https://www.facebook.com/472391582626120/

Dr. Gulshana, Lalmatia, Dhaka (2025)

30/01/2025

🛑 নবজাতক পর্যাপ্ত বুকের দুধ পাচ্ছে কিনা কিভাবে বুঝবেন?🛑

১) দিন-রাত ২৪ ঘন্টায় অন্তত ৬-৮ বার প্রসাব করলে

২) বাচ্চার ঠিকমত ওজন বাড়লে (প্রতিদিন গড়ে ২০-৩০ গ্রাম/ সপ্তাহে ২০০ গ্রাম ওজন বৃদ্ধি স্বাভাবিক)

এই দুইটা পয়েন্ট ঠিক থাকলে বুঝবেন বাচ্চা পর্যাপ্ত বুকের দুধ পাচ্ছে।

অনেক মায়েদের কমপ্লেইন থাকে বাচ্চা ঠিকমত দুধ পায় না।
যখন জিজ্ঞাসা করি, “প্রসাব কেমন করে?”
উত্তর দেয় “অনেকবার”
“তাহলে কেন মনে হলো দুধ পায় না?”
“কান্নাকাটি করে, তাই কৌটার দুধ দিসি”

কন্নাকাটি করলেই কৌটার দুধ দিতে হবে না। নবজাতক শুধু মাত্র খাওয়ার জন্যই কান্নাকাটি করেনা। কান্নাকাটির কারন নিয়ে আরেকদিন লিখবো ইনশাল্লাহ।

29/01/2025

🛑৬ মাসের পর শিশুর সঠিক সলিড খাবার নির্বাচন🛑

আমাদের দেশে শিশুরা ৬ মাসে সলিড শুরু করলে তাদের প্রধান খাবার সুজি! অনেকে বাচ্চা বুকের দুধ পায়না অজুহাতে ৪-৫ মাসেই সুজি খাওয়ানো শুরু করে।
কিন্তু আপনি কি জানেন যে সুজিতে শর্করা ছাড়া আর কোন পুস্টি উপাদান নেই! সুজিতে ফাইটেটস থাকে যা আয়রনের হজম ব্যাহত করে। গবেষনায় বলে আপনি যদি দিনে ৩ বেলা বা তার অধিক বার সুজি দেন, শিশুর আয়রনের ঘাটতি এবং অপুস্টি হয়।

আয়রনের ঘাটতি হলে বাচ্চাদের খাওয়ার রুচি চলে যায়। ফলে বাচ্চার মায়েদের কমপ্লেইন বাচ্চা কিছুই খায়না। অন্যদিকে প্রোটিনের ঘাটতি হওয়ায় শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। শিশুর বিভিন্ন রকম ইনফেকশন যেমন ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়। শিশুর ঠিমমত ওজন বাড়েনা।

শিশুকে ৬ মাস বয়স থেকে যে বাড়তি খাবার দিবেন তা সুষম খাবার যেন হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। মানে সেখানে শর্করা, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, মিনারেলস থাকতে হবে।
শর্করার উৎস : ভাত, রুটি, আলু
প্রোটিনের উৎস : ডিমের সাদা অংশ, মাছ, মাংস, ডাল, দুধ ইত্যাদি
ফ্যাটের উৎস: ডিমের কুসুম, ঘি, তেল, বাটার, পনির ইত্যাদি
ভিটামিনের উৎস: শাক সবজি ও ফলমূল
মিনারেলস এর উৎস: দুধ ও দুধের তৈরী খাবার, বাদাম, শাক শবজি, ফলমূল ইত্যাদি

আপনার শিশু যদি ভাত খেতে না চায় রুটি / আলু দিতে পারেন। ডিম না খেলে অন্য প্রেটিন দিতে পারেন। কিন্তু তার খাবারে সব ধরনের উপকরন থাকা জরুরী স্বাভাবিক বিকাশের জন্য।

29/01/2025

🛑 Pica কি? Pica এর সাথে আয়রনের ঘাটতির সম্পর্ক

📣Pica (পিকা) কি?
২ বছর পর্যন্ত শিশুদের খাবার ছাড়াও বিভিন্ন জিনিস মুখে দেয়ার প্রবনতা স্বাভাবিক ডেভেলপমেন্ট এর অংশ। তবে শিশুর যদি খাবারে অনিহা কিন্তু খাবার ছাড়া অন্য জিনিস যেমন, মাটি, রং, দেয়ালের প্লাস্টার, চুন, চক, সাবান, ডিটারজেন্ট, ক্লে, ময়লা, কাগজ, চুল, পাথর অথবা খাবার নয় এরকম যেকোন কিছু খাওয়ার প্রবনতা থাকে এ সমস্যাকে পিকা বলে।

📣Pica (পিকা) শুধুমাত্র শিশুদেরই হয় না, বড়দেরও হতে পারে। অনেক গর্ভবতি মায়েদের লক্ষ্য করলে দেখা যায় তাদের মাটি খাওয়ার প্রবনতা থাকে।

📣শিশুদের পিকার কারণ কী?
পিকার মূল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো শরীরে আয়রনের অভাব। শরীরে জিংকে অভাব হলেও পিকা হতে পারে

📣পিকার ঝুঁকি ও ক্ষতিকর প্রভাব
• পরিপাকতন্ত্রে সমস্যা: মাটি বা প্লাস্টিকজাতীয় জিনিস খেলে হজমজনিত জটিলতা দেখা দিতে পারে।
• সংক্রমণ: মাটি বা ময়লাযুক্ত জিনিস খাওয়ার ফলে পেটে কৃমি বা অন্যান্য ইনফেকসন হতে পারে।
• শারীরিক বিকাশে বাধা: পিকার কারণে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি শোষণ বাধাগ্রস্ত হয়।

পিকার চিকিৎসা ও করণীয়
১. আয়রনসমৃদ্ধ খাবার দিন:
শিশুর খাবারের তালিকায় পালং শাক, লাল শাক, কলা, ডিমের কুসুম, লাল মাংস, কলিজা, ডাল, এবং ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল (লেবু, কমলা) যোগ করুন।
২. ডাক্তারের পরামর্শ নিন:
Pica এর লক্ষন দেখা দিলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন। রক্তের পরীক্ষার মাধ্যমে সহজেই নির্ণয় করা সম্ভব আয়রনের ঘাটতি আছে কিনা। শিশু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে।
৩. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন:
শিশুকে মাটি বা অখাদ্য জিনিস খেতে না দেওয়ার জন্য পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন।

22/01/2025

🚫শিশুর ডায়রিয়া হলেই অ্যান্টিবায়োটিক নয়!!🚫

📣বাচ্চার ডায়রিয়া হলে হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে বাবা মায়েরা বাচ্চা নিয়ে আসেন। যখন জিজ্ঞাসা করি বাচ্চার পাতলা পায়খানার জন্য কি স্যালাইন বা কোন ঔষধ খাইয়েছেন? তখন বেশীরভাগ বাবা-মায়েরাই একটা ব্যাগ বের করেন যেখানে নানান ধরনের ঔষুধ থাকে যার মধ্যে ২-৩ প্রকার থাকে অ্যান্টিবায়োটিক। মানে হাসপাতালে আসার আগে ডায়রিয়ার জন্য অলরেডি ২-৩ প্রকার অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো শুরু করেছেন কিন্তু ডায়রিয়া কমছে না। এসকল অ্যান্টিবায়োটিক সাধারনত বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে কোন রকম প্রেসক্রিপসন ছাড়াই নিয়ে থাকেন।

📣আসলে শিশুদের ডায়রিয়া বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ভাইরাল। যেখানে অ্যান্টিবায়োটিকের কোন ভূমিকা নেই। বরং অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক একদিকে শিশুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, অন্যদিকে বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিকে রেজিস্টেন্ট তৈরী করে।

📣তাই ডায়েরিয়াতে পানিশূন্যতা রোধে শিশুকে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১০-১২ চামচ খাবার স্যালাইন খাওয়ান। ৬ মাসের কম শিশুদের বার বার বুকের দুধ খাওয়ান এবং ৬ মাসের বেশী বয়সী শিশুদের বুকের দুধের পাশাপাশি পাকা কলা, কাচা কলা, জাউ ভাত, মুরগীর মাংস / মাছ /ডিমের সাদা অংশ এসব খাওয়ান। কোন ঔষধ বা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানোর আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

20/01/2025

শিশুর সর্দি-কাশি হলে প্রচলিত ৫টি ভুল ধারণা এবং সঠিক তথ্য

❌ভুল ধারনাঃ কলা খেলে ঠান্ডা লাগে / ঠান্ডা লাগলে কলা দেয়া যাবে না।
✅ সঠিক তথ্যঃ কলা একটি সুপারফুড। এর কারণে শ্লেষ্মা বা কফ বেড়ে যাওয়ার কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। সর্দি-কাশির সময়ও এটি নিরাপদে শিশুকে খাওয়ানো যায়।

❌ভুল ধরনাঃ বাচ্চার ঠান্ডা লাগলে গোসল করানো যাবে না
✅ সঠিক তথ্যঃ গরম পানিতে গোসল শিশুর শ্বাসনালীতে জমে থাকা ঘন শ্লেষ্মা বা কফ পাতলা করতে সাহায্য করে, ফলে শ্বাস প্রশ্বাস সহজ হয়। এছাড়া এটি শিশুকে সতেজ এবং সক্রিয় রাখে এবং ভালো ঘুমে সহায়তা করে।

❌ভুল ধরনাঃ ঠান্ডা লাগলে সরিষার তেল মালিশ করলে ঠান্ডা কমে
✅ সঠিক তথ্যঃ সরিষার তেল শিশুর ত্বকের জন্য ইরিটেন্ট এবং অ্যালার্জির কারন হতে পারে।

❌ভুল ধারনাঃ শিশুর ঠান্ডা লাগলে ফার্মেসি থেকে অ্যান্টিবায়োটিক এনে খাওয়ানো উচিৎ
✅ সঠিক তথ্যঃ সর্দি-কাশি বেশিরভাগই ভাইরাসজনিত। অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে না। বরং অপ্রয়োজনীয়ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক দিলে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও কমে যেতে পারে। শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া উচিৎ।

❌ভুল ধারনাঃ ঠান্ডা লাগলে দই খাওয়ানো যাবে না।
✅সঠিক তথ্যঃ দই খুব ভালো প্রোবায়োটিক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যা শিশুকে স্বাভাবিক রুম টেম্পারেচারে দেয়া যাবে।

20/01/2025

🛑 শিশুর ধ্বংসাত্মক আচরন করার প্রবণতা থাকলে তা কিভাবে মোকাবেলা করবেন?🛑

১. ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ অনেক সময় শিশুর হতাশা প্রকাশের একটি মাধ্যম। সে সময় রেগে না গিয়ে শান্ত থাকুন এবং আচরণের পিছনের কারণ বুঝুন ।

২. মাটির মডেলিং, বিল্ডিং ব্লক বা স্ট্রেস বলের মতো নিরাপদ কার্যকলাপের সাথে তাদের ব্যস্ত করুন।

৩. শারীরিক কার্যকলাপে যেমন দৌড়ানো, লাফানো বা খেলাধুলায় যুক্ত করতে উৎসাহ দিন।

৩. স্পষ্ট সীমাবদ্ধতা স্থাপন করুন। শিশু যখন শান্ত থাকবে তখন সহজ এবং ধারাবাহিক ভাষায় তাদের জানিয়ে দিন কোন আচরণ গ্রহণযোগ্য এবং কোনটা নয়। বোঝানোর সময় অবশ্যই বাচ্চার সামনে একই লেভেলে বসে তার চোখের দিকে তাকিয়ে তারপর বলবেন।

৪. ভালো আচরণের জন্য প্রশংসা করুন এবং ছোট ছোট পুরস্কার প্রদান করুন।যেমন, কোন খেলনা, কালার পেন্সিল ইত্যাদি।

৫. তাদের কার্যকলাপের উপর নজর রাখুন এবং ধ্বংসাত্মক প্রবণতা দেখালে তাদের মনোযোগ অন্য দিকে সরিয়ে দিন।তাদের আগ্রহের সঙ্গে মিল রেখে আকর্ষণীয় কাজের প্রস্তাব দিন। যেমন, চলো আমরা রং করি, চলো আমরা বাইরে যাই ইত্যাদি।

৬. তাদেরকে তাদের কর্মকাণ্ডের পরিণতি সম্পর্কে বোঝান। যেমন, তুমি এটা ভাংলে ভাঙা অংশ দিয়ে তোমার পা কেটে যেতে পারে।

৭. ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের পরিবর্তে অনুভূতি শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করার উপায় শিখান। যেমন, আমার খারাপ লাগছে, আমার রাগ লাগছে, আমি এটা চাচ্ছি ইত্যাদি।

৮. ভাঙার উপকরণ বা ক্ষতিকর জিনিসগুলো তাদের নাগালের বাইরে রাখুন।

শিশুর ধংস্বাত্মক আচরণ নিয়ন্ত্রণের সময় আপনার ধৈর্য এবং সহানুভূতি তার সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন। ❤️

11/01/2025

আপনার শিশুর কি ঘুমের সমস্যা হচ্ছে? কিংবা ঘুমাতে দেরি হচ্ছে? তাহলে চলুন জেনে নেই শিশুর ঘুমের কিছু সমস্যা এবং তার সমাধান

05/01/2025

“ADHD শিশুর মনোযোগ বাড়ানোর কার্যকর উপায়”

#শিশুর_বিকাশ

03/01/2025

বাচ্চাদের জন্য ইংরেজি 𝗪-এর মতো বসা কেন এড়ানো উচিত?

দীর্ঘ সময় ধরে W-এর মতো বসা একটি শিশুর বিকাশের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। ঘন ঘন এর মধ্যে কয়েকটি হলো:

💡ভবিষ্যতে, যে শিশু W-এর মতো বসতে অভ্যস্ত, তার কেন্দ্রীয় স্থিতিশীলতায় সমস্যা হতে পারে। এর ফলে শরীরের ভঙ্গি ভুল হতে পারে, যেমন কুঁজো হয়ে বসা বা হাঁটা।

💡বেশি সময় ধরে এবং ঘন ঘন W ভঙ্গিতে বসার ফলে মেরুদণ্ডের ত্রুটি, হাঁটু এবং পায়ের আকার পরিবর্তন, ভেতরের দিকে বাঁকা পা দিয়ে দাঁড়ানো বা হাঁটা, পেলভিসের অবস্থান পরিবর্তন এবং মেরুদন্ডের স্কোলিওসিসের মতো সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

💡W-এর মতো বসার ফলে ভবিষ্যতে হিপ জয়েন্টের সমস্যাও হতে পারে।

💡W ভঙ্গি মোটর কো-অর্ডিনেশন এবং ভারসাম্য বজায় রাখতে সমস্যার সঙ্গে যুক্ত। কো-অর্ডিনেশনের সমস্যাগুলো ড্রইং এবং লেখার অসুবিধা, বল ধরতে সমস্যা ইত্যাদিতে পরিণত হতে পারে।

💡W-এর মতো বসা ধড়ের পেশিগুলোকে দুর্বল করে তোলে। কারণ এই ভঙ্গিতে বসা ভারসাম্য বজায় রাখতে পেশির শক্তি প্রয়োজন হয় না, ফলে সেগুলো যথেষ্ট পরিমাণে কাজ করে না এবং শক্তিশালী হয় না।

✅সুতরাং, শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য এই বসার অভ্যাস পরিবর্তন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Dr. Gulshana
MBBS, BCS
FCPS final part (Paediatrics)
MD phase B (Paediatrics)

#শিশুর_বিকাশ #ডব্লিউ_পজিশন #সঠিক_অবস্থান #শিশুর_স্বাস্থ্য #পেডিয়াট্রিক_পরামর্শ #অবস্থানগত_সতর্কতা #মোটর_দক্ষতা #শিশুর_সমন্বয় #অভিভাবকের_পরামর্শ #পেডিয়াট্রিক_স্বাস্থ্য

02/01/2025

শিশুদের সেনসরি ইস্যুস/ হাইপার সেনসিটিভনেসের জন্য কিছু পরামর্শ নিচে লিখছি আশা করি আপনাদের কাজে আসবেঃ

১) বাচ্চাকে স্ক্রিন টাইম (টিভি/ মোবাইল/ট্যাব) দিবেন না। দিলেও সারাদিনে ৩০ মিনিটের বেশী নয় ।

২) বাচ্চাকে প্রতিদিন দোলনায় চড়াবেন।

৩) বাচ্চাকে বাইরে নিয়ে যাবেন। গাছপালা আছে, মাঠ আছে এমন জায়গায়।

৪) বাচ্চাকে স্লাইম, প্লেডো এসব দিয়ে খেলতে দিবেন।

৫) খালি পায়ে ঘাস, বালু, কাদামাটি, শুকনো পাতা এসবের উপর হাটতে দিবেন।

৬) চাল, ডাল এসব ধরতে দিবেন।

৭) শিশুকে পাজল টাইপ খেলনা দিয়ে খেলতে দিবেন।

৮) বাচ্চা টিপ টো করে হাটলে পায়ের জয়েন্ট গুলোতে আপনার হাতের মাঝে নিয়ে চাপ দিবেন। সারাদিনে এটা বারবার করে করবেন। অনেক বাচ্চা হাতেরও অস্বাভাবিক মুভমেন্ট করে সেক্ষেত্রেও বাচ্চার হাত আপনার দুই হাতের মাঝে নিয়ে চাপ দিবেন (যেটুকু বাচ্চার জন্য সহনীয়)।

৯) বাচ্চাকে সুঁড়সুড়ি দিবেন।

১০) বিভিন্ন ধরনের গোসলের মাজনি (লোফার) শুকনো অবস্থায় / সেনসরি ব্রাশ দিয়ে বাচ্চার হাত, পা এবং পিঠে ঘসবেন।

১১) বাচ্চার সাথে লুকোচুরি, ছোয়াছুয়ি, মিছেমিছি খেলা খেলবেন।

১২) অন্ধকার ঘরে টর্চ লাইট দেয়ালে ফেলবেন / বিভিন্ন কালারের ছোট ল্যাম্প জালাবেন (যেমন মরিচ বাতি)।

১৩) বাচ্চাকে মিস্টি খাবার এবং বেশী লবনাক্ত খাবার দিবেন না। যেমন, চকলেট চিপস, নুডুলসের মশলা।

১৪) বাচ্চার সাথে ছড়া গান করবেন।

১৫) বাচ্চার যদি বিভিন্ন জিনিস কামড়ানোর প্রবনতা থাকে তাহলে ইলেকট্রিক টুথব্রাশ ব্যবহার করবেন।

১৬) বাচ্চাকে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করাবেন

১৬) শিশুকে বেশী বেশী জড়িয়ে ধরবেন। আদর করবেন

Dr. Gulshana
MBBS BCS, FCPS (paediatrics) final,
MD (Paediatrics) phase B

10/12/2024

🛑 আপনার বাচ্চার কোন আচরনে আপনার মনে কি কখনো প্রশ্ন এসেছে যে আপনার বাচ্চার অটিজম আছে কিনা?🛑

American Academy of Paediatrics, ১৬ মাস থেকে ৩০ মাস পর্যন্ত সকল বাচ্চাদের জন্য “হ্যা/ না” আইটেম সমন্বিত “মডিফাইড- চেকলিস্ট ফর অটিজম ইন টডলার্স” (এম-চ্যাট) নামক একটি স্ক্রিনিং টেস্ট এর আওতায় এনেছে যেন কোন বাচ্চার যদি অটিজমের কোন লক্ষন থেকে থাকে তা সনাক্ত করা যায় এবং দ্রুত থেরাপী/ চিকিৎসার আয়ওতায় আনা যায়। কারন যত দ্রুত থেরাপী/ চিকিৎসা বাচ্চার জন্য ভালো ফলাফল নিয়ে আসে। চেকলিস্ট এর প্রশ্ন গুলো আমি বাংলায় সহজ ভাবে দেয়ার চেস্টা করেছিঃ

১) আপনি বাচ্চাকে ঘরের কোন বস্তুর দিকে হাত দিয়ে ইজ্ঞিত করে দেখাতে চাইলে বাচ্চা কি সেদিকে তাকায়?
যেমন, ঐ যে দেখো লাইট। (উত্তর না হলে এটা রেড ফ্লাগ সাইন)

২) আপনার কি কখনো মনে হয়েছে আপনার বাচ্চা কানে শোনে না? যেমন, কাছে থেকে ডাকার পরও ডাক শুনছে না বা তাকাচ্ছে না? ( উত্তর হ্যা হলে এটা রেড ফ্লাগ সাইন)

৩) আপনার বাচ্চা কি মিছেমিছে খেলা খেলে? যেমন হাড়ি পাতিল খেলা, পুতুলকে খাইয়ে দেয়া, খেলনা মোবাইল কানে নিয়ে কথা বলা? (উত্তর না হলে এটা রেড ফ্লাগ সাইন)

৪) আপনার বাচ্চা কি কোন কিছু বেয়েবেয়ে উঠতে পছন্দ করে? যেমন, সিড়ি বেয়ে ওঠা, ফার্নিচার বেয়ে ওঠা। (এটা শিশুদের স্বাভাবিক আচরণ। উত্তর না হলে এটা রেড ফ্লাগ সাইন)

৫) আপনার বাচ্চা কি চোখের সামনে হাত এনে হাতের অস্বাভাবিক নাড়াচাড়া করে। ( উত্তর হ্যা হলে এটা রেড ফ্লাগ সাইন)

৬) আপনার বাচ্চা কোন কিছু দেখানোর সময় / চাওয়ার সময় কি এক আংগুলে নির্দেশ করে দেখাতে পারে? যেমন একটা নির্দিষ্ট খেলনার দিকে আংগুল দেখিয়ে সেটা চাওয়া (উত্তর না হলে এটা রেড ফ্লাগ সাইন)

৭) আপনার বাচ্চা কি দূরের কোন কিছু আগ্রহ নিয়ে দেখানোর সময় এক আংগুলে নির্দেশ করে দেখাতে পারে? যেমন, ঐ দেখ চাঁদ মামা, ঐ দেখ ট্রাক (উত্তর না হলে এটা রেড ফ্লাগ সাইন)

৮) আপনার বাচ্চা কি অন্য বাচ্চাদের প্রতি আগ্রহ দেখায়? যেমন, তাদের দেখলে হাসা, তাদের কাছে যাওয়া (উত্তর না হলে এটা রেড ফ্লাগ সাইন)

৯) আপনার বাচ্চা কি কোন জিনিস আগ্রহ করে আপনার কাছে নিয়ে আসে দেখানোর জন্য? যেমন, একটা ফুল / খেলনা/ যেকোন কিছু (উত্তর না হলে এটা রেড ফ্লাগ সাইন)

১০) আপনার বাচ্চার নাম ধরে ডাকলে কি সে সাড়া দেয় বা তাকায়? (উত্তর না হলে এটা রেড ফ্লাগ সাইন)

১১) আপনার বাচ্চার দিকে তাকিয়ে হাসলে সেও কি হাসে? (উত্তর না হলে এটা রেড ফ্লাগ সাইন)

১২) আপনার বাচ্চা কি দৈনন্দিনের সাধারন শব্দে কান্নাকাটি করে অথবা কান চেপে ধরে? যেমন, কোন মিউজিক বা টিভির শব্দ ( উত্তর হ্যা হলে এটা রেড ফ্লাগ সাইন)

১৩) আপনার বাচ্চা কি হাটতে শিখেছে ( যদি দেড় বছরেও না হাটে এটা রেড ফ্লাগ সাইন)

১৪) আপনার বাচ্চা কি চোখের দিকে তাকায় (আই কন্টাক্ট) যখন তাকে কিছু বলেন? ( উত্তর না হলে এটা রেড ফ্লাগ সাইন)

১৫) আপনার বাচ্চা কি আপনাকে অনুকরন করে? যেমন, বাই বাই দিলে বাই বাই দেয়া ( উত্তর না হলে এটা রেড ফ্লাগ সাইন)

১৬) আপনি ইন্টারেস্টিং কোন কিছুর দিকে যখন মাথা ঘুরিয়ে তাকান, আপনার সাথে থাকা অবস্থায় সেও মাথা ঘুরিয়ে দেখার চেষ্টা করে? ( উত্তর না হলে এটা রেড ফ্লাগ সাইন)

১৭) আপনার বাচ্চা কোন কিছু করার সময় আপনাকে দেখাতে চায় কিনা (মুখে “দেখো দেখো” বলে বা আপনার দিকে তাকায়”? ( উত্তর না হলে এটা রেড ফ্লাগ সাইন)

১৮) আপনি যখন কোন সহজ নির্দেশনা দেন, সে কি বুঝতে পারে? যেমন, এখানে আসো, এটা রাখো ( উত্তর না হলে এটা রেড ফ্লাগ সাইন)

১৯) যদি হঠাৎ নতুন কিছু হয়, সে কি আপনার চেহারার দিকে তাকায়? যেমন, যদি কলিং বেলের শব্দ হয়, নতুন কোন খেলনা থেকে কোন আওয়াজ হয়? ( উত্তর না হলে এটা রেড ফ্লাগ সাইন)

২০) আপনার বাচ্চা কি দোলনায় দুলতে পছন্দ করে? ( উত্তর না হলে এটা রেড ফ্লাগ সাইন)

উপরের পয়েন্ট গুলোর ভিতর যদি ৩ টা বা তার বেশী রেড ফ্লাগ সাইন মিলে যায় তাহলে আপনি শিশু বিশেষজ্ঞ/ শিশু নিউরোলজিস্ট এবং ডেভেলপমেন্টাল থেরাপিস্টর সাথে যোগাযোগ করবেন

ডাঃ গুলশানা
এম, বি বি এস, বি সি এস,
এম ডি (ফেইজ বি), শিশু

Dr. Gulshana

30/01/2025

29/01/2025

29/01/2025

22/01/2025

20/01/2025

20/01/2025

11/01/2025

05/01/2025

03/01/2025

02/01/2025

10/12/2024

Address

Website

Alerts

Contact The Practice

Shortcuts

Share

Category