18/11/2022
***সুবহান আল্লাহ...খুব উপকারী একটা পোস্ট। যা আমি আগে কখনোও জানতাম না ... দয়া করে, আমার মৃত্যুর পর যারা আমার কবর দিবার জন্য যাবেন এইভাবে তালক্বীন করে সওয়াল জবাব শিখিয়ে দিবেন॥***
মৃত ব্যক্তিকে দাফন করার পর কবরে তালক্বীন করা সুন্নত। তালক্বীন করার কয়েকটি নিয়ম রয়েছে।
হযরত আবু উমামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন- আখেরী রসূল হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন-
“যখন তোমাদের কোন মুসলমান ভাই ইন্তেকাল করবে তখন তাকে কবরে রেখে তার উপর ভালভাবে মাটি দিয়ে অর্থাৎ দাফন করে তার মাথার নিকট দাঁড়িয়ে বলবে- “হে অমুকের সন্তান অমুক” তখন মৃত ব্যক্তি ইহা শুনবে কিন্তু কোন জবাব দিবেনা। তারপর বলবে- “হে অমুকের সন্তান অমুক” ইহা শুনে মৃত ব্যক্তি উঠে বসবে। অতঃপর আবার বলবে- “হে অমুকের সন্তান অমুক” ইহা শুনে মৃত ব্যক্তি বলবে কি বলছেন? (যদিও তার কথা শুনা যাবেনা) তখন তোমরা বলবে তুমি এই সময় বলো দুনিয়ায় থাকাকালীন অবস্থায় তুমি যার উপর কায়েম ছিলে) অর্থাৎ আল্লাহ্ পাক ব্যতীত অন্য কোন মাবুদ নাই, তিনিই একমাত্র প্রতিপালক। ইসলাম তোমার দ্বীন, হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তোমার নবী, কোরআন শরীফ তোমার পথ প্রদর্শক।
এসময় মুনকার এবং নাকীর একে অপরের হাত ধরে বলবে- এখান হতে চল, এর নিকট বসে কি করব? একেতো আখেরাতের দলীল শিখিয়ে দেয়া হচ্ছে।
অতঃপর আল্লাহ্ পাক তার এই কথাগুলো লিখে নেন। অমুকের পুত্র অমুকের স্থলে মৃত ব্যক্তি ও তার মাতার নাম উল্লেখ করবে।
এক ব্যক্তি উঠে জিজাসা করল- ইয়া রসূলাল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যদি তার মাতার নাম জানা না থাকে তখনু উপায় কি? হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উত্তর দিলেন- তাহলে হযরত হাওয়া আলাইহাস সালাম-এর নাম উল্লেখ করে বলবে- হে হযরত হাওয়া আলাইহাস সালামএর পুত্র অমুক।
আর কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে মাইয়্যেতকে দাফন করার পর উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ থেকে একজন প্রশ্ন করবে, من ربك.
উচ্চারণঃ মার রাব্বুকা?
অন্যান্য সকলেই বলবে- ربى الله.
উচ্চারণঃ রব্বিইয়াল্লাহু।
এরপর বলবে- ومن نبيك.
উচ্চারণঃ ওয়া মান নাবিয়্যুকা?
অন্যান্য সকলেই বলবে,
ونبى محمد صلى الله عليه وسلم
উচ্চারণঃ নাবিয়্যী মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। অতঃপর বলবে, وما دينك.
উচ্চারণঃ ওয়ামা দ্বীনুকা?
সকলেই বলবে, دينى الاسلام.
উচ্চারণঃ দ্বীনিয়্যাল ইসলাম।
হাদীস শরীফে রয়েছে, যখন মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে কবরে তালক্বীন দেয়া হয় তখন মুনকার ও নকীর ফেরেশতাদ্বয় পরস্পর পরস্পরের হাতে ধরে বলেন যে, তাকে প্রশ্ন করে কি হবে, তাকে তো সব শিখিয়ে দেয়া হয়েছে। চল আমরা চলে যাই। অর্থাৎ তালক্বীনের কারণে সে সুওয়াল-জাওয়াব থেকে নিস্কৃতি ও নাযাত পায়। (সুবহানাল্লাহ্)
( দলীলসমূহঃ- ত্বাষ্কানী মুজামুল কবীর, বুলুগুল মারাম, ফিকাহুস সুনান, কবীরি, নূরুচ্ছুদুর, আরকানে আরবায়া, ফতওয়ায়ে রশিদীয়া, ইত্যাদি।)
অথচ এখন অনেকেই কবরে তালক্বীন দেয় না। তাল্কীন দিতে হয় , এ বিষয় জানেই না—-
হায়রে মুসল্মান
কবে হবে আর শুভ বোধ উদয় ?
সুন্নত পালনে সদা জাগ্রতময়।