14/07/2025
A great event at Pabna University of Science and Technology.
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ সোমবার (৭ জুলাই) “আন্ডারস্ট্যান্ডিং দ্য গ্যাপস্ ইন ক্যান্সার অ্যাডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ফাইন্ডিং প্রসপেকটিভ সলিউশনস: এ স্পেশাল এম্ফাসিস অন স্টিগমাস অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস অ্যামং ওমেন” বিষয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারটি ইউনেস্কো ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে পাবিপ্রবি’র ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের উদ্যোগে দুপুরে কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান।
কীনোট স্পিকার হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোাগী অধ্যাপক এবং ক্যান্সার এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস ইন বাংলাদেশ-এর পরিচালক ড. মুস্তাক ইবনে আইয়ুব। স্পিকার হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাবিনা ইয়াসমিন ও অধ্যাপক ড. এসএম মাহবুবুর রশিদ। সভাপতিত্ব করেন ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. রাশেদুল হক।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল বলেন, “একজন ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে তার পরিবারকেও অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করতে হয়। আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। খাবারের কারণে বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে। আমাদের পূর্বপুরুষরা ভেজালমুক্ত খাবার খেতেন, সেজন্য তাদের রোগও কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে মানুষের ভেজাল খাবারের কারণে রোগও বেশি হচ্ছে। সচেতনতা অবলম্বন করে রোগ প্রতিরোধ করতে হবে।”
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “রোগকে প্রতিরোধ করা এবং আমাদের সকলের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। দৈনন্দিন লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। ক্যান্সারের কোনো অ্যান্সার নেই, অ্যান্সার হলো সচেতনতা বাড়াতে হবে।”
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান বলেন, “ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের অসহনীয় জীবন অতিবাহিত করতে হয়। লাইফ স্টাইল চ্যাঞ্জ করলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।”
কীনোট স্পিকার ড. মুস্তাক ইবনে আইয়ুব বলেন, “পৃথিবীতে ২ কোটি মানুষ প্রতিবছর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং এর মধ্যে ১ কোটি মানুষ মারা যায়। আরলি রোগ নির্ণয় করতে হবে এবং সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা দিতে হবে। অনেক অসুখের মতো ক্যান্সারকেও একটি অসুখ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এ রোগ ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের উপর প্রভাব ফেলে। এই রোগের ব্যবস্থাপনার ধরন আগে জানতে হবে। শিশুদের ৯০ শতাংশ ক্যান্সার নিরাময়যোগ্য। একজন ব্যক্তি প্রতিদিন টানা ৪০ মিনিট হাঁটলে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।”
অনুষ্ঠানে ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসার্স ট্রাস্ট বাংলাদেশ পাবিপ্রবি ক্যাম্পাসের কো-অর্ডিনেটর নাজমুল ইসলাম ও তার দল, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। সঞ্চালনা করেন আইসিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তরুন দেবনাথ।
(source in the first comment)