29/03/2025
বিশেষজ্ঞদের মতে , বাংলাদেশ শীঘ্রই বড় কোনো ভূমিকম্পের মুখোমুখি হতে পারে ।
মায়ানমারে আজ যে ভূমিকম্প হয় তার মাত্রা ছিলো ৭.৭ মাত্রার । একইসাথে ৮.২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে থাইল্যান্ডেও ।
বহুতল ভবন ধসে পড়ে গেছে । রাস্তা উপড়ে গেছে । সেতু ভেঙে গেছে । অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে তাসের ঘরের মতো ।
আজ বাংলাদেশে যে ভূমিকম্প অনুভূত হয় তার মাত্রা ৪.৫, উৎপত্তিস্থল মায়ানমার । ঢাকা থেকে মাত্র ৫৯৭ কি.মি দূরে ।
বিশেষজ্ঞদের মতে , কোনো একটি ভৌগলিক পরিমন্ডলে বড় ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার পূর্বে ধারাবাহিক ভাবে ছোটো ছোটো ভূমিকম্প সংঘটিত হয়।
২০১৭ সালে বাংলাদেশে ও এর কাছাকাছি এলাকায় ২৮টি ভূমিকম্প হয় । ২০২৩ সালে এর সংখ্যা ছিল ৪১।
২০২৪ সালে তা বেড়ে পৌঁছে যায় ৫৪তে....
প্রতি বছর ছোট ছোট ভূমিকম্পের সংখ্যা বাড়ছে ।
বাংলাদেশের এই অঞ্চলে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প হয়েছিলো ১৯১৮ সালে । রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৮। এতে মারা যায় প্রায় দেড়লাখ মানুষ ।
ভূতাত্ত্বিকদের মতে , একটা বড় মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার ১০০ বছর পর আবার ঐ দেশটিতে বড়মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
১৯১৮ এর পর ১০০ বছর পার হয়ে গেছে ।
এখন ২০২৫ !
ইন্ডিয়ান, ইউরোশিয়ান এবং বার্মা তিনটি গতিশীল প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান বলে যে কোনো সময় বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে ।
সকাল, দুপর , মাঝরাত যে কোনো সময় আপনারে আশ্রয় দেওয়া ভবন আপনার শরীরের উপর ধসে পড়তে পারে ।
ঢাকায় যদি ৭ মাত্রারও একটি ভূমিকম্প হয়, তবে ৭২,০০০ ভবন ধসে পড়বে । ঢাকায় ২ কোটি ১০ লক্ষ মানুষের বাস ।
আল্লাহ না করুন, যদি এরকম ঘুমন্ত অবস্থায় ভোরে অথবা মাঝরাতে ভূমিকম্প হয়, ঢাকা শহর পুরোটাই মৃত্যু নগরীতে পরিণত হবে ।
বাড়িঘর ধূলোয় মিশেযাবে। ফ্লাইওভার-ব্রিজ ভেঙে পড়বে। বিদ্যুৎ গ্যাস লাইনে আগুন ধরে যাবে। পানির লাইন ফেটে পড়বে ।
সিলেট , কক্সবাজার , চট্টগ্রাম ও একই ঝুঁকিতে রয়েছে।
আল্লাহ না করুক, এসব না ঘটুক । অসংখ্য লাশ বুকে নিয়ে না হয় যুদ্ধ ছাড়াই ট্রয় নগরীর মতো পুড়তে হবে নগরকে, দেশকে।
অতীতে সাভারে শুধুমাত্র একটা ভবন ধসে পড়ায় তার থেকে উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে সরকারের লেগেছিলো ৭ দিন ।
ঢাকায় যদি ৭২০০০ ভবন একদিনে ভেঙে পড়ে, কি হবে বাকিটা বুঝে নিন ।
একবার চোখ বন্ধ করে সবটা কল্পনা করতে গেলেও শিউরে উঠতে হয়।
তাহলে ভরসা? আমাদের বেশি বেশি আল্লাহ'র কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত...
আমরাই বোধহয় মুসলিম প্রধান দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র যারা মৃত্যু ( একদিন তো মরে যাবো) নিয়ে ট্রল করেছিলাম ।
আমরা ঘুম থেকে উঠে ফেসবুকে এসে ভূমিকম্প নিয়ে ট্রল করি । হাসি তামাশা করি ।
বছর ঘুরে বর্ষায় উপকূলে ঘূর্ণিঝড় হয় প্রত্যেকবার।
যারা উপকূল হতে দূরে, নগরে, সেফজোনে থাকে তারা বুলবুল ফণী নিয়ে ট্রল করে ফেসবুক ভাসায়।
আসলে সেফজোন বলতে কিছু নেই ।
'আমরা সকল মানুষই আইসিইউর মতো লাইফসাপোর্টে আছি, যেকোনো সময় মারা যেতে পারি । '
আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন সবাইকে। প্রিয়জনদের হেফাজত করুক ।
অকস্মাৎ মৃত্যু নয়, বাঁচতে বাঁচতে ঈমানসহ যাতে মরতে পারি সেই দয়াটুকু করুক...
" আলোকশূন্য নক্ষত্র "
লিখা: মুহাম্মাদ মুসা সায়েদ