Dietitian & Nutritionist- Sadia Shahrin Sifa

Dietitian & Nutritionist- Sadia Shahrin Sifa Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Dietitian & Nutritionist- Sadia Shahrin Sifa, Nutritionist, Mirpur 1, Dhaka.

Dietitian and Nutritionist- Saic Digital Diagnostic Lab
Diet Consultant and Nutrition Specialist- Mitosis Lab LTD
B.Sc and M.Sc in Food and Nutrition (DU)
PGT (BADN)

এই টেক্সটা দেখে সত্যি কথা বলতে শত ব্যস্ততার মাঝেও একটা মিষ্টি হাসি ঠোঁটের কোণে চলে এলো। এই অনুভূতিগুলো এতটা জেনুইন হয়, ...
18/07/2025

এই টেক্সটা দেখে সত্যি কথা বলতে শত ব্যস্ততার মাঝেও একটা মিষ্টি হাসি ঠোঁটের কোণে চলে এলো। এই অনুভূতিগুলো এতটা জেনুইন হয়, ভাবলাম শেয়ার করি।
আলহামদুলিল্লাহ, কয়েকদিন ধরে সত্যি বলতে সময় পাচ্ছি না রোগীর চাপে, তবে কখনও দায়সারা ডায়েট চার্ট দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। সকল কমপ্লিকেশন এর সমাধান আমি অবশ্যই ডায়েটে দেই, রোগীর সবকিছু মাথায় রেখে একজন রোগীর জন্য পারফেক্ট ডায়েট না দেয়া পর্যন্ত আমি স্বস্তি পাই না। যারা প্র্যাকটিস করেন তারা জানেন রোগীর প্রেশার সামলে এতটা পারফেকশন আনা একটু টাফ।

তারচেয়েও টাফ অনলাইন পেশেন্টদের আপন হতে পারা। চেম্বারে যারা আসেন তাদের সাথে তো সরাসরি কথা হয়, কিন্তু অনলাইনে?

এইযে এই আপুটা আমার অনলাইনের পেশেন্ট। আপুর সাথে ২ দিন হলো কনসাল্টেশন এর। উনি খুবই অসুস্থ, অনেকগুলো ক্রিটিকাল মাল্টিপল ডিজিজ পেশেন্ট, ওনার কেস অন্যদিন শেয়ার করবো।

গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত পেন্ডিং পেশেন্টদের ডায়েটের কাজ কর ঘুমাতে খুব দেরি হয়ে গেল, সকাল থেকে আবার রোবটের মতন কাজ করে যাচ্ছি। ল্যাপটপের সামনে বসে থেকে মাথা ধরে যাচ্ছিল।

এমন সময় এই টেক্সট। আপু নিজে অসুস্থ হবার পরেও আমার খোঁজ নিলেন। না কখনও দেখা, না কখনও চেনা, তারপরেও উনার থেকে এইটুকু পাওয়া আমার জন্য অনেক। ওনার শারীরিক অবস্থার কথা জানলে হয়তো বুঝতে পারতেন আমি এই কথাগুলো কেন বলছি।
হ্যা উনি আমাকে পেমেন্ট করেছেন, উনাকে আমি ডায়েট দিব, কিন্তু রোগীর সাথে আমার বন্ডিং শুধুমাত্র এটুকু নন। ওনারাও এটা ফিল করেন হয়তো....

যাহোক, এখন আমি খুব খুশি, আলহামদুলিল্লাহ, কোনো ক্লান্তি নেই ❤️

All about Zinc ❤️ Zinc up your life, Tiny dose, Mighty impact, that’s Zinc power. All about zinc from Dietitian Sadia Sh...
17/07/2025

All about Zinc ❤️
Zinc up your life, Tiny dose, Mighty impact, that’s Zinc power. All about zinc from
Dietitian Sadia Shahrin Sifa 👩‍⚕️

আমার এক পেশেন্টের হিস্ট্রি। যারা কথায় কথায় ফ্রি ডায়েট চান, ডায়েট চার্ট এত টাকা কেন বা ইন্টারনেট, এআই দিয়েই তো ডায়ে...
10/07/2025

আমার এক পেশেন্টের হিস্ট্রি। যারা কথায় কথায় ফ্রি ডায়েট চান, ডায়েট চার্ট এত টাকা কেন বা ইন্টারনেট, এআই দিয়েই তো ডায়েট নিতে পারি এসব বলেন আসেন আজ আপনাদের সব কৌতুহলের খোলাসা করি।

🔸️ এই পেশেন্ট আমার কাছে এসেছেন ফ্যাটি লিভার গ্রেড ১ নিয়ে। তার উপরে তার দেহে ট্রাইগ্লিসারাইড ভয়াবহ লেভেলে বেশি। এইচডিএল মানে ভালো ফ্যাট কম আর টোটাল কোলেস্টেরল বেশি। একই সাথে দেহে ইউরিক এসিডের পরিমান বেশি। (আরও অনেক মেডিকেল টার্ম ইউজ করতে পারতাম, কিন্তু এখানে সহজ ভাষায় বলবো কারণ পোস্টটি সাধারণ মানুষের জন্য)

✅️ এখন এই ডায়েটের কিছু পয়েন্ট তুলে ধরি,

১। আমরা সবাই জানি যে বিটরুট লিভারের জন্য ভালো। এখন বিটরুট পাউডার ও পাওয়া যায়। পেশেন্টের ফ্যাটি লিভার। তাহলে আমি বিটরুট দিয়ে দেই ডায়েটে, কি বলেন? লিভার তো ভালো থাকবে, ইন্টারনেটে তো অনেক শুনছেন এই কথা।
🚩 কিন্তু একমিনিট!! পেশেন্টের একই সাথে Hyperuricemia আছে অর্থাৎ তার শরীরে ইউরিক এসিড বেশি। এখন লিভার ভালো হবে ভেবে যদি তারে বিটরুট দেই,নিয়মিত এত হাই অক্সালেট ফুড খেয়ে তার ইউরিক এসিড তো আরও বাড়বে! এতে তখন তার হাড়ের জয়েন্টে জয়েন্টে বাড়তি ইউরিক এসিড জমে গাউট বা সহজ ভাষায় গেটেবাতের অসহ্য ব্যথা শুরু হতে পারে পর্যন্ত।

২। এইচডিএল তো কম। মানে ভালো ফ্যাট দরকার তার। কোলেস্টেরল ও নরমাল লেভেলে আনতে হবে ডায়েটের মাধ্যমে। টিজি আছে যেহেতু হাবিজাবি তেলে ভাজা নাস্তা ও দিতে পারবো না। সব মিলিয়ে সবচেয়ে ভালো হয় তার স্ন্যাকস এ হেলদি অপশন বাদাম আর বীজ রাখি।
🚩 কিন্তু ওয়েট!! এখানেও সমস্যা। ওইযে বাড়তি ইউরিক এসিড। অবাধে বাদাম বীজ তো রোগী নিতে পারবেন না, অন্য অপশন ভাবতে হবে।

➡️ এই একটা ডায়েটে এমন একশো কনট্রাডিকশন আমি আপনাকে দেখাতে পারবো। রোগে রোগে আর খাবারে খাবারে যুদ্ধ। তবে এইটা মামুলি কেস। ছোট্ট ইজি কেসের উদাহরণ দিলাম। রেনাল, ডায়াবেটিস, পিসিওএস, আইবিএস, একাধিক রোগ আছে এমন হাজার জটিল কেসের গল্প বলতে পারি। কিন্তু অলরেডি হয়তো আপনাদের মাথায় জট লেগে গেছে।

⛔️ এইযে একটা চার্টে প্রতিটা খাবার দেয়ার আগে পড়াশোনা আর রিসার্চ করতে হয়, এইটা আপনাদের ইন্টারনেট, এআই পারবে না। এইযে রোগীর প্রতিটা খাবার তার শরীরে কেমন প্রভাব ফেলবে, একটা রোগে ভালো খাবার আরেকটা রোগের জন্য বিষের মতন হবে, এইটা ভেবে রোগীর সবগুলো সমস্যা মাথায় রেখে সম্পূর্ণ পার্সোনালাইজড ডায়েট চার্ট বানাই এইটা অনেক কষ্টের। এটার বিনিময়ে যথাযথ পারিশ্রমিক অবশ্যই আমার প্রাপ্য।

🔸️ ডায়েট মানে শুধু না খেয়ে ইন্টারনেট দেখে ৭ দিনে ১০ কেজি ওজন কমানো বলে যে ভুল ধারণা আপনাদের হইছে এইটা থেকে বের হন। ডায়েটের অর্থ অনেক বড়, ডায়েটিশিয়ানের কাজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের শরীরে কতরকমের কমপ্লিকেশন আর রোগ হয় আপনাদের ধারণা নাই। আমরা প্রতিটা সাইন সিম্পটম, কমপ্লিকেশন সব মাথায় রেখে একেকটা ডায়েট দেই, তাই আমাদের পারিশ্রমিক নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না।

🖋 সাদিয়া শাহরিণ শিফা
নিউট্রিশনিস্ট এন্ড ডায়েট কনসালটেন্ট,
মাইটোসিস ল্যাব লিমিটেড

08/07/2025

Alhumdulillah, my journey with BDCNR-Bangladesh Diet Clinic & Nutrition Research Center starts here 😇

ওয়াটার ফাস্টিং করে ৩ দিনে ৩ কেজি ওজন কমে গেছে!অনেকেই ভেবে নিচ্ছেন, ‘চর্বি গলছে!’ কিন্তু সত্যটা কি? না জেনেই নিজের ক্ষতি...
08/07/2025

ওয়াটার ফাস্টিং করে ৩ দিনে ৩ কেজি ওজন কমে গেছে!
অনেকেই ভেবে নিচ্ছেন, ‘চর্বি গলছে!’ কিন্তু সত্যটা কি? না জেনেই নিজের ক্ষতি করছেন না তো? রিসেন্টলি ওয়াটার ফাস্টিং নিয়ে সার্ভে করলাম, আজ আপনাদের জানাবো এ বিষয়ে।

️প্রথমেই জানতে হবে ওয়াটার ফাস্টিং কি?
ওয়াটার ফাস্টিং এমন একটি ফাস্টিং পদ্ধতি যেখানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (৩-৭ দিন) শুধুমাত্র পানি পান করা হয় এবং কোনো খাবার বা ক্যালোরিযুক্ত পানীয় গ্রহণ করা হয় না। এটি সাধারণত 24 ঘণ্টা থেকে শুরু করে কয়েক দিন পর্যন্ত চলতে পারে।

▪️এইযে না খেয়ে থেকে দ্রুত ওজন কমে তখন শরীরের মধ্যে কি চলে? আসলেই কি চর্বি কমে নাকি অন্যকিছু?

⛔️ ওয়াটার ফাস্টিং এর বিপাকীয় বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়:

🔸️ ১. ফাস্টিংয়ের শুরুর মুহূর্তে (0-24 ঘন্টা) একটি ফিজিওলজিকাল শিফট ঘটে । আমাদের লিভার ও পেশীতে গ্লাইকোজেন আকারে কার্বোহাইড্রেট জমা থাকে (লিভারে প্রায় 100g, পেশীতে 400–500g)। ফাস্টিং শুরু করলে প্রথমেই শরীর গ্লাইকোজেন ভেঙে গ্লুকোজে রূপান্তর করে শক্তি তৈরি করে।
১ গ্রাম গ্লাইকোজেনের সঙ্গে ৩–৪ গ্রাম পানি সংযুক্ত থাকে।
🚩 সুতরাং, গ্লাইকোজেন ক্ষয় হলে শরীর প্রচুর জলীয় ওজন (water weight) হারায়।
📖 Reference: Kreitzman SN et al., Am J Clin Nutr. 1992

🔸️ ২. ফাস্টিংয়ের ১৮ থেকে ২৪ ঘন্টা পর যখন গ্লাইকোজেন শেষ হয়ে যায়, তখন Gluconeogenesis শুরু হয়।
অর্থাৎ তখন শরীর সার্ভাইভাল মোডে নিজে কর্মক্ষম থাকার জন্য নতুনভাবে গ্লুকোজ বানায়, যাকে বলে gluconeogenesis। এবার এই প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয় amino acid যা আসে শরীরের skeletal muscle থেকে।
🚩 অর্থাৎ, শরীর এই সময়ে নিজের পেশী ভেঙে গ্লুকোজ তৈরি করে, যাতে ব্রেইন, লোহিত রক্তকণিকা ও অন্যান্য অঙ্গ শক্তি পেতে পারে।
📖 Reference: Cahill GF Jr. (2006), "Fuel metabolism in starvation", Annu Rev Nutr.

🔸️ ৩. ৪৮ ঘন্টা পর, কিটোসিস শুরু হয়। এবার শরীর ফ্যাটি অ্যাসিড থেকে কিটোন বডি তৈরি করে, যা ব্রেইনের বিকল্প জ্বালানি হিসেবে শক্তি জোগায়।
🚩 কিন্তু এই ফ্যাট বার্নিং ধীরে ধীরে শুরু হয়, আর ইতিমধ্যেই বেশ কিছু lean body mass (LBM) ও পেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। এবং গবেষণায় প্রমাণিত, কিটোসিস চালু হলেও শরীর একেবারে পেশী ভাঙা বন্ধ করে না, বরং কমিয়ে আনে।
📖 Reference: Klein S et al., 1993, “Muscle protein kinetics during fasting in humans”, Am J Physiol.

🔸️ ৪. এইযে ফাস্টিংয়ে মাংসপেশী ক্ষয় হলো, এর প্রভাব কি?
Lean body mass কমে গেলে Basal Metabolic Rate (BMR) কমে যায়। এটি “Starvation mode” নামে পরিচিত। পেশী ক্ষয়ের পরে শরীর এই মোডে চলে যায় অলরেডি, তখন ফাস্টিংয়ের পর আপনি যে খাবার গ্রহণ করেন তার কম শক্তি খরচের জন্য শরীর কাজ করে,
🚩 ফলে ওজন কমা বন্ধ হয়। এবং ভবিষ্যতে ওজন আরও বেশি বেড়ে যায় (Yo-Yo Effect)
📖 Reference: Dulloo AG et al., Am J Clin Nutr. 1997

🔸️৫. ওয়াটার ফাস্টিংয়ের ফলে কিডনি থেকে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম বেশি পরিমাণে বেরিয়ে যায় (increased natriuresis & diuresis)। ফলে, শরীর পানিশূন্য (dehydrated) হয়ে পড়ে। ইলেক্ট্রোলাইট ব্যালান্স তৈরি হয়।
🚩 এসময় এই হারানো পানির ওজনও “ওজন কমেছে” বলে স্কেল-এ ধরা পড়ে, অথচ তা স্বাস্থ্যকর নয়।
📖 Reference: Cahill GF, 2006; Klein et al., 1993

⛔️ ফলে দ্রুত ওজন কমে ঠিকই কিন্তু Long-Term Impact এ:
🚩Muscle loss হয় = metabolism স্লো হয়
🚩Repeat fasting করলে = chronic lean tissue damage দেখা দেয়
🚩Rapid regain = ফাস্টিং ছাড়লেই দ্বিগুণভাবে fat বাড়ে বিশেষত visceral fat, ফলে heart disease risk তৈরি হয়।
📖 Reference: Hall KD et al., 2016, Cell Metabolism

✅ উপসংহার
ওয়াটার ফাস্টিংয়ে ওজন কমে ঠিকই, কিন্তু সেটা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হ্রাস নয়। বরং এটি মূলত পানি ও পেশীর ক্ষয়, যা পরবর্তীতে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি, হরমোনাল ভারসাম্যহীনতা, দুর্বলতা এবং স্থায়ী মেটাবলিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই অবশ্যই ডায়েটিশিয়ান এর পরামর্শ অনুযায়ী ফাস্টিং শুরু করা উচিত, কোনো ট্রেন্ড অনুসরণ করে নয়।

🖋 পুষ্টিবিদ সাদিয়া শাহরিণ শিফা
নিউট্রিশন এন্ড ডায়েট কনসালটেন্ট, মাইটোসিস ল্যাব লিমিটেড ও সাইক ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক ল্যাব

"ডায়েটিশিয়ানই হচ্ছে আসল ডাক্তার" এখন সময় এসেছে এই বার্তাটি সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার। আজকের দিনে অনেক ডায়েটিশিয়ান মনে কর...
28/06/2025

"ডায়েটিশিয়ানই হচ্ছে আসল ডাক্তার" এখন সময় এসেছে এই বার্তাটি সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার।

আজকের দিনে অনেক ডায়েটিশিয়ান মনে করেন যে, নামের আগে "ডাক্তার" না লিখলে মানুষ তাঁদের গুরুত্ব বুঝবে না। কিন্তু সত্যি হলো, “ডায়েটিশিয়ান” পরিচয়টাই যথেষ্ট সম্মানজনক ও পেশাগতভাবে শক্তিশালী।

ডায়েটিশিয়ান শুধু খাবার নিয়ে পরামর্শ দেন না। আমরা ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন, মেডিকেল নিউট্রিশন থেরাপি এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ ব্যবস্থাপনায় বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত বিশেষজ্ঞ।

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা বিজ্ঞানভিত্তিক, প্রশিক্ষণ সহজ নয়, এবং আমাদের কাজের প্রভাব মানুষের জীবনের মান পরিবর্তন করতে সক্ষম।

আমরা স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করি, ক্লিনিক্যাল রোটেশন করি এবং জীবনভর আপডেটেড থাকতে নিরবচ্ছিন্ন জ্ঞান গ্রহণ করি ও রিসেন্ট রিসার্চ অনুযায়ী আপডেটেড থাকি।

অনেক দেশে “ডায়েটিশিয়ান” শব্দটি আইনগতভাবে সংরক্ষিত, কারণ এই পদবীটি এক বিশেষ জ্ঞানের এবং দায়িত্বের প্রতীক।

আমরা চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করি, কিন্তু আমাদের ভূমিকা স্বতন্ত্র এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আরেকটি পেশার অনুকরণ করে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করার কোনো প্রয়োজন নেই।

চলুন, দৃষ্টিভঙ্গি বদলাই।
ডায়েটিশিয়ান হওয়াই যথেষ্ট। বরং, এটি এক শক্তিশালী পরিচয়।

তাই গর্ব করে বলুন: ডায়েটিশিয়ানই হচ্ছে আসল ডাক্তার।

Collected from Ahmed Salisu

Alhamdulillah 🌟Another transformation that speaks louder than words 💪One of my amazing warriors from the 4th batch of my...
27/06/2025

Alhamdulillah 🌟
Another transformation that speaks louder than words 💪
One of my amazing warriors from the 4th batch of my "Fitness Program" crushed her goals 🔥

Your journey is my inspiration 💖

And guess what? Batch 5 is coming SOON! 😍🥰Are you ready to be the next success story? ✨✨️

যাদের ওজন বাড়াতে চাচ্ছেন, তবে কোনো খাবার খেতে একদমই ইচ্ছা করে না, রুচি নেই, সবসময় পেট ভরা লাগে বা ক্ষুধা অনুভব করতে পার...
22/06/2025

যাদের ওজন বাড়াতে চাচ্ছেন, তবে কোনো খাবার খেতে একদমই ইচ্ছা করে না, রুচি নেই, সবসময় পেট ভরা লাগে বা ক্ষুধা অনুভব করতে পারেন না আজ আপনাদের জন্য সমাধান লিখবো।

গতকাল রুচি কমানো নিয়ে একজন রোগীর প্রশ্নোত্তরের পোস্ট দেয়ার পর অনেকেই রুচি বাড়ানোর জন্য কি করবেন এ ব্যাপারে জানতে চেয়েছেন।

রুচি কম থাকা বা ক্ষুধামন্দার কারণগুলোকে মূলত ৩ ভাগে ভাগ করা যেতে পারে:

১। Physiological: শরীরে বিশেষ কিছু পুষ্টি উপাদানের অভাব, বদহজম, গ্যাস্ট্রিক, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশন (মুখগহ্বর, খাদ্যনালী ও পরিপাকতন্ত্রে) এর কারণে হতে পারে।
২। Emotional: ক্রনিক স্ট্রেস, ডিপ্রেশন, মানসিক অস্থিরতা ও দুশ্চিন্তা।
৩। Pathological: ক্রনিক রোগ যেমন: লিভারের অথবা হার্টের রোগ, আলসার, আইবিএস, আইবিডি, ক্যান্সার ইত্যাদি কারণেও হতে পারে।

ক্ষুধা বাড়ানোর জন্য কিছু সাপ্লিমেন্ট আছে। কিছু ভিটামিন ও মিনারেলের সাহায্যে রুচি বাড়ানো যায়, স্বাস্থ্যকর উপায়েই সেটা সম্ভব। আর কেউ যদি চান সাপ্লিমেন্ট নিবেন না তারা এই ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের মাধ্যমে রুচি বাড়াতে পারেন।

১। ভিটামিন বি১ বা থায়ামিন: দেহে থায়ামিনের ঘাটতি থাকলে আপনি রুচিহীনতায় ভুগতে পারেন, একদমই ক্ষুধা পাচ্ছে না বা খেতে ইচ্ছা করছে না এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ক্ষুধা ও রুচি বাড়াতে ভিটামিন বি১ (থায়ামিন) সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন খাবারে থায়ামিন পেতে পারেন যেমন: দই, আলু, মটরশুটি, ডাল, মাছ, বাদাম ও বীজ, ফরটিফাইড সিরিয়ালস ইত্যাদি।

২। জিঙ্ক: জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট রুচি বাড়াতে বেশ ভালো কাজ করে। ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনগুলোর সাথে সরাসরি কাজ করে জিঙ্ক দেহে খাবারের চাহিদা বৃদ্ধি করে। জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট কিন্তু মন ভালো রাখতেও বিশেষ কার্যকরী। জিঙ্ক যেসব খাবারে পাওয়া যায় তা হলো: মুরগির মাংস, গরুর মাংস, খাসির মাংস, দুধ ও দুধের তৈরি যেকোন খাবার, ডাল, বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার, ডিম, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি।

৩। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স: ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বিশেষত ভিটামিন বি৬ এবং বি ১২ রুচি ও ক্ষুধা বাড়ানোর কাজ করে। এই ভিটামিনগুলো রুচি নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ুর উপরে প্রত্যক্ষ কাজ করে। এছাড়াও হেলদি ডাইজেশনে ভূমিকা রাখে ফলে পেট ভরা ভাব কমে যায়। এভাবেই ক্ষুধামন্দা কমিয়ে আনে। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যেসব খাবারে পাবেন: গরুর মাংস, খাসির মাংস, সামুদ্রিক মাছ, ডিম, মুরগির মাংস, দই, চিজ, কলিজা, কলা, ইত্যাদি।

৪। ভিটামিন সি ও ডি: সরাসরি জড়িত না হলেও পরোক্ষভাবে ভিটামিন সি এবং ডি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ভিটামিন সি আয়রনের সঠিক শোষণ নিশ্চিত করে। দেহে আয়রনের সঠিক শোষণ রুচি ও টেস্ট বাডের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে পারে। আবার, অনেক সময় ভিটামিন ডি এর লেভেল কম থাকলেও রুচিহীনতা দেখা যায়। ভিটামিন সি ও ডি সমৃদ্ধ খাবার: যেকোন টক ফল, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি, সামুদ্রিক মাছ, ডিমের কুসুম, দুধ, মাশরুম ইত্যাদি।

রুচি বাড়ানোর পুষ্টি উপাদানগুলো একই ধরনের খাবারে পাওয়া যায় তাই খাবারের মাধ্যমে সমাধান করতে উপরে উল্লেখিত খাবারগুলোর লিস্ট বানিয়ে ফেলুন, এবার এই লিস্ট থেকে কমপক্ষে একটি খাবার প্রতিদিন খাবেন। আর সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে সমাধান করতে চাইলে অবশ্যই আপনার দেহের জন্য পরিমিত ডোজ জানতে প্রফেশনাল কারো সাহায্য নিন। আমাকে নক দিতে পারেন।
এভাবেই স্বাস্থ্যকর উপায়ে রুচিহীনতা বা ক্ষুধামন্দার সমাধান করতে পারেন।

✍️ পুষ্টিবিদ সাদিয়া শাহরিণ শিফা
নিউট্রিশন এন্ড ডায়েট কনসালটেন্ট, মাইটোসিস ল্যাব লিমিটেড, ডায়েটিশিয়ান, সাইক ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক ল্যাব

রুচি কমানোর কি ঔষধ আছে? ঘন ঘন ক্ষুধা লাগার সমাধান কি? সাইন্স কি বলে জেনে নিন। অনেকেরই অভিযোগ ওজন কমাতে পারছেন না, ডায়েট...
21/06/2025

রুচি কমানোর কি ঔষধ আছে? ঘন ঘন ক্ষুধা লাগার সমাধান কি? সাইন্স কি বলে জেনে নিন।

অনেকেরই অভিযোগ ওজন কমাতে পারছেন না, ডায়েট করতে পারেন না, কারণ ঘন ঘন ক্ষুধা পায়। খাস বাংলায় যাকে বলা যায়, রুচি ভালো থাকা। শুনতে হালকা লাগলেও এই সমস্যা এমন মারাত্মক যে, মানুষ এই সমস্যা কমাতে ঔষধ খুঁজে। বিদেশে সার্জারি পর্যন্ত হয়!

কিন্তু বেশিরভাগ ভুক্তভুগীই যেটা জানেন না, তা হলো, এই সমস্যার সমাধান লুকিয়ে থাকে ব্যক্তির খাদ্যতালিকায়। খাবারের মাধ্যমে সমাধান সম্ভব। বিস্তারিত বলছি...

ঘন ঘন খাবারের চাহিদা হওয়ার মেডিক্যাল টার্ম হলো, Polyphagia বা hyperhagia. বিভিন্ন কারণে এটি দেখা দিতে পারে, তবে মূল এবং সাধারণ কারণটি জানতে দেহে একপ্রকার বিশেষ খাবারের মেটাবলিজম এবং এর সাথে একটি নির্দিষ্ট হরমোনের সম্পর্ক আপনাকে জানতে হবে।

মানুষ যখন সরল শর্করা বিশেষত রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট যেমন: সাদা ভাত, চিনি, আলু ইত্যাদি গ্রহণ করেন তখন খুব দ্রুত এগুলো বিশ্লেষিত হয়ে গ্লুকোজ রুপে রক্তে মিশে যায়। কিন্তু গ্লুকোজ তো কোষে পৌঁছাতে হবে, তারপর শরীর তা ব্যবহার করতে পারবে প্রয়োজনমত। এই গ্লুকোজকে কোষে নেয়ার কাজটা করে ইনসুলিন নামক হরমোন। অগ্ন্যাশয়ের অভ্যন্তরে আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যানস নামক এক প্রকার গ্রন্থি আছে যে গ্রন্থিতে এই ইনসুলিন নামক হরমোন তৈরি হয়।
রক্তে গ্লুকোজ লেভেল বাড়তে থাকলে ইনসুলিন নিঃসরণের জন্য সিগন্যাল চলে যায়। ইনসুলিন নিঃসরিত হয় এবং গ্লুকোজ কোষে পৌছায়।এখন এমন যদি হয় যে রক্তে এই নিঃসরিত ইনসুলিন এর পরিমাণ বেশি তখন এই ইনসুলিন আরও গ্লুকোজ খুঁজতে থাকে বিশ্লেষণের জন্য। আর শরীর খুঁজতে থাকে খাবার। এই অবস্থাকে বলা হয়, ইনসুলিন স্পাইক। এর ফলস্বরূপ বারবার ক্ষুধা পায়। বিশেষত মিষ্টি কিছু খাওয়ার ক্রেভিংস হতে থাকে।

এখন তাহলে ভেবে দেখেন মূল কারণ হিসেবে কে ছিল। আপনি যে রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট অতিরিক্ত পরিমান খেলেন সেই থেকেই সমস্যার শুরু।

তাহলে এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে সর্বপ্রথম মূল কারণে ফিরে যেতে হবে। যারা ২-৩ বেলা অতিরিক্ত পরিমাণে সাদা ভাত, সবজি হিসেবে প্রতি বেলায় আলু, নাস্তায় রুটি-পরোটা, বিকেলে সিঙারা,সামুচা,চপ,ফাস্টফুড- পিজ্জা, বার্গার এগুলো খান তাদের এই বারবার অতিরিক্ত ক্ষুধা লাগার সম্ভাবনা প্রবল। আরও একটা বিষয় হলো কোল্ড ড্রিঙ্ক, আইসক্রিম আর ডেজার্ট। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত এই খাবার ও পানীয়গুলোও একই ভাবে ইনসুলিন স্পাইক বাড়ায়। এভাবেই এগুলো ঘন ঘন ক্ষুধার সাথে জড়িত।

গবেষণায় আরও দেখা যায় যে, মানবদেহের ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন যেমন ঘ্রেলিন ও লেপটিন এর কার্যক্রম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে সম্ভব উচ্চ শর্করাযুক্ত খাবার যেমন: সফট ড্রিঙ্ক, আইসক্রিম, ফাস্টফুড। [The impact of sugar sweetened beverage intake on hunger and satiety in minority adolescents. Appetite. 2016, PMID: 26606887]

তাই আপনার ক্ষুধা কতটুকু লাগবে এটা কিন্তু আপনার দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস ই নিয়ন্ত্রণ করছে। আর এখানেই রয়েছে ম্যাজিক। কারণ যখন খাদ্যাভ্যাসে স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনতে পারবেন তখন আপনার ক্ষুধার নিয়ন্ত্রণ থাকবে আপনার হাতেই!

খাবারে কি কি স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন নিয়ে এলে আপনি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হবেন?
- ফাইবার হলো এক্ষেত্রে Magic Ingredient. তিন বেলা খাবারের সাথে ফাইবার রাখুন। যেমন: আপনি ভাত খাচ্ছেন তবে শুরুতেই সালাদ খান। তারপর ভাত খান। প্রতিদিন আলু ব্যতীত কমপক্ষে ২-৩ প্রকারের সবজি খাবেন। বিকেলের নাস্তায় ফাস্টফুড বা চা বিস্কুট না রেখে টক দেশি ফলগুলো রাখুন। এছাড়াও বিভিন্ন পুষ্টিকর কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে খুব ভালো কাজ করে যেমন: চিয়া, তিসি, রোলড ওটস, তোকমা ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় যোগ করুন।

- পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন খান। প্রোটিন ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনগুলিকে প্রভাবিত করে ভরপেট বা পূর্ণতার অনুভূতি বৃদ্ধি করে। এটি ক্ষুধার অনুভূতি উদ্বেগকারী হরমোন ঘ্রেলিনের মাত্রা কমাতে পারে এবং পেপটাইড YY (PYY) এবং কোলেসিস্টোকিনিন (CCK) এর মতো হরমোন বৃদ্ধি করতে পারে, যা ক্ষুধার অনুভূতি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, প্রোটিন কার্বোহাইড্রেটের তুলনায় হজম হতে বেশি সময় নেয়, যার ফলে ঘন ঘন ক্ষুধার প্রবণতা কমে। তাই সকালের নাস্তায় ডিম, দুপুরে ও রাতে মাছ বা মাংসের পাশাপাশি বিকেলের নাস্তায় বাদাম, বীজ এগুলো নিয়মিত রাখবেন।

- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি প্রতিদিন গ্রহণ করবেন এবং শরীরকে প্রোপারলি হাইড্রেটেড রাখবেন।
এছাড়াও আরও কিছু লাইফস্টাইল গাইডলাইন আছে যা এই ঘন ঘন ক্ষুধার সমস্যার সমাধান করতে পারে। যেমন: মাইন্ডফুল ইটিং, খাবার সময় তাড়াহুড়ো করা যাবে না, পর্যাপ্ত ঘুম, রেগুলার এক্সারসাইজ ও স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট। এগুলো নিয়ে বিস্তারিত অন্যদিন লিখবো।

যেহেতু অনেকেরই ওজন কমানো ও হেলদি ডায়েটের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় এই ঘন ঘন ক্ষুধার সমস্যা তাই আশা করছি আজকের লেখাটা পড়ে অনেকেই উপকৃত হবেন।

- পুষ্টিবিদ সাদিয়া শাহরিণ শিফা

গ্লুটেন ফ্রি সকাল বা বিকেলের নাস্তা 💛
21/06/2025

গ্লুটেন ফ্রি সকাল বা বিকেলের নাস্তা 💛

গ্লুটেন ফ্রি ওরফে ময়দাবিহীন স্বাস্থ্যকর কেক এর রেসিপি দিব আজ 🩷 গতকাল নিজে বানিয়ে দেখলাম, আসলেই মজা 😋 পিসিওএস সহ বিভিন্...
17/06/2025

গ্লুটেন ফ্রি ওরফে ময়দাবিহীন স্বাস্থ্যকর কেক এর রেসিপি দিব আজ 🩷 গতকাল নিজে বানিয়ে দেখলাম, আসলেই মজা 😋 পিসিওএস সহ বিভিন্ন রোগের ডায়েটে যারা মজাদার সব খাবার বাদ দিয়েছেন তাদের জন্য এই রেসিপি। এটি মাইক্রোওয়েভ ও গ্যাসের চুলা দুই ভাবেই বানানো যাবে।

✅️ লো কার্ব, হাই প্রোটিন রেসিপি

যাদের থাইরয়েড, পিসিওএস বা হরমোনাল ইমব্যালেন্স এর সমস্যা তাদের গ্লুটেনে রেস্ট্রিকশন থাকে। এমনকি যারা ব্যথা বা প্রদাহজনিত সমস্যায় ভুগছেন তাদেরও গ্লুটেন গ্রহণের ফলে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এই গ্লুটেন হলো গমের প্রোটিন। অর্থাৎ গম থেকে তৈরি আটা ময়দা জাতীয় সকল খাবারে গ্লুটেন থাকে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, গ্লুটেন, অর্থাৎ গমের তৈরি খাবার অতিরিক্ত পরিমান গ্রহণে বিভিন্ন অটোইমিউন ও লাইফস্টাইল ডিজিজ দেখা দিতে পারে। অনেকের জন্মগত গ্লুটেন ইনটলারেন্স থাকে। তারাও আটা ময়দার তৈরি খাবার হজম করতে পারেন না। তাই গ্লুটেন ফ্রি খাবারের রেসিপিগুলো বাইরের দেশে খুব জনপ্রিয়। তবে এদেশে ধীরে ধীরে পরিচিতি পাচ্ছে।

গ্লুটেনফ্রী কেক বানানোর জন্য ময়দার বদলে আমরা ব্যবহার করতে পারি যবের ছাতু, অথবা ওটসের গুড়ো অথবা চালের গুঁড়ো। তবে চালের গুঁড়ো কেক এর টেক্সচার কিছুটা শক্ত করতে পারে তাই প্রথম দুটি অপশনই ভালো। প্রথমেই একটি মিক্সিং বোল তিনটি ডিমের সাদা অংশ ভালো ভাবে বিট করে নিন। যাদের ডিম খেতে সমস্যা তারা ডিমের বদলে টকদই ব্যবহার করবেন। এবার এতে এক কাপ যবের ছাতু/ওটসের গুঁড়ো/চালের গুঁড়ো নিন। যেটা আপনার জন্য সুবিধাজনক হয় আরকি। এগুলোর একটাও না থাকলে এককাপ বাদাম গুড়ো করে কেকটা বানাতে পারেন। এরপর মিষ্টি স্বাদের জন্য ১/৪ কাপ মধু বা ২ টি পাকা কলা মিশিয়ে নিন। কলা স্বাস্থ্যকর অপশন। ফ্লেভারের জন্য একটু দারচিনি গুঁড়ো বা ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে নিতে পারেন। যদি খুব বেশি তুলতুলে ও ফ্লাফি কেক চান তাহলে ১/৪ চা চামচ ইস্ট মিশিয়ে নিবেন। এই মিশ্রণে ২ টেবিল চামচ বাটার বা ৩-৪ টেবিল চামচ ঘি নিবেন। এবার সবকিছু ভালো করে মিশিয়ে নিন। ঘনত্ব কম বেশি করতে পানি ব্যবহার করবেন, দুধ না ব্যবহার করাই ভালো।

বেকিং কেক প্যান বা স্টিলের পাত্রে সামান্য ঘি বা তেল স্প্রেড করে নিবেন। এবার এই পাত্রে মিশ্রণ টা ঢেলে নিন। উপর থেকে বাদামকুচি ছড়িয়ে দিন। এই কেকটি মাইক্রোওয়েভ ও গ্যাসের চুলা দুই ভাবেই বানানো যাবে। চুলায় বানালে ভাপে ৪৫-৫০ মিনিট রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে। মাইক্রোওয়েভ ওভেনে বেক করলে ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইট এ ৩০ মিনিট বেক করতে হবে।

স্বাস্থ্যকর গার্নিশিং এর জন্য টকদই, বাদাম ও আপনার পছন্দের ফল ব্যবহার করতে পারেন।

আশা করছি রেসিপিটা আপনাদের ভাল লাগবে। ট্রাই করে অবশ্যই জানাবেন।

- পুষ্টিবিদ সাদিয়া শাহরিণ শিফা

বাবাদের ডায়েট কেমন হওয়া উচিত? একটুখানি যত্ন বাবার জন্য 🩷✍️ পুষ্টিবিদ সাদিয়া শাহরিন শিফাবাবা, একটি শব্দ, যেখানে লুকিয়...
15/06/2025

বাবাদের ডায়েট কেমন হওয়া উচিত? একটুখানি যত্ন বাবার জন্য 🩷
✍️ পুষ্টিবিদ সাদিয়া শাহরিন শিফা

বাবা, একটি শব্দ, যেখানে লুকিয়ে আছে নির্ভরতা, আত্মত্যাগ আর নিঃশব্দ ভালোবাসার গল্প। দিনের পর দিন পরিবারের জন্য পরিশ্রম করা এই মানুষটির নিজের শরীরের যত্ন নেওয়ার সময় যেন কোথাও হারিয়ে যায়। ফাদারস ডে তে বাবার সুস্বাস্থ্যের সচেতনতা শুরু হোক একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে। আজকে বাবাদের জন্য বিশেষ কিছু স্বাস্থ্য টিপস থাকবে।

🔹 কেন বাবার স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি?
বয়স বাড়ার সাথে সাথে পুরুষদের হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, লিভার ও কিডনি সমস্যা, প্রোস্টেটের জটিলতা ইত্যাদির ঝুঁকি বেড়ে যায়। অফিসের চাপ, ঘুমের অভাব, অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া ও ব্যায়ামের অভাবে এ ঝুঁকি আরও বাড়ে। অথচ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারায় পরিবর্তন এনে এসব সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।

🥗 বাবার জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস:
১. সকালের নাস্তা বাদ দেয়া যাবে না:
দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার হলো সকালের নাস্তা। সকালের নাস্তা বাদ দিলে গ্যাস্ট্রিক, বদহজম, মনোযোগে ঘাটতি, পুষ্টিঘাটতি, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি দেখা যেতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে সকালের নাস্তা বাদ দিলে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এমনকি ডিমেনশিয়ার মতন রোগ সৃষ্টি হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সকালের নাস্তা স্কিপ করেন তাদের খাদ্যনালী 95% CI: 1.05–7.03), কোলোরেক্টাল (HR = 2.32, 95% CI: 1.34–4.01), লিভার (HR = 2.41, 95% CI: 1.23–4.71), পিত্তথলি এবং এক্সট্রাহেপাটিক পিত্তনালী ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি ছিল (HR = 5.43, 95% CI: 1.34–21.93)। [ Liu T, Habitually Skipping Breakfast Is Associated with the Risk of Gastrointestinal Cancers: Evidence from the Kailuan Cohort Study]

তাই বাবাকে উৎসাহ দিন নিয়মিত সকালের নাস্তা গ্রহণের বিশেষত প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার এবং কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট (যেমন: ডিম, বাদাম, ওটস) খেতে।

২. লবণ ও তেল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে: চল্লিশোর্ধ পুরুষদের উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই রান্নায় অতিরিক্ত লবণ ও তেল পরিহার করতে হবে। সবজি ভাজি নয়, রান্না করে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, ভাজাপোড়া খাবার মাসে ২ দিনের বেশি নয়। এই নিয়ম কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৩. শাকসবজি ও ফলমূল প্রতিদিন:
প্রতিদিন অন্তত ৩ রকমের শাকসবজি ও ২ রকম ফল খেতে উৎসাহিত করুন। বাবার প্লেটে যেন নানান রঙের শাকসবজি ও ফল থাকে। এতে পর্যাপ্ত ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার এর সরবরাহ নিশ্চিত হয়।

৪. পরিমিত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও চিনি:
ভাত বা রুটি অতিরিক্ত খাওয়া, চা-কফিতে চিনি বেশি দেওয়া এই অভ্যাস গুলো নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। পুষ্টিবিদের পরামর্শ অনুসারে শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী ভাত ও রুটি গ্রহণ করতে হবে। সাদা চিনি গ্রহণ একেবারে বাদ দেয়াই শ্রেয়।

৫. পর্যাপ্ত পানি পান:
দিনে কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে বলুন। রোগ ও শারীরিক চাহিদার ভিত্তিতে ব্যক্তিভেদে এর পরিমাণ বাড়তে বা কমতে পারে। সঠিক পরিমাণে পানি পান কিডনি সুস্থ রাখে, দেহকোষের সুস্থতা নিশ্চিত করে এবং হজমে সাহায্য করে।

৬. নিয়ন্ত্রিত ক্যাফেইন গ্রহণ: অনেক বাবার ই অভ্যাস থাকে বারবার চা কফি পান করার। তবে এই অতিরিক্ত চা কফি পান শরীরে বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে। যেমন: ইনসোমনিয়া, হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া ফলে পানিশূন্যতা, বদহজম, গ্যাস্ট্রিক, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। দৈনিক 400mg ক্যাফেইন বা ২ কাপ চা সর্বোচ্চ পান করা যেতে পারে, এর বেশি নয়।

৭. ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি পূরণ: বয়সের সাথে সাথে বাবার শরীরে বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে যেমন: ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন। এসব উপাদানের ঘাটতি খাবারের মাধ্যমে পুরণ করার পাশাপাশি প্রয়োজনে এক্সপার্ট এর পরামর্শ অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট দিন।

বাবার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনধারা:
১. নিয়মিত হাঁটা বা ব্যায়াম:
বাবাকে সঙ্গে নিয়ে সকালে বা সন্ধ্যায় হাঁটতে যান। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাহাটি সুস্থ শরীরের জন্য অপরিহার্য।

২. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ:
বাবার মানসিক স্বাস্থ্যের খোঁজ নিন। তাঁকে মাঝে মাঝে শোনান তাঁর প্রিয় গান, নিয়ে যান প্রকৃতির কাছে, কথা বলুন মন খুলে।

৩. ঘুমের রুটিন ঠিক করুন:
প্রতিদিন অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা ঘুম হওয়া জরুরি। ঘুমের ঘাটতি থেকে ক্লান্তি, উচ্চ রক্তচাপ ও স্মৃতিশক্তিজনিত সমস্যা হতে পারে।

৪. ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকা:
ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকতে বাবাকে উৎসাহিত করুন এবং প্রয়োজনে পারিবারিকভাবে সহায়তা দিন।

বাবারা নিজের জন্য নয়, আমাদের জন্য বাঁচেন। তাই তাকে সুস্থ জীবনের সব জোগান দেয়া আমাদের দায়িত্ব।

Address

Mirpur 1
Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dietitian & Nutritionist- Sadia Shahrin Sifa posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Share on Facebook Share on Twitter Share on LinkedIn
Share on Pinterest Share on Reddit Share via Email
Share on WhatsApp Share on Instagram Share on Telegram

Category