ দিতে হলো সেদিন তার চোখের জল লুকানোটা কারও চোখে পড়েনি।

বিসিএস না পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েশান? পোস্ট গ্র‍্যাজুয়েশান না বিসিএস? সরকারি ডাক্তার না হলে সমাজে আবার দাম নেই। বেসরকারিতে মালিকপক্ষ দু আনার সম্মান দিতে চায় না। আবার অসম্ভব রকমের কাঠখড় পুড়িয়ে সরকারি চাকরি নামক সোনার হরিণের দেখা পাওয়ার পর গ্রামে পাতি নেতাদের উপদ্রব, কিছু থেকে কিছু হলেই জনগণের মারমুখী আচরণ--তার এ জ্বালা নিভে কীভাবে তা কেউ জানতে চায় না।

একবার এফসিপিএস পার্ট ওয়ান দিতে লাগে ১১০০০ টাকা, রেসিডেন্সি/ডিপ্লোমা কোয়ালিফাইং এক্সাম দিতে ৫০০০ টাকা। এম আর সিপি পার্ট ওয়ানের জন্যে ৭০০০০-৮০০০০ টাকা। একজন তরুণ চিকিৎসকের জন্যে শুধু একটা পরীক্ষার জন্যে ১১০০০ টাকা দিয়ে ফর্ম ফিল আপ করার বেদনা কে বোঝে? তাও সে পরীক্ষা ১০০ জন দিলে পাশ করে ২/৩/৪ জন। তাও সে পরীক্ষায় কোয়ালিফাই করতে অর্থ ইনকামের সব চিন্তা মাটিচাপা দিয়ে একটানা চেয়ার টেবিলে বসে থাকতে হয় তাকে। ছোট বাচ্চা থাকলে দরজা লক করে পড়তে হয়। "আম্মু/আব্বু দরজা খোলো" বললেও খোলা যায় না; কোলে নেয়া যায় না নিলে যে আর নামবে না। এভাবে কতোবার পরীক্ষা দিতে থাকার পর যে খুব সৌভাগ্যবান হলে একটা ডিগ্রি করার সুযোগ ঘটে তা কে বোঝে? শুধু চান্স পেলেই কি হলো? সেখানে ফেইল করে/কোর্স আউট হয়ে কতো মানুষের জীবনটা নির্জীব হয়ে যায় তা কে বোঝে?

অনারারি ডিউটি নামে বর্বরপ্রথায় বছরের পর বছর বিনা বেতনে খেটে যাওয়া তরুণ চিকিৎসকটিকে কেউ জিজ্ঞেস করে না তোমার সংসার কীভাবে চলে। তুমি কীভাবে খাও? কীভাবে পরো? এতোকিছু সামলে আবার কীভাবেই বা অবিশ্বাস্য কঠিন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হও? কেউ জিজ্ঞেস করে না তোমার পরিবারকে তুমি দিনে কয় ঘণ্টা সময় দাও? তুমি যখন বের হও তখনও তোমার সন্তান ঘুমে, তুমি ফেরার সময়েও সে ঘুমে? তোমার সন্তানকে পিতৃ/মাতৃস্নেহ থেকে যে বঞ্চিত রাখছো তোমার কান্না পায় না? তুমি দিনের পর দিন ৩-৪ ঘণ্টা করে ঘুমাও তোমার অসুখ করে না? তুমি যে বছরে একটা দিন ট্যুরে যাও না তোমার একঘেঁয়েমি আসে না?

তরুণ ডাক্তারগুলো কেন হয় ডিপ্রেশান না হয় এংজাইটি না হয় স্ট্রেস ডিজ অর্ডারের রোগী হয়ে যায় কেউ গবেষণা করে না কেন?

একজন তরুণ ডাক্তার তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় যৌবনকালটা কী করে কাটিয়ে দেয় তা কেউ দেখেও দেখে না কেন?

©ডাঃ মারুফ রায়হান খান

বিঃদ্রঃ অনেক বছর আগের পোস্ট।

25/03/2025

Running, running, running...Running to the end.

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dr. MD Rayhan Ahmed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category