01/11/2024
তাহাজ্জুদ ,টানা ৪০ দিন পড়েন, যা চাবেন, তাই পাবেন ইনশাআল্লাহ 💟
চাকরি নাই, তাহাজ্জুদ পড়েন। টাকা নাই, তাহাজ্জুদ পড়েন। বিপদে আছেন, তাহাজ্জুদ পড়েন। কি দরকার আপনার, ইন শা আল্লাহ সব পাবেন।
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কেউ যদি তার কোনো ইচ্ছে আল্লাহর নিকট পেশ করতে চায়, আল্লাহর থেকে কিছু পেতে চায়, সে যেনো টানা ৪০ দিন তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে আল্লাহর নিকট তার ইচ্ছে চেয়ে নেয়। অবশ্যই অবশ্যই তার যে কোন হালাল ইচ্ছে আল্লাহ তায়ালা কবুল করেই নিবেন৷ (বুখারী)
আল্লাহ প্রতি রাতেই নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন যখন রাতের শেষ তৃতীয় ভাগ অবশিষ্ট থাকে। তিনি তখন বলতে থাকেন- কে আছো যে আমায় ডাকবে, আর আমি তার ডাকে সাড়া দেবো? কে আছো যে আমার কাছে কিছু চাইবে, আর আমি তাকে তা দান করব? কে আছো যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করব? (বুখারি ও মুসলিম)
অনেকেই ভাবে যে তাহাজ্জুদ মানেই মনে হয়, ভোর রাতে উঠেই পড়তে হবে। তা না আসলে, এশার পর বেতের নামাজের আগে আপনি ২ রাকাত তাহাজ্জুদের নিয়ত করে পড়ে ফেলুন। সারাজীবনেও আপনার কোনোদিন তাহাজ্জুদ ছুটবে না। তাহাজ্জুদ এর সময় শুরু হয় এশার এর পর থেকেই। কারো সন্দেহ থাকলে গুগলে দেখে নিতে পারেন।
এই আমলটি ছিল হযরত আবু বকর রাঃ এর। রাসূল (স.) বলেন, আবু বকর, তোমার তো সারাজীবনেও কখনো তাহাজ্জুদ ছুটবে না। �
আমাদের যার যা দরকার, আমরা যেনো আল্লাহর কাছ থেকে চেয়ে নেই। কারো কাছ থেকে কিছু পেতে হলে তার সাথে যেমন খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন, ঠিক তেমনি ভাবে আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে কিছু পেতে হলে আমাকে আপনাকে আল্লাহর সাথে ভালো সম্পর্ক স্থাপন করা প্রয়োজন। আর বান্দা আল্লাহর সাথে সবচেয়ে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে পারে একমাত্র তাহাজ্জুদের মাধ্যমে। কারণ, তখন আল্লাহ পাক নিজে বান্দার কাছে ছুটে আসেন, ডাকতে থাকেন কার কি প্রয়োজন।